
08/05/2025
গত ২ দিন আগে রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর সেনা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গু’লিতে নিহত হন সেনা সদস্য শহিদুল ইসলাম কায়সার। গত দুইদিনে বিষয়টি সেনাবাহিনী বা আইএসপিআর’র পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়নি এমনকি কোন বিবৃতিও দেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন অভিযানের খবরও পাওয়া যায়নি। তবে, হত্যাকান্ডের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে- একটা পক্ষ ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ বলে চালানোর চেষ্টা করেছিল। তবে সেদিন সন্ধ্যায় যে সন্ত্রাসীদের গুলিতে সেনা সদস্য শহিদুল ইসলাম কায়সার শহীদ হয়েছিল- সেটা আজ "মৃত্যু বরণকারী সেনা সদস্যকে সামরিক মর্যাদায় দাফন" করার পর পরিস্কার হয়েছে।
উল্লেখ্যঃ সশস্ত্রবাহিনী'র সেনা-সদস্য মৃত্যুবরণ করলে (আত্মহত্যা ব্যতীত) তাদেরকে নিকটস্থ দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা ইউনিট হতে একটি চৌকষ দল কর্তৃক "গার্ড অব অনার" প্রদানের মাধ্যমে সামরিক মর্যাদায় লাশ দাফন করা হয়।
যাই হোক, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী সামরিক বাহিনীর একজন সৈনিক দায়িত্বপালনকালে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হোক। এমন সন্ত্রাসী হত্যাকান্ডের খবর প্রকাশ করলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে- এমন ছোটলোকি চিন্তাভাবনা পরিহার করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি ঘোষনা করা হোক। যাতে ভবিষ্যতে- এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।