দিশাহারা

দিশাহারা একজন গর্বিত সনাতনী 🙏❤️🙏

With Golok Kumar – I just got recognised as one of their top fans! 🎉
13/06/2024

With Golok Kumar – I just got recognised as one of their top fans! 🎉

হরে কৃষ্ণ 🙏
03/06/2024

হরে কৃষ্ণ 🙏

➡️➡️➡️ ✤Apara Ekadashi✤ 🙏🙏🙏
✸অপরা একাদশীর মাহাত্ম্য, সংকল্প ও পারণ সময়✤
─•━━⊱♦️✥♦️⊰•⊰❁*❀❁❁❀*❁⊱⊱♦️✥♦️⊰•━━•

জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী হল ‘অপরা একাদশী’ । নাগদের মধ্যে যেমন শেষ নাগ ,পক্ষীদের মধ্যে যেমন গরুড়, মানুষের মধ্যে যেমন ব্রাহ্মণ, দেবতাদের মধ্যে নারায়ণ সর্বশ্রেষ্ঠ, তেমনই সকল ব্রতের মধ্যে একাদশী ব্রতই সর্বশ্রেষ্ঠ। হাজার হাজার বছর তপস্যায় যে ফল লাভ হয় না, একমাত্র অপরা একাদশীতে রাত্রিজাগরণের ফলে তা অনায়াসেই প্রাপ্ত হওয়া যায়। নিষ্ঠাসহকারে এই একাদশী পালন করলে শ্রীহরির কৃপায় তাঁর সকল পাপ বিনষ্ট হয় এবং বিষ্ণুলোকে গতি হ‌য়ে থাকে।

সেই সঙ্গে আমাদের জানা দরকার অপরা একাদশী মাহাত্ম্য (Significance of Apara Ekadashi), অপরা একাদশী সংকল্প, অপরা একাদশী পারণ, অপরা একাদশী ব্রত কথা।

✤✸ অপরা একাদশী ব্রত কথা ✸✤
(Apara Ekadashi Vrat Kathā)

❃ জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া ‘অপরা একাদশী’ ব্রত মাহাত্ম্য ব্রহ্মাণ্ড পুরাণে ‘যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে’ বর্ণিত আছে।

❃ মহারাজ যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করলেন, “হে জনার্দন! জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশীর নাম কি এবং তার মাহাত্ম্যই বা কি, আমি শুনতে ইচ্ছা করি। আপনি অনুগ্রহ করে তা বর্ণনা করুন।”

❃ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মানুষের কল্যানের উদ্দেশ্যে অমৃতসম কথাগুলি যুধিষ্ঠিরকে শোনালেন, ━

✸ “হে মহারাজ! মানুষের মঙ্গলের জন্য আপনি খুব ভাল প্রশ্ন করেছেন। বহু পুণ্য প্রদানকারী, মহাপাপ বিনাশকারী, ও পুত্রদানকারী এই একাদশী ‘অপরা’ নামে খ্যাত।”

✸ “এই ব্রত পালনকারী ব্যক্তি জগতে প্রসিদ্ধি লাভ করে।”

✸ “ব্রহ্মহত্যা, গোহত্যা, ভ্রূণহত্যা, পরনিন্দা, পরস্ত্রীগমন, মিথ্যাভাষণ প্রভৃতি গুরুতর পাপ এই ব্রত পালনে নষ্ট হয়ে যায়।”

যারা মিথ্যাসাক্ষ্যদান দেয়, ওজন ও মাপকাঠিতে ছলনা করে, শাস্ত্রের মিথ্যা ব্যাখ্যা প্রদান করে, জ্যোতিষের মিথ্যা গণনা করে, চিকিৎসার নামে কুচিকিৎসা বা অর্থ হরন করে থাকে, তারা সকলেই নরকযন্ত্রণা ভোগ করে। যদি এসমস্ত ব্যক্তিরাও যদি এই ব্রত পালন করে, তবে তারা সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়।”

✸ “ক্ষত্রিয় যদি স্বধর্ম ত্যাগ করে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যায়, তবে সে ঘোরতর নরকগামী হয়। কিন্তু সেও এই ব্রত পালনে মুক্ত হয়ে স্বর্গগতি লাভ করে।”

✸ “মকররাশিতে সূর্য অবস্থানকালে মাঘ মাসে প্রয়াগ স্নানে যে ফল লাভ হয়; শিবরাত্রিতে কাশীধামে উপবাস করলে যে পুণ্য হয়; গয়াধামে বিষ্ণুপাদপদ্মে পিন্ডদানে যে ফল পাওয়া যায়; সিংহরাশিতে বৃহস্পতির অবস্থানে গৌতম নদীতে স্নানে, কুম্ভে কেদারনাথ দর্শনে, বদরিকাশ্রম যাত্রায় ও বদ্রীনারায়ণ সেবায় যে পুণ্য হয়; সূর্যগ্রহণে কুরুক্ষেত্রে স্নানে, হাতি, ঘোড়া, স্বর্ণ দানে এবং দক্ষিণাসহ যজ্ঞ সম্পাদনে যে ফল লাভ হয়, এই ব্রত পালন করলে অনায়াসে সেই ফল লাভ হয়ে থাকে।”

✸ “এই অপরা ব্রত হল পাপরূপ বৃক্ষের কুঠার স্বরূপ, পাপরূপ কাষ্ঠের দাবাগ্নির মতো, পাপরূপ অন্ধকারে সূর্যসদৃশ এবং পাপহস্তির সিংহস্বরূপ। এই ব্রত পালন না করে যে ব্যক্তি জীবন ধারণ করে জলে বুদবুদের মতো তাদের জন্ম-মৃত্যুই কেবল সার হয়।”

✸ “অপরা একাদশীতে উপবাস করে বিষ্ণুপূজা করলে সর্বপাপ মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোকে গতি হয়।”

✸ “এই ব্রতকাথা পাঠ ও শ্রবণ করলে সহস্র গোদানের ফল লাভ হয়।”

🌸 জয় অপরা একাদশী 🌸

🌸 জয় শ্রীরাধাকৃষ্ণ 🌸

─•━━⊱♦️✥♦️⊰•⊰❁*❀❁❁❀*❁⊱⊱♦️✥♦️⊰•━━•

✤✸ অপরা একাদশী সংকল্প ✸✤
(Apara Ekadashi Saṅkalpa)

✡ যারা আমিষ আহার করেন, তারা একাদশীর আগের দিন অর্থাৎ দশমী, একাদশী এবং দ্বাদশী এই তিন দিন নিরামিষ আহার করবেন।

✡ দশমীতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরণে ফুল নিবেদন করে সঙ্কল্প করবেন, “হে ভগবান! আমাকে কৃপা করুন যাতে আগামীকাল একাদশী যেন নিষ্ঠার সাথে পালন করতে পারি।”

✡ পরদিন অর্থাৎ একাদশী তিথিতে সম্পূর্ণ দিন পালিত হবে অপরা একাদশী ━

◉ ইংরাজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী 03-জুন-2024 (সোমবার)।
◉ বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।

মনে রাখবেন, একাদশীর দিন ভোরে (অর্থাৎ ব্রহ্ম মুহূর্তে) শয্যা ত্যাগ করে স্নান সেরে শুচিশুদ্ধ হয়ে শ্রীহরির মঙ্গল আরতিতে অংশগ্রহণ করতে হয়। শ্রীহরির পাদপদ্মে প্রার্থনা করতে হয়, “হে শ্রীকৃষ্ণ, আজ যেন এই মঙ্গলময়ী পবিত্র একাদশী সুন্দরভাবে পালন করতে পারি, আপনি আমাকে কৃপা করুন।” ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সম্মুখে অবশ্যই সঙ্কল্প মন্ত্র পাঠ করে সংকল্প নিতে হয়। সুতরাং এক্ষেত্রে সোমবার ভোরে সঙ্কল্প মন্ত্র পাঠ করতে হবে।

◼️ একাদশী সংকল্প মন্ত্র ◼️
❝ একাদশ্যাম্‌ নিরাহারঃ স্থিতা অহম্ অপরেহহনি।
ভোক্ষ্যামি পুন্ডরীকাক্ষ স্মরনম্‌ মে ভবাচ্যুত॥ ❞

━━┉┈┈(৩ বার)

অনুবাদ: “হে পুন্ডরীকাক্ষ! হে অচ্যূত! একাদশীর দিন উপবাস থেকে এই ব্রত পালনের উদ্দেশ্যে আমি আপনার স্মরণাপন্ন হচ্ছি।”

─•━━⊱♦️✥♦️⊰•⊰❁*❀❁❁❀*❁⊱⊱♦️✥♦️⊰•━━•

✤✸ অপরা একাদশী পারণ ✸✤
(Apara Ekadashi Pārana)

অপরা একাদশীর ঠিক পরদিন অর্থাৎ 04-জুন-2024 (মঙ্গলবার) সকালে পারণ সম্পন্ন করতে হবে নিচে উল্লেখিত ঠিক পারন মুহূর্তের মধ্যে ━

❏ পশ্চিমবঙ্গ : সকাল 04:49 – 09:19
❏ বাংলাদেশ : সকাল 05:10 – 09:41

অর্থাৎ একাদশী ব্রত পালন করে পরের দিন ভোরে স্নান সেরে পারন সময়ের মধ্যে পঞ্চ রবিশস্য ভগবানকে ভোগ নিবেদন করে তিনবার ভক্তিসহকারে পারন মন্ত্র পাঠ করে একাদশীর ফল ভগবানের সম্মুখে ভক্তিসহকারে অবশ্যই অর্পণ করতে হয়, এরপর সেই অনুকল্প প্রসাদ গ্রহণ করে পারণ অর্থাৎ একাদশী ব্রত ভঙ্গ করতে হয়, নচেৎ পূর্ণ একাদশীর ফল লাভ থেকে বঞ্চিত থেকে যেতে হয়।

◼️ একাদশী পারন মন্ত্র ◼️
❝ ওঁ অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য ব্রতেনানেন কেশব।
প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টিপ্রদো ভব॥ ❞

━━┉┈┈(৩ বার)

অনুবাদ: “হে কেশব! আমি অজ্ঞানরূপ অন্ধকারে নিমজ্জিত আছি। হে নাথ! এই ব্রত দ্বারা আমার প্রতি প্রসন্ন হয়ে আমাকে জ্ঞানচক্ষু প্রদান করুন।”

একাদশী ব্রত পালনের প্রকৃত উদ্দেশ্য কেবল উপবাস করা নয়, নিরন্তর শ্রীভগবানের স্মরণ, মনন ও শ্রবন কীর্ত্তনের মাধ্যমে একাদশীর দিন অতিবাহিত করতে হয়। শ্রীল প্রভুপাদ ভক্তদের এই দিন পঁচিশ মালা বা যতেষ্ট সময় পেলে আরও বেশী জপকরার নির্দেশ দিয়েছেন। একাদশী পালনের সময় পরনিন্দা, পরিচর্চা, মিথ্যা ভাষন, ক্রোধ, দুরাচারী, স্ত্রী সহবাস সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

─•━━⊱♦️✥♦️⊰•⊰❁*❀❁❁❀*❁⊱⊱♦️✥♦️⊰•━━•

সেই সঙ্গে জেনে রাখা উচিত কেন আমরা একাদশী ব্রত পালন করব? তাই আমাদের জেনে রাখা উচিত একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য।

─•━━⊱♦️✥♦️⊰•⊰❁*❀❁❁❀*❁⊱⊱♦️✥♦️⊰•━━•

✤✸ একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য ✸✤
◉একাদশী করলে যে কেবল মাত্র নিজের জীবন এর সদগতি হয় তা নয়, একাদশী ব্যক্তির প্রয়াত পিতা মাতা নিজ কর্ম দোষে নরকবাসী হন, তবে সেই পুত্রই পিতা মাতাকে নরকের থেকে উদ্ধার করতে পারবে।

◉একাদশীতে অন্ন ভোজন করলে ব্যক্তি যেমন নরকবাসী হয়, তেমনই অন্যকে অন্নভোজন করালেও নরকবাসী হয়। কাজেই একাদশী ব্রত পালন করা আমাদের সকলের কর্তব্য।

◉ ১টি খাদ্য শস্যের মধ্যে চার ধরনের পাপ থাকে। পাপ গুলো হল ──

১। মাতৃ হত্যার পাপ।
২। পিতৃ হত্যার পাপ।
৩। ব্রহ্ম হত্যার পাপ।
৪। গুরু হত্যার পাপ।

আমরা মাত্র একটি দানা নয় প্রতি গ্রাসে হাজার হাজার দানা ভক্ষণ করি। সুতরাং ভেবে দেখতে হবে, যে পাপ কাজ আদৌ করিনি সেই পাপ কাজের ভাগীদার আমাদেরকে হতে হবে।

◉ বিভিন্ন পুরানে একাদশী মহাব্রত সম্পর্কে কি বলা হয়েছে?

১। সকল পুরাণে মুনিদের এই নিশ্চিত মত যে, একাদশীতে উপবাস করলে সকল পাপ হইতে মুক্ত হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। ──(ব্রহ্মবৈবর্ত্তপুরাণ)

২। একদা শ্রী যমরাজ ব্রাহ্মনকে বলেছেন, “হে ব্রাহ্মণ! যাদের পুত্র ও পৌত্র একাদশী ব্রত করে আমি শাসন কর্তা যম হয়েও বিশেষরূপে তাদের নিকট ভীত হই। যারা একাদশী ব্রত পরায়ন সেই মহাত্মারা বল পূর্বক স্বীয় শত পুরুষ উদ্ধার করেন।” ──(পদ্মপুরাণ)

৩। একাদশীতে উপবাস, ইহাই সার, ইহাই তত্ত, ইহাই সত্য, ইহাই ব্রত, ইহাই সম্যক প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ। ──(ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণ)

৪। যে মানুষ একাদশীর দিন শস্যদানা গ্রহণ করে সে তার পিতা, মাতা, ভাই এবং গুরু হত্যাকারী এবং সে যদি বৈকুন্ঠ লোকে উন্নীত হয় তবুও তার অধঃপতন হয়।

৫। একাদশীর দিন বিষ্ণুর জন্য সবকিছু রন্ধন করা হয় এমনকি অন্ন এবং ডাল ও কিন্তু শাস্ত্রের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, বৈষ্ণবদের বিষ্ণুর প্রসাদ গ্রহণ করা উচিৎ নয়। সেই প্রসাদ পরের দিন গ্রহণ করার জন্য রেখে দেওয়া যেতে পারে। একাদশীর দিন কোন রকম শস্যদানা এমনকি অন্ন তা যদি বিষ্ণুর প্রসাদও হয় তবুও তা গ্রহণ করতে কঠোর ভাবে নিষেধ করা হয়েছে।

৬। বিধবা না হলে শাস্ত্র অনুসারে একাদশী ব্রত পালন করার প্রথা শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রবর্তন করে ছিলেন। ──(শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত আদিলীলা (১৫/৮-১০)

৭। অনেকের ধারনা পুরী ধামে শ্রীজগন্নাথ দেবের প্রসাদ ভক্ষন দোষাবহ নহে। এই ধারনার বশবর্তী হইয়া পুরীতে অনেকেই নিঃসঙ্কোচে অন্ন গ্রহণ করেন, ইহা সম্পূর্ণ শাস্ত্র বিরুদ্ধ বিচার।

৮। বিধাবা নারী এবং মতিগণ (তেজস্বী) যদি একাদশী ব্রত না করে তাহলে প্রণয় কাল পর্যন্ত তাদের অন্ধকারময় নরকে পচে মরতে হয়। ──(শারদীয় পুরাণ)

৯। হে রাজন! যতদিন আয়ু থাকবে ততদিন একাদশী উপবাস থাকবে। ──(অগ্নিপুরাণ)

১০। বিধবা রমণী একাদশীতে আহার করলে, তার সর্বপ্রকার সুকৃতি নষ্ট হয় এবং দিনদিন তার ভ্রণহত্যা পাপের অপরাধ হয়। ──(কাত্যায়ন সংহিতা)

১১। যিনি একাদশী ব্রত পরিত্যাগ করে অন্য ব্রতের উপাসনা করেন, তার হাতের মহা মূল্যবান রত্ন পরিত্যাগ করে লোহা যাচনা করা হয়। ──(তত্ত্বসাগর)

১২। দেবাদিদেব শিব দূর্গা দেবী কে বলেছেন হে মহাদেবী যারা হরি বাসরে (একাদশীতে) ভোজন করে যমদূতগণ যমালয়ে নিয়ে তাদের অগ্নিবর্ন তীক্ষ লৌহাস্ত্র তাদের মুখে নিক্ষেপ করে। ──(স্কন্দপুরাণ)

১৩। যে মানুষ একাদশীর দিন শস্যদানা গ্রহণ করে সে তার পিতা, মাতা, ভাই এবং গুরু হত্যাকারী এবং সে যদি বৈকুন্ঠলোকেও উন্নীত হয় তবুও তার অধঃপতন হয়। ──(স্কন্দপুরাণ)

তাহলে কেন আমরা জেনে শুনে পাপ কর্ম করছি? যেসকল ভক্তবৃন্দরা একাদশী মহাব্রত পালন না করে যে পাপ করছেন তা থেকে বিরত থাকুন। তারা সহ সকল ভক্তবৃন্দরাই একসাথে একাদশী মহাব্রত পালন করি এবং আমাদের এই দুর্লভ মানব জীবনকে স্বার্থক করি।

─•━━⊱♦️✥♦️⊰•⊰❁*❀❁❁❀*❁⊱⊱♦️✥♦️⊰•━━•

✤✸ অপরা একাদশী মাহাত্ম্য ✸✤
(Significance of Apara Ekadashi)

ব্রতশ্রেষ্ঠ একাদশী শ্রীহরির অত‍্যন্ত প্রিয়। কৃষ্ণভর্তি লাভই শ্রী একাদশী ব্রতের মুখ্য ফল। তবে আনুষাঙ্গিকরূপে স্বর্গ, ঐশ্বর্যাদি অনিত্য ফল লাভ হয়ে থাকে।

🕉️ ১) অপরা একাদশী বহু পুণ্য প্রদানকারী, মহাপাপ বিনাশকারী, ও পুত্রদানকারী।

🕉️ ২) অপরা একাদশী ব্রত পালনকারী ব্যক্তি জগতে প্রসিদ্ধি লাভ করে।

🕉️ ৩) ব্রহ্মহত্যা, গোহত্যা, ভ্রূণহত্যা, পরনিন্দা, পরস্ত্রীগমন, মিথ্যাভাষণ প্রভৃতি গুরুতর পাপ এই ব্রত পালনে নষ্ট হয়ে যায়।

🕉️ ৪) যারা মিথ্যাসাক্ষ্যদান দেয়, ওজন ও মাপকাঠিতে ছলনা করে, শাস্ত্রের মিথ্যা ব্যাখ্যা প্রদান করে, জ্যোতিষের মিথ্যা গণনা করে, চিকিৎসার নামে কুচিকিৎসা বা অর্থ হরন করে থাকে, তারা সকলেই নরকযন্ত্রণা ভোগ করে। যদি এসমস্ত ব্যক্তিরাও যদি এই ব্রত পালন করে, তবে তারা সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়।

🕉️ ৫) ক্ষত্রিয় যদি স্বধর্ম ত্যাগ করে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যায়, তবে সে ঘোরতর নরকগামী হয়। কিন্তু সেও এই ব্রত পালনে মুক্ত হয়ে স্বর্গগতি লাভ করে।

🕉️ ৬) মকররাশিতে সূর্য অবস্থানকালে মাঘ মাসে প্রয়াগ স্নানে যে ফল লাভ হয়; শিবরাত্রিতে কাশীধামে উপবাস করলে যে পুণ্য হয়; গয়াধামে বিষ্ণুপাদপদ্মে পিন্ডদানে যে ফল পাওয়া যায়; সিংহরাশিতে বৃহস্পতির অবস্থানে গৌতম নদীতে স্নানে, কুম্ভে কেদারনাথ দর্শনে, বদরিকাশ্রম যাত্রায় ও বদ্রীনারায়ণ সেবায় যে পুণ্য হয়; সূর্যগ্রহণে কুরুক্ষেত্রে স্নানে, হাতি, ঘোড়া, স্বর্ণ দানে এবং দক্ষিণাসহ যজ্ঞ সম্পাদনে যে ফল লাভ হয়, এই ব্রত পালন করলে অনায়াসে সেই ফল লাভ হয়ে থাকে।

🕉️ ৭) এই অপরা ব্রত হল পাপরূপ বৃক্ষের কুঠার স্বরূপ, পাপরূপ কাষ্ঠের দাবাগ্নির মতো, পাপরূপ অন্ধকারে সূর্যসদৃশ এবং পাপহস্তির সিংহস্বরূপ। এই ব্রত পালন না করে যে ব্যক্তি জীবন ধারণ করে জলে বুদবুদের মতো তাদের জন্ম-মৃত্যুই কেবল সার হয়।

🕉️ ৮) অপরা একাদশীতে উপবাস করে বিষ্ণুপূজা করলে সর্বপাপ মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোকে গতি হয়।

🕉️ ৯) এই ব্রতকাথা পাঠ ও শ্রবণ করলে সহস্র গোদানের ফল লাভ হয়।

─•━━⊱♦️✥♦️⊰•⊰❁*❀❁❁❀*❁⊱⊱♦️✥♦️⊰•━━

28/05/2024

অশ্লীল পোশাক সমন্ধে সনাতনধর্মে কি বলা আছে আসুন দেখি।

অধঃ পশ্যস্ব মোপরি সন্তরাং পাদকৌ হর।
মা তে কশপ্লকৌ দৃশন্ স্ত্রী হি ব্রহ্মা বভূবিথ।।
(ঋগ্বেদ, ৮/৩৩/১৯)

অনুবাদ অর্থঃ— হে নারী ও পুরুষ, তোমরা ভদ্র ও সংযত হও। পোষাক পরিচ্ছেদ ও আচরনে অশ্লীলতা ও অসভ্যতা বর্জন কর।

#শব্দার্থঃ হে নারী! (অধঃ পশ্যস্ব) নিচে দেখ (মা উপরি) উপরে দেখ না। (পাদকৌ সন্তরাং হর) দুই পাকে ঠিক প্রকার হইতে একত্র করে রাখ। (তে কশপ্লকৌ) তোমার শরীরের=দুই স্তন, পীঠ আর পেট, দুই নিতম্ব, দুই জঙ্ঘা, দুই পিণ্ডলিয়া [পায়ের গোড়ালি], দুই কনুই (মা দৃশন্) দেখতে দেবে না। এইসব কিছু কি জন্যে? (হি) কেননা (স্ত্রী) স্ত্রী (ব্রহ্মা) ব্রহ্মা, নির্মাণকর্ত্রী (বভূবিথ) হয়ে থাকে।

#ভাবার্থঃ এই মন্ত্রে নারীর শালীনতার অনেকই সুন্দর চিত্রণ বলা হয়েছে। প্রত্যেক স্ত্রীর এই গুণকে নিজের জীবনে ধারণ করা উচিত।

১) স্ত্রীদের নিজের দৃষ্টি সদা নিচে রাখা উচিত, উপরে নয়। নিচে দৃষ্টি রাখা লজ্জা আর শালীনতার চিহ্ন হয়। উপরে দেখা নির্লজ্জতা আর অশালীনতার দ্যোতক হয়।

২) স্ত্রীদের চলার সময় দুই পাকে মিলিয়ে বড় সাবধানে চলা উচিত। হেলেদুলে চলা, অঙ্গভঙ্গীতে চলা, হাব-ভাবের প্রদর্শন করিয়ে, চঞ্চলতা আর চপলতা হইতে চলা উচিত নয়।

৩) নারিদের বস্ত্র এই প্রকার ধারণ করা উচিত যা তাহার গুপ্ত অঙ্গ-স্তন, পেট, পিঠ, জঙ্ঘা, পিণ্ডলিয়া আদি দেখতে দেবে না। নিজের অঙ্গর প্রদর্শন করা বিলাসিতা আর লম্পটতার দ্যোতক হয়।

৪) নারীর জন্য এমন বন্ধন কেন? ঐরূপ কঠোর সাধনা কি জন্য? এইজন্য যা নারী ব্রহ্মা হয়, সে জীবন-নির্মাত্রী আর সৃজনকর্ত্রী হয়। যদি নারীই বিগড়ে যায় তবে সৃষ্টিও বিগড়ে যায়। মাতাদের আর বোনেদের! নিজের অঙ্গকে প্রদর্শন করা উচিত নয়।

অধঃ পশ্যস্ব মোপরি সন্তরাং পদকৌ হর।
মা তে কশপ্লকৌ দষান্তস্রীহি ব্রক্ষা ভুবিথ।।
(ঋগ্বেদ ৮.৩৩.১৯)

অনুবাদ অর্থঃ— হে পুরুষ ও নারী তোমাদের দৃষ্টি সবসময় হোক ভদ্র ও অবনত। তোমাদের চলন হোক সংযত, দেহ হোক পোষাকে আবৃত, নগ্নতা হোক পরিত্যজ্য।

বি.দ্র: সনাতনী দিদিরা অশ্লীল পোশাককে না বলুন।

#সনাতনী #হিন্দুশিক্ষা

Send a message to learn more

ভগবান শ্রী কৃষ্ণের পুরাতন ছবি ❤️🙏অবহেলা করে কেউ এরিয়ে যাবেন না 🙏হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম ...
16/05/2024

ভগবান শ্রী কৃষ্ণের পুরাতন ছবি ❤️🙏

অবহেলা করে কেউ এরিয়ে যাবেন না 🙏

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে রাম 🙏❤️🕉️



















































🙏🙏 হরে কৃষ্ণ 🙏 🙏 আজ ১০ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১ রোজ শুক্রবার, শুভ অক্ষয় তৃতীয়া 🙏• অক্ষয় তৃতীয়া হল চান্দ্র বৈশাখ মাসের...
10/05/2024

🙏🙏 হরে কৃষ্ণ 🙏 🙏

আজ ১০ই মে ২০২৪, ২৭শে বৈশাখ ১৪৩১
রোজ শুক্রবার, শুভ অক্ষয় তৃতীয়া 🙏
• অক্ষয় তৃতীয়া হল চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের তৃতীয়া তিথি।
• অক্ষয় শব্দের অর্থ হল যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না।
• বৈদিক বিশ্বাসানুসারে এই পবিত্র তিথিতে কোন শুভ কার্য সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে।
• এদিন বেশি করে পূজা, জপ, ধ্যান, দান করা উচিত।
• যেহেতু এই তৃতীয়ার সব কাজ অক্ষয় থাকে তাই প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলতে হয় সর্তকভাবে। এদিনটা ভালোভাবে কাটানোর অর্থ সাধন জগতের অনেকটা পথ একদিনে চলে ফেলা।
• সাধারণত পূণ্য কর্মের ফল শীঘ্রই ক্ষয় প্রাপ্ত হয়; কেউ পুণ্যবলে স্বর্গলোকে গেলেও পুণ্যক্ষয়ে আবার তাকে পৃথিবীতে ফিরে আসতে হয়। কিন্তু ভগবানের অত্যন্ত প্রিয় এ অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে সম্পাদিত যেকোনো পারমার্থিক কর্মের ফলে ভগবান প্রসন্ন হয়ে অক্ষয় ফল দান করেন।
এজগতে সবই ক্ষয়িষ্ণু; তাই অক্ষয় ফল দানের জন্য ভগবান আমাদের অক্ষয় লোকে অর্থাৎ ভগবদ্ধামে নিয়ে যান, যেখানে গেলে কাউকে আর এ জড়জগতে ফিরে আসতে হয় না।

⚫ গৌর-পার্ষদপ্রবর শ্রীল সনাতন গোস্বামীকৃত বৈষ্ণবস্মৃতি-শাস্ত্র শ্রীহরিভক্তিবিলাস অনুসারে, অক্ষয় তৃতীয়ার সম্পাদিত শুভ-কর্মসমূহের মধ্যে দান অন্যতম।

অক্ষয় সোচ্চতে লোকে তৃতীয়া হরিবল্লভা।
স্নানে দানেহর্চনে শ্রাদ্ধে জপে পূর্ব জপে পূর্বজতর্পণে।।

অনুবাদে: (বৈশাখের শুক্লপক্ষের) সেই তৃতীয়া তিথি শ্রীহরিপ্রিয়া হেতু লোকে অক্ষয়া তৃতীয়া বলা হয়। এই তিথিতে স্নান, দান, অর্চন, শ্রাদ্ধ, জপ, পিতৃতর্পণের ফল অক্ষয় হয়ে থাকে।

দাতব্যমিতি যদ্দানং দীয়তেহনুপকারিণে।
দেশে কালে চ পাত্রে চ তদ্দানং সাত্ত্বিকং স্মৃতম্।।

অনুবাদ: দান করা কর্তব্য বলে মনে করে এবং প্রত্যুপকারের আশা না করে উপযুক্ত স্থানে, উপযুক্ত সময়ে এবং উপযুক্ত পাত্রে যে দান করা হয়, তাকে সাত্ত্বিক দান বলে গণ্য করা হয়।

🔴 শাস্ত্রে অক্ষয় তৃতীয়ায় ব্রাহ্মণ-ভোজন, অন্নদান, বস্ত্রদানের বিধি রয়েছে।
অক্ষয় তৃতীয়ার মাহাত্ম্য,
১/ এই দিনে ভগবানের চন্দন যাত্রা শুরু হয় যা একুশ দিন পর্যন্ত বলব থাকে,
২/ভগবান শ্রী বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার ভগবান পরশুরাম আবির্ভূত হন।
৩/ মহর্ষি কৃষ্ণা দ্বৈপায়ন ব্যাসদেব ও গণপতি, গণেশ দেব মহাভারত রচনা করেন।
৪/ পবিত্র গঙ্গা পৃথিবীতে অবতরণ করেন।
৫/ অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সত্যযুগের শেষ হয় এবং ত্রেতা যুগ শুরু হয়।
৬/ পুরীধামে ভগবান শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথ তৈরীর কাজ শুরু হয়,।
৭/ এই দিনে অন্নপূর্ণা দেবী আবির্ভাব হয়.
৮/এই দিনে দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণের চেষ্টা করলে. ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কৃপায় দ্রৌপদী রক্ষা পায়.
৯/ এই দিন কুবেরের তপস্যায় ভগবান শিব প্রসন্ন হয়ে তাকে অত্যাধিক ধন প্রদান করেন,।
১০/এই দিন সূর্য দেবের আশীর্বাদে দ্রৌপদী অক্ষয় পাত্র প্রাপ্ত হন,
১১/কেদার বদরী গঙ্গোত্রী যমুনোত্রী যে ৬ মাস দার বন্ধ থাকে এই দিনেই তার দ্বার উন্মোচন করা হয়. এবং সেই মন্দিরে ছয় মাসের জন্য অক্ষয় প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করা হয়.

অক্ষয় তৃতীয়া একটি পবিত্র দিন এই দিনে আপনি যা করবেন তাই অক্ষয় হয়ে থাকবে।

সংগৃহীত।

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে রাম 🙏❤️🕉️
28/04/2024

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে রাম 🙏❤️🕉️



















































২০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠ 🙏❤️🙏বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার একসঙ্গে ২০ সহস্রাধিক কণ্ঠে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ। 🕉️ #জয়গীতা  #...
27/04/2024

২০ হাজার কণ্ঠে গীতা পাঠ 🙏❤️🙏

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার একসঙ্গে ২০ সহস্রাধিক কণ্ঠে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ। 🕉️

#জয়গীতা #কান্তজীর_মন্দির_দিনাজপুর #কান্তজিরমন্দির #কান্তজিরগীতাপাঠ
#দিনাজপুরমন্দির

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কি আসোলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির বিপক্ষে ছিলেন এটা কি সত্য?না, এই অপপ্রচার করে বাংলাদেশি কিছু কুলাংগ...
22/04/2024

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কি আসোলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির বিপক্ষে ছিলেন এটা কি সত্য?
না, এই অপপ্রচার করে বাংলাদেশি কিছু কুলাংগার।

রবীন্দ্রনাথ না, এই বিশ্ববিদ্যালয় যেনো না হয় সেই চেষ্টা করেছেন মাওলানা আকরাম খান সহ বাংলাদেশের সর্বস্তরের মুসলিম সমাজ এই বিশ্ববিদ্যালয় যাতে প্রতিষ্ঠা না পায় সেই জন্য ভারত সরকারকে আবেদন করেছিলো।

রবীন্দ্রনাথ যদি বিরোধীতা করতেন তবে উনাকে কেনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কয়েক বছরের মধ্যেই সম্মানসূচক ডিলিট উপাধি দেয়া হবে? উনি উল্টো এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রেখেছিলেন বলেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কয়েকদিনের মধ্যে উনাকে ভাষন দেয়ার জন্য আমন্ত্রন জানানো হয়। এর পরে এরও কয়েক বছরের মধ্যেই ডিলিট পুরষ্কার পান তিনি।

বিরোধিতা করেছিলো মুসলমানরাই বেশি। হিন্দুদের মধ্যে কলকাতার দুই একজন বিরোধিতা করেছিলো কিন্তু মুসলমানেরাই বেশি বিরোধিতা করেছিলো।

নিচের লেখাটি আমি সরাসরি এক জায়গা থেকে কোট করে কপি পেস্ট করে দিলাম।

পূর্ব বাংলার কিছু মুসলমান মনে করেছিলেন, পূর্ব বঙ্গের মুসলমানদের মধ্যে হাজারে ২/১ জন মাত্র স্কুল পর্যায়ে পাশ করতে পারে। কলেজ পর্যায়ে তাদের ছাত্র সংখ্যা খুবই কম। বিশ্ববিদ্যালয় হলে সেখানে মুসলমান ছাত্রদের সংখ্যা খুবই কম হবে। হিন্দুদের সুবিধা বেশী হবে। পূর্ববঙ্গে মাদ্রাসা, প্রাইমারী এবং হাইস্কুল হলে সেখানে পড়াশুনা করে মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষার হার বাড়বে। আগে সেটা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় হলে; যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে সেগুলোও অর্থের অভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সেজন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয় চান নি।

মাওলানা আকরাম খান আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ করলে সাধারণ মুসলমানদের শিক্ষা সংক্রান্ত বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দানের ক্ষেত্রে অর্থের ব্যবস্থা করবেন না। মুসলমানদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা অপেক্ষা প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি (প্রাথমিক ও মাধ্যমিক) শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার উপর তিনি গুরুত্ত্ব আরোপ করেন।

আবদুর রসুল আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় মুসলমানদের পক্ষে ‘বিলাসিতা’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। তার মতে কয়েকজন ভাগ্যবানের জন্য অর্থ ব্যয় না করে বেশিরভাগ মানুষের জন্য তা ব্যয় করা উচিৎ।
....
……

এই বিশ্ববিদ্যালয় মূলত পূর্ব বাংলার হিন্দুদের প্রচেষ্টায় ভারত সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম লোগোতে ইসলামের চাঁদ ও হিন্দুদের ওম নম শিবা যেই চিহ্ন দিয়ে প্রকাশ করে সেই ছবি ছিলো।

পরে পাকিস্তান সরকার ১৯৫২ সালে সেই লোগো পরিবর্তন করে হিন্দুদের লোগোর জায়গায় কোরআনের ছবি দিয়ে দেয়।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শিক্ষার্থী ছিলেন একজন হিন্দু ছাত্রী নীলা নাগ। কোনো মুসলমান শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিকে পড়তে চায় নি।

কত বড় বানোয়াট ভন্ড হলে বলে যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলো। বিরোধিতা করলে জামাই আদর করে প্রধান অতিথি করে আনতো না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ডিলিট পুরষ্কারও দিতো না।

Address

Dhaka
1000

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when দিশাহারা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share