Daily Jaijaikal

Daily Jaijaikal Jaijaikal is the national daily newspaper in Bangladesh. Our online version is www.jaijaikal.com Jaijaikal publishing news with truthfulness.
(2)

The online portal of Jaijaikal (jaijaikal.com) is the most visited Bengali website in the world.

তারেক রহমানের দেশে ফেরায় নিষেধাজ্ঞা নেই : তৌহিদ হোসেনযায়যায়কাল প্রতিবেদক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপির...
30/11/2025

তারেক রহমানের দেশে ফেরায় নিষেধাজ্ঞা নেই : তৌহিদ হোসেন

যায়যায়কাল প্রতিবেদক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে সরকারের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তিনি দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করলে একদিনের মধ্যেই এককালীন ভ্রমণ অনুমতি ইস্যু করা সম্ভব।

তিনি বলেন, ‘তিনি (তারেক রহমান) যদি আজ বলেন যে তিনি দেশে ফিরতে চান, আমরা আগামীকাল এককালীন ভ্রমণ অনুমতি ইস্যু করতে পারি। পরদিন তিনি বিমানযোগে দেশে আসতে পারবেন। কোনো সমস্যা নেই। এটি সম্পূর্ণভাবে তার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করছে।’

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রাসঙ্গিক ভূমিকা সংজ্ঞায়ণ’ শীর্ষক আলোচনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন। কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতি, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তৌহিদ বলেন, সরকার জানে না তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে কোন অবস্থানে আছেন। তিনি আরও বলেন, যদি তিনি দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, অন্য কোনো দেশের পক্ষ থেকে তাকে বাধা দেওয়া অস্বাভাবিক হবে।

উল্লেখ্য, কেউ যদি দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে কিন্তু বৈধ পাসপোর্ট না থাকে, সাধারণত সরকার এককালীন ভ্রমণ অনুমতি প্রদান করে, যা এক দিনেরও কম সময়ে সম্পন্ন হয়।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে তৌহিদ বলেন, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রতিবেশী ভারত নতুন বাস্তবতার সাথে মানিয়ে নিতে কিছু সময়ের প্রয়োজন, এবং তিনি আশা প্রকাশ করেন যে দুই দেশের কর্মসম্পর্ক শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে স্বার্থভিত্তিক আরও উন্নত কর্মসম্পর্ক চাই।’

তারেক রহমান দেশে না ফিরলে নির্বাচনী কার্যক্রমে কোনো বাধা দেখা দেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ বলেন, কোনো ব্যক্তির অনুপস্থিতি নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে তিনি মনে করেন না।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিষয়ে তৌহিদ বলেন, যদিও তিনি ভারতে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে নয়াদিল্লি কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা দেয়নি এবং তার প্রত্যাবর্তন নিয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে আসাদুজ্জামান খান কামাল সম্পর্কিত কোনো অফিসিয়াল তথ্য নেই। আমরা সবাই জানি তিনি ভারতে আছেন, কিন্তু আমাদের কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিত আকারে জানানো হয়নি। আমার কাছে কোনো তথ্য নেই যে তার ফেরত প্রক্রিয়া সম্পর্কিত কোনো আলোচনা শুরু হতে যাচ্ছে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, যেহেতু সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দণ্ডিত করা হয়েছে, বাংলাদেশ আশা করে যত দ্রুত সম্ভব ভারত থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হবে।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি বিশ্বের একমাত্র সীমান্ত যেখানে যুদ্ধ পরিস্থিতি ছাড়াই মানুষ নিহত হয়।

তিনি বলেন, ‘কেউ যদি অপরাধ করে, তাহলে (গুলি না চালিয়ে) বিচার ও শাস্তি দেওয়ার জন্য আদালত আছে।’

তৌহিদ বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের দ্বারা তার নাগরিকদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবে এবং নিন্দা জানাবে।

অনুষ্ঠানে ডিক্যাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান মামুনও বক্তব্য রাখেন।

বিডিআর হত্যাকাণ্ডে আ. লীগ দলগতভাবে জড়িত, মূল সমন্বয়কারী তাপস: তদন্ত কমিশনযায়যায়কাল প্রতিবেদক: ২০০৯ সালে তৎকালীন বাংলাদ...
30/11/2025

বিডিআর হত্যাকাণ্ডে আ. লীগ দলগতভাবে জড়িত, মূল সমন্বয়কারী তাপস: তদন্ত কমিশন

যায়যায়কাল প্রতিবেদক: ২০০৯ সালে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদর দপ্তরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ দলগতভাবে জড়িত এবং এর মূল সমন্বয়কারী ছিলেন সাবেক ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে এমনটাই উঠে এসেছে।

কমিশন রোববার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। এসময় কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আ ল ম ফজলুর রহমান ও অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

কমিশনের অপর সদস্যরা হলেন—মেজর জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. সাইদুর রহমান বীর প্রতীক, মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ যুগ্মসচিব, ড. এম. আকবর আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শরীফুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহনেওয়াজ খান চন্দন।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতি দীর্ঘদিন ধরে অন্ধকারে ছিল। আপনারা সত্য উদ্‌ঘাটনে যে ভূমিকা রেখেছেন জাতি তা স্মরণে রাখবে। জাতির পক্ষ থেকে আপনাদের প্রতি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।'

তিনি বলেন, 'ইতিহাসের এই ভয়াবহতম ঘটনা নিয়ে জাতির অনেক প্রশ্ন ছিল, এই কাজের মধ্য দিয়ে সেসব প্রশ্নের অবসান ঘটবে।'

তিনি বলেন, এই প্রতিবেদনে শিক্ষণীয় বহু বিষয় এসেছে। জাতির জন্য মূল্যবান সম্পদ হয়ে থাকবে এটি।

কমিশন প্রধান ফজলুর রহমান বলেন, তদন্তকাজ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ত্রুটিমুক্ত করার স্বার্থে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব বজায় রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, 'আমরা যখন কাজ শুরু করি তখন ১৬ বছর আগের এই ঘটনার বহু আলামত ধ্বংস হয়ে গেছে।'

'এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেকে বিদেশে চলে গেছেন। আমরা দুটো প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছি। সাক্ষীদের ডাকলাম, কারও কারও ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত বক্তব্য শুনেছি আমরা। যতক্ষণ তিনি বলতে চেয়েছেন। যারা তদন্তে জড়িত ছিল তাদের সঙ্গে কথা করেছি। তাদের তদন্তের রিপোর্ট কালেক্ট করেছি, অন্যান্য এলিমেন্ট কালেক্ট করেছি,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, এই তদন্তের মাধ্যমে বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে জনমনে থাকা প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে, উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করা হয়েছে কার কী ভূমিকা ছিল। কেন সেনাবাহিনী দাঁড়িয়ে থাকল অ্যাকশন নিল না।

তিনি বলেন, তদন্তে বিডিআর হত্যাকাণ্ডে বহিঃশক্তির সরাসরি সম্পৃক্ততা ও তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সরাসরি জড়িত থাকার শক্তিশালী প্রমাণ মিলেছে।

এসময় কমিশনের ফাইন্ডিংস সম্পর্কে জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, এই ঘটনা কিছু বাহ্যিক ও প্রকৃত কারণ বের করেছে কমিশন।

তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত এবং এর পেছনে প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেছিল তৎকালীন সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের রক্ষা করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ সরাসরি ভূমিকা রেখেছে। তারা ২০-২৫ জনের একটি মিছিল নিয়ে পিলখানায় ঢুকেছে এবং বের হবার সময় সেই মিছিলে দুই শতাধিক মানুষ ছিল।

তিনি বলেন, পুরো ঘটনাটি সংঘটিত করার ক্ষেত্রে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'গ্রিন সিগন্যাল' ছিল।

তিনি এই ঘটনার দায় নিরূপণের ক্ষেত্রে বলেন, দায় তৎকালীন সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সেনাপ্রধানেরও। এই ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে সমাধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও র‍্যাব এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোরও রয়েছে চরম ব্যর্থতা।

তিনি বলেন, ওই ঘটনার সময় কিছু প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং কয়েকজন সাংবাদিকের ভূমিকা ছিলো অপেশাদার।

তিনি বলেন, ওই হত্যাকাণ্ডের সময় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় (তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন) যেসব বিডিআর সদস্যদের সঙ্গে শেখ হাসিনা বৈঠক করেছে, তাদের সঠিক নাম, পরিচয় ও তথ্য সংরক্ষণ করা হয়নি।

কমিশন তাদের প্রতিবেদনে বেশকিছু সুপারিশ করে, যাতে করে ভবিষ্যতে বাহিনীগুলোতে এই ধরনের ঘটনা এড়ানো যায় এবং এই ঘটনার ভিকটিমরা ন্যায় বিচার পায়।

বৈঠকে অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হাফিজ ও স্বরাষ্ট্র সচিব নাসিমুল গনি।

সাগরপথে ফের যাত্রা শুরু, সেন্টমার্টিনে সীমিত প্রবেশমোঃ ওসমান গনি ইলি, কক্সবাজার: দীর্ঘ বিরতির পর ১ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজ...
30/11/2025

সাগরপথে ফের যাত্রা শুরু, সেন্টমার্টিনে সীমিত প্রবেশ

মোঃ ওসমান গনি ইলি, কক্সবাজার: দীর্ঘ বিরতির পর ১ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজার–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল পুনরায় শুরু হচ্ছে।

একই সঙ্গে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি—এই দুই মাস দ্বীপে রাত্রিযাপনের সুযোগও ফিরে আসছে। তবে দ্বীপের নাজুক পরিবেশ রক্ষায় প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটকই সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন।

সরকার ঘোষিত ১২ দফা নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে প্রয়োগ হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া জেটিঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল সাতটায় জাহাজ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেবে এবং পরদিন বিকেল তিনটায় দ্বীপ থেকে ফিরে আসবে। নিরাপত্তা বিবেচনায় এবার আর টেকনাফ ঘাট থেকে কোনো জাহাজ ছেড়ে যাবে না; সব জাহাজই সরাসরি নুনিয়ারছড়া থেকে বঙ্গোপসাগর পাড়ি দেবে।

চলাচলের অনুমতি পাওয়া চারটি জাহাজ হলো—এমভি কর্ণফুলি এক্সপ্রেস, এমভি বারো আউলিয়া, কেয়ারি সিন্দাবাদ এবং কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন। জাহাজ মালিকরা জানাচ্ছেন, নভেম্বরে রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ থাকায় পর্যটক কম ছিল, আর তাই জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। রাত্রিযাপনের অনুমতি ফিরতেই পর্যটক আগ্রহ আবার বেড়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, নুনিয়ারছড়া ও সেন্টমার্টিন—উভয় জেটিঘাতে পর্যটকদের নিবন্ধন, লাগেজ তল্লাশি এবং টিকিটের কিউআর কোড যাচাইয়ে বিশেষ নজরদারি থাকবে। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অনুমোদিত ওয়েব পোর্টাল ছাড়া অন্য কোনো উৎসের টিকিট গ্রহণযোগ্য হবে না। বিআইডব্লিউটিএ ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া দ্বীপে কোনো নৌযান চলতে পারবে না।

দ্বীপের পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারের ১২ দফা নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে রাতে সৈকতে আলো বা উচ্চশব্দ নিষিদ্ধ,বারবিকিউ পার্টি ও কেয়াবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ, কেয়া ফল সংগ্রহ, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ,কাছিম, পাখি, প্রবাল, রাজকাঁকড়া, শামুক-ঝিনুকসহ যেকোনো জীববৈচিত্র্য নষ্ট করলে কঠোর ব্যবস্থা। সৈকতে মোটরসাইকেল ও মোটরচালিত যান নিষিদ্ধ, নিষিদ্ধ পলিথিন বহন করা যাবে না। একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক ব্যবহার নিরুৎসাহিত, নিজস্ব ফ্লাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ।

সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর মতে, নতুন নির্দেশনাগুলো কঠোরভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ, প্রবালভিত্তিক বাস্তুতন্ত্র ও অনন্য জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা সম্ভব হবে এবং দ্বীপটি পরিবেশবান্ধব পর্যটনের একটি আদর্শ হিসেবে গড়ে উঠবে।

যায়যায়কালে সংবাদ প্রকাশের পর বোয়ালিয়া থানা পুলিশের হাতে আটক `ওয়ান ম্যান আর্মি' দাবি করা তারেক পাভেল ইসলাম মিমুল, প্রধান...
30/11/2025

যায়যায়কালে সংবাদ প্রকাশের পর বোয়ালিয়া থানা পুলিশের হাতে আটক `ওয়ান ম্যান আর্মি' দাবি করা তারেক

পাভেল ইসলাম মিমুল, প্রধান প্রতিবেদক উত্তরবঙ্গ: রাজশাহীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা তারেককে পুলিশ অবশেষে আটক করেছে।

তারেক সম্প্রতি নিজের প্রভাব ও ক্ষমতার বড়াই করে বলেছিলেন—“আমি ওয়ান ম্যান আর্মি, আমি থানা পরিচালনা করি। আমার কাছে ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বদলি!” এমন দাবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা ও নাগরিক ক্ষোভের জন্ম দেয়।

ঘটনাটি আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে আসে, যখন যায়যায়কালে তার বক্তব্য ও এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সংবাদটি সত্যতা, স্বচ্ছতা ও নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রচারের দিকনির্দেশনা বজায় রেখে তৈরি করা হয়েছে এবং দেশের সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত করেছে।

নিউজ প্রকাশের পর প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। অবশেষে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তারেককে আটক করতে সক্ষম হয়।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সময়ের সাহসী কর্মকর্তা, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ এর নির্দেশনায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন চৌকস পুলিশ টিম। অভিযানে অংশ নেন—এসআই মো. মিজানুর রহমান,
এসআই জীবন চন্দ্র বর্মন, এসআই মো. শরিফুল ইসলাম, এসআই বিলকিস খাতুন, এএসআই মো. আনোয়ার
কনস্টেবল মো. মুহিদুল হাসানসহ কয়েকজন সঙ্গীয় ফোর্স।

তাদের দ্রুত ও সুচারু পদক্ষেপে অবশেষে অভিযুক্তকে আটক করা সম্ভব হয়। পুলিশের পদক্ষেপে স্থানীয়রা স্বস্তি অনুভব করেন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

যায়যায়কাল এই ঘটনার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে যে, সংবাদ মাধ্যমের দায়িত্ব শুধুমাত্র খবর সরবরাহ করা নয়, বরং জনমতের সঠিক প্রতিবিম্ব, দেশের সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষপাতিত্ব বজায় রাখা। প্রবাসী ও অভ্যন্তরীণ পাঠকের জন্যও এটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নিউজটি স্বচ্ছ ও নির্ভরযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি, যা প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করেছে।

তারেকের প্রভাব খাটানোর হুমকি ও থানা নিয়ন্ত্রণের দাবিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। সংবাদ প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। অনেকেই প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপের জন্য স্বস্তি প্রকাশ করেন।

পুলিশের প্রতিশ্রুতি ও থানার প্রক্রিয়াতে এসআই মো. মিজানুর রহমান বলেন,"আইনের বাইরে কেউ নয়। যারা অযথা বড়াই করে প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে,তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

বর্তমানে তারেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের করা হবে।

যায়যায় কালের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার মান বজায় রেখে,প্রতিটি তথ্যের সত্যতা যাচাই করেছে। সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে সাথে প্রশাসন সক্রিয় হয়েছে,যা দেশের সাধারণ মানুষের প্রতি স্বচ্ছতা,জবাবদিহিতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার গুরুত্বকে আরও সামনে এনেছে।

আটকের এ বিষয়ে জানতে চাইলে,বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা জানতে পারি অপরাধী নিজ ভাড়া বাসায় আসবে। অপরাধীকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ টিকাপাড়া বাসার রোড় এলাকায় সাদা পোশাক অবস্থান নেন। অভিযান চালিয়ে বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধী থানার এজারভুক্ত দুইটি মামলার আসামি। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

খুলনায় আদালত এলাকায় গুলি করে ও কু^পিয়ে দুজনকে হ^ত্যাখুলনা প্রতিনিধি: হাজিরা দিতে খুলনার আদালতে আসা দুই ব্যক্তিকে গুলি কর...
30/11/2025

খুলনায় আদালত এলাকায় গুলি করে ও কু^পিয়ে দুজনকে হ^ত্যা

খুলনা প্রতিনিধি: হাজিরা দিতে খুলনার আদালতে আসা দুই ব্যক্তিকে গুলি করে ও কু^পিয়ে হ^ত্যা করা হয়েছে।

রোববার বেলা সোয়া ১২টার দিকে খুলনা জেলা জজ আদালতের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন খুলনা সদর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, নিহত দুজন হলেন মো. ফজলে রাব্বি (রাজন) ও হাসিব হাওলাদার।

পুলিশ জানায়, রাজনের নামে ছয়টা মামলা আছে। হাসিবের নামেও একাধিক মামলা আছে। দুজনই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সহযোগী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জামিনে থাকা দুজন আসামি আদালতে হাজিরা দিয়ে আদালত ফটকের সামনে মোটরসাইকেল রেখে চা পান করতে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় চার থেকে পাঁচজন দুর্বৃত্ত হেঁটে এসে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।

গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা দুজন মাটিতে পড়ে গেলে দুর্বৃত্তরা চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কু^পিয়ে জখম করে তাদের। দুর্বৃত্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত দুজনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

গুলিবিদ্ধ হাসিবের ভাই শাকিল হাওলাদার বলেন, কিছুদিন আগে তার ভাইয়ের নামে একটা অস্ত্র মামলা হয়। সেই মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে এসেছিলেন তার ভাই।

সাগর–রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পেছাল ১২২ বারযায়যায়কাল প্রতিবেদক: সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরু...
30/11/2025

সাগর–রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পেছাল ১২২ বার

যায়যায়কাল প্রতিবেদক: সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আজ রোববারও আদালতে জমা পড়েনি।

এ নিয়ে এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১২২ বার পেছানো হলো।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে রোববার এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য দিন ছিল। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পক্ষ থেকে রোববার আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি।

আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন দিন ঠিক করেছেন ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

হত্যার এক যুগ পর সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির মামলার তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে দেওয়া হয়। গত বছরের ৪ নভেম্বর মামলার আগের তদন্ত সংস্থা র‍্যাবের কাছ থেকে নথিপত্র বুঝে নিয়েছে পিবিআই। সংস্থাটি এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।

মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক।

তিনি সে সময় বলেছিলেন, ‘র‍্যাবের কাছ থেকে মামলাসংশ্লিষ্ট সব কাগজ বুঝে পেয়েছি। তদন্তকাজ নতুন করে শুরু করেছি।’

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় এই সাংবাদিক দম্পতি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালের সামনে ভিড়যায়যায়কাল প্রতিবেদক: বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দে...
30/11/2025

খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালের সামনে ভিড়

যায়যায়কাল প্রতিবেদক: বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে ভিড় করছেন দলের নেতা–কর্মীরা।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে ভিড় দেখা যায়।

রাজধানীর উত্তরখান থেকে এসেছেন থানা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এখানে আসছি আপডেটটা জানার জন্য। আসতে নিষেধ করা হলেও মন তো মানে না। মনের টানে, ভালোবাসা টানে আসছি।’

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম ফজলুল হক মিলন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তার চিকিৎসকেরা বলতে পারবেন। খালেদা জিয়া যাতে সুস্থ হয়ে যান, সে জন্য তিনি সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানান।

খালেদা জিয়াকে দেখতে এসেছেন সিংড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবিদুর রহমান খান রোমান।

তিনি প্রথম বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ। তিনি ফিরে আসুন—এটি আমাদের চাওয়া। আমরা বলি, আল্লাহ, তুমি তাকে রোগমুক্ত করে আমাদের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে ফিরিয়ে দাও।’

হাসপাতালের ভেতরে গেলেও দেখা করার সুযোগ পাননি বলে জানান বিএনপির এই নেতা। কেবল চিকিৎসকেরাই খালেদা জিয়ার কাছে যেতে পারছেন বলে জানান তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের গুজবে কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান মানিকগঞ্জ থেকে আসা বিএনপির এই নেতা।

টাঙ্গাইল থানা বিএনপির সহসভাপতি আসিফুজ্জামান আসিফ দাঁড়িয়ে ছিলেন হাসপাতালের সামনে।

তিনি বলেন, ‘বাইরে অপেক্ষা করতেছি, তার সুস্থতার জন্য দোয়া করতেছি। শুনলাম, আজকে সকাল থেকে তিনি কথা বলতেছেন। শুনে খুব ভালো লাগল।’

৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনির জটিলতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন।

গত রোববার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে দ্রুত তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি এখন হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রয়েছেন।

মেডিকেল বোর্ডের দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে। গত শুক্রবার রাতে তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বিএনপির নেতারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবারের চেয়ে গতকাল খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় সামান্য উন্নতি দেখা গেছে। তবে সামগ্রিক সংকট কাটেনি। বিশেষত কিডনির কার্যকারিতা মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় তাকে টানা চার দিন ডায়ালাইসিস করতে হয়েছে।

চিকিৎসকেরা পরিস্থিতিকে এখনো ‘গুরুতর’ হিসেবে বিবেচনা করছেন। তাদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, আগামী কয়েকটি দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিডনি কার্যক্ষমতায় স্থিতিশীলতা ছাড়া তার সামগ্রিক শারীরিক অবস্থায় স্থায়ী উন্নতি আসা কঠিন।

খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবরে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে ভিড় করছেন নেতা-কর্মীরা। কেউ কেউ বিভিন্ন ব্যানারে গণমোনাজাত কর্মসূচি করেছেন। এতে ওই এলাকায় যান চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতা-কর্মীদের সেখানে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

তারেক রহমানের দেশে ফেরায় সরকারের কোনো বাধা নেই: প্রেস সচিবযায়যায়কাল প্রতিবেদক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান...
30/11/2025

তারেক রহমানের দেশে ফেরায় সরকারের কোনো বাধা নেই: প্রেস সচিব

যায়যায়কাল প্রতিবেদক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বিধি নিষেধ বা আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, তারেক রহমানের সাম্প্রতিক বক্তব্যে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, তার দেশে ফেরা এখন আর একক সিদ্ধান্তের বিষয় নয়।

এই প্রসঙ্গ তুলে ধরে এ বিষয়ে তিনি সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেন এবং জানান, তারেক রহমানের বাংলাদেশ প্রত্যাবর্তনে সরকারের কোনো বিধি নিষেধ বা আপত্তি নেই।

প্রেস সচিব আরও জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তাঁর সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন, সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাযায়যায়কাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবা...
30/11/2025

মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া চিকিৎসা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন, সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা

যায়যায়কাল প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের দেয়া চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

শনিবার রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে গণমাধ্যমকে সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক জাহিদ একথা জানান। যিনি খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডেরও সদস্য।

তিনি বলেন, ‘গত তিনদিন ২৭, ২৮ ও আজকে ২৯ তারিখ আলহামদুলিল্লাহ উনার অবস্থা একই পর্যায়ে আছে।

এটাকে আমরা ডাক্তারি ভাষায় যদি বলি ‘শি ইজ ম্যানটেইনিং দি ট্রিটমেন্ট অর্থাৎ চিকিৎসকরা যে চিকিৎসা দিচ্ছেন এই চিকিৎসা উনি গ্রহণ করতে পারছেন। কাজেই এই চিকিৎসা যাতে উনি গ্রহণ করে সুস্থ হয়ে যেতে পারেন সেই জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন এটাই আমাদের আহ্বান।’

বিদেশে নেয়ার বিষয়ে অধ্যাপক ডা. জাহিদ বলেন, ‘বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে সার্বিকভাবে উনার শারীরিক সুস্থতা এবং মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত এবং সুপারিশের ওপর। সেই সিদ্ধান্ত এবং সুপারিশ পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে গ্রহণ করা হবে। আপনাদেরকে জানানো হবে।’

২৩ নভেম্বর রাতে বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বেগম খালেদা জিয়া। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, তার ফুসফুসে ইনফেকশন হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের শারীরিক অবস্থা ‘সংকটাময়’ বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

জাহিদ বলেন, ‘গত ২৭ তারিখ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)’ রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

ম্যাডামের চিকিৎসা কার্যক্রম সার্বক্ষণিকভাবে তদারক করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং উনি সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসকদের সাথে, মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে চিকিৎসা কার্যক্রম যাতে কোন অবস্থাতেই ব্যহত না হয় সেই লক্ষ্যে উনি সার্বিক সহযোগিতা এবং দিক নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘এছাড়া ম্যাডামের পাশে ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর সহধর্মনী সৈয়দা শামিলা রহমান, উনার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারসহ সকল আত্মীয় স্বজন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সকল নেতৃবৃন্দসহ সবার সার্বিক সহযোগিতায় এবং এভারকেয়ার হসপিটালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা এবং নার্সদের সহযোগিতায় বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা এখানে চলছে।’

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘ম্যাডামের চিকিৎসার ব্যাপারে আমরা ইউকে এবং কিংডম অফ সৌদি অ্যারাবিয়া, সিঙ্গাপুর এবং চীন, যুক্তরাষ্ট্রের জন হোপকিংস এবং মাউন্ট সিনাইসহ বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকদের যৌথ আলাপ আলোচনার ভিত্তিতেই ম্যাডামের চিকিৎসা এখানে অব্যাহত আছে এবং চিকিৎসা অব্যাহত থাকবে।’

অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ‘আমরা আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে এবং সকল মানুষের কাছে উনার সুস্থতার জন্য আমরা দোয়া চাই।’

‘প্রধান উপদেষ্টসহ উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যরা, অনেকেই উনার জন্য দোয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সেজন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।'

এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি মহাসচিব বেগম খালেদা জিয়া ছাড়াও তিনশ’ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন, তাদের চিকিৎসা সেবা যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য হাসপাতালে দলীয় নেতা-কর্মীদের ভিড় না করার জন্য অনুরোধ জানান অধ্যাপক ডা. জাহিদ।

বিভিন্ন দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপার্সনের চিকিৎসার ব্যাপারে দেশের বাইরের অনেক রাষ্ট্রপ্রধান, অনেক সরকার প্রধান, অনেক দেশ তাদের আগ্রহের কথা তাদের উৎকণ্ঠার কথা তারা প্রকাশ করেছেন। সেজন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এবং সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।’

30/11/2025

বরেণ্য সংগীতশিল্পী সৈয়দ আব্দুল হাদী বললেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান বিভিন্ন দেশে সুনাম অর্জন করেছে Glamour Touch Fashion Multimedia

এক নজরে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনবেগম খালেদা জিয়া (জন্ম: ১৫ আগস্ট ১৯৪৫) একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি ১...
28/11/2025

এক নজরে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবন

বেগম খালেদা জিয়া (জন্ম: ১৫ আগস্ট ১৯৪৫) একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি ১৯৯১-১৯৯৬ সাল এবং ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী রূপে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর মাঝে দ্বিতীয় নারী সরকারপ্রধান।

তার স্বামী জিয়াউর রহমানের শাসনকালে তিনি ফার্স্ট লেডি ছিলেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র চেয়ারপার্সন ও দলনেত্রী, যা তার স্বামী জিয়াউর রহমান কর্তৃক ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৮২ সালে সেনাবাহিনী প্রধান লেফট্যানেন্ট জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে পরিচালিত সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে ১৯৯০ সালে সামরিক স্বৈরশাসক হিসেবে এরশাদের পতনের পূর্ব পর্যন্ত খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের জন্য চলমান আন্দোলনে নেতৃত্বদানের মাধ্যমে সহায়তা করেন। ১৯৯১ এর নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৯৬-এর স্বল্পস্থায়ী সরকারেও তিনি দায়িত্বপালন করেন,যখন কিনা অন্য দলগুলো উক্ত নির্বাচনকে বর্জন করেছিল। ১৯৯৬ সালের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। খালেদা জিয়ার দল পুনরায় ক্ষমতায় আসে ২০০১ সালে। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি নিজস্ব ৫টি সংসদীয় আসনের সবগুলোতেই জয়ী হন। ফোর্বস সাময়িকীর বিশ্বের ১০০ ক্ষমতাবান নারী নেতৃত্বের তালিকায় ২০০৪ সালে জিয়ার অবস্থান ১৪তম, ২০০৫ সালে ২৯তম, ও ২০০৬ সালে ৩৩তম।

২০০৬ সালে তার সরকারের নির্ধারিত শাসনকাল শেষ হওয়ার পর, ২০০৭ সালে নির্ধারিত নির্বাচন রাজনৈতিক সহিংসতা ও অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে বিলম্বিত হয়, ফলশ্রুতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক সামরিক পদ্ধতিতে রক্তপাতবিহীন ক্ষমতা অধিগ্রহণ করা হয়। উক্ত সরকারের সময়কালে, খালেদা জিয়া তার দুই সন্তানসহ দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হন। যদিও পরবর্তীতে এসব মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি ও খালাস পান।

গত দুই দশকের অধিকাংশ সময়ে, খালেদা জিয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তারা অনুক্রমিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন

বেগম খালেদা জিয়ার জন্ম নাম খালেদা খানম পুতুল। আগস্ট ১৫, ১৯৪৫ সালে দিনাজপুরে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। তিন বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। ভাইয়েরা সবার ছোট। তার পিতামহ হাজী সালামত আলী, মাতামহ জলপাইগুড়ির তোয়াবুর রহমান। বাবা জনাব ইস্কান্দর মজুমদার এবং মা বেগম তৈয়বা মজুমদার। দিনাজপুর শহরের মুদিপাড়া। আদি পৈতৃকনিবাস ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ী। বাবা জনাব ইস্কান্দর মজুমদার ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। ইস্কান্দার মজুমদার ১৯১৯ সালে ফেনী থেকে জলপাইগুড়ি যান। বোনের বাসায় থেকে মেট্রিক পাস করেন ও পরে চা ব্যবসায়ে জড়িত হন। ১৯৩৭ সালে জলপাইগুড়িতে বিয়ে করেন। জলপাইগুড়ির নয়াবস্তি এলাকায় ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বসবাস করেন এবং ১৯৮৪ সালের ১৫ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। মা বেগম তৈয়বা মজুমদার ছিলেন একান্তভাবে একজন গৃহিণী । তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেই থাকতেন। খালেদা পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুরের মিশন স্কুলে ভর্তি হন এরপর তিনি দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন একই বছর তিনি জিয়াউর রহমানকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে তিনি খালেদা জিয়া বা বেগম খালেদা জিয়া নামে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি স্বামীর সাথে পশ্চিম পাকিস্তান এ বসবাসের পূর্বে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত দিনাজপুরের সুরেন্দ্রনাথ কলেজ এ পড়াশোনা করেন।

তার স্বামী বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান বীরউত্তম। ১৯৬০ সালের আগস্ট মাসে জিয়াউর রহমানের সাথে তার বিয়ে হয়। জিয়া তখন ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন। ডি এফ আই এর কর্মকর্তা রূপে তখন দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন। তার এক ভাই মেজর(অবঃ) সাঈদ এস্কান্দার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে ফেনী-১ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তার দুই ছেলের মধ্যে বড় তারেক রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি মালায়া হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। আরাফাত রহমান একজন ব্যবসায়ী ছাড়াও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও সিটি ক্লাবের সাথে যুক্ত ছিলেন।

১৯৬৫ সালে খালেদা জিয়া স্বামীর সাথে পশ্চিম পাকিস্তানে (বর্তমানে পাকিস্তান)যান। ১৯৬৯ সালের মার্চ পর্যন্ত করাচিতে স্বামীর সাথে ছিলেন। এরপর ঢাকায় চলে আসেন। কিছুদিন জয়দেবপুর থাকার পর চট্টগ্রামে স্বামীর কর্মক্ষেত্র স্থানান্তরিত হলে তার সঙ্গে সেখানে এবং চট্টগ্রামের ষোলশহর অঞ্চলে বসবাস করেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভকালে খালেদা জিয়া কিছুদিন আত্মগোপন করে থাকার পর ১৬ মে নৌপথে ঢাকায় চলে আসেন। বড় বোন খুরশিদ জাহানের বাসায় ১৭ জুন পর্যন্ত থাকেন। ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল জামশেদের অধীনে বন্দী ছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তিনি মুক্তি পান। রাজনীতিতে আসার আগ পর্যন্ত বেগম জিয়া একজন সাধারণ গৃহবধূ ছিলেন। মূলত দুই পুত্রকে লালন পালন ও ঘরের কাজ করেই সময় কাটাতেন। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীনও রাজনীতিতে বেগম জিয়ার উপস্থিতি ছিল না।

প্রাথমিক রাজনৈতিক জীবন

১৯৮১ সালের ৩০ মে এক সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান নিহত হন। এরপর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মীদের আহ্বানে তিনি ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এরশাদ বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। বেগম জিয়া এর বিরোধিতা করেন। ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন।[২২] ১৯৮৩ সালের ১ এপ্রিল দলের বর্ধিত সভায় তিনি প্রথম বক্তৃতা করেন। বিচারপতি সাত্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৪ সালের ১০ মে দলের চেয়ারপার্সন নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বেই মূলত বিএনপির পূর্ণ বিকাশ হয়।

এরশাদবিরোধী আন্দোলন

১৯৮৩ সালের বেগম জিয়ার নেতৃত্বে সাত দলীয় ঐক্যজোট গঠিত হয়। একই সময় এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন আরম্ভ হয়। বেগম জিয়া প্রথমে বিএনপিকে নিয়ে ১৯৮৩ এর সেপ্টেম্বর থেকে ৭ দলীয় ঐক্যজোটের মাধ্যমে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সূচনা করেন। একই সময় তার নেতৃত্বে সাত দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন পনেরো দলের সাথে যৌথভাবে আন্দোলনের কর্মসূচির সূত্রপাত করে। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ দফা আন্দোলন চলতে থাকে। কিন্তু ১৯৮৬ সালের ২১ মার্চ রাতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে বাধার সৃষ্টি হয়। ১৫ দল ভেঙে ৮ দল ও ৫ দল হয়। ৮ দল নির্বাচনে যায়। এরপর বেগম জিয়ার নেতৃত্বে ৭ দল, পাঁচ দলীয় ঐক্যজোট আন্দোলন চালায় এবং নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে। ১৯৮৭ সাল থেকে খালেদা জিয়া "এরশাদ হটাও" শীর্ষক এক দফার আন্দোলনের সূত্রপাত করেন। এর ফলে এরশাদ সংসদ ভেঙে দেন। তারপর পুনরায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের উপক্রম হয়। অবশেষে দীর্ঘ আট বছর অবিরাম, নিরলস ও আপোসহীন সংগ্রামের পর ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বিএনপি এবং খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সেই নির্বাচনে খালেদা জিয়া মোট পাঁচটি আসনে অংশ নিয়ে পাঁচটিতেই জয়লাভ করেন।

খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রীত্ব

প্রধানমন্ত্রিত্বের ১ম মেয়াদকাল

১৯৯১ সালের ১৯ মার্চ বেগম খালেদা জিয়া পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। তার সরকার দেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রতিষ্ঠিত করে। ২ এপ্রিল তিনি সংসদে সরকারের পক্ষে এই বিল উত্থাপন করেন। একই দিন তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ কে স্বপদে ফিরে যাবার ব্যবস্থা করে একাদশ সংশোধনী বিল আনেন। ৬ আগস্ট ১৯৯১ সালের সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে দুটি বিল পাশ হয়।

প্রধানমন্ত্রিত্বের ২য় মেয়াদকাল

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। যা পরবর্তীতে ৯৬ এর একদলীয় নির্বাচন হিসেবে গণ্য হয়। সকল বিরোধীদলের আপত্তির পর ও খালেদা জিয়া ও তার দল এই একক নির্বাচন করেন। আওয়ামী লীগ সহ সব বিরোধী দল এই নির্বাচন বয়কট করে। এই সংসদ মাত্র ১৫ দিন স্থায়ী হয়। খালেদা জিয়া এই সংসদের ও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। প্রবল গণ আন্দোলন ও বর্হিবিশ্বের চাপে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিল পাস হয় এবং খালেদা জিয়া পদত্যাগ করেন।

প্রধানমন্ত্রিত্বের ৩য় মেয়াদকাল

অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোট ও জাতীয় পার্টির সাথে চারদলীয় ঐক্যজোট গঠন করে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোট বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। খালেদা জিয়া এই সংসদেও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর এই সংসদের মেয়াদ শেষ হয়।

প্রধানমন্ত্রীত্ব-পরবর্তী

বিরোধীদলীয় নেতৃত্বের ১ম মেয়াদকাল

১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মোট ১১৬ আসনে জয় লাভ করে, যা সরকার গঠনে যথেষ্ট ছিল না। আওয়ামী লীগ মোট ১৪৭ আসন লাভ করে, তারা জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে। বিএনপি সপ্তম সংসদে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বিরোধী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। বেগম খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগের পাঁচ বছর শাসনকালে সংসদে বিরোধী দলনেত্রী ছিলেন।

তিনি ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর ৩ তারিখে দুর্নীতির অভিযোগে পুত্রসহ আটক হন। ২০০৮ সালের ১১ই সেপ্টেম্বার তিনি সর্বোচ্চ বিচারালয়ের নির্দেশে মুক্তিলাভ করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক বন্দী হবার পর দীর্ঘ এক বছর সাত দিন কারাগারে অবস্থানকালে তার বিরুদ্ধে চলতে থাকা কোন অভিযোগেরই উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি হয়নি এবং চলতে থাকা তদন্তে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি।

বিরোধীদলীয় নেতৃত্বের ২য় মেয়াদকাল

২০০৮ সালের ডিসেম্বরে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করে যেখানে জিয়ার দল আওয়ামী লীগ এবং তার মহাজোটের কাছে হেরে যায় যা সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়েছিল। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন, এবং তার দল ২০০৯ সালের প্রথম দিকে সরকার গঠন করে। জিয়া সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হন।[২৪]

জিয়ার দল একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরিচালিত না হওয়া পর্যন্ত ২০১৪ সালের বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার একটি অবস্থান নিয়েছিল, কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

মামলা

৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের দায়ে তার ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। এরপরই তাকে বন্দী করে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০২৪ সালে এই মামলাতেও তিনি খালাস পান।

সেনানিবাসের বাসা ত্যাগ

১৩ নভেম্বর ২০১০ বেগম জিয়া তার ২৮ বছরের আবাসস্থল ছেড়ে যান। তিনি অভিযোগ করেন যে তাকে বলপ্রয়োগে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। তবে সরকারি পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি স্বেচ্ছায় বাড়ি ত্যাগ করেছেন।[২৯] স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকে অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসেবে জিয়াউর রহমানের সাথে শহীদ মইনুল সড়কের ৬ নম্বর বাড়িতে ওঠেন খালেদা জিয়া। ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়া চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হলে ১২ জুন তৎকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তার সেনানিবাসের ওই বাড়িটি খালেদার নামে বরাদ্দ দেন।

বিদেশ সফর

২০১২ সালে বেগম খালেদা জিয়া একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিদেশ সফর করেন। আগস্টে তিনি রাজ পরিবারের আমন্ত্রণে সৌদি আরবে যান এবং পবিত্র ওমরাহ পালন করেন। এই সফরে তিনি সৌদি রাজপুত্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের সাথে সাক্ষাত করেন। তাদের বৈঠকে দ্বিদেশীয় সম্পর্ক ও সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রম বাজারের সংকট উত্তরণের বিষয়ে আলোচনা হয়।

অক্টোবরে খালেদা জিয়া চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সফর করেন। সফরকালে তিনি চীনের রাষ্ট্রীয় ও দলীয় ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সাথে দেখা করেন। চীনের উপ-রাষ্ট্রপতি ও ভবিষ্যত একচ্ছত্র নেতা শি জিনপিংয়ের সাথে বৈঠকে তিনি বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও পদ্মা সেতু নির্মাণে বিনিয়োগের ব্যাপারে আলোচনা করেন। বৃহত্তর অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক বিষয়াবলিও তাদের আলোচনায় উঠে আসে। শি জিনপিং ছাড়াও খালেদা জিয়া কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিষয়ক প্রধান ওয়াং চিয়ারুইয়ের সাথে দেখা করেন। উল্লেখ্য এ বছরের মাঝামাঝিতে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সম্ভাব্য মূল অর্থদাতা বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলে বিশ্ব ব্যাংককে অনুসরণ করে একাধিক দাতা সংস্থা ঋণদান থেকে সরে দাঁড়ায় ও প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়।

বেগম জিয়ার চীন সফর সম্পন্ন হওয়ার একদিন পর তার রাজনৈতিক দল বিএনপি ঘোষণা দেয় যে চীনা নেতৃবৃন্দ দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে চীন সরকারের বিনিয়োগের বিষয়ে খালেদা জিয়াকে নিশ্চিত করেছেন।

একই মাসে খালেদা জিয়া ভারত সরকারের আমন্ত্রণে ভারত সফরে যান। সফরের শুরুতে তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় বিরোধী দলীয় প্রধান ও বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজের সাথে বৈঠক করেন। সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, পররাষ্ট্র মন্ত্রী সালমান খুরশিদ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশংকর মেনন ও পররাষ্ট্র সচিব রঞ্জন মাথাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন । খালেদা জিয়ার ভারত সফরের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল দ্বিদেশীয় সম্পর্ক, সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা, তিস্তা পানি চুক্তি এবং বৃহত্তর অঞ্চলের ভূরাজনীতি ও নিরাপত্তা।

খালেদা জিয়া দীর্ঘস্থায়ী কিডনি অবস্থা, পচনশীল যকৃতের রোগ, অস্থির হিমোগ্লোবিন, ডায়াবেটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং অন্যান্য বয়সজনিত জটিলতায় ভুগছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে খালেদা জিয়া করোনা-ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তার বাসা ফিরোজার আরো ৮ জনের করোনা-ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। ২০২২ সালে তিনি খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি জিয়াকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে স্থানান্তর করা হয়। তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

২০২৫ সালের ৭ জানুয়ারি রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমীরের পাঠানো বিশেষ এয়ার এম্বুলেন্সে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন এবং ৮ জানুয়ারি লন্ডনে পৌঁছান।

মুক্তি
২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর তিনি মুক্তি পান। ৫ আগস্টের মুক্তির কিছুদিন পর ১৯ আগস্ট ২০২৪ সালে, জিয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, যা ২০০৭ সাল থেকে জব্দ করা হয়েছিল, তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দ্বারা অবরোধ মুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পদক ও সম্মাননা
২০১১ সালের ২৪ শে মে নিউ জার্সি স্টেট সিনেটে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ’ফাইটার ফর ডেমোক্রেসি’ পদক প্রদান করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট সিনেট কর্তৃক কোন বিদেশিকে এ ধরনের সম্মান প্রদানের ঘটনা এটাই ছিল প্রথম।

পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই তাকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা দেয় কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও) নামের একটি সংগঠন। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি উক্ত দাবি করার পাশাপাশি কানাডার এই প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া ক্রেস্ট ও সনদপত্র সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করে।

Address

120/A, Motijheel C/A
Dhaka
1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Daily Jaijaikal posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Daily Jaijaikal:

Share