11/09/2025
---
শ্মশানের অন্ধকার
মধ্যরাতে এক তরুণ, নাম রাহুল, শর্টকাট ধরতে গিয়ে গ্রামসংলগ্ন পুরনো শ্মশানের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিল। চারদিকে কেবল ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, বাতাসে পোড়া গন্ধ। হঠাৎ যেনো কারো ফিসফিসানি শোনা গেল—
“থামো…”
রাহুল থমকে দাঁড়াল। চারপাশে কেউ নেই, শুধু শুকনো গাছের ছায়া। হঠাৎ ঠান্ডা বাতাস বয়ে গেল, আর মাটির নিচ থেকে যেনো শিকল টেনে আনার শব্দ শোনা গেল—ঝংকার… ঝংকার…
দূরে দেখা গেল এক অদ্ভুত ছায়া। ধীরে ধীরে কাছে এলো—সাদা ছেঁড়া কাপড়ে মোড়া এক লাশের মতো দেহ, চোখে অগ্নির মত লাল আলো। মুখটা আধখাওয়া, দাঁতের ফাঁকে শুকনো রক্ত।
সে কাঁপা গলায় বলল—
“আমার কবর ভেঙেছে… কে কবর ভেঙেছে?”
রাহুল দৌড়াতে চাইল, কিন্তু শরীর নড়ছিল না। তার চারপাশে ছায়াগুলো ঘিরে ধরল, যেনো হাজারো অদৃশ্য হাত তার গলা চেপে ধরছে। কানফাটা চিৎকার শোনা গেল শ্মশান জুড়ে।
ভোরের আলো ফোটার সময় গ্রামের লোকেরা শ্মশানে এসে দেখে—রাহুলের শরীর পড়ে আছে, চোখ দুটো খোলা, মুখ হা করে জমে গেছে নিস্তব্ধ ভয়ে। আর তার হাতের আঙুলে শিকলের দাগ স্পষ্ট।
সেই থেকে রাত বারোটার পর কেউ আর ওই পথ দিয়ে যায় না। বলা হয়, এখনও মাঝরাতে গেলে শোনা যায়—
“আমার কবর ভেঙেছে… কে কবর ভেঙেছে…”
--