13/05/2024
বড়বেলায় আসলে ঐভাবে বন্ধু হয়না!
শত্রু হয়, খুব সহজে!
আপনার একটা ছোট কথা, একটা খুব মামুলি ডিজএগ্রিমেন্ট, একটা ছোট তর্ক, হাসতে হাসতে দেয়া একটা নির্দোষ ছোট খোঁচা, শত্রুতার জন্ম দেয়!
এই যুগে তো আর যুদ্ধ নাই!
রাষ্ট্র আছে। আইন আছে। জেল আছে। খুব সূক্ষ্ণ সুতায় বাধা সমাজ আছে!
এ যুগে, প্রস্থর যুগের মতন, শত্রুতা অত এক্সট্রিমে যায়না।
মাস্কড থাকে!
আপনার সাথে, ডিজএগ্রিমেন্ট হওয়া মানুষটা,
আপনাকে নিয়ে নানা জায়গায়, যতটা পারে বলতে থাকবে!
আপনাকে যত ভাবে নীচু করা যায় চেষ্টা করবে!
আপনার জন্য তার মনে তৈরি হওয়া আনহ্যাপিনেস দূর করার জন্য, সে প্রতিশোধের মতন ব্লান্ট, সাইকোলজিক্যাল রিপেয়ার সিস্টেমকে আকড়ে ধরবে!
আপনাকে নীচু হতে দেখে সে আরাম পাবে!
আপনাকে ছুড়ে ফেলতে পারলে তার উপসম হবে!
বেসিক্যালি,
কোথাও আপনার একটা তর্ক,
একটা আদর্শ
একটা বিবাদ,
এরকম প্রতিশোধ পরায়ণ অজস্র সামাজিক মাস্কড শত্রুর জন্ম দেয়!
সে সবকে আপনি কি করে হ্যান্ডল করেন, কতটা এংজাইটিতে আক্রান্ত হন, তার উপর নির্ভর করতেছে আপনি সামাজিক ভাবে কতটা সুখি হবেন!
শত্রু মানেই স্ট্রেস।
যত ক্ষমা, যত ইগনোরেন্স, মনে না নেয়া, আঘাত না করা, মেনে নেয়া, তত কম শত্রু!
তত কম স্ট্রেস।
তত বেশি হ্যাপিনেস!
তত সরল জীবন!
বড়বেলার এই সামাজিক জীবন অতি জটিল। সমাজ বেসিক্যালি শত্রু আর আন হ্যাপিনেস উৎপাদনের কারখানা!
আপনি এতে গা মেলে দিলে, স্পিরিচুয়ালি ফেস না করলে, নিজের আত্মাকে হ্যাপিনেসের ট্রেইনিং না দিলে দিনে দিনে অসুখি হয়ে উঠবেন!