Hasan Sajid

Hasan Sajid "Software Developer | Writes on current issues"
(5)

20/07/2025

অনেকেই মনে করে CGPA যদি ৩ এর নিচে হয়, তাহলে বিদেশে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পাওয়া সম্ভব না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কম CGPA থাকা মানেই স্কলারশিপ থেকে ছিটকে পড়া নয়। ২.৫০, ২.৭০ বা এমনকি ২.৮০ CGPA থাকা অনেকেই স্কলারশিপ পেয়েছে, কারণ তারা শুধুমাত্র CGPA নয়, পুরো প্রোফাইলকে গুরুত্ব দিয়েছে। অনেক সময় আমরা শুধু সিজিপিএকেই বড় করে দেখি, অথচ রিয়েলিটি হলো IELTS বা GRE তে ভালো স্কোর, ইউনিভার্সিটি লাইফে রিসার্চ অভিজ্ঞতা, ভালো মানের পাবলিকেশন, প্রফেশনাল SOP ও স্ট্রং Recommendation Letter এসবই মিলেই তৈরি হয় একটি শক্তিশালী প্রোফাইল।

লো CGPA থাকলেও যদি কারও রিসার্চ এক্সপেরিয়েন্স থাকে, গাইডলাইন ফলো করে আগেই কোনো প্রফেসরকে কনভিন্স করতে পারে, ভালো একটি প্রপোজাল সাবমিট করে তাহলে সে অনেক সময় হাই CGPA ওয়ালাদের থেকেও স্কলারশিপ পেয়ে যায়। তাই CGPA কম থাকলে হতাশ হবেন না, বরং চিন্তা করুন কোন কোন জায়গায় আপনি নিজের প্রোফাইলকে আরও শক্তিশালী করতে পারেন।

CGPA অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু একমাত্র জিনিস না। কম CGPA কে অন্য ভালো দিক দিয়ে কভার করার অনেক উপায় আছে। যারা স্কলারশিপ পেয়েছে, একটু খোঁজ নিলে দেখবেন তাদের অভিজ্ঞতা, স্কিলস আর কাজের প্রতি আগ্রহই মূল কারণ ছিল। তাই শুধু সিজিপিএ দেখে নিরাশ না হয়ে, নিজের সামগ্রিক প্রোফাইল গড়ে তুলুন। তাহলে আপনিও পারবেন স্কলারশিপ ম্যানেজ করতে সেটা ২.৫০ CGPA হলেও।

© Hasan Sajid



19/07/2025

আমি একটা কথা অনেক দিন ধরে ভাবছি। আমাদের দেশে ব্যাংক আছে কত রকম সরকারি, বেসরকারি, ইসলামিক, কনভেনশনাল সবই আছে। কিন্তু আপনি যদি গিয়ে বলেন, “ভাই, বিদেশে মাস্টার্স করতে যাচ্ছি পার্শিয়াল ফান্ডিং পেয়েছি একটু লোন দরকার” তখন সবাই মুখ ফিরিয়ে নিবে। সোজা সাপ্টা বলবে, এই লোন বাংলাদেশে হয় না, অনেক ঝামেলা এই টাইপের কথা।

কিন্তু এই একই ব্যাংকগুলো কোটি কোটি টাকার লোন দিয়ে দেয় কিছু চিহ্নিত বড়লোক রিনখেলাপিদের, যাদের একটা বড় অংশ সেই টাকা কোনোদিন ফেরত দেয় না। কাগজে কলমে কিছু হিসাব হয়, তারপর সব চুপচাপ।

তাহলে আমাদের মতো সাধারণ ছাত্ররা যাবে কোথায়?

দেশে স্কয়ার, ওয়ালটন, আকিজ, প্রাণ এই রকম বড় বড় গ্রুপ আছে। যারা দেশের বাইরেও ব্যবসা করছে, কয়েক হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করছে। কিন্তু বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে চাওয়া মেধাবী ছাত্রদের জন্য সহজ কোনো লোন, স্কলারশিপ বা একটা ছোট সহায়তাও তারা খুব কমই দেয়। অনুষ্ঠান করে,ফুটবল টুর্নামেন্টের স্পন্সর করে কিন্তু শিক্ষাথীদের পেছনে খরচ করে না, কারণ ওখানে ক্যামেরা যায় না, ওখানে লোক দেখানো যায় না।

অন্যদিকে ভারতকে দেখুন। ওদের ব্যাংক, কোম্পানি, এমনকি কিছু প্রাইভেট কলেজ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ায়। বিদেশে মাস্টার্স করতে চাইলে ওরা লোন দেয় অনেক সময় গ্যারান্টর ছাড়া। পরিবার, সমাজ, প্রতিষ্ঠান সবাই মিলে সাপোর্ট দেয়। কারণ তারা জানে, এটার রিটার্ন আছে, এটা খরচ না, এটা ইনভেস্টমেন্ট।

আর আমরা? আমাদের দেশে যদি আপনি বলেনআমি বিদেশে পড়তে যেতে চাই তখন আত্মীয়স্বজন বলবে, আগে ভিসা পাও, পরে দেখবো, স্কলারশিপ না পেলে যাওয়ার দরকার নেই। কিন্তু আপনি যদি বলেন “সরকারি চাকরি লাগবে, ঘুষ দিতে হবে” তখন সেই আত্মীয়রাই নিজে থেকে টাকা যোগাড় করতে রাজি হয়ে যাবে। কারণ তাদের চোখে ওই চাকরিটা সোনার হরিণ। একবার ঢুকতে পারলেই তারা ভাবে, জীবন সেট।

আমরা এখনো শিক্ষাকে ‘খরচ’ ভাবি, ‘ইনভেস্টমেন্ট’ না। আর এই মানসিকতা যতদিন থাকবে, ততদিন আমাদের উন্নতির গল্প কাগজে থাকবে, বাস্তবে না।

Hasan Sajid

18/07/2025

কোন দেশে কত IELTS স্কোর লাগে?

এটা একটা ভুল কথা। বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবজেক্টের উপর কত স্কোর লাগবে নির্ভর করে। যেকোন সময় ইউনিভার্সিটির রিকোয়ারমেন্ট পরির্বতন হতে পারে।তাই সব চেয়ে ভালো হবে নিজ নিজ ডিপার্টমেন্টর ওয়েবসাইটে একটু চেক করে দেখা।

🌍 ইউরোপ (Europe)

🇳🇴 Norway

University of Oslo – IELTS 6.0

🇫🇷 France

Télécom Paris – IELTS 5.5

🇳🇱 Netherlands

Wageningen University & Research – IELTS 6.0

Utrecht University – IELTS 6.0

🇪🇸 Spain

Autonomous University of Barcelona – IELTS 6.0

🇧🇪 Belgium

Ghent University – IELTS 5.5

Antwerp Management School – IELTS 6.0

KU Leuven – IELTS 6.0

🇦🇹 Austria

University of Vienna – IELTS 6.0

Vienna University of Technology – IELTS 5.5

🇬🇷 Greece

Budapest Metropolitan University (mistakenly labelled Greece in list) – IELTS 6.0

🏴 Scotland

University of Dundee – IELTS 6.0

🇬🇧 UK

University of Manchester – IELTS 6.0

University of Bristol – IELTS 6.0

University of Glasgow – IELTS 6.0

University of Sheffield – IELTS 6.0

University of Birmingham – IELTS 6.0

Lancaster University – IELTS 6.0

University of Leeds – IELTS 6.0

University of Aberdeen – IELTS 6.0

University of Leicester – IELTS 6.0

University of Sussex – IELTS 6.0

University of Liverpool – IELTS 6.0

Queen Mary University of London – IELTS 6.0

🌏 উত্তর আমেরিকা (North America)

🇺🇸 USA

California State University – IELTS 5.5

North Dakota State University – IELTS 5.5

Old Dominion University – IELTS 5.5

Southern Arkansas University – IELTS 5.5

University of Alabama in Huntsville – IELTS 5.5

University of Mississippi – IELTS 5.5

University of New Haven – IELTS 5.5

University of Missouri – IELTS 5.5

University of South Alabama – IELTS 5.5

State University of New York (SUNY) – IELTS 5.5

Ohio University – IELTS 5.5

University of Texas–Pan American – IELTS 5.5

Central Michigan University – IELTS 5.5

University of Louisiana – IELTS 5.5

Southern New Hampshire University – IELTS 5.5

New Mexico State University – IELTS 5.5

Kent State University – IELTS 6.0

Murray State University – IELTS 6.0

Washington State University – IELTS 6.0

Oklahoma City University – IELTS 6.0

University of Florida – IELTS 6.0

Texas A&M University – IELTS 6.0

🇨🇦 Canada

St. Clair College – IELTS 6.0

Charles Sturt University Canada – IELTS 6.0 (AUS uni)

Sault College – IELTS 6.0

Concordia University – IELTS 6.0

Canadore College – IELTS 6.0

Royal Roads University – IELTS 6.0

Algonquin College – IELTS 6.0

Lethbridge College – IELTS 6.0

Camosun College – IELTS 6.0

University of Alberta – IELTS 6.5

Brock University – IELTS 6.5

🇦🇺 Australia

University of Queensland – IELTS 6.0

University of Adelaide – IELTS 6.0

RMIT University – IELTS 6.0

Australian Catholic University – IELTS 6.0

Charles Darwin University – IELTS 6.0

Swinburne University of Technology – IELTS 6.0

University of South Australia – IELTS 6.0

Victoria University – IELTS 6.0

University of Wollongong – IELTS 6.0

University of Newcastle – IELTS 6.0

University of Southern Queensland – IELTS 6.0

Murdoch University – IELTS 6.0

🇳🇿 New Zealand

Victoria University of Wellington – IELTS 6.0

University of Waikato – IELTS 6.0

University of Otago – IELTS 6.0

University of Canterbury – IELTS 6.0

Auckland University of Technology – IELTS 6.0

Lincoln University – IELTS 6.0

Massey University – IELTS 6.0

University of Auckland – IELTS 6.0

Eastern Institute of Technology – IELTS 6.0

©Hasan Sajid

17/07/2025

ফ্রান্সে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছো? আগে এই পোস্ট না পড়ে এক কদমও বাড়িও না!

অনেকেই ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা নিয়ে আগ্রহী। আমি যখন এ নিয়ে পোস্ট দিই, তখন অনেক ছাত্র-ছাত্রী আগ্রহ দেখায়, জানতে চায়, রিসার্চ করে কীভাবে স্কলারশিপ পাওয়া যায়, পড়াশোনার খরচ কীভাবে ম্যানেজ করা যায়, পার্টটাইম কাজের সুযোগ কতটুকু।

এইরকম আগ্রহী মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেখে ভালো লাগে। কিন্তু একইসাথে কিছু মানুষ থাকে, যারা নিজের জীবনে কিছু করেই না তারা কমেন্ট করে ফ্রান্সে তো চাকরি নাই, ভাষা ছাড়া কিছু হয় না, মানুষ না খেয়ে থাকে, বিদেশ যাওয়ার সবই ফাঁদ এই টাইপ নেতিবাচক কথা।

আমি সবসময় বলি আপনি দুনিয়াকে যেভাবে দেখেন, আপনার জীবনও ঠিক সেভাবেই গড়ে ওঠে।

একটা সহজ উদাহরণ দিই। আপনার বয়সী একজন ছেলে বাসায় টিউশন করে, ছোটখাটো স্কিল শিখে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ১০-১৫ হাজার টাকা ইনকাম করছে। আর আপনি? সারাদিন ফেসবুক-ইউটিউব দেখে সময় কাটান, অথচ এক পয়সাও ইনকাম করেন না। এতে কারও দোষ না আপনার স্কিল নেই, আপনার ইচ্ছেও নেই।

যার চেষ্টা আছে, সে দেশেই হোক বা বিদেশে প্রতিদিন একটু একটু করে এগিয়ে যায়।

প্রতি ইনটেকে শত শত পাকিস্তানি স্টুডেন্ট ফ্রান্সে যাচ্ছে। তারা কি না খেয়ে আছে? তারা ক্লাস করছে, পার্ট টাইম কাজ করছে, নিজের খরচ ম্যানেজ করছে। অনেকে আবার পড়াশোনা শেষে কোম্পানির স্পন্সর নিয়ে ফুল টাইম চাকরিতে ঢুকেছে। কারও কারও বর্তমান মাসিক আয় ২–৩ লাখ টাকার সমান ইউরোতে।

আর আপনি এখান থেকে বসে বলে যাচ্ছেন, ওরা না খেয়ে আছে! জব নাই!

এর মধ্যে এমন পাবলিকও আছে যাদের না ভালো রেজাল্ট আছে, না টাকা আছে, না স্কিল আছে, না রিসার্চ করার মানসিকতা আছে। গুগল করা পর্যন্ত কষ্টকর মনে করে। কিন্তু স্কলারশিপ চায়, ১০০% ভিসা গ্যারান্টি চায়, IELTS ছাড়া যেতে চায়, এমনকি ভাবেও ইউনিভার্সিটি না বুঝে তাদেরকেই স্কলারশিপ দেবে!

একটু বাস্তবতা বুঝুন। IELTS একটা মাত্র পরীক্ষা।
আর আপনি সেইটুকু পরীক্ষা দিতেই ভয় পাচ্ছেন।
তারপর সারাদিন খোঁজেন IELTS ছাড়া স্কলারশিপ পাওয়া যায় কি না? ভাই, এমন প্রশ্ন শুনে হাসবো না কাঁদবো, সেটাই বুঝতে পারি না।

অনেকে বলে, আমার তো MOI আছে, IELTS না দিলেও হবে। তাদের উদ্দেশ্যে বলি MOI তখনই কাজে লাগে, যখন আপনার ইংরেজিতে ভালো কমিউনিকেশন স্কিল আছে। যাদের স্পোকেন ইংলিশ ভালো, যারা আত্মবিশ্বাসের সাথে ইন্টারভিউ দিতে পারে, তাদের জন্য MOI কার্যকর হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি শুধু মুখস্থ করা উত্তর দিয়ে ইন্টারভিউ দিতে যান, ২টা ঘুরিয়ে প্রশ্ন করলেই যদি মাথা ঘুরে যায় তাহলে MOI দিয়ে কি হবে?

ফ্রান্সে যেতে হলে আপনাকে সাধারণত ৩ ধাপে ইন্টারভিউ ফেইস করতে হবে। Campus France Interview যেটি শিক্ষাগত যোগ্যতা, উদ্দেশ্য, কোর্স চয়েস, ফাইন্যান্স ইত্যাদি দেখে। University Interview (in some cases) যদি আপনি ভালো ইউনিভার্সিটি বা প্রাইভেট কলেজে এপ্লাই করেন। Embassy Visa Interview এখানে মূলত দেখা হয় আপনি সত্যিকারের ছাত্র কি না, আপনার পেছনে কোনো ভিসা মিসইউজ হবার সম্ভাবনা আছে কি না ইত্যাদি।

ভাই, বাস্তবতা হলো ভিসা পেলে শুরু, কিন্তু বিদেশে টিকে থাকতে হলে আপনাকে প্রতিদিন যুদ্ধ করতে হবে।
আপনার ইংলিশ ভালো না হলে, আপনি ইন্টারভিউ ফেইস করতে পারবেন না, পার্টটাইম কাজও পেতে অসুবিধা হবে, কারণ সেখানেও ইন্টারভিউ আছে।
IELTS না দিয়ে বিদেশ যাওয়া মানে হলো ছাতা ছাড়া ঝড়ের মধ্যে বের হওয়া।
দেখতে ভালো লাগতে পারে, কিন্তু পরিণাম ভয়ংকর।

বাস্তবতা হলো যার চোখে সমস্যা, তাকে সোনা দিয়ে চশমা বানালেও সে দেখবে না। নেগেটিভ বলার আগে নিজেকে একবার জিজ্ঞেস করুন আপনি নিজে কি কিছু করছেন? না শুধু মন্তব্য করেই যাচ্ছেন?

ফ্রান্সে পড়াশোনার সুযোগ আছে। কাজের সুযোগ আছে। সেটা নিতে হলে দরকার সাহস, আগ্রহ, স্কিল আর সঠিক প্রস্তুতি। এইগুলো থাকলে আপনি দেশেও ভালো করবেন, বিদেশেও।

শেষ কথা তথ্যহীন আত্মবিশ্বাস = বিপদ। আর তথ্যভিত্তিক প্রস্তুতি = সাফল্য।

© Hasan Sajid



16/07/2025

ফ্রান্সে ভিসা পাওয়া যায় না? গুজবের মুখোশ খুলে দিলাম আজ! ভিসা রেশিও আসলে কী? রিজেকশনের আসল কারণ কী? জানুন সোজা কথায়।

ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা নিয়ে আমি কিছু তথ্য শেয়ার করেছিলাম, যেটা অনেক মানুষই পজিটিভভাবে গ্রহণ করেছেন। তবে কিছু মানুষ নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন, বিশেষ করে অনেকে বলেছেন “বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের ভিসা রেশিও নাকি খুব কম।” এই কথার প্রেক্ষিতে কিছু পরিষ্কার কথা বলি।

আসলে, পৃথিবীর কোন দেশেরই ভিসা রেশিও ১০০% না এবং “ভিসা রেশিও” বলে আসলে আলাদা করে কিছু নেই। এটা নির্ভর করে আপনি কেমনভাবে অ্যাপ্লাই করেছেন, ডকুমেন্টস কতটা পরিপূর্ণ, আর্থিক প্রমাণ কেমন, আপনি কী বোঝাতে পেরেছেন, সেটার উপর।

অনেকে জার্মানির উদাহরণ দেন সেখানে নাকি ১০০ জনের মধ্যে ৯৯ জনই ভিসা পান। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে জার্মানিতে ভিসা পাওয়ার হার অনেক ভালো। কারণটা হলো সেখানে পড়াশোনার খরচ তুলনামূলক কম, টিউশন ফি নেই বললেই চলে, আর সব অ্যাপ্লিকেন্টরা বাংলাদেশ থেকেই আগে থেকেই ব্লকড অ্যাকাউন্টে পুরো এক বছরের খরচ জমা দিয়ে দেয়। এতে এম্বাসি আর্থিক দিক থেকে নিশ্চিন্ত থাকে, সন্দেহ থাকে না।

ফ্রান্সেও একই বিষয় প্রযোজ্য। যেকোনো দেশের এম্বাসি আগে দেখে আপনার আর্থিক সামর্থ্য কেমন, স্পন্সর কে, ব্যাংক স্টেটমেন্ট বিশ্বাসযোগ্য কিনা, বাসস্থানের প্রমাণ আছে কিনা, ইনস্যুরেন্স আছে কিনা, এবং আপনি সত্যি পড়াশোনার জন্য যাচ্ছেন কিনা।

ভিসা রিজেক্ট হয় মূলত তখনই যখন ডকুমেন্টস ঠিকঠাক না থাকে, স্পন্সরশিপ দুর্বল হয়, ব্যাংকে হঠাৎ করে টাকা ঢুকিয়ে স্টেটমেন্ট বানানো হয়, কিংবা SOP/Motivation Letter দুর্বল হয়।

তাই বলবো, শুধু গুজব শুনে নিরুৎসাহিত হবেন না। আপনার যদি প্রস্তুতি ঠিক থাকে, কাগজপত্র গোছানো থাকে, আর্থিক প্রমাণ বাস্তবসম্মত হয় তাহলে ফ্রান্সের ভিসাও পাওয়া সম্ভব, অন্য দেশের মতোই।

সঠিক তথ্য নিয়ে কাজ করুন, গুজবে কান না দিয়ে নিজেকে গড়ুন। সঠিক পথে চললে বিদেশে উচ্চশিক্ষা এখন আর কোনো স্বপ্ন নয় বরং বাস্তব।

© Hasan Sajid

15/07/2025

বাংলাদেশি স্টুডেন্টরা জানেই না, ইউরোপে ফ্রান্সই একমাত্র দেশ যেখানে স্টুডেন্টদের বাসাভাড়ায় সরকার টাকা দেয়!

অনেকেই কানাডা, জার্মানি, আমেরিকা নিয়ে স্বপ্ন দেখে… অথচ ফ্রান্সে এমন কিছু “সিক্রেট লেভেলের” স্টুডেন্ট সুবিধা আছে, যা ইউরোপের অন্য কোথাও কল্পনাও করা যায় না! এখানে আপনি বিদেশি হয়েও মাসে ২০০–৩০০ ইউরো পর্যন্ত বাসাভাড়ার উপর সরাসরি সরকারি ভর্তুকি (CAF) পাবেন—এটা শুধুই ফ্রান্সের গর্ব! প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা বৈধভাবে কাজ করতে পারবেন, যেখানে ঘণ্টায় ইনকাম ১১ ইউরো পর্যন্ত! নিজের খরচ তো উঠেই যাবে, অনেকে দেশে টাকা পর্যন্ত পাঠায়!

আরও জোস ব্যাপার? মাস্টার্স শেষ করলেই হাতে চলে আসবে ১ বছরের পোস্ট স্টাডি ওয়ার্ক পারমিট (APS) চাকরি খুঁজুন কিংবা নিজের স্টার্টআপ শুরু করুন, কোনো বাঁধা নেই! ফ্রান্স সরকার স্টুডেন্টদের ফ্রি হেলথ ইনস্যুরেন্স দেয়, যেটা ইউরোপে রেয়ার! পাবলিক ট্রান্সপোর্টে বিশাল ছাড়, আর Étudiant Pass থাকলে থিয়েটার, সিনেমা, মিউজিয়াম অনেক কিছুই ফ্রি বা মাত্র ১ ইউরোতে!

কম ইনকাম বা স্কলারশিপে পড়ছেন? চিন্তা নাই! CROUS হল সিস্টেমে মাত্র ১৫০–২০০ ইউরোতে থাকতে পারবেন আর ১ ইউরোতে পাবেন গরম গরম মানসম্মত খাবার! স্টুডেন্টদের জন্য ফ্রি সাইকোলজিকাল কাউন্সেলিং সুবিধা আছে, যেটা আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ধরে রাখবে। পাবেন লাইফটাইম লাইব্রেরি ও ডিজিটাল রিসোর্স এক্সেস, যা সারাজীবন কাজে লাগবে!

ফ্রান্সে পড়লেই ইউরোপিয়ান কানেকশন তৈরি হয়
Erasmus+, Pan-European Conference, Exchange Program সবকিছুতেই অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হয়। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেই ‘অ্যাজাইল ফাস্ট ট্র্যাক ভিসা প্রসেসিং’ হয়, Campus France ও দূতাবাস থেকে আলাদা সাপোর্ট থাকে। এমনকি ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কোনো ডিপোজিট লাগে না, কিছু ব্যাংক ৫০–১৫০ ইউরো ওয়েলকাম বোনাস পর্যন্ত দেয়!

সবচেয়ে দারুণ দিক? ফ্রান্সের স্টুডেন্ট রেসিডেন্ট হয়েই আপনি ২৬টি শেঙ্গেন দেশে ভিসা ছাড়াই ঘুরে বেড়াতে পারবেন! আর যদি ৫ বছর পড়াশোনা ও কাজ করে ফেলেন, তাহলে নাগরিকত্ব বা PR পাওয়ার জন্য আবেদন করাও হয়ে যাবে অনেক সহজ!

কিন্তু… একটা বড় ভুল!

অনেকেই আছেন, যারা মৌমাছির মতো এক দেশ থেকে আরেক দেশে ‘অপরচুনিটি’ খুঁজে বেড়ান। আজ ইউরোপ, কাল আমেরিকা, পরশু অস্ট্রেলিয়া! কিন্তু বাস্তবতা হলো, নিজের উপর একটাকাও ইনভেস্ট করতে রাজি না। নিজে পুরোপুরি প্রস্তুত না, নিজের থেকে ঠিকভাবে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন না তবুও কারো সহায়তা চাইবেন না। আবার সহায়তা নিলেও সেই সাপোর্টের পেছনে সামান্য পারিশ্রমিক দিতেও অনীহা!

একটা কথা মনে রাখবেন এখানে কেউ আপনাদের জন্য বসে নেই। আপনাকে নিজের স্বপ্নের প্রতি দায়বদ্ধ হতে হবে, নিজের ভবিষ্যতের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুধু খুঁজে বেড়ালে হবে না, একটা জায়গায় স্থির হয়ে কাজ শুরু করুন। না হলে এই ‘অপরচুনিটি খোঁজার ভ্রমণ’ একসময় শুধুই হতাশায় পরিণত হবে।

ফ্রান্স শুধু একটা দেশ না, এটা একটা লাইফ আপগ্রেড!
যেখানে পড়াশোনা মানেই শুধু সার্টিফিকেট না স্বপ্ন, নিরাপত্তা, স্বাধীনতা আর ইউরোপিয়ান ভবিষ্যতের দরজা খুলে যায়।

আপনি যদি সত্যিই সিরিয়াস হন, তাহলে এখনই সিরিয়াস সিদ্ধান্ত নিন। আর যদি শুধু গল্প করতে চান
ইনবক্স নয়, কফির দোকানেই ভালো চলবে।

© Hasan Sajid

14/07/2025

ফ্রান্সে বছরে মাত্র ২৭৭০ ইউরো টিউশন ফি! আন্তর্জাতিক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ৭টি সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়!

বিদেশে মাস্টার্স করবেন, কিন্তু খরচের চিন্তায় পিছিয়ে যাচ্ছেন? অনেকেই জানেন না, ফ্রান্সে কিছু বিশ্বমানের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেখানে আপনি বছরে মাত্র ২৭৭০–৩৭৭০ ইউরো টিউশন ফি দিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন।

এগুলো শুধু কম খরচের জন্যই নয়, গবেষণা, স্কলারশিপ এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দিক থেকেও দারুণ শক্তিশালী।

প্রস্তাবিত ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়:

1. University of Strasbourg
বিজ্ঞান ও মেডিকেল রিসার্চে ইউরোপের শীর্ষে।

2. University of Orléans
হিউম্যানিটিজ থেকে শুরু করে রিনিউএবল এনার্জি
বিভিন্ন আধুনিক বিষয়ে পড়ার সুযোগ।

3. Grenoble INP
এআই ও ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ইউরোপের অন্যতম সেরা প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট।

4. University of Burgundy
ফুড টেকনোলজি, এনভায়রনমেন্ট ও অ্যাগ্রোটেকে স্পেশালাইজড কোর্স।

5. University of Montpellier
পাবলিক হেলথ, লাইফ সাইন্সেস এবং পরিবেশবিদ্যায় আন্তর্জাতিক ফোকাস।

6. Paris-Saclay University
Times Higher Education-এ ফ্রান্সের শীর্ষ ৫-এ। স্কলারশিপ সুবিধাও চমৎকার।

7. Nantes University
ব্যালান্সড জীবনযাত্রা, সহজ অ্যাকসেস, এবং ভালো স্কলারশিপ ফান্ড।

টিউশন ফি: Bachelor : ~€2,770 ইউরো ইয়ারলি, Master: ~€3,770 ইউরো ইয়ারলি।

বিষয়সমূহ:Computer Science, Engineering, Data Science, Environmental Science, Public Health, Business, Marine Biology, Architecture ইত্যাদি।

স্কলারশিপের সুযোগ: Eiffel Excellence Scholarship, Erasmus Mundus Joint Masters,
CROUS Regional Grants. কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব merit-based স্কলারশিপও রয়েছে।

কেন ফ্রান্স: কয়েক বছরের চেয়ে বর্তমানে ভিসা রেসিও ভালো। পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক পারমিট সুবিধা।
আন্তর্জাতিক ছাত্রদের জন্য সরকারি সাপোর্ট
তুলনামূলক কম খরচে বিশ্বমানের শিক্ষা।

এই পোস্টটি শেয়ার করুন সেইসব শিক্ষার্থীদের সাথে যারা উচ্চশিক্ষা চায় কিন্তু টাকার চিন্তায় পিছিয়ে যায়। ফ্রান্স হতে পারে তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো গন্তব্য!

©Hasan Sajid



13/07/2025

তাইওয়ানে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ জানলে আপনার ভাবনা বদলাবে।

তাইওয়ান ধীরে ধীরে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গোপন রত্ন হয়ে উঠছে। এখানে রয়েছে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়, উন্নত গবেষণা সুবিধা, নিরাপদ পরিবেশ এবং পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি। সবচেয়ে বড় কথা হলো এখানে ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপের অভাব নেই, শুধু জানার অভাব আছে!

প্রথমেই বলি Taiwan MOE Scholarship– এটি মাস্টার্স ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য, যেখানে টিউশন ফি কভার করা হয় এবং প্রতি মাসে প্রায় ২০,০০০ তাইওয়ানি ডলার (৭০,০০০ টাকার বেশি) স্টাইপেন্ড দেওয়া হয়। আবেদন করতে হয় ঢাকায় অবস্থিত তাইওয়ান দূতাবাসের মাধ্যমে। এরপর রয়েছে Taiwan ICDF Scholarship, যেখানে ব্যাচেলর থেকে শুরু করে পিএইচডি পর্যন্ত ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ পাওয়া যায়। এতে এয়ার টিকিট, হোস্টেল, ইনশিওরেন্সসহ মাসিক ভাতা ১২,০০০ থেকে ১৭,০০০ তাইওয়ানি ডলার পর্যন্ত পাওয়া যায়।

গবেষণায় আগ্রহীদের জন্য রয়েছে TIGP (Taiwan International Graduate Program) — যা একমাত্র পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য এবং প্রতি মাসে প্রায় $1000 ডলার স্কলারশিপ দেয়। এটি পরিচালনা করে Academia Sinica, যেটি তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় রিসার্চ প্রতিষ্ঠান।

এছাড়া, National Taiwan University (NTU), NTHU, NCKU, NCTU-এর মতো বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরাই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য টিউশন ফি মওকুফ ও মাসিক ভাতা দিয়ে থাকে। স্কলারশিপ পেতে খুব বেশি কঠিন যোগ্যতা লাগে না – CGPA ৩.০০+, IELTS ৬.০+ থাকলেই এবং ভালো SOP ও রিকমেন্ডেশন থাকলে সুযোগ মিস হওয়ার কথা নয়।

তাইওয়ানে উচ্চশিক্ষা মানে শুধু পড়াশোনা নয় এটি একটি সম্ভাবনার দরজা, যেখানে কম খরচে পড়া, গবেষণা ও ক্যারিয়ার তিনটিই সম্ভব। এখনই যদি প্রস্তুতি না নেন, তাহলে আগামী বছরের স্কলারশিপ রাউন্ডও মিস করতে পারেন!

©Hasan Sajid

12/07/2025

ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা সুযোগ আছে, কিন্তু আমরা কতটা কাজে লাগাচ্ছি?

ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি সুবিধাজনক ও সাশ্রয়ী। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফি অত্যন্ত কম, রয়েছে ইংরেজি মাধ্যমে ব্যাচেলর ও মাস্টার্স করার সুযোগ, এবং রয়েছে পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক পারমিটসহ নানা সরকারি সাপোর্ট। অথচ দুঃখের বিষয় হলো, অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এই অসাধারণ সুযোগগুলোর সঠিক ব্যবহার করছে না কেউ জানে না, কেউ সাহস পাচ্ছে না, কেউ আবার সঠিক গাইডলাইনের অভাবে প্রসেস শুরুই করছে না।

ফ্রান্সে রয়েছে University of Paris, Sorbonne, Sciences Po, Grenoble Alpes-এর মতো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে পড়াশোনার সুযোগ আছে Computer Science, AI, Business, Public Health, Fashion, Tourism-এর মতো হাই-ডিমান্ড বিষয়ে। এইসব প্রোগ্রামের অনেকগুলোই ইংরেজিতে পড়ানো হয়, তাই ফরাসি ভাষা জানা না থাকলেও শুরু করা যায়। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাচেলর প্রোগ্রামের বার্ষিক ফি মাত্র ১৭০/৩৭০০ ইউরো এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামের ফি ২৪৩/৪০০০ ইউরো যা ইউকে বা কানাডার তুলনায় শতগুণ সাশ্রয়ী।

স্কলারশিপের ক্ষেত্রেও ফ্রান্স অনেক এগিয়ে। এখানে রয়েছে Eiffel Excellence Scholarship, Erasmus Mundus (যা ফুল ফান্ডেড), Campus France-এর আঞ্চলিক স্কলারশিপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন স্কলারশিপ। সঠিকভাবে এপ্লাই করতে পারলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও সহজেই এই স্কলারশিপগুলো অর্জন করতে পারে।

ফ্রান্সে পড়ার পাশাপাশি স্টুডেন্টরা বৈধভাবে বছরে ৯৬৪ ঘণ্টা কাজ করতে পারে। ঘণ্টাপ্রতি আয় প্রায় ৮ থেকে ১২ ইউরো, ফলে নিজেদের খরচের অনেকটাই সামলানো সম্ভব হয়। IT, ক্যাফে, ডেলিভারি, সুপারশপসহ নানা জায়গায় পার্টটাইম জব পাওয়া যায়।

সরকারি সুযোগ-সুবিধার দিক থেকেও ফ্রান্স অনন্য। স্টুডেন্টদের জন্য রয়েছে বাসাভাড়ায় ভর্তুকি (CAF), বিনামূল্যে স্বাস্থ্যবিমা, ট্রান্সপোর্ট ও খাবারে ছাড়, এবং সরকারি ভাষা কোর্সের সুবিধা। এই সুবিধাগুলো অনেক ইউরোপিয়ান দেশেও এত স্পষ্টভাবে পাওয়া যায় না।

ভিসা প্রসেস তুলনামূলকভাবে সহজ ও ট্রান্সপারেন্ট। Campus France-এর মাধ্যমে SOP ও ইন্টারভিউ পদ্ধতির ভিত্তিতে ভিসা দেওয়া হয়। যদি কেউ সঠিকভাবে প্রস্তুতি নেয় যেমন ভালোমতো স্টেটমেন্ট অফ পারপাস, ফিনান্সিয়াল ডকুমেন্ট, এবং অ্যাডমিশনের কাগজপত্র তৈরি করে তাহলে ফ্রান্সের স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ ভালো।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ফ্রান্সে পড়াশোনা শেষ করার পর শিক্ষার্থীরা ১–২ বছরের Post Study Work Visa (APS) পায়। এই সময়ের মধ্যে তারা ইউরোপের যেকোনো দেশে চাকরির চেষ্টা করতে পারে। যারা ফরাসি ভাষা আয়ত্ত করতে পারে, তাদের জন্য কর্পোরেট ও সরকারি চাকরির সুযোগ আরও বেশি খুলে যায়।

তবুও, আমরা দেখছি অনেকেই কানাডা, ইউকে, জার্মানির পেছনে ছুটছে, অথচ ফ্রান্সের এত সুযোগ থাকার পরও সেটা কাজে লাগাচ্ছে না। এর পেছনে প্রধান কারণ হলো তথ্যের অভাব, ভয়, এবং সঠিক দিকনির্দেশনার ঘাটতি।

এখনো সময় আছে! ফ্রান্স হতে পারে আপনার ইউরোপিয়ান ক্যারিয়ারের প্রথম ধাপ। সাহস নিয়ে প্রস্তুতি নিন, সঠিক তথ্য জানুন, আর এই সুযোগটি আর হাতছাড়া করবেন না। নিজের জন্য জানুন, এবং অন্যদের সাথেও শেয়ার করুন।

📩 কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন বা ইনবক্সে লিখুন।

©Hasan Sajid

11/07/2025

নিউজিল্যান্ডের স্কলারশিপ অনেকের কাছেই স্বপ্নের মতো মনে হয়, কিন্তু কেন যেন সেটা বাস্তব হয় না! অথচ নিউজিল্যান্ড এখন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম স্মার্ট গন্তব্য — কারণ এখানে রয়েছে বিশ্বমানের শিক্ষা, কাজের সুযোগ, পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক পারমিট, আর রয়েছে সরকারি ও বিশ্ববিদ্যালয়-ভিত্তিক বিভিন্ন স্কলারশিপ। তাহলে প্রশ্ন হলো, অনেকে স্কলারশিপ পাচ্ছে না কেন?

স্কলারশিপ পেতে হলে কেবল ভালো CGPA থাকলেই হয় না। সাধারণত ৩.৮০ বা তার বেশি CGPA, আইইএলটিএস ৬.৫ (সকল সেকশনে ব্যালান্সসহ), ইউনিক ও পার্সোনাল SOP, সুপারিশপত্র (Recommendation Letter), কিছু লিডারশিপ বা ভলান্টিয়ারিং অভিজ্ঞতা এবং সময়মতো আবেদন করাটাই মূল বিষয়। যারা Master's by Research বা PhD করতে চান, তাদের ক্ষেত্রে ভালো রিসার্চ ব্যাকগ্রাউন্ড এবং এক বা একাধিক রিসার্চ পেপার না থাকলে স্কলারশিপ পাওয়াটা কঠিন হয়ে যায়।

বেশিরভাগ শিক্ষার্থী যেসব কারণে স্কলারশিপ মিস করেন, তা হলো গড়পড়তা রেজাল্ট, কপি-পেস্ট করা SOP, কম IELTS স্কোর বা সেকশনে ভারসাম্য না থাকা, রিসার্চ অভিজ্ঞতার অভাব এবং সময়মতো অ্যাপ্লাই না করা। প্রতিযোগিতা এখন অনেক বেশি, তাই ইউনিক প্রোফাইল না হলে স্কলারশিপ পাওয়া কঠিন।

নিউজিল্যান্ডের ৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় (Auckland, AUT, Otago, Lincoln, Waikato, Victoria Wellington, Massey, Canterbury) প্রায় সব লেভেলে (Bachelor, Master, PhD) স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিলে নিউজিল্যান্ডে স্কলারশিপ পাওয়া একেবারে অসম্ভব কিছু না — এটা এখন বাস্তব, দরকার কেবল সচেতনতা, সময়মতো প্রস্তুতি আর সঠিক উপস্থাপন।

©Hasan Sajid


08/07/2025

অনেকে জানে না, অস্ট্রেলিয়ায় কিছু স্কলারশিপ আছে যেগুলোর জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সরাসরি যোগ্য, অথচ কম প্রচারণার কারণে খুব কম মানুষ আবেদন করে। প্রতিযোগিতা কম, কিন্তু সুযোগ অনেক।

প্রথমেই বলা যায় Australia Awards Scholarship
এর কথা। এটা অস্ট্রেলিয়ান সরকারের ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ। টিউশন ফি, থাকা-খাওয়া, ফ্লাইটসহ সব খরচ দেয়। বাংলাদেশ এর অংশীদার দেশ, তাই আমাদের জন্য সুযোগ সবসময়ই থাকে। IELTS 6.5 থাকলে, একাডেমিক রেজাল্ট ভালো হলে, রিসার্চের অভিজ্ঞতা, আর লিডারশিপ বা সামাজিক কাজে যুক্ত থাকলে ভালো চান্স আছে।

এরপর আছে Destination Australia Scholarship। এটা মূলত আঞ্চলিক ইউনিভার্সিটিতে পড়ার জন্য দেওয়া হয়। যারা বড় শহর না খুঁজে একটু কম চাহিদার ইউনিভার্সিটিতে পড়তে রাজি, তাদের জন্য এটা দারুণ সুযোগ। বাংলাদেশিরা আবেদন করতে পারে। নতুন রাউন্ড না থাকলেও আগে যারা পেয়েছেন তারা এখনও সুবিধা পাচ্ছেন।

তৃতীয়ত, RTP (Research Training Program)–এর কথা বলতেই হয়। যারা রিসার্চ করতে চায়, মাস্টার্স রিসার্চ বা পিএইচডি এর জন্য এই স্কলারশিপ চমৎকার। পুরো টিউশন ফি মওকুফ + মাসিক স্টাইপেন্ডও থাকে।

সবশেষে, Charles Darwin University (CDU) এর স্কলারশিপ। যারা নতুন international student, তাদের জন্য Global Merit স্কলারশিপে ৩০% টিউশন ছাড় পাওয়া যায়, আলাদা আবেদন লাগে না। আর যারা GPA ≥80% এবং IELTS আছে, তারা Global Excellence স্কলারশিপে ৫০% পর্যন্ত ছাড় পেতে পারে।

যারা অস্ট্রেলিয়ায় মাস্টার্স বা পিএইচডি করতে আগ্রহী, এখন থেকেই প্রস্তুতি নিন।

©Hasan Sajid

07/07/2025

ইউকে-তে এমন কিছু স্কলারশিপ আছে, যা ৭০% বাংলাদেশি শিক্ষার্থী জানেই না!

অনেকে ভাবে ইউকে মানেই শুধু Chevening আর high CGPA হলেই হবে! কিন্তু না ভাই, ইউকে-তে এমন কিছু স্কলারশিপ আছে যেগুলো অনেক সহজ, কম প্রতিযোগিতামূলক অথচ খুব কম মানুষই জানে!

যেমন ধরেন University of Nottingham এর Developing Solutions Scholarship, এখানে আপনার CGPA ৩.৫ থাকলেই অনেক সময় shortlist হবেন। আর এটা পুরো টিউশন waive করে দেয়!

আবার University of Bristol এর Think Big Scholarship শুধু একটা সুন্দর SOP লিখলেই ১০,০০০ পাউন্ড পর্যন্ত টিউশন ফি মাফ! কেউ খেয়ালই করে না, কারণ সবাই Chevening আর
Commonwealth নিয়েই ব্যস্ত।

আর সবচেয়ে কম জানে এমন স্কলারশিপ হলো GREAT Scholarships for Bangladesh প্রতি বছর ১০-১২টা ইউনিভার্সিটি শুধু বাংলাদেশিদের জন্য এই স্কলারশিপ দেয়। অথচ আবেদনকারীই খুঁজে পায় না!

Chevening এর কিছু Partner University Scholarships আছে যেগুলো আলাদা রাউন্ডে দেয়, আলাদা নিয়মে কেউ খোঁজ রাখে না। অথচ কোর্স specific আর কম্পিটিশনও কম।

আপনি যদি এখনো ইউকে নিয়ে ভাবছেন, তাহলে বড় স্কলারশিপের পিছনে দৌড়ানোর পাশাপাশি ছোট কিন্তু golden সুযোগগুলা একবার দেখে নেন।

স্মার্ট স্টুডেন্টরা কখনো শুধু CGPA দিয়ে এগোয় না তারা সুযোগ খুঁজে নেয়, বাকিরা শুধু হুজুগে মাতাল থাকে!

যাদের CGPA কম, IELTS ৬.৫+, কিন্তু একটা প্যাশন আছে বিদেশে পড়ার এই পোস্টটা তাদের জন্য।

©Hasan Sajid

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hasan Sajid posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Hasan Sajid:

Share