14/04/2025
📌 আমরা মুসলিম। পহেলা বৈশাখ আমাদের জন্য নয়।
পহেলা বৈশাখকে ঘিরে পান্তা-ঈলিশ খাওয়া, মেয়েরা শাড়ী পড়া, এই দিনকে কেন্দ্র করে বেহায়াপনা হয়ে আনন্দ উৎসব করা ইত্যাদি।
এগুলো আমাদের জন্য না। পহেলা বৈশাখ ইসলামী উৎসব নয়। এতে মঙ্গল শোভাযাত্রা, গান বাজনা, বিজাতীয় সংস্কৃতি ও অপসংস্কৃতি রয়েছে। এর সাথে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই।
রসূল ছ্বল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
"যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করবে, সে তাদের দলের অন্তর্ভুক্ত হবে।" (আবু দাউদ)
◾আসুন আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞান দিয়ে একটু বোঝার চেষ্টা করি যে কারণে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা মুসলমানদের জন্য জায়েজ নয়..............…...................
১) নওরোজ বা নববর্ষ উপলক্ষে নারী পুরুষ একত্রিত করা হয়। হিন্দু মুশরিক বিধর্মী বিজাতী নারী পুরুষ সহযোগে নববর্ষ উৎসব পালন করতে রাস্তায় নামানো হয়। অথচ, ইসলামী শরীয়তে পর্দা করা পুরুষ মহিলা সবার জন্য ফরজ।নববর্ষ উৎসবের মাধ্যমে ইসলামী শরীয়তের ফরজ আইনকে লংঘন করা হয় একদম প্রকাশ্যেই। তাহলে এটা পালন করা কিভাবে জায়েজ হতে পারে?
২) নওরোজ বা নববর্ষ পালন করতে জন্তু জানোয়ারের ছবি মূর্তি মুখোশ অংকন করা হয়। অথচ, ইসলামী শরীয়তে যেকোনো প্রাণীর ছবি মূর্তি তৈরী করা, বহন করা, প্রকাশ্যে প্রদর্শন করা কাট্টা হারাম নাজায়েজ নিষিদ্ধ। এমন নাজায়েজ নিষিদ্ধ হারাম কাজ যে উৎসব পালনের কারণ করতে হয় সেটা কি করে ইসলামী শরীয়তে জায়েজ হতে পারে?
৩) নওরোজ বা নববর্ষ পালন করতে গিয়ে পুরুষ নারীর পোষাক, নারী পুরুষের পোষাক আবার অনেকেই হিন্দুদের ধূতি পরিধান করে। যা ইসলামী শরীয়তে জায়েজ নেই। এমন পোষাক পরিধান করলে লানত বর্ষিত হবার কথা বর্ণিত রয়েছে। তাহলে লানতী অভিশপ্ত সম্মিলন পহেলা বৈশাখ উদযাপন কি করে মুসলমানের জন্য জায়েজ হতে পারে?
৪) নওরোজ বা নববর্ষের আনুষ্ঠানিকতাই শুরু হয় গান বাজনার মাধ্যমে। অথচ, গান বাজনা করা, গান বাজনা শুনা, গান বাজনার সভার আয়োজন করা, গান বাজনার জন্য পয়সা খরচ করা প্রত্যেকটাই নাজায়েজ হারাম। এমন হারাম কাজের মাধ্যমে যে পহেলা বৈশাখের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় সেটা কি করে ইসলামী শরীয়তে জায়েজ হতে পারে?
৫) নওরোজ বা নববর্ষ উৎসবে কথিত দেবতাদের করুণা প্রত্যাশায় অমঙ্গলযাত্রা করা হয়। ঢোল বাদ্যের তালে তালে নেচে নেচে, হাত তালি মেরে মেরে, পটকা ফুটিয়ে, বিভিন্ন জন্তু জানোয়ারের মুখোশ পরিধান করে মিছিল করা হয়। যা কোনভাবেই বা কোন শর্তেই সম্মানিত ইসলামী শরীয়তে জায়েজ নেই। তাহলে এমন নাজায়েজ কাজে সামিল হওয়া মুসলমানদের জন্য কি করে হালাল হতে পারে?
৬) নওরোজ বা নববর্ষ উৎসবের নামে নারী পুরুষ অশ্লীলতায় মেতে উঠে। প্রকাশ্যেই বেহায়া বে-শরমমূলক কাজ নারী পুরুষ অবাধে করে যায়। অতএব, যে উৎসবের মাধ্যমে অশ্লীলতা বেহায়াপনাকে উস্কে দেয়া হয়, অনুমোদন দেয়া সেই উৎসব ঈমানদার মুসলমানের জন্য কি করে পালিত হতে পারে, কি করেইবা জায়েজ হতে পারে?
নববর্ষ উদযাপন করার কোন প্রমাণ দলীল ইসলামী শরীয়ত বা ইসলামী ইতিহাসে নেই। নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে পানতা-ঈলিশ,যে কোন খানা খাওয়া, পালন করা যাবে না, যাবে না। নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বিধর্মী বন্ধু বান্ধবকে শুভেচ্ছা জানালেও এর মাধ্যমে গুনাহগার হতে হবে।
ইসলাম শান্তি ও পবিত্রতার ধর্ম। একজন প্রকৃত মুসলিম হিসেবে আমাদের উচিত নিজ ধর্মের গণ্ডির মধ্যে থেকে জীবনযাপন করা, বিজাতীয় সংস্কৃতি পরিহার করা।
সুতরাং, পহেলা বৈশাখ পালন করা মুসলমানদের জন্য শরিয়তসম্মত নয়—বরং তা হারাম ও গোনাহের অন্তর্ভুক্ত।
নওরোজ বা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা, এতে সামিল হওয়া, এ উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানো, এ উপলক্ষে হাদীয়া তোহফা বা বোনাস দেয়া দ্বীনদার ঈমানদার মুসলমানদের জন্য জায়েজ নয়, হালাল নয়। অতএব, কেউ যেন পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য কোনভাবেই কোন মুসলমানকে বাধ্য করতে না পারে। সে বিষয়েও আমাদেরকে সতর্ক হতে হবে।
আল্লাহ আমাদেরকে বিজাতীয় সংস্কৃতি ও বিজাতীয়দের সব ধরণের বেহায়াপনা উৎসব থেকে দূরত্ব বজায় রেখে ঈমানের সাথে থাকার তৌফিক দান করুক আমিন ❣️