Tahsinur Rahman

Tahsinur Rahman এই পেজটিই শুধু আমি চালাই, আমার নাম ছবি ব্যবহার করা অন্য কোনো আইডি থেকে প্রতারিত হলে আমি দায়ী নই।
(4)

ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনঅত্যন্ত কাছের একজন প্রিয় মানুষ আমার তারাবির সাথি আর নেই আমাদের মাঝে 😭😭😭 আল্লাহ ভাই...
07/09/2025

ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
অত্যন্ত কাছের একজন প্রিয় মানুষ আমার তারাবির সাথি আর নেই আমাদের মাঝে 😭😭😭 আল্লাহ ভাইকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান বানিয়ে নিন আমিন

05/09/2025
নিখোঁজ শিশু:আজ দুপুর আনুমানিক ১১:৪৫ টায় বাসা থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বের হয় (বাড়ি থেকে প্রায় ৫ মিনিট দূরে)। এরপর থেকে ত...
12/08/2025

নিখোঁজ শিশু:
আজ দুপুর আনুমানিক ১১:৪৫ টায় বাসা থেকে মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বের হয় (বাড়ি থেকে প্রায় ৫ মিনিট দূরে)। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
📍 এলাকা: জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পূর্ব পানধোয়া মসজিদের পাশে,দারুল কুরআন মুহাম্মাদিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা আশুলিয়া, সেনওয়ালিয়া-১৩৪৪, সাভার, ঢাকা।
যদি কেউ খোঁজ পান, অনুগ্রহ করে যোগাযোগ করুন:
📞 01722-183258 (মুহতামিম মাদ্রাসা),01941376163 ( বাবা)

জুলাই যুদ্ধার আর্তনাদ তাহসীনুর রাহমান জীবনটাকে বাজি রেখেরাজপথে লড়ে গেলাম,ফায়দা লুটে চামচিকেরাআমরা বরং কি পেলাম?মায়ের ...
06/08/2025

জুলাই যুদ্ধার আর্তনাদ
তাহসীনুর রাহমান

জীবনটাকে বাজি রেখে
রাজপথে লড়ে গেলাম,
ফায়দা লুটে চামচিকেরা
আমরা বরং কি পেলাম?

মায়ের বকা, বাবার মানা
নেইনি তখন কানে,
জুলাই যুদ্ধে দিয়েছি সাঁতার
শুধু দেশপ্রেম টানে।

বধূ, সন্তান, বাবা-মা, বোনের
খালি করিয়া বুক,
উজ্জ্বল করতে চেয়েছিলাম
বাংলাবাসির মুখ।

হাত নেই, পা নেই, যায় যায়
বুকের তাজা প্রাণ,
মরণ জেনেও স্বপ্ন এঁকে ছিলাম
পাবো স্বাধীনতার সুঘ্রাণ।

গুলিতে ছিন্ন মাথার খুলি
রাস্তায় পড়েছি টলে,
নিষ্ঠুর বাহিনি ওই মৃতদেহ
রোলার দিয়েছে ডলে।

মরেও সেদিন হেসেছিলাম
দেশকে বেসে ভালো,
মরে যাই আমি তবুও ফুটুক
স্বাধীনতার আলো।

সেই শহীদানের রক্তের স্মৃতি
নেই কারো আজ মনে,
স্বাধীনতার সুখ উল্লাসে সবে
ব্যস্ত প্রতিক্ষনে।

স্বীকৃতিতেও ঠাই মিলে না
শহীদানের সেই স্মৃতি,
যারাই তখন করতো বিরোধ
তারাই পায় সুকৃতি।

বিরোধীরা আজ দেশপ্রেমিক
সেজেছে স্বাধীন পেয়ে,
প্রকৃত যোদ্ধার পরিবাররা তো
ধুকে ধুকে মরে নাখেয়ে।

খাটে শুয়ে মাঠের খবর
রাখত যারা ফেসবুকে,
তারাই এখন জুলাই যোদ্ধা
যায় শোনা তাদের মুখে।

জীবনটাকে বাজি রেখে
রাজপথে লড়ে গেলাম,
ফায়দা লুটে চামচিকেরা
আমরা বরং কি পেলাম।

06/07/2025

হুসাইন রা. সম্পর্কে নবীজির ভালোবাসা ও ভবিষ্যতবানী

হযরত হুসাইন (রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু) সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর মুখনিঃসৃত হাদীসগুলো অত্যন্ত হৃদয়বিদারক, ভালোবাসাময় এবং শিক্ষণীয়। নিচে বিস্তারিতভাবে হাদীসসমূহ দেওয়া হলো, আরবি, বাংলা অনুবাদ এবং সূত্রসহ। এ সকল হাদীস থেকে তাঁর ফজিলত, রাসূলের ভালোবাসা, শহীদ হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী ইত্যাদি উঠে এসেছে।

🕌 হযরত হুসাইন (রা.) সম্পর্কে রাসূল ﷺ এর হাদীসসমূহ:

🟩 ১. হাসান ও হুসাইন জান্নাতের যুবকদের নেতা

হাদীস (আরবি):
الحسن والحسين سيدا شباب أهل الجنة.
(جامع الترمذي: ৩৭৬৮, صحيح)

বাংলা অনুবাদ:
হাসান ও হুসাইন জান্নাতবাসী যুবকদের নেতা।
(তিরমিজি, হাদীস ৩৭৬৮)

📌 এ হাদীস হুসাইন (রা.)-এর মর্যাদা বোঝাতে যথেষ্ট। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁদের জান্নাতের যুবকদের নেতা ঘোষণা করেছেন।

🟩 ২. হুসাইন আমার অংশ

হাদীস (আরবি):
حُسَيْنٌ مِنِّي وَأَنَا مِنْ حُسَيْنٍ، أَحَبَّ اللَّهُ مَنْ أَحَبَّ حُسَيْنًا، حُسَيْنٌ سِبْطٌ مِنَ الْأَسْبَاطِ.
(الترمذي: ৩৭৭৫, حسن صحيح)

বাংলা অনুবাদ:
হুসাইন আমার অংশ, আমিও হুসাইনের অংশ। আল্লাহ তাকে ভালোবাসুন, যে হুসাইনকে ভালোবাসে। হুসাইন হচ্ছে নবী বংশের একজন।

📌 এটি রাসূল ﷺ-এর আবেগপূর্ণ ঘোষণা। এই হাদীসে হুসাইন (রা.) কে ভালোবাসা ঈমানের আলামত।

🟩 ৩. রাসূল ﷺ তাঁর ভালোবাসা প্রকাশ করেন

হাদীস (আরবি):
اللَّهُمَّ إِنِّي أُحِبُّهُمَا فَأَحِبَّهُمَا.
(صحيح البخاري: ৩৭৪৭, مسلم: ২৪২১)

বাংলা অনুবাদ:
(রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন) হে আল্লাহ! আমি তাদের (হাসান ও হুসাইন) ভালোবাসি, আপনিও তাদের ভালোবাসুন।

📌 রাসূল ﷺ আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন যেন তিনি হুসাইন (রা.)-কে ভালোবাসেন, এতে তাঁর মর্যাদা কত উঁচু বোঝা যায়।

🟩 ৪. নামাযে সেজদায় পিঠে উঠে পড়া

হাদীস (সংক্ষেপিত):
রাসূল ﷺ নামাযে সেজদা দিতে গেলে হুসাইন (রা.) তাঁর পিঠে উঠে পড়েন। রাসূল ﷺ সেজদা দীর্ঘ করেন, যতক্ষণ না হুসাইন নিজে নেমে যায়।

📚 সূত্র:

মুসনাদে আহমদ: ১৭১৭৮

নাসাঈ, আবু দাউদ

📌 এ হাদীসে রাসূল ﷺ এর অসাধারণ মমত্ববোধ ও দাদার স্নেহপ্রবণতা প্রকাশ পায়।

🟩 ৫. কারবালার শহীদ হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী

হাদীস (আরবি):
হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) বলেন: একদিন রাসূল ﷺ ঘুম থেকে উঠে কাঁদতে কাঁদতে বলেন,
"إِنَّ ابْنِي هَذَا يُقْتَلُ بِأَرْضٍ يُقَالُ لَهَا كَرْبَلَاءُ"
(বর্ণনা করেছেন হাকিম, তাবারানী, ইবনে আসাকির)

বাংলা অনুবাদ:
আমার এই সন্তান হুসাইনকে এক স্থানে শহীদ করা হবে, যার নাম কারবালা।

📌 রাসূল ﷺ তাঁর প্রিয় নাতির শহীদ হওয়ার ভবিষ্যদ্বাণী আগেই দিয়েছিলেন, যা পরে বাস্তবে ঘটে।

🟩 ৬. রাসূল ﷺ কারবালার মাটি দেখান

হযরত উম্মে ফজল (রাঃ) বলেন:
"একদিন রাসূল ﷺ বললেন, 'জিবরাইল আমাকে জানালেন, তোমার নাতি হুসাইনকে ফালান জায়গায় হত্যা করা হবে।' এবং তিনি সেখানকার লাল মাটি আমাকে দিলেন।"
(তাবারানী, বায়হাকী)

📌 রাসূল ﷺ জানতেন কোথায় হুসাইন (রা.) শহীদ হবেন। এতই আবেগময় যে তিনি নিজেই কাঁদতেন।

⚔️ কারবালার ঘটনা সম্পর্কে রাসূল ﷺ এর দৃষ্টিভঙ্গি

রাসূলুল্লাহ ﷺ দুনিয়া ছেড়ে যাওয়ার আগে তাঁর পরিবার, বিশেষ করে আহলে বায়তের প্রতি ভালোবাসা রাখতে এবং তাদের অধিকার রক্ষা করতে বারবার বলেছেন।

হাদীস (আরবি):
أُذَكِّرُكُمُ اللَّهَ فِي أَهْلِ بَيْتِي.
(صحيح مسلم: ২৪০৮)

বাংলা অনুবাদ:
আমি তোমাদেরকে আল্লাহর ভয় দেখিয়ে আমার আহলে বাইতের প্রতি ভালো ব্যবহার করতে বলি।

📌 কারবালার ঘটনার পর এই হাদীস গভীর অর্থ বহন করে। হুসাইন (রা.) কে শহীদ করে উম্মাহ এই নসিহত ভুলে গিয়েছিল।

🔚 উপসংহার

হযরত হুসাইন (রাঃ) শুধু রাসূল ﷺ-এর নাতি নন; তিনি ইসলামের এক মহান শহীদ, এক সাহসী নেতা এবং সত্যের প্রতীক। তাঁর প্রতি ভালোবাসা রাখা, তাঁর আদর্শ অনুসরণ করা প্রত্যেক মুসলিমের দায়িত্ব।

06/07/2025

আল্লাহু আকবর

কারবালার ইতিহাস ইসলামের ইতিহাসে এক অত্যন্ত হৃদয়বিদারক, বেদনাদায়ক এবং শিক্ষা সমৃদ্ধ ঘটনা। এটি শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয়—বরং...
05/07/2025

কারবালার ইতিহাস ইসলামের ইতিহাসে এক অত্যন্ত হৃদয়বিদারক, বেদনাদায়ক এবং শিক্ষা সমৃদ্ধ ঘটনা। এটি শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয়—বরং এটি হক ও বাতিলের, সত্য ও জুলুমের, ইমান ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাঝে এক চিরন্তন সংগ্রামের প্রতীক।

এই ইতিহাস মূলত হযরত হুসাইন (রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু)-এর ইয়াজিদ ইবনে মু'আবিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ এবং তাঁর শাহাদাতের ঘটনা ঘিরে আবর্তিত।

🕋 পটভূমি (পেছনের ইতিহাস)

✦ খলিফা মু'আবিয়া (রা.)-এর ইন্তিকাল:

মু'আবিয়া (রা.) ছিলেন ইসলামের প্রথম রাজতান্ত্রিক খলিফা (দ্য ফাউন্ডার অব উমাইয়া সাম্রাজ্য)।

ইন্তিকালের আগে তিনি তাঁর পুত্র ইয়াজিদ-কে নিজের উত্তরসূরি ঘোষণা করেন—যা ছিল ইসলামী খেলাফতের চেতনার বিরুদ্ধে।

✦ ইয়াজিদের চরিত্র:

ইসলামী দৃষ্টিতে ইয়াজিদ ছিল একজন অযোগ্য ও ফাসিক ব্যক্তি।

তার জীবনে ছিল:
❌ মদ্যপান
❌ বেহায়াপনা
❌ নামাযে অবহেলা
❌ জুলুম ও ফেতনা

✦ হুসাইন (রা.)-এর অবস্থান:

হযরত হুসাইন (রা.) ইয়াজিদের প্রতি বায়আত দিতে অস্বীকৃতি জানান।

তিনি বলেন,
"আমার মতো মানুষ ইয়াজিদের মতো ব্যক্তিকে বায়আত দিতে পারে না।"

🕋 কুফাবাসীদের আহ্বান

কুফা ছিল ইরাকের একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর।

ইয়াজিদের শাসনের বিরুদ্ধে কুফাবাসীরা বিদ্রোহ করে।

তাঁরা হুসাইন (রা.) কে চিঠি লিখে আহ্বান করে বলেন:

"আপনি কুফায় আসুন, আমরা আপনাকে খলিফা বানাবো।"

📨 প্রায় ১২,০০০+ চিঠি আসে কুফা থেকে।

🕋 কারবালার দিকে যাত্রা

হুসাইন (রা.) কুফার দিকে রওনা হন—পরিবার ও ৭২ জন সঙ্গীসহ।

পথে অনেক সাহাবী তাঁকে ফেরানোর চেষ্টা করেন।

কিন্তু হুসাইন (রা.) বলেন:
"আমি ফেতনা প্রতিরোধে যাচ্ছি। জুলুমকে মেনে নিতে পারি না।"

🕋 কারবালায় অবস্থান

কারবালা: বর্তমান ইরাকের একটি জায়গা।

২ মহররম, ৬১ হিজরি (৬৮০ খ্রিঃ): হুসাইন (রা.) কারবালায় পৌঁছান।

ইয়াজিদের বাহিনী:

উবায়দুল্লাহ ইবনে জিয়াদ → কুফার গভর্নর।

হুসাইন (রা.) কে হত্যার নির্দেশ দেয়।

সেনাপতি: উমর ইবনে সা'দ

সৈন্য সংখ্যা: ৩০,০০০+

🌊 পানি বন্ধ করে দেওয়া হয়

৭ মহররম: ফোরাত নদীর পানি হুসাইন (রা.) ও তাঁর পরিবারকে নিষিদ্ধ করা হয়।

শিশুদের পানি পিপাসায় কাতর করে তোলা হয়।

হুসাইন (রা.) বলেন:
"আমার শিশুদের অন্তত পানি দাও।"
❌ সৈন্যরা তা মানে না।

⚔️ ১০ মহররম – আশুরার দিন যুদ্ধের শুরু:

হুসাইন (রা.) সবার সাথে আলোচনার চেষ্টা করেন।

তিনি তিনটি প্রস্তাব দেন:

আমাকে মদিনায় ফিরে যেতে দাও।

আমাকে সীমান্তে জিহাদে পাঠাও।

আমি নিজে ইয়াজিদের সামনে গিয়ে আলোচনা করবো।

❌ সবই প্রত্যাখ্যান।

🌑 শহীদদের তালিকা

🔥 একে একে শহীদ হন:

আলী আকবর (হুসাইনের বড় পুত্র)

আব্বাস (ভাই) – পতাকা বাহক, "বাবুল হাওয়ায়েজ"

আলী আসগর (ছয় মাস বয়সী শিশু) – তীর খেয়ে শহীদ

সহচর ও পরিবারবর্গ – মোট শহীদ: ৭২ জন

🩸 হযরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদাত

একা, ক্ষুধার্ত, পিপাসার্ত, আহত অবস্থায় যুদ্ধে অবতীর্ণ হন।

পেছন থেকে তীর এসে লাগে।

শিমর নামক লা’নতী তাঁর মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে।

🕯️এই দিন ইতিহাসে "আশুরা" নামে চিহ্নিত হয়ে যায়।

😭 কারবালার পর

হুসাইনের মাথা ইয়াজিদের দরবারে পাঠানো হয়।

তাঁর পরিবার – স্ত্রী, কন্যা, বোন জয়নাব (রা.) ও অন্যান্য সদস্য – বন্দী হন।

📌 ইয়াজিদের জুলুম ছিল সীমাহীন।

📚 এই ঘটনার শিক্ষা

✅ সত্য ও ন্যায়ের জন্য জীবন উৎসর্গ করা

✅ জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া

✅ ইসলামের চেতনাকে বিক্রি না করা

✅ নেতৃত্বে যোগ্য ব্যক্তির গুরুত্ব

✅ পরিবারের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষা

📜 শেষ কথা:

হুসাইন (রা.) শহীদ হয়েছেন, কিন্তু মাথা নত করেননি।

তাঁর রক্তে ইসলাম নতুন জীবন পেয়েছে।

ল্লাহ আমাদেরকে সত্যের পথে অটল থাকার তৌফিক দিন, এবং হুসাইন (রা.)-এর শাহাদাত থেকে শিক্ষা নেওয়ার হিম্মত দিন। আমিন।

আমরা তিন ভাই এক ফ্রেমে ❤️ কেমন লাগছে আমাদের?
05/07/2025

আমরা তিন ভাই এক ফ্রেমে ❤️ কেমন লাগছে আমাদের?

13/03/2025

ছোট বোন আছিয়া আর নেই ,
নিষ্পাপ একটা প্রাণ কিভাবে ঝরে গেল আহ্ !

একটা সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পাস করা ছেলে একটা ছোট্ট ফুডকার্ট দিয়েছে ইউল্যাবের সামনে। সেই কার্ট পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট ভেঙে ফেলছ...
13/03/2025

একটা সদ্য উচ্চমাধ্যমিক পাস করা ছেলে একটা ছোট্ট ফুডকার্ট দিয়েছে ইউল্যাবের সামনে। সেই কার্ট পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট ভেঙে ফেলছে। ছেলেটা বলছে, তাকে কি দেশ চাকরি দিতে পারবে?

তার সংসার কষ্টে আছে, তার পরিবারে অভাব। অভাব কষ্ট আছে বলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার মওসুমে তাকে দোকান পেতে বসতে হয়েছে। এই ছেলেটা একটু উত্তেজিত ভাষায় কেবল এই প্রশ্নগুলো করছিল।

কিন্তু সেখানে থাকা ম্যাজিস্ট্রেট বললো, সবার সাথে এত কথা বলতে হয় না, ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে এত কথা বলতে হয় না। যে ছেলেটা পরিবারের দায়ে দোকান করতে নেমেছিল, সেই ছেলেটা দাঁড়ানোর আগেই পড়ে গেল।

কেবল উচ্চস্বরে প্রশ্ন করার কারণে, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তাকে পুলিশ ঘাড় ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল। তাঁর চুল ধরে গাড়িতে টেনে তুললো। গাড়িতে তুলে পেটালো। চড়-থাপ্পড় দিলো।

ম্যাজিস্ট্রেটের মুখে মুখে প্রশ্ন এইরকম দৃশ্য এদেশে খুব কম দেখা গেছে। মানুষ পুলিশ- আমলাদের প্রশ্ন করতে পারত না। জুলাই তাদেরকে সেটা শিখিয়েছে। চোখ রাঙিয়ে প্রশ্ন করতে দেখিয়েছে।

কিন্তু এই প্রশ্নটা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ নিতে পারে না। খেয়াল করবেন, ছেলেটা কিন্তু প্রশ্নই করছিল। কারোর গায়ে হাত দেয় নাই। এইজন্যই এটুকু করা হলো! সাথের আরও দুজনকে অকারণে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অথচ আমরা চেয়েছি, আমরা আমাদের মন্ত্রীদের দিকে চোখ তুলে প্রশ্ন করব। তর্ক করব। পরাক্রমশালী খলিফা উমারের জুব্বা ধরে টান দিয়ে যেভাবে প্রশ্ন করেছিল এক সাধারণ ব্যক্তি।

জিজ্ঞেস করেছিল, সবার জন্য বরাদ্দ কাপড় দিয়ে পূর্ণ জুব্বা হয় নি। আপনার কাপড়ে কিভাবে হলো? উমার উত্তর দিয়েছিলেন- তার পুত্রের অংশ, তাকে উপহার দেওয়া হয়েছিল।

এই যে প্রশ্ন করতে গেলেই ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশকে ধরতে বলে, পুলিশ পেটায়, চুলে টেনে গাড়িতে তুলে, গাড়ির ফ্লোরে ফেলে পিটায়। সবই ক্যামেরাতে, কারণ জানে এত তাদের কিছুই হবে না।

এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে আমরা। পুলিশ ও প্রশাসনকে আরও সহনশীলতা দেখাতে হবে। ফুটপাতে দোকানপাট খারাপ, কিন্তু পেটে ভাত না থাকলে মানুষ কত কিছুই করে। মানুষকে বুঝান, আগে থেকে বলুন।

ছেলেটির নিঃশর্ত মুক্তির জন্য আওয়াজ তুলুন।

আমাদের আঙ্গিনার মেহমান
10/02/2025

আমাদের আঙ্গিনার মেহমান

Address

Dhaka

Telephone

+8801719602261

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tahsinur Rahman posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Tahsinur Rahman:

Share