রেডিও আলাপন

রেডিও আলাপন Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from রেডিও আলাপন, Digital creator, Mohammadpur, Dhaka.

"জীবন, শিক্ষা, সম্পর্ক, এবং বাস্তবতার গল্প নিয়ে চিন্তা-উদ্রেককারী পোস্ট, যা আপনাকে প্রতিদিন নতুন কিছু শেখাবে। জীবনের পথে সঠিক জ্ঞান ও দূরদর্শিতার আলো ছড়াতে আমরা আছি আপনার সাথে। বাস্তব অভিজ্ঞতা, তথ্য, এবং সম্পর্কের গভীরতা খুঁজে পেতে থাকুন আমাদের সাথে!"

গল্প আমি ফাইসা গেছি
25/09/2025

গল্প
আমি ফাইসা গেছি

দাম্পত্য জীবনের রোমান্টিক গল্প আমি ফাইসা গেছি- ৩য় পর্ব || জীবন গল্প || Motivational Story || আমাদের জীবন কথা ||___________________________ ...

06/09/2025

ভাবীকে দেখে আমি অভিভুত

গল্পের নামঃ ভালোবাসা ডিজাইন১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০২, ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে, যাযাদি একদিনব্যাপী এক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছিল। ...
06/09/2025

গল্পের নামঃ ভালোবাসা ডিজাইন

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০২, ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে, যাযাদি একদিনব্যাপী এক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছিল। আমন্ত্রণ পেয়ে বন্ধু রাজুকে নিয়ে যথাসময়ে ঢাকায় অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হই।
অনুষ্ঠানের প্রবেশমুখে হলুদ গাঁদা ফুলের মালা গলায় পরিয়ে আমাদেরকে বরণ করে নেওয়া হলো। একই সঙ্গে গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হলো আকর্ষণীয় লেমিনেটেড পরিচয়পত্র। মাথায় পরিয়ে দেওয়া হলো ভালোবাসার লোগো অঙ্কিত সুদৃশ্য কাগজের মুকুট, আর হাতে দেওয়া হলো তথ্যসমৃদ্ধ বুকলেট। লেডিস ক্লাব অডিটোরিয়াম আকর্ষণীয় ও রুচিশীল সাজে সজ্জিত; জিন আর পরীতে পরিপূর্ণ। মেয়েদের সুন্দর দেখালে ‘পরী’ বা ‘পরীর মতো’ বলা হয়। এতে যাকে বলা হয়, সে-ও খুশি হয়। পরীর পুংলিঙ্গ জিন। তবে কোনো পুরুষকে সুন্দর দেখলে ‘জিনের মতো সুন্দর’ বলতে কখনো শুনিনি। ‘জিন’ বললে পুরুষটি খুশি হবে কি না, জানি না। তবে এ জাতীয় শব্দ ব্যবহার করায় নিজেও অস্বস্তি বোধ করছি।
শফিক রেহমানকে প্রথম দেখলাম। সারা অনুষ্ঠান জুড়ে ওনার সেই দৌড়াদৌড়ি, স্মার্টনেস, বাচনভঙ্গি তথা সার্বিক পারফরম্যান্স দেখে, আমার কাছে ওনাকে তরুণ বলেই মনে হলো।
আমরা চেয়ারে বসার কিছুক্ষণ পর, ওই প্রবীণ-তরুণ আমাকে মঞ্চে ডাকলেন। আমার পরিচয় এবং যাযাদিনে আমার কী লেখা ছাপা হয়েছে, তা জানতে চাইলেন। আমার বাড়ি ফেনী শুনে তিনি বললেন, "এক ব্যক্তির কারণে আপনার জেলা তো সারা দেশে পরিচিত।" তিনি সে ব্যক্তিটির নামও বললেন। "আপনাকে আমরা আবার মঞ্চে ডাকব, আপনাদের ফেনীর গল্প শুনব।"
মঞ্চ থেকে নেমে শফিক রেহমানের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত মি. এমরানের সঙ্গে পরিচিত হলাম। তিনি আমাদের ফেনী জেলারই লোক। দুজনে কথা বলতে বলতে অডিটোরিয়ামের পেছনের সারিতে বসলাম। এতক্ষণ আমার ফ্রেন্ড রাজুর পরিচয় পর্ব চলছিল। সে-ও এসে আমাদের পাশে বসল।
হঠাৎ সামনের সারির এক মহিলার ওপর আমার চোখ আটকে গেল। ঠিক মহিলা নয়, মহিলার শাড়ির ওপর। স্বামীসহ এসেছেন। পরে জেনেছি, ওনার নাম তাজনাহার নাজমুল মিলি।
শাড়িতে নতুনত্ব আর সৃজনশীলতার ছাপ লক্ষ্য করলাম। শাড়িটা যে বৈচিত্র্যময় এবং আনকমন, এ কথা রাজুকে বললাম। বারবারই বললাম। আরও বললাম, "দোস্ত, মহিলাটার একটা ছবি উঠিয়ে নে। এ রকম একটা শাড়ি পপিকে, অর্থাৎ আমার স্ত্রীকে, বানিয়ে দেব।" আমার শিশুসুলভ বাড়াবাড়িতে রাজু কিছুটা বিরক্ত বোধ করল। তবে শাড়িটা যে সুন্দর, এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত করল না।
অফ-হোয়াইট রাজশাহী সিল্কের ওপর হাতের এমব্রয়ডারি করা শাড়ি। এমব্রয়ডারিতে বহুরঙ খুব রুচিশীলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে এবং এমব্রয়ডারির ডিজাইনগুলো ভালোবাসা সম্পর্কিত। খুব সম্ভবত, বাংলাদেশে ভালোবাসা ডিজাইনের প্রথম শাড়ি ছিল এটিই।
পরিচয় পর্বের এক পর্যায়ে ওই বৈচিত্র্যপূর্ণ শাড়ি পরিহিতার ডাক পড়ল। পরিচয় শেষে তিনি মঞ্চ থেকে নামতেই, শাড়িটার ওপর চোখ পড়ল মঞ্চে উপবিষ্ট শবনম মুশতারি আর ডেমোক্রেসিওয়াচের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর তালেয়া রেহমানের। তালেয়া রেহমান দাঁড়িয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে শফিক রেহমানকে বললেন, "আরে দেখো, দেখো, ও কী সুন্দর শাড়ি পরেছে!"
মিলিকে আবার মঞ্চে ডাকা হলো। সবাই শাড়িটা ধরে ধরে দেখল। শাড়িটার ডিজাইনার যে শাড়ি পরিহিতা নিজেই, এটা জেনে সবাই তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করলেন। শফিক রেহমান ঝাড়া পাঁচ মিনিট এ ব্যাপারে বক্তৃতা দিলেন—এ ধরনের প্রতিভার বিদেশে কীভাবে মূল্যায়ন করা হতো, ইত্যাদি।
শাড়িটা যে সুন্দর, এ কথাটা আমি আগেই বুঝতে পেরেছি, এই ভেবে আমার খুব ভালো লাগছিল। বন্ধু রাজু তো পারলে আমাকে মাথায় তোলে! "দোস্ত, তুই একটা জিনিয়াস!"
অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হলো। দেখলাম, বৈচিত্র্যময় ও সৃজনশীল শাড়ি পরার জন্য তাজনাহার নাজমুল মিলিকে বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করা হলো।
বাড়িতে আসার সপ্তাহখানেক পরেই ওই রকম একটা শাড়ি পপিকে বানিয়ে দিয়েছি। শাড়িটা পরে কোথাও গেলে, এমন কখনো ঘটেনি যে অন্তত দুই-চারজন শাড়িটি ধরে দেখেনি। পপি এ রকম আরও একটা শাড়ি তৈরি করছে, গ্রামীণফোনে কর্মরত তার অতিপ্রিয় শান্তা আন্টিকে দেওয়ার জন্য।
ধন্যবাদ, মিলি ম্যাডাম।

05/09/2025

পরীক্ষার আগে

05/09/2025

মাধবী সেটা মেনে নিলো

গল্পের নামঃ পরীক্ষার আগেতেরো এপ্রিল ২ হাজার সাল। আমি তখন ঢাকা কলেজের একজন পরীক্ষার্থী। এইচএসসি পরীক্ষার মাত্র দুই সপ্তা...
05/09/2025

গল্পের নামঃ পরীক্ষার আগে

তেরো এপ্রিল ২ হাজার সাল। আমি তখন ঢাকা কলেজের একজন পরীক্ষার্থী। এইচএসসি পরীক্ষার মাত্র দুই সপ্তাহ বাকি। চোদ্দ ও পনেরো তারিখ পরপর দুটি রসায়ন ফাইনাল মডেল টেস্ট। অথচ পদার্থ ও গণিতে সময় দিতে গিয়ে রসায়নের যে কী বেহাল অবস্থা, তা একমাত্র আমিই জানি।
দুপুরবেলা বসে পড়ার ব্যর্থ চেষ্টা করছি। হঠাৎ আম্মু এসে বললেন, "ছোটবোন নরীন কাল স্কুলে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে নাচবে।" তাই নতুন শাড়ি কিনতে হবে। মায়ের অনুরোধে এবং ছোটবোনের কান্নাকাটিতে মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেকটা বাধ্য হয়ে শার্ট-প্যান্ট পরে বেরিয়ে পড়লাম। লক্ষ্য, পঞ্চাশ মিনিটের মধ্যে ফিরে আসবো। কিন্তু যানজটের কারণে পৌঁছাতেই চল্লিশ মিনিট লেগে গেল। আম্মু সাইফুলভাইয়ের দোকানে আগেই ফোন করে রেখেছিলেন। চাঁদনি চক মার্কেটে সাইফুলভাইয়ের দোকানে পৌঁছেই এক নিঃশ্বাসে বললাম, "সাইফুলভাই, কেমন আছেন? আম্মু শাড়ি দিতে বলেছেন, তাড়াতাড়ি দেন।"
তিনি বললেন, "আরে, ব্যস্ত হচ্ছো কেন? বসো, ঠাণ্ডা হও, তারপর না হয় শাড়ি নেবে।"
বললাম, "একদম সময় নেই, কাল পরীক্ষা।" শাড়ির প্যাকেট করা হলে গেলে, ঝড়ের মতো কেড়ে নিয়ে এক দৌড়ে গিয়ে একটা রিকশায় উঠে বসলাম।
"কই যাইবেন, স্যার?"
"মোহাম্মদপুর, আদাবর দুই নাম্বার রোড। তাড়াতাড়ি চল ব্যাটা।"
"পঁচিশ টাকা লাগবো, স্যার।"
"আরে, ডাকাত নাকি! পনেরো টাকার ভাড়া পঁচিশ টাকা চাস?"
রিকশাচালক কিছু বলতে চাইলো। কিন্তু আমার চোখ ততক্ষণে স্থির হয়ে গেছে শীলাআপুর দিকে।
শীলাআপু আমার এক বছরের সিনিয়র। আমাদের আগের ধানমন্ডির বাসার পাশের বাসাতেই তারা থাকতো। শুনেছি, এ বছর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ-তে ভর্তি হয়েছেন। পরিচয় থাকলেও তেমন ঘনিষ্ঠতা নেই।
আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে সুন্দর মেয়েটিকে হালকা হলুদ সালোয়ার-কামিজে আজ অনেক সুন্দর লাগছে। কথা বলার সুযোগ হাতছাড়া করার কোনো মানেই হয় না। জাহান্নামে যাক রসায়ন মডেল টেস্ট!
"আরে, শীলাআপু, এখানে কী করছেন?"
"সজীব যে! কী খবর? তোমার না কয়েকদিন পরে পরীক্ষা? এই এলাকা কি ছাড়তে ইচ্ছা করে না?"
"আপনার দেখা পাওয়ার সৌভাগ্যই হয়তো এখানে নিয়ে এসেছে।"
"অ্যাঁই, দুষ্টুমি হচ্ছে! আচ্ছা, দেখো তো কী যন্ত্রণায় পড়লাম! কাল রমনা বটমূলের এক অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা। তিন বান্ধবী একই রকম শাড়ি কিনবো। আমি এসেছি প্রায় আধা ঘণ্টা হলো, অথচ..."
"শীলাআপু, আপনি ভালো আছেন? শরীর-মন ভালো তো?"
"হ্যাঁ, ভালো।" তারপর মুচকি হেসে বললেন, "ঘরে বসে থেকে তোমার স্বাস্থ্য তো খুব ভালো বানিয়েছো।"
"আমার কী দোষ? আপনিও তো..."
হঠাৎ শীলাআপুর মোবাইল ফোন বেজে উঠলো।
"আরে শান্ত, তুই কোথায়?..." কথোপকথন চললো।
শীলাআপু ফোন অফ করলে জিজ্ঞাসা করলাম, "আপনি শাড়ি কিনবেন না?"
"ধেৎ! তারা নাকি শাড়ি কিনে ফেলেছে। এখন একা...। আচ্ছা চলো, তোমাকে নিয়ে... না, সরি, তোমার তো আবার পরীক্ষা।"
তড়িঘড়ি করে বললাম, "আরে না না, পরীক্ষা কোনো সমস্যাই না। বেশি পড়ে মাথা জ্যাম হয়ে গেছে। আজ রেস্ট।"
"তাই নাকি?"
"আচ্ছা শীলাআপু, দেখেন তো এ শাড়িটা কেমন? পছন্দ হলে নিতে পারেন।"
"ওয়াও! খুব সুন্দর তো শাড়িটা। খুলতে হবে না, আমার খুব পছন্দ হয়েছে। কিন্তু এটা কার?"
"এটা আপনাকেই মানাবে। তাই এটা আপনার।"
শাড়িটির দাম দিতে চাইলে আমি বললাম, "না, না, মাথা খারাপ! সামান্য একটা শাড়ি, টাকা নেবো কেন? ছিঃ! ছিঃ!"
তিনি বেশি জোর করলেন না। বললেন, "তাহলে চলো।"
"কোথায়?"
"আমাদের বাসায়।"
"কেন?"
"ওমা! তুমি আমাকে শাড়ি কিনে দিলে, তোমাকে কিছু খাওয়াবো না?"
বাসায় নেয়ার আগ্রহটা একটু বেশিই মনে হলো, কারণ এখানেও তো অনেক খাবার দোকান আছে।
ততক্ষণে শীলাআপুর হ্যাঁচকা টানে ধপ করে গাড়িতে উঠে বসলাম তার পাশে এবং লোভাতুর দৃষ্টিতে খুব কাছ থেকে তার শরীরের সৌন্দর্য দেখলাম। এক ফাঁকে তাকে বললাম, "এই শাড়িটিতে আপনাকে কেমন লাগবে, তা দেখতে খুব ইচ্ছা করছে।"
তিনি শুধু মুচكي হাসলেন।
বিশাল বাড়ির ড্রয়িংরুমে আমাকে বসিয়ে রেখে তিনি ভেতরে চলে গেলেন। বাসায় তেমন কেউ নেই মনে হচ্ছে। মিনিট দশেক পর হঠাৎ শুনলাম, "সজীব, শাড়িটি মনে হয় বাচ্চাদের।"
কথাগুলো অস্পষ্ট মনে হলো। কিন্তু আমাকে শীলাআপু কি ডাকছেন? হৃৎকম্পনের মাত্রা বেড়ে গেল।
বুঝলাম, শীলাআপুর বেডরুমের দরজায় এসে দাঁড়িয়েছি। আমার ঠিক সামনে, মাথায় হলুদ তোয়ালে প্যাঁচানো, মাত্র গোসল সেরে ওঠা শীলাআপু যেন তরতাজা একটি গাঁদা ফুল। তার দুই চোখ যেন আমাকে আরও কাছে ডাকছে। ছুটে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলাম। পিষে ফেললাম তাকে আমার বিশাল বুকে। ঠোঁটে ঠোঁট রাখতেই কোনো বাধা না পেয়ে আমার হাত দুটো যেন সাহসী হয়ে উঠলো। সরিয়ে ফেললাম প্রায় সব আবরণ তার শরীর থেকে। সঙ্গে সঙ্গে শীলাআপু বাদ সাধলেন। প্রায় জোর করে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বললেন, "প্লিজ, প্লিজ, আজ নয়। তোমার পরীক্ষা শেষ হোক।" আমি যেন হঠাৎ ঘুম ভেঙে জেগে উঠলাম। নিজেকে কোনো রকমে সামলে নিলাম। মনে হলো, পরীক্ষার নাক বরাবর একটা ঘুষি মারি।
গাঢ় নীল রঙের ম্যাক্সিতে নিজেকে ঢেকে নিয়ে শীলাআপু বললেন, "পরীক্ষার পর এসো, তোমাকে নিরাশ করবো না।"
ব্যথিত আমি ফ্যাল ফ্যাল করে শুধু চেয়ে রইলাম।
নীল পোশাকে অপরূপা শীলাআপুর সান্নিধ্য এক ঘণ্টা কাটানোর পর বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে এলো।
সঙ্গে রইলো সেই শাড়িটি, আর চিন্তা-চেতনায় থাকলো পরীক্ষার পরের সম্ভাব্য সুখ।
সেদিন রাতে হলো না লেখাপড়া, হলো না ঘুম। শুধু মনে হলো, টাইম মেশিনে করে চলে যাই এক মাস পরের সময়টাতে। শীলাআপুকে দিয়েছিলাম ছোট একটি শাড়ি, একথা ভেবে হাসিও পাচ্ছিল। কিন্তু শীলাআপুদের বাসায় আর যাওয়া হয়নি। কারণ, এক মাস পর শীলাআপুদের সিলেটি পরিবার লন্ডনে শিফট হয়ে যায় এবং আমার পরীক্ষাও খুব খারাপ হয়। ছোটবোনের সেই শাড়িটিকে দেখলে এখনো সেই দিনটির কথা মনে পড়ে। রাগ হয় পরীক্ষা খারাপের জন্য, আফসোস হয় শীলাআপুর জন্য।

02/09/2025

লক্ষী বউ

"গল্পের নামঃ ব্যালান্সমে মাসের প্রচণ্ড গরম। স্নান সেরে লুঙ্গি পেলাম না। মা দিলেন তাঁর শাড়ি পরতে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও উপায়ান...
02/09/2025

"গল্পের নামঃ ব্যালান্স

মে মাসের প্রচণ্ড গরম। স্নান সেরে লুঙ্গি পেলাম না। মা দিলেন তাঁর শাড়ি পরতে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও উপায়ান্তর না দেখে, লুঙ্গির মতো করে শাড়ি পরলাম। দুপুরের খাবার শেষ করে, ঘামে ভেজা শরীর মুছতে মুছতে বিছানায় গেলাম। লোডশেডিং! পাখার সুইচ অন করে বিছানায় গড়াগড়ি দিচ্ছি। প্রায় আধা ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ এলো। পাখা ঘুরছে। পাখার বাতাস ঘর্মাক্ত শরীরে ঠাণ্ডা পরশ ছড়িয়ে দিল। ঘুমিয়ে পড়লাম।
ঘুম ভাঙলো মাগরিবের নামাজের একটু আগে। ঘুম ভেঙে আমার বেহাল অবস্থা দেখে, আমি বিস্ময়ে হতবাক! শুয়ে ছিলাম চিৎ হয়ে। পাখার এলোমেলো বাতাসে, লুঙ্গির বিকল্প শাড়ি আমার শরীরের অত্যাবশ্যকীয় জায়গায় ছিল না। আমার কোমরের নিম্নাঙ্গ সম্পূর্ণ নগ্ন। সংবিৎ ফিরে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই, নিজেকে শাড়ি দিয়ে জড়িয়ে আব্রু রক্ষা করলাম। আমার বেহাল অবস্থা কেউ দেখেছে কি না, জানি না। কিছুটা সঙ্কোচ নিয়ে ঘরের বাইরে এলাম। কেউ নেই। মায়ের ঘরে উঁকি দিলাম। মাগরিবের নামাজের জন্য মা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। চাপকলে হাত-মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে লুঙ্গি পরলাম।
সপ্তাহখানেক পার হয়েছে। ভুলে গেছি সেদিনের ঘটনা। যতদূর মনে পড়ে, বুধবার দুপুর। গরমে ঘামছি আর পাটিগণিতের লাভ-ক্ষতি কষছি। হঠাৎ পাশের বাড়ির সুন্দরী যুবতী উমাভাবী সামনে এসে, কাশি দিয়ে তাঁর উপস্থিতি ঘোষণা করলেন। মুখ তুলে দেখি, ভাবীর মুখে দুষ্টুমির হাসি। অঙ্কের মোট মূলধন বের করে লাভ নির্ণয়ের নিমিত্তে খাতায় কলম রেখে, মুখ তুলে জিজ্ঞাসা করলাম, "হাসছো কেন, ভাবী?"
ভাবী বললেন, "কারণ আছে।"
"কী কারণ?"
"শুনতে চাও?"
"বলো।"
"লজ্জা পাবে না তো?"
আমি বললাম, "লজ্জা পাবো!"
ভাবী বললেন, "পাওয়াটাই স্বাভাবিক।"
"খুলে বলো।" – আমি বললাম, অঙ্কে লাভ নির্ণয় করা বন্ধ রেখে ভাবীর মুখের দিকে তাকিয়ে।
ভাবী বলতে শুরু করলেন, "পাঁচ-ছয় দিন আগে এক দুপুরে, বাবাকে চিঠি লেখার জন্য তোমার রুমে কলম নিতে এসেছিলাম। এসে দেখি, তোমার সে কী অবস্থা! ভীষণ বিব্রত হয়েছিলাম। চাচির শাড়ি পরে তুমি ঘুমাচ্ছিলে..."
সব মনে পড়ে গেল। লজ্জা পেয়ে মুখ নামালাম। ভাবী শব্দ করে হাসছেন।
হাসি থামিয়ে ভাবী বললেন, "কী, লজ্জা পেলে?"
আমি বললাম, "এটা তোমার অন্যায়, ভাবী।"
"কোনটা?" – ভাবী জিজ্ঞাসা করলেন।
"যা দেখেছো, দেখেছোই। তাই বলে এখন আমাকে শুধু শুধু লজ্জা দিচ্ছো কেন?"
ভাবী বললেন, "বারে! আমার একটা দায়িত্ব আছে না?"
"দায়িত্ব!" – আমি অবাক হলাম।
"হ্যাঁ, দায়িত্ব।"
"কী রকম?"
ভাবী উত্তর দিলেন, "ভবিষ্যতে যাতে আর কেউ তোমার ইজ্জত দেখে ভয় না পায়, সে বিষয়ে সতর্ক করা।"
"তুমি ভয় পেয়েছিলে?"
"ভয় না পেয়ে উপায় ছিল? যা ভয়ঙ্কর তোমার অস্ত্র!" – বলেই ভাবী আবার দুষ্টুমি ভরা হাসি দিলেন, সঙ্গে চোখের টিপনি।
কোথা থেকে সাহস পেলাম জানি না। ভাবীকে বললাম, "একটা ব্যালান্স করা যায়।"
ভাবী চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, "ব্যালান্স!"
"ইয়েস ম্যাডাম, ব্যালান্স।" – আমি জোর দিয়ে বললাম।
"সেটা কী রকম?" – ভাবীর চোখেমুখে কৌতূহল।
"লজ্জা পাবে না তো?" – আমি দুষ্টুমির সুরে বললাম।
"দুষ্টুমি হচ্ছে?"
"কিছুটা।"
ভাবী মুখে কৃত্রিম গাম্ভীর্য এনে আদেশের সুরে বললেন, "তোমার ব্যালান্স তত্ত্বটা কী, শুনি?"
ভয়ে ভয়ে বললাম, "তুমি আমার ইজ্জত দেখেছো, এখন তোমারটা একটু দেখিয়ে দাও। তাহলেই ব্যালান্স।"
"অসভ্য কোথাকার!" – বলে আমাকে মারার উদ্দেশে ভাবী চড় ওঠালেন।
আমি মুখ বাড়িয়ে দিলাম। তিনি আমার বাম গালে আলতো করে একটা চড় মারলেন। মুখ তুলে তাকালাম ভাবীর দিকে। ভাবী দুই হাতে আমার মুখ ধরে, নিজের মুখ নামিয়ে এনে, আমার গালের যেখানটায় চড় মেরেছিলেন, ঠিক সেইখানে তাঁর ঠোঁট রাখলেন। আমার স্বাভাবিক ভাবনায় ছেদ পড়লো। ভাবীর শরীরের গন্ধে আমি মাতোয়ারা হলাম। ভাবীর ম্যারাথন চুমু যেন শেষ হতেই চায় না। একসময় আমি দুই হাতে ভাবীর মুখ ধরে তাঁর চোখে চোখ রাখলাম। সব দ্বিধা উবে গেল। ভাবীর সরু গোলাপি ঠোঁট পুরে নিলাম নিজের মুখে। যেন সব সুধা চুষে নেবো আজ। ভাবী কামনায় ছটফট করছেন। এর মধ্যেই আমার হাত চলে গেছে ভাবীর বুকে, তাঁর টুইন টাওয়ারে। একসময় ভাবী তাঁর শরীরের সব ভার আমার ওপর ছেড়ে দিয়ে নিজে ভারমুক্ত হলেন। আর তর সইলো না। দুজনে এলিয়ে পড়লাম বিছানায়। শুরু হলো ব্যালান্স করা।

Address

Mohammadpur
Dhaka
5300

Telephone

+8801611339391

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রেডিও আলাপন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to রেডিও আলাপন:

Share

Our Story

Health, Beauty, fitness, Skin care, hair care, beauty and fitness life problem, relation problem, romance. সেবা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।