11/07/2023
ব্রণ থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন যেভাবে!!
ব্রণ হওয়া খুব স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। নানা কারণেই মুখে ব্রণ হতে পারে। কিন্তু সেই সমস্যা যদি ভয়াবহ হয়, তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। তবে ব্রণ স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে ঘরোয়া কয়েকটি উপায়ে কমানো যেতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
👉ব্রণ হওয়ার কারণ
ব্রণ হওয়ার অনেকগুলো কারণের কথা বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে প্রধান হলো হরমোন ক্ষরণের তারতম্য বা অভাব, জীবাণুর সংক্রমণ, ত্বকের অযত্ন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, তৈলাক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ঘুম না হওয়া, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ইত্যাদি। পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন ও সুনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ব্রণ থেকে মুক্ত থাকার প্রধান শর্ত। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে সারা দিনে।
ব্রণ মূলত ত্বকে হয়। ফলে ত্বক পরিষ্কার রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খেয়াল রাখতে হবে, এই শুষ্ক আবহাওয়ার দিনে ত্বকে যেন ধুলাবালু না জমে থাকে। ত্বকে ধুলোবালু জমার ফলে ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে দেখা দিতে পারে ব্রণ।
গরমের দিনে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায় বিভিন্নভাবে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো ঘাম। গরমে বাইরে গেলেই ঘাম হবে। ঘামে শরীরের পানি কমে যায়। শরীরে পানি কমে যাওয়া ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ।
ঘুমের সমস্যা, অর্থাৎ সঠিক পরিমাণে ঘুম না হওয়া অনেক রোগের কারণ। ব্রণও হতে পারে সঠিক ঘুম না হওয়ার কারণে। ঘুমানোর সময় শরীর তার নিজের কাজগুলো করতে থাকে, যা আমাদের সুস্থ থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত না ঘুমালে শরীরের নিজের কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাধারণত ঘুমের সময়ে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসরণ বা তৈরির মতো জটিল বিষয়গুলো ঘটতে থাকে শরীরে। না ঘুমালে, কম বা অনিয়মিত ঘুমালে ব্রণ প্রতিরোধকারী হরমোন তৈরিতে বাধা আসতে পারে। ফলে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে।
বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে–মেয়ে উভয়ের ব্রণ হয়ে থাকে। এর বড় কারণ, বয়ঃসন্ধিকালে কিশোর-কিশোরীরা বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ভেতর দিয়ে যেতে থাকে। নতুন নতুন অভিজ্ঞতা তাদের সামনে আসতে থাকে। ফলে তাদের মধ্যে অবসাদ তৈরি হয়, দুশ্চিন্তা বেশি হয়, ঘুম ঠিকমতো হয় না, নিজে নিজে শরীরের যত্ন নেওয়ার অভিজ্ঞতা থাকে না, খাবারদাবার বিষয়ে সঠিক ধারণা থাকে না। ফলে শরীরে হরমোনের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয় অথবা হরমোনের অভাব দেখা দেয়। এ সবকিছুই আসলে ব্রণ হওয়ার জন্য দায়ী।
তেল-মসলাযুক্ত অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ। বিভিন্ন ধরনের ফার্স্ট ফুড, ডিপফ্রাই করা খাবার, কোমল পানীয় যত বেশি খাওয়া হবে, ব্রণ হওয়ার প্রবণতা তত বেশি বাড়তে থাকবে। এসব খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। খাবার হজম না হলে পেট পরিষ্কার থাকে না। পেট পরিষ্কার না থাকা বা নিয়মিত মলত্যাগ না করা শুধু ব্রণ নয়, আরও অনেক রোগের কারণ।
👉ডায়েট ও জীবনযাত্রায় নজর দিন
প্রথমেই ডায়েট ও জীবনযাত্রার দিকে নজর দিন। যদি ঠিকঠাক জীবন-শৈলী মেনে না চলতে পারেন, তাহলে আপনার স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বেই। সত্যি বলতে, স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়লে তার প্রতিফলন ত্বকে দেখা যাবে। বাড়াবে ত্বকের সমস্যা।
তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খান। প্রতিদিন ডায়েটে রাখুন সময়ের সবজি। এছাড়াও প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। অস্বাস্থ্যকর খাবার যতটা এড়িয়ে যাওয়া যায়, ততই ভালো। দেখুন সমস্যা ঠিক হয় কিনা!
👉ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করুন
ব্রণর সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তবে নিম ও হলুদের প্যাক যেকোনো ত্বকের জন্যেই ভালো। সে কারণে নিম ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। নিম পাতা বেটে নিন। তার সঙ্গে সমপরিমাণে হলুদ বাটা মিশিয়ে দিন।
এরপর স্পট ট্রিটমেন্ট করুন। আপনার মুখে শুধুই ব্রণর উপরে এই মিশ্রণ লাগিয়ে দিন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। প্রতি সপ্তাহে মেনে চলুন এই রুটিন। দেখবেন ঠিক হয়ে গিয়েছে।
👉সাথে থাকুন https://www.youtube.com/
সব সময় আমাদের সাথেই থাকুন আর উপভোগ করুন রুচিশিল বিনোদন।