16/10/2025
মেয়েদের ফেসবুক টাইমলাইন — এক অসুস্থ প্রতিচ্ছবি
আজকাল মেয়েদের অনেক টাইমলাইন যেনো ভার্চুয়াল এক ময়লার ভাগাড় —
সস্তা ইমোশনাল পোস্ট, জামা-কাপড়ের বিজ্ঞাপন, “জামাই-বউ ঘুরতে গেছে” টাইপ ছবি,
আর তার মাঝে কামড়াকামড়ি, গীবত, কটাক্ষে ভরা পোস্টের বন্যা।
অন্য মেয়ের সাজানো হাসি, দামী গিফট বা রোমান্টিক ঘুরাঘুরি দেখে নিজের জীবনের সাথে তুলনা শুরু হয়।
একটা সময় মনে হয়— “সবাই সুখী, শুধু আমি নই।”
সেখান থেকেই জন্ম নেয় অপ্রাপ্তির বোধ, হিংসা, হতাশা, আর নিজের মানুষটাকে ছোট করে দেখা।
ফেসবুকের এই মায়াবী সুখ অনেক মেয়েকে ভেতর থেকে শূন্য করে দিচ্ছে।
ধীরে ধীরে আত্মসম্মান হারিয়ে যায়, মন হয়ে পড়ে অস্থির ও অসন্তুষ্ট।
যেখানে ভালোবাসার জায়গা থাকা উচিত, সেখানে জন্ম নেয় অভিযোগ আর নাটক।
আর গীবত, কটাক্ষ, একপাক্ষিক পোস্ট—
এসব যেনো “সহানুভূতি কুড়ানো” এক প্রতিযোগিতা।
কিন্তু মানুষ যত বেশি অনলাইনে নিজের দুঃখ দেখায়,
বাস্তবে ততই সে একা হয়ে যায়।
একটু ভাবো:
এই অনলাইন দুনিয়া যতটা ঝলমলে দেখাও,
বাস্তবে ততটাই ফাঁপা।
যে “অনলাইনের রাণী ”, বাস্তবে হয়তো বিষণ্ণ এক মানুষ;
যে “সুখী দম্পতি” প্রতিদিন ছবি দেয়,
তাদের ঘরে হয়তো নীরব দূরত্বের দেয়াল।
সত্যিকারের সুখ কেবল বাস্তবেই আছে।
ফোনটা নামাও,
বই পড়ো, আল্লাহর দিকে ফিরে চলো,
আর যাদের ভালোবাসো — তাদের সময় দাও।
অনলাইন না, বাস্তবেই জীবন সুন্দর।
Shuchona Akhter