01/08/2025
Respect 🙏
My Allah give you biggest place in paradise 🤲
Ameen, summa ameen🤲
এমন বর্ণাঢ্য অন্তিম যাত্রা —
কেউ কোনোদিন দেখেনি…....
শ্রদ্ধা, ভালোবাসা আর চোখের জলে
এক বাঙালি বীরকে চিরবিদায় জানালো নিউইয়র্ক।
বন্দুকধারীর হামলায় নিহত
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা
দিদারুল ইসলাম
— আজ আমাদের সকলের হৃদয়ের এক অবিনাশী নাম।
বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টারে
তাঁর জানাজায় অংশ নেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কের গভর্নর, সিটি মেয়র, পুলিশ কমিশনার, আইনপ্রণেতারা —
আর পাঁচ হাজারেরও বেশি পুলিশ অফিসার,
যাঁদের প্রত্যেকের চোখে ছিল গভীর শ্রদ্ধা, মুখে ছিল একটিই কথা:
“দিদারুল ছিল কর্তব্যের প্রতীক।”
জানাজা শেষে মরদেহ যখন দাফনের উদ্দেশে নেওয়া হয়,
রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে হাজারো পুলিশ সদস্য
শেষ স্যালুট জানান তাঁদের প্রিয় সহকর্মীকে।
আকাশেও হেলিকপ্টারের গার্ড অব অনার —
এ যেন এক বীরের বর্ণাঢ্য বিদায়!
অশ্রু আর সম্মানে মোড়ানো,
এক জাতির হৃদয়ে গেঁথে থাকা অন্তিম যাত্রা।
দিদারুল ইসলামের মৃত্যু ছিল শুধু একটি ব্যক্তির প্রস্থান নয় —
এ ছিল একজন অভিবাসী সন্তানের আত্মত্যাগ,
একজন বাবার অকাল বিদায়,
একজন স্বামী, সহকর্মী, এবং সহানুভূতির প্রতিমূর্তির না ফেরা পথচলা।
নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ মরনোত্তর তাঁকে
“প্রথম শ্রেণীর ডিটেকটিভ” উপাধি দিয়েছে।
এই সম্মান শুধু একটি পদ নয় —
এ জাতির প্রতি তাঁর ভালোবাসা আর আত্মত্যাগের এক নিরব স্বীকৃতি।
দিদারুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন আশার খোঁজে।
হয়েছিলেন আশার প্রতীক।
কিন্তু এক অন্ধকারময় মুহূর্তে
তিনি নিজেই হয়ে গেলেন অন্যদের আশার আলো।
আজ তাঁর দুই সন্তান আর গর্ভবতী স্ত্রী রেখে গেছেন এক অমূল্য উত্তরাধিকার —
সাহসের, সেবার, আর ভালোবাসার গল্প।
🕊️
আজ পুরো আমেরিকা কাঁদে,
আজ পুরো বাংলাদেশ গর্বে ও শোকে অভিভূত।
এই মৃত্যু নয় —
এই বিদায় নয় —
এ এক ইতিহাসের জন্ম।
🤍
শ্রদ্ধা, দিদারুল ইসলাম।
তোমার ভালোবাসা, সাহস, আর দেশপ্রেমের কাছে আমরা ঋণী❤️