17/07/2025
হাতি-ঘোড়া গেলো তল
মশা বলে কতো জল 😲
শহীদ জিয়া প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় গোপালগঞ্জে গিয়েছিলেন সমাবেশ করতে। পারেন নাই।
গোপালগঞ্জে প্রবেশের সময় শহরের প্রধান প্রবেশ পথে স্থানীয় আওয়ামীপন্থী জনতা মানবপ্রাচীর তৈরি করে জিয়াউর রহমানের গাড়িবহর থামিয়ে দেয়। উত্তেজিত লীগের সমর্থকেরা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে 'ঘাতক', 'বঙ্গবন্ধুর খুনি' ইত্যাদি বলতে থাকে।
মঞ্চ প্রস্তুত থাকলেও জিয়াউর রহমান বক্তব্য দিতে পারেন নাই। যে জায়গায় জনসভা হবার কথা ছিল,জিয়া সেখানে উপস্থিত হলে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে চারদিক। বিক্ষোভকারীরা মাইক ছিনিয়ে নেয় এবং মঞ্চ ভাঙচুর করে।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সফরসঙ্গী নিরাপত্তা দল দ্রুত তাকে ঘিরে বেস্টনি তৈরি করে। অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী হেলিকপ্টার যোগে এসে সভাস্থলে অপারেশন চালিয়ে জনাব প্রেসিডেন্টকে হেলিকপ্টার যোগে গোপালগঞ্জ থেকে খুলনায় নিয়ে যান।
এরশাদের ঘটনাও প্রায় একই। রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ গোপালগঞ্জ সফরে যান। এরশাদ সামরিক শাসক থেকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নিজের রূপান্তর নিশ্চিত করতে গোপালগঞ্জ সফরের উদ্যোগ নেন। তিনি চেয়েছিলেন সেখানে জাতীয় পার্টির জনভিত্তি তৈরি করতে, যার ফলে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়।
তার গাড়িবহর কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়ার মধ্যবর্তী এলাকায় গাছ ফেলে অবরোধ করে আটকে দেয়া হয়। ইট,পাথর, বাঁশ, মাটি ইত্যাদি দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়। সভাস্থলে এরশাদের আগেই উপস্থিত হয়ে যায় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। তারা সভাবেশ মঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয়। চেয়ার-টেবিল ভেঙে ফেলে।
এরশাদ গাড়ি থেকে নেমে মঞ্চে উঠতে চাইলে তীব্র হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হলে দ্রুত সেনাবাহিনী এসে সভা বাতিল করে হেলিকপ্টার যোগে এরশাদ সাহেবকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনে।
জিয়া এবং এরশাদ পারেন নাই, তার মানে তার উত্তরসূরীরা কেউ পারবে না? হাসনাত, সার্জিদের কি তাদের পূর্বসূরীদের এই ইতিহাস জানা নাই? অবশ্যই আছে। ইতিহাস জেনেই তারা ইতিহাস বদলাতে গোপালগঞ্জ গেছে। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়েই তারা গোপালগঞ্জ গেছে।
গোপালগঞ্জের হৃদপিন্ডে দাঁড়িয়ে,গোটা দেশবাসীকে সাক্ষী রেখে তারা বজ্র কণ্ঠে স্লোগান দিয়েছে,
"মুজিববাদ মুজিববাদ- মুর্দাবাদ মুর্দাবাদ।
মুজিববাদের আস্তানা-ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও"!
সংগ্রহীত