05/11/2025
একজন পর্ন তারকার অন্ধকার জগতের গল্প...
# নায়িকা হওয়ার কাহিনী
আমার নাম # নাদিয়া আক্তার বৃষ্টি, সাধারন একজন জেলের ঘরে জন্ম, ঠিকানা - মানিক গন্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলায়। আমার বাবা একজন পেশায় জেলে।
আমি অনেক দরিদ্র ঘরের মেয়ে, পড়াশুনা বেশি দুর পর্যন্ত করতে পারি নাই। মাত্র সিক্স - সেভেন পর্যন্ত পড়েছি, ইচ্ছে ছিলো - বি এ পাশ করবো কিন্তু গরীব ঘরে জন্ম নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখাও অন্যায় - কারন সামর্থ্য নাই। আমার আমি ছোট বেলা থেকেই স্বাথ্যবান তাই আমাকে দেখতে বড় লাগে কিন্তু বয়স কম।
তাই বাবা মা পাশের গ্রামের এক দিন মজুর ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়, তখনই সব স্বপ্ন আমার ভেঙ্গে যায়,ভেবেছিলাম অন্তত এস এস সি পাস করে কিছু একটা করবো কিন্তু সে আশাও ভেঙ্গে গেল।
কি আরবো স্বামীর ঘরে গেলাম # নুন আন্তে পন্তা ফুরায় গল্পের মতো। তারপরেও মেনে হবে নিতে হয়, কারন গরীবের মেয়ে - বাবা মা কষ্ট পাবে তাই।
বিষ চিবিয়ে সংসার করছিলাম, কিন্তু বড় সমস্যা হলো আমার কাছে আমার স্বামীকে আনফিট মনে হলো, বহু চেষ্টা করেও তাকে ফিট করাতে পারলাম না -
বাবা মাকে বার বার বলার পরেও তারাও আমার মনের কষ্টটা বুঝলো না।
তখন নিজে নিজেই স্বামীকে তালাক দেই ৭ বছর টেনে টুনে সংসার করার পর। কিন্তু আমার বাবা মা আমাকে কিছুতেই মানতে পারলো না, শুধু দিন রাত একি কথা - তখন সিদ্ধান্ত নিলাম ঢাকায় যাবো গার্মেন্টসে চাকুরী করবো।
বাবা মা কে বুঝিয়ে তাই গেলাম। কিন্তু কথায় আছে না, যেখানে বাঘের ভয় #সেখানেই রাত হয়। আমি দেখতে একটু নাদুস নুদুস হওয়ায় - গার্মেন্টস এর জি এম পি এম সবাই মনে হয় ঝাপিয়ে পড়বে, এমন কি দারোয়ানও পর্যন্ত খারাপ প্রস্তাব দেয়।
এই ভাবে বেশ কয়েকটি গার্মেন্টস বদলাইলাম, কিন্তু সমস্যা ঐ একটাই - একি কথা খারাপ প্রস্তাব। এর মধ্যেই চট্টগ্রামের আজিম এর সঙ্গে পরিচয় হয়। আমি আবার আজিমকে সব কথা গুলো শেয়ার করতাম।
তখন আজিম আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলো - আমিও রাজী হয়ে গেলাম, ভাবলাম দশ ঘাটের পানি খাওয়ার চেয়ে এক ঘাটের পানি খাওয়া অনেক ভালো। তারপর দুজনে বিয়ে করলাম, আজিমদের বাড়ী গেলাম - ঘুরলাম ফিরলাম, কিন্তু আজিম ওর অবস্হা বেশি একটা ভালো না মোটামুটি
তখন আজিমকে বললাম - বিয়ের আগে যা বললে তা তো তোমার কথার সঙ্গে মিললো না।
তখন আজিম আমাকে বোঝালো - দেখো যদি আমরা দুজনে এই জগতে কাজ করি তাহলে এক বছরে কোটিপতি হয়ে যাবো, তখন আর লোভ সামলাতে পারলাম না- সমস্যা কি স্বামীর সঙ্গেই তো। অন্য পুরুষের সঙ্গে তো আর নয়।
এই ভাবেই এই অন্ধকার জগতে পা দিয়েছি। এখন বুঝতে কাজটি ঠিক করে নাই, ভুল করেছি।
এই ছিলো নাদিয়া আক্তার বৃষ্টির - পর্ন তারকা - হবার গল্প -
তবে তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে - আইনের মাধ্যমে তাদের শাস্তি হবে - কারন কোন মুসলিম দেশে - এই কাজটি করা সম্পূর্ন বে-আইনি। সমাজ বিরোধী। তাদের যেন উপযুক্ত সাজা হয়, তাহলে আর কোন মুসলিম নারী এই জগতে যাবার সাহস পাবেন না।
সংগ্রহীত।
**n