ভালোলাগা আর ভালবাসার কথা

ভালোলাগা আর ভালবাসার কথা অবসর সময় পার করার জন্য। আপনাদের কোন ভালবাসার ঘটনা অথবা গল্প পোষ্ট করতে চাইলে পেজ এর মেসেজ বক্সে মেসেজ পাঠান।

“ভাই, মরিচ কত করে?”--“ভাই, মরিচ এইগুলি বেচুম না।”স্টেশনের প্ল্যাটফর্মটা তখনও অনেকটাই ফাঁকা। ট্রেন আসতে আরো কিছুটা সময় বা...
01/08/2025

“ভাই, মরিচ কত করে?”
--“ভাই, মরিচ এইগুলি বেচুম না।”

স্টেশনের প্ল্যাটফর্মটা তখনও অনেকটাই ফাঁকা। ট্রেন আসতে আরো কিছুটা সময় বাকি। ঘড়ির কাঁটা তখন সবে আটটা ছুঁই ছুঁই। হঠাৎ চোখে পড়লো, একজন লোক, পরনে টি-শার্ট আর লুঙ্গি, মলিন তার পায়ের স্যান্ডেল, বসে আছেন রেললাইনের উপর, পাশে একটা বড় পলিথিনের ব্যাগ। ব্যাগ ভর্তি লাল আর সবুজ বোম্বাই মরিচ।

কৌতূহল বসত জিজ্ঞেস করলাম, “ভাই, মরিচ কত করে?”
জিজ্ঞেস করতেই লোকটি মাথা নিচু করে বলল, “ভাই, মরিচ এইগুলি বেচুম না।”

আমার কৌতূহল বেড়ে গেল।
ব্যাগ ভর্তি মরিচ নিয়ে বসে আছেন, অথচ বলছেন বেচবেন না? আমি হেসে বললাম, “মরিচ নিয়ে বসে আছেন আর বলছেন বেচবেন না! কাহিনী কী ভাই?”

লোকটি মাথা নিচু করে ছিল, মুখ তুলতেই বুঝতে পারলাম এতক্ষন কান্না করছিলো। চোখে পানি আর কান্না জড়ানো কণ্ঠে লোকটি যা বললো শুনে আঁতকে উঠলাম।
ঠোঁট কাঁপছিলো তার, কণ্ঠে অসহায়ত্ব আর কান্নার মিশ্র ধ্বনি।

“এই মরিচগুলা আমি আমার মাইয়ার জন্য আনছিলাম, ভাই, কিন্তু আমার মাইয়াটা আর নাই, আর আমার নিজের কিছুই নাই।”

আমি চুপ করে গেলাম। আমার মনে হল সময় থেমে গেছে।
আমি বসে পড়লাম তার পাশে, রেললাইনে। বললাম, “মেয়ের জন্য মরিচ আনছিলেন কেন? আর মেয়ে নাই মানে, কি হইছে আপনার মেয়ের?”

আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল লোকটি । একটু সময় নিলো-
আমার বাড়ি কালীগঞ্জ আড়িখোলা, ছোড একটা জমি আছে, তাতেই ক্ষেত খামারি করতাম।
আমার একটাই মাইয়া, নাম রাখছিলাম রুহি। ফুটফুইট্টা মাইয়াডা আমার সারাক্ষন খালি হাসতো। বকলেও হাসতো, মারলেও হাসতো। জন্মের সময় ওর মায় মইরা গেছিলো। এই একটা মাইয়ার মুখের দিকে চাইয়াই বাইচা আছিলাম।

রুহির বয়স এহন সাত, তিন মাস ধইরা জ্বর, ওষুধেও জ্বর কমে না । গেরামে ডাক্তার দেখাইলাম, কইলো নরমাল জ্বর, সাইরা যাইবো।
কিন্তু জ্বর কমে না, মাইয়াডা আমার আর হাসে না, খালি চাইয়া থাকে, কি জানি কইতে চায়, বুকের মইদ্দে তার কত কতা জইম্মা আছে কিন্তু মুখ ফুইট্টা কইতে পারে না।
শহরে নিয়ে আইলাম, ডাক্তার পরীক্ষা কইরা কইলো, লিউকেমিয়া।

খালি দেখলাম মাইয়াডা কেমন হুগায়া যাইতাছে, চুলডি সব পইড়া যাইতাছে, আর দিনে দিনে চোক দুইডা কেমন ঘোলা হইয়া যাইতাছে।
রুহি একদিন কইলো, “আব্বা, আমি মরতাম চাই না। আমি স্কুলে যামু, ডাক্তার হমু , তোমার লাইগা টাকা কামাই করমু।”

জমিডা বেইচা দিলাম, একটা দুধের গরু আছিলো, হেইডাও বেইচা দিচ্ছি, তাও টেহা কম পরে।
চক্ষে মুখে আন্ধার দেহি, একটা মাত্র মাইয়া আমার, তারে কি বাচাইতে পারুম না?

একদিন রুহি কইলো, “আব্বা, তুমি বাড়িত গেলে আমার লিগ্গা লাল-সবুজ রঙ্গের বোম্বাই মরিচ আনবা।”
আমি কইছিলাম, “ব্যাগ ভইরা তোর লাইগা বোম্বাই মরিচ আনমু মা।”

শুইন্না হেইদিন কি সুন্দর হাসি সে দিছিলো, কেডায় জানতো ওই আমার মায়ের শেষ হাসি।

গতকাল কেমোথেরাপি দেওনের পর বাড়িত গেছিলাম, কয়ডা টেহা ধার করেনের লেইগ্গা। আইজকা সকালে ট্রেনে কইরা আহনের সময় হাসপাতাল থন ছোড বাই ফোন দিয়া কইলো আমার রুহি আর নাই।

টেরেনের মইদ্দে হাজার হাজার মানুষ, দুনিয়াডা জুইড়া কোটি কোটি মানুষ, কিন্তু আমার এই দুনিয়াতে আর কেউ নাই, আমার আর কিছুই নাই এই এক ব্যাগ লাল-সবুজ বোম্বাই মরিচ ছাড়া. আমি এই মরিচ কাউরে দিমু না বাই, কাউরে না।

আমার ট্রেন চলে এসেছে, কিন্তু আমার পা জোড়া এতটাই ভারী হয়ে গিয়েছিলো যে সেখান থেকে উঠে আমার ট্রেন পর্যন্ত যাওয়ার শক্তি ছিল না।

আমি কিছু বলার মতো শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। চারপাশে শহরের কোলাহল, ট্রেন প্লাটফর্ম থেকে বের হয়ে গেলো বাঁশি বাজিয়ে, এর সবই যেন এক অসহায় বাবার কান্নায় মিশে যাচ্ছিলো।

গলার কাছে কান্না টা দলা পাকিয়ে উঠেছিল আমার। কি শান্তনা তাকে আমি দিবো, কোন ভাষায় তাকে আমি ভোলাব সে আমার জানা ছিল না।

অনেক কষ্টে বললাম, “হাসপাতালে যান, মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে যান. আপনার মেয়ের শেষ ইচ্ছা ছিল বোম্বাই মরিচ খাওয়ার। তার কবরে অনেক গুলো বোম্বাই মরিচের গাছ লাগিয়ে দিবেন।
আর দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে এই শোক কাটিয়ে ওঠার শক্তি দিন।“

পকেট থেকে কিছু টাকা বের করে তার হাতে দিতেই সে বললো, “বাই আমার টেহার দরকার নাই আর”, আমার রুহি নাই, টেহা দিয়া আমি আর কি করমু”?
এই দুনিয়াতে আমার কষ্টের কথা শোনার আর কেউ নাই, আপনি শুনছেন, এটুকুই যথেষ্ট।

তার হাতটা শক্ত করে ধরলাম। বললাম, “রুহির নামে আমিও একটা বোম্বাই মরিচের গাছ লাগাবো, আরও যারা রুহির কথা জানবে সবাইকে বলবো একটা করে গাছ রুহির নামে লাগাতে, রুহি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে”।

চোখ থেকে তার তখন অনবরত পানি পড়ছিলো, ঠোঁট কাঁপছিলো, শুধু হাতটা শক্ত করে ধরে রাখা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছিলো না ।

আমার ট্রেন আসে, জীবিকার প্রয়োজনে আমাকে তার হাত ছাড়িয়ে ছুটতে হয় ট্রেন ধরবার জন্য। সবার গন্তব্য আছে, তাড়া আছে, রুহির বাবার কোনো গন্তব্য নেই, আর কোনো তাড়া নেই। মেয়ের ওষুধ কিনবার জন্য তাকে আর ছুটতে হবে না, চিকিৎসার টাকা জোগাড় করবার জন্য আর এর ওর কাছে হাত পাততে হবে না। রুহির কথা আমরা হয়তো ভুলে যাবো, ছোট্ট রুহি যে জীবনের শেষ আবদারে তার বাবার কাছে বোম্বাই মরিচ খেতে চেয়েছিলো । আমাদের সন্তানের মাঝে ছায়া হয়ে রুহি বেঁচে থাকুক। ❤️

©Kayas Hossain

আপনি ফুটপাত দিয়ে হাঁটছেন, অপরিকল্পিত নির্মাণাধীন ভবন থেকে আপনার মাথায় ইট পড়ে আপনি প্রাণ হা'রাবেন। রেস্টুরেন্টে পরিবারের ...
22/07/2025

আপনি ফুটপাত দিয়ে হাঁটছেন, অপরিকল্পিত নির্মাণাধীন ভবন থেকে আপনার মাথায় ইট পড়ে আপনি প্রাণ হা'রাবেন।

রেস্টুরেন্টে পরিবারের সঙ্গে এক খুশির উপলক্ষ্য নিয়ে খেতে গেছেন, অননুমোদিত গ্যাস লাইনের বি'স্ফো'রণে আপনি প্রাণ হা'রাবেন৷

নিয়ম মেনে ড্রাইভিং বা রাইডিং করছেন, ধনীর নেশাগ্রস্ত আদুরে দুলাল গাড়িচা'পা দিয়ে আপনার প্রাণ'না'শ করবে৷

প্রভাবশালীদের সাথে দ্ব'ন্দ্বে জড়াবেন, পাথর দিয়ে পি'ষে আপনার প্রাণ'না'শ করা হবে, আপনার লা'শের উপর উঠে নৃত্য করা হবে।

মানুষের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হবেন, আয়না ঘর আপনাকে বলবে, "আহো ভাতিজা, আহো!"

গ্রাম থেকে ঢাকা এসে একটা ফ্যাক্টরিতে কাজ করে ঘষেমেজে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন, ভবন ধ্ব'সে প্রাণ হা'রাবেন।

নারী হয়ে নির্বিঘ্নে লেখাপড়া, চাকরি-বাকরি করতে যাবেন, যৌ'ন হয়'রানির শিকার হবেন একশোতে একশো৷ ধ'র্ষি'তা হওয়ার সুযোগও কম না৷

শাসনযন্ত্রের অপ'শাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলবেন, আপনার পরিবার আপনার মৃ'তদেহটাও খুঁজে পাবে না৷

আপনার সন্তান বাহিরে খেলছে, সিটি কর্পোরেশনের অবহেলিত উন্মুক্ত ম্যানহোলে পড়ে প্রাণ হা'রাবে।

সন্তানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবেন, তার মৃ'তদেহ পাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে।

সর্বশেষ, আপনার সন্তানকে স্কুলে পাঠাবেন, প্রশিক্ষণ বি'মান বি'ধ্ব'স্ত হয়ে আরো দুয়েকশো সন্তানের সাথে আপনার সন্তানেরও প্রাণ নিবে৷

আর হ্যাঁ, এগুলোর ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন? তাহলে বলবো আপনারা বড্ড বোকা৷

জি, এটাই এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে অবস্থিত ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর মাছে ভাতে বাঙালির বাংলাদেশ।

© মূল লেখকের নাম পাওয়া যায়নি

বিবাহিত মহিলাদের জন্য আয়োজিত এক সেমিনারে এক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হলো।আপনি শেষ বার কবে আপনার স্বামীকে "I love u বলেছেন?কেউ...
22/06/2025

বিবাহিত মহিলাদের জন্য আয়োজিত এক সেমিনারে এক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হলো।

আপনি শেষ বার কবে আপনার স্বামীকে "I love u বলেছেন?

কেউ বললো" আজই বলেছি!

কেউবা জবাব দিল "দুদিন আগে!
আবার কেউ কেউ বললো "দশ দিন আগে বলেছিলাম।
এরপর সব মহিলাদের বলা হলো, আপনাদের নিজ নিজ মোবাইল থেকে যে যার স্বামীকে 'I love u টেক্সট করতে আর সবচেয়ে ভাল উত্তর যার মোবাইলে আসবে তার জন্য একটা সারপ্রাইজ গিফট থাকবে।

সব মহিলা মেসেজ পাঠালো।

কিছুক্ষণ পার হতেই স্বামীদের জবাব আসা শুরু হল। সেগুলো

কিছুটা এরকম ছিল,

১। তোমার শরীর ভাল তো?

২। হাত খরচের টাকা শেষ?

৩।তুমি বাপের বাড়ি চললে নাকি?

৪। মনে হচ্ছে আজ বাসায় রান্না হবে না, তাই না?

৫। মানে কি?

৬।তুমি স্বপ্ন দেখছ না আমি?

৭। কিটি পার্টিতে কোন গয়না পছন্দ হয়েছে নাকি?

৮।অফিসে এত টেনশনের মধ্যে তুমি রোমান্সের আর সময় পেলে না?

৯। কতবার না বলেছি এত সিরিয়াল দেখ না।

১০। আজ আবার কোনো গাড়িতে ধাক্কা মে&%রেছো নাকি?

তবে শেষপর্যন্ত যে উত্তর সারপ্রাইজ গিফট জিতল তা বড় ভয়ানক ছিলো,

১১) I love you too but who are you? 🐸🐸

#সংগৃহীত

বিয়ে করার ৮.৫ বছর পর এখন আমি স্মার্ট হওয়ার চেষ্টায় আছি। প্রথম প্রথম বউ এর অনেক প্রশ্নের অনেস্ট অ্যান্সার দিয়ে বিপদে পড়তা...
26/05/2025

বিয়ে করার ৮.৫ বছর পর এখন আমি স্মার্ট হওয়ার চেষ্টায় আছি। প্রথম প্রথম বউ এর অনেক প্রশ্নের অনেস্ট অ্যান্সার দিয়ে বিপদে পড়তাম। বিশাল ক্যাচাল লেগে যেতো। এরপর ঠিক করলাম তেল মা**রা অ্যান্সার দিবো। এতে ও লাভ হলো না। ক্যাচাল থামলো না। এখন হয়ে গেলাম ডিপ্লোম্যাটিক। হালকা পাতলা লাভ হচ্ছে, তবে সাইড ইফেক্টস রয়েই যাচ্ছে :

১) প্রশ্ন: বউ খাবার সময় বেশ হাসি মুখে বল্লো, রান্না কেমন হয়েছে?

অনেস্ট অ্যান্সার: ভালোই, তবে আরেকটু রসুন দিলে বেশী মজা হতো, আর লবন টা স্লাইটলি কম হলে।

ফিডব্যাক: "হইসে! আর খাওয়া লাগবে না। আমি তো আসলে কিছুই পারি না!" বউ এর চোখ ছলছল।

তেল মারা অ্যান্সার: অসাধারন!!! তুমি আমাকে আর কত অবাক করবা! ফাইভ স্টারের মাস্টার শেফ ফেইল!

ফিডব্যাক: এক চামচ খেয়েই এতো কথা বলে দিলা!! চাপাবাজি টা একটু কমাও! সত্যিকারের কম্পলিমেন্ট দিতে শেখো!

ডিপ্লোম্যাটিক অ্যান্সার: খুব গম্ভীর কন্ঠে "ও! তুমি রেঁধেছো! আমি তো ভাবলাম শাশুড়ি আম্মা আমার জন্য রান্না করে পাঠিয়েছেন। তোমার রান্না তো পুরা আম্মার মতো!"

ফিডব্যাক: গদগদ মুখে, "আরেক টু খাও, এক চামুচ দেই?"

২) প্রশ্ন: অ্যাই, মেকআপ টা কেমন হইছে?

অনেস্ট অ্যান্সার: "একটু বেশী হয়ে গেছে কম হলে আরো ভালো লাগতো।"

ফিডব্যাক:রাগ করে মেকআপ তুলতে তুলতে, "যাবোই না আজ! আমি তো মেকআপ ই পারি না! তুমি যাও একা একা! পার্টি তে গিয়ে সুন্দরি দের সাথে ঢং করে আসো"

তেল মারা অ্যান্সার: "ও মাই গড! অসাম মেকআপ! কিভাবে এতো জোস মেকআপ করো!!"

ফিডব্যাক: না বুঝে বেশী কথা বলো!! আর ঠিক কথা বলবাই বা কিভাবে! আমার দিকে তো আর তাকাও না, চোখ থাকে অন্য মেয়ে দের দিকে!

ডিপ্লোম্যাটিক অ্যান্সার: বেশ কিছুক্ষন মুখের দিকে তাকিয়ে, "হুম, ন্যাচারাল হইছে"

ফিডব্যাক: উচ্ছ্বসিত হয়ে, "তুমি এতো কিছু বুঝো কিভাবে! বাহ! ইউ আর ঠু গুড"

৩) প্রশ্ন: শাড়ি টা আমাকে কেমন মানিয়েছে?

অনেস্ট অ্যান্সার: গ্রীন শাড়ি টা পড়লে দারুন লাগতো!

ফিডব্যাক: ক্যানো!!! গ্রীন শাড়ি কি তোমার এক্স কোনো গার্লফ্রেন্ডের পছন্দের রঙ?

তেল মারা অ্যান্সার: পুরা অপ্সরী! মনে হচ্ছে অ্যাফ্রোদিতি চলে এসেছে!

ফিডব্যাক: "এই সব তেল আমাকে দিবা না! বিরক্ত লাগে!"

ডিপ্লোম্যাটিক অ্যান্সার: "হুম! মাথায় রেখো, বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছো, বউ এর চেয়ে তোমাকে বেশী সুন্দর লাগলে কিন্তু সমস্যা"

ফিডব্যাক: আহ্লাদী কন্ঠে, "যাহ! কি যে বলো না!!"

ডিপ্লোম্যাটিক হোন, বিবাহিত জীবনে সুখে থাকুন।

জনস্বার্থে ও ব্যাক্তিগত নিরাপত্তায়: #সংগৃহীত

ধুম*পান ছেড়ে দেবার পর ৭ বছরে ধুম*পান বাবদ জমানো টাকা ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯৫ টাকা! চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার শাহিন নামের এক...
21/05/2025

ধুম*পান ছেড়ে দেবার পর ৭ বছরে ধুম*পান বাবদ জমানো টাকা ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯৫ টাকা!

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার শাহিন নামের এক ভদ্রলোক। ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর তিনি স্ত্রীকে কথা দেন, তিন আর ধুম*পান করবেন না।

স্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, "সিগা*রেট কেনার পেছনে প্রতিদিন আপনার কতো টাকা খরচ হয়?"

শাহিন জবাব দেন, "কোনোদিন ৫০ টাকা, কোনোদিন ১০০ টাকা, কোনোদিন ১৫০ টাকা।"

স্ত্রী পরামর্শ দিলেন, "ঠিক আছে, এখন থেকে আপনার সিগা*রেট কেনার খরচ আমার কাছে জমা রাখবেন। ঠিক আছে?"

সেই থেকে টাকা জমানো শুরু।

৭ বছর পর সঞ্চিত অর্থ ভেঙ্গে দেখা গেলো মোট ২,৪৫,০৯৫ টাকা হয়েছে। এই সাত বছর জনাব শাহিন যে টাকাগুলো ব্যয় করতেন সিগা*রেট কেনার পেছনে, সেই টাকা জমিয়ে রাখায় একসাথে এতো টাকা হয়েছে।

টাকাগুলো তিনি তার সন্তানদের পড়ালেখার পেছনে ব্যয় করবেন বলে জানান।

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকণা বিন্দু বিন্দু জল... কবিতার মতো দেখা যায় জনাব শাহিনের জমানো টাকা তার কাছে অনেকটা মহাদেশ, সাগরের মতো হয়ে গেছে।

যেকোনো বদ* অভ্যাস ত্যাগ করার পর সেই অভ্যাসের পেছনে আগে যতো টাকা খরচ হতো, সেগুলো জমানো শুরু হলে একসময় মোটা অংকের টাকা হয়ে যাবে। জনাব শাহিনের গল্প সিগা*রেট খোরদের জন্য যেমন শিক্ষণীয়, সাধারণ মানুষের জন্যও শিক্ষণীয়।
💙
©️মিম্বার-Minbar

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর ২০টি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে।নির্দেশনাগুলো হলো-১. বজ্র...
06/05/2025

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর ২০টি জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. বজ্রপাতের ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির ধাতব রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।
২. প্রতিটি বিল্ডিংয়ে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।
৩. খোলাস্থানে অনেকে একত্রে থাকাকালীন বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দূরে দূরে সরে যান।
৪. কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক কক্ষে না থেকে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।
৫. খোলা জায়গায় কোনো বড় গাছের নিচে আশ্রয় নেয়া যাবে না। গাছ থেকে চার মিটার দূরে থাকতে হবে।
৬. ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে দূরে থাকতে হবে। বৈদ্যুতিক তারের নিচ থেকে নিরাপদ দূতত্বে থাকতে হবে।
৭. ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির প্লাগগুলো লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
৮. বজ্রপাতে আহতদের বৈদ্যুতিক শকে মতো করেই চিকিৎসা দিতে হবে।
৯. এপ্রিল-জুন মাসে বজ্রপাত বেশি হয়। এই সময়ে আকাশে মেঘ দেখা গেলে ঘরে অবস্থান করুন।
১০. যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
১১. বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় থাকবেন না এবং ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।
১২. ঘন-কালো মেঘ দেখা গেলে অতি জরুরি প্রয়োজনে রাবারের জুতা পরে বাইরে বের হতে পারেন।
১৩. উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, তার, ধাতব খুঁটি ও মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।
১৪. বজ্রপাতের সময় জরুরি প্রয়োজনে প্লাস্টিক বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করুন।
১৫. বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, মাঠ বা উঁচু স্থানে থাকবেন না।
১৬. কালো মেঘ দেখা দিলে নদী, পুকুর, ডোবা, জলাশয় থেকে দূরে থাকুন।
১৭. বজ্রপাতের সময় শিশুদের খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন এবং নিজেরাও বিরত থাকুন।
১৮. বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠে থাকলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়ুন।
১৯. বজ্রপাতের সময় গাড়ির মধ্যে অবস্থান করলে, গাড়ির থাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না। সম্ভব হলে গাড়িটিকে নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।
২০. বজ্রপাতের সময় মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।

পোষ্টটি শেয়ার করে সকলকে সতর্ক করি এবং নিজে সতর্ক থাকি।

কমার্স ডিপার্টমেন্টের কয়েকজন ছাত্র ট্রেনে চড়ে কোথাও যাচ্ছিল এবং মার্কেটিং নিয়ে আলোচনা করছিল। একজন বয়স্ক ভদ্রলোক তাদের...
29/03/2025

কমার্স ডিপার্টমেন্টের কয়েকজন ছাত্র ট্রেনে চড়ে কোথাও যাচ্ছিল এবং মার্কেটিং নিয়ে আলোচনা করছিল। একজন বয়স্ক ভদ্রলোক তাদের আলোচনা মন দিয়ে শুনছিলেন আর মুচকি মুচকি হাসছিলেন।

হঠাৎ ভদ্রলোকটি ছাত্রদেরকে বললেন, আমি কি মার্কেটিং বিষয়টি সহজ দুএকটি কথায় ব্যাখ্যা করতে পারি?

ছাত্ররা কৌতূহলী হয়ে তার দিকে তাকাল।

ভদ্রলোক বলতে শুরু করলেন, মনে করো তুমি কোনো বিয়ে বাড়ীতে দাওয়াত খেতে গিয়েছ। তো সেখানে গিয়ে এক অসামান্য সুন্দরী মেয়ের দেখা পেলে।

তুমি তার কাছে গিয়ে বললে, "আমি উচ্চশিক্ষিত এবং ধনী। তুমি কি আমায় বিয়ে করবে?" এটাকে বলে সরাসরি বিপণন (ডাইরেক্ট মার্কেটিং)।

তোমার বন্ধু তার কাছে গিয়ে তোমাকে দেখিয়ে বলল, "ও উচ্চশিক্ষিত এবং ধনী। তুমি কি ওকে বিয়ে করবে?" এটাকে বলে বিজ্ঞাপন।

মেয়েটি নিজেই তোমার কাছে এগিয়ে এসে বলল, 'আপনি উচ্চশিক্ষিত এবং ধনী। আপনি কি আমায় বিয়ে করবেন?' এটাকে বলে ব্র্যান্ড ভ্যালু।

তুমি বিয়ের প্রস্তাব দেবার পর মেয়েটি জানাল যে, সে বিবাহিতা। এটাকে বলে চাহিদা ও জোগানের ফারাক (ডিম্যান্ড সাপ্লাই গ্যাপ)।

তুমি মেয়েটির কাছে গিয়ে কিছু বলার আগেই আরেকজন তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিল এবং মেয়েটি সম্মত হয়ে তার সাথে চলে গেল। এটাকে বলে প্রতিযোগিতা (কম্পিটিশন)।

মেয়েটি তোমার বিয়ের প্রস্তাব গ্রহণ করল এবং বছর ঘুরতেই তোমাদের একটি সন্তান হলো। একে বলে প্রোডাকশন (উৎপাদন)।

তুমি মেয়েটিকে বিয়ের অফার দেবার সাথে সাথে সে তোমার গালে ঠাস করে একটা চড় মারল। এটাকে বলে উপভোক্তার প্রতিক্রিয়া (কাস্টমার্স ফিডব্যাক)।

তুমি যখন মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সেই সময় তোমার স্ত্রী এসে উপস্থিত হল। এটাকে বলে নতুন ব্যবসাক্ষেত্রে প্রবেশ করার ঝুঁকি (রিস্ক অফ এন্টারিং নিউ মার্কেট)।"

ছাত্রদের আক্কেলগুড়ুম!🤣🤣

#সংগ্রহীত

নিয়তি আর সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে কিছু তিক্ত সত্য বলে যাওয়া যাক।একজন নারীর মনে প্রথম স্পর্শের স্মৃতি কখনো ফিকে হয় না। কিন্ত...
22/01/2025

নিয়তি আর সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে কিছু তিক্ত সত্য বলে যাওয়া যাক।

একজন নারীর মনে প্রথম স্পর্শের স্মৃতি কখনো ফিকে হয় না। কিন্তু অন্য কারো কাছে নিজেকে তুলে দেওয়ার পর, তার প্রেমিকের দৃষ্টিতে তিনি আর সেই আগের মানুষ থাকেন না। শীতের চাদর বদলের মতো যারা সহজেই প্রেমিক বদলায়, তাদের কাছে “লায়লী-মজনু”র প্রেম কাহিনীগুলো শুধুই গল্প। মনে নষ্টামি থাকলে আড়াল করেও তা বাইরে আসবেই। আবেগ তাদের কাছে পানির মতো সস্তা।

জীবন শুধু কবিতার ভালোবাসা দিয়ে চলে না। প্রেমের আগে বন্ধুত্বকে গুরুত্ব দাও। যার সঙ্গে সম্পর্ক, তাকে বোঝাও এই পৃথিবীতে “নিয়তি” বলে একটা অদৃশ্য শক্তি আছে। নিয়তি যদি একত্র না করে, তাহলে সেই বন্ধুত্বটুকু যেন টিকে থাকে।
কাউকে বলো না, “তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচব না।” বরং শেখাও, নিয়তি চাইলে আমাদের একা বাঁচতেও শিখতে হবে। হয়তো তোমাকে অন্য কারো জীবনে বন্দি হতে হবে, কিন্তু সুখী থেকো। কারণ তোমার সুখেই আমার শান্তি।

তুমুল ঝড়ে ভিটে-মাটি পড়ে থাকতে পারে। কিন্তু সেই ভিটে আঁকড়ে ধরে আবার জীবন গড়া যায়। বিচ্ছেদ হলেও সম্পর্কের সম্মানটুকু ধরে রাখ। মানুষের শরীর চলে গেলেও তার ভালোবাসা জীবন্ত থাকে।

এমন এক জীবন গড়ো, যেখানে কেউ তোমার ছায়া ধরে রাখার জন্য দরকার হবে না। কারণ প্রিয়জনেরা সবসময় পাশে থাকবে না। বৃষ্টিতে একা ভিজতে শিখো। জ্বর ভালোবাসার চুম্বনে সারে না, এ জন্য প্রয়োজন চিকিৎসা।

তাই জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসী হও, নিজের পথ নিজে গড়ে তোল, কারণ প্রিয়জনের ভালোবাসা কখনো শর্তহীন নয়।

অভাব থাকতেই ঘুরতে বের হোন। যখন টাকা থাকবে,তখন সময় থাকবেনা।
10/12/2024

অভাব থাকতেই ঘুরতে বের হোন।
যখন টাকা থাকবে,
তখন সময় থাকবেনা।

 #সঞ্চয়ের_নেশায়_জীবনের_স্বাদ_হারাবেন_না..চাকরি শুরু করতে না করতেই একদল সহকর্মী তাদের ব্যাংক-ব্যালেন্স, বিত্ত-বৈভবের গল্প...
29/10/2024

#সঞ্চয়ের_নেশায়_জীবনের_স্বাদ_হারাবেন_না..

চাকরি শুরু করতে না করতেই একদল সহকর্মী তাদের ব্যাংক-ব্যালেন্স, বিত্ত-বৈভবের গল্প শোনাবে। শুনতে শুনতে আপনারও লোভ হবে! তাদের সম্পদের সমপরিমাণ সম্পদ গড়ার জন্য আপনার বেতনের অধিক জমা করার ইচ্ছা জাগবে! যেহেতু আপনারও সুযোগ আছে! তাদের অমুক হয়েছে, তমুক হবে! এবার আপনিও পাল্লা দিয়ে শখ হ*ত্যা করে, পরিবারের সময় ছিনিয়ে নিয়ে সম্পদ জমা করতে শুরু করেছেন! শুধু এটুকু মনে রাখবেন, সামর্থ্যরে অধিক সঞ্চয়ের মনোবৃত্তি জীবনকে সহজ করে না বরং আরো জটিল করে। মানসিক দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা বাড়ায়। মাত্রাতিরিক্ত সঞ্চয়ের ইচ্ছা মানুষকে কঞ্জুস ধরনের কৃপণ করে।

যার কাছ থেকে আপনি সঞ্চয়ের গল্প শুনেছেন তার কাজের বয়স ১৫-২০ বছর। তার শখ ম*রে গেছে। তাকে টাকার নে*শায় ধরেছে। আপনার সীমিত আয়ের সবটাই যদি সঞ্চয়ে মনস্থির করেন তবে মোটামুটিভাবে আপনিও মরে গেছেন। সাধ্যের মধ্যে শখ পূরণের বাসনা যদি না থাকে, নিজেকে সম্পদ জড়ো করার গুদাম মনে হয়, তবে আপনি ঘুষ খাবেন, দুর্নীতি করবেন! মোটকথা নীতিহীন সব কাজের পক্ষে আপনার অবস্থান ও উপস্থিতি থাকবে। কেবল সঞ্চয়ের মনোভাব ভবিষ্যৎকে নিরাপদ করে না বরং আরো ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। এই সঞ্চয় সঞ্চয় খেলায় মানুষ হাশরও হারায়! কারো সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে সঞ্চয় করা মানেই মানুষ বাছ-বিচারের বোধ হারায়।

এখনো জীবন শুরুই হয়নি অথচ শুধু সঞ্চয় করার নে*শায় পেলে এই জীবনটার রং-রস, গন্ধ স্পর্শ করা হবে না। প্রিয়জন সময়-সঙ্গ পাবে না। অধিকাংশের সঞ্চয় সন্তানদের জন্য। কেননা যারা সঞ্চয় করে তাদের খুব কম মানুষেই নিজের সঞ্চয় ভোগ করতে পারে। ওষুধ-পথ্যে কিছুটা কাজে আসে হয়তো! সন্তানের জন্য সম্পদ সঞ্চয়ের চেয়ে শিক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। সন্তান মানুষ হলে তার চেয়ে বড় সঞ্চয় আর নেই।

নীতিপদ্ধতি ভুলে অর্থ কামাই করে তা সন্তানের জন্য সঞ্চয় করলে সেই সন্তান দুঃখের কারণ হবে। এক জীবনে কত অর্থ লাগে? আমাদের যে পরিমাণ লোভ তার সিকিভাগও সুখী জীবনের জন্য লাগে না। অথচ মনুষ্যত্ব খুইয়ে, সামাজিকতা ভুলে, ধর্ম-প্রথা ভেঙে আমরা সম্পদের জন্য শ*য়তানের সঙ্গে রোজ প্রতিযোগিতা করছি। পরিমাণ ভাবছি কি না জানি না। যে সম্পদ রেখে যাচ্ছি, যে সন্তান আমাদের উত্তরাধিকারী তা কিংবা তারা আদৌ কাজে আসবে কি না তা নিশ্চিত না। দুর্নীতিবাজ অভিভাবকদের সন্তানরা বিপথগামী সমাজ সাক্ষ্য দিচ্ছে। যেহেতু ভবিষ্যৎ আছে সেহেতু সঞ্চয় প্রয়োজন। তবে সেটা আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। মাত্রা অতিক্রম করা ঠিক হবে না। সৎভাবে সম্মান নিয়ে জীবিকা নির্বাহের পরে, অপচয় রোধ করে উদ্বৃত্ত অঙ্ক সঞ্চয় করা জরুরি। তবে সেই উৎসে যদি কারো বঞ্চনার হাহাকার থাকে, কারো চোখের পানির মিশেল থাকে কিংবা লেগে থাকে কারো দীর্ঘশ্বাস- তবে তা ধ্বংসের দরজা উন্মুক্ত করবে। বিত্ত-বৈভবের অভাব নেই অথচ সন্তান মানুষ হয়নি- এই জীবনের সব আয়োজন বৃথা। ত্যাগ করে যাদের ভোগের জন্য সম্পদ রেখে যাওয়া হচ্ছে তাদের ধ্বংসের কাজেও এই সঞ্চয় জ্বালানি হতে পারে।

ভো*গবাদীরা টাকাকে দ্বিতীয় ঈ*শ্বর বানিয়েছে। পুঁজিবাদীরা তাতে ঢেলেছে ফুয়েল। অথচ চাহিদার সঙ্গে সক্ষমতা ও নৈতিকতা মিল থাকা জরুরি ছিল। নৈতিকভাবে দেউলিয়া সমাজব্যবস্থা সে সুযোগ রাখেনি। তারা শিখিয়েছে, যেভাবে পার কামাই করো এবং জমাও। দেখিয়েছি, টাকার কাছে ক্ষমতা ও সততা অসহায়। অথচ মানুষের বিচার গুণে-মনে হওয়া উচিত ছিল; টাকাতে নয়।

লিখেছেন: #রাজু_আহমেদ

👉     এক শকুনের বাচ্চা তার বাপের কাছে বায়না ধরলো, -- "বাবা, আমি মানুষের মাংস খাব! "শকুন বলল--"ঠিক আছে বেটা, সন্ধ্যার সম...
05/09/2024

👉 এক শকুনের বাচ্চা তার বাপের কাছে বায়না ধরলো, -- "বাবা, আমি মানুষের মাংস খাব! "

শকুন বলল--"ঠিক আছে বেটা, সন্ধ্যার সময় এনে দেব। শকুন উড়ে গেল আর আসার সময় মুখে এক টুকরো শুকরের মাংস নিয়ে এসে বাসায় রাখলো ।

বাচ্চা বলল--"বাবা, এটা তো শুকরের মাংস, আমি মানুষের মাংস খেতে চাই।"

বাপ বলল --অপেক্ষা কর বাবা!

শকুনটা আবার উড়ে গেল আর আসার সময় এক মরা গরুর মাংস নিয়ে এলো।

বাচ্চা বলল --"আরে এটা তো গরুর মাংস নিয়ে এসেছ, মানুষের মাংস কোথায়?

এবার শকুনটা দুটো টুকরো একসাথে মুখে নিয়ে উড়াল দিল আর শুকরের মাংসটি একটা মসজিদের পাশে আর গরুর মাংস একটা মন্দিরের পাশে ফেলে দিয়ে চলে এলো!

কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে শুরু হলো দাঙ্গা! কয়েকশ মানুষের লাশ পড়ে গেল! তখন গাছের ডাল থেকে নেমে বাপ-বেটা মিলে খুব তৃপ্তিতে মানুষের মাংস খেল।

বাচ্চাটা খেতে খেতে জিজ্ঞেস করছে-- "বাবা, এত মানুষের মাংস এখানে কি করে এলো ?"

শকুন বললো -- "এই মানুষ জাতটাই এরকম। সৃষ্টিকর্তা এদেরকে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ হিসাবে সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু ধর্ম আর রাজনীতির নামে এদেরকে আমাদের থেকেও হিংস্র বানানো যেতে পারে! "

বাচ্চা বললো তুমি ধর্মকে ব্যবহার করলে কেন, কতগুলো নীরিহ লোক মারা গেল , রাজনীতি করলেই পারতে!

বাবা হেসে উত্তর দিল, তাতেও নিরীহ লোকগুলোই মারা পড়তো! ধর্মটা আবেগের যায়গা তাই ফলাফলটাও তাৎক্ষণিক! তুমি আজই খেতে চেয়েছিলে! রাজনীতি টা কুটিল এবং জটিল, এটি শুরু হতে সময় নেয় কিন্তু হলে আর থামেনা!

বাচ্চা বললো- "তোমার অনেক বুদ্ধি, বাবা"

শকুন -- "আরেহ, ধুর! এটা তো আমি মানুষের কাছ থেকেই শিখছি, এদের একটা অংশ যখনই কোন অনিষ্ট করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয় তখনই সহজ রাস্তা হিসেবে হয় ধর্মকে নয়তো রাজনীতিকে ব্যবহার করে!

#সংগ্রহিত

আমি প্রেমে পড়েছিলামএকবার, দুবার, বহুবার। কাউকে ভালোবাসিনি।একজনকে ভালোবেসেছিলামপ্রেম হলো না। জানলাম-শুধু ভালোবাসায় প্রেম ...
12/06/2024

আমি প্রেমে পড়েছিলাম
একবার, দুবার, বহুবার।
কাউকে ভালোবাসিনি।

একজনকে ভালোবেসেছিলাম
প্রেম হলো না।

জানলাম-
শুধু ভালোবাসায় প্রেম হয়না।
যেমন শুধু পিলারে ঘর হয়না!
ঘর হতে হলে ছাদ লাগে
প্রেম করতে হলেও ছাদ দরকার।

আমি ছাদ হতে পারিনি।
বড়জোর ছাতা হয়েছি, হালকা বৃষ্টিতে।
জোর ঝড়ে উড়ে গেছি,
ছাতা না থাকলে মানুষ অন্য ছাদের কার্নিশের তলে আশ্রয় নেয়।
আমি এতে দোষের কিছু দেখি না।

আমি জানলাম সবটা দিয়ে ছাতা হলেও প্রেম টেকে না
ছাদের কার্নিশ হতে হয়, ছোট হোক,
শক্ত সামর্থ্য হতে হয়।

আমি আকাশ হয়ে গেলাম।
আকাশ থেকে মেঘ।
মেঘ থেকে বৃষ্টি।
সে বৃষ্টি ভালোবাসতো।

বৃষ্টি হয়ে তাকে ছুঁয়ে যেতেই
সে কার্নিশের নিচে জড়সড় হলো।

আমার তাকে ছোঁয়া হলো না।
আমি রাস্তার ধারে নোংরা পানি হয়ে জমে রইলাম,
ভালোবাসার মত।

(প্রয়াত তানভীর ফুয়াদ রুমি)

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ভালোলাগা আর ভালবাসার কথা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ভালোলাগা আর ভালবাসার কথা:

Share

Category