Sahityo Darbar

Sahityo Darbar সাহিত্য দরবার প্রকাশন

রাজনৈতিক দলের কর্মী হলে জাতি দেখতে পেত কত মিছিল মিটিং কত দফারফা।মিডিয়ার জাউরামি আরোও কত কী!একজন গার্মেন্টস শ্রমীক বলে আজ...
01/07/2025

রাজনৈতিক দলের কর্মী হলে জাতি দেখতে পেত কত মিছিল মিটিং কত দফারফা।

মিডিয়ার জাউরামি আরোও কত কী!

একজন গার্মেন্টস শ্রমীক বলে আজ নেই সেসব কিছুই।

কি অপরাধ ছিল তার যেকারণে এভাবে তাকে পিটিয়ে হত্যা করতে হলো!?

তার নাম হৃদয়। উনিশ বছরের একটা ছেলে। গাজীপুরের কোনাবাড়িতে গ্রিনল্যান্ড পোশাক কারখানায় কাজ করত ইলেকট্রিক মেকানিক হিসেবে।

বহুত দিনের স্বপ্ন ছিল, একটা মোটরসাইকেল কিনবে, ঈদের দিন মা-বোনকে উঠিয়ে ঘুরাবে।

তবে সেই স্বপ্নের আগে মালিকের চোখে তার পরিচয় ছিল, গরিব মিস্ত্রি,অশিক্ষিত মজুর।

শনিবার সকাল।

কারখানায় কিছু গোলমাল হয়। হৃদয় নাকি ‘অফিশিয়াল নির্দেশনা না মেনে’ সার্ভিস দিয়েছিল।

বাকি কর্মীরা বলে, সে শুধু যা খারাপ হয়েছিল ঠিক করছিল।
কিন্তু মালিকপক্ষের কেউ কেউ বলে, অর্ডার অমান্য হয়েছে।

তাদের মনে হলো, একটা গরিব ছেলে এত সাহস দেখায়?

তাকে ডেকে আনা হয় অফিসে।
তারপর... দরজা বন্ধ।
লোহার রড, পাইপ, বুট, ঘুষি...
পিটিয়ে... থেঁতলে... নিস্তেজ করে ফেলে তাকে।

একজন সহকর্মী দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বলেছিল, ভাই, বাঁচান, ওরে মারতেছে।
জবাব আসে,

তোদেরও উচিত শিক্ষা দিতে হবে।

ঘণ্টা খানেক পর হৃদয়ের নিথর দেহ পড়ে থাকে কারখানার পেছনের ঘরে।

হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন—
ডেড অন অ্যারাইভাল।

চোখদুটো অর্ধ খোলা, এক হাত মুঠো করা। যেন কিছু করতে চেয়েও পারেনি।

এই খবর যেন কেউ না জানে, সেই চেষ্টায় উঠে পড়ে লাগে মালিকপক্ষ।

পুলিশ আসে, ফাইল তৈরি হয়,
“অসুস্থ হয়ে মৃত্যু”

বলা হয়, “হৃদয়ের পরিবার শান্ত আছে।”
অথচ হৃদয়ের মা তখন পাগলের মতো দৌড়াচ্ছে হাসপাতালের বারান্দায়,

চিৎকার করে বলছেন,
“আমার ছেলে অসুস্থ ছিল না! ওরে পিটিয়ে মারছে… ওর মুখের ওপর পা দিছে!”

কিছু শ্রমিক জেনেশুনে রাস্তায় নামতে চাইলে,

তাদের জবাব দেয় রাষ্ট্র।
পুলিশ, র‌্যাব, জলকামান দিয়ে।

বলা হয়,
তথ্য বিভ্রান্তিমূলক।
আর সাহসী সাংবাদিকতা হলো,
গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা।

একটা জাতীয় দৈনিক এমন শিরোনাম করে,“একটি মহল বেতন না বাড়ানোর ইস্যুতে কারখানায় উত্তেজনা ছড়াতে চায়”
হৃদয়ের নাম একটিও নেই সেই খবরে।

তাকে কবর দেওয়া হয় সন্ধ্যাবেলা।
চারজন শ্রমিক কাঁধ দেয়, এক ভাই ফোনে কান্না চেপে রাখে,

কারণ সে মালয়েশিয়ায়।
মা শুধু একবার জিজ্ঞেস করে—
— “ওরে মারলো ক্যান গো? সে কি মানুষ আছিল না?”
কেউ উত্তর দেয় না।

লেখা কপি করা

29/06/2025
লিবিয়ার প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কন্যা আয়েশা গাদ্দাফির ইরানী জনগনের প্রতি তার ভালোবাসা ও সহমর্মিতা জানিয়ে একট...
22/06/2025

লিবিয়ার প্রয়াত নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কন্যা আয়েশা গাদ্দাফির ইরানী জনগনের প্রতি তার ভালোবাসা ও সহমর্মিতা জানিয়ে একটি আবেগঘন বিবৃতি দিয়েছেন বলে, সামাজিক মধ‍্যমে সেটি প্রচারিত হচ্ছে।

এলনামাদি ইউসুফ উসমানি নামের একজন ব‍্যক্তি তার ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করেছেন। এর সত‍্যতা সম্পর্কে আমরা নিসঃন্দেহ নই কিন্তু এটি যারই হোক না কেন, এই বার্তায় একটা সত‍্যতা আছে। আর সেটি এই যে, পশ্চিমারা নিজেদের জন্য যে স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ করে তা প্রচ‍্যের কারুর জন‍্য প্রয়োগ করেনা। তদুপরি, তাদের মতো ধোঁকাবাজ জাতি খুব কমই আছে!

বিষয়টি যাই হোক, এটি যদি সত‍্যসত‍্যই লিবিয়ার এক সময়ের নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কন‍্যা আয়েশা গাদ্দাফির বক্তব‍্য হয়, তবে তা বেশ প্রণিধানযোগ‍্য। আসুন দেখা যাক, মুয়াম্মার গদ্দাফির কন‍্যা বলে কথিত আয়েশা গদ্দাফির সেই বক্তব‍্যটি।

“হে গর্বিত ও স্থির ইরানী জনগণ! তোমরা সবাই জেগে ওঠো!
“যন্ত্রণা, ধ্বংস এবং বিশ্বাসঘাতকতার বাইরে গিয়ে তোমাদের সম্বোধন করছি। আমি এমন একজন নারীর কণ্ঠস্বর, যে নারী প্রকাশ্য শত্রুদের হাতে নয়, বরং পশ্চিমাদের প্রতারণামূলক হাসি এবং মিথ্যা প্রতিশ্রুতির হাতে তার দেশের মৃত্যু প্রত্যক্ষ করেছেন।

“আমি তোমাদের সতর্ক করছি! পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের মিষ্টি কথা এবং স্লোগান তোমরা বিশ্বাস করো না। পশ্চিমারা তারাই সেই মানুষ যারা আমার বাবাকে বলেছিল, ‘যদি তুমি তোমার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ত্যাগ করো, তাহলে পৃথিবীর দরজা তোমার জন্য খুলে যাবে।’

“আমার বাবা সৎ উদ্দেশ্য এবং সংলাপে বিশ্বাস রেখে পুনর্মিলনের দরজা খুলে দিয়েছিলেন; কিন্তু আমরা প্রত‍্যক্ষ করেছি, কিভাবে ন্যাটোর বোমা হামলা লিবিয়াকে ধুলো ও রক্তে ঢেকে দিয়েছে, আমাদের জনগণকে বন্দিদশা, দারিদ্র্য এবং বাস্তুচ্যুতির দিকে টেনে নিয়ে গিয়েছে।

“ইরানের ভাইয়েরা! তোমাদের প্রতিরোধ, তোমাদের গর্ব, বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা, মিডিয়া এবং অর্থনৈতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তোমাদের দৃঢ়তাই হলো তোমাদের জাতির জীবন ও সম্মানের প্রতীক। সমন্বয়সাধনের (দরকষাকষির) মাধ‍্যমে ধ্বংস, বিভাজন এবং দুর্দশা ছাড়া আর কিছুই অর্জন করা যায় না। নেকড়েদের সাথে দর কষাকষি করলে ভেড়া রক্ষা পায় না, এটি কেবল তাদের পরবর্তী খাবার হয়ে যায়!

“আমরা দেখেছি; কিউবা, ভেনেজুয়েলা, উত্তর কোরিয়া, ফিলিস্তিনের মতো প্রতিরোধকারী জাতিগুলি জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে এবং সম্মানের সাথে ইতিহাস রচনা করেছে। আমরা দেখেছি; যারা আত্মসমর্পণ করেছে তারা কীভাবে তাদের ছাইয়ে অদৃশ্য হয়ে গেছে।

“ভালোবাসা এবং সহানুভূতির সাথে!”

বিদ্রঃ এলনামাদি ইউসুফ উসমানের ফেসবুক পেজ থেকে অনূদিত টেক্সট।

এটাই চিরন্তন সত্য
16/06/2025

এটাই চিরন্তন সত্য

চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম আদালতে দাঁড়িয়ে বললেন,"আমি শুধু একজন আইনজীবী নই—আমি ইতিহাসের এক রক্তাক্ত সময়ের সাক্...
02/06/2025

চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম আদালতে দাঁড়িয়ে বললেন,"আমি শুধু একজন আইনজীবী নই—আমি ইতিহাসের এক রক্তাক্ত সময়ের সাক্ষ্যবাহক।"

এক বাচ্চার শরীরে ২০০ প্লেট পাওয়া গেছে এবং বাচ্চাটা বাঁচে নাই।একটা ১২ গেজের শটগানের প্রতিটা রাউন্ডে ৮ থেকে ১২টি পর্যন্ত প্লেট থাকতে পারে।

অর্থাৎ,বাচ্চাটাকে শটগান দিয়ে কমপক্ষে ১৭ থেকে সর্বোচ্চ ২৬ বার গুলি করা হয়েছে।

এই গুলিটা করেছে কে?শটগান তো আর ছাত্রলীগ বা সেনাবাহিনী নিয়ে ঘুরে না,এগুলা ব্যবহার করে পুলিশ।

এই পুলিশেরা যখন বলে,"জুলাইয়ে পুলিশ হত্যার বিচার করতে হবে"-তখন শরীরে রক্ত টগবগ করে উঠে না?

এ বিচার অতীতের প্রতিশোধ নয়—এটা ভবিষ্যতের জন্য প্রতিজ্ঞা।যাতে কোনো স্বৈরাচারী ক্ষমতার মোহে আর কোনো নেতা এ দেশের সন্তানদের রক্তে পা ভেজাতে না পারে।

(যেন আর কোন রাজনৈতিক দল আওয়ামী হয়ে উঠতে না পারে তাই তার বিচারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।)

রাইড শেয়ারের 'যাত্রীরা হুশিয়ার!'মিরপুর-১২ থেকে শ্যামলী যেতে রাইড শেয়ারের মোটরসাইকেল  ভাড়া করেছিলেন কর্মজীবী ওই নারী। চাল...
02/06/2025

রাইড শেয়ারের 'যাত্রীরা হুশিয়ার!'

মিরপুর-১২ থেকে শ্যামলী যেতে রাইড শেয়ারের মোটরসাইকেল ভাড়া করেছিলেন কর্মজীবী ওই নারী। চালকের দেওয়া হেলমেট মাথায় পরার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজের চেতনা- চিন্তাশক্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। শ্যামলির বদলে চালক তাকে অন্যদিকে নিয়ে যেতে থাকলেও অদ্ভুত কারণে কোনো বাঁধা দেওয়া সম্ভব হয় না তাঁর পক্ষে।

কয়েক ঘন্টা চলার পর নরসিংদীর ঘোড়াশাল এলাকার একটি কালভার্ট সংলগ্ন নির্জন স্থানে এসে বাইক থামে। ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা বাঁধাদানের শক্তিহীন এক শহুরে নারীকে সেখানে প্রথমে ধর্ষণ, নিজের মর্জিমতো দৃশ্য ও বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও ধারণ, আর সবশেষে সঙ্গে থাকা যাবতীয় পয়সাকড়ি কেড়ে নিয়ে নির্জন প্রান্তরে তাকে ফেলে রেখে দ্রুত সটকে পড়েন চালক। ভেবেছিলেন, হয়তো বেঁচে গেছেন। অজুত জনতার ভীড়ে কোন রাইড শেয়ার চালক কোথাকার কোন নারীকে কোথায় নিয়ে কি করলো, কে মেলাবে তার হদিস!

কিন্তু আমাদের ভাবনাটা ভিন্ন ছিল। ফলাফল? ৯৯৯ এর কলের মাধ্যমে খবর পেয়ে প্রথমে নির্জন প্রান্তরে পড়ে থাকা সেই নারীকে উদ্ধার ও হাসপাতালে ভর্তি করা। তারপর মামলার ৪৮ ঘন্টা না পেরোতেই সোনার চানকে খাঁচায় আটকানো, আলহামদুলিল্লাহ। কিভাবে কী হলো, সে গল্প অন্যদিন হবে। আজ সবার, বিশেষ করে মা-বোনদের, প্রতি এই নগন্য পুলিশের অনুরোধ- রাইড শেয়ারের যানবাহনে চড়ার সময় দয়া করে একটু চোখ-কান খোলা রাখুন। কে জানে জনাকীর্ণ রাজধানীর মোড়ে মোড়ে আরো কতো জঘন্য সাইকোপ্যাথিক অপরাধী ওঁৎ পেতে বসে আছে রাইড চালকের বেশে, হয়তো অনাগত কোনো শিকারের প্রত্যাশায়।

বিশেষ ধন্যবাদ
পুলিশ সুপার, নরসিংদী মো. আব্দুল হান্নান মহোদয়- আপনার সদয় দিকনির্দেশনাই আমাদেরকে সাফল্যের পথে নিয়ে গেছে।
ধন্যবাদ
উপপরিদর্শক (এসআই), পলাশ থানা শাহ কামাল- কাজের প্রতি আপনার অচিন্তনীয় নিবেদন অসম্ভবকেও সম্ভব করতে পারে।.........................................
মো. আনোয়ার হোসেন শামীম
বিসিএস (পুলিশ)
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল), নরসিংদী।

এই সব মহিলা দিয়ে কেমন করে এদেশ চলে। ড. ইউনুস এর সবচেয়ে বড় ভুল এদেরকে উপদেষ্টা হিসাবে রাখা।
01/06/2025

এই সব মহিলা দিয়ে কেমন করে এদেশ চলে। ড. ইউনুস এর সবচেয়ে বড় ভুল এদেরকে উপদেষ্টা হিসাবে রাখা।

চেনা যায় কি??? কার মত লাগছে?????
29/05/2025

চেনা যায় কি??? কার মত লাগছে?????

জীবনের হিসাব – সুকুমার রায়বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই চড়ি সখের বোটেমাঝিরে কন , “বলতে পারিস্ সূর্যি কেন ওঠে?চাঁদটা কেন বাড়ে ক...
28/05/2025

জীবনের হিসাব
– সুকুমার রায়
বিদ্যেবোঝাই বাবুমশাই চড়ি সখের বোটে
মাঝিরে কন , “বলতে পারিস্ সূর্যি কেন ওঠে?
চাঁদটা কেন বাড়ে কমে? জোয়ার কেন আসে?”
বৃদ্ধ মাঝি অবাক হয়ে ফ্যাল্ফেলিয়ে হাসে।
বাবু বলেন, “সারা জনম মরলিরে তুই খাটি,
জ্ঞান বিনা তোর জীবনটা যে চারি আনাই মাটি!”
খানিক বাদে কহেন বাবু,”বলত দেখি ভেবে
নদীর ধারা কেম্নে আসে পাহাড় হতে নেবে?
বলত কেন লবনপোরা সাগরভরা পানি?”
মাঝি সে কয়, “আরে মশাই , অত কি আর জানি?”
বাবু বলেন, “এই বয়সে জানিসনেও তাকি?
জীবনটা তোর নেহাৎ খেলো, অষ্ট আনাই ফাকি।”
আবার ভেবে কহেন বাবু, “বলতো ওরে বুড়ো,
কেন এমন নীল দেখা যায় আকাশের ঐ চুড়ো?
বলত দেখি সূর্য চাঁদে গ্রহণ লাগে কেন?”
বৃদ্ধ বলে, “আমায় কেন লজ্জা দেছেন হেন?”
বাবু বলেন, “বলব কি আর, বলব তোরে কি তা,-
দেখছি এখন জীবনটা তোর বারো আনাই বৃথা।”
খানিক বাদে ঝড় উঠেছে, ঢেউ উঠেছে ফুলে,
বাবু দেখেন নৌকাখানি ডুবল বুঝি দুলে।
মাঝিরে কন, “একি আপদ! ওরে ও ভাই মাঝি,
ডুবল নাকি নৌকো এবার ? মরব নাকিআজি?”
মাঝি শুধায়, “সাঁতার জানো? মাথা নাড়েন বাবু”
মুর্খ মাঝি বলে, “মশাই , এখন কেন কাবু?
বাঁচলে শেষে আমার কথা হিসেব কারো পিছে,
তোমার দেখি জীবনখানা ষোল আনাই মিছে!

Address

56, Chankarpul Lane, Nazimuddin Road, Bangshal
Dhaka
1100

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sahityo Darbar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sahityo Darbar:

Share