newsbangladesh.net

newsbangladesh.net news views arts literature & etc. Bangladesh views us.

Permanently closed.
ক্যালিফোর্নিয়ায় সবচেয়ে বড় ১০ দাবানলের ৮টিই গত পাঁচ বছরেনিউজবাংলাদেশ.নেট ডেস্ক রিপোর্ট ভয়াবহ দাবানলে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রে...
17/01/2025

ক্যালিফোর্নিয়ায় সবচেয়ে বড় ১০ দাবানলের ৮টিই গত পাঁচ বছরে

নিউজবাংলাদেশ.নেট ডেস্ক রিপোর্ট
ভয়াবহ দাবানলে জ্বলছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের এই অঙ্গরাজ্যে নিয়মিতই দাবানল দেখতে পাওয়া যায়। যদিও গত কয়েক দশকে দাবানলের মৌসুম দীর্ঘায়িত হয়েছে। এর কারণ হিসেবে দেশটির পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা বলেছে, গ্রীষ্মের শুষ্ক মৌসুম লম্বা হওয়া এবং বসন্তের অপেক্ষাকৃত উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে মৌসুমের আগেই দাবানল দেখা দিচ্ছে।

৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে দাবানলের কারণ মানুষ বলে জানিয়েছে ইউএস ফরেস্ট সার্ভিস। যদিও সেগুলোর বেশির ভাগই অনিচ্ছাকৃত। যেমন ক্যাম্পফায়ারের আগুন ঠিকমতো না নেভানো বা বৈদ্যুতিক তারের স্ফুলিঙ্গ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে দাবানলের সৃষ্টি হয়। গত কয়েক দশকে দ্রুত নগরায়ণ ও প্রকৃতির গভীরে মানুষের বসতি স্থাপনকে এ জন্য দায়ী করা হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ১০ দাবানলের ৮টিই গত ৫ বছরে হয়েছে। পুড়ে যাওয়া ভূমির আয়তনের দিক দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় সবচেয়ে বড় ১০ দাবানল সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

আগস্ট কমপ্লেক্স (২০২০)

২০২০ সালের ১৬ ও ১৭ আগস্ট বজ্রপাত থেকে সূত্রপাত হয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দাবানলের। ৩৮টি আলাদা আলাদা জায়গায় চার মাসের বেশি সময় ধরে এই দাবানল চলেছিল। পুড়ে গিয়েছিল ১০ লাখ ৩২ হাজার ৬০০ একর ভূমির গাছগাছালি ও স্থাপনা। এ দাবানল ছড়িয়েছিল একাধিক দেশে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ।

এই দাবানল ক্যালিফোর্নিয়ার মেনডোসিনো, শাসটেয়া-ট্রিনিটি এবং সিক্স রিভার্স জাতীয় উদ্যানজুড়ে ছড়িয়েছিল

ওই দাবানল ক্যালিফোর্নিয়ার মেনডোসিনো, শাসটেয়া-ট্রিনিটি এবং সিক্স রিভার্স জাতীয় উদ্যানজুড়ে ছড়িয়েছিল। সাতটি অগ্নিনির্বাপণ দল ওই দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগস্ট কমপ্লেক্সে লাখ লাখ একর ভূমির গাছগাছালি ও স্থাপনা পুড়ে গেলেও মানুষ হতাহতের সংখ্যা কম ছিল। সেবার অগ্নিনির্বাপণ বাহিনীর একজন কর্মী দাবানল নেভাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন। আর একজন আহত হয়েছিলেন। ৯৩৫টি অবকাঠামো পুড়ে যায়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩২ কোটি মার্কিন ডলার।

ডিক্সি (২০২১)

দাবানলের লেলিহান শিখায় পুড়ে যাচ্ছে বাড়িঘর। অগ্নিনির্বাপণ বাহিনীর এক সদস্য পাইপে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে দাবানলে সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ডিক্সি দাবানলে। প্লুমাস কাউন্টি, ২৪ জুলাই ২০২১

২০২১ সালে ডিক্সি দাবানলে ৯ লাখ ৬৩ হাজার ৩০৯ একর ভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ ছিল ৬৩ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি। ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে দাবানলে এত বেশি আর্থিক ক্ষতি আর হয়নি। বিদ্যুৎ সরবরাহের তারের ওপর গাছ পড়ে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল। ১০৫ দিন ধরে চলেছিল এই দাবানল। পুড়ে গিয়েছিল ১ হাজার ৩২৯টি অবকাঠামো। আগুন নেভাতে গিয়ে অগ্নিনির্বাপণ বাহিনীর এক সদস্য মারা যান এবং তিনজন আহত হন। তবে কোনো বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারাননি।

মেনডোসিনো কমপ্লেক্স (২০১৮)
ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরাঞ্চলে ২০১৮ সালে একই সময়ে শুরু হওয়া দুটি দাবানলকে একত্রে মেনডোসিনো কমপ্লেক্স বলে। ওই দুই দাবানলের নাম ছিল রিভার ফায়ার ও র‍্যাঞ্চ ফায়ার। ২৭ জুলাই প্রথম দাবানলের খবর প্রকাশ পায়। ১৮ সেপ্টেম্বর দাবানল দুটি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও ওই আগুন পুরোপুরি নিভতে পরের বছর জানুয়ারি পর্যন্ত সময় গড়িয়েছিল। দুই দাবানলে মোট ৪ লাখ ৫৯ হাজার ১২৩ একর জমির ক্ষতি হয়। দাবানলে একজন নিহত এবং তিনজন আহত হন।

এসসিইউ লাইটনিং কমপ্লেক্স (২০২০)

এসসিইউ (স্যান্টা ক্লারা ইউনিট) লাইটনিং কমপ্লেক্সের নাম থেকেই এই দাবানলের সূত্রপাত হওয়ার কারণ জানা যায়। ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট বজ্রপাত থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় এই দাবানলের সূত্রপাত হয়েছিল। ১ অক্টোবর দাবানল নিয়ন্ত্রণে আসে। দাবানলে স্যান্টা ক্লারা, আলামেডা, কন্ট্রা কোস্টা, সান জোয়াকুইন, মারসেড ও স্ট্যানিসলাউস কাউন্টির ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬২৪ একর ভূমির গাছগাছালি ও স্থাপনা পুড়ে গিয়েছিল। কেউ প্রাণ হারাননি, আহত হয়েছিলেন ৬ জন।

ক্রিক (২০২০)

দাবানলে পুড়ে গেছে ক্যালিফোর্নিয়ার শেভের লেক এলাকার শেভের র‍্যাঞ্চের প্রবেশপথ। ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে দাবানলের মৌসুমে ক্যালিফোর্নিয়ার মধ্যাঞ্চলের সিয়েরা ন্যাশনাল ফরেস্ট এবং মাডেরা কাউন্টিতে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছিল। ৪ সেপ্টেম্বর দাবানল শুরু হয়। কয়েক মাস ধরে জ্বলার পর ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর সেটি শতভাগ নিয়ন্ত্রণে আসার ঘোষণা দেওয়া হয়। মাঝে এই কয়েক মাসে পুড়ে যায় ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৮৯৫ একর ভূমি। পুড়ে গিয়েছিল ৮৫৬টি অবকাঠামো। কেউ মারা যাননি, তবে আহত হয়েছিলেন ২৬ জন। কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল, তা জানা যায়নি।

এলএনইউ লাইটনিং কমপ্লেক্স (২০২০)

ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। আগুন নেভাতে আকাশ থেকে ছড়ানো হচ্ছে রাসায়নিক। নাপা, ক্যালিফোর্নিয়া, ১৮ আগস্ট ২০২০

২০২০ সালের ১৬ আগস্ট ভোর থেকেই ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তরের বেশির ভাগ অঞ্চলজুড়ে অস্বাভাবিক বজ্রঝড় শুরু হয়েছিল। প্রায় ৭২ ঘণ্টা ধরে ওই ঝড় চলেছিল এবং ১০ হাজার ৮৪৯টি বজ্রপাতের খবর পাওয়া গিয়েছিল। ওই সব বজ্রপাতের কারণে ক্যালিফোর্নিয়াজুড়ে প্রায় ৩৭৬টি স্থানে ছোট–বড় দাবানলের সূত্রপাত হয়েছিল। এলএনইউ (সোনোমা-লেক-নাপা ইউনিট) লাইটনিং কমপ্লেক্স দাবানলে ৩ লাখ ৬৩ হাজার ২২০ একর ভূমি পুড়ে গিয়েছিল। প্রাণ হারিয়েছিলেন ছয় বেসামরিক নাগরিক। আহত হয়েছিলেন আরও পাঁচজন।

নর্থ কমপ্লেক্স (২০২০)

১৭ আগস্ট ২০২০ সালের বজ্রঝড়ের কারণে হওয়া বজ্রপাতে উত্তর ক্যালিফোর্নিয়ার প্লুমাস জাতীয় উদ্যানের ২১টি জায়গায় আগুন জ্বলতে শুরু করে, যা একসময় ভয়াবহ এক দাবানলে পরিণত হয়। ক্যালিফোর্নিয়া অগ্নিনির্বাপণ অধিদপ্তর ওই দাবানলের নাম দেয় নর্থ কমপ্লেক্স ফায়ার। ১০৯ দিন ধরে জ্বলার পর সে বছর ৩ ডিসেম্বর এটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুড়ে যায় ৩ লাখ ১৮ হাজার ৯৩৫ একর ভূমি। এই দাবানলে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ হতাহত হন। প্রাণ হারান ১৬ জন, আহত হয়েছিলেন শতাধিক মানুষ।

রাশ ফায়ার (২০১২)

২০১২ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার সবচেয়ে বড় দাবানল ছিল এটি। লাসেন কাউন্টি থেকে এই দাবানল শুরু হয়েছিল। পরে সেটি নেভাদা অঙ্গরাজ্যের ওয়াশু কাউন্টিতে ছড়িয়ে পড়ে। দুই অঙ্গরাজ্য মিলিয়ে রাশ দাবানলে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৭ একর ভূমি পুড়ে যায়। পুড়ে যাওয়া ভূমির আয়তন বিচারে ২০১২ সাল পর্যন্ত এটি ছিল ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ দাবানল। ১৯৩২ সাল থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলের হিসাব রাখা শুরু হয়। ১২ আগস্ট শুরু হওয়া এই দাবানল ৩০ আগস্ট পর্যন্ত জ্বলেছিল।

টমাস ফায়ার (২০১৭)

দাবানলে জ্বলছে বন। অগ্নিনির্বাপণ বাহিনীর সদস্যরা আগুনের পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছেন। ক্যালিফোর্নিয়া, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় জ্বলতে থাকা একাধিক দাবানলের একটি ছিল টমাস ফায়ার। টমাস ফায়ার ভেন্টুরা ও স্যান্টা বারবারা কাউন্টিজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল এই দাবানল। এতে পুড়ে গিয়েছিল প্রায় ২ লাখ ৮১ হাজার ৮৯৩ একর ভূমি। পরের বছর ১২ জানুয়ারি দাবানলটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।

সিডার ফায়ার (২০০৩)

ক্যালিফোর্নিয়ার সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক দাবানলগুলোর একটি ছিল সিডার ফায়ার। ২০০৩ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে ওই দাবানলে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ডিয়েগো কাউন্টির ২ লাখ ৭৩ হাজার ২৪৬ একর ভূমি পুড়ে গিয়েছিল। ঝোড়ো বাতাসের কারণে দাবানলটি খুব ছড়িয়েছিল। এটির গতি ছিল প্রতি ঘণ্টায় গড়ে ৩ হাজার ৬০০ একর। ওই বছর ৪ নভেম্বর দাবানলটি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু তার আগে ধ্বংস করে ২ হাজার ৮২০টি অবকাঠামো। প্রাণ হারান ১৫ জন। তাদের মধ্যে একজন অগ্নিনির্বাপণ বাহিনীর সদস্য ছিলেন।

তথ্যসূত্র: ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব ফরেস্টি অ্যান্ড ফায়ার প্রটেকশন

লক্ষ্মীপুরে ফিলিং স্টেশনে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩, আহত-২০স্টাফ রিপোর্টার, লক্ষ্মীপুর থেকেঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার  কব...
14/10/2024

লক্ষ্মীপুরে ফিলিং স্টেশনে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩, আহত-২০

স্টাফ রিপোর্টার, লক্ষ্মীপুর থেকেঃ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কবির বাড়ি সংলগ্ন গ্রিন লিফ ফিলিং স্টেশনে রবিবার (দিবাগত) রাত ১:৪৫মি. সময় রামগতি লক্ষ্মীপুর রুটের মাইশা পরিবহন নামের একটি বাসে গ্যাস দেয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ৩ জন নিহত হয়েছে,আহতর সংখ্যা ২০ এরও অধিক।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১০ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

কেন খুন হলেন এমপি আনার? ঘটনার এপিঠ ওপিঠ অ আ আবীর আকাশ সম্প্রতি দেশে-বিদেশে আলোচিত ঘটনা ঝিনাইদহ চার আসনের সংসদ সদস্য আনোয...
02/06/2024

কেন খুন হলেন এমপি আনার? ঘটনার এপিঠ ওপিঠ

অ আ আবীর আকাশ

সম্প্রতি দেশে-বিদেশে আলোচিত ঘটনা ঝিনাইদহ চার আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার কলকাতা চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিশংসভাবে খুন হওয়ার খবর। গণমাধ্যমে আসা এমপি আনারের লোমহর্ষক খুনের যে বর্ণনা পাওয়া যায়, তা রীতিমত গা শিউরে ওঠে। খুনের প্রথম দিকে এমপি আনারের কলকাতায় যাওয়ার বিষয়টিকে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গেছেন বলে প্রচার হলেও আদতে তা ক্রমান্বয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এমপি আনার স্বর্ণ চোরাকারবারি আন্তর্জাতিক প্রধানদের অন্যতম। এমপি আনার মূলত কলকাতা যাওয়ার প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল ৫'শ কোটি টাকার স্বর্ণ অবৈধভাবে কেনাবেচার আলোচনা করতে। সেখানে স্বর্ণের অবৈধ ব্যবসার আলোচনার করার পূর্ব থেকে দিন তারিখ করা ছিল। এতে সিন্ডিকেটের প্রধান আক্তারুজ্জামান শাহিন, সৈয়দ আমানুল্লাহ উল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, তানভীর ভূঁইয়া ও শিলাস্তি রহমান ওরফে সেলে নিস্কি পূর্ব থেকেই প্রস্তুত ছিলেন। এদের মধ্যে খুনের মাস্টারমাইন্ড পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহিন ক'টি দেশ হয়ে মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমায়। এই আখতারুজ্জামান শাহিনের ভাই মোঃ শহিদুজ্জামান ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র শাহীন ও শহিদুজ্জামানের সাথে গত কয়েক বছর ধরে আনারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কঠিন আকার ধারণ করে। পরে এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে তারা যৌথভাবে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করে।

আনোয়ারুল আজিম আনারের ক্ষমতার প্রসার

আনোয়ারুল আজিম আপাদমস্তক একজন নিকারী পরিবারের সদস্য এবং তিনি নিজেও শৈশব কৈশোরের সময় তার পরিবারের সাথে মাছ বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মুসলিম মৎস্যজীবীদের নিকারি বলা হয়। তবে আনার বেড়ে উঠার প্রথম ধাপেই খেলাধুলার মাধ্যমে কালীগঞ্জে পরিচিতি পায়, পরবর্তীতে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে যাওয়ার দরুণ আনার নিজেই তার নির্বাচনী হলফনামায় ২১টি মামলার তথ্য দিয়েছিলেন, যার মধ্যে হত্যা ও চোরাচালানের মামলাও ছিল।

জাতীয় পার্টির মাধ্যমে রাজনীতি শুরু করলেও বিএনপির নেতা সেজে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে এই আনোয়ারুল আজিম সংসদ সদস্য হতে সক্ষম হয়। তারপরে পরপর তিনটি নির্বাচনের সরকারি দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। এ সময় রাজনীতি সংগঠনসহ ওই অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। দলের বাহিরে ভেতরে যারা ছিলেন তারা এমপি আনারের রোশনালে পড়ে হামলা মামলা শিকার হয়েছেন বলেও গণমাধ্যমে খবর আসে।

মুসলিম মৎস্যজীবী নিকারী আনার ১০ ভাইবোনের মধ্যে চতুর্থ। প্রথমে আনার পৌরসভা নির্বাচনে কমিশনার (বর্তমানে কাউন্সিলর) পদে দাঁড়িয়ে নির্বাচিত হন। তারপর থেকেই তার অবস্থান শক্ত হতে শুরু করে বলে ঝিনাইদহের মানুষেরা মনে করেন। বেশ কিছু হত্যা, স্বর্ণ, কাপড় চোরাচালানির ঘটনাসহ তার বিরুদ্ধে একেরপর এক মামলা হতে থাকে। ২০০২ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে আত্মগোপনে চলে যায় এবং ওই অবস্থাতেই সে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। যা পরে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে তার পরোয়া তুলে নেয়া হয়। ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হযন আনার।

কলকাতায় নিশংস খুন হয় আনার

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীভা গার্ডেন্সের একটি ফ্ল্যাটে যাওয়ার পর তিনি আর জীবিত ফিরতে পারেননি। বের হয়েছেন খণ্ড খণ্ড লাশ হয়ে ট্রলি আর পলিথিন ব্যাগে। পুরো কিলিং মিশনে সবার সামনে ছিলেন শিমূল ভূঁইয়া ওরফে সৈয়দ আমানুল্লাহ। হত্যার পর তার হাত-পাসহ শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ টুকরো টুকরো করে আলাদা করে হত্যাকারীরা। ৫৮ সেকেন্ডের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা যায়, ভারতীয় সময় ১৪ মে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটের দিকে দুজন ব্যক্তি একটি পেস্ট কালারের ট্রলি ব্যাগ ও তিন থেকে চারটি পলিথিন ব্যাগে আনারের মরদেহ গুম করার জন্য লিফটে উঠছেন। ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, সঞ্জীবা গার্ডেনসের ফ্ল্যাট থেকে যে দুজন বের হয়েছেন তারা হলেন- শিমুল ভূঁইয়া ওরফে সৈয়দ আমানুল্লাহ ও সিয়াম ওরফে কসাই জিহাদ। সিসি ক্যামেরায় যা দেখা গেছে তা স্বীকারও করেছেন ডিবির হাতে গ্রেপ্তার আমানুল্লাহ। অন্যদিকে ভারতীয় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন কসাই জিহাদ। তদন্ত সংশ্লিষ্ট ডিবির একজন কর্মকর্তারা জানান, এমপি আনারকে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা শুনে তারা নিজেরাই আঁতকে উঠেন। তার পুলিশি ক্যারিয়ারে অনেক খুনের ঘটনার বর্ণনা শুনেছেন, কিন্তু এত নৃশংস বর্ণনা কখনোই শোনেননি। জিজ্ঞাসাবাদে শিমুল ভূঁইয়া ওরফে আমানুল্লাহ জানিয়েছেন, কীভাবে এমপি আনারকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যার পর হাত-পাসহ শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আলাদা করা হয়। যেন কোনোভাবেই আনারের চেহারা দেখে কেউ পরিচয় শনাক্ত করতে না পারে, সেজন্যই খুনিরা এ পরিকল্পনা করে। এরপর ট্রলি ও ব্যাগে করে খণ্ড খণ্ড লাশ বের করে নেয়া হয়। আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া নামে সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া আসামি ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, আনোয়ারুল আজীম আনারকে সঞ্জীবা গার্ডেনের ফ্ল্যাটে হত্যা করা হয়। হত্যার পর শরীরের অঙ্গ- প্রত্যঙ্গ কেটে আলাদা করা হয়। এরপর একটি ট্রলি ও তিন-চারটি পলিথিন ব্যাগে করে ১৪ মে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটের দিকে সে সব টুকরো বের করা হয়। এরপর এগুলো ফেলে দেয়া হয় কলকাতার হাতিশালা বর্জ্য খালে। আমানের স্বীকারোক্তির পর ভারতীয় পুলিশ ২৩ মে রাতে হাতিশালা বর্জ্য খালে তল্লাশি চালায়। তবে অন্ধকার হওয়ায় সেদিন মরদেহ খুঁজে পায়নি পুলিশ। পরেরদিন ২৪ মে আবারও খণ্ড লাশের সন্ধান শুরু করে ভারতীয় পুলিশ। ডিবির দাবি, যেহেতু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি বেশ কয়েকজন আসামি গ্রেপ্তার রয়েছেন এবং তথ্য দিয়েছেন সেহেতু লাশের সন্ধান মিলবে। এমপি আনারকে হত্যার জন্য ভাড়া করা হয় খুলনা অঞ্চলের কুখ্যাত সন্ত্রাসী শিমুল ভূঁইয়াকে (আমান)। তিনি চরমপন্থি সংগঠন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম শীর্ষ নেতা। এ ঘটনায় ঢাকায় ধরা পড়ার পর পুলিশের কাছে শিমুল ভূঁইয়া নিজেকে সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান নামে পরিচয় দেন এবং তিনি এমপি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন। তবে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মুখে এক পর্যায়ে আমান স্বীকার করেন আমানুল্লাহ তিনিই ওরফে শিমুল ভূঁইয়া। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি আমানুল্লাহ নামেই পাসপোর্ট বানিয়েছেন,সেই পাসপোর্টে তিনি কলকাতায় গিয়েছিলেন।

* কসাই জিহাদের রোমহর্ষক বর্ণনা
* লাশের সন্ধানে সিআইডির তল্লাশি
* লাশ ফেলা হয় হাতিশালা বর্জ্য খালে
* এখনো লাশ পায়নি ভারতীয় পুলিশ
* শুরুতে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেন আমান
* সোনার অবৈধ ব্যবসার আলোচনা করতেই কলকাতায় যান

২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে পাসপোর্টটি করা হয়েছিল। পাসপোর্ট করতে একই নামে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্রও (এনআইডি) তৈরি করেন। কীভাবে তিনি শিমূল ভূঁইয়া থেকে আমানুল্লাহ হলেন এবং ভুয়া পাসপোর্ট ও এনআইডি তৈরি করলেন, এখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন গোয়েন্দারা। ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার গ্রেফতারের পর জিহাদ জিজ্ঞাসাবাদের মুখে এমপি আনার এরপরলোপাট করতেই হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দেন। কলকাতা সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, সিআইডির জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ বলেছেন, প্রথমে আনারকে শ্বাসরোধে খুন করা হয়। তারপর দেহ টুকরো টুকরো করা হয়। হাড় এবং মাংস আলাদা করা হয়। চামড়া ছাড়িয়ে তাতে হলুদ মাখান অভিযুক্তরা, যাতে বাইরে কেউ জিজ্ঞেস করলে বলা যায়, রান্না করার জন্য মাংস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের পর জিহাদকে একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আনারকে খুনের পর সেখানেই দেহাংশ ফেলা হয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে। কিন্তু রাতের অন্ধকারে সেখান থেকে কোনো দেহাংশ মেলেনি। ২৪ বছর বয়সী জিহাদ হাওলাদার বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা। অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন তিনি। আনারকে খুনের প্রায় দুই মাস আগে জিহাদকে মুম্বাই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসেন হত্যাকারীরা। গোয়েন্দা সংশ্লিষ্টরা জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ফয়সাল ও মোস্তাফিজুরের দুটি পাসপোর্টই চলতি বছরের ৮ এপ্রিল ঢাকার বিভাগীয় পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে ইস্যু করা হয়। পাসপোর্টে ফয়সালের স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে খুলনার ফুলতলা থানার অলকা গ্রাম এবং মোস্তাফিজুরের স্থায়ী ঠিকানা খুলনার ফুলতলার যুগনীপাশা গ্রাম উল্লেখ করা হয়েছে। আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া মোস্তাফিজুর ও ফয়সালকে পাসপোর্ট বানিয়ে দেন। তবে দুজনেরই বর্তমান ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ঢাকার ক-৩২/১২ নদ্দা। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, এমপি আনারকে কলকাতায় হত্যার পরিকল্পনা সাজিয়েই মোস্তাফিজ ও ফয়সালের পাসপোর্ট করানো হয়। ভারতীয় ভিসা সংগ্রহ করে ১১ মে কলকাতায় প্রবেশ করেন তারা। হত্যাকাণ্ড শেষে ১৭ মে মোস্তাফিজ ও ১৮ মে ফয়সাল দেশে ফিরে আসেন। এমপি আনোয়ারুল আজীমকে হত্যার মূল পরিকল্পনায় তারই বাল্যবন্ধু এবং আমেরিকা প্রবাসী

আক্তারুজ্জামান শাহীন। শাহীনের সঙ্গে আজীমের অবৈধ সোনা ব্যবসা রয়েছে। দুবাই কেন্দ্রিক স্বর্ণের ব্যবসায় শাহীনের বিনিয়োগ রয়েছে। দুবাই থেকে আসা সোনা আজীম ভারতে বিভিন্নভাবে সরবরাহ করতেন।

আনারের কলকাতার ব্যবসায়ী বন্ধু গোপাল বিশ্বাস সেই সোনার ক্রেতা ছিলেন। গোপাল বিশ্বাস স্বর্ণ চোরাকারবারির সাথে জড়িত বলে সূত্রটি জানিয়েছে, কলকাতায় চিকিৎসার নাম করে আনার সেখানে গেলেও, আসলে তিনি সেখানে কোনো চিকিৎসা করাননি। এই কথা বলে তিনি কলকাতা যান। শাহীনের সঙ্গে তার সোনার ব্যবসা নিয়েই দ্বন্দ্ব হয়। এই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করেই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এদিকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন ঘটনার পর একাধিক দেশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেছেন। মরদেহের মতো তিনিও রয়েছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

কে শিলাস্তি রহমান

এমপি আনোয়ারুল আজিম আনোয়ারের খুনের মাস্টারমাইন শাহিনের বান্ধবী হিসেবে নাম আসে শিলাস্তি রহমানের। তার আরেক নাম সেলে নিস্কি।
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তার গ্রামের বাড়ি হলেও পুরান ঢাকায় তার বসবাস। পরিবারের সাথে থাকা শিলাস্তি রহমান ছোটবেলা থেকেই মডেল হতে চেয়েছিলেন। বৃত্তশালীদের ডেরায় গিয়ে নিজেও থাকতেন উত্তরার অভিজাত ফ্ল্যাটে। মার্কিন পাসপোর্টধারী শাহিনের খপ্পরে পড়ে শিলাস্তি রহমান অন্ধকার জগতে পা রাখেন। গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে এই শিলাস্তি দিয়েই এমপি আনারকে কলকাতা নেয়ার ট্যাপ পাততে পারেন খুনের মাস্টারমাইন্ড শাহীন। হয়তো এই হানি ট্র্যাফে পা দিয়ে নিজের জীবন হারিয়েছেন এমপি আনার।

শাহীন দেশে এলে শিলাস্তি তার সাথে থাকতেন একই ফ্ল্যাটে, ঘুরে বেড়াতেন তার সাথে। ১৩ মে কলকাতায় আনার খুন হওয়ার পর ১৫ মে ঢাকায় চলে আসে প্রধান কিলার আমানউল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া। তার সাথে একই ফ্লাইটে আসে শিলাস্তি রহমান। বিমান বন্দর থেকে সোজা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় শাহীনের অভিজাত ফ্ল্যাটে। সেখানে তারা রাতভর ফুর্তি করেন। এর আগে শিলাস্তি এর আগে ৩০ এপ্রিল শাহীনের সাথে গিয়েছিলেন কলকাতায়।

অ আ আবীর আকাশ : সাহিত্যিক ও সাংবাদিক
[email protected]

সংযোগ-
০১৮২-৩০৩০২৪৫
০১৯১৬-২০৫৩৯৯

লক্ষ্মীপুরে সিনজি চালককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসালেন আইনজীবী, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে জমিজমা ব...
12/12/2023

লক্ষ্মীপুরে সিনজি চালককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসালেন আইনজীবী, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরে জমিজমা বিষয় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পাঁচ পিস ইয়াবা দিয়ে সিএনজি চালক কামরুল হোসেনকে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে অ্যাডভোকেট আকবর হোসেন রুবেলের বিরুদ্ধে। এডভোকেট আকবর হোসেন রুবেলের মামলা হামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে ভুক্তভোগী কামরুল হোসেনসহ এলাকাবাসী সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে।
এডভোকেট আকবর হোসেন রুবেল ও কামরুল হোসেনসহ ভুক্তভোগীরা একই বাড়ীর পরস্পর আত্মীয় স্বজন হয়। এতে জমিজমা বিষয়ক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত মাসের ৯ তারিখ বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের উত্তর তেহমুহনী সিএনজি স্টেশনে রাখা কামরুলের সিএনজিতে (লক্ষীপুর থ-৬৭৪৮) পুলিশের সোর্স পিচ্চি রাসেলের মাধ্যমে ৫ পিস ইয়াবা রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে ইয়াবাসহ কামরুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এডভোকেট আকবর হোসেন রুবেল ও পিচ্চি রাসেলের মধ্যে সমন্বয় করে ইয়াবা ব্যবসায়ী ইউসুফ ওরফে ইকবাল নামের একজন। এতে ইউসুফ ওরফে ইকবাল অ্যাডভোকেট রুবেলের কাছ থেকে বিকাশে টাকা নেওয়ার বিষয়টিও স্বীকার করে। এ সংক্রান্ত কয়েকটি ভিডিও ফুটেজ এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আকবর হোসেন রুবেলের মিথ্যা মামলায় হাজত বাসকারী মুক্তিযোদ্ধা আমিন উল্লাহ হাবিলদারের ছেলে নুরুল হুদা, মৃত ছায়েদুল হকের ছেলে আবু সিদ্দীক, দোকানদার আব্দুল হালিম সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

দোকানদার হালিমকেও ইয়াবা দিয়ে একইভাবে ফাঁসানো চেষ্টায় ব্যর্থ হন শিক্ষানবীশ ওই এডভোকেট।
নুরুল হুদা ও বৃদ্ধ আবু সিদ্দীককে তুচ্ছ ঘটনায় মামলা দিয়ে জেলে দিয়েছেন।

নুরুল হুদা কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন- ‘আকবর ওকালতি করার পূর্ব সময় থেকেই নিজ এলাকায় জনসাধারণকে তুচ্ছ ঘটনায় ইয়াবা দিয়ে হয়রানি করেছেন, যাকে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন-‘লক্ষীপুর আদালতে কোনো অ্যাডভোকেটের বিরুদ্ধে এডভোকেট মামলা নেয় না। এডভোকেট মামলা দিয়ে কাউকে জেলে দিলেও ওই ভুক্তভোগির পক্ষে কোন উকিল ওকালতি করে না। আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’

ভুক্তভোগী সিএনজি চালক কামরুল হোসেন বলেন-‘ আকবর আমার বাড়ির সম্পর্কিত চাচাতো ভাই। তাদের সাথে গত দুই বছর ধরে জমিজমা বিষয়ক আদালতে মামলা চলেছিল, সে মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যায়। তথাপিও সে আমাকে অহেতুক হয়রানি করার উদ্দেশ্যে লোক দিয়ে আমার সিএনজিতে ইয়াবা দিয়ে আমাকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। এতে আমার সম্মানহানি হয়েছে ও সিএনজি বিক্রি করে দিতে হয়। আর্থিকভাবে আমি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। আমি এর বিচার চাই।

এ বিষয়ে এডভোকেট মোঃ আকবর হোসেন রুবেলের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘আমার হার্নিয়া অপারেশন হয়েছে। আমি আগামীকাল কোর্টে আসব, কোর্টে এলে সেখানে আপনার সাথে কথা হবে। আমি এ বিষয়ে এখন কোন বক্তব্য দিতে চাচ্ছি না।’

লক্ষ্মীপুরে নেশার টাকা না পেয়ে ঘরে আগুনপুড়ে গেলো দুই শিশু, স্ত্রী দগ্ধ লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা...
28/11/2023

লক্ষ্মীপুরে নেশার টাকা না পেয়ে ঘরে আগুন
পুড়ে গেলো দুই শিশু, স্ত্রী দগ্ধ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার বশিকপুর এলাকায় নেশার টাকা না পেয়ে কামাল হোসেন (৪০) নামে এক পাষন্ড বাবার আগুনে পুড়ে মারা গেছে সাত বছর বয়সী আয়েশা আক্তার। স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার ও তিন বছর বয়সী ছেলে আবদুর রহমান মারাত্মক দগ্ধ হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত মা ও ছেলেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় বার্ণ ইউনিট হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ছেলেও মারা যায়। স্থানীয়দের দাবি, নেশার টাকা জোগাড় করতে না পেরে কামাল হোসেন এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘাতক কামাল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোররাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের পুরান চতইল্লার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

কামাল হোসেন পুরান চতইল্লার বাড়ির আমিন উল্ল্যাহর ছেলে। পেশায় তিনি একজন অটোরিক্সা চালক।

স্থানীয় বাসিন্দা মাহফুজ আলম, সিএনজি চালক মানিক হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, কামাল মাদকসহ কয়েকবার পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। মাদক সেবন ও ব্যবসা নিয়ে পারিবারিকভাবে স্ত্রীর সাথে বাকবিতন্ডা প্রায়ই চলতো। ঘটনার সময় তারা শোরচিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে আগুন নেভাতে আসেন। পরে তাদের কাছে কামাল দাবি করেন, পেট্রোল দিয়ে তিনি নিজেই আগুন দিয়েছেন।

পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আহত কামালের স্ত্রী সুমাইয়ার স্বজনরা জানান, সুমাইয়া বশিকপুর ডিএসইউ কামিল মাদ্রাসার দপ্তরী পদে এ বছর চাকুরি পান।

চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুর রহমান বলেন -‘পারিবারিক অশান্তির কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। ঘাতক কামাল পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

লক্ষ্মীপুরে নৌকার মনোনয়ন পেলেন যারা লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক...
27/11/2023

লক্ষ্মীপুরে নৌকার মনোনয়ন পেলেন যারা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। রোববার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনে আনোয়ার হোসেন খান, লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনে নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে গোলাম ফারুক পিংকু ও লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনে ফরিদুন্নাহার লাইলীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

আনোয়ার হোসেন খান লক্ষ্মীপুর-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আসনটির সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল কুয়েতের আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি রয়েছেন। এতে ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল আসটিতে উপনির্বাচনে নয়ন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

গোলাম ফারুক পিংকু লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আসনটির সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। এতে গত ৫ নভেম্বর উপনির্বাচনে নৌকা মার্কা নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন পিংকু।

ফরিদুন্নাহার লাইলী লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক।

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রী অপহরণ! প্রেমিক লিমন স্বপরিবারে এলাকাছাড়া  লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিলক্ষ্মীপুরে ১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি নবম শ্...
27/11/2023

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রী অপহরণ!
প্রেমিক লিমন স্বপরিবারে এলাকাছাড়া

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে ১৩ দিনেও খোঁজ মেলেনি নবম শ্রেণীর ছাত্রী বিবি সুমাইয়ার (১৭)। এই ঘটনায় স্থানীয় লিমন (১৯) সহ তিন জনকে আসামি করে বিবি সুমাইয়ার মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। এ মামলায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

বিবি সুমাইয়া লক্ষীপুর সদর উপজেলা চন্দ্রগঞ্জ থানার ৯নং উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের পালপাড়া সুয়া কাজী ব্যাপারী বাড়ির প্রবাসী মো. শরিফ উল্যার মেয়ে । এ ঘটনায় অভিযুক্ত লিমন একই ইউনিয়নের চন্দ্রপ্রভাবাগ গ্রামের মোল্লা বাড়ির ইকবাল হোসেন লিটনের ছেলে।

মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, পালপাড়া বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী বিবি সুমাইয়ার সাথে লিমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের সুবাধে ১৪ই নভেম্বর সকাল ৭ টায় লিমন সুমাইয়াকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গেলে লিমনের বাবা ইকবাল হোসেন লিটনের সহযোগিতায় মা হাজেরা বেগম মুন্নী বিবি সুমাইয়াকে মারধর করে। এই ঘটনায় বিবি সুমাইয়ার মা রোকেয়া বেগম খবর পেয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।

এছাড়া একইদিন বিকেল ৪টায় লিমন তার মা বাবার ইন্দনে বিবি সুমাইয়াকে তাদের বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করে ভুক্তভোগী সুমাইয়ার মা। পরে সুমাইয়ার মা রোকেয়া বেগম চন্দ্রগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে একটি মামলা দায়ের করে। এরপর ১৩ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও সুমাইয়ার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

সুমাইয়াকে অপহরণের অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত লিমনের বাড়িতে গেলে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে লিমনের বাবা মুঠো ফোনে জানায়, আমার ছেলে নির্দোষ। বিবি সুমাইয়াকে অপহরণের সাথে আমার পরিবার কোন ভাবেই জড়িত নেই। অথচ সুমাইয়ার মা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন জানায়, মামলায় অভিযুক্তদের ধরার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি সুমাইয়া কেউ খোঁজা হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুরে বড় ভাইয়ের ঘর ভাঙ্গলেন ছোট ভাইলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ জমিজমা বিরোধের জের ধরে লক্ষ্মীপুরে আপন বড় ভাই রুবেলের ...
27/11/2023

লক্ষ্মীপুরে বড় ভাইয়ের ঘর ভাঙ্গলেন ছোট ভাই

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
জমিজমা বিরোধের জের ধরে লক্ষ্মীপুরে আপন বড় ভাই রুবেলের ঘরদোর ভাঙচুর করে ছোট ভাই মিঠু। এ সময় বড় ভাই রুবেলের স্ত্রী বাধা দিতে এলে তাকেও বেদম প্রহার করে। বড় ভাই রুবেল খবর পেয়ে ছুটে এলে তাকেও দা নিয়ে ধাওয়া করে মিঠু।

সদরের হামছাদী ইউনিয়নের নন্দনপুর গ্রামের গাড়িয়াল বাড়ির খোরশেদ আলম চট্টগ্রাম বন্দরে লেবারের চাকরি করতেন। চাকরিরত অবস্থায় তার মৃত্যু হলে তার স্থলাভিষিক্ত হন মিঠু। বাবার যৎসামান্য বসতভিটায় বড় ছেলে রুবেল তার স্ত্রীর সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিল। রুবেল হঠাৎ চাকরি থেকে এসে রুবেলকে উৎখাত করার উদ্দেশ্যে বসত কর ভাঙচুর করে মিঠু। রুবেলের স্ত্রী বাধা দিতে এলে তাকে চুলের মুঠো ধরে মাটিতে ফেলে মারধর করে মিঠু। এ সময় রুবেলকেও দা হাতে ধাওয়া করে।

স্থানীয় শালীশদার কবির হোসেন জানিয়েছেন- ‘মিঠু এলাকায় চিঁচকে চোর হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে সে নেশা করে। সে আমার ছাদের উপর থেকে সুপারিশ চুরি করেছে, রোমানের খামার থেকে মোবাইল ও ফিড চুরি করে ধরা পড়েছে। হেন কাজ নেই যা মিঠু করে না।’

রুবেল জানিয়েছেন-‘আমার বাবার মৃত্যুর পর আমি কাম করে ভাই-বোনকে বড় করেছি। নিজে পড়ালেখা না করে ছোট ভাইকে পড়িয়েছি। বাবার চাকরিটা ভাইকে দিয়েছি। বাবার মৃত্যুর সাড়ে তিন লাখ টাকাও মিঠু নিয়ে গেছে। এখন সে আমার ঘরদোর ভেঙেচুরে মালামাল সব তছনছ করে লুটপাট করে নিয়েছে। সে কোন আইন কানুন মানে না।’

এ বিষয়ে মিঠুকে পাওয়া না গেলেও তার স্ত্রী ও শাশুড়ি জানিয়েছেন-‘তাদের ভাই ভাইয়ের ঝগড়া বিবাদ দীর্ঘদিনের। পাঁচজনে মিঠুকে বলছে ঘরদোর ভেঙে দিতে। সেজন্য মিঠু ঘরদোর ভেঙে দিয়েছে’ বলে তারা জানান।

লক্ষ্মীপুরে চার আসনে নৌকার প্রার্থী ৩৫   লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিআসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনে আ...
27/11/2023

লক্ষ্মীপুরে চার আসনে নৌকার প্রার্থী ৩৫

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৫ জন। তারা ইতোমধ্যে দলীয় মনোয়নপত্র সংগ্রহের পর তা জমা দিয়েছেন। এ তালিকায় বর্তমান সংসদ সদস্য আছেন ৩ জন। এছাড়া, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য আছেন একজন ও সাবেক সংরক্ষিত নারী সদস্যও আছেন একজন। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতারাও রয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে ১০ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য ও রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম, রামগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী, রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিক মাহমুদ পিন্টু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক এমএ মমিন পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শহীদ উল্যাহ, রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামছুল হক মিজান, সাবেক কর কমিশনার সুলতান মাহমুদ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ব্যারিস্টার তৌহিদুল ইসলাম বাহার।

লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসন থেকে আটজন আওয়ামী লীগের মনোয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, ‘আমরা ক’জন মুজিব সেনা’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা এএফ জসিম উদ্দিন আহমেদ, এসেনসিয়াল ড্রাগস-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল কবীর জগলুল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শামছুল ইসলাম পাটওয়ারী, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ধর্মবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নেওয়াজ শরীফ, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম (মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক সাংসদ শহিদুল ইসলাম পাপুলের স্ত্রী), উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মিরাজ মুক্তাধির, ঢাকার আদাবর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সহিদ হোসেন পাটওয়ারী (মক্কা সহিদ)।

লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসন থেকে ১০ জন আওয়ামী লীগের মনোয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- ঢাকার মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এমএ সাত্তার, বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য এম এ হাসেম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য খোকন চন্দ্র পাল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি নুরুল হুদা পাটওয়ারী, প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামালের স্ত্রী ফেরদৌসী কামাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিল্প বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য শওকত হায়াত, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল ও চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আইনুল আহমেদ তানভীর।

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসন থেকে সাতজন আওয়ামী লীগের মনোয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন, রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ, ঢাকা উত্তর যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাসবীরুল হক অনু, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ইস্কান্দার মির্জা শামীম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আব্দুজ্জাহের সাজু ও আওয়ামী লীগ নেতা শরীফ উদ্দিন। এর মধ্যে ফরিদুন্নাহার লাইলী এই আসনটির সাবেক সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য।

লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। মনোনয়ন চাওয়ার অধিকার সবার আছে। দলীয় সভাপতি ও মনোনয়ন বোর্ড যাকে মনোনয়ন দেবেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, আওয়ামীলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী দল। এখানে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা রয়েছে। যারা দলীয় কর্মীদের পাশে ছিলেন এবং আছেন, তারাই মনোনয়ন পাবেন বলে বিশ্বাস করি।

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ষোলো আনার মধ্যে পঁনেরো আনাই নতুন মুখ। কেউ উদীয়মান নেতা, কেউ বা পরিচিত পাওয়ার আশায়, কেউ লাভের আশায়, আবার কেউ কারো নেতৃত্ব অপছন্দের কারনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। এদের অনেকের সাথে জেলার সাথে তেমন যোগাযোগ নেই। রাজধানীতে বসে রাজনীতি করেন কেউ, আবার কেউ প্রবাসে থেকেও মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। নির্বাচনের মৌসুম এলে গাছে গাছে পোস্টার টাঙিয়ে নিজেদের পরিচয় প্রচার করেন।

লক্ষ্মীপুরে মাদক মামলায় কিশোরকে জড়ানোর অভিযোগ!  লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি১৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েও এক কিশোরকে মাদক মামলায় জড়ানো...
27/11/2023

লক্ষ্মীপুরে মাদক মামলায় কিশোরকে জড়ানোর অভিযোগ!

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
১৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েও এক কিশোরকে মাদক মামলায় জড়ানোর অভিযোগ উঠেছে লক্ষ্মীপুরের দাসের হাট ফাঁড়ি থানার এস আই মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের কুশাখালী পঞ্চায়েত বাড়ির ঐ কিশোর ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে পাশ্ববর্তী ছিলাদি গ্রামে ঘুরতে যায়। এসময় তার প্রতিবেশী বাবলুর সাথে দেখা হলে তারা দোকানে চা খায়।

বাবলু ও তার সঙ্গী মিরাজের সাথে মাদক কারাবারে জড়িত করিম ও সোহাগের বাক বিতন্ডা দেখা দিলে তারা বাবলু, ও মিরাজকে আটক করে মারধর করে।

পরবর্তীতে ঐ কিশোরকেও তাদের সাথে বেঁধে বেধড়ক পিটায়। এসময় তাদের কাছে ৬ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাদের মাদকসহ পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার ভয় দেখায়।
এসময় তারা দাশের হাট ফাঁড়ি থানার পুলিশের এস আই মুজিবুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি ঘটনাস্থল পশ্চিম ছিলাদি গিয়ে তাদের আটক করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় চা দোকানি জহির ও তার ছেলে রিপন হোসেন জানান, এসময় মিরাজের কাছে এক পুরিয়া গাঁজা ছিলো বলে তারা দেখতে পায়।

পরবর্তীতে তাদের দাশের হাট ফাঁড়ি থানায় এনে ঐ কিশোরের পরিবারের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন এস আই মজিবুর রহমান। ছাত্রের বাবা জিহাদ মেহেদী হাসান গাড়ির চালক হওয়ায় তিনি এত টাকা দিতে অপারগতা জানান। এসময় তার চাচার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়েও তাকে ১৫০ গ্রাম গাঁজাসহ কোর্টে চালান করে জেল হাজতে পাঠান এস আই মজিবর।

পরবর্তীতে তাকে জামিনে ছাড়িয় নেন তার বাবা।
ঘটনার পর থেকে লোক লজ্জায় ঐ কিশোর ছাত্র বাড়ি থেকে বের হতে পারছেনা।
তাদেরকে আটক করা সোহাগ, ও স্থানীয় চা দোকানি জহির জানায় এসময় মিরাজ,( পিতা আঃ রহিম সাং শহর কসবা) তার কাছে ছোট এক পুরিয়া গাঁজার মত তারা দেখতে পায়।

অন্যদিকে পুলিশ তাদের ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ মাদক কারবারি সাজিয়ে একইদিন আদালতে মামলা দায়ের করে যাহার নং ১৫/১৪-১১-২০২২ইং।

এ ঘটনায় ঐ ছাত্রের পিতা জিহাদ মেহেদী হাসান বলেন, আমার নাবালক ছেলেকে মাদক কারবারি সাজিয়ে পুলিশ মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। এতে সে মানসিক ও সামাজিক ভাবে হেনস্তার শিকার।

এ ঘটনায় বিচার চেয়ে আমি লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস আই মজিবুর রহমান বলেন, গাঁজাসহ তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছিল।

তাদের কাছে গাঁজা পাওয়া গেছে যার ভিডিও ফুটেজ আছে।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ( পিপিএম) সাথে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল ফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when newsbangladesh.net posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to newsbangladesh.net:

Share