13/10/2025
🙊 কাঠবিড়ালিরা প্রায়শই খাদ্য লুকিয়ে রাখার ভান করে। তারা গর্ত খোঁড়ে এবং সেটাকে ঢেকেও দেয়, কিন্তু ভেতরে কোনো বাদাম রাখে না। অন্য কাঠবিড়ালি বা পাখিদের নজর এড়াতে এবং খাদ্য চোরদের বোকা বানাতে তারা এই 'প্রতারণামূলক সঞ্চয়' (Deceptive Caching) পদ্ধতি ব্যবহার করে।
🙊 কাঠবিড়ালিরা শীতের জন্য অসংখ্য বাদাম ও বীজ মাটির নিচে লুকিয়ে রাখে, কিন্তু তারা তার সবগুলোর অবস্থান মনে রাখতে পারে না। ভুলে যাওয়া সেই বীজগুলো থেকেই পরবর্তীকালে নতুন গাছ জন্মায়। এইভাবে তারা নিজের অজান্তেই বনভূমি সৃষ্টিতে বিশাল ভূমিকা রাখে।
🙊 অবাক করা বিষয় হলো, কোনো কাঠবিড়ালি মা মারা গেলে, তার প্রতিবেশী বা অন্য কাঠবিড়ালিরা সেই মা-হারা ছানাগুলিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে লালন-পালন করে। মাতৃত্বের ক্ষেত্রে এই ধরনের সহযোগিতা খুবই বিরল।
🙊 শিকারীর হাত থেকে বাঁচতে তারা কখনো সোজা না দৌড়ে জিগজ্যাগ (zigzag) বা আঁকাবাঁকা পথে দৌড়ায়। এতে শিকারীর পক্ষে তাদের ধাওয়া করা কঠিন হয়ে যায়।
🙊 কাঠবিড়ালিরা নিজেদের শরীরকে প্রসারিত করে, লেজকে প্যারাসুটের মতো ব্যবহার করে এবং তাদের হালকা ওজনের কারণে যেকোনো উচ্চতা থেকে পড়ে গেলেও সহজে আঘাত পায় না বা বেঁচে যেতে পারে।
🙊 যদিও কাঠবিড়ালি মূলত ফলমূল, বাদাম ও বীজ খায়, কিন্তু খাদ্য সংকটের সময় বা সুযোগ পেলে তারা পোকামাকড়, পাখির ডিম, পাখির ছানা, এমনকি ইঁদুর বা নিজেদের প্রজাতির ছোট বাচ্চাকেও শিকার করে খেতে পারে। অর্থাৎ, তারা আসলে সর্বভুক (Omnivore) প্রাণী।
🙊 এদের ঝোপালো লেজ শুধু ভারসাম্য রক্ষার জন্যই নয়, এটি একটি বহুমুখী সরঞ্জাম। দৌড়ানোর সময় ভারসাম্য রাখা, লাফ দেওয়ার সময় প্যারাসুটের মতো কাজ করা, শীতকালে উষ্ণতার জন্য কম্বলের মতো ব্যবহার করা এবং লেজ ঝাঁকিয়ে অন্য কাঠবিড়ালির সাথে ভাব বিনিময় করা—সব কাজেই লেজ ব্যবহার করে।