Haque Narratives

Haque Narratives LET'S E X P L O R E

ইতিহাসে মানুষের চিকিৎসা চর্চার নানা অদ্ভুত দিক দেখা যায়। চিকিৎসার নামে মানুষ মানুষের দে হ খা*চ্ছে ভাবা যায়! মধ্যযুগে এমন...
21/08/2025

ইতিহাসে মানুষের চিকিৎসা চর্চার নানা অদ্ভুত দিক দেখা যায়। চিকিৎসার নামে মানুষ মানুষের দে হ খা*চ্ছে ভাবা যায়! মধ্যযুগে এমনিই এক প্রথা ইউরোপে চালু ছিল। এ প্রথাকে বলা হতো মেডিকেল ক্যানিবালিজম (medical cannibalism)।

ইতিহাসবিদদের ভিত্তিতে, ইউরোপে মমি খাওয়ার প্রথা ১২শ থেকে ১৭শ শতাব্দী পর্যন্ত চালু ছিল। সবচেয়ে জনপ্রিয় সময় ছিল ১৬ থেকে ১৭ শতক। ১৮শ শতকের শুরু পর্যন্ত কিছু দেশে এটি চালু ছিল। যদিও ১৮শ শতকের মাঝামাঝি থেকে আধুনিক বিজ্ঞানের উন্নতির পর এই ধারণা ভ্রান্ত প্রমাণিত হয় এবং তা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়।

প্রাচীন আরবে মুমিয়া (mumiya)নামে এক প্রকার কালো পিচ বা বিটুমিন চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতো। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভুল অনুবাদ ও ভুল ব্যাখ্যার কারণে মুমিয়া শব্দটি মিশরের মমিকে বোঝাতে শুরু করে। ফলস্বরূপ ইউরোপে মিশরীয় মমির গুঁড়া, হাড় কিংবা অন্য অংশকে নানা রোগ নিরাময়ের ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়।

বিষে বিষ খাটে প্রবাদের মতো তৎকালীন মানুষদের বিশ্বাস ছিল—একই জিনিস একই রোগকে সারায়। তাই মাথাব্যথা হলে মাথার খুলি গুঁড়া, রক্তপাত বন্ধ করতে মানুষের রক্ত, আর হাড় ভাঙলে হাড়ের টুকরো বা গুঁড়া খা ও য়া হতো। অনেকেই মনে করতেন, মৃতদেহে বিশেষ এক ধরনের নিরাময় ক্ষমতা রয়েছে, যা জীবিত মানুষকে রোগমুক্ত করতে পারে।

মমির গুঁড়া ও হাড় সাধারণত ওষুধ বা মদে মিশিয়ে খাওয়ানো হতো। কখনো এটি চকলেট বা ওয়াইনের সঙ্গেও পরিবেশন করা হতো। আবার মৃতদেহ থেকে সংগৃহীত চর্বি ক্ষতস্থানে মলম হিসেবে লাগানো হতো। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের দেহ থেকে এই চর্বি সংগ্রহ করে বিক্রি করা হতো। এমনকি ইংল্যান্ডের রাজা দ্বিতীয় চার্লসের ওষুধ তৈরিতেও মানুষের হাড়ের গুঁড়া ব্যবহার করা হতো।

তবে শুধু ইউরোপ নয়, চীনের ইতিহাসেও এরকম উদাহরণ আছে। অনেকসময় করুণা বা কর্তব্যের কারণে আত্মীয়রা অসুস্থ প্রিয়জনকে নিজের শরীরের অংশ খাওয়াতেন। এটিকে বলা হয় এন্ডোক্যানিবালিজম (endocannibalism)। তবে ইউরোপীয় প্রথা ছিল বাজারকেন্দ্রিক ও বাণিজ্যিক, যেখানে মমির গুঁড়া পর্যন্ত ইউরোপ জুড়ে বিক্রি হতো।

#অদ্ভুতইতিহাস

07/03/2025

sometimes we fail to narrate our feelings. Cause we hardly find proper words to express

প্রাচীন মায়া সভ্যতার অন্তর্গত টেওটিহুয়াকান নামক জায়গায় একটি আর্কিওলজিক্যাল সাইটে খুঁজে পাওয়া গেল একজন নারীর কংঙ্কাল। অব...
10/01/2025

প্রাচীন মায়া সভ্যতার অন্তর্গত টেওটিহুয়াকান নামক জায়গায় একটি আর্কিওলজিক্যাল সাইটে খুঁজে পাওয়া গেল একজন নারীর কংঙ্কাল। অবশ্য এমন প্রাচীন কংঙ্কাল তো এই প্রাচীন সাইটগুলিতে কতই খুঁজে পাওয়া গেছে। তবে এর বৈশিষ্ট কী?
আজ থেকে প্রায় এক হাজার সাতশো বছর আগের মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা এই কংঙ্কালটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট খুঁজে পাওয়া গেছে। কংঙ্কালের বেশ কয়েকটি দাঁত এখনও ইন্টাক্ট অবস্থায় রয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হল সেই দাঁতগুলোর মধ্যে একটি আবার বাঁধানো। সেই বাঁধানো দাঁতটি তৈরি হয়েছিল সেই সময়ে মায়া সভ্যতায় পাওয়া যেত এমন একটি মূল্যবান পাথর দিয়ে। মায়ানরা জেড পাথর দিয়ে নানান মূল্যবান সামগ্রী তৈরি করতো। এই নারীর বাঁধানো দাঁতটিও সেই জেড পাথরের তৈরি। সম্ভবত বাঁধানো দাঁতের এই কনসেপ্ট মায়ানদের ক্ষেত্রে প্রাচীনতম। দাঁতটি তার ম্যান্ডিবলের সাথে আশ্চর্য পন্থায় সিমেন্ট বা ফাইবার জাতীয় কোনো এঢিসিভ দিয়ে সংযুক্ত ছিল। কার্বন ডেটিং পরীক্ষার ফল বলছে, এটি ৩৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৪৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কোনো এক সময়ে তৈরি। বর্তমানে মিউজিয়াম অফ আর্টিফেক্টস'এ কংঙ্কালটি সংরক্ষণ করে রাখা আছে...

বাচ্চাকে ব্যাগে ভরে এক মায়ের বাজারের ছবিটি (বামে) ১৯৮৭ সালে বুদাপেস্টের এক বাজার থেকে তোলা। পরের ছবিটি ৩৩ বছর পর ২০২০ সা...
25/11/2024

বাচ্চাকে ব্যাগে ভরে এক মায়ের বাজারের ছবিটি (বামে) ১৯৮৭ সালে বুদাপেস্টের এক বাজার থেকে তোলা। পরের ছবিটি ৩৩ বছর পর ২০২০ সালে তোলা (ডানে)। এবারও একই মা-মেয়ে আগের মতো ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে আছেন!

বর্তমান প্রজন্ম এই গানগুলোর আবেগ বুঝতে পারবে না। আমরা যারা আর্লি নাইনটিজে জন্মগ্রহণ করেছি তারাই জানি এই গানগুলো আমাদের ক...
23/11/2024

বর্তমান প্রজন্ম এই গানগুলোর আবেগ বুঝতে পারবে না। আমরা যারা আর্লি নাইনটিজে জন্মগ্রহণ করেছি তারাই জানি এই গানগুলো আমাদের কাছে কী মর্ম বহন করে।

Address

Dhanmondi
Dhaka
1209

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Haque Narratives posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Haque Narratives:

Share

Category