17/03/2025
মনে পড়ে জুলাই-আগস্ট
ছাত্রজনতার গণ অভ্যুত্থানের সময়ে সবচেয়ে আলোচিত ছিলো মেট্রোরেলে হা'ম'লা, এবং সেটাই ছিলো আন্দোলনের সবচেয়ে বড় এবং ভয়ংকর মামলাগুলোর অন্যতম।
প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী মেট্রোরেলে হাম'লার মাষ্টারমাইন্ড ছিলো ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাবি সূর্যসেন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু হান্নান তালুকদার।এই হামলার মূল সমন্বয় করেছিলো আবু হান্নান তালুকদার।
মেট্রোরেলে হামলার নেতৃত্ব দিয়েছিলো ঢাবি শহিদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের।
আরো নেতৃত্বে ছিলেন ঢাবি বিজয়-৭১ হল শাখা ছাত্রদলের বজলুর রহমান বিজয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহ সভাপতি ফেরদৌস রুবেল।
মাস্টারমাইন্ড আবু হান্নান তালুকদার ও নেতৃত্ব দেওয়া ইমাম আল নাসের, বজলুর রহমান বিজয় এবং ফেরদৌস রুবেলকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে এবং রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর মেট্রোরেলে হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার এবং রিমান্ডে দিয়েছিলো বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা উত্তর বিএনপির তৎকালীন সভাপতি সাইফুল আলম নীরব এবং ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ'কে।
মেট্রোরেলে হামলার পক্ষে উস্কানিদাতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গনেশ চন্দ্র রায় সাহস এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন কে।
এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয় কয়েক হাজার,সেই সুবাধে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে ঢাকার বিভিন্ন ইউনিটের বিএনপি,ছাত্রদল সহকারে সহযোগী সংগঠণের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার
ও রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিলো।
আন্দোলনে ছাত্রদল তথা বিএনপির ভূমিকা নিয়ে মকারি করা ভাই-ব্রাদার্স,এই ঘটনায় শিবিরের সাদিক কাইয়ুম-ফরহাদ কিংবা মঞ্জুর-জাহিদ কেউ আসামী হয়নি,এমনকি কোন সমন্বয়ককেও আসামী করা হয় নি।
আন্দোলনের প্রতিটি ডালে-পাতায়,আন্দোলনের প্রতিটি পয়েন্টে-পজিশনে,আন্দোলনের শিরায়-উপশিরায় বিএনপি,ছাত্রদল তথা জাতীয়তাবাদীদের শক্ত অবস্থান ও উপস্থিতি ছিলো।
কিন্তু এরপরও ছাত্রদল ক্রেডিটের জন্য কাড়াকাড়ি দেয়নি,ফুটেজের জন্য ঠেলাঠেলি করেনি।
বরং ছাত্রদলের ভুমিকা নিয়ে মকারি দেখেও জাস্ট মুচকি হেসে গেছে ও যাচ্ছে।এইটাই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদীদের রাজনীতি।
আহমেদ আয়ান
#ছাত্রদল