Spoken English and IELTS

Spoken English and IELTS আমাদের সর্বাধিক বিক্রিত স্পোকেন ইংলিশ কোর্স ডিসকাউন্ট প্রাইসে! https://tinyurl.com/Speng1690
(3)

নিউ জার্সির এক ব্যক্তি, মাইক উইয়ারস্কি, ২০১৯ সালে অবিশ্বাস্যভাবে ২৭৩ মিলিয়ন ডলারের মেগা মিলিয়নস জ্যাকপট জিতে আলোচনায় আসে...
31/10/2025

নিউ জার্সির এক ব্যক্তি, মাইক উইয়ারস্কি, ২০১৯ সালে অবিশ্বাস্যভাবে ২৭৩ মিলিয়ন ডলারের মেগা মিলিয়নস জ্যাকপট জিতে আলোচনায় আসেন — তাঁর স্ত্রী আইলিন মারের সঙ্গে ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার মাত্র পাঁচ মাস পরই এই ঘটনা ঘটে।

বিবাহিত জীবনের অধিকাংশ সময় জুড়ে আইলিনই ছিলেন সংসারের মূল উপার্জনকারী, কারণ মাইক দীর্ঘদিন ধরেই স্থায়ী কোনো কাজ ধরে রাখতে পারছিলেন না। এমনকি বিবাহবিচ্ছেদের পর আদালতের আদেশে আইলিনকে পাঁচ বছর ধরে মাইককে ভরণপোষণ (অ্যালিমনি) দিতে হয়েছিল।

তারপর আসে সেই চমকপ্রদ ভাগ্যপরিবর্তন। বেকার অবস্থায় মাইক একটি লটারি টিকিট কিনেছিলেন, যা প্রায় হারিয়েই ফেলেছিলেন দোকানে। কিন্তু এক দয়ালু অপরিচিত ব্যক্তি সেই টিকিটটি খুঁজে পেয়ে তাঁকে ফেরত দেন।
আর সেই টিকিটটিই ছিল জয়ী টিকিট। এক রাতের মধ্যে যিনি একসময় তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর সহায়তায় বেঁচে ছিলেন, তিনি হয়ে গেলেন বহু-মিলিয়নিয়ার। কর পরবর্তী এককালীন অর্থপ্রদান হিসেবে তিনি ১৬২.৫ মিলিয়ন ডলার গ্রহণ করেন।

অন্যদিকে, আইলিন তখনও নিয়মিত তাঁর অ্যালিমনি পরিশোধ করছিলেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, মাইকের জেতা অর্থ থেকে তিনি এক পয়সাও চান না; তিনি শুধু চান মাইক যেন সেই অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার করেন।
তবুও, এই ঘটনাটি অনলাইনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয় — ভাগ্য, ন্যায্যতা ও জীবনের অদ্ভুত রসবোধ নিয়ে।

এমন গল্পগুলিই আমাদের ভাবায় — জীবন কখনও শুধু দ্বিতীয় সুযোগই দেয় না, কখনও কখনও এমন চিত্রনাট্য-যোগ্য মোড় এনে দেয়, যা সিনেমাকেও হার মানায়।

সব কিছু শুরু হয়েছিল একেবারে সাধারণ একটা বিকেলে — যতক্ষণ না এক অটিস্টিক ছোট্ট ছেলে বেড়ার ফাঁক গলে সোজা সিংহের খাঁচায় ঢুকে...
23/10/2025

সব কিছু শুরু হয়েছিল একেবারে সাধারণ একটা বিকেলে — যতক্ষণ না এক অটিস্টিক ছোট্ট ছেলে বেড়ার ফাঁক গলে সোজা সিংহের খাঁচায় ঢুকে পড়ে।

সবাই হকচকিয়ে যায়। বিশাল পুরুষ সিংহটা, যার নাম ছিল “কোয়ান”, চাইলে এক মুহূর্তেই আক্রমণ করতে পারত — কিন্তু সে কিছুই করল না। বরং এক জায়গায় স্থির দাঁড়িয়ে রইল, আর ছেলেটা দৌড়ে গিয়ে তার কেশর জড়িয়ে ধরল, আস্তে আস্তে কিছু একটা বলল। প্রায় এক মিনিট তারা ওভাবে ছিল — এক শিকারি আর এক শিশু, সম্পূর্ণ নীরবতায়।

যখন উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাল, কোয়ান শান্তভাবে পাশে সরে দাঁড়াল। দেখছিল, কীভাবে তারা ছেলেটাকে নিরাপদে তুলে নিচ্ছে। একটাও আঁচড় নেই। শুধু নীরবতা — আর বিস্ময়।

বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, এটা ইতিহাসের সবচেয়ে আশ্চর্য সংযমের একটা ঘটনা। এক বনরক্ষী বলেছিলেন, “মনে হচ্ছিল, সে বুঝে গিয়েছিল — এই শিশুটি কোনো ক্ষতি করতে আসেনি।”

হয়তো সেটা ছিল প্রবৃত্তি, হয়তো মায়া। কিন্তু সেদিন, এক সিংহ পুরো পৃথিবীকে মনে করিয়ে দিয়েছিল — সবচেয়ে হিংস্র হৃদয়ও চাইলে দয়া দেখাতে পারে।

সে একা মারা গিয়েছিলেন — আর ৪২ বছর ধরে পৃথিবী ঠিকই চলতে থেকেছে, যেন কিছুই ঘটেনি।১৯৬৬ সালে, ক্রোয়েশিয়ার জাগরেব শহরের এক...
22/10/2025

সে একা মারা গিয়েছিলেন — আর ৪২ বছর ধরে পৃথিবী ঠিকই চলতে থেকেছে, যেন কিছুই ঘটেনি।

১৯৬৬ সালে, ক্রোয়েশিয়ার জাগরেব শহরের এক নার্স, হেডভিগা গোলিক, নিজের জন্য এক কাপ চা বানালেন এবং ছোট্ট অ্যাপার্টমেন্টে বসে পড়লেন। কেউ জানে না এরপর ঠিক কী ঘটেছিল — শুধু এটুকু জানা যায়, তিনি আর কখনও উঠেননি।

বছরের পর বছর কেটে গেল। বাইরে পৃথিবী বদলে গেল — নতুন সরকার, নতুন যুদ্ধ, নতুন প্রজন্ম — কিন্তু সেই বন্ধ দরজার ওপারে সময় যেন থেমে গেল।

কেউ তার নিখোঁজ হওয়ার খবর দেয়নি। প্রতিবেশীরা ভেবেছিলেন, তিনি হয়তো অন্য কোথাও চলে গেছেন। ভবনের স্থপতি তার বিদ্যুৎ বিলের জন্য স্বয়ংক্রিয় পেমেন্ট সেট করেছিলেন — যা তার নিজের মৃত্যুর পরও চালু ছিল। তাই হেডভিগার ফ্ল্যাটে আলো জ্বলতে থাকল, বছর ধরে, দশক ধরে।

২০০৮ সালে, ভবনটিতে সংস্কার কাজ চলাকালীন, শ্রমিকরা অবশেষে সেই দরজাটি জোর করে খুললেন — আর ঢুকে পড়লেন এক সময়ের কফিনে।

ভিতরে সবকিছুই ১৯৬০-এর দশকের মতোই রয়ে গেছে। সাদাকালো টেলিভিশন। মধ্য-শতাব্দীর আসবাবপত্র। এক কাপ চা এখনো পড়ে আছে আরামচেয়ারের পাশে। আর সেই চেয়ারেই বসে আছেন হেডভিগা গোলিকের মমি করা দেহ — বন্ধ ঘর আর শুকনো বাতাসে নিখুঁতভাবে সংরক্ষিত।

এই আবিষ্কার পুরো ক্রোয়েশিয়াকে নাড়িয়ে দিয়েছিল — শুধু দুঃখজনক ঘটনার জন্য নয়, বরং এ কারণে যে এটি আধুনিক জীবনের এক ভয়ঙ্কর সত্য উন্মোচন করেছিল: কেউ এতটাই হারিয়ে যেতে পারে, যে চার দশক ধরে কেউ টেরও পায় না।

পুলিশ তার কাগজপত্র ও ফটো দেখে পরিচয় নিশ্চিত করে। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল প্রায় ৪২ বছর — একজন নার্স, একজন বন্ধু, একসময় সমাজের অংশ ছিলেন, যাকে পৃথিবী একসময় ভুলে গিয়েছিল।

তার ফ্ল্যাট হয়ে উঠেছিল এক অদ্ভুত স্মৃতিস্তম্ভ — নিঃসঙ্গতার প্রতীক। সাংবাদিকরা একে বলেছিলেন “সময়ের সমাধি,” যেখানে একটি যুগ অক্ষত ছিল, আর একই সঙ্গে মানবজীবনের ভুলে যাওয়া বাস্তবতা প্রতিফলিত হচ্ছিল।

হেডভিগা গোলিকের গল্প শুধু মৃত্যুর নয় — এটি বিচ্ছিন্নতার গল্প।

তিনি শহরের কোলাহলের মাঝেই থাকতেন, অসংখ্য প্রতিবেশীর ঘেরা পরিবেশে — তবুও তিনি হারিয়ে গেলেন নিঃশব্দে।

৪২ বছর ধরে তার অ্যাপার্টমেন্টই ছিল তার সমাধি — আর তার আত্মা যেন ফিসফিস করে মনে করিয়ে দেয়, আধুনিক বিশ্বে নিঃসঙ্গতা কখনও কখনও মানুষকে পুরোপুরি অদৃশ্য করে দিতে পারে।

এক কাপ চা। একটি বন্ধ দরজা।
আর একটি জীবন, যার থেমে যাওয়া কেউ টেরই পায়নি।

ইংরেজিতে খুব জনপ্রিয় একটা কথা আছে: Show, don’t tell. এই ছবিতে পেছনে দেয়ালের কাছে দাঁড়ানো মানুষ দুজন আমার ডিপার্টমেন্টের ...
21/10/2025

ইংরেজিতে খুব জনপ্রিয় একটা কথা আছে: Show, don’t tell.
এই ছবিতে পেছনে দেয়ালের কাছে দাঁড়ানো মানুষ দুজন আমার ডিপার্টমেন্টের দুইজন প্রফেসর। স্টুডেন্টরা পায়ের উপর পা তুলে বসে লেকচার শুনছে, আর ওনারা এক ঘণ্টা ঠাঁয় দাঁড়িয়ে লেকচার শুনেছেন! (আমাদের প্রোভোস্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোভোস্টও ছিলেন, এবং তাঁরাও পুরো সময় দাঁড়িয়ে ছিলেন।)
একজন গেস্ট স্পিকার এসেছেন। তিনদিন আমাদের এখানে থেকে তিনটা রিসার্চ লেকচার দিয়েছেন। প্রতিটা লেকচারেই অডিটরিয়াম সম্পূর্ণ ভর্তি হয়েও এত বেশি মানুষ হয়েছে যে অনেককে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে বা মেঝেতে বসতে হয়েছে।
আমি ভীষণ অবাক হয়ে দেখলাম, আমাদের কয়েকজন প্রফেসর সিট ছেড়ে স্টুডেন্টদেরকে বসতে দিয়ে নিজেরা এক ঘণ্টা ঠাঁয় দাঁড়িয়ে লেকচার শুনলেন! সাথে প্রোভোস্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোভোস্ট। আমি এবং আমার মতো সাউথ এশিয়ান কয়েকজন স্টুডেন্ট নিজেদের সিট ওনাদেরকে অফার করলেও ওনারা সেটা নিতে রাজি হননি। বলেছেন, তোমরা আরাম করে বসে লেকচার শোনো। এটা আমাদের চেয়ে তোমাদের জন্য বেশি বড় লার্নিং অপর্চুনিটি।
প্রথম যখন এসে দেখেছিলাম প্রফেসররা আমাদের পেছনে লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার নেন, আমার ব্রেইনে শর্ট সার্কিট হয়ে গিয়েছিল। দেশে দেখে অভ্যস্ত ছিলাম সব ইভেন্টে, এমনকি পিকনিকে গিয়েও আমাদের টিচারদেরকে আগে আলাদা করে টেবিলে খাবার সার্ভ করা হয়, তারপর আমরা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার নিই। আর গেটিসবার্গে আমাদের প্রফেসররা সব স্টুডেন্টের খাবার খাওয়া শেষে লাইনে দাঁড়ান, যেন স্টুডেন্টদের খাবারে কমতি না পড়ে।
প্রফেসর জেমিসনকে আমি অনেকবার বলেছি ব্যাপারটা আমার কাছে কেমন আমি আমার প্রফেসরদেরকে অসম্মান করছি লাগে। উনি বলেছেন, দেখো বাবা, যদি তুমি স্টুডেন্ট বলে তোমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় আর আমি প্রফেসর বলেই আমার বসার রাইট থাকে- তাহলে এতকাল ধরে যে দাসত্ব প্রথা থেকে আমি বেরিয়ে এলাম, সেটাই কি আবার ফিরিয়ে আনা হল না? সম্মান তো মানুষ হিসেবে মানুষকে করতে হয়, ডিগ্রিকে না। আমার একটা পিএইচডি আছে আর তোমার নেই বলেই কি তোমার চেয়ে আমি বেশি সম্মান ডিজার্ভ করি? তুমি তো আমার চেয়ে কত বিষয়ে কত বেশি জানো। সেই একই সম্মান তুমি কেন ডিজার্ভ করবে না?
শিক্ষা আসলে মুখে বলে দেয়ার জিনিস না, ঠিক যেমন সম্মান মুখে চেয়ে নেয়ার জিনিস না। নিজের কাজ দিয়ে সম্মান অর্জন করতে হয়, শেখাতে হয়। আপনার প্রফেসর যখন আপনাকে বসতে দিয়ে নিজে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকবেন অথবা আপনাকে খাবারের লাইনে আগে দিয়ে নিজে আপনার পেছনে গিয়ে দাঁড়াবেন- শিক্ষা এবং সম্মান- দুটো জিনিস আপনি আপনা-আপনিই শিখবেন। There's a reason the saying goes: "Show, don't tell."
নোটঃ দয়া করে পোস্টের সারমর্ম না বুঝলে ভুল বুঝে কমেন্ট না করার অনুরোধ রইল। এই পোস্টে আমি কোনো কালচারকে ছোট বলিনি। শিক্ষকরা অবশ্যই সম্মান ডিজার্ভ করেন, এবং আমি শিক্ষকদেরকে বাবা-মায়ের পরপর দেখি। এই পোস্টটায় ওয়েস্টার্ন কালচারকে সুপেরিয়র বলা হচ্ছে না। আমার জীবনের একটা ছোট্ট ঘটনা শেয়ার করা হচ্ছে এখানে যেটা আমার ভালো লেগেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে শিক্ষার্থীদেরকে সম্মান দেখানোর মাধ্যমে তাদেরকে সম্মান শেখানো খুব সুন্দর একটা জিনিস। আমার মনে হয়েছে আমার প্রফেসররা একটা ভীষণ সুন্দর কাইন্ডনেসের এক্স্যাম্পল সেট করেছেন। এইটুকুই। আমাদের নিজেদের সংস্কৃতির শিক্ষককে রেস্পেক্ট করার ব্যাপারটা খুবই সুন্দর। তবে ভুলে গেলে হবে না, ওয়েস্টার্ন কালচারেও শিক্ষকদেরকে শিক্ষার্থীরা সম্মান করে। কিন্তু শিক্ষকরাও যে শিক্ষার্থীদেরকে পালটা সম্মান দেখাচ্ছেন- এই জিনিসটা আমার ভালো লেগেছে, কেননা মানুষ হিসেবে সবারই সবাইকে সম্মান করা উচিত, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি নির্বিশেষে।

সংগৃহীত

19/10/2025

ষড়যন্ত্র! আগুনের ষড়যন্ত্র!

10/10/2025

ফ্রি উমরাহ সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে!
ফ্রি ভিসা - ফ্রি হোটেল - ফ্রি এয়ারটিকেট! 💚

বিস্তারিত প্রথম কমেন্টে! 👇🇸🇦

09/10/2025

ইসরায়েলি বর্বর বোমা হামলায় গাজায় মোজো’র ত্রাণকার্যে অংশ নেওয়া ১০ জন ফিলিস্তিনি স্বেচ্ছাসেবী শহীদ হয়েছেন। 🙁
!.

05/10/2025

মানসিকভাবে অসুস্থ ছেলেগুলো কখনো গীতা পো'ড়ায় না, বেদ পো'ড়ায় না, বাইবেল পো'ড়ায় না, ত্রিপিটক পো'ড়ায় না!
শুধু কুরআনই পোড়ায়?

ফ্রি ওমরাহ করার সুযোগ! নুসুক অ্যাপে কুইজ খেলে জিতে নিন পমরাহ তে যাওয়ার সুযোগ
04/10/2025

ফ্রি ওমরাহ করার সুযোগ! নুসুক অ্যাপে কুইজ খেলে জিতে নিন পমরাহ তে যাওয়ার সুযোগ

04/10/2025
02/10/2025

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Spoken English and IELTS posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Spoken English and IELTS:

Share