16/09/2025
সকালে উঠেই স্ট্রেসড আর টায়ার্ড লাগে? আপনার ব্রেইনকে সাফল্যের জন্য '100%' রেডি এবং অপ্টিমাইজড করুন এই সহজ Routine দিয়ে!
Cambridge Fellow এবং নিউরোলজিস্ট, Dr. Sweta Adatia এই বিষয়ে অনেকদিন ধরে কাজ করছেন। তিনি সম্প্রতি একটা পডাকাস্টে কথা বলেছেন একটা টেকনিক বা ফ্রেইমওয়ার্ক নিয়ে! আমি তার পডকাস্টের কথার সারসংক্ষেপ নিচে দিয়ে দিচ্ছিঃ
তার মতে কয়েকটি ছোট ছোট অভ্যাস বা Rituals আপনার ব্রেইনকে Reactive মোড থেকে বের করে Intentional এবং High-Performance মোডে নিয়ে যেতে পারে।
এই সহজ ফ্রেমওয়ার্কটার তিনি নাম দিয়েছেন MOVERS। ফ্রেইমওয়ার্কটার প্রতিটি কাজের জন্য মাত্র ৫ মিনিট সময় দিলেই চলবে!
M - Meditation (মেডিটেশন):
সকালে উঠেই ৫ মিনিট চোখ বন্ধ করে শান্ত হয়ে বসুন। কোনো কিছু নিয়ে বেশি ভাবার দরকার নেই, শুধু নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে মনোযোগ দিন। এটা আপনার ব্রেইনের আলফা এবং থিটা ওয়েভকে অ্যাক্টিভেট করে, যা আপনাকে শান্ত ও ফোকাসড হতে সাহায্য করে।
O - Oxygenation (অক্সিজেনেশন):
ঘুম থেকে উঠে সরাসরি বারান্দায় বা জানালার কাছে যান, যেখানে সূর্যের আলো আসে। ৫ মিনিট ধরে বুক ভরে শ্বাস নিন আর ছাড়ুন। সকালের আলো আপনার শরীরের বায়োলজিক্যাল ক্লক (Circadian Rhythm) ঠিক করে, যা আপনার মুড এবং হরমোনকে ব্যালেন্স করে।
V - Visualization (ভিজ্যুয়ালাইজেশন):
দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ বা মিটিংটি মনে মনে কল্পনা করুন। ভাবুন যে আপনি খুব সফলভাবে কাজটি শেষ করছেন। এই Mental Rehearsal আপনার ব্রেইনকে সেই কাজের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত করে এবং পারফরম্যান্স অ্যাংজাইটি কমায়।
E - Exercise (ব্যায়াম):
৫-১৫ মিনিটের হালকা ব্যায়াম করুন। এটা হতে পারে একটু স্ট্রেচিং, ব্যালেন্স ট্রেনিং বা ট্রেডমিলে হাঁটা। শারীরিক মুভমেন্ট সরাসরি আপনার ব্রেইনের ফাংশন এবং মেমোরিকে উন্নত করে।
R - Reading (পড়া):
সকালে আমাদের ব্রেইন নতুন কিছু গ্রহণ করার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রস্তুত থাকে। এই সময় পজিটিভ বা আপনার লক্ষ্য সম্পর্কিত কোনো বইয়ের এক পাতা পড়ুন। কোনো মোটিভেশনাল আর্টিকেল বা অ্যাফারমেশনও পড়তে পারেন।
S - Scribing (লেখা বা জার্নালিং):
একটা ডায়েরি বা নোটবুকে আপনার মনের মধ্যে জমে থাকা নেগেটিভ চিন্তা বা যে জিনিসগুলো আপনাকে ভোগাচ্ছে, সেগুলো লিখে ফেলুন। এই "Brain Dump" আপনার মনকে পরিষ্কার করে এবং আপনাকে ভারমুক্ত অনুভূতি দেয়।
আরও কিছু প্রো-টিপস দিয়েছেন তিনিঃ
১। সকালে উঠেই ফোন ধরবেন না: ফোনের নোটিফিকেশন আপনার ব্রেইনকে সরাসরি স্ট্রেসফুল বা Reactive মোডে নিয়ে যায়। দিনের শুরুটা করুন নিজের মতো করে, অন্যের এজেন্ডা দিয়ে নয়।
২। প্রথম এক ঘণ্টা কফি খাবেন না: সকালে আমাদের শরীর প্রাকৃতিকভাবেই কর্টিসল হরমোন রিলিজ করে আমাদের জাগিয়ে তোলে। এর সাথে সাথেই ক্যাফেইন নিলে অ্যাংজাইটি বা নার্ভাসনেস বেড়ে যেতে পারে।
৩। ছোট ছোট অভ্যাস তৈরি করুন: প্রতিদিন মাত্র ৫ মিনিট করে প্রতিটি কাজ করলেও এক মাস পর দেখবেন আপনার মানসিক অবস্থায় বিশাল পরিবর্তন এসেছে। ধারাবাহিকতাই আসল শক্তি।
এই MOVERS রুটিনটি আপনার দিনকে উদ্দেশ্যহীনভাবে শুরু করার বদলে একটি শক্তিশালী এবং পজিটিভ মনোভাব দিয়ে শুরু করতে সাহায্য করবে।
পোস্টটি সেভ + শেয়ার করে রাখুন 🙂