03/06/2025
নাটকের শিরোনাম: “সময়টার নীচে”
পাত্র:
রিফাত (২৭ বছর, বইপ্রেমী, স্বপ্নদ্রষ্টা)
মায়া (২৫ বছর, শিল্পী, বাস্তববাদী)
সময় (এক ধরণের অদৃশ্য চরিত্র, যাকে কখনো দেখা যায় না, কিন্তু কথায় থেকে যায়)
---
দৃশ্য ১: একটি পুরনো লাইব্রেরি, সন্ধ্যা।
(রিফাত বইয়ের শেলফের কাছে দাঁড়িয়ে, হাতে এক পুরনো নোটবুক নিয়ে। মায়া ঢুকছে।)
মায়া:
তুমি কি সত্যি সময়ের কথা বিশ্বাস করো? যে সময় আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে?
রিফাত:
সময়? না, আমি মনে করি আমরা সময়কে নিয়ন্ত্রণ করি। সময় আমাদের মতোই একটা গল্প, আর আমরা তার লেখক।
মায়া:
তাহলে বলো, তুমি কী করো যখন তোমার ভালোবাসা সময়ের সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে?
রিফাত:
আমি সময়কে চ্যালেঞ্জ দিই। ভালোবাসার জন্য সময় কখনোই বড় বাধা হতে পারে না।
(হঠাৎ বাতাসের শব্দ, একটি ফিসফিসানির মতো আওয়াজ।)
সময় (অদৃশ্য কণ্ঠ):
তোমরা ভুল করছো, রিফাত। আমি শুধু ঘড়ির কাঁটা না, আমি স্মৃতির আবরণ, পছন্দের গভীরতা। ভালোবাসাও আমার সঙ্গী, কিন্তু আমি কখনো থমকে থাকি না।
---
দৃশ্য ২: রাতের আকাশের নিচে, পার্কের বেঞ্চে।
(মায়া বসে আছে, রিফাত তার কাছে আসে)
মায়া:
তুমি জানো, রিফাত, আমি তোমাকে ভালোবাসি, কিন্তু সময় আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে না।
রিফাত:
আমি সময়কে থামিয়ে দেবো, যদি সেটা তোমাকে আমার কাছে রাখতে পারে।
মায়া:
সময়টা থামানো যায় না, কিন্তু আমরা আমাদের সময়টাকে সুন্দর করে রাখতে পারি। তোমার ভালোবাসা সেই আলো হতে পারে।
সময় (আবার ফিসফিস করে):
ভালোবাসা ও সময়, একসাথে না থাকলে অসম্পূর্ণ। সময়টা নীচে, ভালোবাসা উপরে — তাই তাদের মাঝখানে তুমি, রিফাত।
---
শেষ দৃশ্য:
(রিফাত এবং মায়া একসঙ্গে বসে, হাতে হাতে, আকাশের তারাদের দিকে তাকিয়ে।)
রিফাত:
তাহলে চল, সময়ের নীচে আমাদের ভালোবাসাকে সোনালী করে তুলি।
মায়া:
চল। কারণ ভালোবাসা হলো সময়ের বাইরে এক অমর গল্প।
(আলো ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যায়, পেছনে সময়ের ফিসফিসানির সুর বাজে)