Live Bhoot Extreme

Live Bhoot Extreme Those of you who are scared of ghosts! Our initiative to overcome their fears�
(1)

 #কেউ_একজন_ছিলো!!😲😳আমি আপনাদের একটা "সত্যি" ভুতের গল্প শোনাব! যারা ভুত কি জানেন না তাদের বলছি। ভুত হচ্ছে এমন একটা অশরীরী...
30/11/2024

#কেউ_একজন_ছিলো!!😲😳

আমি আপনাদের একটা "সত্যি" ভুতের গল্প শোনাব! যারা ভুত কি জানেন না তাদের বলছি। ভুত হচ্ছে এমন একটা অশরীরী আত্মা যাকে দিনের বেলা দেখা যায় না, দেখা যায় না রাতের বেলায়ও। তবে মাঝে মাঝে রাতের বেলা অনুভব করা যায়, আর কখনো কখনো........... দিনের বেলায়ও!

হাহাহাহাহা.........!!!!!!!

যারা ভিষন চমকে উঠেছেন তারা নড়বেন না, কারন, "ইউ আর নট এ্যালন"!!!!

আমি তখন নতুন চাকরি পেয়ে পুরান ঢাকায় বাসা নিয়েছি। বউ থাকে ময়মনসিংহ। যেদিন বাসায় উঠব, রাস্তায় এক বয়স্ক ভদ্রলোক হাত ধরে বললেন,

- এই বাসায় উঠছেন?
- জ্বী।

ভদ্রলোক ফিসফিস করে বললেন,

- সাবধানে থাকবেন, আপনি কিন্তু একা না!

জিনিস-পত্র গোছাতে গোছাতে রাত হয়ে গেল, তাই গেটে তালা দিয়ে হোটেলে গেলাম ভাত খেতে। মনে হলো বউকে একটা ফোন দেই, নিশ্চই চিন্তা করছে। কিন্তু পকেটে হাত দিয়ে ফোনটা পেলাম না। কি আশ্চর্য ফোনটা যতদূর মনে পরে নিয়েই তো বেড় হলাম, কোথায় গেলো? আশে পাশে কোথাও ফোনটা পেলাম না। বাধ্য হয়ে হোটেলের ফোন থেকে আমার নাম্বারে ফোন দিলাম। দুইটা রিং বাজতেই ওপাশ থেকে একটা নারী কন্ঠ ভেসে এলো, "ইউ আর নট এ্যালন"! তারপর লাইনটা কেটে গেলো। কয়েকবার চেষ্টা করেও আর কানেক্ট করতে পারলাম না! বুঝলাম ফোনটা খোঁয়া গেছে!

মন খারাপ করে বাসায় ফিরলাম, বউকে যে জানাবো ঠিকঠাক পৌছেছি তাও হলো না, নিশ্চই খুব দুশ্চিন্তা করবে! ভাবতে ভাবতে ঘরে ঢুকেই চমকে উঠলাম, টেবিলের উপরে ফোনটা পরে আছে। ভয়ে ভয়ে রান্নাঘর, টয়লেট, বারান্দা, ষ্টোর আর শেষ পর্যন্ত বিছানার নিচেও খুঁজে ফেললাম, কোথাও কেউ নেই!

কিন্তু কেউ যে ছিল টের পেলাম যখন মশারীর ভিতরে ঢুকে লাইট বন্ধ করে বিছানায় মাথাটা রাখতেই মনে হলো কে যেন ঘরের ভিতরে হাটছে। ওর নিশ্বাসের শব্দ এমন কি গলা খাকরিও শুনতে পেলাম খুব ভালো ভাবে। সাহস করে লাইট জ্বালাতে পারছিলাম না, মনে হচ্ছিল কাউকে দেখে ফেলব। কিন্তু কেউ একজন যখন মশারী তুলে ভিতরে ঢুকার চেষ্টা করতে লাগল তখন আর লাইট না জ্বালিয়ে পারলাম না! কিন্তু, কোথাও কেউ নাই!

সাথে সাথে বউ কে ফোন দিয়ে ঘুম ভাঙালাম আর সকালেই চলে আসতে বললাম। ভয়ে ভয়ে সারা রাত লাইট জ্বালিয়ে বসে রইলাম।
সকালে অফিসে যাওয়ার পথে বাড়িওয়ালাকে চাবি দিয়ে বললাম আমার বউ এলে যেন দিয়ে দেয়।

বেলা ১১টার দিকে বউ ফোন করল,

- এই, আমরা চলে আসছি। খুব সুন্দর বাসা নিয়েছো তো!
* বাসা পছন্দ হয়েছে?
- হবে না?
* গুড! বাসা চিনতে সমস্যা হয়নি তো?
- নাহ্, রাস্তাত খুব সোজা। আচ্ছা শোনো, বাসায় তো কিছুই নেই, আমরা খাব কি?
- আমরা বাইরে খাবো, আমি আধাঘন্টার মধ্যেই আসছি।

বাসায় এসে দেখি গেটে তালা। ভাবলাম মনে হয় ছেলেটার খিদা পেয়েছিল, তাই হয়ত ওকে বাইরে নিয়ে গেছে খাওয়ানোর জন্য। বাড়িওয়ালার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,

- লাবন্য কি চাবি দিয়ে গেছে?
- লাবন্য এসেছে নাকি, কই? চাবি নিতে আসেনি তো!

আমি কেমন অবস হয়ে গেলাম। এসব কি হচ্ছে! পকেট থেকে ফোন বেড় করে বউকে ফোন দিলাম,

- হ্যালো, তুমি কোথায়?
- আমি তো এখনও মাইমেনসিং, সকালের বাসে টিকেট পাইনি। মোবাইলেও টাকা নাই যে তোমাকে জানাব। এখন বাস স্ট্যান্ডে যাচ্ছি। দুপুরের বাসে আসবো!
- আচ্ছা, ঢাকায় পৌছে ফোন দিও।

ঠাস্ করে ফোনটা রেখে দিলাম! সবকিছু যেন কেমন আবোল তাবোল লাগছিল! বাড়িওয়ালা জিজ্ঞেস করলো আমাকে এমন লাগছে কেন? কিছু হয়নি বলে মাতালের মত টলতে টলতে অফিসে চলে গেলাম। কাজে মন দিতে পারছিলাম না! গা গুলাচ্ছিলো, একটু জ্বর জ্বরও লাগছিলো!

বউকে নিয়ে যখন বাসায় ফিরলাম তখন অলরেডি সন্ধা পেরিয়ে গেছে। বউ হাত মুখ ধুয়ে রান্নায় লেগে গেলো আর আমি ছেলের সাথে খেলায় মেতে উঠলাম।
রান্না হতে বেশি সময় লাগলো না! আমার বউ মফস্বলের মেয়ে, রান্নাটা বেশ ভালোই জানে! তারাতারি খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পরলাম। ওরা বেশ টায়ার্ড ছিল। আমার উপর দিয়েও কম ধকল যায়নি। শুতেই সাথে সাথে ঘুমিয়ে পরলাম। কতক্ষন ঘুমিয়েছি জানি না! হঠাৎ ভিষন ঠান্ডা একটা হাত গায়ের উপর পরতেই ঘুম ভেঙে গেলো। তাকিয়ে দেখি দুটো জ্বল জ্বল চোখ আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে, ওর নিঃশ্বাস আমার গায়ের উপরে পরছিল। চিৎকার করে লাইট জ্বালালাম। বিছানা একদম ফাঁকা। কোথাও কেউ নেই!!!!

📌সমাপ্ত

 #অদ্ভূত_চোখ 😳😲👁️‍🗨️ব্ল্যাক আইড চিলড্রেন বা কালো চোখের শিশুদের গল্প প্রথম শোনা যায় ১৯৯০-এর দশকে। এগুলো আধুনিক যুগের অন্য...
28/11/2024

#অদ্ভূত_চোখ 😳😲👁️‍🗨️

ব্ল্যাক আইড চিলড্রেন বা কালো চোখের শিশুদের গল্প প্রথম শোনা যায় ১৯৯০-এর দশকে। এগুলো আধুনিক যুগের অন্যতম ভয়ঙ্কর এবং রহস্যময় ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি, যেগুলো মানুষের মনে কৌতূহল এবং ভয়ের সঞ্চার করেছে।

কালো চোখের শিশুদের সাধারণত ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সের মধ্যে দেখা যায়।
তাদের চেহারা সাধারণ শিশুদের মতো হলেও চোখ সম্পূর্ণ কালো, কোনো সাদা অংশ বা চোখের মণি থাকে না।
এরা সাধারণত রাতে বা সন্ধ্যার সময় মানুষের বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ে অথবা গাড়ির জানালায় আসে।
তারা সাধারণত সাহায্যের জন্য অনুরোধ করে, যেমন ফোন ব্যবহার করতে চায়, পানি চায়, বা গাড়িতে উঠতে চায়।
এদের কণ্ঠস্বর খুবই ধীর এবং অনুনয়পূর্ণ হলেও অস্বাভাবিক ঠেকে।
কেউ কেউ বলেন, তাদের সামনে দাঁড়ালে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায় এবং একটা অদ্ভুত ভয় কাজ করে।

১৯৯৬ সালে ব্রায়ান বেথেল নামে এক সাংবাদিক দাবি করেন, তিনি তার গাড়ির ভেতরে বসে থাকাকালীন দুই কালো চোখের শিশু তার জানালায় টোকা দেয়।
শিশুরা বলেছিল, তারা একটি সিনেমা দেখতে চায় এবং তার গাড়িতে উঠতে অনুরোধ করেছিল।
ব্রায়ান শিশুদের চোখের দিকে তাকিয়ে ভীষণ ভীত হয়ে পড়েন। তিনি গাড়ি চালিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন, তারা রাতে পার্কে কালো চোখের শিশুদের দেখেছেন।
এই শিশুদের সঙ্গে সাধারণত কোনো প্রাপ্তবয়স্ক দেখা যায় না।
তারা কোনো ধরনের শব্দ না করেই হঠাৎ গায়েব হয়ে যায়।

এদের চেহারায় কালো চোখ, ফ্যাকাশে ত্বক, এবং অদ্ভুত আচরণ। এরা সাধারণত হুডি বা পুরোনো ধরনের জামাকাপড় পরে থাকে।

তারা দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি চায়। অনুমতি না পেলে এরা চলে যায়, কিন্তু অনুমতি দিলে ভীষণ অদ্ভুত ঘটনা ঘটে।

যারা তাদের ঢুকতে দিয়েছে, তাদের জীবনে দুঃস্বপ্ন, স্বাস্থ্যগত সমস্যা, অথবা কোনো ধরনের অশুভ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়।

কিছু লোক বিশ্বাস করেন, এরা ভ্যাম্পায়ার বা আত্মা হতে পারে, কারণ এরা অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ করতে পারে না।
আবার অনেকে মনে করেন, এরা ভিনগ্রহবাসী।

যারা এদের দেখেছেন বলে দাবি করেন, তাদের অভিজ্ঞতাও গুছানো নয় এবং প্রমাণ সাপেক্ষ নয়।
এই কাহিনী মানুষের ভয় এবং কল্পনার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে, নাকি বাস্তবে এদের অস্তিত্ব আছে তা আজও অমীমাংসিত।

 #ভূতের_বাড়ি 😳বাড়ির দুজন বাসিন্দা আত্মহত্যা করেছেন। যে কারণে অন্যরা বহু আগেই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। সেখানে এখনো রাতে নারী...
28/11/2024

#ভূতের_বাড়ি 😳
বাড়ির দুজন বাসিন্দা আত্মহত্যা করেছেন। যে কারণে অন্যরা বহু আগেই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। সেখানে এখনো রাতে নারী কণ্ঠের খিলখিল হাসির শব্দ শুনতে পান অনেকে। আবার কখনো অশরিরী ছায়ামূর্তিও দেখেছেন বলে অনেকের দাবি। সব মিলিয়ে শহরবাসীর কাছে পরিত্যক্ত এই বাড়িটি "ভূতের বাড়ি" নামে পরিচিত। খুলনা শহরের খানজাহান আলী রোডের টুটপাড়া কবরস্থানের পাশে এই বাড়ির অবস্থান।

ভূতের বাড়ির ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়,মুর্শিদকুলি খাঁর অধীনস্ত জমিদার ছিলেন রঘুনন্দন। তার কর্মচারী ছিলেন দয়ারাম। তিনি ১৭১৪ সালে মাগুরা জেলার মহম্মদপুরের রাজা সীতারাম রায়কে পরাজিত করে অনেক অর্থ ও ভূসম্পত্তি দখল করেন। যশোর ও খুলনা অঞ্চলে তার অনেক জমি ছিল। তিনি নাটোরের দীঘাপাতিয়া রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। পরবর্তীতে তিনি "রাজা দয়ারাম" নামে পরিচিতি লাভ করেন। রাজা দয়ারামের এক ভাগিনির নাম ছিল শীলা। তার বোন এবং ভগ্নিপতি হঠাৎ এক রাতে একইসঙ্গে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বাবা-মাকে হারিয়ে শীলা আশ্রয় পান মামা রাজা দয়ারামের ঘরে। এখানে উল্লেখ্য যে শীলা অপূর্ব সুন্দরী ছিলেন।

একদিন রাজবাড়ির মঞ্চে যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। যাত্রায় রাজার তহসিলদার অমূল্য ধনের পুত্র নিশিকান্তের অভিনয়ে মুগ্ধ হন শীলা। একে অপরের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে গোপনে তাদের দেখা-সাক্ষাৎ হতে থাকে এবং তারা সিদ্ধান্ত নেন পালানোর। শীলা পালাতে গিয়ে ধরা পড়েন রাজবাড়ির নৈশপ্রহরীর হাতে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার আগেই দ্রুত বিয়ে দেওয়া হয় শীলা রানীকে নিধুরাম নামের এক যুবকের সঙ্গে। গোপনে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় খুলনায়। নিধুরামকে দায়িত্ব দেওয়া হয় খুলনা অঞ্চলের খাজনা আদায়ের জন্য।

শীলা রানী ও নিধুরামকে উঠতে হয়েছিল পরিত্যক্ত এই ভূতের বাড়িতেই। এখন বাড়িটি যেখানে অবস্থিত তার পশ্চিম দিয়ে প্রবাহিত হতো ময়ূর নদী। বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন রাজা দয়ারাম। উদ্দেশ্য,সেখানে থেকেই খাজনা আদায়। খাজনা আদায়ের সময় রাজার লোকজন এ ভবনে থাকত। কাজ শেষে তারা নাটোর ফিরে যেত। তখন বাড়িটি তালাবদ্ধ হয়ে থাকত। কিন্তু শীলা রানী ও নিধুরামকে পাঠানো হয়েছিল স্থায়ীভাবে ওই বাড়িতে থাকার জন্য।

ওদিকে শীলার বিয়ে হয়ে গেছে জানতে পেরে নিশিকান্তের পাগল হওয়ার উপক্রম। তার মনের অবস্থার পরিবর্তনের জন্য বাবা-মা খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটিতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠান। তবে শীলা নিধুরামের সঙ্গে খুলনায় আছেন তা নিশিকান্ত জানতেন না। কিন্তু শীলা যে নিশিকান্তকে তখনও ভালোবাসেন তা নিধুরাম বুঝতেন। অন্যদিকে শীলার স্বামী নিশিকান্তকে নিধুরাম চিনতেন।

শীলা নিধুরামের সঙ্গে এলেও তাকে স্বামী হিসেবে মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেননি। এজন্য তার দেহ তিনি নিধুরামকে স্পর্শ করতে দেননি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ বাড়তে থাকে। এক রাতে শীলা আত্মহত্যা করেন। শীলার পরিণতি দেখে নিধুরামও আত্মহত্যা করেন। সকালে ঘরে দুজনের লাশ দেখে চাকর-বাকরও ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।

তবে কেউ কেউ দাবি করেন,বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন জনৈক দীননাথ সিংহ। তিনি ছিলেন কুখ্যাত নীলকর উইলিয়াম রেনীর অন্যতম সহযোগী। পাকিস্তান আমলে জনৈক মোক্তার এ বাড়িতে বসবাস করতে আসেন। তার এক ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে বাড়িতে মারা যান। এরপর গোলাম জব্বার নামে এক ডাক্তার এ বাড়িতে বাস করতে এলে তার এক চাকরও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। সাধারণ লোকের ধারণা,এগুলো সব নাকি ভূতের কারসাজি। ষাটের দশকে এই ভূতের বাড়িতে খুলনা জেলা আনসার কার্যালয় করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে ভূতের বাড়ি। ভূতের বাড়িটি বর্তমানে আনসার ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এতকিছু ঘটে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ভবনটি সম্পর্কে ভীতিকর ধারণা পোষণ করে। কবরস্থানের পাশে হওয়াতে এই ভীতি আরো বেড়ে গেছে।

 #ভারতের_ভূতের_গ্রাম😳😲রাজস্থানের কুলধারা গ্রামটা; ভূতের গ্রাম হিসেবে বিশ্ব  বিখ্যাত। ১৮২৫ সাল থেকে এই গ্রাম পুরোপুরি পরি...
25/11/2024

#ভারতের_ভূতের_গ্রাম😳😲
রাজস্থানের কুলধারা গ্রামটা; ভূতের গ্রাম হিসেবে বিশ্ব বিখ্যাত। ১৮২৫ সাল থেকে এই গ্রাম পুরোপুরি পরিত্যাক্ত। কোনো এক রাতে সমস্ত গ্রামবাসীরা এই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। তারপর থেকে অভিশপ্ত ভুতুড়ে গ্রাম হিসেবে এই গ্রামটি পর্যটকদের আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। তবে সূর্যাস্তের পর এই তল্লাটে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন এখানে সূর্যাস্তের পর কাউকে আসতে দেওয়া হয়না? রাতের অন্ধকারে কি রহস্য লুকিয়ে আছে এই গ্রামে? কৌতুহল বশত আমরা ASI থেকে স্পেশাল পারমিশন বের করেছিলাম এবং মধ্যরাতে কুলধারা গ্রামে এন্টার করেছিলাম। সাথে বেশি কেউ নয় আমি আর আমার ক্যামেরাম্যান। হারহিম করা ভিডিওটা চাইলে দেখতে পারেন ভিডিওটার লিঙ্ক কমেন্ট বক্সে দিলাম।

কুলধারা গ্রামটি পশ্চিম রাজস্থানের জয়সলমীর থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। গ্রামটা এখন ধ্বংসপ্রাপ্ত। এই গ্রামটা পলিওয়াল ব্রাহ্মণদের দ্বারা ১২৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সুলতানি যুগে পলিওয়ালরা ছিল রাজস্থানের খুব ধনী সম্প্রদায়। ব্যাবসায়িক দক্ষতা ছাড়াও পলিওয়ালরা কৃষিসংক্রান্ত জ্ঞানের জন্য সর্বজনবিদিত ছিল।

কিন্তু ১৮২৫ সালে কুলধারা এবং এর আশেপাশের আরও ৮৩ টি গ্রামের অধিবাসীরা এক রাতের ভিতরেই কোথায় যেন উধাও হয়ে যায়। স্রেফ উধাও। আজ পর্যন্ত এই গ্রামের উধাও হয়ে যাওয়া মানুষদের কারও কোন হদিশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। লোকগাথা অনুযায়ী, এলাকার রাজপুত্র সেলিম/সালিম সিং, একবার গ্রাম পরিদর্শনে এসে গ্রামের সর্দারের মেয়ের প্রেমে পড়ে যান এবং বিয়ে করতে চান। যুবরাজ হুমকি দেয়, যদি তাঁর সাথে সর্দারের মেয়ের বিয়ে না দেয়া হয়, তবে গ্রামের উপর প্রচুর কর ধার্য করা হবে। কিন্তু ভিন্ন জাতের হওয়ায় গ্রামবাসীরা কেউ এই বিয়েতে রাজি হয় না।

সালিম সিংয়ের সাথে বিয়ে ঠেকাতে গ্রামের সর্দার এবং অন্য ৮৩ টা গ্রামের লোকসহ সবাই গ্রামত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু রহস্যটা হল, কেউই এতগুলো মানুষকে বাড়ি ঘর ছেড়ে চলে যেতে দেখেনি বা কোথায় তারা গিয়েছে কেউই জানেনা। তারা স্রেফ ভ্যানিসড্।

বর্তমানে এই গ্রামকে কেন্দ্র করে রিসোর্ট, হোটেল, লজ তৈরি হয়েছে। প্রতি বছর ললক্ষাধিক মানুষ এখানে ঘুরতে আসে। জয়শলমির থেকে মাত্র ১৫ কিমি দুরে অবস্থিত এই গ্রামে পৌছানোর জন্য রাস্তাঘাট, যানবাহনের উন্নতি হয়েছে। চাইলে আপনার ছুটির দিনে যেতে পারেন রাজস্থান। ঘুরে দেখতে পারেন কুল

 #গল্প_হলেও_সত্যি😳😲ঘটনা ২০১৬ সালের। আমরা তখন আকুয়া ওয়ার্লেস গেট থাকি। বাসাটা রোডের উপরেই ছিল। নতুন নতুন সেই বাসায় উঠতেই ...
24/11/2024

#গল্প_হলেও_সত্যি😳😲
ঘটনা ২০১৬ সালের। আমরা তখন আকুয়া ওয়ার্লেস গেট থাকি। বাসাটা রোডের উপরেই ছিল। নতুন নতুন সেই বাসায় উঠতেই অদ্ভুত সব ভূতূরে কাহিনী দেখতে পেতাম। যেমন: টেবিলে কলম রেখে গেলে সেটা আর পেতাম না। সারা ঘর খুঁজেও পাওয়া যেতো না। আবার ৫-৬ দিন পর সেই টেবিলের উপর-ই পাওয়া যেতো।মাঝে মাঝে তরকারি থেকে মাছ উধাও হয়ে যেতো। এই বাসায় আসার পর থেকেই আমি অসুস্থ থাকতাম সব সময়।

আশেপাশের ফ্ল্যাটের আন্টিদের থেকে শুনতাম এই বাসায় নাকি প্রায়ই এমন সব অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। আর আমরা যেই ফ্ল্যাটে উঠেছি সেই ফ্ল্যাটে এমন সব ঘটনা নিত্যদিনের।
প্রথমে আমরা এইসব বিশ্বাস করি কিন্তু আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম কথা গুলো সত্যি ছিল।
প্রায়-ই রাতে শুনতে পেতাম কেউ জানালা দিয়ে আমাকে আমার নাম ধরে ডাকছে। মাঝে মাঝে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ পেতাম। কিন্তু দরজা খুলে আর কাউকে পাওয়া যেতো না। আমার আব্বুর আসতে প্রতিদিন-ই খুব রাত হতো। ১২টা ১টা বাজতো-ই। মাঝে মাঝে আমরা সবাই ঘুমিয়ে যেতাম। আম্মু দরজা খুলে বসে থাকতো।

মাঝে মাঝেই দেখা যেতো কেউ যেনো ছাদে উঠে যাচ্ছে। কিন্তু আর নামতে দেখা যেতো না। আবার প্রায় প্রতি রাতে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পাওয়া যেতো। প্রায় বিকেলেই দেখা যেতো খালি গায়ের কালো কুচকুচে একটা বাচ্চা সিড়ি বেয়ে ছাদে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে একটা কালো বোরকা পড়া মহিলাকেও দেখা যেতো। আমরা সবাই বাচ্চাটা আর মহিলাকে খুঁজতে ছাদে যেতাম কিন্তু খুঁজে পেতাম না।

একদিন আমাদের পাশের ফ্ল্যাটের আন্টির বাসার সবাই গ্রামে ঘুরতে যায়। সে একা ছিল। আমি আর আমার এক বন্ধু আন্টিদের বাসায় বসে টিভি দেখছিলাম। হঠাৎ আমরা দুজন দেখলাম একটা ছোট ছেলে আমাদের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। আর আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। ছেলেটা দেখতে অদ্ভুত ছিল। লাল একটা হাফপ্যান্ট পড়া ছিল। খালি গা। কুচকুচে কালো। গায়ে কাদা লেগে আছে।
তখন আমি বেশ ছোট-ই ছিলাম।

আমার বান্ধুবি ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করে -"তুমি কি করে এলে এখানে? তুমি কে? না বলে অন্যকারো বাসায় কেনো ঢুকছো?"
ছেলেটা কোনো কথা না বলে আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। হঠাৎ কি মনে করে জানি আমি চিৎকার করে আন্টি আর আম্মুকে ডাকতে লাগলাম। আন্টির পায়ের আওয়াজ শুনে ছেলেটি দ্রুত বের হয়ে গেলো। সাথে সাথে আম্মুও এলো। আন্টি আম্মুকে জিজ্ঞেস করে কোনো ছেলে কে বের হয়ে যেতে দেখছে কিনা? কিন্তু আম্মু কাউকে দেখেনি। তারপর আম্মু আর আন্টি ছাদে নিচে সব জায়গায় ছেলেটাকে খুজে কিন্তু কোথায় পায় না। তারপর আমি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ি। শ্বাসকষ্ট হয়ে যায়। দিনে দিনে অসুস্থতা বাড়তে থাকে। কোনো ডাক্তারের ঔষধেই কাজ হতো না। এক কবিরাজ বলেছিল আমাদের ফ্ল্যাটে খারাপ কিছুর নজর আছে। আর যার জন্য আমার এমন হয়েছে। আরও কিছুদিন এখানে থাকলে আরও বড় কিছু বিপদ হতে পারে।

তারপর আমরা সেই বাসা থেকে চলি আসি এবং পরে জানতে পারি ওই ফ্ল্যাটে যারাই ছোট বাচ্চা নিয়ে উঠতো তাদের বাচ্চারাই এমন অসুস্থ হয়ে পড়তো। আর সেই বাসা থেকে চলে আসার পর পরই আমি সুস্থ হয়ে উঠি।আর কখনো শ্বাসকষ্ট-ও হয়নি।

 #কবরস্থান😳কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার মাঝখানে একটি পুরনো, নির্জন কবরস্থান দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে সন্ধ্যা নামলেই এক ধর...
21/11/2024

#কবরস্থান😳

কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার মাঝখানে একটি পুরনো, নির্জন কবরস্থান দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে সন্ধ্যা নামলেই এক ধরনের অদ্ভুত নিরবতা ভর করে। এখানে কারও পা পড়লে সে অনেক সময় ভয় পেয়ে ফিরে যায়, কারণ কুমারখালির কবরস্থানটা শুধু একটি সাধারন কবরস্থান নয়; এটি জায়গাটি একসময় ছিল এক রহস্যময় ঘটনার কেন্দ্র। বহু বছর আগে, একটি রহস্যজনক ঘটনা ঘটে সেখানে, যা এখনো গ্রামের মানুষের কাছে একটি মন্ত্রমুগ্ধ করানোর মতো কিংবদন্তি।

প্রথম পরিচয়
এই কবরস্থানে ঢোকার আগে গ্রামের প্রাচীন মানুষের মুখে একাধিক ভুতুরে কাহিনী শোনা যায়। সেসব গল্প গাঁথা গুলো কখনো শোনা, কখনো আবার এমনকি চোখে দেখা; বহু পুরনো এবং অনেকের মতে অতীতের দুঃখজনক ঘটনা থেকেই এই কবরস্থানে এক অশুভ শক্তির বাস। গ্রামের লোকেরা প্রায়ই বলে থাকে, রাতের বেলা এখানে যাওয়ার আগে দুঃসাহসী হতে হয়, কারণ কবরস্থানের পাশে একটি পুরনো পুকুর রয়েছে, যেখানে একসময় এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল।

রহস্যময় মৃত্যু
তিন যুগ আগে, কুমারখালির এই কবরস্থানে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। গ্রামের এক কৃষক, নাম ছিল মহিরুল, এক রাতে কবরস্থানের কাছে তার মাঠে কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ করে অদৃশ্য এক শক্তির দ্বারা আক্রান্ত হয়। তার পরদিন সকালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একে একে বেশ কয়েকজন মানুষের এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে কবরস্থানে। গ্রামবাসীরা মনে করতে থাকে, এই সমস্ত মৃত্যু কবরস্থানের অশুভ শক্তির কারণ।

অশুভ শক্তির উপস্থিতি
এটা ১৯৮০ সালের কথা। ওই সময় কুমারখালির কবরস্থানে এক ধরনের অদ্ভুত ঘটনার জন্ম হয়। কিছু মানুষ অভিযোগ করছিল, তারা রাতে ঘুমাতে গিয়ে কবরস্থানের কাছ থেকে হালকা ভেসে আসা কণ্ঠ শোনে, যেগুলি মানুষের ভাষা নয়, যেন কবরের গভীরতা থেকে ভেসে আসে কোনো আরেক পৃথিবী থেকে। কিছু মানুষ বলেছিল, তারা রাতে একদম নিঃশব্দ, কালো ছায়ামূর্তি দেখতে পেয়েছিল যারা কবরস্থানের মাঝ দিয়ে চলতে থাকে।

ভুতুড়ে আবহ
একদিন গ্রামের এক তরুণ, জাহিদ, যারা কবরস্থানের কাহিনীগুলো বিশ্বাস করতো না, সেও সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পরীক্ষা করতে চাইল। সে খুব সাহসী ছিল, এবং গ্রামের লোকদের কথা উপেক্ষা করে এক রাতে কবরস্থানে প্রবেশ করে। রাত গভীর, গ্রামের আশেপাশে ঘন অন্ধকার, এবং যেন গা শিরশির করা এক পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।

কবরস্থানে তার পা পড়তেই সে বুঝতে পারল, এখানে কিছু অন্যরকম। যেন তাকে এক রহস্যময় শক্তি টেনে নিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে সে কিছুই দেখতে পায় না, কিন্তু হঠাৎ তার সামনে দুটি জ্বলন্ত চোখ দেখা দিলো। সেই চোখ যেন তাকে লক্ষ্য করছিল, কিন্তু কিছুতেই সে এগোতে পারেনি, যেন এক অদৃশ্য দেওয়াল তাকে আটকে রেখেছে।

তিনি বুঝতে পারলেন, কুমারখালির কবরস্থানে কোনো এক অশুভ শক্তির বাস রয়েছে যা তাকে ফেরানোর চেষ্টা করছে। তার মনে হয়েছিল, ওই চোখ দুটি আসলে মৃতদের আত্মার প্রতিফলন, যারা এখান থেকে মুক্তি পায়নি।

কবরস্থানের অন্তর্নিহিত শক্তি
তবে যখন জাহিদ পরবর্তীতে ফেরত আসেন, তখন সে আর আগের মতো ছিল না। তার চোখে-চোখে এক ধরনের শূন্যতা, এবং তার চেহারায় বিষণ্ণতা ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি বেশ কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর একদিন অবশেষে তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে সত্যি ঘটনা। তিনি বলেন, “আমি সেখানে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি যে, কুমারখালি কবরস্থান শুধু মৃতদের স্থান নয়, এটি জীবন্তদের জন্যও এক অজানা ভয়ঙ্কর প্রান্তর। আমি যা দেখেছি, তা বিশ্বাস করার মতো নয়। আমি সেই অন্ধকার, সেই অজানা শক্তি যা এখানে বাস করে, তা অনুভব করেছি। কবরস্থানের সীমানা পার হলেই, যেন সময়ও থেমে যায়।”

গ্রামের লোকেরা তখন বিশ্বাস করতে শুরু করে যে, কুমারখালির কবরস্থানটির মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যা মানুষ কখনোই বুঝতে পারবে না। তারা মনে করেছিল, এখানে এক ধরনের শক্তি রয়েছে যা মৃতদের আত্মাকে ধ্বংস করতে চায়, এবং যারা অযথা এখানে আসে, তাদের আত্মাও ওই অদ্ভুত শক্তির প্রভাবে ভুগতে পারে।

শেষের খোঁজ
এই রহস্যময় কবরস্থানে আর কোনো অশুভ ঘটনা ঘটেছিল কিনা তা আজও অজানা। তবে কুমারখালি গ্রামে প্রায় সবাই জানে, সন্ধ্যা হলে কবরস্থানের আশপাশে যাওয়া উচিত নয়। কেননা, কবরস্থানে কিছু ক্ষতিকর শক্তি রয়েছে যা কোনো এক অজানা কারণে সেখানে থেকে যায়।

এই কবরস্থান যে শুধু মৃতদের নয়, জীবিতদেরও জন্য এক অদ্ভুত স্থান, তা নিশ্চয়ই আর কেউ জানত না।

(শেষ)

 #আমি_ভালো_আছি!! 🥹🥺গল্পটি আজকে আমার এক বন্ধু সজীবের কাছ থেকে শুনলাম। সে যেভাবে বলেছিল আমি সেভাবেই আপনাদের কাছে তুলে ধরলা...
20/11/2024

#আমি_ভালো_আছি!! 🥹🥺

গল্পটি আজকে আমার এক বন্ধু সজীবের কাছ থেকে শুনলাম। সে
যেভাবে বলেছিল আমি সেভাবেই আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম ।
মাঝ রাতে দরজায় কড়া নারার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। আমি
বিরক্ত ভাব নিয়ে দরজা খুললাম। দরজা খুলেই বিস্মিত কণ্ঠে
বললাম- আরে তুই? এতো রাতে?
আকাশ একগাল হেসে বললো- দোস্ত অনেকদিন তোকে দেখি না।
তোকে দেখতে ইচ্ছে হলো তাই চলে আসলাম। আজ রাতটা তোর
সাথেই কাটাবো।
আকাশ আমার ছোট কালের বন্ধু। আমরা একই সাথে বড় হয়েছি।
আমার বাসা থেকে ওর বাসা প্রায় দু-কিলোমিটার দূরে। অনেকদিন
তার সাথে বিভিন্ন ব্যস্ততার জন্য দেখা করতে পারি নাই। প্রায়
এক মাস হতে যাচ্ছে। আমার সাথে শুধু মাত্র দেখা করবার জন্য
এতো রাতে সে চলে আসবে বাসায় তা ভাবতেই পারছি না। এই না
হলে বন্ধুত্ব।
তুই কি বাহিরেই দাড়িয়ে থাকবি? ভিতরে আস? গল্প করি দুই বন্ধু
মিলে সারারাত।
নারে দোস্ত ঘরে বসবো না। চল বাহির থেকে ঘুরে আসি।
আমি অবাক হয়ে বললাম- সে কিরে! এতো রাতে কোথায় যাবি?
আর তুই এতো সাহসী হলী কবে থেকে? কিছুদিন আগেও না সন্ধ্যার
পর তুই ভূতের ভয়ে বাসার বাহির হতি না?
এখন কি আর সেই দিন আছে! চল বাহিরে চল। আকাশ একগাল হেসে
উত্তর দিলো।
আকাশে কি সুন্দর চাঁদ উঠেছে তাই নারে আকাশ?
হু
আচ্ছা তোর হয়েছি কি বলতো? আসবার পর থেকেই এতো চুপচাপ
কেন?
আকাশ মৃদু হেসে বললো- না এমনিতেই। এখন থেকে ভাবছি একাই
থাকবো। সন্ধ্যার সময় ডিসিশন নিয়েছিলাম। সারারাত ছিলামও
একা। কিন্তু এখন খুব বেশি ভয় করছিলো তাই তোকে ডেকে নিয়ে
আসলাম।আমি আবারো অবাক হয়ে বললাম- একা ছিলি, ভয় করছিলো
এগুলোর মানে কি? তুই সারারাত কোথায় ছিলি?
বাড়ির বাহিরে।
কেন? বাসা থেকে কি তোকে বের করে দিয়েছে?
নারে বাহির করে নাই। আর বাহির করবে কেন? আমি নিজেই বের
হয়ে এসেছি।
কেন?
আকাশ আমার হাত ধরে বললো- দোস্ত আমার বাসায় একটু যাবি?
আম্মু আমার জন্য খুব কাঁদছে। আম্মুকে একটু বলে দিয়ে আসবি আমি
ভালো আছি। খুব ভালো আছি। আমার জন্য যেন কান্নাকাটি না
করে।
আমি অবাক হয়ে বললাম- আমিতো তোর কথাবার্তা কিছুই বুঝতেছি
না। কি সব বলছিস? বাসা থেকে কেন বের হয়ে এসেছিস। কি
হয়েছে? চল তোকে বাসায় দিয়ে আসি?
নারে দোস্ত আজকে আর বাসায় যাবো না। পরে আরেকদিন বাসায়
যাবো। তুই একটু যাবি দোস্ত। আম্মু খুব কান্নাকাটি করছে। বলেই
আকাশ আমাকে জরিয়ে ধরে কাদা শুরু করলো।
এখন রাত সারে তিনটা। আমি আকাশের বাসার সামনে দাড়িয়ে
আছি। আকাশকে কিছুতেই আনা যায় নি। ওকে বলেছিলাম তুই
গিয়ে আমার রুমে বস আমি খালাম্মাকে বলে দিয়ে আসছি তুই
আমার কাছে আছিস এবং ভালো আছিস। সে তাও করে নাই।
রাস্তায়ই দারিয়ে আছে। আমি খালাম্মার সাথে কথা বলে বাহির
হবার পর নাকি আমার সাথে আমার বাসায় যাবে। কি ঘটেছে
কিছুই বুঝছি না। আকাশের কান্নার জন্য বাধ্য হয়েই এতো রাতে
আকাশের বাসায় আমার আসতে হয়েছে।
আমি নিথর পাথর হয়ে দাড়িয়ে আছি। খালাম্মা আমাকে জরিয়ে
ধরে অজর ধারায় কাঁদছেন। আমি খালাম্মাকে কি ভাবে শান্তনা
দেব বুঝতে পারছি না। আমার কাছে সবকিছু এলোমেলো মনে
হচ্ছে। পুরো বাড়ি জুরেই কান্নার শব্দ ভেসে বেড়াচ্ছে। বাড়িতে
অনেক মানুষ। পুলিস এসে আকাশের লাশ নিয়ে যাচ্ছে। আজ
সন্ধ্যায় আকাশ তার রুমে গলায় ফাঁস আটকিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আমার আস্তে আস্তে বোধশক্তি লোপ পাচ্ছে। এ আমি কি শুনছি।
আমি তাহলে এতক্ষণ কার সাথে ছিলাম? আকাশই তো তার বাসায়
আমাকে আসতে বললো। আকাশের লাশটি পুলিশের গাড়িতে তোলা
হচ্ছে। শেষ বারের মতো আকাশকে দেখলাম আমি। আমার সমস্ত
পৃথিবী দুলো উঠলো। মনে হচ্ছে সবকিছু দুলছে। চোখ এর সামনে
থেকে সবাই আস্তে আস্তে দূরে সরে যাচ্ছে। আমি আসতে আসতে
অন্ধকার একটা জগতে হারিয়ে যাচ্ছি। দূরে কে যেন কান্না করছে।
তার মাঝে কে যেন বলছে- আম্মুকে বলিস, আমি ভালো আছি!

[সমাপ্ত]

ভুতুড়ে হাসপাতাল: " #মৃত্যুর_ডাক"😳😲অনেক বছর আগে, কলকাতার এক পুরনো হাসপাতালের ঘটনা। হাসপাতালটি ছিল শহরের একেবারে outskirts...
19/11/2024

ভুতুড়ে হাসপাতাল: " #মৃত্যুর_ডাক"😳😲

অনেক বছর আগে, কলকাতার এক পুরনো হাসপাতালের ঘটনা। হাসপাতালটি ছিল শহরের একেবারে outskirts-এ, অনেকটা অজপাড়া গাঁয়ে, যেখানে আসলে খুব কম লোকই চিকিৎসার জন্য আসত। স্থানীয়দের মধ্যে এক ধরনের গুজব চলত যে, হাসপাতালের কিছু সেগমেন্ট অশুভ শক্তির বাসস্থান। কেউ কখনো সেখানে রাতে থাকতে চাইত না।,,,,,,👻👻👻

একদিন, এক তরুণ ডাক্তার রাত্রিবেলা একা সেখানে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেয়, কারণ সে নতুন চাকরি পেয়েছে এবং এটি তার প্রথম রাত। হাসপাতালের মূল ভবনের নিচতলার একটি নির্জন করিডোরে এসে পৌঁছালে, সে অনুভব করেছিল কিছু অস্বাভাবিক। পুরো করিডোরে একটি গা ঝিম ঝিম ঠাণ্ডা ভাব ছিল, যেন পুরো জায়গাটা কিছু গোপন রহস্য ধারণ করছিল। তবুও, সে এগিয়ে যেতে থাকে।,,,,,,👻👻👻👻

হাসপাতালের সেই নির্জন করিডোরে একা থাকতে থাকতেই সে প্রথমবারের মতো অনুভব করে যে তার পেছনে কেউ হাঁটছে। একবার, দুইবার—শেষে সে বুঝতে পারে, কেউ আসলে নেই। তবে এই ভয়ের চেয়েও ভয়ংকর ঘটনা ঘটে যখন সে দরজা খুলে একটি পুরনো চিকিৎসা রুমে ঢুকতে যায়। সে লক্ষ্য করে যে, সেই রুমের এক কোণে পড়ে রয়েছে একটি পুরনো হাসপাতালের রোগীর সলিড স্লিপিং স্যুট, যেটি দেখে তার মনে হয়, এটি গত শতকের।,,,,,👻👻👻👻👻

একপর্যায়ে, হঠাৎ করে বাতি নিভে যায়। অন্ধকারে সে শুনতে পায় এক অদ্ভুত হাসির শব্দ, যা সুরেলা কিন্তু অতি রহস্যজনক। সেটা কিছুটা যেমন মানুষিক অসুস্থতার হাসি, তেমনই অন্ধকার শক্তির কুমন্ত্রণা। আশেপাশের কক্ষগুলোও একে একে খুলে যায়, আর সেখানে শীশাদের মুখের মতো কিছু ছায়া ঝিলমিল করতে থাকে।,,,,,,👻👻👻

সে ধীরে ধীরে পেছনে ফিরে দেখে, একটা অন্ধকার মুখ তার দিকে এগিয়ে আসছে, যদিও সে জানত না সেটা মানুষ নাকি অন্য কিছু । তাকে অনেক কষ্টে হাসপাতালের বাইরে বেরিয়ে আসতে হয়। সেদিন রাতের পর তার মুখে আর কোনো কথা ছিল না।,,,,,👻👻👻👻

অবশেষে, পরবর্তী দিনগুলি পার হওয়ার পর জানা যায় যে, ওই হাসপাতালের একটি পুরনো রুমে একসময় একটি ভয়ানক ঘটনা ঘটে ছিল—এক অগ্নিদগ্ধ রোগী মারা গিয়েছিল, আর তার আত্মা এখনো হাসপাতালের ভেতরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, নতুন রোগীদের দুঃস্বপ্নে। ডাক্তারটির তখন থেকে আর কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। হাসপাতালটি পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে যায়, তবে স্থানীয় লোকেরা এখনও বলে যে, মাঝরাতে ওই হাসপাতালের চারপাশে অদ্ভুত আলো এবং শীশাদের হাসির আওয়াজ শোনা যায়।

সমাপ্ত।

 #অন্তিম_যাত্রা😳রাজধানীর এক প্রত্যন্ত প্রান্তের অন্ধকার নীল রাত্রিতে শুরু হয়েছিল এক ভয়ঙ্কর খুনের ঘটনা। সন্ধ্যা পেরিয়ে রা...
18/11/2024

#অন্তিম_যাত্রা😳

রাজধানীর এক প্রত্যন্ত প্রান্তের অন্ধকার নীল রাত্রিতে শুরু হয়েছিল এক ভয়ঙ্কর খুনের ঘটনা। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত গভীর হওয়ার সাথে সাথে শহরের ব্যস্ততা ম্লান হয়ে আসে, কিন্তু প্রাচীন ও পরিত্যক্ত এক বাসস্ট্যান্ডের অদূরে এক জোড়া কেডসের শব্দ কেটে দেয় নিস্তব্ধতা।

গল্পের কেন্দ্রবিন্দু ছিল সৃজনী, একজন তরুণী সাংবাদিক। একদিন রাত্রে, তার ফোনে একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। এক পুরনো কণ্ঠ বলে, 'অন্তিম যাত্রা আসন্ন।' তারপরের কিছু শব্দ শোনা যায় না, কেবল কাটা কাটা শ্বাসপ্রশ্বাস। সৃজনী খুব বেশি গুরুত্ব দেয়নি প্রথমে। কিন্তু পরের দিন সকালে শহরের সীমানার বাইরে, সেই বাসস্ট্যান্ডের কাছে এক খুনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। মৃতদেহ ছিল অদ্ভুতভাবে বিছানো, যেন কেউ শেষ যাত্রার জন্য প্রস্তুত করেছে।

প্রথমে পুলিশও সন্দিহান ছিল, তবে খুনের ধরন অস্বাভাবিক ছিল। মৃতদেহের কাছ থেকে পাওয়া একটি বিশেষ কাগজে লেখা ছিল, "অন্তিম যাত্রা শুরু হবে এখানে।" কাগজটি হাতে নিয়ে সৃজনী নিজের অজান্তেই এই হত্যাকাণ্ডের রহস্যে জড়িয়ে পড়ে।

এক রাতে, সৃজনী আবার ফোন পায়। এবার তার কণ্ঠটা আরও ভয়ংকর শোনায়। "তুমি হয়তো জানো না, কিন্তু তুমি একদিন আমার সাথে এই যাত্রায় থাকবে।"

তবে সৃজনী ভয় পায় না, বরং তার অনুসন্ধান করতে আরও প্রবল আগ্রহে ভরে ওঠে। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে যে, এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে রয়েছে এক পুরনো শহুরে কিংবদন্তি "অন্তিম যাত্রা" নামক এক রহস্যময় ঘটনা। কথিত আছে, যে ব্যক্তি এই যাত্রায় অংশ নেয়, তার মৃত্যু অনিবার্য। কিন্তু সে যাত্রার উদ্দেশ্য ছিল, এক ভিন্ন সময়ে কিংবা অন্য ভৌতিক পৃথিবীতে প্রবেশ করা।

এক রাতে, সৃজনী সিপাহীপুর নামক এক পুরনো গ্রামে গিয়ে উপস্থিত হয়, যেখানে অতীতের অনেক অন্ধকার ঘটনা ঘটেছিল। সে সেখানে এসে দেখে, পুরনো কবরস্থানের কাছে একটি ভাঙা বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। সেখানে, শেষ স্টপেজে, একটি পুরনো বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাসের জানালার কাচ ভাঙা, তবুও নিঃসঙ্গভাবে দাঁড়িয়ে ছিল। সৃজনী মনের মধ্যে সাহস নিয়ে বাসে উঠে।

আচমকা, বাসটি চালু হয়ে যায় এবং কিছু অস্বাভাবিক দৃশ্যের মধ্যে দিয়ে যেতে থাকে। সৃজনী অনুভব করতে থাকে, যেন সে আর পৃথিবীর অংশ নয়। বাসটি চলতে চলতে এক অদৃশ্য রাস্তা দিয়ে চলে যেতে থাকে, এবং সৃজনী এক অদ্ভুত যাত্রায় নেমে যায়। বাসের মধ্যে আস্তে আস্তে মৃত্যুর শ্বাস অনুভূত হতে থাকে, যেন এক চূড়ান্ত বিচ্ছিন্নতার দিকে এগিয়ে চলছে।

বাসটি থামার পর সৃজনী নিজেকে এক অদ্ভুত স্থানে আবিষ্কার করে। চারপাশে কোথাও কোনো আলোকরশ্মি নেই, যেন সব কিছু অন্ধকারে ডুবে গেছে। সে নিজেকে এক বিরান জায়গায় দেখতে পায়, যেখানে কোনও জীবন্ত প্রাণী নেই, শুধু শীতল বাতাস এবং নিস্তব্ধতা।

বাসের দরজা খোলা ছিল, কিন্তু বের হওয়ার সাহস সৃজনী আর পায় না। ভিতরের পরিবেশ ছিল অদ্ভুত; বাসের পেছনের সিটে একটি বৃদ্ধ অন্ধ লোক বসে ছিল। তার চোখ ছিল বন্ধ, তবে সৃজনী চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই তার দৃষ্টি যেন সৃজনীর দিকে চলে আসে। সেই চাহনি, যেন সময়কে থামিয়ে রাখা কোনো শূন্য দৃষ্টি। সৃজনী অবচেতনে অনুভব করে, এই লোকটি যেন তাকে চিরকাল জানত।

সৃজনী শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ওঠে। সে বুঝতে পারে, এটি কোনো সাধারণ স্থান নয়। এটি ছিল অন্তিম যাত্রা যেখান থেকে কেউ আর ফিরে আসে না। সেখানে কোনো সময়ের অস্তিত্ব নেই, কোন ভবিষ্যত নেই। সব কিছু স্থবির, স্থায়ী।

তখন সেই অন্ধ লোকটি মাথা ঘুরিয়ে এক পলক সৃজনীকে দেখে বলে, "তুমি এসেছো ঠিক, কিন্তু শেষ স্টপেজে পৌঁছানোর আগে একবারের জন্যও ফিরে যাওয়ার উপায় নেই।"

সৃজনী কিছু বলতে যায়, কিন্তু তার গলা শুকিয়ে আসে, শব্দ বেরোতে চায় না। তার হাত কোমর থেকে বের করে দেওয়া কাগজটা আঁকড়ে ধরে, "অন্তিম যাত্রা শুরু হবে এখানে" এই কথাগুলো তার মনে ধ্বনিত হতে থাকে। কীভাবে এই যাত্রায় এসেছে সে, কেন এসেছে, এবং কীভাবে এই ভয়ানক গন্তব্য থেকে ফিরে যাবে, তা কিছুতেই স্পষ্ট হয় না।

অন্ধ লোকটি তার দিকে হাত বাড়িয়ে বলে, "এখন তোমার সময় এসেছে।" এরপর সে পেছনে হেলে পড়লে, সৃজনী দেখতে পায়, বাসের অন্য সব সিটে মৃতদেহগুলো বসে আছে, তারা যেন অপেক্ষা করছে। এরা সবাই আগের যাত্রী, যারা কখনোই ফিরে যাবে না। তাদের চোখগুলো স্তব্ধ এবং অস্পষ্ট, যেন তারা চিরকাল এখানে আটকে গেছে।

এক মূহূর্তে সৃজনী উপলব্ধি করে, সে নিজের মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে। বাস্তবতা আর কল্পনা এক হয়ে গেছে। তার পায়ের নিচে পৃথিবী আর দৃশ্যমান নয়, শুধু নিঃসঙ্গতা, শূন্যতা আর অন্ধকারে ডুবে যাওয়া।

তারপর, সেই বাসটি আবার চলতে শুরু করে, এক অদৃশ্য রাস্তায়। সৃজনী বুঝতে পারে, এই বাস কখনোই থামবে না। তার অন্তিম যাত্রা শুরু হয়েছে, কিন্তু শেষ কোথায়, কীভাবে হবে তা জানা নেই।

এটাই অন্তিম যাত্রা যা কখনো শেষ হয় না।

||কলমে,✍️ কল্পবাসিনী||

**গল্প: " #অদ্ভুত_সুরের_ডাকে"**😳😲কয়েক মাস আগে, আমার এক বন্ধুর নতুন বাড়িতে এক রাত কাটানোর জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। বাড়িটি...
17/11/2024

**গল্প: " #অদ্ভুত_সুরের_ডাকে"**😳😲

কয়েক মাস আগে, আমার এক বন্ধুর নতুন বাড়িতে এক রাত কাটানোর জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। বাড়িটি বেশ পুরনো, এবং এর নির্মাণশৈলীতে এক ধরনের পুরনো দিনের আভা ছিল, যা বাড়ির পরিবেশকে কেমন যেন রহস্যময় করে তুলেছিল। প্রথমে আমার কিছু অস্বাভাবিক মনে হয়নি, কিন্তু রাত বাড়ার সাথে সাথে ঘটতে শুরু করলো একের পর এক অদ্ভুত ঘটনা।

রাত তখন প্রায় ১টা, ঘরের সবাই তখন ঘুমিয়ে ছিল, কিন্তু আমার ঘুম আসছিল না। হঠাৎ, শুনতে পেলাম যেন দূর থেকে কেউ সুরেলা কণ্ঠে কিছু একটা গুনগুন করছে। সুরটা কেমন যেন পরিচিত মনে হচ্ছিল, কিন্তু আমি চিনতে পারছিলাম না। প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো পাশের ঘরে কেউ ঘুমের মধ্যে আওয়াজ করছে, কিন্তু তারপর বুঝতে পারলাম, সেই সুরটা যেন বাড়ির বাইরে থেকে আসছে।

কৌতূহল আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আস্তে আস্তে দরজা খুলে বারান্দায় বের হলাম। বাইরে চাঁদের আলোতে চারপাশ বেশ ভালোই দেখা যাচ্ছিল, কিন্তু কাউকে দেখতে পেলাম না। সুরটা যেন আরও একটু স্পষ্ট হলো, এবং এবার শুনতে পেলাম আমার নাম ধরে কে যেন ডাকছে—"এদিকে আসো…"

ভয়ে গা শিউরে উঠলো, কিন্তু কৌতূহল আমাকে আরও কাছে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, কারো অদৃশ্য হাত যেন আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আমি এগিয়ে যেতে থাকলাম, বাড়ির পুরনো বাগানের দিকে। বাগানে ঢুকতেই মনে হলো যেন সময় থমকে গেছে। সবকিছু নিরব, গাছের পাতা পর্যন্ত নড়ছে না।

তখন হঠাৎ করেই, সেই সুর থেমে গেল, আর আমি একটি ফিসফিস আওয়াজ শুনলাম—"তুমি জানো না, এখানে আমরা রয়েছি…"

হঠাৎ পেছন থেকে ঠান্ডা বাতাসের ঝাপটা এসে লাগল। আমি ঘুরে তাকালাম, কিন্তু কেউ ছিল না। তারপর দেখি, বাগানের মাঝখানে একটি পুরনো আয়না রাখা আছে। ভয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাম না, এবং দৌড়ে ফিরে এসে বন্ধ দরজা খুলে আবার ঘরে ঢুকলাম।

পরের দিন সকালে আয়নাটির কথা বন্ধুকে জিজ্ঞেস করতেই সে বিস্মিত হয়ে বলল, "এই বাড়িতে তো কোনো আয়না নেই। তুমি বাগানে কিছু দেখেছিলে কি?" আমি ভয় আর কৌতূহল নিয়ে সব বললাম, এবং সে জানালো যে, আগের মালিকের স্ত্রী এই আয়নার সামনে আত্মহত্যা করেছিলেন। তার কথা শেষ হওয়ার আগেই মনে পড়ে গেল, আয়নার সামনে সেই অদ্ভুত ছায়াটি এবং সেই ফিসফিস শব্দ, যেন আমাকে ডেকে নিয়ে যেতে চেয়েছিল।

সে দিনের পর থেকে, আমি অন্ধকারে আয়নার কাছে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। মনে হয়, সেই সুর, সেই ডাক আজও আমাকে তাড়া করে বেড়ায়, যেন সে আমাকে তার সাথে নিয়ে যেতে চায়।

গল্পটি যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করেন। আপনার অথবা আপনার কোন বন্ধুর এমন অভিজ্ঞতা থাকলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন 🙂

 #সম্পূর্ণ_সত্য_ঘটনা!! 😳আজকে কোন গল্প নয় একটা বাস্তব ঘটনা শেয়ার করছি আপনাদের সাথে। আজকের ঘটনাটা আমাদের পাঠিয়েছেন, ওনার ন...
16/11/2024

#সম্পূর্ণ_সত্য_ঘটনা!! 😳

আজকে কোন গল্প নয় একটা বাস্তব ঘটনা শেয়ার করছি আপনাদের সাথে।

আজকের ঘটনাটা আমাদের পাঠিয়েছেন, ওনার নাম মোঃ রায়হান আহমেদ " ঘটনার স্থান রাজশাহী জেলার " বোয়ালিয়া থানার কোন এক গ্রামে।

আসছালামু আলাইকুম নিশাদ ভাই " আমি মোঃ রায়হান। আজ আমার সাথে ঘটে যাওয়া সত্য একটা ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি , তো কথা না বলে ঘটনায় চলে যাই।

আমি যখন ক্লাস ৮ পড়তাম তখন

ফেব্রুয়ারি মাসে শেষের দিকে আমার সাথে কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে।

আমি একটা স্বপ্ন দেখতে শুরু করি যে একজন বয়স্ক ব্যক্তি সাদা কাপড় পড়া আমার কাছে আসেন আর আমাকে বলেন
তুমি কী আমার সাথে যাবে
এই স্বপ্নের কথাটা আমি বাসায় কাউকে বলিনি কারণ সবাই চিন্তা করবে, বিশ্বাস ও করবেনা তাই।
কিন্তু সমস্যা তখন হলো যখন এক রাত আমি বাসা থেকে হারিয়ে যাই " আমি বাড়ি থেকে হাড়িয়ে যাওয়ায়
আমার পরিবারের সবাই আমার খোঁজ করে কিন্তু পাই না।

আমি হঠাৎ কিভাবে হাড়ালাম সেটা জানিনা, প্রায় দুই দিন পর আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল, আমি দেখলাম আমি একটা বাঁশঝাড়ের মধ্যে পড়ে আছি শরীরের অনেক অংশই কেঁটে গেছে।
আমি সেই বাঁশঝাড়ের মধ্যে থেকে বেড়িয়ে চিৎকার করতে থাকি আর নিজের বাসার খোঁজ করি তারপর অনেক কষ্টে বাসায় আসি
বাসার সবাই আমাকে দেখে কান্নাকাটি করতে শুরু করে কারণ ২ দিন থেকে আমি নিখোঁজ

ঠিক তার পরের দিনই আমার আম্মু একটা ভয়ংকর দৃশ্য দেখে যে

আমি ফ্রিজ থেকে কাঁচা মাছ বের করে খাচ্ছি আর আমার চোখ দুটো সম্পূর্ণ লাল হয়ে গেছে

আম্মু চিৎকার করে সবাইকে ডাকে

আমার আব্বু আর কয়েকজন লোক মিলে আমাকে একটা ঘরের মধ্যে বেঁধে রাখে

এই অস্বাভাবিক আচরণ এর জন্যে আমাদের এলাকার এক হুজুরকে ডাকেন।

তিনি এসে বলেন আমাকে একটা মারাত্মক জ্বীন ধরেছে
আর সে আমার কাছ থেকে প্রতিশোধ নিতে চাই, হুজুরের কথায় মা বাবা বলেন হুজুর আপনি কিছু করেন

কিন্তু হুজুর বললেন
তিনি কিছু করতে পারবেন না অন্য কোন হুজুরকে ডাকতে হবে

সেই রাতে আমরা খুব জ্বর আসে কিন্তু পরের দিন সকালে জ্বর চলে যাই

আব্বু খোঁজ করে একজন হুজুর কে পান ওনি কবিরাজি করেন ওনার নাম ছিলো আজিজুল

হুজুর বাসায় আসে আর সব কথা শুনেন আমি আমার স্বপ্নের কথা গুলো বলি

ওনি আমার রুমে একা গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলেন আর
তার কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে এলেন

হুজুর বলেছিলেন জ্বীনের সাথে আমাকে কথা বলতে হবে ওনি পারবেন না

হুজুর আমাকে বলল আজকে রাতে আমাকে একা আমার রুমে থাকতে হবে আর সারা রাত জেগে থাকতে হবে
রুমে শুধু মোমবাতি জ্বালানো থাকবে

হুজুর আমাকে বলেন আমি যেনো স্বপ্নে দেখা সেই জ্বীনের কথা মনে করি
যদি জ্বীনটা রুমে আসে তাহলে মোমবাতি গুলো নিভে যাবে
তারপর একটা সালাম দিয়ে বলতে হবে মোরাজ আপনি কি এসেছেন তার পর তার কাছে শুনতে হবে কেনো তিনি আমার সাথে এই রকম করছেন

আমি প্রথমে রাজি হই নাই কিন্তু পরে আব্বু জোর করে রাতে আমাকে রুমে ঢুকিয়ে দেই

আমার রুমে শুধু দুইটা মোমবাতি ছিলো

ভাই আমার অবস্থা খারাপ হয়ে গেছিলো পুরা আমি ভয়ে ভয়ে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম জানিনা তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে দরজার ধাক্কা দিলাম তারপর আম্মু দরজা খুলে দিল বাহিরে সবাই ছিলো

হুজুর বলল কাজ হয়েছে কী

হুজুরের কথায় আমি বলে দিলাম আমি ঘুমিয়ে গেছিলাম

হুজুর এই কথা শুনে আমাকে ইচ্ছে মতো গালি দেই আর
বলে আজকেও তাই করতে হবে না হলে জ্বীন আমাকে ছাড়বে না তাই বাধ্য হয়ে পরের দিন রাতে ওই সেম ভাবে আমাকে ঘরের মধ্যে রেখে দিলো তবে আজকে আমার কাছে ফোন ছিল

কিন্তু নিশাদ ভাই বিশ্বাস করেন রাত প্রায় ৪ টার সময় হঠাৎ করে মোমবাতি নিভে যাই আমার রুমটা খুব বেশী ঠান্ডা হয়ে যাই

আমি ভয়ে চুপ করে ছিলাম হুজুরের সব কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম আমি

নিশাদ ভাই আমার কলিজা টা তখন বেড়িয়ে আসে যখন একটা খুব খুব ভয়ংকর কন্ঠ

বলে উঠলো
আমি জানি তোকে কেনো এখন রাখছে
তোকে আমি ক্ষমা করবোনা তুই আমার মেয়েকে মেরেছিস

ভাই আমি প্রায় শেষ হয়ে গেছিলাম হাত-পা অবশ হয়ে গেছিলো প্রায় ওই কন্ঠটা এতো ভয়ংকর ভাই কোন ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না
ভাই চিন্তা করেন ১৫ বছর বয়সী একটা ছেলে ওই রকম একটা সিচুয়েশন পড়লে কী অবস্থা হবে

ভাই মনে হচ্ছিল আমি আজকেই মরে যাব

তাও কোনো মতে আমি শুধু এইটুকু বলতে পারছি যে
দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দেন আমি জানিনা আমি কখন আপনার মেয়েকে মেরেছি দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দেন।

তখন ভাই ওই জ্বীন টা বললো যে
আমি আজ থেকে অনেক দিন আগে একটা কালো বিড়ালকে লাঠি দিয়ে মেরেছিলাম ও বিড়ালটাই ছিলো ওই জ্বীনের মেয়ে

আসলে সত্যি সত্যি নিশাদ ভাই এই ঘটনা ঘটার কয়েকদিন আগে আমিই একটা কালো বিড়ালকে লাঠি দিয়ে মেরেছিলাম খুব আর ওটাই ছিল ওই জ্বীনের মেয়ে আর আমি তাকে মারার জন্য সেই জ্বীন আমার সাথে এই রকম করছেন

আমি কাঁদতে কাঁদতে দুই হাত জোড় করে বললাম

আমি জানতাম না বিড়ালটা আপনার মেয়ে ছিলো দয়া করে আমাকে খমা করে দেন সেই দিন আমি প্রায় মরন কান্না কেঁদে ছিলাম

তারপর জ্বীনটা বললো
একটা শর্তে ক্ষমা করবো তোকে তোকে আমার মেয়ের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে আর আমাকে ৪ টা কালো ছাগল দিতে হবে।

আমি থোতলাতে থোতলাতে বললাম
ঠিক আছে আমি রাজি।

তারপর কী হলো বুঝলাম না আমি ঘাড়ে প্রচুর ব্যাথা অনুভব করি আর অজ্ঞান হয়ে যাই

তারপর মনে হয় সকালে সবাই আমার রুমে এসে আমার জ্ঞান ফিরাই
আমার জ্ঞান আসতেই আমি কাঁদতে কাঁদতে সব কথা বললাম

তখন হুজুর বললেন
কাজ হয়েছে

হুজুর আমার আব্বুকে বলল যে ৪টা কালো ছাগলের ব্যবস্থা করতে আর রাতে আমাকে নিয়ে তার বাসায় যাবে

সব কথা মতো সেই দিন সন্ধ্যায় আমাকে আর ৪টা ছাগল নিয়ে হুজুরের বাসায় যাই আব্বু ও সাথে যাই

হুজুর আমাকে একটা ঘরের মধ্যে নিয়ে যাই ঘরটা ছিল পুরো খালি শুধু একটা মাদুর পাতা ছিল

হুজুর আমাকে বলল জ্বীন টা এই রুমে আসবে ওর মেয়েকে নিয়ে আমাকে তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে আর বলতে হবে রুমে রাখা ছাগল গুলো নিয়ে যেতে

তারপর রুমের একদিকে ছাগল গুলো রেখে আমাকে বসিয়ে দিল আর কয়েকটা মোমবাতি জ্বালিয়ে দিয়ে হুজুর চলে গেলো

কিছুক্ষণ পর মোমবাতি গুলো নিভে গিয়ে ঘরটা পুরো ঠান্ডা হয়ে গেল আমার মনের মধ্যে খুব ভয় করছিলো

ওই দিনের মতো
ওই ভয়ংকর কন্ঠটা বলল আমার মেয়ে এসেছে ওর কাছে ক্ষমা চা।

তখন আমি কাঁদতে কাঁদতে বললাম
আমাকে ক্ষমা করে দেন আমি অজান্তেই এই ভুল করে ফেলেছি আমাকে ক্ষমা করে দেন দয়া করে ক্ষমা করে দেন আর এই রুমে ৪টা কালো ছাগল আছে আপনি যেমন বলেছিলেন তেমন এগুলো নিয়ে যান

সেই ভয়ংকর জ্বীনটা বললো
ঠিক আছে আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিলাম আমি আর তোমার কাছে আসবো না আর কোন ক্ষতি করবো না

জ্বীনটা কথা গুলো বলার পর
সেই রাতের মতো ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করতে লাগলাম আমি আর অজ্ঞান হয়ে গেলাম

তারপর হুজুর আর আব্বু এসে আমার জ্ঞান ফেরালো

আমি দেখলাম রুমের ছাগল গুলোও ছিল না

হুজুর বলল আলহামদুলিল্লাহ সব ঠিক হয়ে গেছে
আর সমস্যা নেই
তারপর আমাকে ঝাড়া দিয়ে দিলেন আর একটা তাবিজ দেন ৭ দিন দেওয়ার জন্য তারপর তাবিজটা মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে

তারপর থেকে আর কোনো খারাপ ঘটনা ঘটে নাই সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাই

ভাই এখন আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি

ভাই এইটা আমার জীবনের সবচেয়ে ভয়ানক ঘটনা বিশেষ করে ওইযে হুজুর যেই কাজ গুলো করতে বললেন আর ঘরের মধ্যে ওই জ্বীনের সাথে কথা বলা আমি মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত মনে থাকবে ভাই।

এই ছিলো রায়হান ভাইয়ের ঘটনা। ধন্যবাদ রায়হায় ভাইকে এত সুন্দর একটা ঘটনা আমাকে লিখে পাঠানোর জন্য। ঘটনাটা রায়হান ভাইয়ের নিজের লেখা।

আপনারাও আপনাদের সাথে ঘটে যাওয়া বা আপনার জানা ঘটনা বলতে পারেন আমাকে। আমি লিখে পোস্ট করবো। তো দেরি না করে আপনার জানা ঘটনা থাকলে কমেন্ট করুন এখনি।

রায়হান ভাইয়ের সত্য ঘটনাটা আপনাদের কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন।

Address

Dhaka, Mirpur
Dhaka
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Live Bhoot Extreme posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Live Bhoot Extreme:

Share

Category