14/09/2025
মানবিক জাতিতে রুপান্তরিত হতে হলে নজরুলকে ধারন করতে হব- ডিসি
অ আ আবীর আকাশ
কাজী নজরুল ইসলামের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে লক্ষ্মীপুরে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি হয়। নজরুল একাডেমী আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার।
সংগঠনটির সভাপতি সেলিম উদ্দিন নিজামীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কার্তিক সেনগুপ্ত’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুন নাহার, লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাইন উদ্দিন পাঠান, চৌমুহনী এস.এ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জেড.এম ফারুকী, সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদ আলম রানা, অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন মাহমুদ, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম তপন, নজরুল একাডেমীর উপদেষ্টা এডভোকেট শাহাদাত হোসেন, সাংবাদিক আ.হ.ম মোশতাকুর রহমান, শামসুল করিম খোকন, শহীদুল্লাহ, এসএম জাহাঙ্গীর, কবি ও লোকসাহিত্য গবেষক অ আ আবীর আকাশ, কবি রাজু হাসান, শহীদুল ইসলাম পাটওয়ারী, মনোয়ার হোসেন মানিক পাটওয়ারী, ও হাবিবুর রহমান সবুজসহ আরও অনেকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজিব কুমার সরকার বলেন, সাম্য, মানবতা, প্রেম, প্রকৃতি ও দ্রোহের কবি কাজী নজরুল। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে তাঁর অবদান অনেক। সৃষ্টিশীল জীবনে তিনি রচনা করেছেন প্রেম, প্রকৃতি বিদ্রোহ ও মানবতার অনবদ্য সব কবিতা, গান, প্রবন্ধ, গল্প উপন্যাস ও অসংখ্য নাটক। কালজয়ী প্রতিভার অধিকারী কবি নজরুল তার লেখনির মাধ্যমে আমাদের সাহিত্য, সংগীত ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, নজরুলের নামে রাস্তা-ঘাট, স্মৃতিস্তম্ভ ও বিভিন্ন স্থাপনা করে কি হবে। যদি নজরুলের চেতনা ও আদর্শকে আমরা লালন না করি। শুধু মুখে ভালোবাসি বললে ভালোবাসা হয় না। নজরুলের আদর্শ আমাদের হৃদয়ে ও মননে প্রকৃতভাবে ধারন করতে হবে। তবে সাম্যের ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।
এসময় ডিসি বলেন-নজরুল সমাজের কুসংস্কার ও ধর্মীয় অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সোচ্ছার ছিলেন। তিনি নারীর অধিকারের প্রতি সোচ্চার ছিলেন। নারী জাগরণের কথা বলেছেন। কিন্তু বর্তমানে অনেকে নারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষদগার করা হচ্ছে। নারীকে নির্যাতন করছে, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে লাঞ্ছিত করছে। এসব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। না হয় কখনো বলতে পারি না, নজরুলকে ভালোবাসি, নজরুলের চেতনাকে লালন করি।
অনুষ্ঠান শেষে অতিথিরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। আবৃত্তি করেন ফাতেমাতুল জান্নাত ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন লিপিকা সেনগুপ্ত।
এছাড়া জেলার গুণী শিল্পী, কবি, আবৃত্তিকারদের পুরস্কৃত করা হয়।