স্বাস্থ্যের প্রাথমিক চিকিৎসা

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • স্বাস্থ্যের প্রাথমিক চিকিৎসা

স্বাস্থ্যের প্রাথমিক চিকিৎসা নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য ‘স্বাস্থ্যের প্রাথমিক চিকিৎসার সাথে থাকুন।

স্বাস্থ্যের প্রাথমিক, মানুষের স্বল্প জীবনে সবকিছু ঘটে। লোকেরা তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ থেকে মুক্তি পেতে আপনার নিজের স্বাস্থ্য কীভাবে বজায় রাখতে হবে তা আপনার জানতে হবে। তার জন্য আমি বিভিন্ন সাইট থেকে এনালাইসিস করে পোস্ট করি যাতে অন্য লোকেরা উপকৃত হয় .!

🌊 প্রকৃতির অদ্ভুত নিয়মভঙ্গ: যেখানে পুরুষই দেয় সন্তানের জন্ম....😲😲😲😲💠 প্রকৃতির চিরচেনা নিয়ম অনুযায়ী গর্ভধারণ ও সন্তান জন্...
28/10/2025

🌊 প্রকৃতির অদ্ভুত নিয়মভঙ্গ: যেখানে পুরুষই দেয় সন্তানের জন্ম....😲😲😲😲
💠 প্রকৃতির চিরচেনা নিয়ম অনুযায়ী গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদানের দায়িত্ব থাকে নারীর উপর। কিন্তু সমুদ্রের গভীরে আছে এমন এক বিস্ময়কর প্রাণী, যারা এই নিয়মকে উল্টে দিয়েছে। এই প্রাণীটির নাম নোনা জলের ঘোড়া বা সিহর্স (Seahorse)। এদের মধ্যেই দেখা যায় এক আশ্চর্য প্রজনন প্রক্রিয়া—যেখানে পুরুষই গর্ভধারণ করে ও সন্তান জন্ম দেয়।
🐠 অদ্ভুত প্রজনন প্রক্রিয়া:-
সিহর্সদের প্রজনন শুরু হয় এক দীর্ঘ ও মনোমুগ্ধকর প্রণয়-নৃত্যের মাধ্যমে। এই নৃত্য কখনও ঘণ্টার পর ঘণ্টা, কখনও আবার কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। মিলনের সময় স্ত্রী সিহর্স একটি নলাকার অঙ্গের মাধ্যমে নিজের ডিমগুলো পুরুষ সিহর্সের তলপেটে থাকা বিশেষ থলিতে (Brood Pouch) প্রবেশ করিয়ে দেয়।
▪️ এই থলিটিই পুরুষ সিহর্সের গর্ভাশয়ের মতো কাজ করে। সেখানে ডিমগুলো নিরাপদে থাকে এবং ধীরে ধীরে ভ্রূণে পরিণত হয়। থলির ভিতরে এমন এক জৈবিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠে যা ভ্রূণদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ করে—একেবারে মানুষের নাড়ির মতো।
💠 গর্ভধারণ ও সন্তানের জন্ম:-
প্রজাতিভেদে পুরুষ সিহর্সের গর্ভকাল কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এই সময় সে নিজের শরীরের রাসায়নিক গঠনে পরিবর্তন আনে, যাতে ভ্রূণের বেড়ে ওঠার জন্য সঠিক পরিবেশ তৈরি হয়।
▪️ যখন সন্তানের জন্মের সময় আসে, তখন পুরুষ সিহর্স তার শরীরকে এক নির্দিষ্ট ছন্দে সংকুচিত ও প্রসারিত করে। এর ফলে থলির ভিতরে চাপ সৃষ্টি হয়, আর ছোট ছোট সিহর্স শাবকগুলো একে একে থলি থেকে বেরিয়ে আসে—পুরুষের শরীর থেকেই জীবনের নতুন সূচনা ঘটে।
🌊 প্রকৃতির বিস্ময়কর ভারসাম্য
সিহর্সদের এই অনন্য প্রজনন প্রক্রিয়া প্রকৃতির বৈচিত্র্যের এক অসাধারণ উদাহরণ। যেখানে পুরুষরাই গর্ভধারণ করে ও সন্তান জন্ম দেয়, সেখানে প্রকৃতি যেন আমাদের শেখায়—জীবনের সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে তার ব্যতিক্রমীতায়।
🪸 ক্ষুদ্র এই সামুদ্রিক প্রাণীটি যেন প্রকৃতির এক আশ্চর্য রূপকথা—যেখানে ভালোবাসা, দায়িত্ব ও জীবনের ধারাবাহিকতা এক অনন্য সুরে বাঁধা। সিহর্সের এই ব্যতিক্রমী প্রজনন প্রক্রিয়া শুধু বিজ্ঞানীদেরই নয়, আমাদের প্রত্যেককেই বিস্মিত করে তোলে। এটি প্রমাণ করে, প্রকৃতি যতই রহস্যময় হোক না কেন, তার প্রতিটি সৃষ্টি একেকটি অনন্য গল্প বলে—জীবনের, সৃষ্টির, আর ভালোবাসার গল্প।
🚧 এইধরনের নতুন নতুন তথ্যপূর্ণ পোস্ট পেতে হলে আমাদের পেজটিকে ফলো করবেন।।

নিশ্বাসের সময় কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করা মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অবিচ্ছেদ্য প্রক্রিয়া। তাহলে Carbon Neutrality ব...
27/10/2025

নিশ্বাসের সময় কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করা মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অবিচ্ছেদ্য প্রক্রিয়া। তাহলে Carbon Neutrality বা কার্বন নিরপেক্ষতা যার মানে হচ্ছে একজন মানুষের জীবদ্দশায় তার কর্তৃক কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরনের পরিমাণ শূন্য, ব্যাপারটি কীভাবে সম্ভব? ব্যাপারটি হচ্ছে মানুষ কর্তৃক কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরন বন্ধ না করা গেলেও সেটি প্রশম করা সম্ভব। এটি ঠিক গণিতে প্লাসকে মাইনাস দিয়ে কাটাকাটি করার মত বা এসিডকে ক্ষার দিয়ে প্রশম করে ফেলার মত। এক্ষেত্রে সর্বোত্তম উপায় হচ্ছে গাছ লাগানো। কারণ গাছ বায়ুমন্ডল থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে। এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি তার পুরো জীবদ্দশায় বা জীবনের শুরুর বছরগুলোতে যে পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরন করবে তা শোষণ করতে প্রয়োজনীয় সেই পরিমাণ গাছ লাগাতে হবে।
আট মাস বয়সী রুহাবকে কার্বন নিরপেক্ষ করতে তার বাবা-মা চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সাতক্ষীরার শিবপুরে তাদের গ্রামের বাড়িতে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ৫৮০টি ফলজ ও বনজ গাছ রোপণ করেছেন। এর মধ্যে একটি গাছও মারা গেলে বা উপড়ে ফেলা হলে নতুন আরেকটি রোপণ করা হবে।
এক্ষেত্রে প্রথমে তারা রুহাবের জন্ম থেকে শুরু করে ১ বছর বয়স পর্যন্ত তার বিভিন্ন কর্মকান্ড যেমন- হাসপাতালে ব্যবহৃত জ্বালানির পরিমাণ, পরিবহন, তার খাবার কিনতে, বাসার বিভিন্ন কাজ, এক কথায় তার সাথে জড়িত সকল কাজে কী পরিমাণ জ্বালানি খরচ হবে ও এক্ষেত্রে কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরনের পরিমাণ অনুমান করেছেন। এরপর তারা এই অনুমিত পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইডকে শোষণ করতে কী পরিমাণ গাছ লাগবে তা অনুমান করে সেগুলো রোপণ করেছেন, যা ছিল ৫৮০ টি গাছ। গাছ লাগানোর পাশাপাশি তারা দৈনন্দিন কাজে পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহারেও সচেতন ছিলেন, যেমন- পুনঃব্যবহারযোগ্য শিশু-সামগ্রী ব্যবহার।
একটি গাছ বছরে প্রায় ২২ কেজি কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করতে পারে। অর্থাৎ রুহাবের জন্য লাগানো গাছগুলো বছরে প্রায় ১২ টন কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করবে। তবে গাছ লাগানো ছাড়াও একজন ব্যক্তির কার্বন নিরপেক্ষ হওয়ার আরো কিছু উপায় রয়েছে, যেমন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার, দৈনন্দিন জীবনে শক্তির ব্যবহার যথাসম্ভব কমানো, বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব উদ্যোগে সহায়তা করা ইত্যাদি।
বাংলাদেশে কার্বন নিরপেক্ষ শিশুর ঘটনা এই প্রথম দেখা গেলেও বিশ্বে এর আরো নজির রয়েছে। বিশ্বের প্রথম কার্বন নিরপেক্ষ শিশু হচ্ছে ভারতের তামিলনাড়ুর আদাভি, যার বাবা-মা তাদের বাড়ির আশেপাশে লাগিয়েছিলেন ৬০০০ টি ফলগাছ।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের মধ্যে শিল্পায়ন ও জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে কার্বন নিঃসরনের পরিমাণ বেড়েছে। এমতাবস্থায় রুহানের বাবা-মার এই উদ্যোগ পরিসরে ছোটো হলেও ভবিষ্যত প্রজন্মকে একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে কার্যকর। কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণের পাশাপাশি এই গাছগুলো মাটির ক্ষয় রোধ, বন্যপ্রাণীর বসতি, ভূগর্ভস্থ পানি ধরে রাখা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও অবদান রাখবে যা সাতক্ষীরার মতো দুর্যোগপ্রবণ এলাকার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ। এই উদ্যোগটি সকল দেশবাসীর জন্য একটি বৃহৎ অনুপ্রেরণা। তবে সবার ক্ষেত্রে এত পরিমাণে গাছ রোপণ সম্ভব না হলেও উল্লেখিত অন্যান্য উপায় অবলম্বন করেও যে কেউ কার্বন নিরপেক্ষ হতে পারে।
Zakiya Afroj Tamanna
Team Science Bee

তুমি কি জানো, রাতে না ঘুমালে ব্রেনের কোষগুলো একে অপরকে খেয়ে ফেলে?বিশ্বাস হচ্ছে না? Bellesi, Journal of Neuroscience তাই ...
26/10/2025

তুমি কি জানো, রাতে না ঘুমালে ব্রেনের কোষগুলো একে অপরকে খেয়ে ফেলে?
বিশ্বাস হচ্ছে না? Bellesi, Journal of Neuroscience তাই বলছে। নিচে আমি তোমাকে স্লিপ সাইকেল ঠিক করার ১০০% বৈজ্ঞানিক উপায় বলবো। এ টিপসগুলো যদি ফলো করতে পারো তবে পড়াশোনায় আরও বেশি মনোযোগ বাড়াতে পারবা। ইন-শা-আল্লাহ।
Sleep Cycle 100% ঠিক করার বৈজ্ঞানিক উপায়:
1.ফিক্সড টাইম রুটিন -
প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো ও একই সময়ে ওঠা সবচেয়ে কার্যকরী অভ্যাস। এতে শরীরের স্বাভাবিক সার্কেডিয়ান রিদম (Biological Clock) ঠিক থাকে, ফলে ঘুম আসতে সময় লাগে না এবং সকালে সতেজ অনুভূত হয়। রেফারেন্স: Sleep Health Journal, 2023
2. পর্যাপ্ত ঘুম -
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য গড়ে ৭–৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। এর কম হলে শরীর ক্লান্ত হয়, মস্তিষ্কে মনোযোগ কমে যায়, আর দীর্ঘমেয়াদে হার্ট ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। রেফারেন্স: National Sleep Foundation
3. ডিজিটাল ডিটক্স -
ঘুমের অন্তত ১ ঘণ্টা আগে মোবাইল, ট্যাব বা কম্পিউটার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। স্ক্রিন থেকে নির্গত ব্লু লাইট “মেলাটোনিন” নামক হরমোন কমিয়ে দেয়, যা ঘুম আসতে বাধা সৃষ্টি করে।
রেফারেন্স: Harvard Health Publishing
4. ক্যাফেইন এড়ানো -
চা, কফি, চকলেট বা এনার্জি ড্রিঙ্কে থাকা ক্যাফেইন ঘুম ভাঙিয়ে দেয়। তাই ঘুমের অন্তত ৪–৬ ঘণ্টা আগে এসব খাওয়া এড়ানো উচিত। রেফারেন্স: Medical News Today
5. শরীরচর্চা -
দিনে হালকা থেকে মাঝারি ব্যায়াম (যেমন হাঁটা, জগিং বা যোগব্যায়াম) রাতে গভীর ঘুমে সহায়ক। তবে ঘুমানোর একদম আগে ভারী ব্যায়াম করা উল্টো ঘুমের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
রেফারেন্স: Sleep Foundation
6. ন্যাপ সীমিত রাখা -
দিনে ঘুমালে (nap) সেটা ১৫–২০ মিনিটের বেশি হওয়া উচিত নয়। দীর্ঘ ন্যাপ শরীরের ঘুমের চাপ (Sleep Pressure) কমিয়ে দেয়, ফলে রাতে ঘুমাতে দেরি হয়। রেফারেন্স: Oxford Academic – Sleep Journal
7. ঘুমের পরিবেশ ঠিক রাখা -
ঘর ঠাণ্ডা, অন্ধকার ও নীরব রাখলে ঘুম দ্রুত আসে এবং গভীর হয়। অন্ধকার ঘর মেলাটোনিনের উৎপাদন বাড়ায়, যা ঘুমকে প্রাকৃতিকভাবে সহায়তা করে। রেফারেন্স: Sleep Foundation
8. রিল্যাক্সেশন রুটিন -
ঘুমের আগে ধ্যান, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, হালকা বই পড়া বা নরম সঙ্গীত শোনা দেহ ও মনের স্ট্রেস কমিয়ে ঘুমকে সহজ করে তোলে। রেফারেন্স: PMC – Relaxation Techniques
Happy sleeping.
শাদমান আবরার
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
টিচার, ACS Future School

🧠 ১️ মানুষের মস্তিষ্ক দিনে ৬০,০০০-এরও বেশি চিন্তা তৈরি করে!❤️ ২️ হৃদপিণ্ড দিনে প্রায় ১ লাখ বার ধড়ফড় করে!🩸 ৩️ শরীরের সব র...
25/10/2025

🧠 ১️ মানুষের মস্তিষ্ক দিনে ৬০,০০০-এরও বেশি চিন্তা তৈরি করে!
❤️ ২️ হৃদপিণ্ড দিনে প্রায় ১ লাখ বার ধড়ফড় করে!
🩸 ৩️ শরীরের সব রক্তনালী একসাথে ছড়ালে প্রায় ১ লক্ষ কিলোমিটার লম্বা হবে!
🦷 ৪️ দাঁতের এনামেল শরীরের সবচেয়ে শক্ত পদার্থ!
👀 ৫️ চোখ খোলা রেখে হাঁচি দেওয়া অসম্ভব!
🦴 ৬️ মানুষের হাড় কংক্রিটের চেয়েও মজবুত!
🖐️ ৭️ প্রতিটি আঙুলের ছাপ আলাদা — এমনকি যমজদেরও!
🩻 ৮️ তোমার শরীরে ২০৬টা হাড় আছে, কিন্তু শিশুর জন্মের সময় থাকে প্রায় ৩০০টা!
💤 ৯️ঘুমের সময়ও তোমার মস্তিষ্ক কাজ করে — স্মৃতি ঠিক করে রাখে!
😮‍💨 🔟 মানুষ এক দিনে প্রায় ২০,০০০ বার শ্বাস নেয়!
আপনার যা কিছু জানার থাকে কমেন্টে প্রশ্ন করতে পারো আমরা তার সাথে সাথেই পোস্ট আকারে শুধুমাত্র মুক্তজ্ঞান ফেসবুক পেজে তোমাদেরকে জানিয়ে দেবো। ধন্যবাদ💝

নতুন এক গবেষণায়, বিজ্ঞানীরা ক্যান্সার শনাক্তকারী ইমিউন সেলের জন্য এক ধরনের "জিপিএস" তৈরি করেছেন, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা...
24/10/2025

নতুন এক গবেষণায়, বিজ্ঞানীরা ক্যান্সার শনাক্তকারী ইমিউন সেলের জন্য এক ধরনের "জিপিএস" তৈরি করেছেন, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বানানো হয়েছে। এটি মূলত এমন এক ন্যাভিগেশন সিস্টেম, যা ক্যান্সার ধ্বংসকারী "টি সেলকে" ক্যান্সার কোষের অবস্থান বুঝতে সাহায্য করে, ঠিক যেমন গুগল ম্যাপ মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
এই পদ্ধতিটি ইমিউনোথেরাপির একটি রূপ, যেখানে AI-এর সাহায্যে ডিজাইন করা ছোট প্রোটিন "টি সেলের" গায়ে বসানো হয়। এই প্রোটিনগুলো ক্যান্সার কোষকে শনাক্ত করতে গিয়ে জিপিএসের মতো কাজ করে। গবেষক টিমোথি জেনকিন্স ও তার দল এই গবেষণাটি করেছেন টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ ডেনমার্ক-এ।
তারা তিনটি AI মডেল ব্যবহার করেছে এই প্রোটিন ডিজাইন করার জন্য। প্রথম মডেল ‘RFdiffusion’ ক্যান্সার কোষের গঠন বিশ্লেষণ করে তার সঙ্গে মিলতে পারে এমন প্রোটিনের গঠন তৈরি করে। দ্বিতীয় মডেল সেই গঠনের জন্য উপযুক্ত অ্যামিনো অ্যাসিড সিকোয়েন্স সাজায়। তৃতীয় মডেল সবগুলো ডিজাইন যাচাই করে। হাজার হাজার ডিজাইনের মধ্যে তারা ৪৪টি বাছাই করে, যার মধ্যে একটি সবচেয়ে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়।
এই গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের "টি সেলে" যখন এই AI-ডিজাইন করা প্রোটিন যোগ করা হয়, তখন সেলগুলো দ্রুত মেলানোমা ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে পারে।
এই গবেষণার ভিত্তি তৈরি করেছে সেই কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইন প্রযুক্তি, যা ২০২৪ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিল। আগের পদ্ধতিগুলোতে যেখানে মাসের পর মাস সময় লাগত সঠিক প্রোটিন খুঁজে বের করতে, সেখানে এখন AI ব্যবহার করে এক থেকে দুই দিনের মধ্যে ডিজাইন তৈরি করা যায় এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষাও শেষ করা যায়।
তবে গবেষকরা বলছেন, এটি এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। এই থেরাপি মানুষের শরীরে কার্যকর হবে কিনা তা বুঝতে এখনো অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার। এর জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর আগে আরও গবেষণা হবে ল্যাব এবং পশুর দেহে। ভবিষ্যতে এটি ক্যান্সারের জন্য এক ধরনের ব্যক্তিগত থেরাপি তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে!

নারীদের মধ্যে ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতার ঝুঁকি পুরুষদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এই পরিসংখ্যানটি কেবল একটি সংখ্যা নয়, এটি বিশ্...
23/10/2025

নারীদের মধ্যে ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতার ঝুঁকি পুরুষদের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এই পরিসংখ্যানটি কেবল একটি সংখ্যা নয়, এটি বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ নারীর জীবনের এক কঠিন বাস্তবতা। এতদিন এই বৈষম্যের ব্যাখ্যায় মূলত সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক কারণগুলোকেই প্রাধান্য দেওয়া হতো। যেমন, পুরুষদের সাহায্য চাওয়ার প্রবণতা কম হওয়ায় তাদের রোগ নির্ণয় কম হয়, অথবা নারীরা যৌ’ন নি’র্যা’তন এবং ব্যক্তিগত স’হিং’সতার শিকার বেশি হন।
কিন্তু সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার QIMR Berghofer Medical Research Institute এর গবেষকরা এই বিতর্কে একটি নতুন জৈবিক দৃষ্টিকোণ যুক্ত করেছে। Nature Communications জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় দেখা গেছে, বিষণ্ণতার ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের জেনেটিক বা বংশগত পার্থক্য বেশ স্পষ্ট।
গবেষকরা নারীদের মধ্যে বিষণ্ণতার সঙ্গে যুক্ত ১৬টি জেনেটিক ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করেছেন, যেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে তা মাত্র আটটি। এটি এখন পর্যন্ত বিষণ্ণতায় লিঙ্গভিত্তিক পার্থক্যের ওপর করা সবচেয়ে বড় জেনেটিক স্টাডি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রায় ১.৩ লাখ বিষণ্নগ্রস্ত নারী ও ৬৫ হাজার পুরুষ, পাশাপাশি বিষণ্নতামুক্ত আরও কয়েক লাখ ব্যক্তি।
যদিও গবেষণায় বিষণ্ণতায় ভোগা নারীর সংখ্যা পুরুষের প্রায় দ্বিগুণ ছিল তবে গবেষকরা অতিরিক্ত বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত করেছেন যে স্যাম্পল সাইজের এই পার্থক্য ফলাফলের উপর কোনো প্রভাব ফেলেনি।
যদিও বিষণ্ণতার ঝুঁকির জন্য দায়ী অনেক জেনেটিক ভ্যারিয়েন্ট পুরুষ ও নারী উভয়ের মধ্যেই বিদ্যমান। তবে গবেষকদের মতে, নারীদের মধ্যে জেনেটিক ঝুঁকির বোঝা বেশি, যা মূলত ‘ফিমেল স্পেসিফিক ভেরিয়েটগুলোর’ কারণে হতে পারে।
গবেষণাটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, এটি নারীদের ক্ষেত্রে বিষণ্ণতা এবং কিছু শারীরিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে শক্তিশালী জেনেটিক সংযোগ খুঁজে পেয়েছে। যেমন, বডি মাস ইনডেক্স (BMI) এবং অন্যান্য বিপাকীয় বৈশিষ্ট্যের সাথে বিষণ্ণতার জেনেটিক সম্পর্ক নারীদের মধ্যে পুরুষদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। অর্থাৎ বিষণ্ণতা শুধু মানসিক নয়, নারীদের ক্ষেত্রে তা শরীরের ভেতরেও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জিনগুলোর কার্যপ্রণালি আরও ভালোভাবে বোঝা গেলে ভবিষ্যতে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি তৈরির পথ খুলে যেতে পারে, যা আরও ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও কার্যকর হবে।
নোট: গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা ছিলেন কেবল ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত। ফলে এই ফলাফল বিশ্বের অন্যান্য জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে কতটা প্রযোজ্য হবে, তা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। (বিজ্ঞান্বেষী)
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
#বিষণ্ণতা

গভীর রাতে হঠাৎ বোবায় ধরেছে? আসলে আপনার সাথেই হচ্ছেটা কী!বোবায় ধরা" বা স্লিপ প্যারালাইসিস... আমাদের মধ্যে এমন অভিজ্ঞতা এক...
20/10/2025

গভীর রাতে হঠাৎ বোবায় ধরেছে? আসলে আপনার সাথেই হচ্ছেটা কী!
বোবায় ধরা" বা স্লিপ প্যারালাইসিস... আমাদের মধ্যে এমন অভিজ্ঞতা একবার না একবার প্রায় সবারই হয়েছে। সেই সময়টা কী ভয়ঙ্কর, তাই না? মনে হয় কেউ যেন বুকের ওপর চেপে আছে, চিৎকার করেও গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোয় না!
​কিন্তু ভয় পাবেন না। এটা কোনো ভৌতিক কাণ্ড নয়, বরং আপনার শরীর ও মস্তিষ্কের একটা ছোট্ট ভুল বোঝাবুঝি।
​🧠 ভেতরের রহস্যটা শুনুন:
​আমরা যখন স্বপ্ন দেখি (REM ঘুম), আমাদের মস্তিষ্ক কিন্তু খুব চালাক। সে আপনার হাত এবং পা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়, যাতে স্বপ্নে দৌড়ালেও বাস্তবে আপনি বিছানা থেকে পড়ে না যান। এটাকে বিজ্ঞানীরা বলেন অ্যাটোনিয়া (Atonia)।
​গন্ডগোলটা তখনই লাগে, যখন আপনার মন হঠাৎ জেগে ওঠে কিন্তু শরীরের সেই লকডাউন অবস্থাটা কাটতে দেরি হয়! এককথায় মন জেগে আছে, কিন্তু শরীর তখনও ঘুমাচ্ছে।
​এর ফলে আপনি সব দেখছেন, শুনছেন, কিন্তু নড়তে বা কথা বলতে পারছেন না। আর সেই সময়ে যে আতঙ্ক বা ছায়া দেখার অনুভূতি হয়, তা আসলে ঘুমের রাজ্যের হ্যালুসিনেশন!
​সুতরাং, পরের বার এমন হলে জানবেন, আপনি এক মিনিটের জন্য আপনার মস্তিষ্কের নিরাপত্তা লক* এ ফেঁসে গেছেন! গভীর শ্বাস নিন, নিজেকে শান্ত করুন কয়েক সেকেন্ডেই সব ঠিক হয়ে যাবে।

19/10/2025

যে বক্তব্যের পরে বহিষ্কৃত হলেন এনসিপি নেতা
#দারুণতথ্য

দীর্ঘ দশ বছরের গবেষণার পর অবশেষে বিজ্ঞানীরা এমন এক যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছেন, যা ভবিষ্যতে কিডনি প্রতিস্থাপনের চিত্...
19/10/2025

দীর্ঘ দশ বছরের গবেষণার পর অবশেষে বিজ্ঞানীরা এমন এক যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছেন, যা ভবিষ্যতে কিডনি প্রতিস্থাপনের চিত্রই বদলে দিতে পারে। এবার তৈরি হয়েছে এমন এক ধরনের কিডনি, যা যেকোনো রক্তের গ্রুপের মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হতে পারে। এই ‘ইউনিভার্সাল কিডনি’ প্রযুক্তি কার্যকরভাবে ব্যবহার করা গেলে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার সময় অনেকটাই কমে যাবে এবং অগণিত মানুষের জীবন রক্ষা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই গবেষণাটি করেছেন কানাডা ও চীনের একদল বিজ্ঞানী। তারা একসঙ্গে কাজ করে এমন একটি কিডনি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন, যা কোনো নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপের সঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়। পরীক্ষার জন্য তারা একটি কিডনি একজন মস্তিষ্ক-মৃত ব্যক্তির শরীরে প্রতিস্থাপন করেন, এবং সেই ব্যক্তির পরিবারের অনুমতিতেই এই গবেষণা চালানো হয়।
বর্তমানে রক্তের গ্রুপ O (টাইপ O) রোগীদের জন্য কিডনি পাওয়া সবচেয়ে কঠিন। কারণ, টাইপ O রোগীদের কেবল টাইপ O দাতার কিডনিই দেওয়া যায়। অথচ টাইপ O কিডনি অন্য সব রক্তের গ্রুপের মানুষের শরীরেও কাজ করতে পারে বলে এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ফলে অর্ধেকেরও বেশি রোগী কিডনি প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় বছরের পর বছর কাটিয়ে দেন।
রক্তের গ্রুপ নির্ভর করে লাল রক্তকণিকার গায়ে থাকা বিশেষ চিহ্নের (যাকে বলা হয় অ্যান্টিজেন) উপর। আমাদের শরীরে থাকা অ্যান্টিবডি কোনো অচেনা অ্যান্টিজেন দেখলেই সেটিকে ‘বিদেশি’ হিসেবে শনাক্ত করে আক্রমণ করে। তাই ভুল রক্ত বা ভিন্ন রক্তের গ্রুপের অঙ্গ শরীরে প্রতিস্থাপন করলে শরীর সেটিকে প্রত্যাখ্যান করে ফেলে।
বর্তমানে ভিন্ন রক্তের গ্রুপের কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হলেও প্রক্রিয়াটি অনেক জটিল। এতে রোগীর শরীরকে আগে থেকেই বিশেষভাবে প্রস্তুত করতে হয়, প্রচুর অর্থ লাগে এবং ঝুঁকিও থাকে। তাছাড়া সাধারণত জীবিত দাতার কিডনিই এই পদ্ধতিতে ব্যবহার করা যায়।
নতুন এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা একটি অভিনব উপায়ে সমস্যার সমাধান খুঁজে পেয়েছেন। তারা বিশেষ কিছু এনজাইম ব্যবহার করেছেন, যা টাইপ A রক্তের কিডনি থেকে সেই চিনি-অণুগুলো (অ্যান্টিজেন) কেটে সরিয়ে দেয়—যেগুলোর কারণে সেটি টাইপ A হিসেবে চিহ্নিত থাকে। এই এনজাইমগুলো আসলে অণু-স্তরের কাঁচির মতো কাজ করে। ফলে অ্যান্টিজেন সরিয়ে দেওয়ার পর কিডনিটি টাইপ O রক্তের মতো হয়ে যায়, যা সবার শরীরে মানিয়ে নিতে পারে।
তবে এখনো এই প্রযুক্তি পুরোপুরি নিরাপদভাবে মানুষের দেহে ব্যবহারের উপযুক্ত নয়। পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতিস্থাপিত কিডনিটি তৃতীয় দিনে আবার কিছুটা টাইপ A অ্যান্টিজেন তৈরি করতে শুরু করে। ফলে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা হালকা প্রতিক্রিয়া দেখায়। কিন্তু আশার কথা হলো, প্রতিক্রিয়াটি প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম ছিল, এবং শরীরের ভেতরে কিডনিটিকে গ্রহণ করার প্রবণতা দেখা গিয়েছে।
শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিদিন গড়ে ১১ জন মানুষ কিডনি না পেয়ে মারা যান, এবং তাঁদের বেশিরভাগই টাইপ O কিডনির অপেক্ষায় থাকেন। তাই বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন দিক থেকে সমাধানের পথ খুঁজছেন—কেউ শূকরের কিডনি ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করছেন, কেউবা নতুন ধরনের প্রতিরোধক ওষুধ তৈরি করছেন। কিন্তু যদি একদিন যেকোনো রক্তের গ্রুপের মানুষ যেকোনো কিডনি গ্রহণ করতে পারেন, তাহলে কিডনি প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে এটি হবে এক নতুন যুগের সূচনা।

19/10/2025

যাদের ক্যালসিয়ামের লেবেল একবারে কমে গিয়াছে তারা এই ভিডিওটা ফলোআপ করতে পারেন।
#দারুণতথ্য

রোদে না যাওয়া মানে শুধু ভিটামিন D-এর অভাব না, বরং পুরো শরীরের বায়োলজিক্যাল ব্যালান্সের ভাঙন!রোদে না গেলে যেসব সমস্যা হয় ...
17/10/2025

রোদে না যাওয়া মানে শুধু ভিটামিন D-এর অভাব না, বরং পুরো শরীরের বায়োলজিক্যাল ব্যালান্সের ভাঙন!
রোদে না গেলে যেসব সমস্যা হয় তার লিস্ট করতে গেলে বহু পাতা বিশিষ্ট বই লিখতে হবে!
রোদ হলো ফ্রি মেডিসিন, ফ্রি ভ্যাকসিন, ফ্রি এনার্জি সোর্স।
তবুও আমরা একে ভয় পাই, কারণ আধুনিক প্রোপাগান্ডা আমাদের ব্রেইনওয়াশ করে প্রকৃতিবিরুদ্ধ জীবনযাপনে ঠেলে দিয়েছে।
অথচ ১৯২০-৩০ এর দিকে ইউরোপেই এমন ক্লিনিক ছিলো যেখানে মানুষকে ভর্তি করার পর রোদ পোহানোর জন্য বেড ছিলো! একে বলা হতো হেলিওথেরাপি।
সূর্যের আলো মানুষের সার্কাডিয়ান রিদমের সবচেয়ে শক্তিশালী জাইটগিবার (Zeitgeber)। জাইটগিবার বলতে বোঝায় এমনসব বাহ্যিক সংকেত যা আমাদের শরীরের biological clock বা circadian rhythm-কে সময়ের সঙ্গে সিংক বা রিসেট করে।
কখন ঘুমাতে হবে, কখন উঠতে হবে, কখন ক্ষুধা লাগবে -এ সবই নিয়ন্ত্রিত হয় অন্তর্নিহিত ঘড়ি দ্বারা, আর সেই ঘড়িকে সময়মতো চালাতে সাহায্য করে বাহ্যিক জাইটগিবার-রা।
সূর্যের আলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাইটগিবার! আমাদের মস্তিষ্ক ও শরীর এই সূর্যালোক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ার জন্য ডিজাইন করা।
সূর্যের আলো মস্তিষ্কের সুপ্রাচিয়াসমেটিক নিউক্লিয়াস (SCN)-এর উপর প্রভাব বিস্তার করে। SCN হলো সার্কাডিয়ান রিদমের প্রধান নিয়ন্ত্রক।
সূর্যের আলো যখন চোখের উপর পড়ে তখন একটি সংকেত SCN-এর অভ্যন্তরীণ ঘড়ির সময়সূচী সমন্বয় করে। এরই নাম- সার্কাডিয়ান রিদম সিনক্রোনাইজ। এর ফলে মানুষের শারীরিক ও মানসিক কার্যকারিতা সঠিক ও সবচেয়ে উত্তম হয়, যার মধ্যে রয়েছে ঘুম-জাগরণ চক্র, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, হরমোন নিঃসরণ, খাদ্যগ্রহণ ও বিপাক ইত্যাদি।
সার্কাডিয়ান রিদমের প্রকৃত দৈর্ঘ্য গড়ে ২৪ ঘন্টা ১১ মিনিট অর্থাৎ পৃথিবীর দিন থেকে কিছুটা বেশী। তাই এটি প্রতিদিন কিছুটা দেরিতে চলতে চায়। সকালে সূর্যের আলো এটিকে সঠিক ২৪ ঘণ্টার চক্রে ফিরিয়ে আনে।
কিন্তু যদি সকালে সূর্যের আলো না পাওয়া যায় তবে দেহঘড়ি তার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী দেরিতে চলতে শুরু করে। দিনের পর দিন এভাবে ঘটতে থাকলে একসময় সার্কাডিয়ান রিদমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়! যাকে বলে ‘সার্কাডিয়ান ডিসরাপশন’!
ধরুন, আপনার ঘড়ি দিনে ১১ মিনিট এগিয়ে বা পিছিয়ে যায়। অবশ্যই প্রতিদিন সকালে এই ঘড়িটিকে ১১ মিনিট পিছিয়ে বা এগিয়ে দিতে হবে। যদি সপ্তাহ বা মাস ধরে ঘড়িটিকে সিনক্রোনাইজ না করেন তবে আপনার সিডিউলের যে পরিণতি হবে— প্রতিদিন সকালে সূর্যের আলোতে যেয়ে দেহের সার্কাডিয়ান রিদম সিনক্রোনাইজ না করলে আপনার স্বাস্থ্যেরও একই অবস্থাই হবে!
আর বর্তমানে আমরা সেটাই দেখতে পাচ্ছি মানব জাতির সার্বিক হেলথ ম্যানেজমেন্টে! সামনে আরো দেখতে পাবো- যখন বিশ্বে প্রত্যেকটি পরিবারে অন্তত একজন ক্যান্সারে আক্রান্ত সদস্য বা একজন ডিজএ্যাবল সদস্য থাকবে!
যেমন, বর্তমান বিশ্বে এমন পরিবার পাওয়া বিরল, যে পরিবারে অন্তত একজন ডায়াবেটিস বা হাইপারটেনশন বা কার্ডিও রোগী নেই!
সার্কাডিয়ান রিদম প্রতিদিন সঠিকভাবে সিনক্রোনাইজ হলে রাতের শুরুতেই ঘুম আসার প্রক্রিয়া সহজ হয় এবং ঘুমের মান উন্নত হয়। যারা বিভিন্ন ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য পিল বা সাপ্লিমেন্ট কোনো সমাধান নয়। বরং নিয়মিত সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় সূর্যের আলোতে এক্সপোজ হওয়া এবং রাতে সবধরনের কৃত্রিম আলো থেকে কঠোরভাবে দূরে থাকার মধ্যেই তাদের জন্য স্থায়ী সমাধান ও প্রকৃত উপকার রয়েছে।
রোদে যাওয়ার ব্যাপারটা মানুষ ফ্রিতেই পায়, তাই কঞ্জিউমার ক্যাপিটালিজম রোদকে ভিলেন বানিয়েছে। কসমেটিকস ইন্ডাস্ট্রি, স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড ও ফার্মাসিউটিক্যাল মার্কেটিং রোদকে ক্ষতিকর হিসেবে প্রচার করেছে, যেন মানুষ ভিটামিন D-এর জন্য বাইরে না যেয়ে সানস্ক্রিন, সাপ্লিমেন্ট ও ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে!
এতে মানুষ নিত্যনতুন লাইফস্টাইল ডিজিজেও আক্রান্ত হচ্ছে!
রোদে না গেলে যা হয়—
- ভিটামিন D ঘাটতি
- ইনফ্লামেটরি ডিজিজ (যেমন আর্থ্রাইটিস, অটোইমিউন সমস্যা)
- ঘুমের ব্যাঘাত (কারণ মেলাটোনিন উৎপাদন ব্যাহত হয়)
- মেটাবলিক সিনড্রোম (ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা)
- চোখের দুর্বলতা
- মানসিক ক্লান্তি
- এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি
ভিটামিন D মূলত সূর্যের আলো থেকেই প্রাপ্ত হয়, খাদ্য থেকে নয়।দেহে ভিটামিন D তৈরি হয় UV-B রশ্মির মাধ্যমে। UV লাইট ছাড়া দেহে ভিটামিন D তৈরি হয় না।
যখন সূর্যের আলো ত্বকে পড়ে, তখন ত্বকের 7-ডিহাইড্রোকোলেস্টেরল রূপান্তরিত হয়ে প্রোভিটামিন D3 হয়, যা পরে লিভার ও কিডনিতে প্রসেস হয়ে ভিটামিন D-তে পরিণত হয়।
এই ভিটামিন D ছাড়া কোনো সুস্থ-সবল মানুষের অস্তিত্ব কল্পনা করা সম্ভব না! এটি হাড়, ইমিউন সিস্টেম, হরমোন, মুড, মেটাবলিজম -সবকিছুর সঙ্গে জড়িত। যাদের ভিটামিন D ঘাটতি আছে তাদের শরীরটা হলো নানান রোগের বাসা!
এই ভিটামিন D ছাড়া—
- হাড় দুর্বল হয়ে যায়
- রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়
- মানসিক অবসাদ, ক্লান্তি, ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়
- হরমোনাল ভারসাম্য নষ্ট হয়
- ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
বাজারের বেশিরভাগ কৃত্রিম সানস্ক্রিনে থাকে অক্সিবেনজোন (Oxybenzone), অ্যাভোবেনজোন (Avobenzone), অক্টিনক্সেট (Octinoxate) ইত্যাদি কেমিক্যাল! এগুলো ত্বকের মাধ্যমে রক্তে প্রবেশ করে, হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে, এন্ডোক্রাইন ডিসরাপ্টর হিসেবে কাজ করে! এই কেমিক্যালস জলজ প্রাণীর জন্যও বি/ষা/ক্ত। সবচেয়ে ভয়ংকর যেটা- এগুলো সূর্যের আলোতে অক্সিডাইজ হয়ে ত্বকেই ফ্রি র‍্যাডিকেল তৈরি করতে পারে! অর্থাৎ তথাকথিত যে সুরক্ষা দিতে এসেছে, সেটাই শেষমেশ ক্ষতি করে।
বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থানের কারণে রোদের অপকার নেই বললেই চলে। এখানে রোদের তীব্রতা কখনোই ইউরোপ বা আমেরিকার মতো ক্ষতিকর হয় না। রোদের অপকার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুষ্টি বা লাইফস্টাইলজনিত। সূর্যের আলো নিজে ক্ষতিকর নয়; অতিরিক্ত এক্সপোজার, পানিশূন্যতা এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ঘাটতির কারণে ক্ষতি হয়।
সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সূর্যস্নান করলে ভিটামিন D উৎপাদন হয় সর্বোচ্চ মাত্রায় এবং কোনো ক্ষতি ছাড়াই।
বাকী সময়ের রোদে না গেলে ভাল, কারণ কালো হয়ে যাবেন! তবে এটা ক্ষতিকর কিছু না।
রোদে গেলে ত্বক কালো হয়, কারণ যখন রোদের UV-B রশ্মি ত্বকে পড়ে, তখন ত্বকের মেলানোসাইটস কোষগুলো বেশি করে মেলানিন উৎপন্ন করে। এই ত্বক কালো হওয়া কোনো ক্ষতি না, বরং বডির ইন্টেলিজেন্ট সেল ডিফেন্স সিস্টেম!
মেলানিন হলো এক প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন, এটা সূর্যের ক্ষতিকর UV রশ্মি শোষণ করে ত্বককে পোড়া, ক্যান্সার ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
এদেশে যারা সারাদিন সারাজীবন মাঠের কড়া রোদে কাজ করে তাদের কি কখনো স্কিন ক্যান্সার হইতে শুনেছেন? স্কিন ক্যান্সার হয় কাদের সেটা একটু খোঁজ নেন।
বাংলাদেশের কৃষক, শ্রমিক, জেলেরা বছরের পর বছর খোলা আকাশের নিচে কাজ করেন। তাদের ত্বক প্রকৃতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। তাদের মধ্যে ভিটামিন D লেভেল বেশি এবং ত্বকে মেলানিনের ঘনত্ব বেশি হওয়ায় UV তাদের ক্ষতি করতে পারে না। তাদের মধ্যে স্কিন ক্যান্সারের হার প্রায় শূন্য! তারা সুস্থ, শক্তিশালী ও সাধারণত হাড়-গোড়ের রোগে কম ভোগেন!
গবেষণায় দেখা গেছে, স্কিন ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি হয় ফর্সা চামড়ার, ঠান্ডা আবহাওয়ার মানুষদের মধ্যে, যেমন ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার জনগোষ্ঠী।
এর কারণ তাদের মেলানিন কম, ফলে ত্বক UV রশ্মি প্রতিরোধ করতে পারে না। শীতের দেশে রোদের কোণ কম থাকে, তাই হঠাৎ করে গ্রীষ্মের রোদে গেলে ত্বক সহজে পুড়ে যায়।
বাংলাদেশ, ভারত, আফ্রিকার মতো দেশে, যেখানে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই রোদে থাকে এবং সবার ত্বক গাঢ় মেলানিনে সুরক্ষিত, সেখানে স্কিন ক্যান্সার অতি বিরল ঘটনা।
তবে এমনিতে অবশ্যই দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টার প্রখর রোদে দীর্ঘক্ষণ না থাকা ভালো। কারণ এই সময় অস্বস্তি, পানিশূন্যতা বা হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
মানুষের শরীরে প্রাকৃতিকভাবেই সানস্ক্রিন দেয়া আছে। কৃত্রিম বি/ষা/ক্ত কেমিক্যাল লাগানোর কোনো দরকার নেই। সেই প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনটি হলো মেলানিন (Melanin)। মেলানিন হলো আমাদের শরীরের বিল্ট-ইন অ্যান্টি-ইউভি সিস্টেম!
ত্বকের মেলানোসাইট কোষগুলো মেলানিন তৈরি করে। UV রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে এটা ত্বক, চোখ, এমনকি মস্তিষ্ক পর্যন্ত সুরক্ষা দেয়। UV রশ্মি ত্বকে পড়লে মেলানিন তা শোষণ করে এবং এর ক্ষতিকর শক্তিকে তাপে রূপান্তরিত করে ছড়িয়ে দেয়। ফলে DNA ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, কোষে ক্যান্সার সৃষ্টির সম্ভাবনা কমে যায়।
UV রশ্মি ছাড়াও রোদের প্রায় ৫৪% হলো Near Infrared Light (NIR), যা চোখে দেখা যায়না, কিন্তু শরীরের গভীরে প্রবেশ করতে পারে। এটি শরীরের ইনফ্লামেশন কমায়, মেলাটোনিন উৎপাদন বাড়ায়, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে, গাট মাইক্রোবায়োম ভাল রাখে, চোখ ও হাড়গোড় সুস্থ রাখে। এটি প্রকৃতির একটি বিনামূল্যের থেরাপি!
NIR রশ্মি ইমিউন সিস্টেমকে এমনভাবে শক্তিশালী করে যে, এটি সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক টিকার মতো কাজ করে!
এর উপকারিতাগুলো হলো—
- ইনফ্লামেশন (সোয়েলিং/জ্বালাভাব) কমায়
- সেলুলার মেলাটোনিন উৎপাদন বাড়ায়। যা ঘুম নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে
- মাইটোকন্ড্রিয়ার কার্যক্ষমতা বাড়ায়, ফলে শক্তি উৎপাদন ভালো হয়
- ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে
- গাট মাইক্রোবায়োম সুস্থ রাখে। পরিপাকতন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে
- চোখ, ত্বক ও হাড়ের কোষ পুনর্গঠনে সহায়তা করে
- সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় করে।
- ডিপ্রেশন ও মানসিক চাপ কমায়
ক্যাপ্টেন গ্রিন

16/10/2025

চট্টগ্রাম ইপিজেডে কারখানায় আগুন। ১ ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসলে ধ্বসে পড়তে পাড়ে বিল্ডিং; বলছেন প্রত্যক্ষদর্শী

Address

Dhaka
1230

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when স্বাস্থ্যের প্রাথমিক চিকিৎসা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share