জীবন যাপন

জীবন যাপন Education, Information, Social discuss etc.

“ভাই, মরিচ কত করে?”--“ভাই, মরিচ এইগুলি বেচুম না।”স্টেশনের প্ল্যাটফর্মটা তখনও অনেকটাই ফাঁকা। ট্রেন আসতে আরো কিছুটা সময় বা...
31/07/2025

“ভাই, মরিচ কত করে?”
--“ভাই, মরিচ এইগুলি বেচুম না।”

স্টেশনের প্ল্যাটফর্মটা তখনও অনেকটাই ফাঁকা। ট্রেন আসতে আরো কিছুটা সময় বাকি। ঘড়ির কাঁটা তখন সবে আটটা ছুঁই ছুঁই। হঠাৎ চোখে পড়লো, একজন লোক, পরনে টি-শার্ট আর লুঙ্গি, মলিন তার পায়ের স্যান্ডেল, বসে আছেন রেললাইনের উপর, পাশে একটা বড় পলিথিনের ব্যাগ। ব্যাগ ভর্তি লাল আর সবুজ বোম্বাই মরিচ।

কৌতূহল বসত জিজ্ঞেস করলাম, “ভাই, মরিচ কত করে?”
জিজ্ঞেস করতেই লোকটি মাথা নিচু করে বলল, “ভাই, মরিচ এইগুলি বেচুম না।”

আমার কৌতূহল বেড়ে গেল।
ব্যাগ ভর্তি মরিচ নিয়ে বসে আছেন, অথচ বলছেন বেচবেন না? আমি হেসে বললাম, “মরিচ নিয়ে বসে আছেন আর বলছেন বেচবেন না! কাহিনী কী ভাই?”

লোকটি মাথা নিচু করে ছিল, মুখ তুলতেই বুঝতে পারলাম এতক্ষন কান্না করছিলো। চোখে পানি আর কান্না জড়ানো কণ্ঠে লোকটি যা বললো শুনে আঁতকে উঠলাম।
ঠোঁট কাঁপছিলো তার, কণ্ঠে অসহায়ত্ব আর কান্নার মিশ্র ধ্বনি।

“এই মরিচগুলা আমি আমার মাইয়ার জন্য আনছিলাম, ভাই, কিন্তু আমার মাইয়াটা আর নাই, আর আমার নিজের কিছুই নাই।”

আমি চুপ করে গেলাম। আমার মনে হল সময় থেমে গেছে।
আমি বসে পড়লাম তার পাশে, রেললাইনে। বললাম, “মেয়ের জন্য মরিচ আনছিলেন কেন? আর মেয়ে নাই মানে, কি হইছে আপনার মেয়ের?”

আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল লোকটি । একটু সময় নিলো-
আমার বাড়ি কালীগঞ্জ আড়িখোলা, ছোড একটা জমি আছে, তাতেই ক্ষেত খামারি করতাম।
আমার একটাই মাইয়া, নাম রাখছিলাম রুহি। ফুটফুইট্টা মাইয়াডা আমার সারাক্ষন খালি হাসতো। বকলেও হাসতো, মারলেও হাসতো। জন্মের সময় ওর মায় মইরা গেছিলো। এই একটা মাইয়ার মুখের দিকে চাইয়াই বাইচা আছিলাম।

রুহির বয়স এহন সাত, তিন মাস ধইরা জ্বর, ওষুধেও জ্বর কমে না । গেরামে ডাক্তার দেখাইলাম, কইলো নরমাল জ্বর, সাইরা যাইবো।
কিন্তু জ্বর কমে না, মাইয়াডা আমার আর হাসে না, খালি চাইয়া থাকে, কি জানি কইতে চায়, বুকের মইদ্দে তার কত কতা জইম্মা আছে কিন্তু মুখ ফুইট্টা কইতে পারে না।
শহরে নিয়ে আইলাম, ডাক্তার পরীক্ষা কইরা কইলো, লিউকেমিয়া।

খালি দেখলাম মাইয়াডা কেমন হুগায়া যাইতাছে, চুলডি সব পইড়া যাইতাছে, আর দিনে দিনে চোক দুইডা কেমন ঘোলা হইয়া যাইতাছে।
রুহি একদিন কইলো, “আব্বা, আমি মরতাম চাই না। আমি স্কুলে যামু, ডাক্তার হমু , তোমার লাইগা টাকা কামাই করমু।”

জমিডা বেইচা দিলাম, একটা দুধের গরু আছিলো, হেইডাও বেইচা দিচ্ছি, তাও টেহা কম পরে।
চক্ষে মুখে আন্ধার দেহি, একটা মাত্র মাইয়া আমার, তারে কি বাচাইতে পারুম না?

একদিন রুহি কইলো, “আব্বা, তুমি বাড়িত গেলে আমার লিগ্গা লাল-সবুজ রঙ্গের বোম্বাই মরিচ আনবা।”
আমি কইছিলাম, “ব্যাগ ভইরা তোর লাইগা বোম্বাই মরিচ আনমু মা।”

শুইন্না হেইদিন কি সুন্দর হাসি সে দিছিলো, কেডায় জানতো ওই আমার মায়ের শেষ হাসি।

গতকাল কেমোথেরাপি দেওনের পর বাড়িত গেছিলাম, কয়ডা টেহা ধার করেনের লেইগ্গা। আইজকা সকালে ট্রেনে কইরা আহনের সময় হাসপাতাল থন ছোড বাই ফোন দিয়া কইলো আমার রুহি আর নাই।

টেরেনের মইদ্দে হাজার হাজার মানুষ, দুনিয়াডা জুইড়া কোটি কোটি মানুষ, কিন্তু আমার এই দুনিয়াতে আর কেউ নাই, আমার আর কিছুই নাই এই এক ব্যাগ লাল-সবুজ বোম্বাই মরিচ ছাড়া. আমি এই মরিচ কাউরে দিমু না বাই, কাউরে না।

আমার ট্রেন চলে এসেছে, কিন্তু আমার পা জোড়া এতটাই ভারী হয়ে গিয়েছিলো যে সেখান থেকে উঠে আমার ট্রেন পর্যন্ত যাওয়ার শক্তি ছিল না।

আমি কিছু বলার মতো শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। চারপাশে শহরের কোলাহল, ট্রেন প্লাটফর্ম থেকে বের হয়ে গেলো বাঁশি বাজিয়ে, এর সবই যেন এক অসহায় বাবার কান্নায় মিশে যাচ্ছিলো।

গলার কাছে কান্না টা দলা পাকিয়ে উঠেছিল আমার। কি শান্তনা তাকে আমি দিবো, কোন ভাষায় তাকে আমি ভোলাব সে আমার জানা ছিল না।

অনেক কষ্টে বললাম, “হাসপাতালে যান, মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে যান. আপনার মেয়ের শেষ ইচ্ছা ছিল বোম্বাই মরিচ খাওয়ার। তার কবরে অনেক গুলো বোম্বাই মরিচের গাছ লাগিয়ে দিবেন।
আর দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে এই শোক কাটিয়ে ওঠার শক্তি দিন।“

পকেট থেকে কিছু টাকা বের করে তার হাতে দিতেই সে বললো, “বাই আমার টেহার দরকার নাই আর”, আমার রুহি নাই, টেহা দিয়া আমি আর কি করমু”?
এই দুনিয়াতে আমার কষ্টের কথা শোনার আর কেউ নাই, আপনি শুনছেন, এটুকুই যথেষ্ট।

তার হাতটা শক্ত করে ধরলাম। বললাম, “রুহির নামে আমিও একটা বোম্বাই মরিচের গাছ লাগাবো, আরও যারা রুহির কথা জানবে সবাইকে বলবো একটা করে গাছ রুহির নামে লাগাতে, রুহি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে”।

চোখ থেকে তার তখন অনবরত পানি পড়ছিলো, ঠোঁট কাঁপছিলো, শুধু হাতটা শক্ত করে ধরে রাখা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছিলো না ।

আমার ট্রেন আসে, জীবিকার প্রয়োজনে আমাকে তার হাত ছাড়িয়ে ছুটতে হয় ট্রেন ধরবার জন্য। সবার গন্তব্য আছে, তাড়া আছে, রুহির বাবার কোনো গন্তব্য নেই, আর কোনো তাড়া নেই। মেয়ের ওষুধ কিনবার জন্য তাকে আর ছুটতে হবে না, চিকিৎসার টাকা জোগাড় করবার জন্য আর এর ওর কাছে হাত পাততে হবে না। রুহির কথা আমরা হয়তো ভুলে যাবো, ছোট্ট রুহি যে জীবনের শেষ আবদারে তার বাবার কাছে বোম্বাই মরিচ খেতে চেয়েছিলো । আমাদের সন্তানের মাঝে ছায়া হয়ে রুহি বেঁচে থাকুক। ❤️❤️❤️

লেখা ও পিক: কায়েস হোসেন

সিলিং ফ্যান সহজে পরিষ্কার করার কিছু উপায় জেনে নিন* বাতিল হওয়া বালিশের কভারের মধ্যে ফ্যানের ব্লেড ঢুকিয়ে দিন। কভার সামান্...
31/07/2025

সিলিং ফ্যান সহজে পরিষ্কার করার কিছু উপায় জেনে নিন
* বাতিল হওয়া বালিশের কভারের মধ্যে ফ্যানের ব্লেড ঢুকিয়ে দিন। কভার সামান্য ভিজিয়ে নেবেন। তারপর কাপড়ের মুখ চেপে নিয়ে হালকা করে টেনে নিন। দেখবেন ময়লা সব কভারের মধ্যে পড়ে ব্লেড পরিষ্কার হবে।
* পুরনো খবরের কাগজ কাজে লাগাতে পারেন। প্রথমে শুকনো কাপড় দিয়ে ময়লা পরিষ্কার করে নিয়ে, খবরের কাগজ পানিতে অল্প ভিজিয়ে ব্লেড পরিষ্কার করুন। খুব সহজেই পরিষ্কার হয়ে যাবে ব্লেড।
* ফ্যানের ব্লেড পরিষ্কার করার সময় ডিটারজেন্টের সঙ্গে অল্প খাবার সোডা মিশিয়ে নিন। এতে ঝকঝকে হবে ফ্যান। হাতে গ্লাভস পরে নিতে ভুলবেন না।
* দীর্ঘদিন ফ্যান পরিষ্কার না করলে আঠালো হয়ে জমে থাকে ময়লা। এক্ষেত্রে প্রথমে শুকনো কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে যেন ধুলা দূর হয়ে যায়। এরপর ভেজা কাপড় দিয়ে আরও একবার পরিষ্কার করতে হবে। শেষে সাবান পানি দিয়ে কাপড় ভিজিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে ব্লেড।

23/07/2025

মাইলস্টোনের শিক্ষক পূর্ণিমা দাসের পোস্ট

আমি মাইলস্টোনের হায়দার আলী ভবনের একজন শিক্ষিকা।আপনাদের কে দুইহাত জোর করে বলছি ভুল তথ্য ছড়াবেন না।আমিও আগুনের মধ্যে আটকা পড়েছিলাম আমার চেয়ে বেশি আপনারা ফেসবুকবাসী জানবেন না তাইনা?
স্কুল ছুটি হয় দুপুর ১ টায়, আমি ঠিক তার এক থেকে দুই মিনিটে স্কাই সেকশনে ঢুকে দেখি ওখানে শুধু একটা বাচ্চা দাঁড়ানো।কেউ ছিলোনা সবাই চলে গেছিলো।আপনারা জানেন না ছুটির সময় হলে বাচ্চারা তিন চার মিনিট আগে থেকেই কিভাবে ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে বাসায় যাওয়ার জন্য এবং আমি চলে আসার পর অভিভাবক আসেনি বলে আবার স্কাই এ কিছু বাচ্চা ঢুকেছিলো তাদেরকেও আমাদের আরেকজন টিচার ক্লাস থেকে নিয়ে অন্য সেকশনে বসায়।
এরপরেও আবার কয়েকজন(৫ -৬ জন) ঢুকেছিলো তাদেরকেই আমরা হারিয়ে ফেলেছি।বা যারা করিডোরে খেলছিলো বা সিঁড়িঘরে ছোটাছুটি করছিলো।বা ওই মুহুর্তে ওই জায়গায় কাকতালীয় ভাবে ছিলো।
এরপর আসেন এ ওখানে বাচ্চার সংখ্যা স্কাই এর চেয়ে বেশি ছিলো।আমার ধারনা মাহরীন মিস,মাসুকা মিস ও মাহ্ফুজা মিস ওখান থেকেই বাচ্চা বের করার চেষ্টা করছিলো।এবং তাদের বের করতে করতে নিজেরা ঝলসে যায়। যারমধ্যে মাহরীন মিস এবং মাসুকা মিস কে আমরা হারিয়ে ফেলেছি।মাহফুজা মিসের অবস্থা এখন গুরুতর উনি লাইফ সাপোর্টে আছেন।উনার জন্য আপনারা দোয়া করবেন।
cloud এর পাশের রুম এখানে কিছু বাচ্চা ইনজিউরড্ কেউ মারা যায় নি।
mayna এর পাশে এই ক্লাসের একটা বাচ্চা আর নেই।
doyel এর পাশে এবং এখানেও সবাই সেফ আছে।
দ্বিতীয় তলার বাচ্চারদের ও ঘটনা একই।দুইটা ক্লাসরুম একটা টিচার্স রুম পুড়েছে। ওখানেও ১০-২০ জন ছিলো।
হায়দার আলী ভবনের মুখে, দোলনায় এবং করিডোরের হাঁটাহাঁটি করা বাচ্চার সংখ্যা এভাবে বলতে পারা যায় না।অনুমান ও করা কঠিন।তারমধ্যে অনেকের শরীর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে যে লাশগুলো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এরমধ্যে আছে ওখানকার আয়া রাও।
তাই ভুল তথ্য ছড়াবেন না।আপনারা যত মৃতের সংখ্যা বলছেন সেটা একেবারে সম্ভব না।তারমধ্য আমরা যারা দুই কর্নারে ছিলাম তারা তো অক্ষত অবস্থায় ফিরে এসছি।
আর লাশ গুম করার কথা যারা বললেন,আপনাদের কতখানি মাথায় সমস্যা আমার জানা নেই। কারন একটা বাচ্চা যাকে আমরা বাঁচাতে পারিনি তার লাশটাতো অন্তত আমরা তার বাবা মায়ের কাছে পৌঁছানোর সর্বাত্মক চেষ্টা টা করবো। তাইনা?আমরা টিচার, রাজনীতিবিদ নই।
আপনাদের কোনো ধারণা নেই এই শিক্ষক শিক্ষিকাগুলো কিভাবে বাচ্চাদেরকে সারাদিন আগলে রাখে।ছুটি হওয়ার সময় মাহরীন মিস গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে প্রতদিন বাচ্চাদেরকে অভিভাবকদের হাতে বুঝিয়ে দেয়। যতক্ষণ একটা বাচ্চারও অভিভাবক থাকে উনি গেট থেকে নড়েন না।
তাই হাত জোর করে বলছি।ভুল তথ্য ছড়াবেন না।মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলবেন না।
নিহতের সংখ্যা সামনে বাড়বে আপনাদের বাড়াতে হবেনা,আসেন আমরা প্রার্থনা করি প্রতিটা ফুলের জন্য যারা অকালে ঝড়ে গেলো।আমাদের শিক্ষক শিক্ষিকা স্টাফ আর ছোট ছোট বাচ্চা গুলোর জন্য আসেন আজ প্রার্থনা করি।

21/07/2025


রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলের ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত। হতাহতের আশঙ্কা।

18/07/2025

সরকারের কোলে একদল, কাঁধে আরেক দল: মির্জা আব্বাস

16/07/2025
13/07/2025

বাংগালি ভাই বোনদের জন্য কিছু বেসিক মেনার। যারা মেহমানের বাসায় ঘুরতে যাবেন। তারা একটু মাথায় রাখবেন।
১. মেহমানদের বাসায় গেলে কম খাবেন। এগুলা ফ্রি আসেনা। টাকা দিয়ে কিনতে হয়।
২. মেহমানের বেবিকে চুম্মা দিবেন না।
৩. মেহমানের বাসায় অবশ্যই বাথরুমে ঠিকমত ফ্লাশ দিবেন বা বালতি ভরে পানি ঢালবেন।
৪. বাথরুমে বিড়ি খাবেন না।
৫. বারিন্দায় বিড়ি খাবেন না।
৬. সোফায় শুইবেন না।
৮. বই চুরি করবেন না। এবংকি "বইটা নিলাম, পরে ফিরত দিব" এরকম কোনো রিকোয়েশও করবেন না।
৯. টিভি দেখবেন ভালো কথা কিন্তু রিমোট দখল করে রাখবেন না। ঘরে বাচ্চা আছে। তাদের কাটুম দেখা লাগে।
১০. বাসার মেহমানরা ঝগরা করলে আপনারা মাতবরি করে মাঝখানে ঢুকে মতামত দিবেন না।
১১. মেহমানের ছেলেমেয়ের পরীক্ষার রেজাল জানতে চাইবেন না।
১২. কারো বাসায় দুইদিনের বেশি থাকলে অবশ্যই একবেলা বাজার করতে ভুলবেন না।
ভাবী, ওসমান গণি
সুইজারল্যান্ড প্রবাসী

নারী কিসে আটকায়? ১. টাকা ২. টাকা ৩. টাকা ৪. সেক্স ৫. ভালো ব্যবহার। ৬. বাচ্চা হয়ে গেলে। পুরুষ কি কিসে আটকায়?  ১. টাকা ...
13/07/2025

নারী কিসে আটকায়?
১. টাকা
২. টাকা
৩. টাকা
৪. সেক্স
৫. ভালো ব্যবহার।
৬. বাচ্চা হয়ে গেলে।
পুরুষ কি কিসে আটকায়?
১. টাকা
২. টাকা
৩. রুপ
৪. সাদা, কালো, শ্যামলা, উজ্জ্বল শ্যামলা
৫. টাকা।
এখন বলবেন আমি এত শক্ত রিয়েলিটি এত স্বাভাবিকভাবে কেন লিখলাম ?
ভিডিও কলে অনেকেই অনেক কথা বলেন চোখের পানি পড়তেই থাকে পড়তেই থাকে আপনাদের অনেক সময় হয়তো আমারও মুড ভালো থাকে না আপনাদেরকে হিল করার মত কোন একটা কথা বলব।
তা একবারে একটা পোস্টে গোছানোর চেষ্টা করছি প্রথম দিকে একটু এলোমেলো লাগলেও লাস্টের দিকে ফিনিশিং টানার চেষ্টা করছি।
যদি আপনার অনেক টাকা থাকে
দেখেন আপনার মন খারাপ, card ভর্তি tk সুন্দর করে ডায়মন্ড শপে চলে যান ডায়মন্ড কিনলেন মন কিন্তু ভালো হয়ে যাবে।
ওই মুহূর্তে আপনার গরিব জামাইকে ভালো লাগবে না।
আরগুলা বলবো না।
পুরুষদের ক্ষেত্রে মন খারাপ?
টাকা আছে? থাইল্যান্ড চলে গেলাম। অনেক অনেক মেয়ের সাথে ডেট করলাম। দিনশেষে জানতে পারলাম মেয়েগুলো আগে পুরুষ ছিল। তখনই মন ভালো হয়ে যাবে 🤣
আর কতগুলো বেটি আছে ফেসবুকে এসে জামাই পরকীয়া করছে ধরে পিটায়, ওই মহিলাগুলোকে।
পিটাবি তোর ঘরের টারে। ঘর এর টা না গেলে পরেরটা ঢুকে কেমনে?
বুঝলাম না হিসাব। 😜
আমার হিসাব উল্টা, মাইর একটাও মাটিতে পড়বে না ঘরে😆
টাকা আছে চলে গেলাম long drive e
Money can buy happiness bro
যত গরীব ই হোক না কেন তার মনের মধ্যে একটা ক্ষীণ আশা থাকে যে আমি একটু গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাব।
এই চাওয়াটা কিন্তু দোষের না।
অনেক বড়লোকস আবার বিয়ে করে এক হালি বাচ্চা পয়দা করে একটা বউ রেখে দেয় বাসায়।
তার ভালোবাসা কিন্তু অন্য জায়গায় থাকে মাইন্ড ইট। 😜
সে জীবনেও বউটাকে মনেপ্রাণে ভালোবাসে না। জাস্ট ঘরের মধ্যে বুয়া যেরকম আসে, মাস শেষে পে করে।
এ মেয়েদের কেও বড়লোকরা মাসে মাসে পে করে, বাধা লাইফস্টাইল এর মধ্যে রেখে দেয়। এদের অতিরিক্ত বাইরে যাওয়া বাইরে কারো সাথে মেশা এরা পছন্দ করে না।
এবং মোটামুটি ভালো বেকুব টাইপের মেয়েই বড়লোকরা বিয়ে করে। এগুলো বাচ্চা ফোটানোর জন্য আর সংসারটা গুছিয়ে রাখার জন্যই রাখা হয়।
মেয়েটাও খুশি কোন দিন এত টাকা দেখেনি একসাথে tk এদিক ওদিক নাড়াচাড়া করতে পারে।
ভালো খেতে পারে, ভালো পরতে পারে।
kind a governesses
এরা স্বামীর থেকে যথেষ্ট কেয়ার পায়।
স্বামীর বেশিরভাগ ভালোবাসাই অন্য জায়গায় থাকে। তাকে আবার ওই স্বামী বিয়ে কখনো করে না। আর সে তার বাচ্চাদের লাইফটাকে নষ্ট করতে চায় না। বউ কে ঠকানো খারাপ না কিন্তু বাচ্চাদের সাথে কোন টেরিমেরি হবে না।
ব উ সব জেনেও মনে মনে বলতে থাকে এটা আমার কাছে ফেরত আসবেই। ওহে বেকুব নারী ফেরত আসবে তবে চারিদিক দিয়ে বিলানোর পরে 😆। তবে এ ধরণের বউরাও খুব বেশি ভালবাসতে পারে না স্বামীদেরকে। এরা টাকা কেই ভালোবাসে।
বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে চারিদিক থেকে লাথি খাইলেও বউয়ের কাছে কোনরকম ন ত হয় না। কিরমির ব্যবহার লেগেই থাকে।
বাচ্চাগুলা আছে বলে, নইলে ব্যাটারা দেখত বেডিরা কি জিনিস।
আমি সব জানতা হনু এই ভাব নিয়ে থাকে।
একটা সময় এই বউটা কিন্তু মুভ অন করে যায়।
হয়ত সংসার ছেড়ে যায় না কিন্তু সে একদম চুপচাপ এক কোনায় পড়ে থাকে।
পরকীয়া করে আরেক বেটার হাত ধরে বের হয়ে যাওয়া যা কোনায় পড়ে থাকা কোন পারফরম্যান্স ছাড়া সেটাও সেইম।
মন কিন্তু তার মুভ অন করেই যায়।
যদি কেউ মনে করে যে না আমি সবসময় খারাপ বিহেভ এ করবো তাহলে সেটা টাকা দিয়ে পোষানো উচিত।
বউ মন খারাপ করবে টাকা ছুড়ে মারবেন।
মন খারাপ করছে দরজা বন্ধ করে খেলা খেলবেন।
অনেকেই আমাকে বলেন যে, বউ এর চাহিদা বেশি চাইতেই থাকে। বাবু তোমাকে range rover আনতে কে বলছে রিক্সার গ্যারেজে?
রিক্সার গেরেজে রিকশা ই মানায়।
Range Rover drive কর‍ তে আলাদা ড্রাইভার লাগবে অনেক তেল খাবে, তার নখরা অনেক বেশি থাকবে।
নরমাল ড্রাইভার দিবা কথায় কথায় সে স্টার্ট বন্ধ করে দিবে।
ভালো ড্রাইভার দিবা ভালো ডালবা, দেখবা শান্তি আর কোথাও পাবানা।
আপনি যেরকম আপনার লেভেলের থেকে আরও নিচে বিয়ে করবেন। যদি ছেলে হন। যদি মনে করেন যে,
না আপনি ওই সুন্দরী মেয়ে পালতে পারবেন না, ভুল করেও প্রেম করেও আপনিও লেবেলের মেয়ে বিয়ে করবেন না
সুন্দরী মেয়ে অবশ্যই পার্লারে যাবে, তার স্কিন ঠিক রাখার জন্য সেই লাখ লাখ টাকার প্রোডাক্ট ইউজ করবেই।
ঘরে সবসময় রান্নাবাটি করবে না তার নখ নষ্ট হয়ে যাবে।
যখন সেগুলো পাবে না সে অবশ্যই tantrum করবে।
বা অন্য দিকে চলে যাবে, ইটস নরমাল ব্রো।
তোমার টেস্ট হচ্ছে তারের জালি দিয়ে দেখছি মাজার।
তুমি ডিশওয়াশারে deksi মাঝলে সেই টেস্ট পাবানা। dish washer এ থালা বাটি দেওয়ার আগে করে পরিষ্কার করে দিতে হয়।
সুন্দরী মেয়ে আনলে তাকে পালার মত হিম্মত থাকতে হবে।
হয় ভালোবেসে পৌঁছাতে হবে।
সেক্স দিয়ে পৌঁছাতে হবে।
না হলে টাকা।
high level এর সাথে খিট্‌খিট করে ভাই পারবানা।
যে কোন মুহূর্তে উল্টাবে। কারণ সে তার worth জানে
যদি কোন সুন্দরী মেয়ে, বড় লোকের মেয়ে, অনেক কিছুর পরেও থাকে বুঝবেন যে মেয়েটা অনেক ভালো মেয়ে সে বাচ্চাদের খাতিরে হলো থেকে গেছে। তাকে প্রতিটা দিন স্পেশাল ফিল করেন।
তার বসার জায়গা, তার থাকার জায়গা কিভাবে আপনি নিত্য লেভেলাপ করবেন সেই চেষ্টা করেন।
comfort চাওয়া খারাপ কিছু না।
ওই যে বললাম রেঞ্জ রোভার যদি রিক্সার গারাজ এ ফেলে রাখেন নষ্ট হয়ে যাবে।
আপনারা সুন্দর দেখে বিয়ে করেন কিন্তু পরবর্তীতে সুন্দর রাখার ব্যাপারে আপনাদের এত গাফেলতি কেন?
একটা ন্যূনতম মাসিক খরচ দিতে না পারলে রোজা রাখবেন, বিয়ে করবেন না।
একটা মেয়ে যত ইন্ডিপেন্ডেন্ট হোক তার খরচ তার স্বামীকেই চালাতে হবে।
আপনারা মেয়েদেরকে বলছি, যত কষ্ট হোক, মাসিক খরচ কিছুটা হলেও স্বামীর থেকে নিন।
আমি ইসলাম সম্পর্কে খুবই অযোগ্য একজন মানুষ। তবে আমি যতটুকু জানি যে একটা মা যদি তার বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে না চায় সেখানেও দাসী রাখার কথা বলা হয়েছে।
আমি জানি না অনেক স্ক্লার আছেন যদি আমার ভুল হয় অবশ্যই শুধরায় দিয়েন।
সেখানে আপনারা এমবিএ পাস মেয়েগুলারে কিভাবে হাড়ি পাতিল মাজার জন্য বা ঘরের কাজ করার জন্য বাধ্য করেন।
আবার ঘরে ঢুকে মোবাইল মারাইতে থাকেন।
যে নিজের থেকে করে করুক সমস্যা নাই। অনেক ডাক্তারও ব্লগ করতেছেন, কাজ করছেন ভিডিও করছেন সেটা তার সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছাতেই করতেছে কিন্তু।
বাধ্য করেন কিভাবে সেটা বুঝি না?
একটা মেয়েকে চাকরিও করতে দিবেন না বাইরেও যেতে দিবেন না? স্কিন কেয়ার করার টাকাও দিবেন না?
ঘরের কাজ করতে বাধ্য করেন কিভাবে?
একটা বুয়ার রাখার মতো যোগ্যতা না থাকলেও বিয়ে করেন কেন আপনারা?
অনেকের শাশুড়ি আছে বুয়া কাজ করলে হবে না বউকেই কাজ করতে হবে।
ঠিক আছে মাসে একটা বেতন দিয়ে দেন বউ কে।
অনেক জাহেল আছে ১০২ ডিগ্রি জ্বরের মধ্যে বউকে দিয়ে শুকনা মরিচ পাঠায় পিষে রান্না করে খাইছে।
এগুলা আবার মসজিদের তাবলীগ করে।
ইসলামে কোথাও বলছিল বউকে দিয়ে এগুলো করানোর জন্য?
ইসলাম বউকে রানি বানানোর কথা বলছে আর বাংলাদেশ- ইন্ডিয়া সব জায়গায় বউকে বুয়া বানায় ফেলছে।
এশিয়াতে ইসলাম অন্যরকম হয়ে চলে।
প্রতিটা মেয়েকেই দুই তিন মাস পর পর একটু ছুটি দেওয়া দরকার একদিনের জন্য হলেও।
বেড়াতে যাওয়া মানে শুধু শ্বশুরবাড়িতে যাওয়া এরকম হওয়া উচিত না।
একটা ছেলে যদি বলতে পারে যে তোমার দুধ ঝুলে গেছে চুল চলে গেছে, একটা মেয়ে কেন বলতে পারবে না টাকা দাও ইমপ্লান্ট করে আসি।
যদি টাকা ঢালে চুপ মেরে থাকবেন
টাকা না থাকলে বলে দিবেন, maintain e রাখতে না পারলে এসব বলিও না।
beauty industry means money.
একটা বউ বছরের পর বছর ফ্রাস্টেটেড ডিপ্রেস্ট হয়ে চলে গেলে তখন আমরা বলি যে বউ চলে গেছে।
কিন্তু চলে যাওয়ার পেছনে যে কত কাহিনী থাকে মারাত্মক।
দিনশেষে সে টের পায় এতটা এফোরট সে নিজের পিছনে ঢাললেও অনেক সুস্থ থাকতো।
বাচ্চা বাচ্চা বাচ্চাদের জন্য সে যায় না, অথচ সে বাচ্চাগুলো বড় হয়ে অন্য ভাবে লাইফ লিড করতে থাকে।
তাই বলছি মেয়ে শোন।
সংসারে সব উজাড় করে দিও না। নিজের টাকা পয়সা gold লুকিয়ে রেখে দাও
আবার কেউ মনে করিয়েন না যে আমাকে মনে হয় বলছে ঝুলে গেছে তাই আমি মাথা গরম করে লিখতেছি 😆😆
আমার ভাই ঝুলার মতো কিছুই নাই আমি অনেক ছোট।
আমাকে যদি ছোট বলে তাহলে আমি বলব ইমপ্লান্ট করার টাকা দাও আমি করে আসবো। আমি একটুও রাগ করবো না। 🤣🤣
Accomplish your study
দিন শেষে তোমার সৌন্দর্য কিছুটা ম্লান হবে
তোমার বয়স হবে
কিন্তু তোমার স্টাডি সব সময় চকচক করবে।
Beauty is your first currency.
Magar, Study is your lifelong precious currency.
Any time you can stop the flow
Anytime you can start the flow with study.
যে তোমাকে gold digger বলবে, সোজা বলবা তুই body digger, beauty digger হইলে আমি গোলডিগার হতে সমস্যা কি?
By Nahid Akhter.

এটি একটি ১,০০০ গ্রাম লোহার বার, কাঁচামাল হিসেবে যার মূল্য মাত্র ১০০ ডলার।যদি আপনি এটাকে ঘোড়ার খুর বানাতে ব্যবহার করেন, এ...
06/07/2025

এটি একটি ১,০০০ গ্রাম লোহার বার, কাঁচামাল হিসেবে যার মূল্য মাত্র ১০০ ডলার।

যদি আপনি এটাকে ঘোড়ার খুর বানাতে ব্যবহার করেন, এর মূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ২৫০ ডলার।

সেলাইয়ের সূঁচ তৈরি করলে এর মূল্য হয় প্রায় ৭০,০০০ ডলার।

ঘড়ির স্প্রিং ও গিয়ার তৈরি করলে এর মূল্য পৌঁছে যায় ৬ মিলিয়ন ডলারে।

আর এটাকে যদি উন্নত প্রযুক্তির লেজার উপাদানে রূপান্তর করা হয়, যা কম্পিউটার চিপ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, তখন এই একই লোহার বারের মূল্য দাঁড়ায় ১৫ মিলিয়ন ডলার।

আপনার প্রকৃত মূল্য নির্ধারিত হয় আপনি কি দিয়ে তৈরি তার মাধ্যমে নয়, বরং আপনি কীভাবে আপনার দক্ষতাকে বিকশিত করেন এবং তা প্রয়োগ করেন, তার উপর।

Address

Dhaka
1230

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when জীবন যাপন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to জীবন যাপন:

Share

এইতো জীবন!!!

এইতো জীবন!!!