BD Nutritionists Zone

BD Nutritionists Zone better food, better nutrition

বিজ্ঞানীরা বলছেন, শিশুরা তাদের বুদ্ধিমত্তার বেশিরভাগ অংশ মায়ের কাছ থেকে পায়, কারণ বুদ্ধিমত্তার সাথে সম্পর্কিত অনেক জিন...
26/07/2025

বিজ্ঞানীরা বলছেন, শিশুরা তাদের বুদ্ধিমত্তার বেশিরভাগ অংশ মায়ের কাছ থেকে পায়, কারণ বুদ্ধিমত্তার সাথে সম্পর্কিত অনেক জিন থাকে X ক্রোমোজোমে। এর প্রধান কারণ হলো X ক্রোমোজোমের জিনতত্ত্ব। এই ক্রোমোজোমে এমন অনেক জিন থাকে যেগুলো মানুষের চিন্তাশক্তি বা জ্ঞানীয় ক্ষমতার সঙ্গে জড়িত।

মেয়েদের দুটি X ক্রোমোজোম থাকে, কিন্তু ছেলেদের থাকে মাত্র একটি। ফলে শিশুরা মায়ের কাছ থেকে বুদ্ধিমত্তা-সম্পর্কিত জিনের “ডাবল ডোজ” পায়।

আরও জটিল বিষয় হলো বাবার কাছ থেকে আসা কিছু উন্নত বুদ্ধিমত্তার জিন শরীরে নিষ্ক্রিয় (deactivate) হয়ে যেতে পারে, কারণ কিছু জিন “conditioned” থাকে, অর্থাৎ নির্দিষ্ট কোনো প্যারেন্ট (মা বা বাবা) থেকে আসলে তবেই তা সক্রিয় হয়।

ইঁদুরের উপর গবেষণায় দেখা গেছে, মায়ের জিন মস্তিষ্কের বৃদ্ধি বা ডেভেলপমেন্টের সঙ্গে সম্পর্কিত, আর বাবার জিন প্রধানত আক্রমণাত্মকতা ও কিছু অর্জনের ক্ষুধার মতো আচরণগত বিষয়ে কাজ করে। মানুষের ওপর চালানো এক বৃহৎ গবেষণাতেও এমন ফলাফল দেখা গেছে ১২,০০০-এর বেশি তরুণদের উপর দীর্ঘমেয়াদি (longitudinal) এক স্টাডিতে দেখা গেছে, মায়ের আইকিউ ও শিশুর বুদ্ধিমত্তার মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে।

তবে শুধু জিনই নয়, পরিবেশের প্রভাবও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মায়ের ভালোবাসা ও আবেগপূর্ণ লালন-পালন শিশুর মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস (যা স্মৃতি ও শেখার সঙ্গে সম্পর্কিত) উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। তবুও বিজ্ঞানীরা এটাও বলেন যে, বাবার অবদানও কম নয়। আবেগী সহায়তা ও ধৈর্য, বুদ্ধিমত্তা, অন্তর্দৃষ্টি (intuition) ইত্যাদি অনেক গুণও বাবার কাছ থেকে আসে, যা শিশুর মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সূত্র: England, C. (2019, December 23). “Children inherit their intelligence from their mother not their father, say scientists.” — The Independent

🥲🥲
24/07/2025

🥲🥲

পিসিওএস: ওজন কমানোই একমাত্র সমাধান নয়পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (পিসিওএস) একটি জটিল হরমোনজনিত সমস্যা, যা শুধুমাত্র ওজন ...
23/07/2025

পিসিওএস: ওজন কমানোই একমাত্র সমাধান নয়

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (পিসিওএস) একটি জটিল হরমোনজনিত সমস্যা, যা শুধুমাত্র ওজন বেড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী নয় বরং একে ঘিরে থাকে আরও গভীর কিছু শারীরবৃত্তীয় অসামঞ্জস্য। প্রায়শই চিকিৎসা ও পরামর্শে ওজন কমানোকে প্রধান উপায় হিসেবে তুলে ধরা হয়। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ চিত্রটি তুলে ধরে না। কারণ, পিসিওএস শুধুমাত্র শরীরের ওজনের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় — এটি মূলত ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, দেহের প্রদাহ এবং অস্বাস্থ্যকর অন্ত্রের অবস্থার সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।

ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স: হরমোন ভারসাম্য নষ্টের মূল সূত্র

পিসিওএস আক্রান্ত নারীদের প্রায় ৭০-৮০ শতাংশের দেহে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স দেখা যায়। অর্থাৎ, শরীরে ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইনসুলিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই অতিরিক্ত ইনসুলিন আবার অ্যান্ড্রোজেন (পুরুষ হরমোন) হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে অনিয়মিত পিরিয়ড, ব্রণ, ও মুখে বা শরীরে অস্বাভাবিক লোম গজানোর মতো সমস্যা দেখা দেয়। ওজন কমানো অবশ্যই ইনসুলিন সংবেদনশীলতা কিছুটা উন্নত করতে পারে, তবে এটি একমাত্র সমাধান নয়।

প্রদাহ: নীরব বিপদ

পিসিওএসের পেছনে নিম্নমাত্রার দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ (chronic low-grade inflammation) একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই প্রদাহ হরমোন ভারসাম্য আরও বিঘ্নিত করে এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সকে আরও জোরালো করে তোলে। গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক পিসিওএস রোগীর রক্তে C-reactive protein (CRP) এর মতো প্রদাহ সূচক বেশি থাকে, এমনকি তারা যদি অতিরিক্ত ওজনের না-ও হয়।

অন্ত্রের স্বাস্থ্য: হরমোনের গোপন রক্ষাকর্তা

সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, অন্ত্রের স্বাস্থ্য বা gut microbiome-এর ভারসাম্য পিসিওএসের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। হরমোন নিঃসরণ, প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ এবং ইনসুলিনের প্রতি দেহের প্রতিক্রিয়া — সবকিছুর সঙ্গেই এই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াগুলি যুক্ত। যখন অন্ত্রে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বেড়ে যায় এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া কমে যায়, তখন হরমোন ভারসাম্য আরও নষ্ট হতে থাকে।

ওজন না কমিয়েও হরমোন ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব কীভাবে?

যদিও ওজন কমানো অনেক ক্ষেত্রে উপকারি, তবুও শুধুমাত্র খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে — বিশেষ করে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে — হরমোনের ভারসাম্য আনা সম্ভব।
• অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার যেমন — বিভিন্ন ধরনের রঙিন ফলমূল, সবজি, অলিভ অয়েল, বাদাম, চিয়া সিড, ফ্যাটি ফিশ (যেমন স্যামন) ইত্যাদি দেহের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
• ফাইবারযুক্ত খাবার যেমন — ওটস, শাকসবজি, ডাল, ব্রাউন রাইস, ফলমূল ইত্যাদি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়।

এইসব খাদ্য উপাদান প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ধীরে ধীরে কমে আসতে পারে, অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত হয়, এবং হরমোন ভারসাম্য আবার স্থাপন করা যায় — এমনকি শরীরে বিশেষ কোনো ওজন পরিবর্তন ছাড়াও।

উপসংহার

পিসিওএসের চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ওজন কমানোকে কেন্দ্র করে নয়, বরং দেহের ভিতরকার জটিল প্রক্রিয়াগুলোর ওপর নজর দেওয়া প্রয়োজন। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, প্রদাহ এবং অন্ত্রের ভারসাম্য — এই তিনটি বিষয়েই সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, বিশেষ করে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, প্রতিদিনের জীবনধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হলে পিসিওএসের উপসর্গ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব — এমনকি দৃশ্যমান ওজন হ্রাস ছাড়াও।



🔹 “পিসিওএস, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা ওজন সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার জন্য ব্যক্তিগত ও বিজ্ঞানভিত্তিক ডায়েট পরিকল্পনা পেতে মেসেজ করুন এখনই — Diet & Discipline-এর পক্ষ থেকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে। 💬🍽️”

🔹 “নিজের শরীর অনুযায়ী সঠিক ডায়েট গাইডলাইন পাওয়ার জন্য মেসেজ করুন । ব্যক্তিগত পরিকল্পনা Diet & Discipline- থেকে করে দেওয়া হবে। 📩”

চোখ বন্ধ করলেই পাখিদের চিৎকার শোনা যাচ্ছে……অথবা,আজ আমাদের কোন হোমওয়ার্ক নেই!!!!!বুকটা ভেঙে যাচ্ছে……!!!!!মনের অজান্তেই চো...
23/07/2025

চোখ বন্ধ করলেই পাখিদের চিৎকার শোনা যাচ্ছে……
অথবা,
আজ আমাদের কোন হোমওয়ার্ক নেই!!!!!

বুকটা ভেঙে যাচ্ছে……!!!!!

মনের অজান্তেই চোখ ভিজে যাচ্ছে বারবার !!!!
এগুলো দুঃস্বপ্ন হলে বেঁচে যেতাম…..
হায়রে নিয়তি….এগুলোই সত‍্যি……!!!!!
এগুলোই বাস্তব!!!!!

প্রে ফর মাইলস্টোন কলেজ
21/07/2025

প্রে ফর মাইলস্টোন কলেজ

Stand with Milestone College. Mourn for all the departed Soul
21/07/2025

Stand with Milestone College.
Mourn for all the departed Soul

কিউবার কৃষিতে পাখিবান্ধব পদ্ধতির সাফল্যকিউবার কৃষিক্ষেত্রে কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে পাখির ব্যবহার এক অসাধারণ সাফল্যের দৃষ...
20/07/2025

কিউবার কৃষিতে পাখিবান্ধব পদ্ধতির সাফল্য

কিউবার কৃষিক্ষেত্রে কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে পাখির ব্যবহার এক অসাধারণ সাফল্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর যখন রাসায়নিক কীটনাশকের সরবরাহ কমে যায়, তখন কিউবান সরকার ও কৃষকরা প্রাকৃতিক ও পরিবেশবান্ধব সমাধানের দিকে মনোযোগী হন। এই পদ্ধতির মূল ধারণা ছিল "Bird-Friendly Rice Production", যেখানে কৃষকরা তাদের জমির একটি নির্দিষ্ট অংশ পাখিদের জন্য বরাদ্দ করতেন, যাতে পাখিরা সেখান থেকে অবাধে খাবার সংগ্রহ করতে পারে।

এর উদ্দেশ্য ছিল পাখিদের এক প্রকার "প্রশিক্ষিত" করা,তারা যেন ওই নির্দিষ্ট জমিতেই খাবার খোঁজে এবং অন্যান্য ফসলে মুখ না দিয়ে কেবল পোকামাকড় খেয়ে ফসল রক্ষা করে। ২-৩ মৌসুমের মধ্যেই পাখিরা বুঝে যেত কোন জমিতে তাদের প্রবেশাধিকার আছে এবং কোনগুলোতে নেই। এর ফলে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার কমে আসে এবং পাখিরা প্রাকৃতিকভাবেই ফসলের ক্ষতিকারক পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে, যা এক অভূতপূর্ব প্রাকৃতিক ভারসাম্য তৈরি করে।

তবে, রাসায়নিক কীটনাশকের দীর্ঘ ব্যবহারের কারণে পাখির সংখ্যা ব্যাপক হারে কমে যাওয়ায়, প্রথমে পাখিদের ফিরিয়ে আনার প্রয়োজন পড়ে। এই উদ্দেশ্যে Cuban Wetland Project এবং Wetland Friends Network ("Amigos del Humedal")-এর মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
কিউবান জলাভূমি প্রকল্পের মাধ্যমে জলজ পাখিদের তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়, যেখানে ধানক্ষেতের আশেপাশে জলাভূমি ও ঝোপঝাড় সংরক্ষণ করে পাখিদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা হয়।

অন্যদিকে, Wetland Friends Network ছিল একটি সম্প্রদায়-ভিত্তিক সচেতনতা ও কর্মদল। এর মাধ্যমে শিশু, নারী ও কৃষকদের মধ্যে পরিবেশ ও পাখি সংরক্ষণ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা হয়। গ্রামে গ্রামে শিশুদের পাখি চেনানো, পরিবেশ সংরক্ষণে তাদের অংশগ্রহণ করানো এবং কৃষকদের পাখির জন্য "সুরক্ষিত ক্ষেত্র" নির্মাণে উৎসাহিত করার মতো নানা কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়, যা পাখিদের জন্য একটি অনুকূল সামাজিক ও পরিবেশগত আবহ তৈরিতে সাহায্য করে।

এই পাখিবান্ধব কৃষি পদ্ধতি দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কিউবার কৃষকরা "Campesino a Campesino" (কৃষক থেকে কৃষক) নামক একটি কার্যকর মডেল গ্রহণ করেন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে অভিজ্ঞ কৃষকরা অন্য কৃষকদের এগ্রো-ইকোলজির বিভিন্ন কৌশল হাতে-কলমে শেখাতেন, যার মধ্যে কম্পোস্ট তৈরি, ইন্টারক্রপিং এবং পাখির জন্য গাছ ও ঝোপ রোপণের কৌশল অন্তর্ভুক্ত ছিল।

এই মডেলটি স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। তবে, যেহেতু সব পাখি সব পোকামাকড় খায় না, আবার কিছু পাখি ফসল খেয়ে ফেলে, তাই IBA Cuba Programme (Important Bird Areas Initiative) নামে একটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এর মূল লক্ষ্য ছিল কিউবার পাখি-সমৃদ্ধ এলাকা চিহ্নিত করে সেগুলোকে সংরক্ষণ করা এবং পাখিবান্ধব কৃষি পরিকল্পনাকে জাতীয় পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করা।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে ফসল-ভোজী ও পোকামাকড়-ভোজী উভয় প্রকার পাখির প্রজাতি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হয়, যা কৃষি বাস্তুতন্ত্রে এক প্রাকৃতিক ও কার্যকরী ভারসাম্য বজায় রাখে।

এই সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ, কিউবার কৃষিতে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসে, পাখির সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং কৃষকদের কাছে পাখিরা একটি মূল্যবান বন্ধুতে পরিণত হয়, যা পরিবেশগতভাবে টেকসই কৃষি পদ্ধতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ।

আপনার দেওয়া নিবন্ধটির সারসংক্ষেপ নিচে বাংলায় অনুবাদ করে দেওয়া হলো:গর্ভাবস্থায় মায়ের লোহার অভাব কি শিশুর লিঙ্গ পরিবর...
19/07/2025

আপনার দেওয়া নিবন্ধটির সারসংক্ষেপ নিচে বাংলায় অনুবাদ করে দেওয়া হলো:
গর্ভাবস্থায় মায়ের লোহার অভাব কি শিশুর লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারে?
আমরা সাধারণত মনে করি, একটি শিশুর লিঙ্গ জিন দ্বারা নির্ধারিত হয়—যদি একটি শিশুর XY ক্রোমোজোম থাকে, তবে সে ছেলে হবে এবং XX থাকলে মেয়ে হবে। কিন্তু গবেষকরা এখন একটি আশ্চর্যজনক তথ্য খুঁজে পেয়েছেন: গর্ভাবস্থায় মায়ের লোহার মাত্রা সেই জিনগত বিন্যাসকে প্রভাবিত করতে পারে। ইঁদুরের ওপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, যখন গর্ভবতী মায়ের নির্দিষ্ট ধরণের আয়রন—যাকে ফেরাস আয়রন (Fe²⁺) বলা হয়—পর্যাপ্ত পরিমাণে ছিল না, তখন কিছু জিনগতভাবে পুরুষ ভ্রূণ মেয়ে হিসাবে বিকশিত হয়েছে।
ফেরাস আয়রন নির্দিষ্ট কিছু এনজাইমকে তাদের কাজ করতে সাহায্য করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে প্রাথমিক বিকাশের সময়। KDM3A নামক একটি এনজাইম ডিএনএ-তে থাকা ছোট রাসায়নিক চিহ্নগুলি অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয়, এই প্রক্রিয়াটিকে হিস্টোন ডিমিথিলেশন বলা হয়। Sry নামক একটি জিনকে সক্রিয় করার জন্য এই পরিষ্কারকরণ অপরিহার্য, যা শরীরকে শুক্রাশয় তৈরি শুরু করতে নির্দেশ দেয়। পর্যাপ্ত ফেরাস আয়রন না থাকলে, KDM3A সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না এবং Sry নিষ্ক্রিয় থাকে। এমনটি ঘটলে, এমনকি XY ক্রোমোজোমযুক্ত একটি ভ্রূণও শুক্রাশয়ের পরিবর্তে ডিম্বাশয় তৈরি করা শুরু করতে পারে।
গবেষকরা দেখেছেন যে, জরায়ুতে লিঙ্গ নির্ধারণের সময়, ইঁদুরের ভ্রূণগুলি শরীরের আয়রন পথগুলিকে ব্যাপকভাবে সক্রিয় করে। কিন্তু যখন বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন উপায়ে আয়রনকে বাধাগ্রস্ত করেন—যেমন আয়রন-পরিবহন জিন অপসারণ করে, আয়রন-ব্লকিং ওষুধ ব্যবহার করে, অথবা ইঁদুরকে কম আয়রনযুক্ত খাবার খাইয়ে—তখন কিছু পুরুষ ভ্রূণ পুরুষ হিসাবে বিকশিত হয়নি। একটি পরীক্ষায়, এমনকি সামান্য জিনগত পরিবর্তন এবং কম আয়রনের সংমিশ্রণ কিছু ইঁদুরের লিঙ্গ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে।
এই গবেষণা দেখায় যে, লিঙ্গ বিকাশ শুধুমাত্র ডিএনএ-র উপর নির্ভর করে না। মায়ের খাদ্যে আয়রনের মতো একটি মৌলিক উপাদানও শিশুর বিকাশে প্রভাব ফেলতে পারে।
তথ্যসূত্র:
Okash*ta, N., Maeda, R., Kuroki, S. et al. Maternal iron deficiency causes male-to-female se reversal in mouse embryos. Nature 643, 262–270 (2025). PMID: 40468068

মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং হৃদরোগের সম্পর্ক নিয়ে সাম্প্রতিক একটি যুগান্তকারী গবেষণা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এক...
17/07/2025

মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং হৃদরোগের সম্পর্ক নিয়ে সাম্প্রতিক একটি যুগান্তকারী গবেষণা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে এক নতুন বিপদ। এই গবেষণায় দেখা গেছে, ধমনী-অবরোধকারী প্ল্যাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি রয়েছে, যা হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
অ্যান্টার্কটিকা থেকে নবজাতক শিশু - সর্বত্রই এই প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণাগুলি ছড়িয়ে আছে। গবেষণায় অংশ নেওয়া ২৫৭ জন রোগীর মধ্যে ১৫০ জনের ক্যারোটিড ধমনী (হৃদপিণ্ড ও মস্তিষ্ককে সংযুক্তকারী গুরুত্বপূর্ণ রক্তনালী) থেকে অপসারণ করা চর্বিযুক্ত প্ল্যাকে প্রথমবারের মতো এই মাইক্রোপ্লাস্টিকগুলি শনাক্ত করা হয়েছে।
প্রায় তিন বছর ধরে রোগীদের পর্যবেক্ষণের পর দেখা গেছে, যাদের প্ল্যাকে মাইক্রোপ্লাস্টিক ছিল, তাদের মারাত্মক কার্ডিওভাসকুলার ইভেন্টের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা পাঁচগুণ বেশি। যদিও এই গবেষণা সরাসরি প্রমাণ করে না যে মাইক্রোপ্লাস্টিক হৃদরোগের কারণ, তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই প্লাস্টিকগুলি দীর্ঘমেয়াদী প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যা ধমনীর ক্ষতি এবং কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার একটি প্রধান কারণ।
বিজ্ঞানীরা উন্নত ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপি ব্যবহার করে ধমনীর প্ল্যাকের মধ্যে তীক্ষ্ণ মাইক্রোপ্লাস্টিক কণাগুলি স্পষ্টভাবে দেখেছেন, যা ইঙ্গিত দেয় যে এগুলি ধমনী সরু ও শক্ত হতে অবদান রাখে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা এই আবিষ্কারকে অসাধারণ বলে অভিহিত করেছেন, যা হৃদরোগের জন্য একটি বিস্ময়কর নতুন ঝুঁকির কারণ হিসাবে উঠে এসেছে।
গবেষকরা জোর দিয়ে বলেছেন যে এটি কেবল শুরু, এবং মাইক্রোপ্লাস্টিক মানুষের স্বাস্থ্যের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে তা সম্পূর্ণরূপে বোঝার জন্য আরও অনেক গবেষণার প্রয়োজন। এই ফলাফলগুলি পরিবেশের পাশাপাশি আমাদের শরীরের উপর প্লাস্টিক দূষণের ব্যাপক প্রভাব সম্পর্কে বৃহত্তর উদ্বেগ বাড়ায়। এই গবেষণাটি দ্রুত আরও তদন্ত এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্লাস্টিকের সংস্পর্শ কমানোর জন্য শক্তিশালী প্রচেষ্টার urgency তুলে ধরে।

ঘুম কীভাবে মেটাবলিজম ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলে⸻ঘুম, মেটাবলিজম ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ: ঘুমকে কেবল বিশ্রামের সময় ভাবা...
15/07/2025

ঘুম কীভাবে মেটাবলিজম ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে প্রভাব ফেলে

ঘুম, মেটাবলিজম ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ:

ঘুমকে কেবল বিশ্রামের সময় ভাবা হলেও, এটি শরীরের মেটাবলিজম ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ঘুমের ঘাটতি হলে দেহের হরমোনীয় ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়, যার ফলে ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ে এবং দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

হরমোনের ভূমিকা: ঘ্রেলিন ও লেপ্টিন

দেহে ক্ষুধা ও তৃপ্তির অনুভূতি নিয়ন্ত্রণে দুইটি প্রধান হরমোন কাজ করে — ঘ্রেলিন ও লেপ্টিন।
• ঘ্রেলিনকে ‘ক্ষুধার হরমোন’ বলা হয়। এটি পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত হয়ে মস্তিষ্কে ক্ষুধার সঙ্কেত পাঠায়।
• লেপ্টিনকে বলা হয় ‘তৃপ্তির হরমোন’। এটি ফ্যাট সেল থেকে নিঃসৃত হয়ে মস্তিষ্ককে বলে দেয় পেট ভর্তি হয়েছে।

যখন ঘুমের ঘাটতি হয়, তখন ঘ্রেলিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং লেপ্টিনের মাত্রা কমে যায়। এর ফলে ক্ষুধার অনুভূতি বেড়ে যায় এবং বেশি খাবার খাওয়া হয়, যা ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়।

ঘুমের অভাব ও ওজন বৃদ্ধি

অনিয়মিত বা অপর্যাপ্ত ঘুম মেটাবলিজমের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে দেহে ইনসুলিনের কার্যকারিতা কমে যায়, ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়ে এবং চর্বি জমা হতে থাকে। সেই সঙ্গে ক্লান্তি ও মানসিক চাপের কারণে সহজলভ্য উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার বেছে নেওয়া হয়, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি আরও বাড়ায়।

সঠিক ঘুম স্বাস্থ্য (Sleep Hygiene) মেনে চলার পরামর্শ

ডায়েট পরিকল্পনায় সফল হতে হলে সঠিক ঘুম অপরিহার্য। ঘুমের মানোন্নয়নের জন্য কিছু পরামর্শ অনুসরণ করা যেতে পারে:
• প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে শোয়া ও ওঠা উচিত, এমনকি ছুটির দিনেও।
• ঘুমানোর আগে ক্যাফেইন ও ভারী খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
• শোবার ঘরকে শান্ত, অন্ধকার ও শীতল রাখা ভালো।
• ঘুমানোর আগে মোবাইল বা টিভির পর্দার দিকে তাকিয়ে না থেকে বই পড়া বা হালকা শিথিল ব্যায়াম করা যেতে পারে।
• দিনের বেলায় পর্যাপ্ত প্রাকৃতিক আলোতে থাকা ও নিয়মিত ব্যায়াম করা দরকার।

উপসংহার

ঘুমের গুরুত্ব শুধুমাত্র বিশ্রামে সীমাবদ্ধ নয়; এটি মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণ, ক্ষুধা হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি নিয়মিত ও পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

=D
15/07/2025

=D

স্ট্রোক একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সময়মতো চিকিৎসা না করলে জীবননাশও করতে পারে। চলুন, স্ট্রোক সম্পর্কে আরও বিস্তারি...
29/10/2024

স্ট্রোক একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা, যা সময়মতো চিকিৎসা না করলে জীবননাশও করতে পারে। চলুন, স্ট্রোক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
স্ট্রোক কী?
স্ট্রোক হল মস্তিষ্কের একটি অংশে রক্তের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া। মস্তিষ্কের কোষগুলি স্বাভাবিকভাবে কাজ করার জন্য অক্সিজেন এবং পুষ্টির উপর নির্ভরশীল। যখন রক্তের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, তখন মস্তিষ্কের কোষগুলি মারা যায় এবং এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে।

স্ট্রোকের প্রকারভেদ
মূলত দুই ধরনের স্ট্রোক হয়:
* ইস্কেমিক স্ট্রোক: এটি সবচেয়ে সাধারণ ধরনের স্ট্রোক। এই ধরনের স্ট্রোকে মস্তিষ্কের রক্তনালীতে কোনো রক্তের ক্লট বা অন্য কোনো পদার্থ জমে গিয়ে রক্তের প্রবাহ বন্ধ করে দেয়।
* হেমোর্যাজিক স্ট্রোক: এই ধরনের স্ট্রোকে মস্তিষ্কের রক্তনালী ফেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ হয়।

স্ট্রোকের লক্ষণ
স্ট্রোকের লক্ষণগুলি হঠাৎ করে দেখা দিতে পারে এবং এটি ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত দেখা যায়:
* মুখ বা শরীরের একপাশে অসাড়তা: হাসির সময় মুখ বাঁকা হওয়া, এক হাত বা পা উঁচু রাখতে না পারা
* বক্তৃতা বা বোঝার সমস্যা: কথা বলতে গিয়ে আটকে যাওয়া, অন্যের কথা না বোঝা
* দৃষ্টি সমস্যা: এক চোখে অন্ধকার দেখা, দ্বিপ্রতীক্ষা
* সুস্থতা হারানো: মাথা ঘোরা, ভারসাম্য হারানো
* শরীরের একপাশে দুর্বলতা
এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে এক মিনিটও নষ্ট না করে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান।

স্ট্রোকের কারণ

স্ট্রোকের অনেকগুলি কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:
* উচ্চ রক্তচাপ: এটি স্ট্রোকের সবচেয়ে সাধারণ কারণ।
* হৃদরোগ: হৃদরোগের কারণে রক্তের ক্লট তৈরি হতে পারে যা মস্তিষ্কে গিয়ে আটকে যেতে পারে।
* ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
* উচ্চ কোলেস্টেরল: উচ্চ কোলেস্টেরল রক্তনালীতে প্লাক জমতে পারে এবং রক্তের প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
* ধূমপান: ধূমপান রক্তনালীকে সংকীর্ণ করে দেয় এবং রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।
* অতিরিক্ত মদ্যপান: অতিরিক্ত মদ্যপান রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
* অনিয়মিত হৃদস্পন্দন: অনিয়মিত হৃদস্পন্দন রক্তের ক্লট তৈরি হতে পারে।
* মস্তিষ্কের রক্তনালীর অস্বাভাবিকতা: জন্মগত বা অর্জিত কারণে মস্তিষ্কের রক্তনালীতে অস্বাভাবিকতা থাকতে পারে।

স্ট্রোক প্রতিরোধ

স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য আপনি নিম্নলিখিত ব্যবস্থা নিতে পারেন:
* রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।
* ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: রক্তের শর্করা স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
* কোলেস্টেরল কমানো: স্বাস্থ্যকর খাদ্য খান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
* ধূমপান বন্ধ করা: ধূমপান স্ট্রোকের সবচেয়ে বড় কারণগুলির মধ্যে একটি।
* স্বাস্থ্যকর খাদ্য: ফল, শাকসবজি, পুরো শস্য, মাছ, বাদাম এবং বীজ খান।
* নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহে কমপক্ষে 150 মিনিট মধ্যম তীব্রতার ব্যায়াম করুন।
* ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত ওজন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

* নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ: নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।

মনে রাখবেন, স্ট্রোক একটি জরুরি অবস্থা। যদি আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ স্ট্রোকের লক্ষণ দেখতে পান, তাহলে দেরি না করে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যান।
আপনার যদি স্ট্রোক সম্পর্কে আরও জানতে ইচ্ছা হয়, তাহলে আপনার চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

স্ট্রোক প্রতিরোধে খাদ্য তালিকা:
কি খাবেন:
* ফল ও শাকসবজি: বিভিন্ন রঙের ফল ও শাকসবজি রক্তচাপ কমাতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
* পুরো শস্য: বাদাম, বীজ, ওটস, ব্রাউন রাইস ইত্যাদি হৃদয় স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
* মাছ: স্যামন, টুনা, ম্যাকেরেল ইত্যাদি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
* দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য: কম চর্বিযুক্ত দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি এর ভালো উৎস।
* পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: কলা, আঙ্গুর, টম্যাটো ইত্যাদি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
কি পরিহার করবেন:
* স্যাচুরেটেড এবং ট্রান্স ফ্যাট: মাখন, গরুর চর্বি, বেকড পণ্য, ফাস্ট ফুড ইত্যাদি রক্তনালীতে প্লাক জমতে পারে।
* সোডিয়াম: প্রক্রিয়াজাত খাবার, ক্যান্ডি, চিপস ইত্যাদিতে অতিরিক্ত লবণ থাকে যা রক্তচাপ বাড়াতে পারে।
* শুক্রাণু: লাল মাংস, অঙ্গরাজ, এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
* শুধুমাত্র চিনি: মিষ্টি, সফট ড্রিঙ্কস, কেক ইত্যাদি রক্তের শর্করা স্তর বাড়াতে পারে।
* অতিরিক্ত অ্যালকোহল: অতিরিক্ত অ্যালকোহল রক্তচাপ বাড়াতে পারে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

Disclaimer: এই তথ্য শুধুমাত্র তথ্যের উদ্দেশ্যে এবং কোনোভাবেই চিকিৎসা পরামর্শ হিসেবে গণ্য করা হবে না।
আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BD Nutritionists Zone posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share