Live Bhoot Extreme

Live Bhoot Extreme Those of you who are scared of ghosts! Our initiative to overcome their fears�

১৯১১ সাল। ইতালির " জ্যানেটি" নামক এক কোম্পানি ঘোষণা করল তারা তাদের নতুন একটি ট্রেন লঞ্চ করতে চলেছে। যেটার প্রথম সফরে যাত...
07/07/2025

১৯১১ সাল। ইতালির " জ্যানেটি" নামক এক কোম্পানি ঘোষণা করল তারা তাদের নতুন একটি ট্রেন লঞ্চ করতে চলেছে। যেটার প্রথম সফরে যাত্রীদের দেওয়া হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে যাত্রার সুযোগ। সেকালের হিসেবে ট্রেনটির সাজ সরঞ্জাম, খাবার দাবার ছিল যথেষ্টই লোভনীয়। বেশ আকর্ষণীয় সুযোগই বলতে হয়। ফলে অনেকেই প্রথম সফরে যাওয়ার আর্জি জানালেন। শেষমেশ সফরের দিন দেখা গেল গাড়ির চালক মিলিয়ে মোট ১০৬ জন যাত্রী ট্রেনটিতে যাত্রা করছেন।

গ্রীষ্মের সকালে মোট ১০৬ জন যাত্রী নিয়ে সেই " জ্যানেটি " ট্রেন তার যাত্রা শুরু করল। সব ঠিকই ছিল। ট্রেন চলছিল নিয়মমাফিক। যাত্রীরা বেজায় খুশি। সকলেই গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত চুটিয়ে উপভোগ করছেন এই ট্রেন জার্নি। এমন সময়ই ট্রেনটি এসে পৌছাল লম্বারডি পাহাড়ের কাছাকাছি। এই পাহাড়ের পেটের ভিতর দিয়ে একটি অন্ধকার টানেল। এই টানেল পার করেই ট্রেনটিকে পৌঁছতে হবে গন্তব্যে। যদিও টানেলে ঢোকার আগে সেই ট্রেনের যাত্রীরা ভাবতেও পারেনি তাদের সঙ্গে কি ঘটতে চলেছে।

১৯১১ সালের গ্রীষ্মের দুপুর। ট্রেনটি ১০৬ জন যাত্রী নিয়ে সেই টানেলে ঢোকে। কিন্তু অদ্ভুতভাবে আর বেরোয় না। একদমই তাই! আর বেরোয় না! সেই যে ট্রেনটি টানেলে ঢোকে তারপর তার আর কোনো ট্রেস পাওয়া যায় না। ঠিক যেন তার সমস্ত যাত্রীকে নিয়ে একবারে হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে ট্রেনটি। বহু মানুষই আগের স্টেশন থেকে ট্রেনটিকে ছাড়তে দেখেছে। কেউ কেউ আবার সেই টানেলেও ঢুকতে দেখেছে ট্রেনটাকে। কিন্তু অদ্ভুতভাবে ট্রেনটাকে টানেল থেকে বেরোতে কেউ দেখেনি। কেউ না !

এরপর বিস্তর খোঁজা খুঁজি। টানেল তন্ন তন্ন করে খোঁজা হল। অত বড় ট্রেন অথচ কোথাও কোনো চিহ্ন মাত্র নেই। শেষমেশ খোঁজ মিলল ওই ট্রেনেরই দুইজন যাত্রীর। দুজনেই যেন মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। দুজনেই কোনো কথা বলতে চায় না। বহু জিজ্ঞাসাবাদের পর দুজন মুখ খুলল। এবং যে কাহিনী তারা শোনাল তা যেন গল্পের চেয়েও বিস্ময়কর।

ট্রেনটি যখন টানেলে প্রবেশ করে তখনও পর্যন্ত সব নাকি ঠিক ছিল। কিন্তু টানেলের মাঝামাঝি আসতেই একটা অদ্ভুত সাদা কুয়াশা নাকি পুরো ট্রেনটাকে ঘিরে ধরে। সেই অদ্ভুত কুয়াশায় ট্রেনের যাত্রীদের সকলেরই দমবন্ধ হয়ে আসে। সকলেই ছটফট করতে থাকে। সারা ট্রেন জুড়ে হইচই পড়ে যায়। ভয়ে, আতঙ্কে যাত্রীরা প্রাণপণ চিৎকার করতে থাকে সাহায্যের জন্য। ঠিক সেই সময়ে, একদম শেষ মুহূর্তে এই দুজন যাত্রী ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেয় বাইরে। এরপর অদ্ভুতভাবেই তাদের চোখের সামনে ট্রেনটি মিলিয়ে যায় টানেলের ভিতরকার ঘন সাদাটে কুয়াশার মধ্যে। ব্যাস তারপর তাদের আর কিছু মনে পড়ে না।

"জ্যানেটি" ট্রেনের এই আচমকা উধাও হয়ে যাওয়া সেইসময় বেশ সাড়া ফেলে দেয়। বহু নিউজ পেপারে এ নিয়ে বড় বড় আর্টিকেল ছাপা হয়। রহস্য আরও ঘনীভূত হয়ে ওঠে। যদিও বহু অনুসন্ধানের পরেও রহস্যের কিন্তু কোনো সমাধান হল না। সময় যত যায়, মানুষের স্মৃতিও ফিকে হতে থাকে। একসময় জ্যানেটি ট্রেনের কথা সকলে যখন ভুলেই গেছে তখনই আবারও একবার চর্চায় উঠে আসে সেই ট্রেন। অদ্ভুতভাবে এই বার আরও চমকপ্রদ কাহিনী নিয়ে।

সেই দিন ওই ট্রেনে যতজন যাত্রী মিসিং হয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যেই এক যাত্রীর এক রিলেটিভ কেসটা নিয়ে বিস্তর রিসার্চ করছিল। বিভিন্ন রেকর্ড ঘটতে গিয়ে ১৯২৬ সালে সে আচমকা একটা অদ্ভুত তথ্য আবিষ্কার করে। মেক্সিকোতে নাকি আচমকাই ১০৪ জন যাত্রী উপস্থিত হয়েছে যাদের দাবি তারা ইতালি থেকে ট্রেনে করে এসেছে। অদ্ভুতভাবে তারা যে ট্রেনটির বর্ণনা দেয় সেটি হুবহু মিলে যায় "জ্যানেটি" ট্রেনের সঙ্গে। কিন্তু সবচেয়ে বিস্ময়কর যা, তা হল এই রেকর্ডটি ১৮৪৫ সালে! আজ্ঞে হ্যাঁ ১৮৪৫। যে ট্রেন ছেড়েছেই ১৯১১ সালে, সেই ১৮৪৫ সালে যাত্রীদের নিয়ে পৌছাল কি করে?

পুরোনো সেই রেকর্ডটি ঘাটলে আরও বিস্ময়কর তথ্য সামনে উঠে আসে। ওই ১০৪ জন যাত্রীকে ওই সময় মেক্সিকোর এক সাইকিয়াট্রিক হসপিটালে রাখা হয়েছিল। সেই হাসপাতালে গিয়ে ক্রসচেক করলে দেখা যায় ঘটনাটা হুবহু সত্যিই। সেই ১০৪ জনের প্রত্যেকেই নাকি মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ছিল। তারা কেবল দাবি করত তারা রোমে ফিরে যেতে চায়। একটা অদ্ভুত ট্রেনে করে ঘন কুয়াশাময় টানেলের ভিতর দিয়ে তারা নাকি এখানে এসে পৌঁছেছে।

এমনকি সেই হসপিটালের রেকর্ড অনুযায়ী ওই ১০৪ জনের পোশাকও ছিল সেকালের তুলনায় সম্পূর্ণ অন্যরকম। শুধু তাই নয়, তাদের মধ্যে একজন প্যাসেঞ্জারের কাছে ছিল একটা তামাকের পাত্র যার গায়ে খোদাই করে লেখা আছে ''১৯০৭ খ্রিস্টাব্দ"। এই তামাকের পাত্রটি হসপিটাল অথরিটি যত্ন করে রেখেছিল এই অদ্ভুত ঘটনার স্মৃতি হিসেবে। এটি এখনও মেক্সিকোতে সংরক্ষিত আছে।

এরপর থেকেই এই অদ্ভুত ট্রেনের কাহিনী দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যেমন জার্মান, ফ্রান্স, ইতালি বিভিন্ন সময় দাবি করতে থাকে এরকম একটি অদ্ভুত ট্রেন নাকি তাদের দেশেও দেখা গিয়েছে। কখনও সেটা ১৯৫৫ সাল তো কখনও আবার ১৯৭১! এমনকি এও শোনা যায় যে ১৯৯১ সালে পোলটাভায় এক প্যারানরমাল রিসার্চার এই ট্রেনটির সামনে ঝাঁপ দিয়ে চিরতরে নিখোঁজ হয়ে যান।

ঠিক কি হয়েছিল ১৯১১ সালের সেই দুপুরে? কিভাবে ট্রেনটি হাওয়ায় মিলিয়ে গিয়েছিল টানেলের মধ্যে দিয়ে? কিভাবেই বা সেটা পৌছাল প্রায় সত্তর বছর আগের মেক্সিকোয়? এ সকল প্রশ্নের উত্তরই ধোঁয়াশাময়। অনেকেরই ধারণা ট্রেনটি কোনোভাবে টাইম ট্রাভেল করে অতীতে চলে গিয়েছিল আবার অনেকের মতে ট্রেনটি হয়তো ছিল কোনো গোপন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার অংশ। কেউ কেউ মনে করেন এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে কোনো এক্সট্রাটেরিস্টিয়াল লিংক। এলিয়েন ইন্টারাপশন।

যদিও এ সকলই থিওরি। আসলে যে কি ঘটেছিল তা কেউ জানে না। আসলে আমাদের মহাবিশ্বে এমন অনেক ঘটনাই ঘটে যার কারণ জানা হয়তো সম্ভবও নয়! এটাও হয়তো সেরকমই কোনো ঘটনা। তবুও এই আশ্চর্য রহস্যময় ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যার শেষ নেই। অনেকের মতে আবার ঘটনাটি নিছকই একটি জনপ্রিয় আরবান লেজেন্ড ছাড়া কিছুই নয়।

তবে ধরে নিই যদি ঘটনাটি সত্যি তাহলে সেদিন ঠিক কি ঘটে থাকতে পারে ট্রেনটির সঙ্গে? এই ব্যাপারে পাঠকদের কি মতামত। জানার অপেক্ষায় রইলাম।

( ঘটনা টা সত্যি না মিথ্যা আমার জানা নেই, এই ব্যাপারে আসল সত্যটা জানার অপেক্ষা থাকবো আপনাদের মতো আমিও )

সংগৃহীত🚫

জয়েস ক্যারল ভিনসেন্ট ছিলেন এক ব্রিটিশ নারী, যিনি ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে মারা যান। কিন্তু তাঁর মৃত্যু কেউ টেরই পায়নি — ঠি...
03/07/2025

জয়েস ক্যারল ভিনসেন্ট ছিলেন এক ব্রিটিশ নারী, যিনি ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে মারা যান। কিন্তু তাঁর মৃত্যু কেউ টেরই পায়নি — ঠিক ২ বছর পরে, ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে তার মরদেহ আবিষ্কৃত হয় উত্তর লন্ডনের একটি ফ্ল্যাটে, যেখানে টিভি তখনও চলছিল।

আর তাঁর ফ্ল্যাট ছিল এমন একটি হাউজিং এসোসিয়েশনের আওতায়, যেখানে কেউ মাঝেমধ্যে খোঁজ নিতে আসত না, এবং জানালাগুলো বন্ধ ছিল — ফলে গন্ধ বা শব্দ বাইরে যায়নি।

তিনি একা থাকতেন, জীবনের শেষ দিকে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিলেন। ভাড়া আর বিল স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাটা যাচ্ছিল বলে কাউকে কিছু বোঝা যায়নি। যখন পুলিশ দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢোকে, তখন তার দেহ কঙ্কাল হয়ে গিয়েছিল — পড়ে ছিল টিভির সামনে।

অনেকে ভাবতে পারেন, “দুই বছর ধরে ভাড়া, বিদ্যুৎ চলল কীভাবে? কেউ খেয়াল করল না?” আসলে, জয়েস সরকারি হাউজিং বেনিফিটে থাকা একা একজন নারী ছিলেন। ভাড়া ও কিছু বিল অটোমেটিক ডেবিটে ব্যাংক থেকে কাটা যাচ্ছিল।

বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি, কারণ কোম্পানিগুলো সাধারণত কয়েক মাস বিল না পেলে তদারকি করে — কিন্তু যেহেতু বিলের অর্থ কাটছিল বা কারো সন্দেহ হয়নি, তাই বিদ্যুৎ চলতে থাকে।

এই ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়, নিঃসঙ্গতা কতটা ভয়ংকর হতে পারে। আমরা কি খেয়াল রাখছি, আমাদের চারপাশের মানুষগুলো ঠিক আছে কি না?
সব মিলিয়ে, এক আধুনিক শহরের ভিড়ে একজন মানুষ এইভাবে হারিয়ে যেতে পারে — সেটা অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি।
--
-(সংগৃহীত)🚫

 #রাত_বারোটার_বাস 🚍😳সকাল-সন্ধ্যা লাখো মানুষ এই শহরে যাতায়াত করে, কিন্তু কিছু রাস্তা আছে… যা রাতের পর বদলে যায়।ঢাকার বাইর...
03/07/2025

#রাত_বারোটার_বাস 🚍😳
সকাল-সন্ধ্যা লাখো মানুষ এই শহরে যাতায়াত করে, কিন্তু কিছু রাস্তা আছে… যা রাতের পর বদলে যায়।
ঢাকার বাইরে একটা পুরনো রুট— ঢাকা-সোনারগাঁও।
এই রুটে প্রায়ই চলে রাত বারোটার স্পেশাল বাস।
কেউ জানে না, এটা সরকারি বাস নাকি কোনো প্রাইভেট সার্ভিস।
কিন্তু শোনা যায়— এই বাসে একবার উঠলে… আর নামার সুযোগ মেলে না!
রায়হান, ঢাকার গার্মেন্টসে কাজ করেন। পরিবার গ্রামে, তাই মাঝেমধ্যে মাঝরাতে বাড়ি ফেরেন।
সেদিনও রায়হান কাজ শেষ করে বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছেন, বাস নেই।
হঠাৎ ধোঁয়ায় ঢাকা, সাদা-কালো একটা বাস এসে থামে।
ড্রাইভার বলে—
"ভাই, উঠেন। সোনারগাঁও পর্যন্ত যাচ্ছি।"
ভেতরে উঠেই রায়হান টের পান, পরিবেশ অদ্ভুত।
সব যাত্রী চুপচাপ বসে আছে, কেউ কারও সাথে কথা বলে না।
সবচেয়ে অদ্ভুত, বাসের ভেতর এত ঠান্ডা… যেন বরফ জমে আছে।
একসময় বাস ঢুকে পড়ে পুরনো একটা রাস্তার ভেতর।
বাইরে কোনো আলো নেই, জানালার বাইরে শুধু কুয়াশা আর ছায়া।
ঘড়ি দেখে রায়হান আঁতকে ওঠে—ঘড়ির কাঁটা বারোটা বাজার পর থেকেই থেমে আছে!
আর তখনই তিনি বুঝতে পারেন, বাসের সব যাত্রী আসলে… মানুষ নয়।
হাত-পা কুঁচকে যাওয়া বিকৃত শরীর, মুখের অর্ধেক গলে যাওয়া চেহারা…
সবাই যেন অদৃশ্য কোনো ভয়াবহ জগৎ থেকে উঠে এসেছে।
ড্রাইভার ঘুরে বলে—
"ভাই, নতুন লোক নাকি? চিন্তা করবেন না, ফিরতি টিকিট কেউ নেয় না…"
রায়হানের মুখ শুকিয়ে যায়, তিনি লাফ দিয়ে নেমে পড়েন চলন্ত বাস থেকে।
মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান।
ভোরের আলো ফুটতেই স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে।
তারা জানায়—
এই রাস্তা দিয়ে বহু বছর আগে এক ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ মারা যায়।
আর শোনা যায়, রাত বারোটার পর যারা সেই "অদৃশ্য বাসে" ওঠে, তারা আর কোনোদিন দেখা যায় না।
শুধু যারা সময়মতো নেমে পড়ে… তারা ফিরে আসে।

⚠️ তুমি কি কখনও মাঝরাতে এমন অদ্ভুত কিছু দেখেছ? নিজের অভিজ্ঞতা কমেন্টে শেয়ার করো!

#সংগৃহিত 🚫

৭ মাস পর কবর ভাঙল... কিন্তু যা দেখা গেল, তা কাঁপিয়ে দিলো হৃদয়!বরিশালের উজিরপুর উপজেলার মানুষগুলো আজও চোখে পানি ধরে রাখতে...
02/07/2025

৭ মাস পর কবর ভাঙল... কিন্তু যা দেখা গেল, তা কাঁপিয়ে দিলো হৃদয়!

বরিশালের উজিরপুর উপজেলার মানুষগুলো আজও চোখে পানি ধরে রাখতে পারেনি…
একজন আল্লাহর বান্দা — ডাক্তার আকবার হোসেন মিয়া (রহঃ), যিনি ছিলেন উজিরপুর মুজাহিদ কমিটির ছদর এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সভাপতি। দীর্ঘদিন ইসলামের খেদমতে কাটিয়েছেন নিজের জীবন, নির্লোভ, নিষ্ঠাবান, এক আত্মসমর্পিত রুহানী পথপ্রদর্শক।

গত ৭ মাস আগে তার ইন্তেকাল হয়।
সব আয়োজন শেষে যথাযথ সম্মানের সঙ্গে দাফন সম্পন্ন হয়।

কিন্তু আজ…
প্রবল বর্ষণে তার কবরের মাটি ধসে পড়ে।
পরিবার ও স্থানীয় লোকজন মেরামতের উদ্যোগ নেন।

আর তখন...
যখন সেচ দিয়ে কবরের জমে থাকা পানি সরানো হয়,
চোখের সামনে ভেসে উঠে এক অলৌকিক দৃশ্য।

লা'শটি ছিল সম্পূর্ণ অক্ষত!
যেভাবে দাফন করা হয়েছিল — কাফনের কাপড়, শরীরের গঠন, সব কিছু ঠিক তেমনই!
মাটি ছুঁতে পারেনি তাকে। সময় ছিন্ন করতে পারেনি তাকে।
৭ মাস কেটে গেলেও যেন মৃত্যু তাকে স্পর্শ করেও স্পর্শ করেনি।

সুবহানাল্লাহ!
এটা কি শুধুই কাকতালীয়?
না কি আল্লাহর পক্ষ থেকে এক স্পষ্ট বার্তা?

যিনি জীবদ্দশায় দ্বীন ও মানবতার খেদমতে জীবন উৎসর্গ করেন,
আল্লাহ কি তাকে এমনি করেই মর্যাদা দেন না?

আজ আমরা কাঁদি — তার জন্য নয়, নিজেদের জন্য।
কারণ, এ ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় — মৃত্যু শেষ নয়, বরং শুরু এক নতুন জীবনের।

চলুন, সবাই এই মহান আলেমের জন্য দোয়া করি—
আল্লাহ পাক তাকে কবুল করুন। জান্নাতুল ফেরদৌসে সুউচ্চ মাকাম দান করুন। আমিন।

#লা_শ_অক্ষত #কবরের_রহস্য

#সংগৃহিত 🚫

 #একটি_সত্য_ঘটনা👇ঘটনাটি আমি আমার আম্মুর মুখে শুনেছিলাম। আবার আমার আম্মুর শুনেছিলো তার মেজো ভাই এর বৌ এর কাছে মানে আমার ম...
01/07/2025

#একটি_সত্য_ঘটনা👇
ঘটনাটি আমি আমার আম্মুর মুখে শুনেছিলাম। আবার আমার আম্মুর শুনেছিলো তার মেজো ভাই এর বৌ এর কাছে মানে আমার মামীর কাছ থেকে। তখন আমার আম্মুর জন্ম হয়নি। আচ্ছা মূল গল্পে আসা যাক।

জায়গা টা ছিল কুমিল্লার কোনো একটা জায়গায় আম্মুর ঠিক মনে নাই জায়গার নাম। তখনকার সময় কারো ঘরে তেমন টিভি ছিল না তখনকার সময় যাত্রা পালা বেশি হইতো। একদিন গ্রামে যাত্রা পালা হইতাছিলো তখন আমার মামীর ভাই সেইটা দেখতে যাইতাছিলো কিন্তু যাত্রা হওয়ার জায়গা টা ছিল অনেক দূরে। তো সে যাইতাছে অনেক দূরের পথ পুরা ফাঁকা রাস্তা কেউ ছিল না রাস্তায় হঠাৎ অনেক বড় লম্বা একটা দানবের মতো কি যেন একটা দুই পারি রাস্তার দুই দিকে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তখন আমার মামীর ভাই ওই দানবের মতো জীন তাকে বলতাছে যে এই খান থেকে সরে যা আমি যাবো এই খান থেকে কিন্তু ওই জীন টা বলে না আমি সড়বো না তুই যদি যাইতে চাশ তাহলে আমার পায়ের নিচ দিয়ে যাইতে হইবো।

কিন্তু যদি সে পায়ের নিচ দিয়ে যায় তাহলে সেই জীন টা তাকে ধরে ফেলবে। আর মামীর ভাই পিছনেও যেতে পারবে না কারণ পিছনে গেলে তাকে পিছন থেকে ঘরে ধরে ফেলবে। সেই জীন টা কিছুতেই সরতে চাইতাছিলো না। তখন আমার মামীর ভাইয়ের কাছে আগুন জ্বালানোর মেছ ছিল তখন সে বুদ্ধি করে একটা করে মেছ জ্বালায় আর সামনের দিকে যায় আর ওই জীন টা ও একটু করে পিছিয়ে যায় এমন করতে করতে লাস্ট এ আর একটা মেছ ছিল তখন সেই তাও শেষ হয়ে যায়।

মহান আল্লাহর কি রহমত তখন এ যাত্রা শেষ হয়ে যায় আর সব গ্রামের মানুষ তাঁদের নিজ নিজ বাসায় যাইতে শুরু করে তখন ওই জীন টা চলে যায়। তার পরের দিন থেকে আমার মামীর ভাই এর অনেক জ্বর হয় টানা এক মাস জ্বর থাকে তখন আমার মামীর নানা কে ডাকা হয়। আমার মামীর নানা আবার জীন ছাড়াইতে পারতো তখন সে তার শরীর ঝেড়ে দেয় তার কিছু দিন পর তিনি ঠিক হয়ে যান।

#সংগৃীত 🚫

 #কেউ_একজন_ছিলো!!😲😳আমি আপনাদের একটা "সত্যি" ভুতের গল্প শোনাব! যারা ভুত কি জানেন না তাদের বলছি। ভুত হচ্ছে এমন একটা অশরীরী...
30/11/2024

#কেউ_একজন_ছিলো!!😲😳

আমি আপনাদের একটা "সত্যি" ভুতের গল্প শোনাব! যারা ভুত কি জানেন না তাদের বলছি। ভুত হচ্ছে এমন একটা অশরীরী আত্মা যাকে দিনের বেলা দেখা যায় না, দেখা যায় না রাতের বেলায়ও। তবে মাঝে মাঝে রাতের বেলা অনুভব করা যায়, আর কখনো কখনো........... দিনের বেলায়ও!

হাহাহাহাহা.........!!!!!!!

যারা ভিষন চমকে উঠেছেন তারা নড়বেন না, কারন, "ইউ আর নট এ্যালন"!!!!

আমি তখন নতুন চাকরি পেয়ে পুরান ঢাকায় বাসা নিয়েছি। বউ থাকে ময়মনসিংহ। যেদিন বাসায় উঠব, রাস্তায় এক বয়স্ক ভদ্রলোক হাত ধরে বললেন,

- এই বাসায় উঠছেন?
- জ্বী।

ভদ্রলোক ফিসফিস করে বললেন,

- সাবধানে থাকবেন, আপনি কিন্তু একা না!

জিনিস-পত্র গোছাতে গোছাতে রাত হয়ে গেল, তাই গেটে তালা দিয়ে হোটেলে গেলাম ভাত খেতে। মনে হলো বউকে একটা ফোন দেই, নিশ্চই চিন্তা করছে। কিন্তু পকেটে হাত দিয়ে ফোনটা পেলাম না। কি আশ্চর্য ফোনটা যতদূর মনে পরে নিয়েই তো বেড় হলাম, কোথায় গেলো? আশে পাশে কোথাও ফোনটা পেলাম না। বাধ্য হয়ে হোটেলের ফোন থেকে আমার নাম্বারে ফোন দিলাম। দুইটা রিং বাজতেই ওপাশ থেকে একটা নারী কন্ঠ ভেসে এলো, "ইউ আর নট এ্যালন"! তারপর লাইনটা কেটে গেলো। কয়েকবার চেষ্টা করেও আর কানেক্ট করতে পারলাম না! বুঝলাম ফোনটা খোঁয়া গেছে!

মন খারাপ করে বাসায় ফিরলাম, বউকে যে জানাবো ঠিকঠাক পৌছেছি তাও হলো না, নিশ্চই খুব দুশ্চিন্তা করবে! ভাবতে ভাবতে ঘরে ঢুকেই চমকে উঠলাম, টেবিলের উপরে ফোনটা পরে আছে। ভয়ে ভয়ে রান্নাঘর, টয়লেট, বারান্দা, ষ্টোর আর শেষ পর্যন্ত বিছানার নিচেও খুঁজে ফেললাম, কোথাও কেউ নেই!

কিন্তু কেউ যে ছিল টের পেলাম যখন মশারীর ভিতরে ঢুকে লাইট বন্ধ করে বিছানায় মাথাটা রাখতেই মনে হলো কে যেন ঘরের ভিতরে হাটছে। ওর নিশ্বাসের শব্দ এমন কি গলা খাকরিও শুনতে পেলাম খুব ভালো ভাবে। সাহস করে লাইট জ্বালাতে পারছিলাম না, মনে হচ্ছিল কাউকে দেখে ফেলব। কিন্তু কেউ একজন যখন মশারী তুলে ভিতরে ঢুকার চেষ্টা করতে লাগল তখন আর লাইট না জ্বালিয়ে পারলাম না! কিন্তু, কোথাও কেউ নাই!

সাথে সাথে বউ কে ফোন দিয়ে ঘুম ভাঙালাম আর সকালেই চলে আসতে বললাম। ভয়ে ভয়ে সারা রাত লাইট জ্বালিয়ে বসে রইলাম।
সকালে অফিসে যাওয়ার পথে বাড়িওয়ালাকে চাবি দিয়ে বললাম আমার বউ এলে যেন দিয়ে দেয়।

বেলা ১১টার দিকে বউ ফোন করল,

- এই, আমরা চলে আসছি। খুব সুন্দর বাসা নিয়েছো তো!
* বাসা পছন্দ হয়েছে?
- হবে না?
* গুড! বাসা চিনতে সমস্যা হয়নি তো?
- নাহ্, রাস্তাত খুব সোজা। আচ্ছা শোনো, বাসায় তো কিছুই নেই, আমরা খাব কি?
- আমরা বাইরে খাবো, আমি আধাঘন্টার মধ্যেই আসছি।

বাসায় এসে দেখি গেটে তালা। ভাবলাম মনে হয় ছেলেটার খিদা পেয়েছিল, তাই হয়ত ওকে বাইরে নিয়ে গেছে খাওয়ানোর জন্য। বাড়িওয়ালার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,

- লাবন্য কি চাবি দিয়ে গেছে?
- লাবন্য এসেছে নাকি, কই? চাবি নিতে আসেনি তো!

আমি কেমন অবস হয়ে গেলাম। এসব কি হচ্ছে! পকেট থেকে ফোন বেড় করে বউকে ফোন দিলাম,

- হ্যালো, তুমি কোথায়?
- আমি তো এখনও মাইমেনসিং, সকালের বাসে টিকেট পাইনি। মোবাইলেও টাকা নাই যে তোমাকে জানাব। এখন বাস স্ট্যান্ডে যাচ্ছি। দুপুরের বাসে আসবো!
- আচ্ছা, ঢাকায় পৌছে ফোন দিও।

ঠাস্ করে ফোনটা রেখে দিলাম! সবকিছু যেন কেমন আবোল তাবোল লাগছিল! বাড়িওয়ালা জিজ্ঞেস করলো আমাকে এমন লাগছে কেন? কিছু হয়নি বলে মাতালের মত টলতে টলতে অফিসে চলে গেলাম। কাজে মন দিতে পারছিলাম না! গা গুলাচ্ছিলো, একটু জ্বর জ্বরও লাগছিলো!

বউকে নিয়ে যখন বাসায় ফিরলাম তখন অলরেডি সন্ধা পেরিয়ে গেছে। বউ হাত মুখ ধুয়ে রান্নায় লেগে গেলো আর আমি ছেলের সাথে খেলায় মেতে উঠলাম।
রান্না হতে বেশি সময় লাগলো না! আমার বউ মফস্বলের মেয়ে, রান্নাটা বেশ ভালোই জানে! তারাতারি খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পরলাম। ওরা বেশ টায়ার্ড ছিল। আমার উপর দিয়েও কম ধকল যায়নি। শুতেই সাথে সাথে ঘুমিয়ে পরলাম। কতক্ষন ঘুমিয়েছি জানি না! হঠাৎ ভিষন ঠান্ডা একটা হাত গায়ের উপর পরতেই ঘুম ভেঙে গেলো। তাকিয়ে দেখি দুটো জ্বল জ্বল চোখ আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে, ওর নিঃশ্বাস আমার গায়ের উপরে পরছিল। চিৎকার করে লাইট জ্বালালাম। বিছানা একদম ফাঁকা। কোথাও কেউ নেই!!!!

📌সমাপ্ত

 #অদ্ভূত_চোখ 😳😲👁️‍🗨️ব্ল্যাক আইড চিলড্রেন বা কালো চোখের শিশুদের গল্প প্রথম শোনা যায় ১৯৯০-এর দশকে। এগুলো আধুনিক যুগের অন্য...
28/11/2024

#অদ্ভূত_চোখ 😳😲👁️‍🗨️

ব্ল্যাক আইড চিলড্রেন বা কালো চোখের শিশুদের গল্প প্রথম শোনা যায় ১৯৯০-এর দশকে। এগুলো আধুনিক যুগের অন্যতম ভয়ঙ্কর এবং রহস্যময় ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি, যেগুলো মানুষের মনে কৌতূহল এবং ভয়ের সঞ্চার করেছে।

কালো চোখের শিশুদের সাধারণত ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সের মধ্যে দেখা যায়।
তাদের চেহারা সাধারণ শিশুদের মতো হলেও চোখ সম্পূর্ণ কালো, কোনো সাদা অংশ বা চোখের মণি থাকে না।
এরা সাধারণত রাতে বা সন্ধ্যার সময় মানুষের বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ে অথবা গাড়ির জানালায় আসে।
তারা সাধারণত সাহায্যের জন্য অনুরোধ করে, যেমন ফোন ব্যবহার করতে চায়, পানি চায়, বা গাড়িতে উঠতে চায়।
এদের কণ্ঠস্বর খুবই ধীর এবং অনুনয়পূর্ণ হলেও অস্বাভাবিক ঠেকে।
কেউ কেউ বলেন, তাদের সামনে দাঁড়ালে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায় এবং একটা অদ্ভুত ভয় কাজ করে।

১৯৯৬ সালে ব্রায়ান বেথেল নামে এক সাংবাদিক দাবি করেন, তিনি তার গাড়ির ভেতরে বসে থাকাকালীন দুই কালো চোখের শিশু তার জানালায় টোকা দেয়।
শিশুরা বলেছিল, তারা একটি সিনেমা দেখতে চায় এবং তার গাড়িতে উঠতে অনুরোধ করেছিল।
ব্রায়ান শিশুদের চোখের দিকে তাকিয়ে ভীষণ ভীত হয়ে পড়েন। তিনি গাড়ি চালিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন, তারা রাতে পার্কে কালো চোখের শিশুদের দেখেছেন।
এই শিশুদের সঙ্গে সাধারণত কোনো প্রাপ্তবয়স্ক দেখা যায় না।
তারা কোনো ধরনের শব্দ না করেই হঠাৎ গায়েব হয়ে যায়।

এদের চেহারায় কালো চোখ, ফ্যাকাশে ত্বক, এবং অদ্ভুত আচরণ। এরা সাধারণত হুডি বা পুরোনো ধরনের জামাকাপড় পরে থাকে।

তারা দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি চায়। অনুমতি না পেলে এরা চলে যায়, কিন্তু অনুমতি দিলে ভীষণ অদ্ভুত ঘটনা ঘটে।

যারা তাদের ঢুকতে দিয়েছে, তাদের জীবনে দুঃস্বপ্ন, স্বাস্থ্যগত সমস্যা, অথবা কোনো ধরনের অশুভ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়।

কিছু লোক বিশ্বাস করেন, এরা ভ্যাম্পায়ার বা আত্মা হতে পারে, কারণ এরা অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ করতে পারে না।
আবার অনেকে মনে করেন, এরা ভিনগ্রহবাসী।

যারা এদের দেখেছেন বলে দাবি করেন, তাদের অভিজ্ঞতাও গুছানো নয় এবং প্রমাণ সাপেক্ষ নয়।
এই কাহিনী মানুষের ভয় এবং কল্পনার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে, নাকি বাস্তবে এদের অস্তিত্ব আছে তা আজও অমীমাংসিত।

 #ভূতের_বাড়ি 😳বাড়ির দুজন বাসিন্দা আত্মহত্যা করেছেন। যে কারণে অন্যরা বহু আগেই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। সেখানে এখনো রাতে নারী...
28/11/2024

#ভূতের_বাড়ি 😳
বাড়ির দুজন বাসিন্দা আত্মহত্যা করেছেন। যে কারণে অন্যরা বহু আগেই বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। সেখানে এখনো রাতে নারী কণ্ঠের খিলখিল হাসির শব্দ শুনতে পান অনেকে। আবার কখনো অশরিরী ছায়ামূর্তিও দেখেছেন বলে অনেকের দাবি। সব মিলিয়ে শহরবাসীর কাছে পরিত্যক্ত এই বাড়িটি "ভূতের বাড়ি" নামে পরিচিত। খুলনা শহরের খানজাহান আলী রোডের টুটপাড়া কবরস্থানের পাশে এই বাড়ির অবস্থান।

ভূতের বাড়ির ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়,মুর্শিদকুলি খাঁর অধীনস্ত জমিদার ছিলেন রঘুনন্দন। তার কর্মচারী ছিলেন দয়ারাম। তিনি ১৭১৪ সালে মাগুরা জেলার মহম্মদপুরের রাজা সীতারাম রায়কে পরাজিত করে অনেক অর্থ ও ভূসম্পত্তি দখল করেন। যশোর ও খুলনা অঞ্চলে তার অনেক জমি ছিল। তিনি নাটোরের দীঘাপাতিয়া রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। পরবর্তীতে তিনি "রাজা দয়ারাম" নামে পরিচিতি লাভ করেন। রাজা দয়ারামের এক ভাগিনির নাম ছিল শীলা। তার বোন এবং ভগ্নিপতি হঠাৎ এক রাতে একইসঙ্গে কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বাবা-মাকে হারিয়ে শীলা আশ্রয় পান মামা রাজা দয়ারামের ঘরে। এখানে উল্লেখ্য যে শীলা অপূর্ব সুন্দরী ছিলেন।

একদিন রাজবাড়ির মঞ্চে যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। যাত্রায় রাজার তহসিলদার অমূল্য ধনের পুত্র নিশিকান্তের অভিনয়ে মুগ্ধ হন শীলা। একে অপরের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে গোপনে তাদের দেখা-সাক্ষাৎ হতে থাকে এবং তারা সিদ্ধান্ত নেন পালানোর। শীলা পালাতে গিয়ে ধরা পড়েন রাজবাড়ির নৈশপ্রহরীর হাতে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার আগেই দ্রুত বিয়ে দেওয়া হয় শীলা রানীকে নিধুরাম নামের এক যুবকের সঙ্গে। গোপনে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় খুলনায়। নিধুরামকে দায়িত্ব দেওয়া হয় খুলনা অঞ্চলের খাজনা আদায়ের জন্য।

শীলা রানী ও নিধুরামকে উঠতে হয়েছিল পরিত্যক্ত এই ভূতের বাড়িতেই। এখন বাড়িটি যেখানে অবস্থিত তার পশ্চিম দিয়ে প্রবাহিত হতো ময়ূর নদী। বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন রাজা দয়ারাম। উদ্দেশ্য,সেখানে থেকেই খাজনা আদায়। খাজনা আদায়ের সময় রাজার লোকজন এ ভবনে থাকত। কাজ শেষে তারা নাটোর ফিরে যেত। তখন বাড়িটি তালাবদ্ধ হয়ে থাকত। কিন্তু শীলা রানী ও নিধুরামকে পাঠানো হয়েছিল স্থায়ীভাবে ওই বাড়িতে থাকার জন্য।

ওদিকে শীলার বিয়ে হয়ে গেছে জানতে পেরে নিশিকান্তের পাগল হওয়ার উপক্রম। তার মনের অবস্থার পরিবর্তনের জন্য বাবা-মা খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটিতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠান। তবে শীলা নিধুরামের সঙ্গে খুলনায় আছেন তা নিশিকান্ত জানতেন না। কিন্তু শীলা যে নিশিকান্তকে তখনও ভালোবাসেন তা নিধুরাম বুঝতেন। অন্যদিকে শীলার স্বামী নিশিকান্তকে নিধুরাম চিনতেন।

শীলা নিধুরামের সঙ্গে এলেও তাকে স্বামী হিসেবে মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেননি। এজন্য তার দেহ তিনি নিধুরামকে স্পর্শ করতে দেননি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ বাড়তে থাকে। এক রাতে শীলা আত্মহত্যা করেন। শীলার পরিণতি দেখে নিধুরামও আত্মহত্যা করেন। সকালে ঘরে দুজনের লাশ দেখে চাকর-বাকরও ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।

তবে কেউ কেউ দাবি করেন,বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন জনৈক দীননাথ সিংহ। তিনি ছিলেন কুখ্যাত নীলকর উইলিয়াম রেনীর অন্যতম সহযোগী। পাকিস্তান আমলে জনৈক মোক্তার এ বাড়িতে বসবাস করতে আসেন। তার এক ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে বাড়িতে মারা যান। এরপর গোলাম জব্বার নামে এক ডাক্তার এ বাড়িতে বাস করতে এলে তার এক চাকরও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। সাধারণ লোকের ধারণা,এগুলো সব নাকি ভূতের কারসাজি। ষাটের দশকে এই ভূতের বাড়িতে খুলনা জেলা আনসার কার্যালয় করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে ভূতের বাড়ি। ভূতের বাড়িটি বর্তমানে আনসার ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে এতকিছু ঘটে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ভবনটি সম্পর্কে ভীতিকর ধারণা পোষণ করে। কবরস্থানের পাশে হওয়াতে এই ভীতি আরো বেড়ে গেছে।

 #ভারতের_ভূতের_গ্রাম😳😲রাজস্থানের কুলধারা গ্রামটা; ভূতের গ্রাম হিসেবে বিশ্ব  বিখ্যাত। ১৮২৫ সাল থেকে এই গ্রাম পুরোপুরি পরি...
25/11/2024

#ভারতের_ভূতের_গ্রাম😳😲
রাজস্থানের কুলধারা গ্রামটা; ভূতের গ্রাম হিসেবে বিশ্ব বিখ্যাত। ১৮২৫ সাল থেকে এই গ্রাম পুরোপুরি পরিত্যাক্ত। কোনো এক রাতে সমস্ত গ্রামবাসীরা এই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। তারপর থেকে অভিশপ্ত ভুতুড়ে গ্রাম হিসেবে এই গ্রামটি পর্যটকদের আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। তবে সূর্যাস্তের পর এই তল্লাটে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন এখানে সূর্যাস্তের পর কাউকে আসতে দেওয়া হয়না? রাতের অন্ধকারে কি রহস্য লুকিয়ে আছে এই গ্রামে? কৌতুহল বশত আমরা ASI থেকে স্পেশাল পারমিশন বের করেছিলাম এবং মধ্যরাতে কুলধারা গ্রামে এন্টার করেছিলাম। সাথে বেশি কেউ নয় আমি আর আমার ক্যামেরাম্যান। হারহিম করা ভিডিওটা চাইলে দেখতে পারেন ভিডিওটার লিঙ্ক কমেন্ট বক্সে দিলাম।

কুলধারা গ্রামটি পশ্চিম রাজস্থানের জয়সলমীর থেকে ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। গ্রামটা এখন ধ্বংসপ্রাপ্ত। এই গ্রামটা পলিওয়াল ব্রাহ্মণদের দ্বারা ১২৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সুলতানি যুগে পলিওয়ালরা ছিল রাজস্থানের খুব ধনী সম্প্রদায়। ব্যাবসায়িক দক্ষতা ছাড়াও পলিওয়ালরা কৃষিসংক্রান্ত জ্ঞানের জন্য সর্বজনবিদিত ছিল।

কিন্তু ১৮২৫ সালে কুলধারা এবং এর আশেপাশের আরও ৮৩ টি গ্রামের অধিবাসীরা এক রাতের ভিতরেই কোথায় যেন উধাও হয়ে যায়। স্রেফ উধাও। আজ পর্যন্ত এই গ্রামের উধাও হয়ে যাওয়া মানুষদের কারও কোন হদিশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। লোকগাথা অনুযায়ী, এলাকার রাজপুত্র সেলিম/সালিম সিং, একবার গ্রাম পরিদর্শনে এসে গ্রামের সর্দারের মেয়ের প্রেমে পড়ে যান এবং বিয়ে করতে চান। যুবরাজ হুমকি দেয়, যদি তাঁর সাথে সর্দারের মেয়ের বিয়ে না দেয়া হয়, তবে গ্রামের উপর প্রচুর কর ধার্য করা হবে। কিন্তু ভিন্ন জাতের হওয়ায় গ্রামবাসীরা কেউ এই বিয়েতে রাজি হয় না।

সালিম সিংয়ের সাথে বিয়ে ঠেকাতে গ্রামের সর্দার এবং অন্য ৮৩ টা গ্রামের লোকসহ সবাই গ্রামত্যাগ করে অন্যত্র চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু রহস্যটা হল, কেউই এতগুলো মানুষকে বাড়ি ঘর ছেড়ে চলে যেতে দেখেনি বা কোথায় তারা গিয়েছে কেউই জানেনা। তারা স্রেফ ভ্যানিসড্।

বর্তমানে এই গ্রামকে কেন্দ্র করে রিসোর্ট, হোটেল, লজ তৈরি হয়েছে। প্রতি বছর ললক্ষাধিক মানুষ এখানে ঘুরতে আসে। জয়শলমির থেকে মাত্র ১৫ কিমি দুরে অবস্থিত এই গ্রামে পৌছানোর জন্য রাস্তাঘাট, যানবাহনের উন্নতি হয়েছে। চাইলে আপনার ছুটির দিনে যেতে পারেন রাজস্থান। ঘুরে দেখতে পারেন কুল

 #গল্প_হলেও_সত্যি😳😲ঘটনা ২০১৬ সালের। আমরা তখন আকুয়া ওয়ার্লেস গেট থাকি। বাসাটা রোডের উপরেই ছিল। নতুন নতুন সেই বাসায় উঠতেই ...
24/11/2024

#গল্প_হলেও_সত্যি😳😲
ঘটনা ২০১৬ সালের। আমরা তখন আকুয়া ওয়ার্লেস গেট থাকি। বাসাটা রোডের উপরেই ছিল। নতুন নতুন সেই বাসায় উঠতেই অদ্ভুত সব ভূতূরে কাহিনী দেখতে পেতাম। যেমন: টেবিলে কলম রেখে গেলে সেটা আর পেতাম না। সারা ঘর খুঁজেও পাওয়া যেতো না। আবার ৫-৬ দিন পর সেই টেবিলের উপর-ই পাওয়া যেতো।মাঝে মাঝে তরকারি থেকে মাছ উধাও হয়ে যেতো। এই বাসায় আসার পর থেকেই আমি অসুস্থ থাকতাম সব সময়।

আশেপাশের ফ্ল্যাটের আন্টিদের থেকে শুনতাম এই বাসায় নাকি প্রায়ই এমন সব অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। আর আমরা যেই ফ্ল্যাটে উঠেছি সেই ফ্ল্যাটে এমন সব ঘটনা নিত্যদিনের।
প্রথমে আমরা এইসব বিশ্বাস করি কিন্তু আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম কথা গুলো সত্যি ছিল।
প্রায়-ই রাতে শুনতে পেতাম কেউ জানালা দিয়ে আমাকে আমার নাম ধরে ডাকছে। মাঝে মাঝে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ পেতাম। কিন্তু দরজা খুলে আর কাউকে পাওয়া যেতো না। আমার আব্বুর আসতে প্রতিদিন-ই খুব রাত হতো। ১২টা ১টা বাজতো-ই। মাঝে মাঝে আমরা সবাই ঘুমিয়ে যেতাম। আম্মু দরজা খুলে বসে থাকতো।

মাঝে মাঝেই দেখা যেতো কেউ যেনো ছাদে উঠে যাচ্ছে। কিন্তু আর নামতে দেখা যেতো না। আবার প্রায় প্রতি রাতে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পাওয়া যেতো। প্রায় বিকেলেই দেখা যেতো খালি গায়ের কালো কুচকুচে একটা বাচ্চা সিড়ি বেয়ে ছাদে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে একটা কালো বোরকা পড়া মহিলাকেও দেখা যেতো। আমরা সবাই বাচ্চাটা আর মহিলাকে খুঁজতে ছাদে যেতাম কিন্তু খুঁজে পেতাম না।

একদিন আমাদের পাশের ফ্ল্যাটের আন্টির বাসার সবাই গ্রামে ঘুরতে যায়। সে একা ছিল। আমি আর আমার এক বন্ধু আন্টিদের বাসায় বসে টিভি দেখছিলাম। হঠাৎ আমরা দুজন দেখলাম একটা ছোট ছেলে আমাদের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে। আর আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। ছেলেটা দেখতে অদ্ভুত ছিল। লাল একটা হাফপ্যান্ট পড়া ছিল। খালি গা। কুচকুচে কালো। গায়ে কাদা লেগে আছে।
তখন আমি বেশ ছোট-ই ছিলাম।

আমার বান্ধুবি ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করে -"তুমি কি করে এলে এখানে? তুমি কে? না বলে অন্যকারো বাসায় কেনো ঢুকছো?"
ছেলেটা কোনো কথা না বলে আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। হঠাৎ কি মনে করে জানি আমি চিৎকার করে আন্টি আর আম্মুকে ডাকতে লাগলাম। আন্টির পায়ের আওয়াজ শুনে ছেলেটি দ্রুত বের হয়ে গেলো। সাথে সাথে আম্মুও এলো। আন্টি আম্মুকে জিজ্ঞেস করে কোনো ছেলে কে বের হয়ে যেতে দেখছে কিনা? কিন্তু আম্মু কাউকে দেখেনি। তারপর আম্মু আর আন্টি ছাদে নিচে সব জায়গায় ছেলেটাকে খুজে কিন্তু কোথায় পায় না। তারপর আমি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ি। শ্বাসকষ্ট হয়ে যায়। দিনে দিনে অসুস্থতা বাড়তে থাকে। কোনো ডাক্তারের ঔষধেই কাজ হতো না। এক কবিরাজ বলেছিল আমাদের ফ্ল্যাটে খারাপ কিছুর নজর আছে। আর যার জন্য আমার এমন হয়েছে। আরও কিছুদিন এখানে থাকলে আরও বড় কিছু বিপদ হতে পারে।

তারপর আমরা সেই বাসা থেকে চলি আসি এবং পরে জানতে পারি ওই ফ্ল্যাটে যারাই ছোট বাচ্চা নিয়ে উঠতো তাদের বাচ্চারাই এমন অসুস্থ হয়ে পড়তো। আর সেই বাসা থেকে চলে আসার পর পরই আমি সুস্থ হয়ে উঠি।আর কখনো শ্বাসকষ্ট-ও হয়নি।

 #কবরস্থান😳কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার মাঝখানে একটি পুরনো, নির্জন কবরস্থান দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে সন্ধ্যা নামলেই এক ধর...
21/11/2024

#কবরস্থান😳

কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার মাঝখানে একটি পুরনো, নির্জন কবরস্থান দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে সন্ধ্যা নামলেই এক ধরনের অদ্ভুত নিরবতা ভর করে। এখানে কারও পা পড়লে সে অনেক সময় ভয় পেয়ে ফিরে যায়, কারণ কুমারখালির কবরস্থানটা শুধু একটি সাধারন কবরস্থান নয়; এটি জায়গাটি একসময় ছিল এক রহস্যময় ঘটনার কেন্দ্র। বহু বছর আগে, একটি রহস্যজনক ঘটনা ঘটে সেখানে, যা এখনো গ্রামের মানুষের কাছে একটি মন্ত্রমুগ্ধ করানোর মতো কিংবদন্তি।

প্রথম পরিচয়
এই কবরস্থানে ঢোকার আগে গ্রামের প্রাচীন মানুষের মুখে একাধিক ভুতুরে কাহিনী শোনা যায়। সেসব গল্প গাঁথা গুলো কখনো শোনা, কখনো আবার এমনকি চোখে দেখা; বহু পুরনো এবং অনেকের মতে অতীতের দুঃখজনক ঘটনা থেকেই এই কবরস্থানে এক অশুভ শক্তির বাস। গ্রামের লোকেরা প্রায়ই বলে থাকে, রাতের বেলা এখানে যাওয়ার আগে দুঃসাহসী হতে হয়, কারণ কবরস্থানের পাশে একটি পুরনো পুকুর রয়েছে, যেখানে একসময় এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল।

রহস্যময় মৃত্যু
তিন যুগ আগে, কুমারখালির এই কবরস্থানে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে। গ্রামের এক কৃষক, নাম ছিল মহিরুল, এক রাতে কবরস্থানের কাছে তার মাঠে কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ করে অদৃশ্য এক শক্তির দ্বারা আক্রান্ত হয়। তার পরদিন সকালে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। একে একে বেশ কয়েকজন মানুষের এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে কবরস্থানে। গ্রামবাসীরা মনে করতে থাকে, এই সমস্ত মৃত্যু কবরস্থানের অশুভ শক্তির কারণ।

অশুভ শক্তির উপস্থিতি
এটা ১৯৮০ সালের কথা। ওই সময় কুমারখালির কবরস্থানে এক ধরনের অদ্ভুত ঘটনার জন্ম হয়। কিছু মানুষ অভিযোগ করছিল, তারা রাতে ঘুমাতে গিয়ে কবরস্থানের কাছ থেকে হালকা ভেসে আসা কণ্ঠ শোনে, যেগুলি মানুষের ভাষা নয়, যেন কবরের গভীরতা থেকে ভেসে আসে কোনো আরেক পৃথিবী থেকে। কিছু মানুষ বলেছিল, তারা রাতে একদম নিঃশব্দ, কালো ছায়ামূর্তি দেখতে পেয়েছিল যারা কবরস্থানের মাঝ দিয়ে চলতে থাকে।

ভুতুড়ে আবহ
একদিন গ্রামের এক তরুণ, জাহিদ, যারা কবরস্থানের কাহিনীগুলো বিশ্বাস করতো না, সেও সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পরীক্ষা করতে চাইল। সে খুব সাহসী ছিল, এবং গ্রামের লোকদের কথা উপেক্ষা করে এক রাতে কবরস্থানে প্রবেশ করে। রাত গভীর, গ্রামের আশেপাশে ঘন অন্ধকার, এবং যেন গা শিরশির করা এক পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।

কবরস্থানে তার পা পড়তেই সে বুঝতে পারল, এখানে কিছু অন্যরকম। যেন তাকে এক রহস্যময় শক্তি টেনে নিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে সে কিছুই দেখতে পায় না, কিন্তু হঠাৎ তার সামনে দুটি জ্বলন্ত চোখ দেখা দিলো। সেই চোখ যেন তাকে লক্ষ্য করছিল, কিন্তু কিছুতেই সে এগোতে পারেনি, যেন এক অদৃশ্য দেওয়াল তাকে আটকে রেখেছে।

তিনি বুঝতে পারলেন, কুমারখালির কবরস্থানে কোনো এক অশুভ শক্তির বাস রয়েছে যা তাকে ফেরানোর চেষ্টা করছে। তার মনে হয়েছিল, ওই চোখ দুটি আসলে মৃতদের আত্মার প্রতিফলন, যারা এখান থেকে মুক্তি পায়নি।

কবরস্থানের অন্তর্নিহিত শক্তি
তবে যখন জাহিদ পরবর্তীতে ফেরত আসেন, তখন সে আর আগের মতো ছিল না। তার চোখে-চোখে এক ধরনের শূন্যতা, এবং তার চেহারায় বিষণ্ণতা ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি বেশ কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর একদিন অবশেষে তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে সত্যি ঘটনা। তিনি বলেন, “আমি সেখানে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমি বুঝতে পারিনি যে, কুমারখালি কবরস্থান শুধু মৃতদের স্থান নয়, এটি জীবন্তদের জন্যও এক অজানা ভয়ঙ্কর প্রান্তর। আমি যা দেখেছি, তা বিশ্বাস করার মতো নয়। আমি সেই অন্ধকার, সেই অজানা শক্তি যা এখানে বাস করে, তা অনুভব করেছি। কবরস্থানের সীমানা পার হলেই, যেন সময়ও থেমে যায়।”

গ্রামের লোকেরা তখন বিশ্বাস করতে শুরু করে যে, কুমারখালির কবরস্থানটির মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যা মানুষ কখনোই বুঝতে পারবে না। তারা মনে করেছিল, এখানে এক ধরনের শক্তি রয়েছে যা মৃতদের আত্মাকে ধ্বংস করতে চায়, এবং যারা অযথা এখানে আসে, তাদের আত্মাও ওই অদ্ভুত শক্তির প্রভাবে ভুগতে পারে।

শেষের খোঁজ
এই রহস্যময় কবরস্থানে আর কোনো অশুভ ঘটনা ঘটেছিল কিনা তা আজও অজানা। তবে কুমারখালি গ্রামে প্রায় সবাই জানে, সন্ধ্যা হলে কবরস্থানের আশপাশে যাওয়া উচিত নয়। কেননা, কবরস্থানে কিছু ক্ষতিকর শক্তি রয়েছে যা কোনো এক অজানা কারণে সেখানে থেকে যায়।

এই কবরস্থান যে শুধু মৃতদের নয়, জীবিতদেরও জন্য এক অদ্ভুত স্থান, তা নিশ্চয়ই আর কেউ জানত না।

(শেষ)

 #আমি_ভালো_আছি!! 🥹🥺গল্পটি আজকে আমার এক বন্ধু সজীবের কাছ থেকে শুনলাম। সে যেভাবে বলেছিল আমি সেভাবেই আপনাদের কাছে তুলে ধরলা...
20/11/2024

#আমি_ভালো_আছি!! 🥹🥺

গল্পটি আজকে আমার এক বন্ধু সজীবের কাছ থেকে শুনলাম। সে
যেভাবে বলেছিল আমি সেভাবেই আপনাদের কাছে তুলে ধরলাম ।
মাঝ রাতে দরজায় কড়া নারার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। আমি
বিরক্ত ভাব নিয়ে দরজা খুললাম। দরজা খুলেই বিস্মিত কণ্ঠে
বললাম- আরে তুই? এতো রাতে?
আকাশ একগাল হেসে বললো- দোস্ত অনেকদিন তোকে দেখি না।
তোকে দেখতে ইচ্ছে হলো তাই চলে আসলাম। আজ রাতটা তোর
সাথেই কাটাবো।
আকাশ আমার ছোট কালের বন্ধু। আমরা একই সাথে বড় হয়েছি।
আমার বাসা থেকে ওর বাসা প্রায় দু-কিলোমিটার দূরে। অনেকদিন
তার সাথে বিভিন্ন ব্যস্ততার জন্য দেখা করতে পারি নাই। প্রায়
এক মাস হতে যাচ্ছে। আমার সাথে শুধু মাত্র দেখা করবার জন্য
এতো রাতে সে চলে আসবে বাসায় তা ভাবতেই পারছি না। এই না
হলে বন্ধুত্ব।
তুই কি বাহিরেই দাড়িয়ে থাকবি? ভিতরে আস? গল্প করি দুই বন্ধু
মিলে সারারাত।
নারে দোস্ত ঘরে বসবো না। চল বাহির থেকে ঘুরে আসি।
আমি অবাক হয়ে বললাম- সে কিরে! এতো রাতে কোথায় যাবি?
আর তুই এতো সাহসী হলী কবে থেকে? কিছুদিন আগেও না সন্ধ্যার
পর তুই ভূতের ভয়ে বাসার বাহির হতি না?
এখন কি আর সেই দিন আছে! চল বাহিরে চল। আকাশ একগাল হেসে
উত্তর দিলো।
আকাশে কি সুন্দর চাঁদ উঠেছে তাই নারে আকাশ?
হু
আচ্ছা তোর হয়েছি কি বলতো? আসবার পর থেকেই এতো চুপচাপ
কেন?
আকাশ মৃদু হেসে বললো- না এমনিতেই। এখন থেকে ভাবছি একাই
থাকবো। সন্ধ্যার সময় ডিসিশন নিয়েছিলাম। সারারাত ছিলামও
একা। কিন্তু এখন খুব বেশি ভয় করছিলো তাই তোকে ডেকে নিয়ে
আসলাম।আমি আবারো অবাক হয়ে বললাম- একা ছিলি, ভয় করছিলো
এগুলোর মানে কি? তুই সারারাত কোথায় ছিলি?
বাড়ির বাহিরে।
কেন? বাসা থেকে কি তোকে বের করে দিয়েছে?
নারে বাহির করে নাই। আর বাহির করবে কেন? আমি নিজেই বের
হয়ে এসেছি।
কেন?
আকাশ আমার হাত ধরে বললো- দোস্ত আমার বাসায় একটু যাবি?
আম্মু আমার জন্য খুব কাঁদছে। আম্মুকে একটু বলে দিয়ে আসবি আমি
ভালো আছি। খুব ভালো আছি। আমার জন্য যেন কান্নাকাটি না
করে।
আমি অবাক হয়ে বললাম- আমিতো তোর কথাবার্তা কিছুই বুঝতেছি
না। কি সব বলছিস? বাসা থেকে কেন বের হয়ে এসেছিস। কি
হয়েছে? চল তোকে বাসায় দিয়ে আসি?
নারে দোস্ত আজকে আর বাসায় যাবো না। পরে আরেকদিন বাসায়
যাবো। তুই একটু যাবি দোস্ত। আম্মু খুব কান্নাকাটি করছে। বলেই
আকাশ আমাকে জরিয়ে ধরে কাদা শুরু করলো।
এখন রাত সারে তিনটা। আমি আকাশের বাসার সামনে দাড়িয়ে
আছি। আকাশকে কিছুতেই আনা যায় নি। ওকে বলেছিলাম তুই
গিয়ে আমার রুমে বস আমি খালাম্মাকে বলে দিয়ে আসছি তুই
আমার কাছে আছিস এবং ভালো আছিস। সে তাও করে নাই।
রাস্তায়ই দারিয়ে আছে। আমি খালাম্মার সাথে কথা বলে বাহির
হবার পর নাকি আমার সাথে আমার বাসায় যাবে। কি ঘটেছে
কিছুই বুঝছি না। আকাশের কান্নার জন্য বাধ্য হয়েই এতো রাতে
আকাশের বাসায় আমার আসতে হয়েছে।
আমি নিথর পাথর হয়ে দাড়িয়ে আছি। খালাম্মা আমাকে জরিয়ে
ধরে অজর ধারায় কাঁদছেন। আমি খালাম্মাকে কি ভাবে শান্তনা
দেব বুঝতে পারছি না। আমার কাছে সবকিছু এলোমেলো মনে
হচ্ছে। পুরো বাড়ি জুরেই কান্নার শব্দ ভেসে বেড়াচ্ছে। বাড়িতে
অনেক মানুষ। পুলিস এসে আকাশের লাশ নিয়ে যাচ্ছে। আজ
সন্ধ্যায় আকাশ তার রুমে গলায় ফাঁস আটকিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আমার আস্তে আস্তে বোধশক্তি লোপ পাচ্ছে। এ আমি কি শুনছি।
আমি তাহলে এতক্ষণ কার সাথে ছিলাম? আকাশই তো তার বাসায়
আমাকে আসতে বললো। আকাশের লাশটি পুলিশের গাড়িতে তোলা
হচ্ছে। শেষ বারের মতো আকাশকে দেখলাম আমি। আমার সমস্ত
পৃথিবী দুলো উঠলো। মনে হচ্ছে সবকিছু দুলছে। চোখ এর সামনে
থেকে সবাই আস্তে আস্তে দূরে সরে যাচ্ছে। আমি আসতে আসতে
অন্ধকার একটা জগতে হারিয়ে যাচ্ছি। দূরে কে যেন কান্না করছে।
তার মাঝে কে যেন বলছে- আম্মুকে বলিস, আমি ভালো আছি!

[সমাপ্ত]

Address

Dhaka, Mirpur
Dhaka
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Live Bhoot Extreme posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Live Bhoot Extreme:

Share

Category