16/10/2025
সাত রুটে অস্ত্র ঢুকছে বাংলাদেশে!
বাংলাদেশ–মায়ানমার সীমান্তের সাতটি পথে সক্রিয় পাচারচক্রের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ করছে দেশে। সীমান্তবর্তী কক্সবাজার ও পার্বত্য অঞ্চলে সক্রিয় অন্তত পাঁচটি চক্র এই অস্ত্র বাণিজ্যে জড়িত, যাদের মধ্যে রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ভূমিকা সবচেয়ে বেশি।
সূত্র জানায় বাইশফাঁড়ি, পালংখালী, নলবনিয়া, উনচিপ্রাং, উলুবনিয়া, দমদমিয়া ও বরইতলী খাল এই সাতটি রুটে মায়ানমার থেকে অস্ত্র ঢুকছে। এসব অস্ত্রের প্রধান গন্তব্য রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও তিন পার্বত্য জেলার সন্ত্রাসী আস্তানা।
বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাসে সীমান্তে ২২টিরও বেশি অস্ত্র চালান আটক হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে শতাধিক বিদেশি অস্ত্র ও বিপুল গোলাবারুদ।
অস্ত্র পাচারে সরাসরি জড়িত চারটি রোহিঙ্গা সশস্ত্র সংগঠন আরসা, আরএসও, হালিম গ্রুপ ও নবী হোসেন গ্রুপ। এছাড়া পাহাড়ি অঞ্চলের একটি বড় চক্র এসব অস্ত্র কিনে নিচ্ছে।
তদন্তে জানা গেছে, মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনীর সংঘাতে ফেলে আসা বিপুল অস্ত্র এখন কালোবাজারে বিক্রি হচ্ছে। খাদ্য ও নিত্যপণ্যের বিনিময়েও আরাকান আর্মি অস্ত্র বেচে দিচ্ছে রোহিঙ্গা ও সীমান্ত চক্রের হাতে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, সীমান্ত এলাকায় অস্ত্র ও মাদক একই চ্যানেলে প্রবাহিত হচ্ছে যা দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। এসব অস্ত্র চালান রুখতে প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সংগৃহীত