23/05/2025
🫶🫶প্রতিটি নারীর এই জীবনে একটাই সখ থাকে সে মা হবে তার কোল আলো করে আসবে সন্তান। যে সন্তান পুরো পৃথিবীর কাছে তার পরিচয় করিয়ে দেবে একজন মা হিসেবে।সেই সন্তানকে নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে যায় মনের অজান্তে।
🫶🫶যখন একজন মা কনসিভ করে অথবা বলতে পারেন কনসিভ করার বহু আগে থেকেই বাচ্চা নরমালে হবে নাকি সিজারের এটা নিয়ে একটা পরিকল্পনা করতে থাকে। অনেকের মতে বাচ্চা নরমালে হলে কষ্ট কিছুক্ষণের জন্য আর অল্প কিছু সময়ের মধ্যে মা এবং বাচ্চা দুজনেই সুস্থ থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আবার অনেকের মতে সিজারে বাচ্চা হলে কষ্ট কম, ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পরে কোনরকম কষ্ট ছাড়া পেটটা কেটে বাচ্চাটা বের করে দেবে। তাই অনেকেই সিজারটাকে সাপোর্ট করে। আমি আজকে আমার অভিজ্ঞতা এবং আশেপাশের পরিস্থিতি থেকে উপলব্ধি করা নিজস্ব কিছু যুক্তি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
👉👉আমি প্রথমেই বলে রাখি নরমাল হোক বা সিজার।আপনার মনে যেটা সঠিক বলে মনে হবে,যেটায় আপনি মন থেকে সাহস পাবেন সেটাই করার প্রস্তুতি রাখবেন,কিন্তু মনে মনে অন্য অপশনটা আসলেও ঘাবড়ে যাবেন না এই প্রস্তুতিও রাখবেন ।কারণ এমনও হতে পারে আপনি নরমালে চিন্তাভাবনা করেছেন কিন্তু সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পরেও সিজার ছাড়া অন্য আর কোন উপায় থাকলো না, আবার এমনও হতে পারে আপনি সিজারের পুরো প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন কিন্তু নরমালে আপনার বাচ্চা পৃথিবীতে চলে আসলো। তাই আমার মতে দুটো বিষয়েই প্রস্তুতি রাখা উচিত। নিজের মনকে নরমাল এবং সিজার দুটো ব্যাপারে সাহস যুগিয়ে রাখা উচিত। কারণ নরমাল হোক বা সিজার কোনোটাতে কষ্ট কম নয়।
👉👉বাচ্চা জন্ম দেওয়ার ক্ষেত্রে নরমালটাই বেস্ট অপশন। কিন্তু অনেক সময় এ বেস্ট অপশনটা অপব্যবহার শুরু হয়ে যায়। আমাদের দেশে এখনই এমন অনেক পরিবার যাদের ধারণা নরমালে বাচ্চা জন্ম দেওয়াটা একজন মায়ের দায়িত্ব সে যেভাবেই হোক তার জীবন কিংবা সন্তানের জীবন চিন্তা না করে নরমালে বাচ্চা জন্ম দিবে। আর এইসব পরিবারের চাপে পড়ে অনেক সময় মা এবং বাচ্চার দুজনের জীবন বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অনেক সময়ই নরমাল টাকে বেশি গুরুত্ব দিতে গিয়ে সুস্থ, স্বাভাবিক বাচ্চাটা পৃথিবীতে আসে প্রতিবন্ধী হয়ে কখনো বা মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয় মা এবং বাচ্চা দুজনে। তাই নরমাল টাই বেস্ট অপশন এবং এটাই হতে হবে এমন ধারনা পুষে না রাখাটাই শ্রেয়।
👉👉এবারে আসি সিজারিয়ানদের ক্ষেত্রে, পুরনো দিনের অনেক মুরুব্বীদের কাছে হয়তো শুনবেন সিজারে কি এমন কষ্ট পেট কেটে বাচ্চা বের করা, এখানে কোন কষ্টই নেই। কিন্তু বিশ্বাস করেন যারা সিজারে বাচ্চা জন্ম দিয়েছেন তারাই জানেন এই সিজার ঠিক কতটা শান্তির।আপনাকে যখন ওটি থেকে বের করে অবজারভেশন রুমে কয়েক ঘন্টা সময় রাখা হবে সেই সময়টা আপনার কাছে মৃত্যু সমতুল্য মনে হবে। যে কখনো সিজার করায়নি তার পক্ষে এই কষ্টটা বোঝা অসম্ভব ব্যাপার। ওই যে বলে না? নরমালে বাচ্চা হলে আর কোন কষ্ট থাকেনা। কিন্তু বিশ্বাস করেন সিজারে বাচ্চা হওয়ার পরেই শুরু হয় আসল কষ্ট। তাই একজন সিজারিয়ান মাকে হেয় বা ছোট করে কথা বলবেন না। কারণ আমার মনে হয় কোন মা যদি পারত তাহলে সিজার করা তো না। আর ভুলের প্রথম বাচ্চার সময় সিজার করালেও দ্বিতীয় বাচ্চার ক্ষেত্রে এই সাহস করতো না।কিন্তু ঐ যে সন্তান মায়েদের কাছে নিজের জী৩থেকেও প্রিয়।...
🫶🫶নরমাল এবং সিজারিয়ান যে পদ্ধতিতে মা হোক না কেন মা তো মা,,, যে পদ্ধতিতে মা হোক না কেন সবাইকে সন্তান গর্ভে রাখতে হয়, গর্ভাবস্থায় সমান কষ্ট হয়তো বা কারো কারো ক্ষেত্রে বেশি কষ্ট ভোগ করতে হয়। কিন্তু বিনা কষ্টে আজ অব্দি কেউ কখনো মা হতে পারেনি। কোন মা কিভাবে তার সন্তানকে পৃথিবীতে আনতে পেরেছে এটা দিয়ে যাচাই না করে এটা একবার ভাবুন না, দুটো পদ্ধতিতেই মা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসে, সাথে নিয়ে আসছে একটা নতুন আলো।
💌💌সব মায়েরাই ভালোবাসা পাবার যোগ্য, সব মায়েরাই সন্তানকে সমান ভালোবাসে,সব মায়েদের কাছেই সন্তান অমূল্য......
🤲🤲ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মা,সুস্থ স্বাভাবিক জীবন নিয়ে পৃথিবীর আলো দেখুক অনাগত সব সন্তানেরা.....
আলহামদুলিল্লাহ
[এটা সম্পূর্ণ নিজস্ব লেখা।আপনাদের কারো কাছে লেখাটি ভালো লাগলে কৃতজ্ঞ থাকব। লেখাটি কারো ভালো লাগলে অবশ্যই পেজের নাম মেনশন করে পোস্ট করবেন।]
ধন্যবাদ
✍️✍️রানী...