
10/01/2025
"ম্যারেজ ইন ইসলাম "
~বিয়ে নিয়ে যত কথা~
একটা প্রশ্ন অনেকের মনেই জন্মাতে পারে, 'বিয়ে নিয়ে এত কথা বলার কী দরকার আছে? বিয়ের সময় হলে তো মানুষ বিয়ে করবেই। তাছাড়া বইয়ের পাতায় এসব বললে তো লাভ আর নেই। অধিকাংশ পরিবারের অভিভাবকরা তো আর এসব পড়ে না কিংবা দেখে না।'
আরেকটা ভুল ধারণা আছে অনেকের মাঝে, বিয়ে নিয়ে কথা বলছে মানেই সে সম্ভবত বিয়ে-ফ্যান্টাসিতে ভোগে। এটাকে কেউ কেউ রোগও বলে! আবার অনেকে মনে করে, বিয়ে নিয়ে যারা কথা বলে তারা মনে হয় পৃথিবীর সব সমস্যার সমাধান এটার মাঝেই খুঁজে পায়! তা-ই না হলে বিয়ে নিয়ে এত কথা কেন! এত ফ্যান্টাসি কেন?
আসুন, প্রথমে বোঝার চেষ্টা করি, বিয়ে নিয়ে আমাদের কেন এত বেশি আলোচনা করা জরুরি! এমনকি কারো নিজের এই মুহূর্তে বিয়ের প্রয়োজন না হলেও কেন এটার দাওয়াতি কাজে অংশ নেয়া তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ? যদি এই বিষয়টা বুঝা যায় তাহলে বিয়ে নিয়ে এত আলোচনা কেন করো, বিয়ে-ফ্যান্টাসিতে কেন ভোগো- এরকম কথা কেউ বলবে না, কিংবা বললেও আমরা তাকে বিষয়টা বুঝাতে পারব!
একটু পেছনের দিকে দৃষ্টি দিন। আমাদের সমাজে আগে বিয়ের বয়স কেমন ছিল? উত্তর হবে বাল্যকাল। ভারত উপমহাদেশ তো বটেই সারা পৃথিবীতেই খুব দ্রুত সময় বিয়ের প্রচলন ছিল। ছেলে মেয়েদের ১০/১২ বছর হলেই বাবা-মা বিয়ের ব্যবস্থা করে দিতেন। ইসলামের দৃষ্টিতে দ্রুত বিয়ে করাটাই হলো কল্যাণকর এবং সন্তানদের দ্রুত বিয়ে দেয়ার নির্দেশ। এতে করে বিয়ের যে মূল উদ্দেশ্য 'চরিত্র পবিত্র রাখা' তা অর্জিত হবে। অন্যথায় বিলম্ব বিয়ের ব্যবস্থা করলে বিয়ে ব্যতীত ব্যভিচারের সমাজ কায়েম হবে।
এখন আসুন...! আমাদের দেশে তো দ্রুত বিয়ের সংস্কৃতিই ছিল। এই তো পল্লী কবি জসিমউদ্দিন মাত্র কয়েক বছর আগেও তার 'কবর' কবিতার বিখ্যাত দুটি লাইন লিখেছিলেন:
'এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতোন মুখ, পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।'
আলহামদুলিল্লাহ,
ম্যারেজ ইন ইসলাম বইটি মুসলিম ভিলেজে পাবেন।
আকর্ষনীয় বইটি পেতে এখনি ইনবক্সে আপনার নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বার দিন, অথবা 01746993760 এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন।
ধন্যবাদ!
https://www.facebook.com/Muslimvillagebd?mibextid=ZbWKwL