TAMAM বাহিনী - আন্তর্জাতিক

TAMAM বাহিনী - আন্তর্জাতিক সত্যকে জানুন, সত্যের সাথে থাকুন |

কাশ্মীর সংকট: তৃতীয় পক্ষ যখন চীন! ১৯৫০-এর এক গোপন হাইওয়ে কীভাবে বদলে দিল দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্র? আকসাই চীনের অজানা অধ্যা...
17/12/2025

কাশ্মীর সংকট: তৃতীয় পক্ষ যখন চীন! ১৯৫০-এর এক গোপন হাইওয়ে কীভাবে বদলে দিল দক্ষিণ এশিয়ার মানচিত্র? আকসাই চীনের অজানা অধ্যায়।

আমরা যখনই কাশ্মীর নিয়ে কথা বলি, চোখের সামনে ভাসে ভারত আর পাকিস্তানের দ্বন্দ। কিন্তু ম্যাপের দিকে ভালো করে তাকালে দেখবেন, কাশ্মীরের বিশাল একটা অংশ (প্রায় ২০% বা তার বেশি) কিন্তু চীনের দখলে! এই জায়গাটার নাম 'আকসাই চীন' (Aksai Chin)।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, চীন ওখানে ঢুকলো কীভাবে? ইতিহাসটা সিনেমার প্লটের মতো।

১. সেই ব্রিটিশ আমলের কনফিউশন: ঝামেলাটা পেকেছিল ব্রিটিশ আমলেই। তখন কাশ্মীর বর্ডারের দুটো লাইন ছিল—'জনসন লাইন' আর 'ম্যাকডোনাল্ড লাইন'। ভারত মানত 'জনসন লাইন' (যেখানে আকসাই চীন ভারতের ভেতরে), আর চীন মানত 'ম্যাকডোনাল্ড লাইন' (যেখানে ওটা চীনের)। এলাকাটা ছিল জনমানবহীন, শুধুই পাথর আর মরুভূমি, তাই কেউ তখন ওটা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায়নি।

২. ১৯৫০-এর দশকের সেই গোপন রাস্তা: ১৯৫০-এর দশকে চীন চুপিসারে একটা মাস্টারস্ট্রোক দেয়। তারা তিব্বত (Tibet) এবং শিনজিয়াং (Xinjiang) প্রদেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য আকসাই চীনের বুক চিরে G219 নামের একটা হাইওয়ে বানিয়ে ফেলে। মজার (বা ভারতের জন্য দুঃখের) ব্যাপার হলো, ভারত জানতেই পারেনি যে তাদের দাবিকৃত ম্যাপের ওপর দিয়ে চীন রাস্তা বানিয়ে ফেলেছে!

৩. ১৯৫৭ সালের ধাক্কা ও ১৯৬২-এর যুদ্ধ: ১৯৫৭ সালে যখন ভারত ম্যাপে এই রাস্তার অস্তিত্ব আবিষ্কার করে, তখন উত্তেজনা শুরু হয়। নেহরু সরকার আপত্তি জানায়, কিন্তু চীন পিছু হটেনি। এরই জেরে শেষমেশ ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধ বাধে। যুদ্ধে ভারত শোচনীয়ভাবে হারে এবং চীন আকসাই চীন পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়। সেই থেকে 'Line of Actual Control' (LAC) বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা তৈরি হয়।

৪. পাকিস্তানের উপহার (Shaksgam Valley): শুধু যুদ্ধ করেই নয়, ডিপ্লোমেসি দিয়েও চীন কাশ্মীরের আরেকটা অংশ নিয়েছে। ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান তাদের দখলে থাকা কাশ্মীরের কিছু অংশ (Shaksgam Valley) চীনকে উপহার হিসেবে দিয়ে দেয় বা বর্ডার সেটলমেন্ট করে। বিনিময়ে চীন পাকিস্তানকে রাজনৈতিক সাপোর্ট দেওয়ার আশ্বাস দেয়।

আজকে আমরা ম্যাপে কাশ্মীরের যে 'নেক' (Neck) বা মাথার ডানদিকের অংশটা দেখি, ওটা স্ট্র্যাটেজিকালি চীনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ ওটাই তাদের দুই বিশাল প্রদেশকে যুক্ত করে রেখেছে। চাইলেও তারা ওটা ছাড়বে না।

আপনার কি মনে হয়? ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে কাশ্মীর কি আজীবন পরাশক্তিদের দাবার গুটি হয়েই থাকবে, নাকি এর কোনো সমাধান আদৌ সম্ভব? কমেন্টে জানান!



------------------------------------
সবাইকে "TAMAM বাহিনী" এর অফিসিয়াল গ্রুপ এ জয়েন করতে অনুরোধ করা হলো https://www.facebook.com/groups/1679545542221654

for copyright and business issues, please contact:
[email protected]

ফ্রান্স কেন আফ্রিকা ছাড়তে চায় না? ইউরোপের এই দেশটির "সুপারপাওয়ার" ভাব কি তবে আফ্রিকানদের রক্ত চুষেই টিকে আছে? ফ্রান্সের ...
17/12/2025

ফ্রান্স কেন আফ্রিকা ছাড়তে চায় না? ইউরোপের এই দেশটির "সুপারপাওয়ার" ভাব কি তবে আফ্রিকানদের রক্ত চুষেই টিকে আছে?

ফ্রান্সের দিকে তাকালে মনে হয়, দুনিয়ার সব মানবতা আর কালচারের ঠিকাদারি তাদের হাতে। কিন্তু পর্দার আড়ালে আফ্রিকার বুকে ফ্রান্স যা করে আসছে, সেটা জানলে গায়ের লোম দাঁড়াবে! কেন ফ্রান্স আফ্রিকার ১৪টা দেশের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলে? কেনই বা হুট করে মালি, নাইজার বা বুরকিনা ফাসো থেকে ফ্রান্সকে লাথি মেরে বের করে দেওয়া হচ্ছে? আসুন, আসল খেলাটা বুঝি। 👇

১. ইউরেনিয়াম এবং লুটপাটের হিসাব (Resource Theft): ফ্রান্সের ঘরে ঘরে যে বিদ্যুৎ জ্বলে, তার বড় একটা অংশ আসে নিউক্লিয়ার পাওয়ার থেকে। আর এই নিউক্লিয়ারের প্রধান জ্বালানি 'ইউরেনিয়াম' আসে কোত্থেকে জানেন? নাইজারের মতো গরিব আফ্রিকান দেশ থেকে! অথচ সেই নাইজারের ৮০% মানুষের ঘরেই বিদ্যুৎ নাই। কী অদ্ভুত, তাই না?

২. সিএফএ ফ্রাঙ্ক (CFA Franc) – অর্থনৈতিক শিকল: ফ্রান্স তাদের প্রাক্তন কলোনিগুলোতে এক অদ্ভুত মুদ্রানীতি চালু রেখেছে, যার নাম 'CFA Franc'। সোজা কথায়, এই দেশগুলোর টাকার মান এবং রিজার্ভের বড় একটা অংশ প্যারিসের ব্যাংকে জমা রাখতে হয়। চাইলেও এরা স্বাধীনভাবে নিজেদের অর্থনীতি চালাতে পারে না। একেই বলে মডার্ন কলোনিয়ালিজম!

৩. সামরিক ঘাঁটি এবং পুতুল সরকার (Military & Puppets): আফ্রিকায় ফ্রান্সের হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েন আছে। অজুহাত? "সন্ত্রাসবাদ দমন"। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, সন্ত্রাস দমনের নামে ফ্রান্স মূলত তাদের খনিজ সম্পদ পাহারা দেয় এবং প্যারিসের কথায় উঠবস করা "পুতুল সরকার" টিকিয়ে রাখে। কেউ ফ্রান্সের বিরুদ্ধে কথা বললেই সেখানে অদ্ভুতভাবে ক্যু (Coup) বা বিদ্রোহ দেখা যায়।

৪. রাশিয়ার এন্ট্রি এবং ফ্রান্সের বিদায় ঘণ্টা: গেম এখন উল্টে গেছে! মালি, বুরকিনা ফাসো এবং সম্প্রতি নাইজারে যে ক্যু হয়েছে, সেগুলো মূলত ফ্রান্স-বিরোধী। এই সুযোগে এন্ট্রি নিয়েছে রাশিয়া (Wagner Group)। আফ্রিকান তরুণরা এখন ফরাসি পতাকা পুড়িয়ে রাশিয়ার পতাকা ওড়াচ্ছে। তাদের কথা পরিষ্কার—"ফ্রান্স ৭৫ বছর ধরে লুটেছে, এবার ভাগো!"

শেষ কথা: ম্যাক্রোঁ এখন বিপদে। আফ্রিকা হাতছাড়া হওয়া মানে ফ্রান্সের সুপারপাওয়ার হওয়ার স্বপ্নে বড় ধাক্কা লাগা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এক শোষক (ফ্রান্স) গেলে আরেক নতুন শোষক (রাশিয়া/চীন) কি তাদের মুক্তি দেবে? নাকি আফ্রিকা শুধুই দাবার গুটি হয়ে থাকবে?

আপনার কী মনে হয়? কমেন্টে জানান!



------------------------------------
সবাইকে "TAMAM বাহিনী" এর অফিসিয়াল গ্রুপ এ জয়েন করতে অনুরোধ করা হলো https://www.facebook.com/groups/1679545542221654

for copyright and business issues, please contact:
[email protected]

অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ! আর্জেন্টিনার মাটিতে ল্যান্ড করল ‘ফাইটিং ফ্যালকন’ F-16!  ব্রিটিশদের কপালে কি চিন্তার ভাঁজ? ফকল্...
16/12/2025

অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ! আর্জেন্টিনার মাটিতে ল্যান্ড করল ‘ফাইটিং ফ্যালকন’ F-16! ব্রিটিশদের কপালে কি চিন্তার ভাঁজ? ফকল্যান্ড বা মালভাইনাস ইস্যুতে খেলা কি ঘুরে গেল?

কাগজে-কলমের চুক্তি নয়, আর্জেন্টিনা ইতোমধ্যেই হাতে পেয়ে গেছে তাদের স্বপ্নের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান! ডেনমার্ক থেকে কেনা ২৪টি এফ-১৬ (F-16 A/B) এখন আর্জেন্টিনার বিমানঘাঁটিতে গর্জন দিচ্ছে। এতদিন ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের (যাকে আর্জেন্টাইনরা ডাকে 'লাস মালভাইনাস') নিরাপত্তা নিয়ে ব্রিটিশরা বেশ নির্ভার ছিল, কিন্তু এফ-১৬ ডেলিভারি পাওয়ার পর সেই শান্তিতে এখন বড়সড় ধাক্কা লাগল!

শুধু বিমান নয়, আর্জেন্টিনা কী কী পেল এই প্যাকেজে?

আর্জেন্টিনা শুধু খালি বিমান আনেনি, সঙ্গে এনেছে কমপ্লিট ‘ওয়ার প্যাকেজ’। ব্রিটিশদের মাথাব্যথার আসল কারণ এই অস্ত্রগুলোই:

২৪টি আপগ্রেডেড ফাইটার: ডেনমার্কের রয়্যাল এয়ারফোর্স থেকে আসা ২৪টি এফ-১৬ এ/বি এমএলইউ (Mid-Life Update) ভার্সন এখন আর্জেন্টিনার হ্যাঙ্গারে।

ডেডলি মিসাইল: বিমানে লোড করার জন্য এসে গেছে AIM-120 AMRAAM (বিয়ন্ড ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ মিসাইল—রাডার দিয়েই বহুদূর থেকে শত্রু খতম) এবং ক্লোজ ডগফাইটের জন্য লিজেন্ডারি AIM-9 Sidewinder মিসাইল।

গাইডেড বম্বস: নিখুঁত গ্রাউন্ড অ্যাটাকের জন্য প্যাকেজে ঢুকেছে GBU-12 Paveway II লেজার গাইডেড বোমা এবং Mk-82 বোমা।

ফুল সাপোর্ট: স্পেয়ার পার্টস, ইঞ্জিন, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার পড এবং ট্রেনিং—সবই এখন আর্জেন্টিনার হাতের মুঠোয়।

কেন ব্রিটিশদের রাতের ঘুম হারাম?

১. শক্তির ভারসাম্য বদল: ফকল্যান্ডে ব্রিটিশদের ইউরোফাইটার টাইফুনের সামনে আর্জেন্টিনার পুরনো স্কাইহকগুলো ছিল খেলনার মতো। কিন্তু এফ-১৬ আর AMRAAM মিসাইল এখন আর্জেন্টিনার হাতে থাকায় তারা ব্রিটিশদের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারবে।

২. ভেটো অকার্যকর: ব্রিটিশরা এর আগে জেএফ-১৭ বা অন্য বিমান কেনায় বাধা দিলেও, আমেরিকার এফ-১৬ আটকাতে পারেনি। বিমানগুলো এখন আর্জেন্টিনায় এবং অপারেশনের জন্য রেডি।

৩. সেন্টিমেন্ট: ১৯৮২ সালের যুদ্ধের ক্ষত আর্জেন্টাইনরা ভোলেনি। এই নতুন শক্তি তাদের হারানো দ্বীপ পুনরুদ্ধারের দাবিকে আরও জোরালো করবে।

ভবিষ্যৎ কী? দক্ষিণ আটলান্টিকে এখন আর ব্রিটিশদের একচ্ছত্র রাজত্ব রইল না। আর্জেন্টিনা তাদের নতুন ‘পাখি’ দিয়ে আকাশসীমা পাহারায় নামবে খুব শীঘ্রই।

আপনার কি মনে হয়? এফ-১৬ হাতে পাওয়ার পর আর্জেন্টিনা কি ফকল্যান্ড ইস্যুতে আরও আগ্রাসী হবে? নাকি আলোচনার টেবিলে ব্রিটিশদের চাপ দেবে?

কমেন্টে আপনার মতামত জানান!



-------------------------------------
সবাইকে "TAMAM বাহিনী" এর অফিসিয়াল গ্রুপ এ জয়েন করতে অনুরোধ করা হলো https://www.facebook.com/groups/1679545542221654

for copyright and business issues, please contact:
[email protected]

মিয়ানমার কি এখন এশিয়ার 'গেম অফ থ্রোনস'?  শুধু জান্তা আর বিদ্রোহীদের লড়াই ভাবলে ভুল করবেন, আসল খেলাটা খেলছে বাইরের পরাশক...
16/12/2025

মিয়ানমার কি এখন এশিয়ার 'গেম অফ থ্রোনস'? শুধু জান্তা আর বিদ্রোহীদের লড়াই ভাবলে ভুল করবেন, আসল খেলাটা খেলছে বাইরের পরাশক্তিরা। পর্দার আড়ালের সেই গল্পটা আসলে কী?

মিয়ানমারের দিকে তাকালে এখন আর শুধু একটা 'গৃহযুদ্ধ' চোখে পড়ে না। মনে হচ্ছে পুরো দেশটাই একটা বড় কেক, আর সবাই মিলে সেটা ভাগ করে খাওয়ার জন্য ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে আছে। জান্তা সরকার (SAC) এখন মানচিত্রের কোণায় কোণঠাসা, কিন্তু যুদ্ধটা থামছে না কেন? কারণ, এই আগুনের মধ্যে অনেকেই নিজেদের 'রুটি সেঁকে' নিতে চাইছে।

আসুন দেখি কার স্বার্থ কোথায়:

চীন: ( সাপও মরবে, লাঠিও ভাঙবে না ) মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় 'স্টেকহোল্ডার' এখন চীন।

স্বার্থ: চীনের দরকার ভারত মহাসাগরে ঢোকার রাস্তা (Kyaukphyu Port) এবং তেল-গ্যাসের পাইপলাইন।

কৌশল: চীন অদ্ভুত এক ডাবল গেম খেলছে। একদিকে তারা জান্তাকে সমর্থন দিচ্ছে যাতে তাদের প্রজেক্টগুলো টিকে থাকে। অন্যদিকে, যখন দেখল সীমান্তে 'স্ক্যাম সেন্টার' বেড়ে যাচ্ছে, তখন উত্তরের বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে (Three Brotherhood Alliance) দিয়ে জান্তাকে শায়েস্তা করাল। চীন চায় না মিয়ানমার পুরোপুরি ধ্বংস হোক, আবার জান্তা খুব শক্তিশালী হোক— সেটাও চায় না। তারা চায় তাদের কথায় উঠবস করা একটা দুর্বল সরকার।

ভারত: (শ্যাম রাখি না কূল রাখি অবস্থা) ভারতের অবস্থা এখন বেশ জটিল।

স্বার্থ: কালাদান প্রজেক্ট (Kaladan Multi-Modal Transit Transport Project) ভারতের জন্য খুব জরুরি।

সংকট: ভারত এতদিন জান্তা সরকারের সাথে সুসম্পর্ক রেখে চলেছিল। কিন্তু এখন রাখাইন রাজ্য এবং চিন স্টেট—যেখান দিয়ে ভারতের প্রজেক্ট যাবে, পুরোটাই আরাকান আর্মি (AA) এবং চিন বিদ্রোহীদের দখলে। ভারত এখন বুঝতে পারছে না তারা কি ডুবন্ত জান্তাকে আঁকড়ে ধরবে, নাকি নতুন শক্তি হিসেবে বিদ্রোহীদের স্বীকৃতি দেবে।

আমেরিকা ও পশ্চিমাবিশ্ব: দূর থেকে কলকাঠি নাড়া আমেরিকার সরাসরি উপস্থিতি কম, কিন্তু প্রভাব মারাত্মক।

স্বার্থ: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা তো একটা সাইনবোর্ড মাত্র, আসল উদ্দেশ্য চীনকে চেকমেট দেওয়া।

কৌশল: 'বার্মা অ্যাক্ট'-এর মাধ্যমে তারা জান্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে এবং এনইউজি (NUG)-কে সমর্থন জোগাচ্ছে। আমেরিকা চায় মিয়ানমারে এমন এক অস্থিরতা থাকুক যাতে চীনের 'বেল্ট অ্যান্ড রোড' ইনিশিয়েটিভ সহজে সফল না হতে পারে।

রাশিয়া: যুদ্ধ মানেই ব্যবসা পুতিনের সমীকরণ খুব সোজা। সারা বিশ্ব যখন মিয়ানমারের জান্তাকে একঘরে করেছে, রাশিয়া তখন তাদের কাছে সুখোই ফাইটার জেট আর অস্ত্র বিক্রি করছে। জান্তা যত দিন টিকবে, রাশিয়ার অস্ত্রের বাজার তত দিন গরম থাকবে।

ভবিষ্যৎ কী? বলকানাইজেশন? বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমার হয়তো যুগোস্লাভিয়ার মতো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যেতে পারে (Balkanization)। ওয়া স্টেট বা রাখাইন হয়তো আলাদা আধা-স্বাধীন রাষ্ট্রের মতো আচরণ করবে, আর জান্তা শুধু নেপিদোতে বসে থাকবে।

আপনার মতামত কী? চীন কি শেষমেশ তাদের বিনিয়োগ বাঁচাতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে? নাকি মিয়ানমার ভেঙে গিয়ে এশিয়ার মানচিত্রটাই বদলে যাবে?

কমেন্টে আপনার লজিক শেয়ার করুন।



-------------------------------------
সবাইকে "TAMAM বাহিনী" এর অফিসিয়াল গ্রুপ এ জয়েন করতে অনুরোধ করা হলো https://www.facebook.com/groups/1679545542221654

for copyright and business issues, please contact:
[email protected]

মুসলিম উম্মাহর আবেগ বনাম রাষ্ট্রীয় স্বার্থের ঠান্ডা লড়াই!মুসলিম দেশ হয়েও মিশর কেন গাজার বর্ডার খোলে না? হামাসের সাথে ত...
15/12/2025

মুসলিম উম্মাহর আবেগ বনাম রাষ্ট্রীয় স্বার্থের ঠান্ডা লড়াই!

মুসলিম দেশ হয়েও মিশর কেন গাজার বর্ডার খোলে না? হামাসের সাথে তাদের সমস্যাটা কোথায়? (তেতো সত্য)

অনেকেই প্রশ্ন করেন, চোখের সামনে এত বড় মানবিক বিপর্যয়, অথচ প্রতিবেশী দেশ মিশর কেন রাফাহ বর্ডার পুরোপুরি খুলে দিচ্ছে না? কেন তারা হামাসকে সাহায্য করা তো দূরের কথা, উল্টো তাদের সন্দেহের চোখে দেখে?

বিষয়টা যতটা ধর্মীয় বা মানবিক মনে হয়, এর পেছনের রাজনীতিটা তার চেয়ে অনেক বেশি জটিল এবং স্বার্থপর। আসুন, আবেগের চশমা খুলে মিশরের "রাষ্ট্রীয় স্বার্থ" বা জিওপলিটিক্সের ৫টি কারণ দেখি:

১. হামাস বনাম মিশরের বর্তমান সরকার (শত্রুর শত্রু যখন প্রতিবেশী): মিশরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সিসি ক্ষমতায় এসেছিলেন "মুসলিম ব্রাদারহুড" সরকারকে উৎখাত করে। আর হামাসের জন্ম ও আদর্শিক ভিত্তি হলো এই মুসলিম ব্রাদারহুড। সিসি সরকার ব্রাদারহুডকে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে এবং তাদের নিজের গদির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি ভাবে। তাই হামাস শক্তিশালী হোক বা মিশরের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলুক, এটা সিসি সরকার কখনোই চাইবে না।

২. সিনাই উপদ্বীপ হারানোর ভয় (নিরাপত্তা ঝুঁকি): গাজার সাথেই লাগোয়া মিশরের সিনাই উপদ্বীপ। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে মিশরীয় সেনাবাহিনী স্থানীয় জঙ্গিগোষ্ঠীর সাথে লড়াই করছে। মিশরের ভয় হলো, বর্ডার খুলে দিলে হামাসের যোদ্ধারা সিনাইয়ে ঢুকে পড়বে এবং সেখান থেকে ইসরায়েলে হামলা চালাবে। এর ফলে ইসরায়েল পাল্টা জবাব হিসেবে মিশরের মাটিতে হামলা করতে পারে, যা মিশরের সার্বভৌমত্ব এবং শান্তি চুক্তির জন্য হুমকি।

৩. ফিলিস্তিনিদের চিরস্থায়ী বাস্তুচ্যুতি (সেকেন্ড নাকবা): মিশরের সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক যুক্তি হলো— তারা যদি বর্ডার খুলে দেয়, তবে ইসরায়েল গাজার সব মানুষকে ঠেলে মিশরের সিনাইয়ে পাঠিয়ে দেবে। একবার ফিলিস্তিনিরা গাজা ছাড়লে, ইসরায়েল আর তাদের ফেরত নেবে না (যেমনটা ১৯৪৮ সালে হয়েছিল)। এতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন চিরতরে শেষ হয়ে যাবে, আর গাজা ইসরায়েলের দখলে চলে যাবে। মিশর এই "পাপের ভাগীদার" হতে চায় না।

৪. ভঙ্গুর অর্থনীতি ও আমেরিকার চাপ: মিশরের অর্থনীতি এখন অত্যন্ত নাজুক অবস্থায়। তাদের টিকে থাকার জন্য আমেরিকা এবং আইএমএফ-এর লোন দরকার। মিশরের সাথে ইসরায়েলের শান্তি চুক্তি (Camp David Accords) আছে, যার বিনিময়ে তারা আমেরিকা থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ সামরিক ও আর্থিক সাহায্য পায়। হামাসকে সাহায্য করতে গিয়ে বা বর্ডার খুলে দিয়ে ইসরায়েলের বিরাগভাজন হয়ে তারা এই ডলারের সাপ্লাই লাইন বন্ধ করতে চায় না।

৫. হামাসের প্রতি অবিশ্বাস: অতীতে বেশ কয়েকবার হামাসের বিরুদ্ধে মিশরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর অভিযোগ এনেছে কায়রো। মিশরের ইন্টেলিজেন্স মনে করে, হামাসকে বেশি প্রশ্রয় দিলে তা মিশরের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বুমেরাং হতে পারে।

শেষ কথা: মিশরের কাছে গাজার জনগণের মানবিক কষ্টের চেয়ে নিজের দেশের নিরাপত্তা, গদি রক্ষা এবং অর্থনীতি বাঁচানো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জিওপলিটিক্সে "উম্মাহ" বা "ভ্রাতৃত্ব" কেবল কথার কথা, দিনশেষে সবাই নিজের স্বার্থের পূজারী।

আপনার কী মনে হয়? মিশর কি কৌশলগত কারণে ঠিক করছে, নাকি ভয়ে পিছু হটছে? কমেন্টে জানান।

------------------------------------
সবাইকে "TAMAM বাহিনী" এর অফিসিয়াল গ্রুপ এ জয়েন করতে অনুরোধ করা হলো https://www.facebook.com/groups/1679545542221654

for copyright and business issues, please contact:
[email protected]

সুদান কেন জ্বলছে? দুই বন্ধুর লড়াইয়ে বলির পাঁঠা যখন পুরো দেশ! আমরা যখন ইউক্রেন-রাশিয়া আর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন নিয়ে ব্যস্ত, ত...
14/12/2025

সুদান কেন জ্বলছে? দুই বন্ধুর লড়াইয়ে বলির পাঁঠা যখন পুরো দেশ!

আমরা যখন ইউক্রেন-রাশিয়া আর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন নিয়ে ব্যস্ত, তখন আফ্রিকার দেশ সুদান নীরবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অথচ এক সময় এই দুই জেনারেল ছিলেন 'জিগরি দোস্ত', আজ তারা একে অপরের রক্ত পিয়াসী। কিন্তু কেন? এর পেছনে আসল খেলাটা কী?

সহজ কথায় পুরো সিনারিওটা বোঝার চেষ্টা করি:

১. লড়াইটা কাদের মধ্যে? লড়াইটা হচ্ছে সুদানের মেইন আর্মি (SAF) এবং একটি প্যারা-মিলিটারি বাহিনী বা আধা-সামরিক বাহিনী (RSF)-এর মধ্যে। এক পক্ষে: জেনারেল বুরহান (আর্মি চিফ)। তিনি নিজেকে দেশের বৈধ শাসক মনে করেন। অন্য পক্ষে: জেনারেল হেমেদতি (RSF চিফ)। একসময়ের উট ব্যবসায়ী থেকে ওয়ারলর্ড বনে যাওয়া এক দুর্ধর্ষ যোদ্ধা।

২. কেন এই মারামারি? সোজা বাংলায়—ক্ষমতা আর টাকার ভাগ-বাটোয়ারা। ২০১৯ সালে এই দুইজন মিলে একনায়ক ওমর আল-বশিরকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছিল। প্ল্যান ছিল দেশটাকে সিভিলিয়ানদের হাতে দেবে। কিন্তু "গদির লোভ" বড় সাংঘাতিক!

বুরহানের ভয়: হেমেদতির বাহিনী (RSF) যদি আর্মির সাথে মিশে যায়, তবে হেমেদতি আর্মির ওপর ছড়ি ঘোরাবে।

হেমেদতির জেদ: সে আর্মির আন্ডারে যাবে না, তার আলাদা পাওয়ার ও ব্যবসা (সোনার খনি) ঠিক রাখতে চায়।

৩. আসল উদ্দেশ্য কী? শুধুই কি ক্ষমতা? না! এর পেছনে আছে "গোল্ড" বা সোনা। সুদানের সোনার খনিগুলোর নিয়ন্ত্রণ মূলত হেমেদতির হাতে। আর এয়ারপোর্ট ও বর্ডার কন্ট্রোল আর্মির হাতে। এই সোনার খনির দখল আর অবৈধ ব্যবসার রুট ঠিক রাখাটাই এই যুদ্ধের অন্যতম ফুয়েল।

৪. বিদেশীদের নাক গলানো (Geopolitics): সুদান এখন আন্তর্জাতিক শক্তির দাবার বোর্ড।

সৌদি আরব ও আমেরিকা: এরা শান্তি আলোচনা করতে চায়, কিন্তু কেউ এদের পাত্তা দিচ্ছে না।

মিশর: সরাসরি সাপোর্ট দিচ্ছে আর্মিকে (বুরহানকে)। কারণ নীলনদের পানি আর বর্ডার সিকিউরিটি নিয়ে মিশরের স্বার্থ আছে।

আরব আমিরাত (UAE): অভিযোগ আছে, তারা গোপনে হেমেদতিকে (RSF) অস্ত্র ও টাকা দিচ্ছে। কারণ? সেই সোনা এবং লোহিত সাগরের পোর্টের নিয়ন্ত্রণ।

রাশিয়া (ওয়াগনার গ্রুপ): শোনা যায়, রাশিয়ার ভাড়াটে সৈন্যরাও সোনার বিনিময়ে হেমেদতিকে সাহায্য করেছে।

বর্তমান অবস্থা: রাজধানী খার্তুম এখন ভূতুড়ে শহর। লাখ লাখ মানুষ বাস্তুহারা। হাসপাতাল বন্ধ, খাবার নেই। দুই জেনারেলের ইগোর লড়াইয়ে সাধারণ সুদানিরা আজ লাশ হচ্ছে।

শেষ কথা: ইতিহাস সাক্ষী, যখনই কোনো দেশে প্যারা-মিলিটারি বা প্রাইভেট আর্মিকে মেইন আর্মির সমান পাওয়ার দেওয়া হয়, সেখানেই গৃহযুদ্ধ লাগে। সুদান তার জ্বলন্ত উদাহরণ।

দুনিয়ার মোড়লরা কি আসলেই যুদ্ধ থামাতে চায়? নাকি সুদানের সোনা আর লোহিত সাগরের দখল নিতে তারাও আগুণে ঘি ঢালছে? আপনার কী মনে হয়?

-------------------------------------
সবাইকে "TAMAM বাহিনী" এর অফিসিয়াল গ্রুপ এ জয়েন করতে অনুরোধ করা হলো https://www.facebook.com/groups/1679545542221654

for copyright and business issues, please contact:
[email protected]

আমেরিকার ৬৪০০ কোটির 'উপহার'! পাকিস্তানের F-16 বহর নিয়ে নতুন চাল, ভারতের কপালে কি চিন্তার ভাঁজ?খবরটা বড়। মার্কিন পররাষ্ট্...
13/12/2025

আমেরিকার ৬৪০০ কোটির 'উপহার'! পাকিস্তানের F-16 বহর নিয়ে নতুন চাল, ভারতের কপালে কি চিন্তার ভাঁজ?

খবরটা বড়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর (State Department) পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বহর আধুনিকীকরণের জন্য ৬৮৬ মিলিয়ন ডলারের (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮০০০ কোটি টাকার বেশি) একটি প্যাকেজ অনুমোদন দিয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে এটা শুধু কিছু যন্ত্রপাতি কেনাবেচা, কিন্তু এর জিওপলিটিক্যাল ইম্প্যাক্ট অনেক গভীর।

আসুন সহজ ভাষায় ব্রেকডাউন করি—এই ডিল আসলে কোন অবস্থায় আছে, পাকিস্তান কী পাবে আর ভারত কেন টেনশনে থাকবে।

১. ডিল কি এখনই ফাইনাল? (Current Status & Hurdles) না, এখনই কালকে সকালে পাকিস্তান মালপত্র পেয়ে যাবে বিষয়টা এমন না।

স্টেপ ১ (সম্পন্ন): মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এতে সায় দিয়েছে বা 'গ্রিন সিগন্যাল' দিয়েছে।

স্টেপ ২ (কংগ্রেসের ব্যারিকেড): এখন এই প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে (পার্লামেন্ট) যাবে। সেখানে সিনেটররা এটা নিয়ে পর্যালোচনা করবেন। সাধারণত ৩০ দিনের একটা সময় থাকে। ভারতের লবিস্টরা এবং অ্যান্টি-পাকিস্তান সিনেটররা এখানে আপত্তি জানাতে পারেন। তবে ট্রাম্প প্রশাসন যদি জিদ ধরে যে এটা "জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে" দরকার, তবে কংগ্রেসের বাধা টপকানো সম্ভব।

স্টেপ ৩ (চুক্তি ও ডেলিভারি): কংগ্রেস পাস করলে ফাইনাল কন্ট্রাক্ট সাইন হবে লকহিড মার্টিন (প্রস্তুতকারক) এর সাথে। এরপর শুরু হবে ডেলিভারি।

২. পাকিস্তান বিমানবাহিনী (PAF) কীভাবে লাভবান হবে? এই প্যাকেজটি মূলত "Sustainment and Modernization" এর জন্য। এর মানে নতুন বিমান আসছে না, কিন্তু পুরোনো বিমানগুলো নতুনের মতো ভয়ংকর হয়ে উঠবে।

ইঞ্জিন ও লাইফলাইন: এফ-১৬ এর ইঞ্জিনগুলোর বড় ধরনের ওভারহোলিং বা মেরামত দরকার ছিল। এই প্যাকেজে ইঞ্জিনের পার্টস ও সফটওয়্যার আপগ্রেড থাকবে। ফলে বিমানগুলো গ্রাউন্ডেড হওয়া থেকে বাঁচবে এবং আরও ১০-১৫ বছর সার্ভিস দিতে পারবে।

ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার (EW): আধুনিক আকাশযুদ্ধে মিসাইল এর চেয়েও জরুরি হলো জ্যামিং এবং রাডার ফাঁকি দেওয়া। এই আপগ্রেডে তাদের ইলেকট্রনিক যুদ্ধক্ষমতা এবং টার্গেটিং পডগুলোর সক্ষমতা বাড়বে।

অ্যামরাম (AMRAAM) সাপোর্ট: পাকিস্তানের প্রধান অস্ত্র হলো AIM-120 C5 মিসাইল (যা দিয়ে ২০১৯ সালে ভারতের মিগ-২১ ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করা হয়)। এই মিসাইলগুলো এফ-১৬ এর সাথে সিনক্রোনাইজ রাখার জন্য সফটওয়্যার আপডেট জরুরি, যা এই প্যাকেজে থাকছে।

৩. ভারতীয় বিমানবাহিনী (IAF)-এর অসুবিধা বা মাথাব্যথা কোথায়? ভারতের হাতে রাফাল (Rafale) আছে ঠিকই, কিন্তু পাকিস্তানের এফ-১৬ আপগ্রেড হওয়া মানে ভারতের "টেকনোলজিক্যাল এজ" বা প্রযুক্তিগত সুবিধা কমে আসা।

সংখ্যার খেলা: ভারতের স্কোয়াড্রন সংখ্যা এমনিতেই কমছে। তার ওপর পাকিস্তানের মেইনস্ট্রিম ফাইটার জেটগুলো যদি ফুল অপারেশনাল থাকে, তবে ভারতের জন্য তা সব সময়ই বড় থ্রেট।

রাফাল বনাম এফ-১৬: ভারত ভেবেছিল এফ-১৬ গুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধুঁকবে। কিন্তু এখন সেগুলোতে নতুন প্রাণ এলে আকাশযুদ্ধে (Dogfight) ভারতকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে বর্ডারে ছোটখাটো সংঘাতে এফ-১৬ এর "লং রেঞ্জ এনগেজমেন্ট" বা দূর থেকে মিসাইল মারার ক্ষমতা ভারতের সুখের ঘুম হারাম করার মতো।

আমেরিকার দুই -নৌকা নীতি: ভারত আমেরিকার স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার, আবার সেই আমেরিকাই পাকিস্তানের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে—এটা ভারতের পররাষ্ট্রনীতির জন্য একটা অস্বস্তিকর বার্তা।

শেষ কথা: আমেরিকা আসলে কাউকেই পুরোপুরি জিততে দিতে চায় না। সাউথ এশিয়ায় "ব্যালেন্স অফ পাওয়ার" ধরে রাখাই তাদের ব্যবসা। এখন দেখার বিষয়, ভারতের আপত্তিতে কংগ্রেসে এই ডিল আটকায় কি না।

আপনাদের কী মনে হয়? আমেরিকা কি আবার পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে?

-------------------------------------
সবাইকে "TAMAM বাহিনী" এর অফিসিয়াল গ্রুপ এ জয়েন করতে অনুরোধ করা হলো https://www.facebook.com/groups/1679545542221654

for copyright and business issues, please contact:
[email protected]

আমেরিকার ‘গোপন’ অস্ত্র এখন ইরানের ল্যাবে! পেন্টাগনের কপালে চিন্তার ভাঁজ! যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শক্তিশালী এবং প্রিসিশন গা...
13/12/2025

আমেরিকার ‘গোপন’ অস্ত্র এখন ইরানের ল্যাবে! পেন্টাগনের কপালে চিন্তার ভাঁজ!

যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শক্তিশালী এবং প্রিসিশন গাইডেড বোমা GBU-39। যেটা দিয়ে তারা পিনপয়েন্ট টার্গেটে আঘাত হানে। কিন্তু খবর রটেছে, এই হাই-টেক অস্ত্রটি এখন ইরানের হাতে!

কিন্তু কেমনে কি? এত সিকিউরিটি ভেদ করে এটা ইরানে গেল কীভাবে?

সোজা কথায়—যুদ্ধের ময়দান থেকে। ধারণা করা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যের কোনো কনফ্লিক্ট জোন থেকে অবিস্ফোরিত (Unexploded) অবস্থায় এই বোমাটি উদ্ধার করা হয়েছে। আর আমরা সবাই জানি, ‘রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং’ বা প্রযুক্তির "কপি-পেস্ট" করায় ইরান কতটা ওস্তাদ!

একবার যদি তারা এটার টেকনোলজি ক্র্যাক করতে পারে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই দামি প্রযুক্তি খুব সস্তায় ইরানের ড্রোন বা মিসাইলে ফিট হয়ে যাবে। একেই বলে—সাপের বিষে সাপেরই বিনাশ!

-------------------------------------
সবাইকে "TAMAM বাহিনী" এর অফিসিয়াল গ্রুপ এ জয়েন করতে অনুরোধ করা হলো https://www.facebook.com/groups/1679545542221654

for copyright and business issues, please contact:
[email protected]

দুনিয়ার সবচেয়ে বড় টার্বোপ্রপ বিমান, ইতিহাসের সাক্ষী 'Antonov An-22' আর নেই! ভাবা যায়? যে দানবীয় বিমানটি একসময় দাপিয়ে বেড়...
10/12/2025

দুনিয়ার সবচেয়ে বড় টার্বোপ্রপ বিমান, ইতিহাসের সাক্ষী 'Antonov An-22' আর নেই!

ভাবা যায়? যে দানবীয় বিমানটি একসময় দাপিয়ে বেড়াত আকাশ, আজ সেটিই ইতিহাসের পাতায়। রাশিয়ার ইভানোভো অঞ্চলে টেস্ট ফ্লাইটের সময় ক্রাশ করলো এই বিশাল 'An-22 Antei'। আর সাথে সাথেই নিভে গেল ৭ জন ক্রু মেম্বারের জীবনপ্রদীপ।

শুনে অবাক হবেন, এই বিমানটি কিন্তু সাধারণ কোনো বিমান ছিল না। এটি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় টার্বোপ্রপ (পাখা ওয়ালা) বিমান। সোভিয়েত আমলের এই ইঞ্জিনিয়ারিং বিস্ময়টি দীর্ঘদিন ধরে সার্ভিস দিয়ে আসছিল। শোনা যাচ্ছে, মেরামতের পর এটি পরীক্ষামূলক উড্ডয়নে ছিল, আর ঠিক তখনই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

রাশিয়ার জন্য তো বটেই, এভিয়েশন দুনিয়ার জন্যও এটা একটা বড় ধাক্কা। কারণ, সম্ভবত এটিই ছিল আকাশে ওড়া শেষ সচল An-22। এক যুগের অবসান হলো বলা চলে!

-------------------------------------
সবাইকে "TAMAM বাহিনী" এর অফিসিয়াল গ্রুপ এ জয়েন করতে অনুরোধ করা হলো https://www.facebook.com/groups/1679545542221654

for copyright and business issues, please contact:
[email protected]

আবারও অশান্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। এবার মুখোমুখি দুই প্রতিবেশী—থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া।গত কয়েকদিন ধরেই দুই দেশের সীমান্ত...
09/12/2025

আবারও অশান্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। এবার মুখোমুখি দুই প্রতিবেশী—থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া।

গত কয়েকদিন ধরেই দুই দেশের সীমান্তে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। থাইল্যান্ডের বিমান হামলা এবং পাল্টা কম্বোডিয়ার আর্টিলারি ফায়ারে পরিস্থিতি এখন যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। খবর পাওয়া যাচ্ছে, সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে।

সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, মাত্র মাসখানেক আগেই একটি শান্তি চুক্তি সই হয়েছিল, কিন্তু তা টিকল না। মন্দিরের সেই পুরনো মালিকানা বিরোধ আর সীমান্ত নিয়ে রেষারেষি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

সামরিক পরিস্থিতির খবরগুলো আরও ভয়াবহ। দুই দেশই সীমান্তে তাদের ভারী সমরাস্ত্র জড়ো করছে। স্যাটেলাইট ফুটেজ আর লোকাল সোর্সের খবর অনুযায়ী, থাইল্যান্ড তাদের এলিট ‘Black Soldier’ রেঞ্জার্স এবং আর্মার্ড ডিভিশনকে বর্ডারের দিকে মুভ করাচ্ছে। বিশেষ করে থাই আর্মির শক্তিশালী Oplot-T মেইন ব্যাটল ট্যাংকের বহরকে হাইওয়েতে দেখা গেছে। আকাশে নিয়মিত টহল দিচ্ছে রয়্যাল থাই এয়ারফোর্সের JAS 39 Gripen এবং F-16 ফাইটার জেটগুলো, যা কম্বোডিয়ার এয়ার স্পেসের খুব কাছেই উড্ডয়ন করছে।

অন্যদিকে কম্বোডিয়াও কিন্তু ছেড়ে কথা বলছে না। তারাও পাল্টা জবাব দিতে সীমান্তে তাদের RM-70 রকেট লঞ্চার সিস্টেম এবং চীনা প্রযুক্তির লং-রেঞ্জ আর্টিলারি মোতায়েন করেছে। পাহাড়ি ও জঙ্গল এলাকায় তাদের স্পেশাল ফোর্সের ইউনিটগুলো বাঙ্কার খুঁড়ে পজিশন নিয়েছে। সব মিলিয়ে পুরো এলাকা এখন এক বারুদের স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। যেকোনো সময় একটা মিসফায়ার বা ভুল বোঝাবুঝি থেকে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ লেগে যেতে পারে।

-------------------------------------
সবাইকে "TAMAM বাহিনী" এর অফিসিয়াল গ্রুপ এ জয়েন করতে অনুরোধ করা হলো https://www.facebook.com/groups/1679545542221654

for copyright and business issues, please contact:
[email protected]

আজ রাশিয়ান সুপারসনিক ফাইটার বোম্বার সুখোই-৩৪ শেল্টারে থাকা অবস্থায় অসতর্কতাবশত  ইজেক্ট এর ঘটনা ঘটে | এর ফলে শেল্টার এর ছ...
08/12/2025

আজ রাশিয়ান সুপারসনিক ফাইটার বোম্বার সুখোই-৩৪ শেল্টারে থাকা অবস্থায় অসতর্কতাবশত ইজেক্ট এর ঘটনা ঘটে | এর ফলে শেল্টার এর ছাদে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ঘটনা স্থলেই পাইলট এবং নেভিগেটর ২জনই মারা যায় |

ইউক্রেন এর সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত রাশিয়া বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৩৭টি সুখোই-৩৪ যুদ্ধবিমান হারিয়েছে |

-------------------------------------
সবাইকে "TAMAM বাহিনী" এর অফিসিয়াল গ্রুপ এ জয়েন করতে অনুরোধ করা হলো https://www.facebook.com/groups/1679545542221654

for copyright and business issues, please contact:
[email protected]

আজকে প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের এয়ারক্রাফট ক্যরিয়ার 'লিয়াওনিং' (Liaoning) থেকে ওড়া J-15 যুদ্ধবিমান সরাসরি জাপান এয়ার সেলফ ...
07/12/2025

আজকে প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের এয়ারক্রাফট ক্যরিয়ার 'লিয়াওনিং' (Liaoning) থেকে ওড়া J-15 যুদ্ধবিমান সরাসরি জাপান এয়ার সেলফ ডিফেন্স ফোর্স এর F-15 ফাইটার জেটের ওপর রাডার লক করেছে |

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বরাত দিয়ে জানা গেছে এই ঘটনা একবার নয়, দুবার ঘটেছে।

এটি জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি (Sanae Takaichi)-র তাইওয়ান নিয়ে কড়া অবস্থানের সরাসরি জবাব বলে মনে করা হচ্ছে। ঠিক এই উত্তেজনার মধ্যেই আজ জাপানে জরুরি সফরে আছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী। জাপান ও অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে চীনের এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু চীন দাবি করছে জাপানই তাদের মহড়ায় বাধা দিয়েছে।

উল্লেখ্য চীনের এয়ারক্রাফট ক্যরিয়ার লিয়াওনিং বর্তমানে জাপানের খুব কাছে অবস্থান করছে |

-------------------------------------
সবাইকে "TAMAM বাহিনী" এর অফিসিয়াল গ্রুপ এ জয়েন করতে অনুরোধ করা হলো https://www.facebook.com/groups/1679545542221654

for copyright and business issues, please contact:
[email protected]

Address

Cantonment
Dhaka
1206

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when TAMAM বাহিনী - আন্তর্জাতিক posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to TAMAM বাহিনী - আন্তর্জাতিক:

Share