Al-Haqq Islamic Media

Al-Haqq Islamic Media The aim of this page is to spread Islamic knowledge among Muslims and others and to remind Muslims d

এই সপ্তাহে জুম্মার আলোচনা।
15/06/2025

এই সপ্তাহে জুম্মার আলোচনা।

৬ হাজার টাকা বেতনের ইমাম, অভাব যখন বউ তালাকের কারণ হয়।  আজ গিয়েছিলাম গফরগাঁও উপজেলার এক গ্রামীণ সালিশে, আমার বাড়ি থেকে ৪...
11/06/2025

৬ হাজার টাকা বেতনের ইমাম, অভাব যখন বউ তালাকের কারণ হয়। আজ গিয়েছিলাম গফরগাঁও উপজেলার এক গ্রামীণ সালিশে, আমার বাড়ি থেকে ৪০ কিলো, দূরে ছোটখাটো একটা পারিবারিক সমস্যা দেখতে গিয়েছিলাম নিরপেক্ষভাবে। তবে সেখানে গিয়ে চোখ খুলে দিলো এক করুণ বাস্তবতা।

একজন মসজিদের ইমাম আমাকে ডেকেছিলেন তার পক্ষে কথা বলার জন্য যেহেতু আমিও একজন আলেম সাংবাদিক। তিনি চেয়েছিলেন, আমি তাকে একটু সহানুভূতির চোখে দেখে বউটাকে সহজে ছাড়াছাড়ির ব্যবস্থা করে দেই । আমি ও মাসিক নকিবের সহযোগী সম্পাদক তাশরিফ আহমাদ কে নিয়ে গেলাম সেখানে।

কিন্তু সালিশে বসে যখন তার সংসারের বিবরণ শুনলাম, তখন নিজের অবস্থান বদলে গেল, তাশরিফ ভাইকে মোবাইলে লিখে দেখালাম মেয়েটা নির্যাতিত ও অসহায় এবং জামাই পাগল মেয়ে। শেষে ইমামের বিপক্ষেই রায় দিয়ে চলে আসতে হলো।

এই ইমাম সাহেবের মাসিক বেতন মাত্র ৬ হাজার টাকা। এই টাকায় তিনি একটি সংসার চালান।

চালান মানে—হাঁপিয়ে বেঁচে থাকা।
তার স্ত্রী—একজন পর্দানশীল গৃহিণী,
অসুস্থ হয়েও ঔষধ আনতে পারেন না।
চিকিৎসা করা তো স্বপ্ন।
টানা এক মাস আধা-কেজি সিলবার মাছ ও শুধু চেপা শুটকি আর ভাত খেয়ে কাটিয়েছেন মেয়েটি। ইমাম সাহেব মসজিদে থাকে সেখানেই খায়, সপ্তাহে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে যায় ।

এভাবেই দারিদ্র্য তাদের ভালোবাসার ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছে। তালাক পর্যন্ত গড়িয়েছে সম্পর্ক। সংসারে অভাব অনটন ঝগড়াঝাটি বাড়িয়ে দিয়েছে। একে অপরের শত্রুর মতো আচরণ করছে।

তবুও, সেই স্ত্রী—সব সহ্য করেও—তার স্বামীকে ছাড়তে চান না।
তিনি তাকে আঁকড়ে ধরে থাকতে চান, কারণ স্বামী আলেম।
কারণ, সেই মানুষটিকে তিনি ভালোবাসেন। বাবার বাড়িতে যখন শুনেছেন স্বামী তাকে তালাক দিবে পাগলের মতো ছুটে এসেছে স্বামীর মসজিদে। হাতে পায়ে জড়িয়ে ধরেছে ক্ষমার আশায়। এটাই সমাধান নয়, পারিবারিক ভাবে ঝগড়া ছড়িয়ে পরেছে। এই বউ রাখবে না, বউয়ের অনেক দোষ।

বউটা কেঁদে উঠে বলে আমি অসুস্থ হলেও উনি একহালি ডিম অথবা ৫ টা ওরস্যালাইন এনে দিতে পারেন না, কিছু চাইলে বলেন উনার কাছে টাকা নাই।

একটা প্রশ্ন বারবার মনে ঘুরপাক খায়—
এভাবে কি কেউ বাঁচতে পারে?
এই সমাজ, এই ধর্মপ্রাণ লোকজন, এই মসজিদের ট্রাস্টি ও কমিটিরা—
সবাই কী চোখে দেখে একজন ইমামকে, যে মাস শেষে মাত্র ছয় হাজার টাকা পায়?

এতটুকু আয় নিয়ে কীভাবে চালানো যায় সংসার? এই মানুষটি কোনো অসুস্থ, কর্মহীন বা অক্ষম নন। তিনি সুস্থ, পরিশ্রমী।
তিনি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ান,
মানুষকে ধর্ম শেখান, মৃত্যুর সময় পাশে থাকেন, জানাজা পড়ান, কবর পর্যন্ত যান—
কিন্তু যখন তার স্ত্রীর জ্বর হয়, তখন তার ঘরে প্যারাসিটামল কেনার টাকাও থাকে না।

রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজেও পরিশ্রম করতেন, অন্যের বাগানে কাজ করতেন, তাঁর স্ত্রী ছিলেন ঘরের ভেতরে সম্মান নিয়ে বসবাসকারী রমণী। তাঁরা একে অপরের পরিপূরক ছিলেন।ইমাম সাহেব কী অন্য কাজ করতে পারেন না?

কিন্তু আজকের দিনে?
একজন ইমামকে আমরা দিয়েছি শুধু দায়িত্ব,
কিন্তু দেইনি তার জন্য ন্যায্য মর্যাদা,
দেইনি তার স্ত্রীর জন্য সামান্য সম্মান,
দেইনি ভালোবাসা টিকিয়ে রাখার ন্যূনতম সামর্থ্য।

এই সমাজে ইমাম শুধু নামাজ পড়ায় না,
সে একটা পরিবারের একমাত্র ভরসা,
একজন স্ত্রীর আশ্রয়, এক শিশুর নিরাপত্তা।

তাকে ৬ হাজার টাকায় বেঁধে রেখে আমরা তাকে তার সম্মান থেকে বঞ্চিত করি।
আর সেই কষ্টে একদিন ভালোবাসাও শুকিয়ে যায়, সম্পর্কও ফাটল ধরে।

সালিসের শেষ করলাম, হুজুরকে বললাম আপনি ইমামতির পাশাপাশি অন্য কিছু করুন, আর এই মেয়েকে তালাকের কথা বললে মনে করবেন ওর একটা ভাই হিসেবে ওর পাশে আমি আশরাফ দাঁড়াবো। এই কথা শেষ করতেই মেয়েটাকে বললাম রাগ করে চলে যাওয়াটা আপনার অপরাধ ছিলো, বলার সাথে সাথে স্বামী ও শশুরের পায়ে পরে মাফ চাচ্ছে।

সব শেষে তাদের একসাথে মিলিয়ে দিয়ে আসলাম।

আজকের সেই সালিশ থেকে ফিরে আসার পর আমার মনে একটাই কথা বাজছে—
এভাবে চলতে পারে না।
ইমামতির পেশা পবিত্র।
কিন্তু সমাজ যদি এই পবিত্র মানুষগুলোর পেট ভরতে না পারে, তাহলে এই সমাজের বিবেকের ইমামতিও প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়।

05/06/2025

سنن العيد و الأضحية :
1- الاغتسال ، والتطيب للرجال.
2- لبس أفضل الثياب.
3- الذهاب إلى مصلى العيد ما شياً أن تيسر.
4- التكبير والجهر بالتكبير عند الذهاب إلى المصلى.
5- مخالفة الطريق عند العودة.
6- ذبح الأضحية بعد الصلاة.
7- الأكل من الأضحية.
8- التهنئة بالعيد وصلة الأرحام .

عن أبي سعيد الخدري رضي الله عنه قال :
ضحى النبي صلى الله عليه وسلّم بكبشٍ
أقرن فحيل يأكل في سواد ، وينظر في سواد ، ويمشي في سواد

[ رواه الترمذي وقال حديث حسن صحيح ]

يستحب عند ذبحها أن يتم توجيهها نحو القبلة.
ألتسمية والتكبير قبل ذبحها فيقول المضحّي: "باسم الله والله أكبر، اللهم هذا منك ولك".
أن يحسن المضحي الذبحة؛
قال -صلى الله عليه وسلم- : (إنَّ اللَّهَ كَتَبَ الإحْسَانَ علَى كُلِّ شيءٍ، فَإِذَا قَتَلْتُمْ فأحْسِنُوا القِتْلَةَ، وإذَا ذَبَحْتُمْ فأحْسِنُوا الذَّبْحَ، وَلْيُحِدَّ أَحَدُكُمْ شَفْرَتَهُ، فَلْيُرِحْ ذَبِيحَتَهُ)،
ويسنّ للمضحّي أن يأكل من أضحيته، ويتصدق منها على الفقراء والمساكين، ويهدي منها على من يشاء .

05/06/2025

আগামীকাল শুক্রবার ফজর থেকে মঙ্গলবার আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর তাকবিরে তাশরিক অন্তত একবার করে পাঠ করা ওয়াজিব। পুরুষগন শব্দকরে এবং নারীরা নীচু কন্ঠে তাকবিরটি পাঠ করুন।

তাকবিরে তাশরিক হচ্ছে :

‎اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ

উচ্চারণ : আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ।

السلام عليكم ورحمة الله وبركاته حياكم الله আজকের আরাফার খুতবার বাংলা অনুবাদ।সবাই পড়বেন ও আমল করবেন ইনশাআল্লাহ্।
05/06/2025

السلام عليكم ورحمة الله وبركاته حياكم الله
আজকের আরাফার খুতবার বাংলা অনুবাদ।
সবাই পড়বেন ও আমল করবেন ইনশাআল্লাহ্।

28/05/2025

যারা কুরবানি দিবেন আজ সন্ধ্যার আগেই চুল, নখ ইত্যাদি কেটে ফেলুন! যারা কুরবানী দিবেন না, তারাও চুল নখ ইত্যাদি কাটা থেকে বিরত থাকলে, কুরবানির সওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ।

27/05/2025

বিশুদ্ধ তিলাওয়াত ওয়াজিব
----------------------

আল-কুরআনুল-কারীমের বিশুদ্ধ তিলাওয়াত সকল মুসলমানের উপর ওয়াজিব । অর্থাৎ এমনভাবে তিলাওয়াত করা যে তিলাওয়াতে কুরআনের অর্থের বিকৃতি যেন না হয় । কুরআনের শব্দের উচ্চারণগত বা হারকাতে ভুল করে তিলাওয়াত করাকে লেহন বলে । যে লেহেনে কুরআনের অর্থের বিকৃতি ঘটে তাকে লেহনে জলী বলে । লেহনে জলী সহকারে তিলাওয়াত করা সর্বাবস্থায় না-জায়েজ , হারাম । সালাতে ইমাম লেহনে জলী সহকারে তিলাওয়াত করলে তাঁর সালাত বাতিল হয়ে যাবে । সেই সাথে তাঁর ইমামতিও বাতিল বলে গণ্য হবে ।

সালাতের ইমামদের জন্য যেমন লেহনে কাফী ও জলী মুক্ত কুরআনের বিশুদ্ধ তিলাওয়াত ওয়াজিব তেমনি ইসলামী রাষ্ট্রের ইমামদের বা ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের প্রত্যাশী দলের ইমামদের ( নেতাদের ) জন্যও বিশুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করা ওয়াজিব । যাদের তিলাওয়াত বিশুদ্ধ নয় বা তিলাওয়াতে মারাত্মক লেহেন করেন তাঁদেরকে ইসলামী রাষ্ট্রের বা দলের ইমামতির ( নেতৃত্ব ) দায়িত্ব দেয়া উচিৎ নয় ।

সম্প্রতি একটি ইসলামী দলের নায়েবে আমিরের কুরআনের একটি আয়াতের মারাত্মক লেহেন জলী সহকারে তিলাওয়াত স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এতে তিনি দলের ইমামতি ( নায়েবে আমিরের ) পদের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন । তাঁকে কোনো হাফেজ/ক্বারীর সান্নিধ্যে থেকে কুরআনের তিলাওয়াত সহীহ শুদ্ধ না করা পর্যন্ত তাঁর পদ স্থগিত রাখা হোক ।

এই জুম্মার বয়ান।
25/05/2025

এই জুম্মার বয়ান।

কুরবানীর জরুরি ৬৬ টি মাসয়ালা!________________________________________________১.কার উপর কুরবানী ওয়াজিব? উঃ জিলহজ্জ মাসের ...
25/05/2025

কুরবানীর জরুরি ৬৬ টি মাসয়ালা!
________________________________________________

১.কার উপর কুরবানী ওয়াজিব?
উঃ জিলহজ্জ মাসের ১০ সুবহে সাদিক থেকে১২ তারিখ
সূর্যাস্ত পর্যন্ত কারো কাছে যদি নিছাব পরিমাণ সম্পদ থাকে ৭ঃ৫ সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা থাকে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব।

২.নিছাবের মেয়াদ কত দিন?
উঃ ৩ দিন, জিলহজ্জ মাসের ১০,১১ এবং ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত।

৩. তিন দিনের মধ্যে কোন দিন কুরবানী করা উত্তম?
উঃ ১০ তারিখে প্রথম দিন।

৪.যদি নাবালক এর নিছাব পরিমাণ সম্পদ থাকে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে কি ?
উঃ না।

৫.বালেক সুস্থ মস্তিষ্ক না নিছাব পরিমাণ সম্পদ আছে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে কি ?
উঃ- না

৬.যদি নাবালেক এর নিছাব পরিমাণ সম্পদ থাকে এর পক্ষে থেকে কুরবানী দেওয়া কি?
উঃ মুস্তাহাব, ওয়াজিব না।

৭.দরিদ্র লোকের উপর কুরবানী কি ওয়াজিব?
উঃ- না, তবে যদি কুরবানির নিয়তে পশু ক্রয় করে
তখন সে পশু কুরবানী করা ওয়াজিব।

৮.কেউ যদি কুরবানির দিন গুলোতে কুরবানির দিতে না পারে তাহলে কি করবে, যদি সে নিছাব পরিমাণ সম্পদ আছে, কোন সমস্যায় দিতে পারে নি তাহলে কি করবে?

উঃ-একটা ছাগল যে কুরবানী উপযুক্ত সে ছাগলের সমপরিমাণ টাকা সদকা করে দিবে ন এটা হলো যারা পশু ক্রয় করতে পারেনি তাদের জন্য।
কিন্তু যারা পশু কিনেছেন কিন্তু তিন দিনের মাঝে কুরবানী দিতে পারেন নি তাহলে তার জন্য করণীয় হলো সে পশু সদকা করে দেওয়া।

আবার যদি কেউ তিন দিন পর জবাই করে ফেলে তাহলে সে ঐ পশুর গোশত ওজন করবে তারপর যদি ঐ পশুর ক্রয়ের টাকা থেকে কম হয় তাহলে গোশত সহ
যতো টাকার গোশত কম হয়েছে পুরো টাই সদকা করতে হবে। ধরনে আপনি ২০ হাজার দিয়ে কিনেছেন ওজন দিয়ে দেখলেন ১৮ হাজার টাকার গোশত হয়েছে
গোশতের আরও ২ হাজার টাকা সদকা করতে হবে।

৯.প্রথম দিন কখন থেকে কুরবানী করা যাবে?
উঃ যে এলাকায় জুমার নামাজ,এবং ঈদের নামাজ ওয়াজিব সে এলাকায় ঈদের নামাজের আগে কুরবানী করা জায়েজ নেই। তবে কোন প্রকার দুর্ঘটনা ঘটে গেলে
যদি ঈদের নামাজ না পড়া যায় তাহলে করনীয় হলো সূর্য মধ্যে আকাশ অতিক্রম করার পর কুরবানী করা জায়েজ হবে।

১০.রাতে কুরবানী দিলে কি হবে?
উঃ ১০,১১ তারিখে রাতে দিলে হবে ১২ তারিখ রাতে দিলে হবে না।

১১.কোন কোন পশু দিয়ে কুরবানী দেওয়া জায়েজ?
উঃ- গরু,উট,মহিষ,দুম্বা, ছাগল এবং ভেড়া।

১২.পশু দের লিঙ্গ ভেদ করতে হবে কি?
উঃ- না, পুরুষও মহিলা উভয় দিয়ে হবে।

১৩.পশুর বয়স সীমা কত?
উঃ উট কম পক্ষে ৫ বছর,গরু মহিষ ২ বছর
ভেড়া, দুম্বা ছাগল ১ বছর।
ভেড়া এবং দুম্বা ১ বছর হয়নি তবে বলিষ্ঠ মনে হয়
যে এক বছর হয়েছে তাহলে এটা দিয়ে কুরবানী হবে।
তবে ছাগল ১ বছরের নিচে কোন ভাবে হবে না।

১৪.শরীক সর্বোচ্চ কত জন হওয়া যাবে?
উঃ উট,গরু,মহিষে সর্বোচ্চ ৭ জন কমে হলে সমস্যা নেই তবে একা দেওয়া উত্তম । ছাগল, দুম্বা, ভেড়া তে একজন।

১৫.গোশত ভাগে কম বেশি হলে?
উঃ- কারো কুরবানী সহীহ হবে না।

১৬. শরীকের মাঝে কেউ যদি গোশত খাওয়ার নিয়তে দেয় তাহলে?

উঃ- কারো কুরবানী হবে না।

১৭.কুরবানীর পশুতে আকিকা দেওয়া যাবে?
উঃ- হ্যাঁ, তবে উট, গরু,এবং মহিষে।

১৮. শরীক দার দের মাঝে যদি কারো অধিকাংশ বা পুরা টাকা হারাম হয় তাহলে কি কুরবানী হবে?

উঃ- না না না! কারো কুরবানী হবে না।

১৯. গরু, মহিষ উট একা কুরবানী নিয়তে কিনার অন্য কাউকে কি শরীক করা যাবে?

উঃ- ধনী হলে পারবে অর্থাৎ যার উপর ওয়াজিব , তবে গরিব ওয়াজিব না কুরবানী তার উপর। পশু কিনে ফেলছে কুরবানীর নিয়তে তাহলে শরীক করা যাবে না একাই দিতে হবে।

২০.কোন ধরনের পশু নির্বাচন করা উত্তম?
উঃ- রিষ্ট পুষ্ট, তাজা পশু নির্বাচন করা সুন্নত।

২১.যে পশু তিন পায়ে ভর করে চলে এমন পশু ধারা কি কুরবানী হবে?

উঃ- না

২২.রোগ্ন পশু দিয়ে কি কুরবানী হবে?
উঃ- না

২৩.দাঁত ছাড়া পশু দিয়ে কি কুরবানী হবে?
উঃ একটা দাত নেই এটা কোন ভাবেই হবে না ,অথবা কিছু আছে তবে ঘাস খেতে পারে না এমন পশু ধারা কুরবানী হবে না।

২৪. শিং ছাড়া পশু দিয়ে কুরবানী হবে কি ?
উঃ জন্মগত যে পশুর শিং নেই সেটা ধারা হবে।
তবে পরবর্তীতে যেটা ভেঙ্গে যায় আর তার ফলে মস্তিষ্কে ক্ষতি হয় এমন পশু ধারা হবে না। তবে অর্ধে হলেও হবে।

২৫.লেজ কাটা, কান কাটা পশু দিয়ে কুরবানি হবে কি?
উঃ যদি পশুর লেজ বা কান অর্ধেক বা তার বেশি কাটা হয় তাহলে সে পশু ধারা কুরবানী হবে না।
তবে অর্ধেকের কম হলে হবে।

২৬.অন্ধ পশু ধারা কুরবানী করা যাবে কি?
উঃ- না তবে যে পশুর এক চোখ ও অন্ধ সেটা দিয়েও হবে না।



২৭.কুরবানীর নিয়তে পশু ক্রয় করার পর হারিয়ে গেলে দাতা কি করবে?

উঃ- ধনী হলে আরেক টা ক্রয় করবেন।
এবং গরিব ওয়াজিব নয় এমন ব্যক্তি ক্রয় করতে হবে না
তবে কিনার পরে যদি আবার প্রথম পশু ফিরে পাওয়া যায় তাহলে ধনী ব্যক্তি যেকোন একটা কুরবানী করলে হবে, তবে দুটা করা উত্তম একটা করলেও হবে।

** আর গরিব ব্যক্তি যদি হয় তাহলে দুটাই দিতে হবে।
দুটাই দেওয়া তখন ওয়াজিব।

২৮.গর্ভবতী পশু কুরবানী করা কি জায়েজ আছে?
উঃ- হ্যা জায়েজ।

২৯.পশু জবাইয়ের পরে যদি বাচ্চা কে জীবিত পাওয়া যায় তাহলে কি করবে?
উঃ- বাচ্চা ও জবাই দিতে হবে।

৩০.জবাইয়ের আগ মুহূর্তে যদি পশু প্রসব অবস্থায় উপনীত হয় তখন করনীয় কি?

উঃ- সে পশু জবাই করা জায়েজ আছে, তবে মাকরূহ!

৩১.পশু ক্রয় করার পর যদি এমন কোন দোষ দেখা যায় যে দোষ গুলো থাকিলে কুরবানী হয় না তখন করনীয় কি?
উঃ- এই পশু ধারা কুরবানী হবে না।
তবে এখানে গরিব ব্যক্তির জন্য জায়েজ আছে
ধনী ব্যক্তির জন্য জায়েজ নয়।

৩২.আপনি কোন পশু ক্রয় করার সময় জিজ্ঞেস করলেন বয়স কত সে বললো ২ বছর যদি সেটার আসলে বয়স ২ বছর না হয় তখন কি করনীয় বা কুরবানী কি হবে?

উঃ- হ্যা হবে তবে যে বিক্রেতা মিথ্যা বলেছে তার গুনা হবে।

৩৩.পশু কোথায় জবাই করা উত্তম?
উঃ- যেখানে পরিবেশ দূষিত হওয়ার আশংকা কম থাকে।

৩৪. পশু কে জবাই করা উত্তম?
উত্তমঃ- নিজের পশু নিজে কুরবানী করা উত্তম।

৩৫.বন্ধা পশু ধারা কুরবানী হবে কি?
উঃ- হ্যা হবে ।

৩৬.অনেক সময় হুজুর জবাই করার পর দেখা যায় সম্পূর্ণ হয় নি আবার অন্য জন তরবারি হাতে নিয়ে
রগ বা শিরা কাটতে যায় এটা কি জায়েজ হবে?

উত্তরঃ- হ্যা জায়েজ আছে তবে উভয় ব্যক্তি বিসমিল্লাহি আল্লাহ আকবার না বললে কুরবানী হবে না।
একজন যদি না বলে সেক্ষেত্রে ও কুরবানী বাতিল হয়ে যাবে।

৩৭. কুরবানীর পশু ধারা উপকৃত হওয়া যাবে কি?
উঃ না এটা কোন ভাবে জায়েজ নেই।

৩৮.কুরবানীর পশু ধারা যদি আপনি হাল চাষ করে ফেলেন সেক্ষেত্রে করনীয় কি?
উঃ অন্য পশু ধারা করলে যে পারিশ্রমিক আসত সে পরিমান টাকা সদকা করে দেওয়া।

৩৯.কুরবানির পশুর,দুধ পান করা যাবে কি?
উঃ- না

৪০. যদি পশুর জবাইর আগে মন হয় দুধ দহন না করলে পশুর কষ্ট হবে তাহলে করনীয় কি?

উঃ- সে দুধ দহন করে সদকা করে দিতে হবে.
ভুলে খেয়ে ফেললেন তখন যে পরিমাণ পান করেছেন সে পরিমাণ অর্থ সদকা করতে হবে।

৪১.পশু ক্রয় করার পর শরীক মারা গেল তখন কি করবে?

উঃ- তার ওয়ারিশ রা যদি বলে কুরবানী করেন তাহলে
করতে পারবেন, আর যদি বলে না করতে পারবেন না তাহলে টাকা দিয়ে দিতে হবে।
তবে চাইলে পরবর্তী আরেক জন শরীক করতে পারবেন।

৪২.জবাইয়ের আগে পশু বাচ্চা দিলে কি করবেন?

উঃ- ঐ বাচ্চা জীবিত সদকা করে দিতে হবে।
সদকা না করলে পশুর সাথে জবাই করতে হবে।
এখানে জবাই করা বাচ্চার গোশত সদকা করে দিতে হবে, আপনে খেতে পারবেন না।

৪৩.মৃত্যু ব্যক্তির পক্ষ থেকে কি কুরবানী করা যাবে?

উঃ- হ্যা করা যাবে, তবে উসিয়ত করে গেলে গোশত সদকা করে দিতে হবে। উছিয়ত না করলে আপনে খেতে পারবেন।

৪৪.তিন দিনের বেশি কুরবানীর গোশত রাখা যাবে?
উঃ- হ্যা রাখা যাবে যতো দিন ইচ্ছে!

৪৫.অনুমান করে বন্টন করা কি জায়েজ আছে?
উঃ- না, পূর্ণ ওজন করে ভাগ করতে হবে।

৪৬. তিনের এক অংশ গরীব কে দেওয়া, যদি সেটা না দেই তাহলে কি কুরবানী হবে? (আমরা যেটা কে সমাজের গোশত বলি)
উঃ- হ্যা হবে তবে সেটা বড় কৃপ্রনতার পরিচয়।

৪৭.গোশত চর্বি বিক্রি করা যাবে কি?
উঃ- না।

৪৮.জবাইকারী বা কসাই কে গোশত দিয়ে পারিশ্রমিক দেওয়া যাবে কি?

উঃ না টাকা দিতে হবে, তবে পরে হাদিয়া হিসেবে গোশত দিতে পারবেন আগে পারিশ্রমিক দিতে হবে।

৪৯. জবাই করার অস্র কেমন হতে হবে?
উঃ দাড়ালো উত্তম।

৫০. জবাইয়ের কত সময় পর চামড়া আলাদা করা যাবে?
উঃ- নিসতেজ হওয়ার পর পশু।

৫১.এক পশু কে অন্য পশুর সামনে জবাই করা যাবে কি?

উঃ- যাবে তবে ঠিক না নবী কারীম সাঃ নিষেধ করেছেন?

৫২.কুরবানীর গোশত অন্য র্ধমের ব্যক্তি কে দেওয়া যাবে কি ?
উঃ- হ্যা তাতে কোন সমস্যা নেই।

৫৩.পশু মারা গেলে অথবা ছিনতাই হয়ে গেলে কি করনীয়?
উঃ- ধনী হলে আরেক টা ক্রয় করবেন।
গরিব হলে লাগবে না।

৫৪.মুসাফির এর উপর কুরবানী করা কি ওয়াজিব?
উঃ না।

৫৫.কুরবানী ওয়াজিব এমন ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী করলে কি করনীয়?

উঃ- ঐ ব্যক্তি থেকে অনুমতি নিতে হবে।

৫৬.কুরবানী গোশত খাওয়া কি?
উঃ- মুস্তাহব, না খেলেও গুনা হবে না। তবে খাওয়া উত্তম।

৫৭.কুরবানী ওয়াজিব এমন ব্যক্তি যদি ঋণ নিয়ে কুরবানী করে কুরবানী হবে কি?
উঃ হবে তবে সুদের উপর ঋণ নিয়ে করলে হবে না।

৫৮.হাজীরা যদি মুসাফির থাকে তখন তাদের উপর কুরবানী কি ওয়াজিব?
উঃ- না।

৫৯.পাগল পশু ধারা কুরবানী কি হবে?
উঃ- না।

৬০.নবী কারীম সাঃ এর পক্ষ থেকে কুরবানী করা কি?
উঃ- উত্তম সামার্থ্যবান দের জন্য।
এটার গোশত সবায় খেতে পারবে।

৬১.খাসি কৃত পশু ধারা কুরবানী করা যাবে কি?
উঃ- হ্যা

৬২.বিদেশে অবস্থানে ব্যক্তির করনীয় কি?
উঃ- উনার পক্ষ থেকে দেশে কুরবানী দিলেও হবে

৬৩.পশুর চামড়া কি নিজে ব্যবহার করা যাবে?
উঃ- হ্যা,তবে বিক্রি করলে টাকা সদকা করতে হবে।

৬৪.জবাই কারী কে পারিশ্রমিক দিতে হবে কি?
উঃ উত্তম হাদিয়া দেওয়া।

৬৫.কুরবানীর দিনে মুরগী হাঁস জবাই করা যাবে কি?
উঃ- যাবে, তবে কুরবানী নিয়তে করা যাবে না।

৬৬. জীবিত ব্যক্তির পক্ষ হতে কুরবানী করা যাবে কি?
উঃ- হ্যা যাবে।

আলহামদুলিল্লাহ এই হলো ৬৬ টি মাসায়ালা
আল্লাহ সকল কে সঠিক নিয়ম মেনে কুরবানী করার তৌফিক দান করুন আমিন।

কুরবানির গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল।
19/05/2025

কুরবানির গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল।

13/05/2025

স্লোগান দেয়, দিল্লি না ঢাকা?

সঙ্গীত গায় দিল্লির।
এরাই নাকি মেধাবী।

11/05/2025

সফল শিক্ষকের তিন গুণ!

প্রখ্যাত আরবী ভাষাবিদ, লেখক ও সাহিত্যিক, শায়খ আলী তানতাবি রাহিমাহুল্লাহকে কেউ একজন জিজ্ঞেস করলো, সফল শিক্ষকের গুণাবলী কী?

শায়খ বললেন,

প্রথমত, শিক্ষক যেই বিষয় (সাবজেক্ট) এর পাঠদান করবেন সে ক্ষেত্রে তার পূর্ণ দক্ষতা, পরিব্যাপ্ত জ্ঞান ও পাণ্ডিত্য থাকা দরকার। এমন যেন না হয়, শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা মূলগ্রন্থ বা ব্যাখ্যাগ্রন্থে যে কথাগুলো লিখিত হয়েছে শিক্ষক পুনরায় সেগুলোই তাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। বরং শিক্ষকের জন্য উচিত, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভালো পড়াশোনা করে নিজেকে দরসের জন্য প্রস্তুত করা। শিক্ষকের জ্ঞান শিক্ষার্থীদের হাতের নাগালে থাকা উৎসগুলোর চেয়ে বেশি সমৃদ্ধ ও গভীর হওয়া জরুরি।

দ্বিতীয়ত, সকল শিক্ষার্থীর মাঝে আদল, ইনসাফ ও সমতা বজায় রাখা। এক শিক্ষার্থীকে অন্য শিক্ষার্থীর ওপর একমাত্র ইলমের ও পরিশ্রমের বিচারে প্রাধান্য দেওয়া হয়। অন্য কোনো বিবেচনায় কাউকে অগ্রাধিকার দেওয়া মহা অন্যায়। কোনো ধরনের স্বজনপ্রীতি নিয়ে একজন শিক্ষক সফল হতে পারেন না।

তৃতীয়ত, একজন সফল শিক্ষক প্রথমেই তার লক্ষ্য ও টার্গেট ঠিক করবেন। কী উদ্দেশ্যে তিনি শিক্ষকতা করছেন? কেবল পয়সাকড়ি উপার্জনের জন্য নাকি ভালো মানুষ এবং যোগ্য ব্যক্তিত্ব তৈরি করবার মহত উদ্দেশ্যে? আগামীর সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব এবং প্রশিক্ষিত দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা হবে একজন সফল শিক্ষকের প্রতিপাদ্য।

দু-তিন বছর আগের ঘটনা। আলেমদের এক ঘরোয়া বৈঠকে একজন তরুণ মাওলানা জিজ্ঞেস করলেন, জাগতিক বিষয়ে আমরা দেখি, একজন যোগ্য মানুষ চলে যাওয়ার পর তার স্থানে আরও অধিক যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি তৈরি হয়। মানে শিক্ষক যে থিওরি বা মূলনীতি রেখে গেছেন সেগুলো কাজে লাগিয়ে তার শিষ্যরা আরও এগিয়ে যায়। এক ডাক্তার মারা গেলে তার চেয়ে বেশি দক্ষ ডাক্তার বের হয়। অথচ একজন আলেম মারা গেলে তিনি কেন নিজের শিষ্যদের এভাবে গড়ে যেতে পারেন না। আলেম শিক্ষকের পর তার ছাত্রদের অবস্থা কেবল অবনতির দিকেই যেতে থাকে।

ওই বৈঠকে আমাদের একজন বরেণ্য আলেম এই বলে উত্তর দিয়েছিলেন যে, দ্বীনি ইলম আর জাগতিক শিক্ষার মাঝে বড় তফাৎ রয়েছে। দ্বীনি ইলম তো হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী ক্রমেই লোপ পেতে থাকবে; কেয়ামতের আলামত হিসেবে।

আচ্ছা! এই প্রশ্নের উত্তরে আপনিও কি সমানভাবে চিন্তা করছেন?

Address

Dhaka
1230

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Al-Haqq Islamic Media posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Al-Haqq Islamic Media:

Share