Book worm runey

Book worm runey I will die someday

 #বুক_রিভিউ:বই:যে জীবন মরীচিকালেখক: শাইখ আব্দুল মালিক আল-কাসিম"তোমরা হাসি তামাশায় মত্ত, অথচ তোমাদের কাফন হয়ত ইতোমধ্যেই ত...
15/10/2023

#বুক_রিভিউ:
বই:যে জীবন মরীচিকা
লেখক: শাইখ আব্দুল মালিক আল-কাসিম

"তোমরা হাসি তামাশায় মত্ত, অথচ তোমাদের কাফন হয়ত ইতোমধ্যেই তৈরী হয়ে ধোপার কাছে চলে এসেছে।"

আমরা দুনিয়ায় এসেছি, কিন্তু কেন এসেছি এট কি সবাই জানে? আমাদের সমাজে দুই শ্রেণির মানিষ পাওয়া যায়। একশ্রেণি পরকাল সম্পর্কে গাফেল অন্য শ্রেণি দুনিয়া সম্পর্কে গাফেল। এক্ষেত্রে সালাফাগণ আমাদের উত্তম আদর্শ। আমরা দুনিয়ায় কেন এসেছি কি দায়িত্ব নিয়ে এসেছি এ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান রাখা একান্ত কর্তব্য।

হাসান বসরী (র) বলেন, "দুনিয়ার জীবনে মিমিন হচ্ছে জেলখানায় বন্দি এক কয়েদীর ন্যায়। যে কিনা নিজেকে মুক্ত করতে অবিরাম চেষ্টা করে যাচ্ছে। নিজেকে ততক্ষণ পর্যন্ত সে নিরাপদ ভাবতে পারে না যতক্ষণ না সে মহান আল্লাহর সাক্ষাৎ পায়।"

আবু হাযিম সালামা বলেন, "দুনিয়ার বেচাকেনা জমে উঠেনি। সুতরাং, এর মালামাল ব্যয়বহুল হওয়ার আগেই এখান থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনপ নাও; কারণ, এরপর এমন একদিন আসবে যেদিন আখেরাতের জন্য তুমি কম বেশি কিছুই কিনতে পারবে না। "

শয়তান মানুষকে এ মরীচিকার জীবনে আকৃষ্ট করতে সদা প্রহরায় থাকে। সে চায় তিনটি জিনিস আদম সন্তান হতে নিতে পারলে তার আকাঙ্খিত বস্তু পেয়ে যাবে..
★যদি সে গুণাহ সম্পর্কে বে-খবর হয়।
★নিজের আমলকে বিরাট কিছু মনে করে।
★নিজের মতামতকে পছন্দ করতে শুরু করে।
যে জীবন আমাদের দিকে ভোগ -বিলাশ নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে আমরা কি সে থেকে বেচে থাকবো? নাকি এই ণেগ বিলাশে মত্ত হয়ে সম্পদ লাভের আশায় নিজেকে বিসর্জন দিবো......!!?

বই:কে উনিলেখক:মোহাম্মদ তোয়াহা আকবর।প্রকাশনা: সমকালীন। বইটি মূলত যুক্তি-তর্কের কিনারায়এক অবিশ্বাসীর মুহাম্মদ (সা:) সম্পর্...
15/10/2023

বই:কে উনি
লেখক:মোহাম্মদ তোয়াহা আকবর।
প্রকাশনা: সমকালীন।

বইটি মূলত যুক্তি-তর্কের কিনারায়এক অবিশ্বাসীর মুহাম্মদ (সা:) সম্পর্কে বিস্তারিত জানা এবং ধারণা পাল্টে যাওয়ার পুরো ঘটনা আকারে সাজানো।

বইটির মূল চরিত্র ছিলো, হৃদয় নামক এক যুবক।যার মনে জাগ্রত সব অদ্ভুত অদ্ভুত চিন্তার বিপরীতে তাকে সঙ্গ দেয় এক ব্যক্তি যাকে সে ভাইয়া বলে সম্বোধন করে।

মূলত বিশ্বাস জিনিসটা মানবীয় গুণাবলির একটি হলেও, এতে কিছুটা যুক্তিনির্ভর বিষয় লক্ষ্যণীয়। মুহম্মদ (সা) সম্পর্কে হৃদয় নামক ব্যাক্তির কিছু প্রশ্ন ছিলো...
★তিনি মিথ্যাবাদী ছিলেন।
★অথবা মানসিকভাবে বিভ্রান্ত ছিলেন।
★তিনি মিথ্যাবাদী ছিলেন এবং একই সাথে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
★অন্যথা তিনি সঠিক ছিলেন।

তার এ প্রশ্নগুলোর উত্তরের মাধ্যমে একে একে তার মনের গহীনে গেড়ে বসা ভ্রান্ত ধারণাগুলো বিদূরিত হয়।
এ প্রশ্নগুলোর উত্তরে অপর ব্যক্তি বেশকিছু যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। সেগুলো হলো.....
★একজন মানুষ মিথ্যা কেন বলে? কিছু অর্জনের জন্য। যেখানে স্বয়ং রাসুল সাঃ কে কাফেররা সবকিছু দিতে চেয়েছিলো কিন্তু তিনি আল্লাহর বাণী প্রচারকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
★একটা মানুুষ সৎ,ভালো, নরম মনের। সেভাবেই তিনি পুরো জীবন কাটিয়েছেন। যদি তিনি বার্তাবাহক হবার মিথ্যা অভিনয় ই করতেন তবে, তিনি কিভাবে পারলেন এতগুলো মানুষকে চোখের সামনে কষ্ট পেতে, শহীদ ও নির্যাতিত হতে দেখতে।
★সবকিছু ছেড়ে মদিনা গিয়েও তিনি শান্তিতে ছিলেন না। তার এ জীবনে কোন পাহারাদার প্রয়োজন হয়নি। যেখানে দুনিয়ার কোন রাজা বাদশা তার রক্ষী ছাড়া চলতে পারেন না। কিন্তু তিনি বলেন, "আল্লাহ নিজেই তার নিরাপত্তা দিবেন।"
★তিনি যুদ্ধেরসময় ক্ষুধা ও পানের কষ্ট সহ্য করে ছিলেন শুধুমাত্র একটাই কারণ ইসলাম প্রতিষ্ঠা। তো, একজন মানুষ আল্লাহর বার্তাবাহক না হয়ে কি এমন হলো যে তার মিথ্যাচার করে এই কষ্টের জীবন গ্রহণ করতে হবে।

এই কে উনি? আসলে আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহম্মদ (সা:)। তাকে চিনতে হবে জানতে হবে। ইহা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।

 #বুক_রিভিউ:বই:মুমিন জীবনে সময়লেখক:ইউসুফ আল কারজাভি অনুবাদ:তারিক মাহমুদ।প্রকাশনা:গার্ডিয়ান। আমরা সময় শব্দটা জানি বুঝি কি...
15/10/2023

#বুক_রিভিউ:
বই:মুমিন জীবনে সময়
লেখক:ইউসুফ আল কারজাভি
অনুবাদ:তারিক মাহমুদ।
প্রকাশনা:গার্ডিয়ান।

আমরা সময় শব্দটা জানি বুঝি কিন্তু দাম দেই না। সময়ের মূল্য যে কতটা তা যদি বুঝতাম তাহলে কেউ বিনাকাজে সময় নষ্ট করতাম না। সময় বলতে এখানে "জীবনের ক্ষুদ্রতম ইউনিট" কে বোঝানো হয়েছে।

"সময় একটি ধারালো তরবারী।যদি তুমি তাকে না কাটো, সে তোমাকে কেটে ফেলবে।"

ইউসুফ আল কারজাভির উক্ত বইতে সাধারণত মুমিনদের প্রাত্যহিক জীবনে কিভাবে সময়কে কাজে লাগানো যায় তার বিস্তারিত ভাবনা প্রদান করা হয়েছে। সময়কে পরিচর্যা করা এটার অন্যতম উপায় হলো টাইমলি ইবাদাত করা এবং ইবাদাতের যত্ন নেয়া। অবসর সময়ে তাসবীহ পাঠ। কল্যাণকর কাজে প্রতিযোগতা করতে হবে।

সময় আমাদের বর্তমানের সাথে অতীত ও ভবিষ্যতের এক সেতু। মানুষকে ভবিষ্যৎের পুজারী,আর বর্তমানের প্রেমিক হতে হবে। কিন্তু মানুষ তার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক বেশি হতাশাগ্রস্ত।

মানুষের দীর্ঘ হায়াত প্রাপ্তির যে প্রবনতা তা মানুষকে রবের স্মরণ থেকে দূরে রাখে।মানিষ ভাবে না মৃত্যু তার কত নিকটে মৃত্যু হঠাৎ উদয় হয়।মৃত্যুই যখন আমাদের বিচরণের এবং জীবনের একমাত্র সমাপ্তি, তখন সন্দেহাতীতভাবে জীবন খুবই সীমিত। আর কেবল মৃত্যু চিন্তাই পারে মানুষকে তার সঠিক দায়িত্ব সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করাতে।

 #বুক_রিভিউ:📖বই:হিউম্যান বিয়িংলেখক:ইফতেখার সিফাত।বিষয়বস্তু: শতাব্দীর বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব। প্রকাশনা: নাশাত পাবলিকেশন। সে...
09/10/2023

#বুক_রিভিউ:
📖বই:হিউম্যান বিয়িং
লেখক:ইফতেখার সিফাত।
বিষয়বস্তু: শতাব্দীর বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব।
প্রকাশনা: নাশাত পাবলিকেশন।

সেই গুহাবাসী থেকে বর্তমান সভ্যতার যুগে আমরা এসেছি ঠিকই কিন্তু আমাদের মধ্যে যে দাসত্বের প্রবণতা, তা থেকে আমরা বের হতে পারিনি। আমরা এখন এক নতুন দাসত্বে আটকে গেছি তা হলো বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব।

বর্তমানে আধুনিকতা মানেই পশ্চিমা সভ্যতা। আমাদের সবকিছুতে আংশিক মূল্যায়ন না করে প্রতিটি মতবাদকেই তার নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক, সামাজিক, শাস্ত্রীয় দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে পর্যালোচনা করতে হবে।পাশাপাশি সেগুলোী উদ্দ্যেশ্য সম্পর্কেও জ্ঞান রাখা চাই। উদাহরণ হিসেবে আমরা দেখাতে পারি যে, গ্রিক দর্শনের প্রধান মনোযোগ ছিলো বস্তুজগৎ। তাদের চিন্তাভাবনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরকালের কোন অস্তিত্ব ছিলো না। এই বস্তুবাদী চেতনাই পাশ্চাত্য সভ্যতার মূলে বিরাজ করছে।

উনবিংশ শতাব্দী পাশ্চাত্য সভ্যতার জাগতিক উন্নতির অন্যতম প্রধান অংশ।এই শতাব্দীর একটি জটিলতা হলো, কেউ কেউ একে শিল্পবিপ্লবের যুগ বলে, আবার কেউ কেউ বলে বিজ্ঞানের যুগ। দীনের ব্যাপারে সন্দেহ এ যুগ থেকেই শুরু হয়েছে। এবং এতে প্রায় চূড়ান্ত হয়ে যায় যে, ইন্দ্রিয় ও জড়জগতের উর্ধ্বে ধর্মের কোন অবস্থান নাই।বস্তুজগৎ ই মূল। আরেকটি বিষয় হলো মুক্তচিন্তা। মুক্তচিন্তার লক্ষ্যই হলো প্রকাশ্যে ধর্মের বিরোধিতা করা। কিংবা ধর্মের ব্যাপারে সংশয় সৃষ্টি করা।এ শতাব্দীতে ডারউইনীয় বিবর্তনবাদ ভাবনা মুক্তচিন্তাকে প্রচন্ডভাবে উসকে দেয়।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে হুকুকুল ইবাদকে হিউম্যান রাইটস এর দৃষ্টিতে বোঝা,কিংবা হিউম্যান রাইটস কে হুকুকুল ইবাদ দিয়ে প্রমাণ করা। অথচ পশ্চিমা বিশ্বের হিউম্যান রাইটস থিওরি আর হুকুকুল ইবাদ ধারণা কখনই এক নয়। বরং বান্দা যে স্বাধীনতা গ্রহণ করতে চায় তা কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রকাশ্য কুফরীতে পরিণত হয়।

সবপোরি বইটিতে ইসলাম বনাম সেক্যুলারিজম, হিউম্যানিজম, ল অফ পিপলস সহ এমন সব বিষয়সমূহ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যা আপনাকে ভাবতে বাধ্য করবে।

 #বুক_রিভিউ:📖বই:কাঠগড়া [কষ্টিপাথর -৩]লেখক:ডা.শামসুল আরেফীন।প্রকাশনা:সন্দীপন প্রকাশনী।বইটি মূলত দুটি পর্বে বিভক্ত। প্রথমভ...
09/10/2023

#বুক_রিভিউ:
📖বই:কাঠগড়া [কষ্টিপাথর -৩]
লেখক:ডা.শামসুল আরেফীন।
প্রকাশনা:সন্দীপন প্রকাশনী।

বইটি মূলত দুটি পর্বে বিভক্ত।
প্রথমভাগে আল কুরআনের মুজিযা এবং বর্তমান বিজ্ঞান ও আল কুরআনের মুজিযার মধ্যে একটা তুলনামূলক বিশ্লেষণ দেখানো হয়েছে। অতপর ধর্মের সাথে বিজ্ঞান এবং ঈমানের সাথে যুক্তিতর্কের যে অবস্থান তা আলোচিত হয়েছে।
ইতিপূর্বে দর্শন বলতে শুধু গ্রিক দর্শনকে বোঝানো হতো কিন্তু ধীরে ধীরে মুসলিম দার্শনিক গণের পদচারণায় দর্শন শাখার নতুন করে উদ্ভব হয় তা হলো মুসলিম দর্শন। এটি মানুষকে শেখায় যে ধর্মকে দর্শনের ওপর স্থান দিতে হবে। ইসলামিক/ কুরআনিক বিধানের সাথে পর্যবেক্ষণমূলক জ্ঞানের যে সম্পর্ক তা বিশ্লেষনের মাধ্যমে সিদ্ধান্তে আসা।
বিজ্ঞানের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কি হবে! এ ব্যাপারে বলা হয়েছে কুরআনের কাজ সতর্ক করা, কিন্তু আল্লাহ আমাদের সতর্ককারী বিষয়ের মধ্যেই এমন মুজিযা দিয়ে রেখেছেন, যা কিয়ামত পর্যন্ত excellence কে চ্যালেঞ্জ করবে। সতর্ককারী অনেক বিষয় আছে যা বিজ্ঞানের কারণে জানতে পারছি। যা নবিজির যুগে তা জানা একদমই অসম্ভব ছিলো। বিজ্ঞানের সাথে কুরআানের সত্যতা'র সম্পর্ক নেই, এসব expart রা সবাই যোগসাজশ করে কুরআনকে ভুল বললেই ভুল হয়ে যাবে না।
সর্বোপরি, বিজ্ঞান কুরআনকে প্রমাণ করে না,জাস্ট অতি ইন্দ্রিয় ক্ষমতা দিয়ে কুরআনের মুজিযা প্রকাশ করে।

দ্বিতীয় বা শেষ ভাগে বেশকিছু বিষয় নিয়ে আলচনা করা হয়েছে সেগুলো মূলত দৈনন্দিন জীবনের রুটিন / নিয়ম। বেশকিছু বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান ও ইসলামিক বিধানের সমন্বয়ক আলোচনা।
এর মধ্যে রয়েছে, রাসুল সাঃ এর হাদিস- "খাওয়ার সাথে সাথেই ভরপেটে পানি না খাওয়া" এ হাদিসটির বিশ্লেষণে চিকিৎসা বিজ্ঞান কি বলে। অতঃপর ঘুমানোর সঠিক নিয়ম এবং প্রাকৃতিক কিছু নিরাময় যোগ্য বস্তু যেগুলো হাদিসসম্মত পাশাপাশি বিজ্ঞানসম্মতও বটে।
বিজ্ঞানের সমস্যা ও আমাদের করণীয় এ বিষয়ে বলা যায়, আমরা যারা সেক্যুলার প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করি তা যেন গভীরভাবে পড়ি এবং দ্বীনকে আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য এবং আল্লাহর আহকামের পারফেকশন বোঝার জন্য পড়ি।

 #বুক_রিভিউ:📖বই:পাইন বনের যোদ্ধা লেখক:ইমরান রাইহান।বিষয়বস্তু : প্রথম ক্রুসেড, কিলিজ আরসালান,               জেরুজালেমের প...
09/10/2023

#বুক_রিভিউ:
📖বই:পাইন বনের যোদ্ধা
লেখক:ইমরান রাইহান।
বিষয়বস্তু : প্রথম ক্রুসেড, কিলিজ আরসালান,
জেরুজালেমের পতন।
প্রকাশনা:সঞ্চালন প্রকাশনী।

পুরো বইটি মূলত ক্রুসেডের গেড়া পত্তন থেকে শুরু করে জেরুজালেম পতন পর্যন্ত বিষয়গুলো ঘিরে।

১০৮৮ সালের ১২মার্চ রোমের নতুন পোপ হিসেবে অভিষেক হলো ৫৩ বছর বয়সী দ্বিতীয় আরবানের, যিনি পূর্বে অস্ট্রিয়ার বিশপের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার চিন্তা-ভাবনায় পূর্ব থেকেই ধর্মযুদ্ধ তৈরীর একটি ভাবনা ছিলো। তিনি যখন প্রথমবার বক্তব্য রাখার জন্য সভা আহবান করলেন সেটায় যেন বাধাগ্রস্ত না হন এজন্য তিনি প্যারিসে থেকে ৩৩০ কি.মি দূরে অবস্থিত ক্লেরমনটে সমাবেশের আহবান জানান। অতপর তিনি স্টেজে উঠে ভাবলেন, এ মানুষদের আবেগ স্পর্শ করতে হবে। তাদের কৌশলে ধর্মের দোহাই দিয়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি বিষিয়ে তুলতে হবে যাতে তারা পোপকে মসজিদুল আকসা দখল করতে পোপকে জীবন দিয়েও সাহায্য করে।

একে একে তারা সেলজুক, এন্টিয়ক জনপদ দখল করলো আর বিপুল পরিমানে মানুষ হত্যা করলো আর লুটপাট করলো। অতপর তারা এসে পৌছালো মারআতুন নুমানে। এখানে তারা গোপন ভাবে শহরের প্রাচীর টপকে ভেতরে প্রবেশ করে সিংহদার খুলে দিলো। তারপর সেখানে প্রবেশ করে গণহত্যা চালালো। কোন কোন ঐতিহাসিকদের মতে, তারা সেখানে মানুষের মাংস পুড়িয়ে খাচ্ছিলো। বাচ্চা ছেলেমেয়েদের তারা কাবাব বানিয়ে খেয়েছিলো।

মারআতুন নুমানের পতন শেষে তারা ফিলিস্তিনের পথ ধরলো৷ ৬ -৮০ হাজারের মধ্যে তাদের সফন্য সংলক্যা ছিলো বলে অনুমান করা হয়।সেখানে নির্বিচারে গণহত্যা করা হয়। ক্রুসেডারদের গোত্রের লোকেরা পরবর্তীতে এটা বলেন যে, সলোমন টেম্প্লেটে আমাদের সৈন্যরা এক হাটু সমান রক্তের মধ্য দিয়ে ঘেড়া চালিয়েছে।
কি নির্মম!!

জেরুজালেমের পতনের দুই সপ্তাহ পর ২৯ জুলাই মারা যান পোপ দ্বিতীয় আরবান। এমন নয় যে, তিনি গণহত্যার কথা জানলে ব্যাথিত হতেন।
জেরুজালেম পতনের সংবাদ পৌছে গেলো ইউরোপের ঘরে ঘরে, গির্জায় সমবেত হলেন যাজকরা, শূন্যে ক্রুশ উচিয়ে উল্লাস করেন। সামন্ত জমিদাররা প্রস্তুত হলেন তীর্থযাত্রায় যাবেন বলে।

জেরুজালেমের পতনের পর অল্প কিছু সংখক মানুষ পালাতে পেরেছিলো। ক্ষুধা পিপাসার সাথে লড়াই করে পোছে যান দামেশকে। বাকিরা নির্মম ভাবে হত্যার স্বীকার হন। ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়। চারদিকে শুধু বিভীষিকাময় অবস্থা।
এমনই কিছু রোমহষর্ক বর্ণনা এ বইটিতে উঠে এসেছে...

Address

Bangladesh Kwait Moitree Hall; Dhaka University
Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Book worm runey posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Book worm runey:

Share