Muhammad Miraj Mia

Muhammad Miraj Mia লেখক-
দি এ্যানাটমি অব ওয়ার্ল্ড পলিটিক্স,
দি কসমিক প্লে অব কন্টেমপোরারি গ্লোবাল পলিটিক্স।

সবগুলো বই- https://tinyurl.com/y2nprhhc
(1)

01/12/2025

বিসিএস প্রিলি+লিখিত কম্বাইন্ড প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত

29/11/2025

৫০ ও ৫১তম বিসিএস যারা দিবেন তাদের উদ্দেশ্যে!

আপনারা অসংখ্য মানুষ ইতোমধ্যে জানতে চেয়েছেন যে, বিসিএস প্রিলিমিনারির ২০০ নাম্বারের মধ্যে সাধারণ জ্ঞানের ৭৫ মার্কসের প্রস্তুতি এবং লিখিত ৯০০ নাম্বারের মধ্যে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিকের ৩০০ মার্কসের প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে করণীয় দিকগুলো তুলে ধরার।

৫০তম প্রিলি পরীক্ষার সময় রয়েছে মাত্র দুই মাস, তারপর লিখিত এর জন্যও সময় দিয়েছে দুই মাস। ধরে নেওয়া যাচ্ছে এখন থেকে সকল বিসিএসেই এই পদ্ধতিতে আগাবে। তাই বিসিএসে ভালো কিছু করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই প্রিলি ও লিখিত প্যারালাল ওয়েতে কম্বাইন্ড প্রস্তুতি নিতে হবে। এক্সট্রাঅর্ডিনারি হলে ভিন্ন কথা।

প্রিলিমিনারির ক্ষেত্রে:
বাংলাদেশ-২৫
আন্তর্জাতিক-২৫
নৈতিকতা-১৫
ভূগোল-১০
এই স্বল্প সময়ে নতুন নম্বর পদ্ধতি ও সিলেবাস অনুসারে সর্বমোট ৭৫ নাম্বারের প্রস্তুতি একদিকে যেমন কিছুটা ক্রিটিক্যাল, অপরদিকে কৌশলী ওয়েতে গুছিয়ে প্রস্তুতি নিতে পারলে অনেকটা সহজ। সাম্প্রতিক বিসিএসগুলোর প্রশ্ন দেখে বলা যায় যে, বিসিএস প্রশ্ন প্রণয়নে এখন আর অতীতের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হচ্ছে না। বিগত সালের প্রশ্নের প্যাটার্ন পরিবর্তন করা হয়েছে। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও প্রিলি লিখিত উভয়েই টপিক নির্ধারণে নতুনত্ব এসেছে। গতানুগতিক প্রশ্নের পরিবর্তে সাম্প্রতিক ও সৃজনশীল প্রশ্ন আসায় আগের মতো মোটা মোটা বই পড়ে পরীক্ষায় ভালো করা একপ্রকার চ্যালেঞ্জ হয়েছে দাঁড়িয়েছে।

লিখিত এর ক্ষেত্রে:
বাংলাদেশ-২০০
আন্তর্জাতিক-১০০
রচনা-৯০ (বাংলা ৪০ + ইংরেজি ৫০)

বিসিএসে যারা একদম নতুন কিংবা যাদের ব্যাকগ্রাউন্ড বিজ্ঞান অথবা যারা রিটেনে ভালো নাম্বার ক্যারি করতে চান তাদের জন্য এই ৩০০ মার্কস কেবল দুইমাসে কভার করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অনলাইনে বিস্তারিত পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় আপনি দেওয়ার মতো সময়ও পাবেন না। লিখিত আন্তর্জাতিক প্রশ্নে অনেক নতুনত্ব এসেছে। সিলেবাসে থাকা টপিক থেকে হুবহু না এসে ভেতর থেকে সাব টপিক থেকে প্রশ্ন আসা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ বিষয়াবলির ক্ষেত্রে পলিসি নির্ভর প্রশ্ন বেশি আসছে। সেক্ষেত্রে একাডেমিক ও বিশ্লেষণমূলকভাবে না লিখে গতানুগতিক পদ্ধতিতে লিখলে লিখিত উত্তীর্ণ হওয়া খুবই টাফ হয়ে যাবে সামনের বিসিএসগুলোতে।

উল্লেখ্য, লিখিত বাংলাদেশ বিষয়াবলি ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির প্রস্তুতি নিলে প্যাসিভ ওয়েতে বাংলা ও ইংরেজি রচনার জন্য প্রস্তুতি হয়ে যায়। বিগত তিনটা বিসিএসেই দেখা গিয়েছে যে রচনাগুলো আসে সেগুলো বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলির প্রস্তুতি থেকেই উত্তর করা যাচ্ছে, যদি আমি প্রস্তুতি নেওয়ার সময় এটাকে মার্জ করে পড়তে পারি।

তাই আপনাদের অনুরোধে সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রিলিমিনারির এই ৭৫ মার্কস+লিখিত এর ৩০০ মার্কস+লিখিত রচনার ৯০ মার্কস প্রস্তুতির জন্য আপনাদের সহযোগিতা করতে পারবো। সর্বমোট ৪৬৫ মার্কস। তাছাড়া এবার লিখিততে যেটা করেছিলাম, পিডিএফ আকারে সকল টপিকের স্লাইড দিয়ে দিয়েছি। পিডিএফে বিস্তারিত সব ছিল। বিস্তারিত থাকায় নিজে নিজে নোট করতে হয়নি, সবার অনেক সময় বেচে গিয়েছে। এবং সাম্প্রতিক এর জন্য আলাদা করে কোন বইয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি। নির্দিষ্ট সময়েই সিলেবাস সম্পন্ন করতে পেরেছি।

যারা আগে থেকেই আমার সাথে কানেক্টেড রয়েছেন, তারা একাধিকবার এবিষয়ে অনুরোধ করেছেন যেন এবারও চলমান রাখি। যেহেতু একই ব্যাক্তির কাছে প্রিলি, লিখিত পড়লে এবং একই ব্যক্তির বইগুলো ফলো করলে অনেক সহজে দীর্ঘদিন মনেও রাখা যায় এবং ভালোকরে প্রতিটি টপিক বোঝাও যায়। তবে কোয়ালিটি বজায় রাখার স্বার্থে এবারও বেশি সংখ্যককে অ্যাকোমোডেট করা হয়তো সম্ভব হবে না। আপনারা যারা সত্যিকারভাবে আগ্রহী আছেন একটা টেক্সট দিয়ে রাখলেই হবে। পাশাপশি শুধু প্রিলি, নাকি শুধু লিখিত, নাকি কম্বাইন্ড সেটা উল্লেখ করলেই হবে। আমি সেখানে ভর্তি প্রসেস সহ সেখানে বিস্তারিত জানিয়ে দিচ্ছি শীঘই। বিশ্বাস করি অনেক ভালো কিছু হবে। ইনশাআল্লাহ।

এবছরের সাম্প্রতিক ইস্যুগুলো নিয়ে সাপ্লিমেন্ট দুটির সূচিপত্র।ক) সাপ্লিমেন্ট-দি এ্যানাটমি অব ওয়ার্ল্ড পলিটিক্স(২০২৫)খ)'সাপ...
27/11/2025

এবছরের সাম্প্রতিক ইস্যুগুলো নিয়ে সাপ্লিমেন্ট দুটির সূচিপত্র।

ক) সাপ্লিমেন্ট-দি এ্যানাটমি অব ওয়ার্ল্ড পলিটিক্স(২০২৫)
খ)'সাপ্লিমেন্ট-দি এ্যানাটমি অব বাংলাদেশ পলিটিক্স(২০২৫)

বই দুটো রকমারি, মামুন বুক হাউজ সহ জেলা শহরের লাইব্রেরিগুলোতে পাবেন।

আলহামদুলিল্লাহ!এবছরের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ও বাংলাদেশে আলোচিত ইস্যুগুলোর উপর আমার নতুন দুটো সম্পূরক বই (সাপ্লিমেন্ট-২০২৫) ...
19/11/2025

আলহামদুলিল্লাহ!
এবছরের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ও বাংলাদেশে আলোচিত ইস্যুগুলোর উপর আমার নতুন দুটো সম্পূরক বই (সাপ্লিমেন্ট-২০২৫) আগামীকাল প্রকাশ পাবে। অনেক ব্যস্ততার মাঝেও এই কাজগুলো আমাকে অনেক বেশি প্রশান্তি দেয়। আশাকরি সাপ্লিমেন্ট দুটো আপনাদের সমসাময়িক জটিল বিষয়গুলো বুঝতে সহায়ক হবে।

17/11/2025

পিএসসি'র কাছে নিবেদন-

সাম্প্রতিক সময়ে পিএসসি কর্তৃক পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কার, প্রশ্নপত্রে সৃজনশীলতা আনয়ন, দ্রুত ফলাফল প্রণয়ন, স্বচ্ছতা রক্ষার্থে ভাইভায় মার্কস কমানো, স্বল্প সময়ে ৪৯বিসিএস সম্পন্নকরণ ইত্যাদি বিষয়গুলো খুবই ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।

বিসিএসে ক্যাডার প্রাপ্তির মূল বিষয় হিসেবে এতোদিন ফ্যাক্টর ছিল ২০০ মার্কসের ভাইভা।
কারণ প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাশ করে যারা লিখিত দিতো, তাদের লিখিত নাম্বার প্রাপ্তিতে একজন ক্যান্ডিডেটের সাথে আরেকজন ক্যান্ডিডেটের খুব বেশি পার্থক্য হতো না। কারণ প্রশ্ন ছিল ট্রাডিশনাল ও গতানুগতিক এবং সকলের পড়াশোনার মেটেরিয়ালস ও জানাশোনার বিষয় সিলেবাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু ভাইভাতে ২০০ মার্কস থাকায় এবং একেক বোর্ডে একেক পদ্ধতিতে নাম্বার দেওয়ায় দুজন প্রার্থীর নাম্বার ব্যবধান অনেক হতো। যা ক্যাডার প্রাপ্তিতে বড় নিয়ামক হয়ে দাঁড়াতো। তার উপর ছিল রাজনৈতিক সুপারিশে ভাইভায় অধিক নাম্বার দেওয়া।

কিন্তু বর্তমানে এই ভাইভার মার্কস ১০০ করায় এবং বোর্ডভিত্তিক নাম্বারের হেরফের না হওয়ার জন্য রুব্রিকস সিস্টেম ব্যবহার করায় দুজন ক্যান্ডিডেটের ভাইভা মার্কস খুব বেশি ব্যবধান হবে না। এবং সামনে ভাইভা মার্কস ৫০ করলে ক্যাডার প্রাপ্তিতে প্রিলির মতো ভাইভাও খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে না।

ফলে এখন থেকে বিসিএস পরীক্ষার মূল মানদণ্ড হিসাবে ৯০০ মার্কসের লিখিত পরীক্ষা সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ক্যাডার প্রাপ্তিতে প্রিলি আর ভাইভা মূল ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াচ্ছে না। তার উপর রিটেনে সৃজনশীল ও ক্রিটিক্যাল প্রশ্ন হওয়াতে গৎবাঁধা লিখে প্রতিযোগিতায় টিকা কঠিন হয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে পুরো লিখিত সিলেবাস সম্পন্ন করার যৌক্তিক সময় দেওয়া এবং পুরাতন-নতুন প্রার্থীদের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা পিএসসির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

পিএসসি এক বছরে একটা বিসিএস সম্পন্ন করার যে পরিকল্পনা নিয়েছে সেটাকে ছাত্র সমাজ খুবই ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় হিসেবে বিবেচনা করছে। এক বছের মধ্যে একটা বিসিএস সম্পন্ন করলেও প্রিলি ও ভাইভার মধ্যবর্তী লিখিত এর জন্য একটা ৩/৩.৫ মাসের সময় থাকার কথা। যেটা চলমান ৪৭ তম বিসিএসের ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। শিক্ষার্থীদের দাবি
এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার জন্য মাত্র দুইমাস সময় দিয়ে তার মাঝে আবার দুটি স্পেশাল বিসিএস নিয়ে ১৫/২০ দিন সময় সেখানে চলে গিয়েছে।সেক্ষেত্রে প্রার্থীদের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত না হওয়ার পাশাপাশি সময় কম দিয়ে আসন্ন বিসিএসগুলোর তুলনায় এই বিসিএসের সাথে এক প্রকার বৈষম্য করা হচ্ছে বলে পরীক্ষার্থীদের দাবি।

তাই ৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার্থীদের দাবি বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত সমাধানের জন্য বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (PSC) প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমরা চাই পিএসসি শিক্ষার্থীবান্ধব হোক। বিসিএস লিখিতকে কেবল দুই মাস সময় দিয়ে একটি ম্যারাথন বা দৌড় প্রতিযোগিতা না বানিয়ে একটি সঠিক মেধা যাচাইয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করা হোক।

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে যেসব বিষয় ন্যায্যভাবে পাওয়ার কথা, সেটা নিয়েও আন্দোলন করতে হচ্ছে চাকরি পরীক্ষার্থীদের। দুদিন পর যারা রাষ্ট্রের দায়িত্বে যাবে তাদেরকে অন্যায়ভাবে রাষ্ট্রীয় বাহিনী কর্তৃক প্রহার করার একাধিক নজির তৈরি হয়েছে বিগত দিনগুলোতে।

এমন পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের আহাজারি, আর অসহায়ত্ব দেখে কথাগুলো না লিখে পারলাম না। সৃষ্টিকর্তা পিএসসি সহ রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের ব্যাক্তিদের সঠিক বুঝ দান করুক। আমিন।

17/11/2025

সাম্প্রতিক ইস্যুগুলো নিয়ে সাপ্লিমেন্ট-

আপনারা অনেকেই বিগত কয়েকদিন ধরে জিজ্ঞেস করছেন যে, সমসাময়িক আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশ বিষয়াবলির গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো নিয়ে অন্যান্য বছরের ন্যায় সাপ্লিমেন্ট আসবে কিনা। প্রথমেই বলে নিচ্ছি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি প্রভাববিস্তারকারী ইস্যুগুলো হচ্ছে;

ক) রোসিপ্রোক্যাল ট্যারিফ, চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধ, বাংলাদেশের উপর রোসিপ্রোক্যাল ট্যারিফের প্রভাব ও করণীয়,

খ) মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংঘাত, বিশেষ করে ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা ও Two State Solution,

গ) সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি ও মধ্যপ্রাচ্যের শক্তি ভারসাম্যে প্রভাব,

ঘ) বিশ্ব শান্তি রক্ষায় জাতিসংঘের সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ ও প্রস্তাবিত সংস্কার মডেলসমূহ,

ঙ) আঞ্চলিক সংস্থা হিসেবে আসিয়ানে বাংলাদেশের সম্ভাবনাসমূহ ও যোগদানে করণীয়,

চ) সার্কের পুনজার্গরণের নয়া প্রস্তাবনাসমূহ, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষার চ্যালেঞ্জ ও মোকাবিলায় করণীয়,

ছ) বর্তমান প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের নয়া দৃষ্টিভঙ্গিসমূহ,

জ) একবিংশ শতাব্দীর বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ও ফিউচার ডিরেকশন ইত্যাদি বিষয়গুলে একদম সমসাময়িক এবং প্রাসঙ্গিক।

সমসাময়িক পরিভাষা ও কনসেপচুয়ালের ক্ষেত্রে অনেকগুলো রিসেন্ট ট্রেন্ডস বিভিন্ন বিদেশি জার্নাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে উঠে এসেছে। একইভাবে ইম্পেরিক্যাল এর ক্ষেত্রে-

ঝ) বাংলাদেশ-ভারতের সাম্প্রতিক দ্বিপাক্ষিক ইস্যুসমূহ, পুশ-ইন সমস্যা ও সমাধান, হাসিনার প্রত্যর্পণ ও ডিপ্লোমেটিক ডিরেকশন, বাংলাদেশের সীমানা ঘেঁষে ভারতের ঘাঁটি ও নিরাপত্তা সংকট,

ঞ) বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের দ্বিপাক্ষিক ইস্যুসমূহ, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রীয় ক্ষমা, ক্ষতিপূরণ ও নাগরিক বিনিময়ের মতো অমীমাংসিত বিষয়গুলোতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করণীয় উদ্যোগসমূহ

ট) জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সাম্প্রতিক ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি বিষয়গুলো অনেক বেশি রেলিভ্যান্ট।

বাংলাদেশ:
একইভাবে বাংলাদেশ বিষয়াবলির ক্ষেত্রে- ১) জুলাই সনদের আলোকে রাষ্ট্রের অর্গানসমূহের মধ্যে ভারসাম্য, ২) সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবনাসমূহ, ৩) তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার নতুন মডেল ও গুরুত্ব, ৪) বিচার বিভাগের স্বাধীন রক্ষায় জুলাই সনদ, ৫) জুলাই সনদের আলোকে দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কারসমূহ, ৫) বাংলাদেশের তিস্তা মহাপরিকল্পনা, চীনের উপস্থিতি ও চ্যালেঞ্জ-সম্ভাবনা-করণীয়, ৬) এলডিসি থেকে উত্তোরণ ও ডিরেকশন, ৭) বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও করণীয় ৮) গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ ও গণতান্ত্রিক উত্তরণে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা, ৯) ডিপফেইক ও ডিসইনফরমেশন মোকাবিলা, ১০) বাংলাদেশে বিশ্বায়ন ও এআই এর প্রভাব, ১১) পোশাক শিল্প ও প্রবাসী খাতের সাম্প্রতিক দিকসমূহ ইত্যাদি বিষয়গুলো বিগত কয়েকমাস ধরে প্রাসঙ্গিক।

তাই আমি ভাবছি উপরেই বিষয়গুলো সহ আরও কিছু সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক এবং বাংলাদেশ দুটো সাপ্লিমেন্ট নিয়ে আসার। আমার বইগুলোর মতোই একদম সহজ করে, একাডেমিক থিওরি ও পরিভাষা ব্যবহার করে। যেন আপনি একবার পড়ে গেলেই সবকিছু সহজে বোঝতে পারেন।

দুটো সাপ্লিমেন্ট এমন ভাবে সাজানোর চেষ্টা করছি আমার বইয়ের পাঠকদের পাশাপাশি যারা আসন্ন বিসিএস লিখিত দিবেন, বিজেএস দিবেন, দুদক সহ ব্যাংকের লিখিত ফোকাস রাইটিং পড়ছেন তাদের জন্যও উপকারী হবে। আচাকরছি চাকরির ভাইভা প্রার্থীদের জন্যও বেশ উপকারী হবে।

সাপ্লিমেন্ট দুটো খুব বেশি বড় হবে না। আসন্ন বিসিএস লিখিত যারা দিবেন এক- দুইদিন সময় নিয়ে কেবল একনজর দেখে গেলেই হবে। প্রশ্ন প্যাটার্নে যেহেতু পরিবর্তন আসার কথা বলা হচ্ছে তাই বলা যায় ট্রাডিশনাল প্রশ্নের পরিবর্তে সাম্প্রতিক ইস্যুগুলো গুরুত্ব পাবে।

আমি আশা করছি সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৯/২০ নভেম্বরের মধ্যেই নিয়ে আসতে পারবো। ইনশাআল্লাহ। আপনাদের কোন সাজেশন বা পরামর্শ থাকলে জানাতে পারেন।

Hydro Politics কী এবং কীভাবে ফাংশন করে?Hydro Politics বলতে বোঝায় নদী, পানির উৎস ও জলসম্পদ নিয়ে দুই বা একাধিক দেশের মধ্যে...
04/11/2025

Hydro Politics কী এবং কীভাবে ফাংশন করে?

Hydro Politics বলতে বোঝায় নদী, পানির উৎস ও জলসম্পদ নিয়ে দুই বা একাধিক দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক, বিরোধ কিংবা সহযোগিতা। সীমান্ত অতিক্রমকারী নদী ও জলসম্পদ যখন রাষ্ট্রগুলোর অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে তখন সেটাকে হাইড্রো পলিটিক্স বলে। এটা মূলত তিন ধরণের হয়ে থাকে;

ক) সংঘর্ষমূলক (Conflict-based): এক দেশ পানির উৎস নিয়ন্ত্রণ করে যখন অন্যকে চাপ দেয়। যেমন- ইথিওপিয়া বনাম মিশর (নীল নদ)। নীল নদ আফ্রিকার মোট ১১টি দেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সম্প্রতি ইথিওপিয়া সেখানে Grand Ethiopian Renaissance Dam (GERD) নামে একটি বাঁধ নির্মাণ করেছে, যা তার জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাবে। কিন্তু মিশর আশঙ্কা করছে এই বাঁধের কারণে নীল নদের পানি প্রবাহ কমে যাবে এবং তাদের মরুভূমি আরও বিস্তৃত হবে ও খাদ্য সংকট দেখা দেবে। ফলে এই GERD বিরোধ হয়ে উঠেছে এক দেশের উন্নয়ন বনাম অন্য দেশের টিকে থাকার লড়াই। এটি আধুনিক আফ্রিকার সবচেয়ে বড় Hydro Political Conflict এর উদাহরণ।

খ) সহযোগিতামূলক (Cooperative-based): একাধিক দেশ যখন একসাথে পানি ব্যবস্থাপনা করে। যেমন- ভারত–ভুটান (জলবিদ্যুৎ প্রকল্প)।পাহাড়ি দেশ ভুটানের নদীগুলো পাহাড় থেকে প্রবাহিত হয়ে ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছে। এসব নদীতে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে ভুটানের প্রযুক্তি ও অর্থের সীমাবদ্ধতা ছিল। ১৯৬১ সালে ভারত এগিয়ে আসে বিনিয়োগ, নির্মাণ ও প্রযুক্তি সহায়তা নিয়ে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে Hydropower Partnership শুরু হয়। জলবিদ্যুৎ নিয়ে দুদেশের প্রকল্পগুলো পরিবেশবান্ধব জলবিদ্যুৎ (clean energy) হিসেবে বিবেচিত। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় Green Energy Diplomacy এর উদাহরণ এবং সহযোগিতামূলক Hydro Politics এর নিদর্শন।

গ) রাজনৈতিক প্রভাবমূলক (Strategic Influence): পানি ব্যবহারের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাব বাড়ানো। যেমন- চীনের তিব্বতে বাঁধ নির্মাণ। ব্রহ্মপুত্র নদীটির উৎস চীনের তিব্বতে। চীন সেখানে বড় বড় বাঁধ নির্মাণ করছে। এতে ভারত ও বাংলাদেশ আশঙ্কা করছে যে ভবিষ্যতে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ চীনের হাতে চলে যেতে পারে।এটি এক ধরনের Strategic Hydro Politics, যেখানে পানি একটি শক্তির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এককথায়, Hydro Politics হলো পানি যখন রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে উঠে। আন্তঃসীমান্ত নদী ও জলসম্পদ এখন শুধু প্রাকৃতিক সম্পদ নয় বরং ক্ষমতা, নিরাপত্তা ও কূটনীতিরও অস্ত্র।

মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া,
লেখক- দি এ্যানাটমি অব ওয়ার্ল্ড পলিটিক্স, দি কসমিক প্লে অব কন্টেমপোরারি গ্লোবাল পলিটিক্স।

04/11/2025

ভেবেছিলাম এসব নিয়ে আর লিখবো না! কিন্তু বিসিএস ক্যান্ডিডেটদের নিয়ে ঐভাবে যেহেতু আর কেউ লিখে না তাই বিষয়গুলো তুলে ধরা উচিত। বিষয়গুলো কিছুটা জটিল হওয়ায় অনেকেই হয়তো এগুলো বুঝতে চান না, জানতে চান না, কেয়ার করেন না। কিন্তু গত দুইটা বছর যে পরিমাণ অন্যায় আর অবিচার চাকরি প্রার্থীদের সাথে ইন্টেরিম করেছে সেটা কেউ ভুলবে না।

পাঁচ আগস্টের পর এভাবে শিক্ষার্থীদের পুলিশ দিয়ে প্রহার, চলমান বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস, নিয়োগ বাণিজ্য এসব যেন দেখার কেউ নাই এখন। না সরকার, না রাজনৈতিক দলগুলো, না ছাত্র সংসদগুলো। এমনকি পিএসসিও তার চলমান প্রতিটা ব্যাচের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে রেখেছে। এটা তাদের অভিজ্ঞতার অভাব নাকি অদক্ষতা আপনারাই মূল্যায়ন করবেন।

এক.
৪৭ তম বিসিএসে সার্কুলারের সময় লিখিত এর সময় দিয়েছে মাত্র দুই মাস। এক্ষেত্রে যারা পুরাতন ক্যান্ডিডেট তাদের জন্য এসময়টা মুটামুটি ঠিকাছে কিন্তু যারা এবারই প্রথম লিখিত দেবার সুযোগ পেলো তারা বলছে তাদের জন্য বিশাল সিলেবাস সম্পন্ন করা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেক্ষেত্র পরীক্ষায় তাদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকছে না। এখন একদল বলছে পরীক্ষা যথাসময়ে হলে সমস্যা নেই, আরেকদল বলছে অন্তত একটা মাস সময় বৃদ্ধি করা হোক। এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে একটা বিসিএস শেষ করতে চাইলেও লিখিত পরীক্ষায় তিন মাস সময় পিএসসি শুরুতেই দিতে পারতো। এটাই ছিল ন্যায্যতা। এমনিতেও একমাস আগে নিয়ে পিএসসি যখন চূড়ান্ত রেজাল্ট দিবে, সার্কুলারে তখন একমাস বৃদ্ধি করে দিলেও তখনই রেজাল্ট ঘোষিত হবে। এভাবে এখানে একই ব্যাচের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হয়েছে। গতকাল আন্দোলনে দেখলাম পরীক্ষার্থীদের পুলিশ অমানবিক ভাবে মেরেছে। অনেকের হাত, পা যখম হয়েছে।

দুই.
৪৪ তম বিসিএসের ফলাফল হবে, ভালোভাবে চেক না করে প্রায় সাড়ে তিনশো এর মতো রিপিট ক্যাডার সহ রেজাল্ট দিয়েছে। ফলে পুনরায় ফলাফল দেওয়ার কথা বলে সেই রেজাল্ট তিন মাস পর এসে এখন দেওয়া হচ্ছে। যেই বিধি পিএসসি প্রচেষ্টা করলে একমাসেই নিয়ে আসতে পারতো সেখানে পিএসসির স্পষ্ট অবহেলা লক্ষ করা গিয়েছে। তারউপর এই যে মাঝখানে তিনমাস সময় পিএসসি পেলো, কিন্তু এই বিসিএসের জন্য আসা অধিযাচিত পদগুলোর জন্য সে কোন কাজ করলো না। এখন ফলাফল ঘোষণার সময় আসছে একই ব্যাচের একদল আন্দোলন করছে দ্রুত রেজাল্ট দিয়ে দিতে হবে। কারণ এভাবে মাসের পর মাস ফলাফল আটকে থাকতে পারে না। তাদের দাবি যেমন শতভাগ যৌক্তিক, অপরদিকে অধিযাচিত পদ বৃদ্ধি সহ রেজাল্ট যারা চাচ্ছে তাদের দাবিও সম্পূর্ণ যৌক্তিক। অথচ একই ব্যাচের মধ্যে বিভাজন তৈরি না করে, বিগত তিন মাসেই পিএসসি এটার সমাধান করে ফেলতো পারতো। করে নাই।

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিএসসি যদি বলে একমাসে বিধি পাশ করতে হবে, অধিযাচিত পদ আটকে রাখা যাবে না। তাহলে এসব সমস্যা এভাবে জিইয়ে থাকতো না। আর একই ব্যাচেত মধ্যে বিভাজন তৈরি হতো না।

তিন. ৪৩তম বিসিএসের অধিযাচিত নন ক্যাডার ফাইল এবং তেইশের কালো বিধি এটা সম্পূর্ণ পিএসসির উপর নির্ভর করছে। সবাইকে আম-ছাল-কলা বুঝাইলে তো হবে না। ২০১০ সালে এবং ২০১৪ সালে নন ক্যাডার থেকে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি তো সরকার থেকে আসে নাই। পিএসসির দায়িত্বে তখন যারা ছিলেন তারা সরকারকে বলেছেন আমাদের এখানে রিসোর্স অপচয় হচ্ছে ননক্যাডার বিধি প্রয়োজন, বিধি করে দিন। এখন এই পিএসসি তারা নিজেরাও দেখতেসে তেইশের কালো বিধি সংশোধন হওয়া আসলেই প্রয়োজন, তারা চাইলেই এটা জনপ্রশাসন ও প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাশ করে নিতে পারে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সে এখতিয়ার তার আছে। কিন্তু কেন, কাদের ইশারায় হচ্ছে না কিংবা পিএসসি কেন চেষ্টা করছে না তা কেউ বলতে পারবে না।

পোলাপান উপায় না পেয়ে আন্দোলন করলেও পুলিশ নির্মমভাবে পিটায়। কয়েক দফা আন্দোলনে অসংখ্য শিক্ষার্থী এই হামলার শিকার হয়েছে। গত দুই দিন আগে শাহবাগে নূন্যতম ৫০ জনের মতো গুরুতর আহত হয়েছে। সরকারও এই বিষয়ে কোন নজর নেই, নির্বাচন বাদে কেউ কোন কিছু জানে না নাকি।

চাকরি প্রার্থীদের রক্তের উপর দিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে, তাদের যৌক্তিক দাবিদাওয়া বাস্তবায়ন না করে পুনরায় ফ্যাসিবাদি স্টাইলে শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝড়িয়ে তোমরা যারা ক্ষমতা ছাড়তে যাচ্ছো তোমাদের দিন খুব বেশি সুখকর হবে না। প্রতিটা শিক্ষার্থীদের রক্ত আর কান্না অভিশাপ হয়ে ফিরবে।

30/10/2025

অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, আজ সকালে আমার ফেসবুক আইডিটা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা করেছে জানি না। তবে আমার কারণে কেউ কোন দিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেটা বলতে পারবে না।

রাজনৈতিক কারণে যদি করা হয়ে থাকে তাহলে বলার কিছু থাকবে না। যেহেতু প্রতিহিংসা পরায়ণ এই রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ভালো মানুষ এখানে মানানসই না। আর যদি সাম্প্রতিক সময়ে মেধাবী চাকরি প্রার্থীদের সম্ভাবনা ধ্বংসকারী প্রশ্নফাঁস ও নিয়োগ বাণিজ্য চক্র সহ প্রশাসনিক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ভয়েস রেইজ করায় এরকম করা হয়ে থাকে, তাহলে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই এভাবে মানুষকে কথা বলা থেকে দমিয়ে রাখা যায় না।

Muhammad Miraj Mia নামের আমার আইডিটা পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা চলমান। ততক্ষণ পর্যন্ত আমার এই পেইজের সাথে থাকার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ।

15/10/2025

বিগত দুই সপ্তাহ ধরেই আমার পুরো সময়টা কাটছে পড়াশোনায়, স্লাইড তৈরিতে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াতে। বিসিএস লিখিত পড়াতে গিয়ে বারবার মনে হচ্ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক জীবনে ফিরে আসছি বোধহয়। একটা টপিক পড়াতে গিয়ে বিভিন্ন ডাইমেনশন, থিওরি, টার্মিনোলজিগুলো যখন চলে আসে এক ধরনের আত্মতৃপ্তি আসে যে, যা পড়েছি মোটামুটি সেগুলো পুনরায় মনে পড়ে যাচ্ছে। একটা ইস্যুকে যখন বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে রিলেট করে দেখাই, একদম সাম্প্রতিক সময়ের উদাহরণ দিয়ে যখন আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশ বিষয়াবলি বোঝাই শিক্ষার্থীরাও দেখলাম সহজে একটা কঠিন ইস্যু বুঝতে পারতেসে। এইটা সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণাদায়ক। পড়াশোনা ও পড়ানোর সাথে ভালোই যাচ্ছে সময়কাল। কিছুক্ষণ পরপরই মেসেজ আসতেছে যে, "ভাই, আপনার ক্লাসের প্রশংসা শুনে নক দিলাম। ক্লাসগুলো করে সমৃদ্ধ হতে চাই।"

স্মৃতির পাতায় দারুণ সব অনুভূতি জড়ো হচ্ছে।

12/10/2025

বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষে থাকাকালীন আমার প্রথম বই "দি এ্যানাটমি অব ওয়ার্ল্ড পলিটিক্স" যখন প্রকাশ করার সাহস করি তখন বইটা সবচেয়ে বেশি সংগ্রহ করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এক রাতের মধ্যে প্রথম প্রিন্টের সব বই শেষ হয়ে গিয়েছিল। তখন মনে হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন রানিং শিক্ষার্থী হিসেবে বইটা লিখলেও বইয়ের মধ্যে এমন কিছু আছে যা শিক্ষার্থীদের মনে ধরেছে। আজ তিন বছরের ব্যবধানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের টেবিলেই আমার বইটা পৌঁছে গিয়েছে। এটা সৃষ্টিকর্তার বিশেষ করুণা ছাড়া সম্ভব নয়।

ঠিক একইভাবে গত সপ্তাহে আপনাদের অনুরোধক্রমে আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম যে, বিসিএস লিখিত আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশ বিষয়াবলি প্রস্তুতিতে আপনাদের সহযোগিতা করতে চাই। বিগত কয়েকদিনে আপনাদের থেকে যে পরিমাণে সারা পেয়েছি এবং আমার উপর আপনারা যেভাবে আস্থা রেখেছেন এটা কল্পনাতীত। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময় মেসেজ চেক করতে গিয়ে যখন দেখি ইতিবাচক ফিডব্যাক দিচ্ছে, তখন ঠিক দি এ্যানাটমি অব ওয়ার্ল্ড পলিটিক্স বইটার কথা মনে পড়লো।

বই প্রকাশের তিন বছর পর এসে সিভিল সার্ভিসে যুক্ত হওয়া ক্যাডারগণ যেভাবে বলে- "ভাই আপনার বইগুলো অনেক উপকার করেছে", আজ থেকে তিন বছর পরেও যেন শুনতে পাই- "ভাই আপনার লিখিত আন্তর্জাতিক ও বাংলাদেশ এর কারণে আমার জার্নিটা অনেক বেশি সহজ ও সুন্দর হয়েছে। সেই প্রার্থনা।

Address

Dhaka

Telephone

+8801979891497

Website

https://www.rokomari.com/book/author/86393/mohammad-miraj-mia?mibextid=Zxz2cZ

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Muhammad Miraj Mia posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Muhammad Miraj Mia:

Share