19/06/2025
আমাদের সমাজে একটা প্রচলিত ধারণা হলো প্রথমে নিজেকে সম্পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, তারপর বিয়ে করতে হবে। কিন্তু বাস্তবতা ও ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপারটা একটু ভিন্ন।
বিয়ে কোনো বিলাসিতা নয়, দায়িত্ববোধ। এটি একজন মানুষকে আরও পরিপক্ব করে, লক্ষ্য নির্ধারণে সাহায্য করে এবং জীবনের গতি ঠিক করে দেয়।
প্রতিষ্ঠা মানেই কী বলুন তো ?
জব, বাড়ি, গাড়ি, ব্যাংকে মোটা অংকের টাকা? কিন্তু এগুলো আসলে অনিশ্চিত। জীবনের প্রতিটি ধাপে চ্যালেঞ্জ আছে। আপনি আজ চাকরি পেয়েছেন, কাল সেটা হারাতেও পারেন। তাহলে কি বিয়ে অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পিছিয়ে রাখবেন?
জীবনের প্রতিকূলতা যখন একসাথে মোকাবিলা করবেন, তখন পথ সহজ হয়। একজন স্ত্রী বা স্বামী শুধু সঙ্গীই নয়, মোটিভেশন, শান্তি আর আস্থা দেয়। একা পথ চলার চেয়ে সাথী নিয়ে পথচলা অনেক শক্তিশালী করে তোলে।রাসূল (সা.) বলেন, "হে তরুণ সমাজ! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ের সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিয়ে করে।" (বুখারী ও মুসলিম) । এখানে “সামর্থ্য” বলতে ন্যূনতম সামর্থ্য বোঝানো হয়েছে ভরণপোষণের সামর্থ্য, দ্বীনদার জীবনসঙ্গীকে অধিকার দেওয়া। বড় বাড়ি বা গাড়ির মালিক হওয়া নয়।
বিয়ে দেরি মানেই নফসের সাথে যুদ্ধের সময় দীর্ঘ হওয়া, হারাম পথে ধাবিত হওয়ার আশঙ্কা বাড়া। তাই প্রয়োজন মিথ্যে মানসিক চাপ নয়, বরং সময়মতো হালাল ব্যবস্থা।
বিয়ের জন্য “প্রতিষ্ঠিত” হওয়ার দরকার নেই, বরং “সামর্থ্যবান” হওয়াই যথেষ্ট। প্রতিষ্ঠা ইনশাআল্লাহ বিয়ের পরেও আসবে বরং দ্রুতই আসবে, কারণ তখন আপনি লক্ষ্যভিত্তিক জীবনযাপন করবেন। আল্লাহ্ জীবন বারাকাহ দিয়ে ভরিয়ে দিবেন ইনশা আল্লাহ্ ।
#বিয়ে #দ্বীনদার_জীবনসঙ্গী #হালাল_পথ #ইসলামিক_বিয়ে