20/11/2025
প্রতীক নয়, এবারের সংসদ নির্বাচনে 'আমলনামা'ই হবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের মাপকাঠি। জুলাই বিপ্লবের পর মানুষ নির্বাচনকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। আপনি নমিনেশন পেলেন বলেই এমপি হয়ে যাবেন এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
এবার সারা বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে একটা পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ভোটারদের আলোচনায়, চিন্তাভাবনায় প্রতিফলিত হচ্ছে একটি স্পষ্ট বার্তা— প্রতীক দেখে নয়, বরং প্রার্থীর অতীত কর্মযজ্ঞ, সততা এবং এলাকার মানুষের প্রতি ভালোবাসার "আমলনামা" দেখেই তারা তাঁদের মূল্যবান ভোটটি দেবেন।
আপনি নেতা, আপনি রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, এমপি হবেন, আপনি ভোট চাইতে এসেছেন, বেশ ভালো কথা, জনগণের জন্য, এই নির্বাচনী এলাকার মানুষের জন্য অতীতে কি ভালো কাজটি করেছেন?
এবার বাংলাদেশের জনগন চান এমন একজন প্রতিনিধি যিনি এলাকার রাস্তাঘাট, শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা এবং কর্মসংস্থানের মতো মৌলিক সমস্যা সমাধানে অতীতে আন্তরিকভাবে কিছু-না-কিছু কাজ করেছেন। আপনি নির্বাচনের সময় এসে 'এটা করবো, ওটা করবো' বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাবেন, কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর আপনাকে আর খোঁজে পাওয়া যাবে না-- তা হবে না। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে এমপি মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে এমনটিই দেখা গেছে। জনগণ এইসবে আর বিশ্বাস করে না প্রার্থীর শুদ্ধ 'আমলনামা' থাকতে হবে । "আমলনামা" হলো তাঁর রাজনৈতিক জীবনের স্বচ্ছতা, জনসেবামূলক কাজের দৃষ্টান্ত, দুঃসময়ে এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানো, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা, ব্যক্তিগতভাবে দুর্নীতিমুক্ত থাকা ইত্যাদি। সুতরাং শুদ্ধ ' আমলনামা' ছাড়া এমপি হবার কোনো সুযোগ নেই।
সবশেষে বলতে চাই, বাংলাদেশের মানুষ এবার একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রত্যাশায় রয়েছেন। তাঁরা যোগ্য নেতৃত্ব খুঁজছেন। তাই, যে প্রার্থীর 'আমলনামা' যত বেশি উজ্জ্বল হবে, জনগণের মনে তাঁর স্থান ততো বেশি পাকাপোক্ত হবে। প্রতীক নয়, প্রকৃত জনসেবককেই বেছে নেওয়ার এই মানসিকতা একটি সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক দিক।