13/11/2025
হুমায়ূন আহমেদের ৮ ছবিই পেয়েছে জাতীয় পুরস্কার
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ৭৭তম জন্মদিন আজ (১৩ নভেম্বর)।
১৯৪৮ সালের এই দিনে তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহের নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে, তার নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। লেখালেখি, টিভি নাটক-চলচ্চিত্র নির্মাণ—সবখানেই তিনি পেয়েছেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা।
ক্যারিয়ারে মাত্র ৮টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন এই নির্মাতা। কাহিনী, চিত্রনাট্য, গান লিখেছেন তিনি নিজেই। এমনকি বেশিরভাগ চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন নিজেই।
হুমায়ূন আহমেদের প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘আগুনের পরশমণি’। এটি মুক্তি পায় ১৯৯৪ সালে। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এই সিনেমায় অভিনয় করেন আসাদুজ্জামান নূর, আবুল হায়াত ও বিপাশা হায়াত। আর প্রথম পরিচালনাতেই বাজিমাত করেন তিনি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে লাভ করেন সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালনাসহ ৮টি শাখায়।
বিরতি ভেঙে ১৯৯৯ সালে হুমায়ূন আহমেদ নির্মাণ করেন ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’। এ সিনেমাও ৭টি শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়।
২০০০ সালে মুক্তি পায় তাঁর ‘দুই দুয়ারী’। রিয়াজ, মাহফুজ আহমেদ ও মেহের আফরোজ শাওন অভিনীত এ সিনেমাও দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা অভিনেতা ও সেরা নারী কণ্ঠশিল্পীর পুরস্কার পায় এটি।
২০০৩ সালে হুমায়ূন আহমেদ নির্মাণ করেন ‘চন্দ্রকথা’। আসাদুজ্জামান নূর, আহমেদ রুবেল ও শাওন অভিনীত এ সিনেমাও সমালোচকদের প্রশংসা পায়। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী ও বিশেষ পুরস্কার ঘরে তোলে।
২০০৪ সালে মুক্তি পায় ‘শ্যামল ছায়া’। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত তাঁর দ্বিতীয় ছবি। যেখানে ‘বর্ষার প্রথম দিনে’ গানটির জন্য সাবিনা ইয়াসমিন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগঅনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
২০০৭ সালে ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’ ও ২০০৮ সালে ‘আমার আছে জল’ নির্মাণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। ফেরদৌস, বিদ্যা সিনহা মিম, জাহিদ হাসান ও মেহের আফরোজ শাওন অভিনীত এ ছবিটিও দর্শকপ্রিয় হয়। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার মঞ্চে ২টি পুরস্কার লাভ করে।
২০১২ সালে মুক্তি পায় নির্মাতার সর্বশেষ ছবি ‘ঘেটুপুত্র কমলা’। হুমায়ূন আহমেদ এ ছবির বিশেষ প্রদর্শনী উপলক্ষে শেষবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় ফেরেন। ছবিটির জন্য সেরা পরিচালকসহ বেশ কয়েকটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
হুমায়ূন আহমেদের সব সিনেমাই লাভ করেছে জাতীয় পুরস্কার। শুধু তা-ই নয়, অস্কারে বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিল ‘শ্যামল ছায়া’। যদিও শেষ পর্যন্ত মূল অস্কারের জন্য মনোনীত হয়নি।