29/10/2025
আপনার ছেলে যখন স্কুলে ভর্তি হবে, তখন নতুন নতুন বন্ধু হবে। কিছু বন্ধু খুব দুষ্টু হবে। তাদের সাথে মানিয়ে চলতে কী শিক্ষা দিবেন?
ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে, নতুন স্কুলে যখন নতুন বন্ধু হবে, তাদের সব বন্ধু ভালো নাও হতে পারে—কিছু বন্ধু দুষ্টু বা খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই বাবা-মায়ের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ।ছোট বাচ্চারা এতটা ম্যাচিউরড হয় না। তাদের বোঝানোর সময় বড়দের মতো উপদেশ নয়, বরং খুব সহজ ভাষা, গল্প, উদাহরণ আর ভালোবাসার সুর ব্যবহার করতে হয়।
১. ভালো-মন্দ চেনার শিক্ষা দিন
সহজ ভাষায় বোঝান, কোন কাজ ভালো, কোনটা খারাপ।
উদাহরণ দিন: “যদি কেউ বলবে ক্লাসে চকলেট খাও বা বই ছিঁড়ে ফেল, সেটা খারাপ।”
ভালো বন্ধু সেই, যে সাহায্য করে, সত্য কথা বলে, মজা ভাগ করে।
২. ‘না’ বলতে শেখান
খারাপ প্রস্তাব এলে সাহস করে ‘না’ বলতে বলুন।
বলুন, “যা ভুল মনে হবে, তা করা ঠিক নয়।”
৩. ঝগড়া না করে দূরে সরে আসা
মারামারি বা চিৎকার না করে পরিস্থিতি থেকে নিজেকে সরাতে শেখান।
নিরাপদ জায়গায় চলে আসা বা শিক্ষক/মায়ের কাছে যাওয়ার উপদেশ দিন।
৪. নিজের বুদ্ধি ব্যবহার করা
বন্ধুদের চাপের মধ্যে নিজস্ব সঠিক চিন্তা বজায় রাখা শিখতে হবে।
সব বন্ধুর সাথে মানিয়ে চলা বাধ্য নয়।
" মা" তার বাচ্চাকে এভাবেও বলতে পারেন---
"যদি কেউ খারাপ কিছু করতে বলে, বলবে:
“না, আমি এটা করবো না। চলো খেলি, কিন্তু ভালো খেলা।”
আর যদি ভয় লাগে, স্যারকে বলবে, অথবা আমাকে বলবে।
৫. গল্পের মাধ্যমে বোঝান (শিশুদের জন্য)
⛔একটা গল্প দিয়ে বলি, চলেন---
নিহাল নতুন স্কুলে ভর্তি হলো। রুমি বলল—
— “চলো জানালা দিয়ে চক ছুড়ে মারি!”
নিহাল মায়ের কথা মনে করল: “এটা খারাপ। আমি এটা করবো না।”
সে বলল—
— “না রুমি, চলো মাঠে খেলি।”
রুমি প্রথমে রাগ করলেও পরে রাজি হল এবং মাঠে খেলতে গেল। শিক্ষক দূর থেকে হাসলেন।
শেখার মেসেজ:
খারাপ কাজ কখনও করবে না।
ভালো বন্ধু বেছে নেবে।
ঝগড়া নয়, শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি সামলাবে।
৬. আপনার সাথে খোলাখুলি কথা বলতে উৎসাহ দিন
তাকে আশ্বস্ত করুন যে, যেকোনো ঘটনা, ভালো-মন্দ—সব বললে আপনি রাগ করবেন না।
সংগৃহীত