24/09/2025
সম্প্রতি শ্রীরাধা দত্ত নামের এক ভারতীয় অধ্যাপক ঢাকায় আসছিলেন। ঢাকায় আইসা তিনি জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক ইত্যাদি করছেন।
পরে ভারতে ফিরা গিয়া বাংলাদেশ বিষয়ক একটা বড় অনুষ্ঠানে তিনি জানাইছেন জামায়াত নেতারা তাকে কী কী বললো।
জামায়াতের নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের বরাতে তিনি মোটাদাগে চারটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিছেন।
এক, তাহের তাকে বলছেন, জামায়াত ক্ষমতায় আসলে দেশে ইসলামি শরিয়াহ কায়েম হবে না। অর্থাৎ দল হিসাবে জামায়াত ভারতকে আশ্বস্ত করতেছে, জামায়াতকে ভারতের ভয় পাওয়ার কোন কারণ নাই।
দুই, জামায়াতের প্রবীণ নেতারা, যেমন মাওলানা নিজামী ও মাওলানা সাঈদীরা একাত্তরের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইছেন। বর্তমান জামায়াত এই ক্ষমাপ্রার্থনাকে স্বীকার করে।
তিন, তাহের তাকে জানাইছেন—জামায়াতের নতুন নেতৃত্ব ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক করতে আগ্রহী।
চার, চট্টগ্রামের অস্ত্র পাচার মামলা বা বিএনপি আমলের যেকোন ভারতবিরোধী ঘটনায় কোন ধরনের জামায়াতের ইনভলভমেন্ট খুঁইজা পাওয়া যাবে না। এইসবের দায় কেবলই বিএনপির।
ফলে, বিএনপি ভারতবিরোধী হইলেও বিএনপির একদা জোটসঙ্গী হিসাবে জামায়াতের কোনধরনের ভারতবিরোধিতা নাই।
🙂
উপরে যেইসব তথ্য আমি দিলাম, তা সবই গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত একটা প্রতিবেদন থেকে নেওয়া।
নিশ্চয়ই প্রতিবেদনটা আপনাদের চোখ এড়ায় নাই।
তবে আলাপটা আবার গুরুত্ব দিয়া তোলার উদ্দেশ্য হইলো, জামায়াত যে এইভাবে গলা উজাড় কইরা ভারতকে আশ্বস্ত করতেছে—সেটাকে আপনারা কীভাবে দেখতেছেন তা বোঝার জন্য।
আমাদের এইখানকার জনপ্রিয় ভারতবিরোধীরা, যেমন পিনাকী ভট্টাচার্য ও গৌতম দাসরা—খোলাখুলিভাবে জামায়াতের পক্ষে প্রচারণা চালাইতেছেন।
কিন্তু তারা ঠিক কী কারণে জামায়াতের এই ভারতঘনিষ্ঠতার দিকটা এড়াইয়া যাইতেছেন?
অবস্থাদৃষ্টে যা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে—বাংলাদেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলার মধ্যে জামায়াতে ইসলামি সবচেয়ে বেশি ভারতমুখী।
কিন্তু জামায়াতের ভারতমুখিতাকে আড়াল করতে চাওয়ার কারণ কী?
ক্যানো জামায়াতকে রাইখা বিএনপিকে ভারতের অনুসারী দল হিসাবে প্রচার করা হইতেছে?
আপনাদের মতামত কমেন্টে জানাইয়েন। ✅
কপি