Ayaan,s Collection

Ayaan,s Collection I am a open book. Anyone can read this.
(8)

মহিলার বয়স মাত্র ২৯ বছর। সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দেয়ার কয়েকদিন পর  গাইনী ডিপার্টমেন্টে চিকিৎসকের শরণাপন্...
18/07/2025

মহিলার বয়স মাত্র ২৯ বছর। সিজারিয়ান সেকশনের মাধ্যমে বাচ্চা জন্ম দেয়ার কয়েকদিন পর গাইনী ডিপার্টমেন্টে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন জ্বর নিয়ে এবং এর সাথে তখনই/পরবর্তীতে Diarrhoea দেখা দেয়।

ঐ সময় জ্বরের কারণ হিসেবে underlying Infection চিন্তা করে পেশেন্ট কে হসপিটালে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়। সেলাইয়ের জায়গার একটা অংশ কিছুটা আদ্র থাকায় সেখানে ইনফেকশন চিন্তা করা হয়। প্রথমে এম্পেরিয়াল এন্টিবায়োটিক শুরু করা হয় কিন্তু রোগীর তেমন উন্নতি নেই। বরং শরীরের গলার নিচে-বুকে-পিঠে বিভিন্ন জায়গায় Rash দেখা। গাইনোকলজিস্ট Antibiotic এর Drug Reaction চিন্তা করে Antibiotic বন্ধ করেন।

পরবর্তীতে আদ্র জায়গা থেকে Swab নিয়ে কালচারের জন্য পাঠানো হয় কিন্তু কালচারে কোন গ্রোথ ছিল না। পরবর্তীতে কয়েক দফায় এন্টাবায়োটিক পরিবর্তন করা হয়। এর পাশাপাশি ব্লাড কালচার করা হয় সেখানেও কোনো গ্রোথ পাওয়া যায় নি। এছাড়া জ্বরের কারণ খোঁজার জন্য টিবি সহ সম্ভাব্য অন্যান্য পরীক্ষাও করা হয় কিন্তু কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি।

যেহেতু ডেঙ্গু সিজন চলছে ডেঙ্গু টেস্টও করা হয়েছিল ডেঙ্গু টেস্ট নেগেটিভ, Platelet count নরমাল।

এর মধ্যে মেডিসিন ডিপার্টমেন্টে কল দেয়া হয় মেডিসিনের সিনিয়র ডাক্তার এসেও কোনো ক্লোজ খুঁজে পাচ্ছেন না।
এন্টিবায়োটিক পরিবর্তন করা হল কিন্তু উন্নতি নেই।

এর মধ্যে রোগীর CBC পরীক্ষায় দেখা যায় যে wbc কাউন্ট দিন দিন কমে যাচ্ছে। জন্ডিস দেখা দিয়েছে, বিলিরুবিন বেশি। এলবুমিন ও কমে যাচ্ছে।

Procalcitonin level, HBsAg, Anti HCV সহ অনেক টেস্ট করা হয়েছিল সব নরমাল। এদিকে Albumin দিয়েও Albumin লেভেল নরমালে রাখা যাচ্ছে না বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ট্রাই করেও রোগীর কোন উন্নতি হচ্ছে না
কিন্তু কেন এমন হলো তার কোন ব্যাখ্যা ও দিতে পারছেন না ডাক্তাররা।

সবশেষে উনারা বলেন যে, Septicemia থেকে Multiorgan failure এর দিকে যাচ্ছে পেশেন্ট।

ঐ মুহূর্তে ডা. খাইরুল ভাইয়ার ডাক পড়ে। ভাইয়া ওয়ার্ডে গিয়ে পেশেন্ট কে দেখেন। একেবারে শুরু থেকে হিস্ট্রি নেন এবং প্রশ্ন করে পাওয়া একটা ক্লু থেকে ডায়াগনোসিস করেন। সেই মুহূর্তে ভাইয়া মোবাইলে থাকা পেশেন্টের Rash এর ছবি টা আমাকে দেখান।

পেশেন্টের হিস্ট্রি + Rash এর ছবি টা দেখে আমার মনে পড়ে যায় ১/২ বছর আগে বিশিষ্ট হেমাটোলজিস্ট Prof. Dr. Akhil Ranjon Biswas স্যারের শেয়ার করা দুটি কেইস হিস্ট্রি পড়েছিলাম Haematology Society of Bangladesh এর ওয়েবসাইটে। এবং এই পেশেন্টের Rash ও স্যারের শেয়ার করা পেশেন্টের Rash এর ছবির সাথে মিলে যাচ্ছে।

তখন ভাই কে জিজ্ঞেস করলাম, উনার ডায়াগনোসিস কি Blood Transfusion Associated GVHD(Graft Versus Host Disease)?

তখন ভাই জানালেন যে পেশেন্টের সিজারের সময় ব্লাড ডোনেট করে তার আপন ভাই। কেউ আসলে সেই হিস্ট্রি টা নেন নি। সবাই আসলে সিজার পরবর্তী জ্বরের কারণ হিসেবে Infective cause চিন্তা করছিলেন। তাই কোনো কনক্লুসনে আসতে পারছিলেন না কেইস টি নিয়ে। যেহেতু অনেক টেস্ট অলরেডি করা হয়ে গেছে এবং ভাইয়াও অতীতে এমন কেইস দেখেছেন তাই উনি আগ বাড়িয়ে ব্লাড ট্রান্সফিউসন হিস্ট্রি নিয়েছেন এবং ডায়াগনোসিস করতে পেরেছিলেন। আর বাইরে থেকে এলবুমিন দেয়া সত্ত্বেও পেশেন্টের এলবুমিন লেভেল কমে যাচ্ছিল তার কারণ হিসেবে ভাইয়া বললেন এক্ষেত্রে Protein loosing Enteropathy হয়।

কিন্তু GVHD এর মর্টালিটি রেইট যেহেতু অনেক বেশি, এই পেশেন্ট আসলে সার্ভাইভ করার সম্ভাবনা খুব কম ছিল। (আমি পূর্বে যে দুটো কেইস পড়েছিলাম সেই দুজনই মারা যান। একজনের ক্ষেত্রে ব্লাড ডোনার ছিলেন আপন ভাই, আরেকজনের ক্ষেত্রে আপন ছেলে।)

এই মহিলার শেষ CBC তে WBC count ছিল মাত্র ২৩০/মাইক্রো লিটার (!!!)। Neutrophil 08%, Lymphocyte 90%. ESR= 45.

পরবর্তীতে তাকে হেমোটলজি ওয়ার্ডে ট্রান্সফার করা হয়। ভাইয়া আমাকে নিয়ে যান হেমোটলজি ওয়ার্ডে ভর্তি এই পেশেন্ট দেখানোর জন্য এবং ঐ সময় অধ্যাপক ডা. আখিল রন্জন বিশ্বাস স্যারও ওয়ার্ডে রাউন্ড দিচ্ছিলেন। কিন্তু এই পেশেন্টের বেডে গিয়ে পেশেন্ট কে পাওয়া যায় নি। কারণ উনিও GVHD এর মত একটি Grievous condition এর নিকট হার মেনে মৃত্যুবরণ করেছেন।

আল্লাহ মেহেরবানী করে রোগী কে বেশেহত নসীব করুন।
ডা. খাইরুল ভাইয়া কে অসংখ্য ধন্যবাদ কেইস টি শেয়ার করার জন্য। এর আগে TA-GVHD এর সেইম আরেকটি কেইস ভাইয়া ডায়াগনোসিস করেন যেখানে Open Heart Surgery এর পর পেশেন্টের জ্বর এবং Rash দেখা দেয়। সার্জারীর সময় নিকটাত্মীয় থেকে রক্ত নেন ঐ পেশেন্ট এবং কয়েকদিনের মধ্যেই মরণঘাতী এই রোগে মৃত্যুবরণ করেন।

Take_Home_Message:
নিকটাত্মীয় থেকে রক্ত নেয়া থেকে বিরত থাকুন। নিকটাত্মীয়ের রক্ত মৃত্যুর কারণ হতে পারে। সাধারনত Blood Transfusion এর ২ দিন থেকে ৩০ দিন পর এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। Immunocompromised গ্রহীতার ক্ষেত্রে রিস্ক সবচেয়ে বেশি থাকে, তবে দৃশ্যত সুস্থ গ্রহীতার ক্ষেত্রেও Rarely এমনটা ঘটে থাকে।

এর বিস্তারিত ব্যাখা দিতে গিলে অনেক বড় হয়ে যাবে লেখা। সংক্ষেপে বললে, নিকটাত্মীয়ের সাথে আপনার HLA matching থাকায় আপনার রক্তে থাকা T cell(প্রতিরক্ষা কোষ) ডোনারের রক্তে থাকা T cell কে নিজের/Self হিসেবে মনে করবে, তাই তাকে কিছু করবে না। কিন্তু ডোনারের T cell আপনার শরীরে প্রবেশের পর আপনার দেহ কোষগুলো কে Non self/Foreign হিসেবে মনে করবে এবং বিভিন্ন অঙ্গের কোষ গুলো ধ্বংস করতে শুরু করবে। যাতে মৃত্যুর সম্ভাবনা উন্নত বিশ্বেই ৯০% এর বেশি। তবে মাত্র ১% এরও কম কেইসে এটা ঘটে থাকে, অর্থাৎ খুব রেয়ার। কিন্তু হলে যেহেতু রক্ষা নেই, তাই নিকটাত্মীয়ের রক্ত এভয়েড করাই যুক্তিযুক্ত।

বোঝার সুবিধার্থে সাধারন ভাষায় বললে,
বাইরের রাষ্ট্রের কেউ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে গেলে বিজিবি তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু ধরুন বাংলাদেশ বিজিবির পোশাক পরে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের সৈনিকরা এদেশে প্রবেশ করল এবং বাংলাদেশ বিজিবি ঐ সকল সৈনিক কে নিজেদের লোক মনে করে কিছুই করল না। এই সুযোগে ঐ সৈনিকরা এদেশে বংশবৃদ্ধি করলো এবং বাংলাদেশের সাধারন মানুষ দের মারতে থাকলো। ঠিক এটাই ঘটে TA-GVHD তে।
*বিজিবি= গ্রহীতার রক্তের T cell(প্রতিরক্ষা কোষ)
*সৈনিক= দাতার রক্তের T cell(প্রতিরক্ষা কোষ)

♦বিশেষ করে আপন ভাই/বোন, বাবা /মা, ছেলে/ মেয়ে, ভাতিজা/ভাতিজি, ভাগিনা/ভাগিনী থেকে রক্ত নেয়া থেকে বিরত থাকুন। আপন ভাতিজা থেকে রক্ত নিয়ে TA-GVHD হয়ে মারা গেছেন এমন কেইসও আছে।

এফসিপিএস মেডিসিনে গোল্ড মেডেল পাওয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক Dr. Khairul Islam (MBBS,MCPS,FCPS) ভাই। ভাই শুধু ডিগ্রীধারী বিশেষজ্ঞই নন, ক্লিনিসিয়ান হিসেবেও খুবই ভালো। একাডেমিক ও মানবিক একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। ভাইয়ের সাথে দেখা হলে সবসময় বিভিন্ন কেইস নিয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। কেইস নিয়ে কৌতুহল থাকায় শুনতে/জানতে ভালো লাগে এবং থিংকিং ক্যাপাবিলিটি বাড়ানোর চেষ্টা করি। সেদিন ভাইয়া একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

বি: দ্র: ইংরেজিতে একটা কথা আছে,, Knowledge increases by Sharing, not by Saving! এই সিরিজের সবগুলো লিখাই একাডেমিক আলোচনার জন্য। প্রাসঙ্গিক কোনো তথ্য/অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাইলে করতে পারেন।
Dr. Fahim Uddin
Khulna Medical College
Session: 2012-2013

♣যদি ইমার্জেন্সি সিচুয়েশনে কোনো ডোনার খুঁজে না পাওয়া যায় তখন নিকটাত্মীয় থেকেও বাধ্য হয়ে ব্লাড নিতে হয়, তবে সেক্ষেত্রে ডোনারের ব্লাড Irradiation করে গ্রহীতার শরীরে দেওয়া হয়।

পড়াশেষে Done লিখুন এবং জনস্বার্থে শেয়ার করুন।

সবাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করি...
18/07/2025

সবাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করি...

আমার যখন তিন দিন বয়স তখন বাবা আমার মাকে একা রেখে চলে যায়। আষাঢ় মাসের শেষ সপ্তাহ, বাড়ির চারপাশে পানি। বাজারের দিকে যেতে গ...
18/07/2025

আমার যখন তিন দিন বয়স তখন বাবা আমার মাকে একা রেখে চলে যায়। আষাঢ় মাসের শেষ সপ্তাহ, বাড়ির চারপাশে পানি। বাজারের দিকে যেতে গেলে কলাগাছের ভেলায় করে যেতে হয়। রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে আছে।

সেই দুর্দিনে মা তার দুই মেয়েকে নিয়ে একা হয়ে যায়। মাকে ছেড়ে বাবার পালিয়ে যাওয়ার একটা কারণ আছে। আমার জন্মের একমাস আগেই মধ্যরাতে বাবা মাকে বলে, দেখো এবার যদি মেয়ে হয় তবে কিন্তু তোমাকে রাখবো না। মা বাবার গায়ে হাত রেখে বলে, কি বলো এসব তুমি? মায়ের ছলছল করা চোখে বাবার মন একটুও গলে না।

আমার জন্মের পরে বাবার মন খারাপ হয়। মা ভেবেছিলো বাবা ঠিক হয়ে যাবে। মেয়েকে কোলে তুলে নিবে। তবে বাবা তিনদিন পরেই পালিয়ে গেলেন। এক সপ্তাহ পরে খবর আসে বাবা আবার বিয়ে করেছেন। নদীর ওইপাড়ের শহরে নতুন বউ নিয়ে থাকে। লোকের কাছে খবর পাঠিয়েছে মা যেনো তার দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।

মায়ের অবশ্য কোথাও যাওয়ার নেই। আমার নানাবাড়িতে কেউ নেই, ভিটেমাটি নদীতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে৷

মায়ের পাশে দাদা ভাই আর বড় চাচা দাঁড়ালেন। বাবার কাছে দাদু খবর পাঠালেন, সে যেনো আর কোনোদিন এই বাড়িতে না আসে আর যদি চিন্তা করে নতুন বউ নিয়ে এখানে আসবে তাহলে তাকে বড় দা দিয়ে কোপানো হবে৷

দাদু ছিলেন রাগী মানুষ, বাড়ির সবাই তাকে ভয় পেতো। বাবা তাই আর হয়তো বাড়ি আসবার সাহস করেনি।

মা দুই মেয়েকে নিয়ে এখানে থেকে যায়। দাদু বয়স্ক মানুষ, বয়সের ভারে এখন শরীর চলে না, কাজ করতে পারে না।

আমার বাবা চাচাদের আয়ের একমাত্র উৎস একটা মাছ ধরার নৌকা। এই নৌকাটা দাদু কিনেছে তেরোশো টাকায়, তারপর প্রতিবছর মেরামত করে চলে। সমুদ্রে যায় এই নৌকা নিয়ে।

আমরা দুই বোন তখন ছোটো সেই থেকে মা চাচা আর দাদুর সাথে নৌকায় মাছ ধরতে নদীতে চলে যেতো। দাদু কোনো কাজ করতে পারতো না নৌকায় বসে থাকতো, মা আর চাচা জাল তুলতো সেই জাল গুছিয়ে রাখতো। মাছ ছাড়িয়ে রাখতো, নদীর কোনদিকে গেলে মাছ পাওয়া যাবে, কোথায় স্রোত কম বেশি দাদু সেইসব বুঝিয়ে বলতেন।

বড় আপা বড় হওয়ার পরে মা আর চাচার সাথে নদীতে চলে যেতেন। আমি যেতে চাইতাম তবে আমাকে নিতো না, হয়তো ছোটো মানুষ বলেই নেওয়া হতো না। তবু একবার চাচাকে অনুরোধ করলে আমাকে নিয়ে যায়, নদীতে সেবার নৌকায় বসে আমার বমি আসে। এরপর আর কখনো যাওয়া হয়নি।

মা বড় আপা চাচা নদীতে যেতো, সাথে চাচা আরেকজন লোক নিতো কিংবা মাঝেমধ্যে দাদু যেতো। দাদুর বয়স বেড়েছে, শরীরে শক্তি পায় না আগের মতো তাই এখন নিয়মিত যেতে পারে না।

নদীতে সবসময় মাছ পাওয়া যেতো না, কিছু সময় আবার অবরোধ থাকে। পেট তো আর অবরোধ মানে না, নয় জনের পরিবার, নয়টা পেটে খাবার দিতে হয়। সেই সময়টায় বড় চাচা মাটি কাটা দলের সাথে কাজে যেতেন। চাচার একার আয়ে পরিবারে খাবার মিটানো হিমশিম হয়ে যেতো, কাছাকাছি মাটির কাজ থাকলে মা চাচার সাথে চলে যেতেন মাটি কাটার দলের সাথে।

আমার বয়স যখন তেরো বছর তখন নৌকায় চাচা আর মায়ের সাথে যাই। বড় আপার বিয়ে হয়েছে, সে থাকে শ্বশুরবাড়ি। আপার বিয়েতে বেশকিছু টাকা ধার করতে হয়েছে সেই টাকা মাছ বিক্রি করে পরিশোধ করতে হবে।

বিকালবেলা নদী থেকে মাছ নিয়ে আসলে সন্ধ্যায় বড় বাজারে চলে যেতাম একটা হ্যারিকেন নিয়ে। মা আর আমিই যেতাম। বাজারের এক কোনায় বসে মাছ বিক্রি করতাম, সব মাছ বিক্রি করতে করতে অনেক রাত হয়ে যেতো। মায়ের সাথে বাড়িতে ফিরতাম, হাঁটু সমান কাদা ভেঙে, কখনো বৃষ্টিতে পেয়ে যেতো। মা কলাগাছ থেকে পাতা ছিঁড়ে মাথার উপর দিতো, সেই কলাপাতায় কোনোরকমে মাথা রক্ষা করে বাড়িতে ফিরতাম।

আমি তখন ক্লাস এইটে পড়ি। এলাকার সবাই আমার বিয়ের কথা বলছে। মা চাইছেন বিয়ে দিয়ে দিতে। তবে তেমন ভালো ছেলে পায় না। মেয়ের মা মাছ ধরে, মাটি কাটে এসব শুনে পাত্রপক্ষ বিয়ে ভেঙে দেয়। মা মাছ ধরা নৌকায় তার মেয়ে আর কি সংসারী হবে এমনও কথা শুনতে হয়েছে।

চাচা মায়ের সাথে এক রাতে বলেন, আমি বলি কি মুনিয়াকে আরো পরে বিয়ে দাও। পড়াশোনা করুক। মুনিয়ার স্যারের সাথে বড় বাজারে দেখা হলো, মুনিয়া আমার ভাইয়ের মেয়ে শুনে ওর বেশ সুনাম করলো। মুনিয়ার হাতের লেখা নাকি খুব সুন্দর। স্যার বললো ওরে পড়াইলে একদিন ভালো চাকরি করবে। বংশের ভিতরে এমনিতেও পড়াশোনা জানা মানুষ নেই, মেয়েটা যখন পড়াশোনায় ভালো পড়ুক।

মা বলে, ভাইজান পড়াশোনা করানো তো টাকার বিষয়। এতো টাকা কই পাবো?

চাচা বলেন, হয়ে যাবে টাকা। আর আমি স্যারদের কাছে যেয়ে অনুরোধ করবো, আমরা তো গরিব মানুষ বলবো কিছু কম রাখতে।

আমার বড় চাচা নিজের নাম লিখতে পারে না, টিপ সই দেন। সেই চাচার পড়াশোনার প্রতি টানেই ক্লাস এইটে আমাকে বিয়ে করতে হয় না।

স্কুল থেকে পরীক্ষায় সবার প্রথম হই। তবে কলেজ আমাদের এলাকা থেকে সাত কিলোমিটার দূরে, পুরো রাস্তা কাচামাটির। হেঁটে যেতে হবে, তারপর রাস্তার পাশে জঙ্গল।

ঠিক হয় সপ্তাহে তিনদিন আমি ক্লাস করবো, সেই তিনদিন নদীপথেই চাচা দিয়ে আসবে। যেহেতু আমাদের নৌকা আছে।

চাচা তিনদিন নৌকায় করে দিয়ে আসতো, বিকাল পর্যন্ত কলেজের পাশে বাজারে কাজ করতো। ট্রলারে জিনিসপত্র তুলে দিতো। কখনো কাজ শেষ হতে সন্ধ্যা হয়ে যেতো, সন্ধ্যায় নৌকায় চাচার সাথে বাড়িতে ফিরতাম।

সপ্তাহে দুদিন মা আর চাচার সাথে নদীতে নৌকায় চলে যেতাম। জাল টানতাম, কখনো নৌকার বৈঠা ধরে বসে থাকতাম। চাচার একটা রেডিও ছিলো, সেই রেডিওতো বাংলা ছবির গান চলতো। গান শুনতে শুনতে নদী থেকে জাল টেনে তুলতেন।

কলেজে পরীক্ষার রেজাল্ট দেখতে চাচার সাথেই আসি। আমাকে কলেজের রহমান স্যার খুব পছন্দ করতেন, স্যারের মেয়ে রুমা আমার সাথেই পড়তো।

কলেজের বারান্দায় আমাকে দেখে লাইব্রেরিতে ডেকে নেয়। আমার বুক কাঁপতে থাকে। চাচার দিকে তাকিয়ে বলেন, বুঝলা সোবহান তোমার ভাতিজী তো সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করেছে এই দেখো। যদিও চাচা কিছুই বুঝে না, তবু স্যারের মুখে ভালো রেজাল্টের কথা শুনে তার মুখটা উজ্জ্বল হয়ে যায়।

কলেজ থেকে বের হয়ে বাজার থেকে এক কেজি জিলাপি কিনেন। আমাকে দোকানে বসিয়ে জিলাপি খাওয়ান। বাড়িতে ফিরে সবাইকে জিলাপি দিয়ে জানায় আমার ভালো রেজাল্টের কথা।

গ্রামের সবাই বললো আর পড়াশোনার দরকার নেই, এবার যেনো আমাকে বিয়ে দেওয়া হয়। তবে চাচা বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। আমাকে নিয়ে রহমান স্যারের সাথে কথা বলেন। কিভাবে শহরে ভর্তি করানো যায়, কেমন খরচ হবে, কোথায় থাকবো সেসব নিয়ে কথা বলেন।

চাচা রহমান স্যারকে অনুরোধ করে বলেন, আমি তো আর এসব চিনি না। আপনি একটু যাবেন মুনিয়াকে নিয়ে? রহমান স্যার বলে যাবো। চাচা বলেন, খরচাপাতি যা লাগে আমি দিয়ে দিবো চিন্তা করবেন না।

রহমান স্যারকে নিয়েই চাচার সাথে আমি প্রথমবার শহরে আসি। স্যারের এক দুঃসম্পর্কের আত্মীয়ের বাসায় থাকবার সুযোগ করে দেয়। তাদের ছেলেমেয়েকে পড়াতে হবে, আর এখানেই এই বাসার দুই মেয়ের সাথে এক বিছানায় আমি থাকবো।

চাচা আর রহমান স্যার পরদিন ভোরে বাড়ির দিকে চলে যায় আমাকে শহরে রেখে। চাচা যাবার সময় মাথায় হাত রেখে বলেন, মা আমি আবার আসবো একমাস পরেই। আর চিঠি দিবো, রহমান স্যারকে দিয়ে লেখাবো।

চাচা মাথায় হাত রাখতেই চোখে পানি এসে যায়। চাচার চোখেও পানি দেখি।

আমি যার বাসাতে থাকি সেই ভদ্রলোক পুলিশে চাকরি করেন। বাড়ির বাইরেই থাকেন বেশিরভাগ সময়। বাড়ির সবাই ভালো মানুষ। একমাস পরেই আমাকে একটা জামা কিনে দেয়। শানু এবং শিউলীকে আমি পড়াই, শানুর মাকে ডাকতাম ফুপু। ফুপু সেবার আমাকে একটা জামা কিনে দেয়, সেই একটা জামা পরেই আমি ভার্সিটিতে যেতাম।

চাচা প্রথমে একমাস পরে একবার আসেন। তারপর বছরে দুবার আসতেন, আমি চাচার সাথে বছরে একবার বাড়িতে যেতাম, দশদিন সেখানে থাকতাম। তারপর শহরে কোনো লোক আসলে তার সাথে আবার শহরে আসতাম।

দেখতে দেখতে বহুবছর চলে যায়। আমাদের নৌকাটা কয়েকদিন পর পর ঝামেলা করে, মেরামত করতে হয়। চাচার ইচ্ছে একদিন বড় একটা নৌকা কিনবে সেই নৌকায় লোক রাখবে দুজন, তারা মাছ ধরবে। তবে চাচার ইচ্ছে ইচ্ছেই থেকে যায় নতুন নৌকা কেনা হয় না, পুরাতন নৌকা মেরামত করেই চলতে হয়।

আমাদের ভার্সিটির একজন শিক্ষক ছিলেন পত্রিকায় লিখতেন। পত্রিকায় স্যারের অনেক লেখা পড়িছি। একবার সাহস করে স্যারকে আমার কিছু লেখা দেই। স্যার আশ্বাস দেয় আমার লেখা পত্রিকায় ছাপা হবে।

সত্যি সত্যি একদিন পত্রিকায় আমার লেখা একটা ছোটোগল্প ছাপা হয় ‘নদীর জীবন’ শিরোনামে , যদিও স্যার কিছু সম্পাদনা করেন। যে গল্পে নদীর পাশের ঘর থাকা একটা পরিবারের কথা লেখা থাকে। এরপর স্যার আমার কাছে গল্প কবিতা চায়, প্রতিমাসে কিছু টাকা দিতো।

পড়াশোনা শেষে সেই পত্রিকায় তিনমাস চাকরি করি। চাচাকে নৌকা মেরামত করতে কিছু টাকা দেই, দাদুর কিছু ওষুধ কিনে দেই।

পত্রিকায় কাজের আটমাস চলে যায়, একটা কলেজে চাকরির কথা চলছে। তবে কোনো আশার বানী দেখতে পাইনি। বেশকিছু চাকরির পরীক্ষা দিয়ে রাখা আছে।

সেদিন বাইরে ঝুম বৃষ্টি। ঢাকা শহর একেবারে ফাঁকা, দুই একটা গাড়ি দেখা যায়। রিক্সা আসে থেমে থেমে। সেই বৃষ্টির ভিতরেই ছাতা নিয়ে বের হয়ে যাই।

ভার্সিটির কাছে আসতেই দেখি আমার বান্ধবী জয়িতা দাঁড়িয়ে আছে। জয়িতাকে নিয়ে আলতাফ স্যারের বাসাতে যাই। আজকে বিসিএসের রেজাল্ট দিবে দুপুরের দিকে, আলতাফ স্যারই আমাদের ভার্সিটির স্টুডেন্টদের রেজাল্ট দেখেন।

স্যার ভার্সিটির ভিতরেই কোয়ার্টারে থাকে। আমাদের দেখে সামনের ঘরে বসতে দেয়। জয়িতা আর আমি দুজনেই অপেক্ষা করতে থাকি। স্যারের স্ত্রী চা বিস্কুট দিয়েছে, তবে গলা দিয়ে কোনো খবার নামছে না।

স্যার কিছুসময় পরে তার ঘরের ভিতরে ডাকে, কম্পিউটারে রেজাল্ট দেখেন।

স্যার আমার দিকে তাকায়, হেসে বলে মুনিয়া মিষ্টির দোকানে যাও এক দৌড়ে। তোমার তো চাকরি হয়ে গেছে।

আমি কথা বলতে পারিনা, দুই চোখে পানিতে ভর্তি হয়ে যায়। জয়িতাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকি।

জয়িতা বড়লোক বাবার মেয়ে, ওর বাবার নিজস্ব গাড়ি আছে। স্যারের বাসা থেকে বের হয়ে ওর গাড়িতে করেই ঢাকা শহর ঘুরায়। আমি কাঁদতে থাকি গাড়িতে বসে, বাইরে তখন ঝুম বৃষ্টি।

চাচাকে চিঠি লিখতে বসে যাই। তবে কান্নায় কাগজ ভিজে যায় কিছুই লিখতে পারি না। শুধু লিখে জানাই চাচা আমার চাকরি হয়েছে, অনেক বড় চাকরি। আমার কলেজের শিক্ষক রহমান স্যারের কাছে একটা চিঠি লিখি। স্যারকে বলি চাচাকে সবকিছু বুঝিয়ে বলতে।

একবছর পরে চাচাকে একটা ইঞ্জিনচালিত ট্রলার কিনে দেই। চাচা এখন ট্রলার দিয়ে মাছ ধরে, অবশ্য দুজন লোক রেখেছেন। শুধু ট্রলারে বসে থাকে তার রেডিও নিয়ে, নদীতে বসে গান শুনতে তার ভালো লাগে।

চাচা দুই বছরের ভিতরে মাছ বিক্রির টাকা দিয়ে আরো দুটো ট্রলার কিনেন, একটা মাছের আরত দেয়। চাচাকে এখন এক নামে সবাই চিনে। বাড়িতে নতুন ঘর তুলেছেন। আমার বেতনের টাকায় সাথে চাচার ব্যবসার টাকায় বেশ ভালোই জীবন কাটে।

এর ভিতরে একদিন খবর আসে আমার বাবার সে নদীর ওইপাড়ে আছে। তার বউ ছেলেমেয়েরা হাসপাতালে ফেলে রেখে গেছে অসুস্থ অবস্থায়। দুদিন পরে সেখানেই মা রা গেছে, শেষ সময়ে কেউ পাশে ছিলো না তার। বড় চাচা লোক পাঠিয়ে লা শ বাড়িতে নিয়ে আসে।

আমার জীবন শুধু বড় চাচা মা আর দাদুকে নিয়ে। দাদু এখনো বেঁচে আছেন, লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটতে পারেন।

বড় চাচা যখন রেডিওতে খবর কিংবা গান শুনেন তখন তাকে ভীষণ সুন্দর লাগে। আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে মানুষটাকে দেখি৷

প্রিয় পাঠক এই লেখাটা একজনের বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া৷ জীবন কখনো একরকম থাকে না, বদলায় এবং রহস্য ঘেরা।

বড় চাচার রেডিও এবং জীবনের গান

©-মুস্তাকিম বিল্লাহ ভাইয়ার লিখা।

গোপন রহস্য উম্মোচন৩২০ জন পরীক্ষা দিয়ে ৩২০ জনই এ প্লাস পাওয়ার পেছনের গোপন  রহস্য!পেছনে আছে হাজারো স্টুডেন্ট ও অভিভাবকের...
18/07/2025

গোপন রহস্য উম্মোচন

৩২০ জন পরীক্ষা দিয়ে ৩২০ জনই এ প্লাস পাওয়ার পেছনের গোপন রহস্য!

পেছনে আছে হাজারো স্টুডেন্ট ও অভিভাবকের বুকফাটা কষ্ট।

নিচের পুরো লেখাটা পড়লে আপনার নিজেকে নিজের বিশ্বাস হবে না।

হয়তো এ ঘটনা মিলে যেতে পারে আপনার সাথে, আপনার সন্তানের সাথে অথবা আপনার পরিচিত কারো সাথে।

আপনি হয়তো ভাবছেন সকল পরীক্ষার্থী এ প্লাস পাওয়া এই স্কুলে সন্তানকে ভর্তি করিয়ে দিতে পারলেই আপনার সন্তানের এ প্লাস নিশ্চিত? তাহলে আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন।

পরীক্ষার আগে আপনি খোঁজ নিন, এই ধরনের ভালো ফলাফল করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কতজন স্টুডেন্ট টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো? যদি ২০০০ স্টুডেন্ট টেস্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকে, তাহলে সেখান থেকে বেছে বেছে ৪ ভাগের ৩ ভাগ স্টুডেন্টকেই টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য দেখিয়ে ফরম ফিলাপ করতে দেওয়া হয় না।

কেবলমাত্র যেই স্টুডেন্টের ব্যাপারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয় যে, ওমুক স্টুডেন্ট এ প্লাস পাবে, শুধুমাত্র তাকেই ফরম ফিলাপ করিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়। আর বাকি স্টুডেন্ট এবং তাদের অভিভাবকদের জীবনে নেমে আসে অভাবনীয় হতাশা এবং দুর্ভোগ!

সন্তানের জীবন থেকে চলে যায় মূল্যবান শিক্ষাবর্ষ। তখন ওই সকল অভিভাবক ছুটোছুটি করে নিম্নমানের নাম সর্বস্ব কোন স্কুল থেকে সন্তানকে ফরম ফিলাপ করিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানো হয়? তখন সুযোগ সন্ধানী অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই সব অভিভাবকের কাছ থেকে মোটা অংকের ডোনেশন নিয়ে ঐ ছাত্রকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেয়।

এবং পরবর্তীতে দেখা যায় ঐ নামীদামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে টেষ্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য স্টুডেন্টটি দুর্বল একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা দিয়ে এ প্লাস না পেলেও ন্যূনতম A হলেও পায়।

অথচ যেই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ আট দশ বছর পড়াশোনা করেছে, এ প্লাস না পাওয়ার আশঙ্কায় তারা এই স্টুডেন্টকে টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য দেখিয়ে স্কুল থেকে টিসি ধরিয়ে দেয়। যে সকল অভিভাবক এত কষ্ট এবং অর্থ ব্যয় করে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্তানকে পড়াশোনা করিয়ে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রিয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হয়, তাদের বুকফাটা আর্তনাদ কেউ দেখেনা। এবং উক্ত স্টুডেন্টদের হতাশা দেখার কেউ নাই। শুধু তাই নয় ওই স্টুডেন্ট বাবা-মায়ের কাছ থেকে শুধু বোকা নয় মারও খেতে হয়, বন্ধু বান্ধব আত্মীয়-স্বজন প্রতিবেশীদের কাছে হতে হয় অপমানিত। লজ্জায় ঘৃণা এবং হতাশায় এই কোমলমতি অনেক শিক্ষার্থীর জীবনে শিক্ষা জীবন এখানেই শেষ হয়ে যায়। আমার জীবনে আমি এরকম বহু ঘটনা দেখেছি। শুধু ঢাকায় নয়, দেশের প্রতিটি এলাকায় প্রতিটি অঞ্চলে অনেক নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্টুডেন্টদের ও তাদের অভিভাবক কে এরকম পরিস্থিতির শিকার হতে হয়।


এই পোস্ট যারা পড়ছেন তাদের মধ্য থেকে নিজে অথবা আপনার চেনাজানা কারো মধ্য থেকে এই ধরনের পরওস্থিতির শিকার হয়ে থাকলে নিচে কমেন্ট করে এই পোস্ট শেয়ার করে এই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে শামিল হোন।

আমার বিশ্বাস প্রতিবাদ না করলে এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারিতা ক্রমাগত বেড়েই চলবে। কারণ এই বছর যে প্রতিষ্ঠানটি ৩২০ জনের মধ্যে ৩২০ জনই A প্লাস পেয়েছে, এটা নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কানাঘুষা শুরু হয়ে গেছে। এবং আমার মনে হয় আগামীতে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের সকল স্টুডেন্ট কে এ প্লাস পাওয়া নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য দেখানো সংখ্যা বাড়িয়ে দেবে। যেই স্টুডেন্টটি এ প্লাস পাবেনা বলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধারণা হবে, তাকেই পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করা থেকে বিরত রাখবে। এবং এভাবেই লক্ষ লক্ষ স্টুডেন্টের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলবে।

লেখা : আহসান আলমগীর

18/07/2025

সব সময় সুস্থ থাকতে এই ১টি দোয়া প্রতিদিন পড়ুন।

🛡️ টাইফয়েড টিকা এখন সরকারি ব্যবস্থাপনায়! 🛡️১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে শুরু হচ্ছে EPI-এর অধীনে টাইফয়েড ভ্যাকসিন কার্যক্র...
17/07/2025

🛡️ টাইফয়েড টিকা এখন সরকারি ব্যবস্থাপনায়! 🛡️

১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে শুরু হচ্ছে EPI-এর অধীনে টাইফয়েড ভ্যাকসিন কার্যক্রম।
৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ১ ডোজ করে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে — একদম বিনামূল্যে!

👧👦 অন্তর্ভুক্ত থাকছে –
প্লে গ্রুপ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা।

💉 টাইফয়েড টিকা কেন জরুরি?
টাইফয়েড একটি মারাত্মক ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। এই টিকা আপনার শিশুকে টাইফয়েড জ্বর থেকে নিরাপদ রাখে।

📌 টিকা নিতে যা দরকার:
✔️ ১৭-ডিজিটের ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন সনদ
(না থাকলে এখনই করে ফেলুন)
✔️ EPI ক্যাম্পেইনের সময় ঘোষণার পর আপনার এলাকার EPI (Expanded Programme on Immunization) সেন্টারে যান
✔️ সঙ্গে নিন শিশুকে ও জন্মনিবন্ধনের সনদ

🌐 রেজিস্ট্রেশন করতে ভিজিট করুন:
👉 https://vaxepi.gov.bd

🔄 আগে যারা HPV টিকার সময় নিবন্ধন করেছেন, তাদের নতুনভাবে রেজিস্ট্রেশন করার দরকার নেই।
➤ শুধু লগইন করে টাইফয়েড টিকার জন্য রেজিস্টার করলেই হবে।
➤ মোবাইল নম্বর ভুলে গেলে “Forget Mobile Number” অপশন ব্যবহার করুন।

🚨 যারা এখনো রেজিস্ট্রেশন করেননি –
১️. প্রথমে অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন
২️. এরপর টাইফয়েড টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করুন

সঠিক তথ্য জেনে, সময়মতো প্রস্তুতি নিন।
আমাদের শিশুদের সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য একসাথে এগিয়ে আসুন। ❤️

©

অন্যের মতামতকে নিজের পক্ষে আনার জন্য কিছু কৌশল এবং মনস্তাত্ত্বিক দিক বিবেচনা করতে হয়। এটি শুধুই যুক্তি দিয়ে হয় না, বরং স...
17/07/2025

অন্যের মতামতকে নিজের পক্ষে আনার জন্য কিছু কৌশল এবং মনস্তাত্ত্বিক দিক বিবেচনা করতে হয়। এটি শুধুই যুক্তি দিয়ে হয় না, বরং সম্পর্ক, সম্মান, অনুভূতি এবং যোগাযোগ দক্ষতার উপরও নির্ভর করে। কিছু কার্যকর পদ্ধতি দেওয়া হলো।

১. প্রথমে বুঝুন, তারপর বোঝান।

তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বুঝুন: তারা কেন এমনটি ভাবছে? তাদের ভয়, উদ্বেগ, বা চাওয়া কী?

প্রশ্ন করুন: “আপনার মনে হয় এটা কেন ভালো হবে না?” এই ধরনের প্রশ্ন তাদের ভেতরের কারণ জানার সুযোগ করে দেয়।

২. সম্মান দেখান ও বিরোধিতা না করে মতভেদ পেশ করুন।

সরাসরি কাউকে বলবেন না- “আপনার মতামত ভুল।”
বরং বলা যেতে পারে- “আপনার পয়েন্টটি আমি বুঝি, তবে আমি অন্যভাবে ভেবেছিলাম…”

৩. সাধারণ স্বার্থ খুঁজে বের করুন।

“আমরা দুজনেই চাই প্রজেক্টটা সফল হোক, তাই না?”
এইভাবে একই লক্ষ্যে একমত হয়ে মতানৈক্য দূর করা সহজ হয়।

৪. তথ্য ও যুক্তি ব্যবহার করুন, তবে তা সহজ ভাষায়।

কঠিন শব্দ নয়, সাধারণ উদাহরণ দিন।
বাস্তব ঘটনা বা ছোট গল্প ব্যবহার করুন। এটি মানুষের মন সহজে গ্রহণ করে।

৫. প্রভাবশালী মানুষ বা উদাহরণ টানুন।

যদি আপনি এমন কারো উদাহরণ দিতে পারেন যাকে তারা শ্রদ্ধা করে, সেটি কার্যকর হয়।
যেমন: “আপনার পছন্দের ম্যানেজারও তো ঠিক এই পদ্ধতিই অনুসরণ করতেন।”

৬. প্রশংসা দিয়ে শুরু করুন।

মানুষের প্রতিরোধ কমে যায় যদি আপনি শুরুতেই বলেন:
“আপনার চিন্তাভাবনা সবসময়ই বাস্তবসম্মত…”
তারপর আপনার অবস্থান পেশ করুন।

৭. সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদেরও গুরুত্ব দিন।

“আপনার কী মনে হয়— আমরা যদি এটা ওভাবে করি, কেমন হয়?”

এতে তারা সহযোগী বোধ করে, বিরোধী নয়।

৮. সময় দিন।

কেউ একবারে মত বদলায় না। ধৈর্য ধরুন।
আপনি যদি শান্ত, যুক্তিপূর্ণ এবং শ্রদ্ধাশীল থাকেন, ধীরে ধীরে মানুষ আপনার কথায় আসতে শুরু করে।

ধরা যাক আপনি চাইছেন আপনার সহকর্মী একটি নতুন সফটওয়্যার ব্যবহার করুক, কিন্তু সে রাজি নয়।
তাকে বলবেন না: “তুমি সবসময় পুরনো পদ্ধতি নিয়ে পড়ে থাকো।”

তাকে বরং বলুন:

“আমি জানি তুমি কাজের গতি বজায় রাখতে চাও, আমিও তাই চাই। আমি এই নতুন সফটওয়্যারটা ব্যবহার করে কাজটা ২০% দ্রুত করেছি। তুমি একবার দেখো, যদি ভালো না লাগে, পুরোনোটাই থাকুক।”

নিজের মত অন্যের উপর চাপিয়ে দিলে কাজ হয় না। বরং বোঝাতে হবে, আপনি তাদের শ্রদ্ধা করেন এবং উভয়ের মঙ্গল হয় এমন কিছুই চাইছেন। এতে মানুষ ধীরে ধীরে আপনার কথায় আসবে।
__________________

©

আপনার রিজিক হতে পারে দেরিতে বিয়ে হওয়া— যাতে আপনি বাবা মায়ের দেখভালে আরও বেশি সময় দিতে পারেন। আপনার রিজিক হতে পারে দেরিতে...
17/07/2025

আপনার রিজিক হতে পারে দেরিতে বিয়ে হওয়া— যাতে আপনি বাবা মায়ের দেখভালে আরও বেশি সময় দিতে পারেন।

আপনার রিজিক হতে পারে দেরিতে সন্তান হওয়া— যাতে আপনি আপনার পার্টনারে সাথে সম্পর্কটাকে আরো ভালোভাবে গড়ে তুলতে পারেন, বোঝাপড়াটা মজবুত করতে পারেন।

আপনার রিজিক হতে পারে দেরিতে পাওয়া— যাতে আপনি ধৈর্য, কৃতজ্ঞতা আর আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ শিখতে পারেন।

আপনার রিজিক হতে পারে একাকীত্ব — যেন আপনি অন্যদের থেকে দূরে থেকে আল্লাহর সাথে আরও ঘনিষ্ঠ হতে পারেন।

সবসময় পাওয়ার মধ্যে নয় বরং অনেক ক্ষেত্রে না পাওয়াটাই হলো রিজিক। একটা বিষয় মাথায় রাখলে সবকিছু মেনে নেওয়া সহজ হবে, আপনার জীবনে যা আছে আর যা নেই সবই আল্লাহ খুব নিখুঁতভাবে বেছে দিয়েছেন।
©

আমার মনে হচ্ছে আলিফ লাম মিম দিয়ে আল্লাহ তার নাম বুঝিয়েছেন  নিচের পোষ্ট পড়ে আমার রুহ কেঁপে উঠেছে শরীর এর সব লোম দাঁড়ি...
17/07/2025

আমার মনে হচ্ছে আলিফ লাম মিম দিয়ে আল্লাহ তার নাম বুঝিয়েছেন নিচের পোষ্ট পড়ে আমার রুহ কেঁপে উঠেছে শরীর এর সব লোম দাঁড়িয়ে গেছে মাথা আল্লাহর সম্মানে নত হয়ে গেছে


এক তরুণী স্প্যানিশ নারী “আল্লাহ” শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা করলেন

এই তরুণী স্প্যানিশ নারী বর্তমানে জর্ডানের ইয়ারমুক বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবি ভাষায় মাস্টার্স করছেন। একদিন, দ্বিতীয় বর্ষের একটি ক্লাসে অধ্যাপক ফাখরি কাতানাহ তার শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসা করলেন:

“তোমাদের মধ্যে কে ‘আল্লাহ’ নামটির অলৌকিক ও ধ্বনিবিজ্ঞানগত দিক থেকে ব্যাখ্যা করতে পারবে?”

কেউ হাত তুলল না—শুধুমাত্র একজন তরুণী স্প্যানিশ নারী, যার নাম হেলেন। যদিও তিনি স্প্যানিশ ও খ্রিস্টান ছিলেন, তিনি সাবলীলভাবে আরবি বলতেন। তিনি বললেন:

“আরবি ভাষায় আমি যে সবচেয়ে সুন্দর শব্দটি পড়েছি, সেটি হল ‘আল্লাহ’। এই নামটি মানব ভাষায় একটি অনন্য সুরধ্বনি তৈরি করে, কারণ এর সব অক্ষর গলা থেকে উচ্চারিত হয়, ঠোঁট থেকে নয়।
এই পবিত্র নামটি ঠোঁটের সাহায্যে উচ্চারিত হয় না, কারণ এতে কোনো ডায়াক্রিটিকাল চিহ্ন (বিন্দু) নেই। এখন ‘আল্লাহ’ উচ্চারণ করুন এবং খেয়াল করুন কীভাবে এটি বলছেন!
আপনি দেখবেন, এর অক্ষরগুলি গলার গভীর থেকে আসে, ঠোঁটের কোনো নড়াচড়া ছাড়াই। এর মানে হলো, যদি কেউ ‘আল্লাহ’ শব্দটি উচ্চারণ করতে চায়, তবে তার চারপাশের লোকেরা তা লক্ষ্যও নাও করতে পারে।”

তিনি আরও ব্যাখ্যা করলেন:

“এই নামের আরেকটি অলৌকিক দিক হলো, এর কিছু অক্ষর সরালেও এর অর্থ অটুট থাকে।”

সাধারণত ‘আল্লাহ’ শব্দটি ‘اللّٰهُ’ (Allahُ) রূপে উচ্চারিত হয়।

যদি প্রথম অক্ষর (আলিফ) সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে এটি ‘لِلّٰهِ’ (Lillah) হয়ে যায়, যা নিম্নলিখিত কুরআনের আয়াতে পাওয়া যায়:
﴿وَلِلَّهِ ٱلۡأَسۡمَآءُ ٱلۡحُسۡنَىٰ فَٱدۡعُوهُ بِهَاۖ﴾
“আল্লাহর জন্য রয়েছে সর্বোত্তম নামসমূহ, সুতরাং তোমরা তাঁকে সেসব নাম ধরে ডাক।” (সুরা আল-আ‘রাফ: ১৮০)

যদি ‘আলিফ’ ও প্রথম ‘লাম’ সরানো হয়, তাহলে এটি ‘لَهُ’ (Lahu) হয়ে যায়, যেমন এই আয়াতে:
﴿لَهُۥ مَا فِى ٱلسَّمَـٰوَٰتِ وَمَا فِى ٱلۡأَرۡضِۗ﴾
“আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে, সবই তাঁর।” (সুরা আল-বাকারা: ২৫৫)

যদি ‘আলিফ’ ও দ্বিতীয় ‘লাম’ সরানো হয়, তবে কেবল ‘هُوَ’ (Hu) থাকে, যা এখনো আল্লাহর প্রতিই ইঙ্গিত করে, যেমন এই আয়াতে:
﴿هُوَ ٱللَّهُ ٱلَّذِي لَآ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ﴾
“তিনি আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই।” (সুরা আল-হাশর: ২২)

যদি প্রথম ‘লাম’ সরানো হয়, তবে এটি ‘إِلَـٰه’ (Ilah) হয়ে যায়, যেমন এই আয়াতে:
﴿ٱللَّهُ لَآ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ ٱلۡحَىُّ ٱلۡقَيُّومُ﴾
“আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সৃষ্টির ধারক-সংহারক।” (সুরা আল-বাকারা: ২৫৫)

তিনি আরও ব্যাখ্যা করলেন:

“বিদ্বানগণ গভীরভাবে ‘আল্লাহ’ নামটি নিয়ে গবেষণা করেছেন। তাওহিদের বাক্য, ‘لَا إِلَـٰهَ إِلَّا ٱللَّهُ’ (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) তিনটি অক্ষর নিয়ে গঠিত: আলিফ, লাম, ও হা।
এই তিনটি অক্ষর হালকা ও সহজে উচ্চারিত হয়, যা ঠোঁট না নড়িয়েও বলা যায়।”

তিনি আরও ব্যাখ্যা করলেন:

“আপনারা কি জানেন কেন?
যেন মৃত্যুর সময় একজন ব্যক্তি সহজেই এটি উচ্চারণ করতে পারেন, ঠোঁট বা দাঁত না নাড়িয়েও।”

আজ, হেলেনের নতুন নাম রাখা হয়েছে ‘আবিদাহ’ (উপাসক)।

“আমরা মুসলিম হয়ে গর্ববোধ করি, অথচ আমরা ‘আল্লাহ’ নামটি ব্যাখ্যা করতে পারলাম না। আল্লাহ তাকে ইসলামের বরকত দান করুন।”

“কেন আমরা ধর্মীয় বার্তাগুলো মুছে ফেলি, কিন্তু সাধারণ বার্তাগুলো ফরওয়ার্ড করি?
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:

﴿بَلِّغُوا عَنِّي وَلَوْ آيَةً﴾
“আমার পক্ষ থেকে পৌঁছে দাও, যদিও তা একটি আয়াতই হয়।” (বুখারি: ৩৪৬১)

“হয়তো এই বার্তাটি শেয়ার করার মাধ্যমে, আপনি এমন একটি আয়াত পাঠাবেন যা কিয়ামতের দিন আপনার জন্য সুপারিশ করবে।”

সর্বশেষে:

﴿لَا إِلَـٰهَ إِلَّا ٱللَّهُ مُحَمَّدٌ رَّسُولُ ٱللَّهِ﴾
“আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, এবং মুহাম্মদ ﷺ আল্লাহর রাসুল।”

আল্লাহু আকবার! সমস্ত শব্দ ও কর্মে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ। আলহামদুলিল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ।

কালেক্টেড
©️

*"রিজিকের মালিক কে?"*আমরা অনেকেই মনে করি— আমার উপার্জনে পরিবার চলছে। আমি না থাকলে সবাই না খেয়ে মরবে। এই ভাবনাই আমাদের অন...
17/07/2025

*"রিজিকের মালিক কে?"*

আমরা অনেকেই মনে করি— আমার উপার্জনে পরিবার চলছে। আমি না থাকলে সবাই না খেয়ে মরবে। এই ভাবনাই আমাদের অন্তরে অহংকার জন্ম দেয়। ফলে কখনও স্ত্রীকে খোঁচা দেই, কখনও বাবা-মাকে ঠুকি, সন্তানদের দোষারোপ করি— “সবাই আমার পয়সায় খাচ্ছ!”

তবে একটু থামুন। ভাবুন, যদি আল্লাহ এক মুহূর্তেই আপনার আয়ের পথ বন্ধ করে দেন? যদি হঠাৎ চাকরি চলে যায়, ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়, কিংবা আপনি অসুস্থ হয়ে পড়েন? তখন কি আপনি মনে রাখবেন— রিজিকের মালিক আপনি নন, আল্লাহ।

এমনও হতে পারে, আপনার পরিবারের সদস্যদের রিজিক আপনার মাধ্যমে আল্লাহ পৌঁছে দিচ্ছেন। অর্থাৎ, রিজিক আপনার স্ত্রীর, সন্তানের বা বাবা-মায়ের—আর আপনি শুধু মাধ্যম। বরং তাদের বরকতেই আপনি আজ খাচ্ছেন।

📌 একটি বাস্তব দৃষ্টান্ত:

অনেক সময় দেখা যায়, একজন মানুষ চাকরি হারায় বা আয় বন্ধ হয়ে যায় ঠিক তখনই, যখন সে তার পরিবারের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে শুরু করে। হয়ত আল্লাহ তাদের রিজিকের রাস্তা সরিয়ে নিয়েছেন এবং আপনি, যে শুধু মাধ্যম ছিলেন—আপনার পথও বন্ধ হয়ে গেছে।

💡 বুঝে নিন:

আপনি উপার্জনকারী নন, বরং রিজিক পৌঁছানোর বাহক মাত্র।

পরিবারে যে ভালোবাসা ও সম্মান আপনি দেন, সেটিই আপনার আয় ও বরকতের কারণ হতে পারে।

যে সন্তান বা স্ত্রীকে আপনি অবহেলা করছেন, হতে পারে তিনিই আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় বরকতের উৎস।

তাহলে কী করণীয়?

✅ অহংকার নয়, করুন কৃতজ্ঞতা
✅ পরিবারের প্রতিটি সদস্যের প্রতি দেখান সম্মান
✅ মনে রাখুন— রিজিক আসছে আল্লাহর পক্ষ থেকে, আপনি শুধু দায়িত্ব পালন করছেন।

যে মানুষটি ভাবেন তার উপার্জনে পরিবার চলছে, সে ভুল করছে। বরং পরিবারে থাকা মানুষগুলোর রিজিক তার মাধ্যমে আসছে বলেই সে উপার্জন করতে পারছে। যখন তাদের রিজিকের সময় শেষ হবে, তখন আপনার আয়ও বন্ধ হয়ে যাবে। তাই অহংকার নয়, করুন কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা।

®সংগৃহীত

ভালো থাকুক তারা!যারা সব সময় আমার খারাপ চাই🙂💚
16/07/2025

ভালো থাকুক তারা!
যারা সব সময় আমার খারাপ চাই🙂💚

অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি - এখনো অনেক মা-বাবা ভাবেন "বাচ্চারা যদি স্কিনটাইম চায় তো Random Reels - Tiktok - Shorts ই দে...
16/07/2025

অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি - এখনো অনেক মা-বাবা ভাবেন "বাচ্চারা যদি স্কিনটাইম চায় তো Random Reels - Tiktok - Shorts ই দেখুক"।😞

কিন্তু এই ডিজিটাল যুগে, যেহেতু ১০০% টাইমে আপনি বাচ্চাদের স্কিনটাইমের বাহিরে রাখতে পারবেন না তাই যতটুকু দেখাতে হয় সেটা যেন useful হয়!
🌟 আপনার শিশুর পর্দার সময় হোক নিরাপদ, উপকারী ও ভালোবাসাময় 🌟
তাই বেছে নিয়েছি ৭টি নিরাপদ, শিক্ষনীয় ও মেধা বিকাশমূলক ইউটিউব চ্যানেল—
যা আমি নিজে একজন প্যারেন্ট হিসেবে ৫-৮ মিনিট করে দেখে তবেই নির্বাচিত করেছি ❤️

✅ ৭টি নিরাপদ ও উপকারী ইউটিউব চ্যানেল
১. Peep and the Big Wide World
🔹 বিজ্ঞান ও অনুসন্ধান শেখায়
👉 "পানি কেন শুকায়?"—শিশু নিজেই প্রশ্ন করতে শেখে
২. Blippi
🔹 রঙিন অথচ বাস্তব জগৎ শেখায়
👉 মিউজিয়াম বা গাড়ির ভিতর থেকে শেখে কাজের প্রতি আগ্রহ
৩. Sesame Street
🔹 আবেগ নিয়ন্ত্রণ, নৈতিকতা ও ভাষা শেখায়
👉 “Sharing is caring”—Elmo-র মুখে শুনে শিশুর মনে গেঁথে যায়
৪. Ms. Rachel (Songs for Littles)
🔹 স্পিচ থেরাপিতে সহায়ক, খোলামেলা মানব মুখ শিশুর ভাষা শেখায়
👉 দেরিতে কথা বলা শিশুরাও শব্দ শেখে তার কাছ থেকে
৫. Super Simple Songs
🔹 স্লো ও পরিষ্কার গানে শব্দভাণ্ডার বাড়ে
👉 “If You're Happy…” গানেই শিশুরা শেখে শব্দ + শরীরচর্চা
৬. National Geographic Kids
🔹 প্রাণীজগৎ, প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কে আগ্রহ বাড়ায়
👉 “How bees make honey” দেখে শিশুর চোখে প্রশ্ন জাগে
৭. SciShow Kids
🔹 সহজ ব্যাখ্যায় বিজ্ঞান শেখায়
👉 “Why do leaves change color?”—এমন প্রশ্নগুলো মাথায় আসে ওরা নিজেরাই

🔍 সতর্ক বার্তা ও প্যারেন্টিং টিপস:
🧡 আপনি জানেন, কী দেখছে আপনার সন্তান?
– YouTube Kids অ্যাপে Parent Control ব্যবহার করুন
– প্রতিটি ভিডিও আগে দেখে অনুমোদন দিন
– বয়স অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করুন:
📍 ২-৫ বছর: সর্বোচ্চ ২০ মিনিট
📍 ৫+ বছর: সর্বোচ্চ ৬০ মিনিট
👩‍👦 সবচেয়ে বড় শিক্ষা? ওদের পাশে বসুন।
– একসাথে দেখুন
– প্রশ্ন করুন, ওদের ভাবতে শেখান
– শেখার আনন্দ ভাগাভাগি করুন

🧠📱 শিশুর স্ক্রিনটাইম যেন হয়ে ওঠে শিখনের সময়—আর তার জন্য অভিভাবকদের সচেতন ভালোবাসাই সবচেয়ে জরুরি।
ভালো কন্টেন্টই ভালো ভবিষ্যতের বীজ। 🌱

©

Address

Dhaka

Telephone

+8801911211511

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ayaan,s Collection posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ayaan,s Collection:

Share