24/09/2025
রিজিককে সম্মান করো।
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক বান্দাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে রিজিক দিয়েছেন। কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে।
“আল্লাহই রিজিকদাতা, পরাক্রমশালী ও শক্তিধর।”
(সূরা আয-যারিয়াত ৫১:৫৮)
রিজিক শুধু টাকা-পয়সা বা খাবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং সুস্বাস্থ্য, ভালো পরিবার, নেক সন্তান, ইজ্জত, চাকরি, ব্যবসা, মানসিক শান্তি—সবকিছুই আল্লাহর দেয়া রিজিকের অন্তর্ভুক্ত।
🔹 কিন্তু মানুষ যখন এই রিজিককে সম্মান করতে জানে না, তখন সেই রিজিক ধীরে ধীরে দূরে সরে যায়। যেমন:
১. সুস্বাস্থ্য: যদি আমরা শরীরকে আল্লাহর ইবাদতের পরিবর্তে হারাম কাজে ব্যয় করি, অসংযমী জীবনযাপন করি, তবে সুস্বাস্থ্য নামক রিজিক হারিয়ে যায়।
হাদিসে এসেছে:
দুইটি নিয়ামতের ব্যাপারে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়—সুস্বাস্থ্য ও অবসর সময়।”
(বুখারী, হাদিস ৬৪১২)
২. চাকরি বা ব্যবসা: চাকরি বা ব্যবসায় যদি আমরা ঘুষ, প্রতারণা, অসততা করি, তবে সেই বরকত মুছে যায়।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
৩.যে ব্যক্তি প্রতারণা করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়।”
(মুসলিম, হাদিস ১০১)
৩. সম্পদ: অপচয়, অহংকার বা গুনাহে ব্যবহার করলে অর্থের বরকত চলে যায়।
কোরআনে বলা হয়েছে:
৪.অপচয়কারীরা তো শয়তানের ভাই।”
(সূরা বনি ইসরাঈল ১৭:২৭)
৪. ইজ্জত ও সময়: যদি আল্লাহর ইবাদতে ব্যয় না হয়, মানুষকে কষ্ট দেওয়াতে ব্যবহার হয়, তবে এই রিজিকও হারিয়ে যায়।
✨ রিজিককে সম্মান করার উপায়:
হালাল উপার্জন করা ও হারাম থেকে বাঁচা।
আল্লাহর দেয়া নিয়ামতের শোকর আদায় করা।
দান-সদকা করা।
নিয়ামতকে আল্লাহর পথে ব্যয় করা।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
যে ব্যক্তি আল্লাহর দেয়া রিজিকের শোকর আদায় করে, সে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করে এবং তার রিজিক বাড়ানো হয়।”
(তিরমিযী, হাদিস ২৫১১)
তাই রিজিককে ছোট করে দেখা নয়, বরং আল্লাহর নিয়ামত ভেবে সম্মান করা উচিত। যে রিজিককে সম্মান করবে, আল্লাহ তার জন্য আরও বরকতময় রিজিকের দরজা খুলে দেবেন, ইনশাআল্লাহ।