Cure Life

Cure Life Health service Curelife is all types of products are home delivery and all health services are provided. . This is a very famous service page of Bangladesh.
(1)

মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন,- “দাজ্জাল প্রকাশের পূর্বের তিন বছর মহা দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হবে। নবী করীম (সাঃ) বলেছেন,...
07/05/2025

মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন,- “দাজ্জাল প্রকাশের পূর্বের তিন বছর মহা দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হবে।

নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “দাজ্জাল ততক্ষণ পর্যন্ত বের হবে না, যতক্ষণ না মানুষ তার কথা ভুলে যাবে, মিম্বর থেকে দাজ্জালের আলোচনা উঠে যাবে।”

দাজ্জাল প্রকাশের পূর্বে মুসলমান এবং রোমান খৃষ্টানদের মধ্যে বড় ধরনের কয়েকটি যুদ্ধ সংঘটিত হবে। আল্লাহর রহমতে মুসলমানগণ চূড়ান্ত বিজয়ার্জন করবেন।

মুয়ায বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “জেরুজালেমে জনবসতি বৃদ্ধি মানে মদীনার বিনাশ। মদীনার বিনাশ মানে বিশ্বযুদ্ধের সূচনা। বিশ্বযুদ্ধের সূচনা মানে কনষ্ট্যান্টিনোপল বিজয়। কনষ্ট্যান্টিনোপল বিজয় মানে দাজ্জালের আবির্ভাব।-”

মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন,- “দাজ্জাল প্রকাশের পূর্বের তিন বছর মহা দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হবে।

প্রথম বছর আল্লাহ আসমানকে এক তৃতীয়াংশ বৃষ্টি এবং জমিনকে এক তৃতীয়াংশ ফসল বন্ধ করে দেয়ার আদেশ করবেন।

দ্বিতীয় বছর আল্লাহ আসমানকে দুই তৃতীয়াংশ বৃষ্টি এবং জমিনকে দুই তৃতীয়াংশ ফসল বন্ধ করে দেয়ার আদেশ করবেন।

তৃতীয় বছর আল্লাহ আসমানকে সম্পূর্ণ বৃষ্টি এবং জমিনকে সম্পূর্ণ ফসল বন্ধ করে দেয়ার আদেশ করবেন। ফলে এক ফোটা বৃষ্টি-ও বর্ষিত হবে না। একটি শস্য-ও অঙ্কুরিত হবে না। মুষ্টিমেয় ছাড়া সকল ছায়াদার বস্তু ধ্বংস-মুখে পড়ে নিঃশেষ হয়ে যাবে অর্থাৎ গাছ, পালা ও বৃক্ষকুল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ”

[ সুনানে ইবনে মাজাহ ]

এই কথা শুনে এক সাহাবী রাসূল (সাঃ) জিজ্ঞেস করেন, ‘সেদিন তাহলে মানুষ কি খেয়ে জীবন ধারণ করবে হে আল্লাহর রাসূল?’ প্রশ্নের উত্তরে নবীজী (সাঃ) বললেন, "তাকবীর (আল্লাহু আকবার পাঠ) এবং তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ পাঠ) মানুষের পাকস্থলিতে খাদ্যের কাজ দেবে।-”
(সুবহানাল্লাহ)

[ ইবনে মাজাহ ]

তারপর দাজ্জাল তার দলবল নিয়ে আত্নপ্রকাশ করবে। দাজ্জাল বিশ্বের প্রতিটি শহরে, প্রতিটি অঞ্চলে গিয়ে পৌঁছবে। পৃথিবীতে তার অবস্থান-মেয়াদ হবে চল্লিশ দিন। প্রথম দিনটি এক বৎসর, দ্বিতীয় দিনটি এক মাস, তৃতীয় দিনটি এক সপ্তাহ এবং অবশিষ্ট দিনগুলো স্বাভাবিক দিনের মত হবে। দুই কানের মাঝে চল্লিশ গজের ব্যবধান- এমন গাঁধায় সে আরোহণ করবে।

দাজ্জালের কিছু ক্ষমতা থাকবে যেমন মৃত মানুষকে জীবিত করা, পশু পাখির সাথে কথা বলা ইত্যাদি। সে মানুষের কাছে এসে বলবে- “আমি তোমাদের পালনকর্তা!” তার দুই চোখের মাঝে আরবীতে অবিশ্বাসী লেখা থাকবে। শিক্ষিত অশিক্ষিত সকল মুমিন সেটি পড়তে পারবে। মক্কা- মদীনা ছাড়া প্রতিটি শহরে- প্রান্তরে সে পৌঁছুবে।”

[ মুসনাদে আহমদ ]

ওই সময় ঈমান রাখা খুবিই কষ্টকর হয়ে যাবে। যাদের নড়বড়ে ঈমান তারা দাজ্জালকে বিশ্বাস করবে। দাজ্জালকে খোদা মানবে। ফলে দাজ্জাল আকাশকে বলবে বৃষ্টি দিতে, তারপর বৃষ্টি হবে। জমিনে দাজ্জালের কথায় শস্য ফলবে। ফলে দাজ্জালের কথায় বিশ্বাসি মানুষ সাময়িক সময়ের জন্যে সুখী জীবন যাপন করবে।

অন্যদিকে যারা দাজ্জালকে খোদা মানবে না, তাদের দিন কাটবে কষ্টে।

এভাবেই দাজ্জাল মানুষের ঈমান নষ্ট করবে এই ৪০ দিন ধরে।

[ সহীহ মুসলিম ]

৪০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর দাজ্জলের বিনাশ হবে কোথায়?

উহুদ পর্বতের চূড়ায় উঠে মসজিদে নববীর দিকে তাকিয়ে নবী (সাঃ) উনার অনুসারীদের বলেন, তোমরা কি ঐ সাদা প্রাসাদটি দেখতে পাচ্ছ? অর্থাৎ মসজিদে নববী। সেখানেই তার বিনাশ ঘটবে।-”

[ মুসলিম ]

আল্লাহ আমাদের দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা করুন, আমীন।

আল্লাহর নবি ইবরাহিমের (আ.) ছেলে ইসহাকও (আ.) নবি ছিলেন। ইসহাকের (আ.) ছেলে ইয়াকুবও (আ.) নবি ছিলেন। তার আরেক নাম ছিল ইসরাইল...
27/04/2025

আল্লাহর নবি ইবরাহিমের (আ.) ছেলে ইসহাকও (আ.) নবি ছিলেন। ইসহাকের (আ.) ছেলে ইয়াকুবও (আ.) নবি ছিলেন। তার আরেক নাম ছিল ইসরাইল। তার বংশধররা বনি ইসরাইল বা ইসরাইলের সন্তান নামে পরিচিত। পরবর্তীতে নবি মুসার (আ.) অনুসারি হিসেবে তারা ইহুদি নামে পরিচিত হয়েছে।

কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা বনি ইসরাইল তথা ইহুদিদের বিভিন্ন অপকর্মের কথা তুলে ধরেছেন। আল্লাহ তাআলার বিধান প্রত্যাখ্যান, নবিদের হত্যাকাণ্ড, বিশ্বাসঘাতকতা, প্রতরণাসহ এমনসব অপকর্মে তারা বার বার জড়িত হয়েছে যে কারণে আল্লাহ তাআলা ক্রুদ্ধ হয়েছেন তাদের ওপর, তারা আল্লাহ তাআলার রহমত থেকে বঞ্চিত ও অভিশপ্ত হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহর অনুকম্পা ও মানুষের আশ্রয় ছাড়া যেখানেই তারা অবস্থান করুক, সেখানেই তারা হয়েছে লাঞ্ছিত, তারা আল্লাহর ক্রোধে পরিবেষ্টিত এবং তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে দারিদ্রের কশাঘাত। এটা এজন্য যে, তারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহ প্রত্যাখ্যান করতো এবং নবিদের অন্যায়ভাবে হত্যা করতো, এটা এজন্য যে, তারা অবাধ্যতা ও সীমালঙ্ঘন করতো। (সুরা আলে ইমরান: ১১২)

কোরআনে তাদের যেসব অপকর্মের কথা বলা হয়েছে তার কয়েকটি এখানে উল্লেখ করছি:

১) নবীদের হত্যাকাণ্ড: কোরআনের অন্তত ৩টি আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে, বনি ইসরাইল বা ইহুদিরা আল্লাহর প্রেরিত নবীদের অন্যায়ভাবে হত্যা করেছিল। ইহুদিদের ওপর আল্লাহর ক্রোধ ও লানতের অন্যতম কারণ এটি। যেমন ওপরে উল্লেখিত আয়াতে আল্লাহ তাআলা তাদের অন্যান্য অপকর্মের সাথে নবীদের হত্যাকাণ্ডের কথাও বলেছেন।

কোরআনের আরেক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি মুসাকে কিতাব দিয়েছি এবং তার পরে ক্রমান্বয়ে রাসুলদের প্রেরণ করেছি, মারইয়াম পুত্র ঈসাকে সুস্পষ্ট প্রমাণ দিয়েছি এবং জিবরাঈলের মাধ্যমে তাকে শক্তিশালী করেছি। যখনই কোন রাসুল এমন কিছু এনেছে যা তোমাদের পছন্দ নয়, তখনই তোমরা অহংকার করেছ এবং একদল নবীকে তোমরা অস্বীকার করেছ, একদল নবীকে হত্যা করেছ। (সুরা বাকারা: ৮৭)

কোরআনের অনেক ব্যাখ্যাকার বলেছেন, বিভিন্ন সময় ইহুদিরা আল্লাহ তাআলার কয়েকশ নবিকে হত্যা করেছে। তবে তাদের হাতে নিহত নবি কারা ছিলেন সে সম্পর্কে কোরআন বা হাদিসে স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই। প্রখ্যাত মুফাসসির আল্লামা কাজি নাসিরুদ্দিন বায়যাবি (রহ.) তার তাফসিরগ্রন্থে লিখেছেন, ইহুদিদের হাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার উল্লেখযোগ্য তিন জন নবি হলেন, আশইয়া (আ.), জাকারিয়া (আ.) এবং তার ছেলে ইয়াহিয়া (আ.)।

২) নিজেদের শ্রেষ্ঠ ও অন্যদের তুচ্ছ মনে করা

বনি ইসরাইল নিজেদেরকে আল্লাহর নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জাতি ও অন্যদের তুচ্ছ মনে করতো। তারা নিজেদেরকে আল্লাহ তাআলার সন্তান দাবি করতো। আল্লাহ তাআলা বলেন, ইয়াহুদি ও নাসারারা বলে, আমরা আল্লাহর পুত্র ও তাঁর প্রিয়পাত্র। বল, তাহলে তোমাদের পাপের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে শাস্তি দেন কেন? বরং তিনি যাদের সৃষ্টি করেছেন তোমরা তাদের অন্তর্গত মানুষ, তিনি যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন, যাকে ইচ্ছে শাস্তি দেন, আকাশসমূহ ও পৃথিবী আর এদের মধ্যে যা আছে সবকিছুর সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই জন্য, আর প্রত্যাবর্তন তাঁরই দিকে। (সুরা মায়েদা: ১৮)

অহংকার ও শ্রেষ্ঠত্বের অনুভূতির কারণে বনি ইসরাইল বা ইহুদি ছাড়া অন্যদের সাথে অন্যায় অসততা করাকেও শরঈভাবে বৈধ মনে করতো তারা। আল্লাহ তাআলা বলেন, আর আহলে কিতাবের মধ্যে এমন ব্যক্তি আছে, যদি তার নিকট তুমি অঢেল সম্পদ আমানত রাখ, তবুও সে তা তোমার নিকট আদায় করে দেবে এবং তাদের মধ্যে এমন ব্যক্তিও আছে, যদি তুমি তার নিকট এক দিনার আমানত রাখ, তবে সর্বোচ্চ তাগাদা ছাড়া সে তা তোমাকে ফেরত দেবে না। এটি এ কারণে যে, তারা বলে, উম্মীদের (বনি ইসরাইলের বাইরে সাধারণ নিরক্ষর আরব) ব্যাপারে আমাদের ওপর কোন পাপ নেই। তারা তো জেনে-শুনে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা বলে। (সুরা আলে ইমরান: ৭৫)

৩) আল্লাহ তাআলার ওপর মিথ্যা আরোপ

বনি ইসরাইল নিজেদের স্বার্থে নিজেদের মর্জি মতো শরিয়তের নতুন বিধান বানাতো বা বাদ দিতো। যেমন উম্মীদের সাথে অন্যায় করা বৈধ এটা তারা বানিয়েছিল। এ ছাড়াও আল্লাহ তাআলার ওপর আরও অনেক মিথ্যা আরোপ করেছিল তারা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ধ্বংস তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব লেখে। তারপর বলে, ‘এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে’, যাতে তা তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করতে পারে। তাদের হাত যা লিখেছে তার পরিণামে তাদের জন্য ধ্বংস, আর তারা যা উপার্জন করেছে তার কারণেও তাদের জন্য ধ্বংস। তারা বলে, ‘গুটি কয়েক দিন ছাড়া আগুন আমাদেরকে কখনো স্পর্শ করবে না’। বল, ‘তোমরা কি আল্লাহর নিকট ওয়াদা নিয়েছ, ফলে আল্লাহ তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করবেন না? নাকি আল্লাহর ওপর এমন কিছু বলছ, যা তোমরা জান না’? (সুরা বাকারা: ৭৯, ৮০)

৪) পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করা

বনি ইসরাইল সুযোগ পেলেই পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করতো ও সংঘাতে লিপ্ত হতো। আল্লাহ তাআলা বলেন, তারা (বনি ইসরাইল) যতবার যুদ্ধের আগুন জ্বালিয়েছে, মহান আল্লাহ ততবার তা নিভিয়েছেন। তারা পৃথিবীতে অশান্তি ছড়িয়ে বেড়ায়; আর আল্লাহ অশান্তি বিস্তারকারীদেরকে ভালবাসেননা। (সুরা মায়িদা: ৬৪)

৫) প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা

বনি ইসরাইলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল তারা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতা করতো। আল্লাহ তাআলা বলেন, তারা (বনি ইসরাইল) যখনই কোনো অঙ্গীকার করেছে, তা ভঙ্গ করেছে; বরং তাদের অধিকাংশই অবিশ্বাসী। (সুরা বাকারা: ১০০)

আল্লাহ তাআলা এসব অপকর্ম থেকে আমাদের বেঁচে থাকার তওফিক দিন। আমাদের ওপর তার রহমতের বারিধারা জারি রাখুন। তার ক্রোধ ও লানত থেকে আমাদের দূরে রাখুন। আমিন!

একটি আকুল আবেদন আমার গলায় টিউমার ধরা পরেছে, ডাক্তার ক্যান্সার সন্দেহ করতেছে। সবাই আমার জন্য একটু দোয়া করবেন আমার রিপোর্ট...
23/04/2025

একটি আকুল আবেদন
আমার গলায় টিউমার ধরা পরেছে, ডাক্তার ক্যান্সার সন্দেহ করতেছে।
সবাই আমার জন্য একটু দোয়া করবেন
আমার রিপোর্ট টা যেন ভাল আসে।

-- খেজুরের বিচি বা আঁটির তিনটি অংশ নিয়ে কুরআনের তিনটি আয়াত। যে তিনটি অংশ আপনি খেজুরের প্রত্যেকটি বিচির মধ্যেই দেখতে পা...
15/04/2025

-- খেজুরের বিচি বা আঁটির তিনটি অংশ নিয়ে কুরআনের তিনটি আয়াত। যে তিনটি অংশ আপনি খেজুরের প্রত্যেকটি বিচির মধ্যেই দেখতে পাবেন। আসুন দেখি আল্লাহ্ তা'আলা এই তিনটি অংশ নিয়ে কি বলেছেন এবং কি বুঝাতে চেয়েছেন ?

-- 1. "নাক্বির" সূরা নিসা-124

-- "নাক্বির" মানে হলো খেজুরের বিচির পিঠের ঠিক মাঝখানে থাকা সূক্ষ্ম বিন্দুটি, যা দেখতে অনেকটা ছোট ছিদ্র বা বিন্দুর মত দেখায়! যা প্রতিটি খেজুরের বিচির পেছনেই দেখা যায়।

-- এই অংশটির উদাহরণ দিয়ে আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ-
-- وَمَن يَعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتِ مِن ذَكَرٍ أَوْ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُولَٰئِكَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُونَ نَقِيرًا ( النساء: 124)

-- কোনো পুরুষ কিংবা নারী আল্লাহর উপর আস্থাশীল বিশ্বাসী থাকা অবস্থায় যদি ভালো কাজ করে, তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের প্রতি ‘নাক্বির’ বা ঐ অতি ক্ষুদ্র বিন্দু পরিমাণও অবিচার বা জুলুম করা হবে না। ( তাদের অণু পরিমাণ অধিকারও হরণ করা হবে না )

-- অন্য আয়াতে আল্লাহ্ বলেনঃ
-- সূরা নিসা-77
-- সেই কর্ম ফলের দিন ধর্মভীরুগণ বা সৎকর্মশীলগণ খেজুরের বীজ পরিমাণ অত্যাচারিত হবে না।

++++++++++++++++++++

-- 2. "ফাতিল" সূরা বনী ইসরাইল-71

-- "ফাতিল" হলো সেই আলগা সুতা যা খেজুরের বিচির পেটের কাটা অংশে দেখা যায়।

-- এই অংশটির উদাহরণ দিয়ে আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ

-- فَمَنْ أُوتِيَ كِتَابَهُ بِيَمِينِهِ فَأُولَٰئِكَ يَقْرَءُونَ كِتَابَهُمْ وَلَا يُظْلَمُونَ فَتِيلا (الإسراء: 71)

-- “যাদের আমলনামা তাদের ডান হাতে দেওয়া হবে, তারা নিজেদের আমলনামা পাঠ করবে এবং তাদের প্রতি ‘ফাতিল’ অর্থাৎ ঐ ক্ষুদ্র সুতা পরিমানও অবিচার বা জুলুম করা হবে না।

++++++++++++++++++++

-- 3. "ক্বিতমির" সূরা ফাতির-13

-- "ক্বিতমির" হলো ঐ অতি হালকা এবং অতি পাতলা আবরণটি বা পর্দাটি যা দ্বারা খেজুরের বিচিটি আবৃত হয়ে থাকে কিংবা বেষ্টিত হয়ে থাকে।

-- এই অংশটির উদাহরণ দিয়ে আল্লাহ্ তা'আলা বলেনঃ

-- وَالَّذِينَ تَدْعُونَ مِن دُونِهِ مَا يَمْلِكُونَ مِن قِطْمِيرٍ (فاطر: 13)

-- “আর তোমরা আল্লাহ ব্যতিত যাদের পেছনে দৌড়াও, তারা তো একটি খেজুরের বিচি বা আঁটির তুচ্ছ আবরণেরও মালিক নয়।“

-- অর্থাৎ মানুষ তাদের নিজ ক্ষমতাবলে আল্লাহর দেওয়া সৃষ্ট বস্তু সমূহের সাহায্য ছাড়া, একটি খেজুরের বিচি বা আঁটির তুচ্ছ আবরণ‌টিও তৈরি করতে পূর্ণ অক্ষম।

-- সুবহানাল্লাহ্, কি অসাধারণ এবং অনন্য আর নিখুঁত উপমা দিয়েছেন আল্লাহ্ তাঁর আলোচনা বর্ণনা করেছেন।

15/04/2025

১. ভুলঃ কোমর ব্যথা মানে কিডনি রোগ!
নির্ভুলঃ কিডনি রোগে প্রস্রাব কমে যায়, খাওয়ার রুচি কমে যায়, বমি বমি লাগে, মুখ ফুলে যায়!

২. ভুলঃ ঘন ঘন প্রস্রাব মানেই ডায়াবেটিস বা বহুমূত্র রোগ!!
নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হলে প্রথম অনুভূতি হল- এতো খেলাম, তবুও কেন শক্তি পাইনা, এছাড়া ওজন কমে যায়, মুখে দুর্গন্ধ হয়, ঘা শুকাতে চায়না!

৩. ভুলঃ ঘাড়ে ব্যথা মানেই প্রেসার!
নির্ভুলঃ প্রেসার বাড়লে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন উপসর্গ পাওয়া যায় না! একটু অস্বস্তিকর অনুভুতি হয় মাত্র।

৪. ভুলঃ বুকের বামে ব্যথা মানে হার্টের রোগ!
নির্ভুলঃ হার্টের রোগে সাধারণত বুকে ব্যথা হয় না। হলেও বামে নয়তো বুকের মাঝখানে ব্যথা হয়... হার্টের সমস্যায় সাধারণত বুকের মাঝখানে চাপ চাপ অনুভূতি হয়, মনে হয় বুকের মাঝখানটা যেন কেউ শক্ত করে ধরে আছে!!

৫. ভুলঃ মিষ্টি খেলেই ডায়াবেটিস হয়।
নির্ভুলঃ ডায়াবেটিস হরমোনাল অসুখ। অগ্ন্যাশয় ঠিকমত কাজ না করলে ডায়াবেটিস হয়। তাই মিষ্টি খাওয়ার সাথে এই রোগ হবার সম্পর্ক নেই। কিন্তু ডায়াবেটিস হয়ে গেলে মিষ্টি খেতে হয় না।

৬. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে বেশি পানি খেলে পায়ে পানি আসে।
নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে প্রোটিন কম খেয়ে, কার্বোহাইড্রেট বেশি খেলে পায়ে পানি আসে। তাই প্রোটিন বেশি বেশি খেতে হয়।

৭. ভুলঃ এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং করাকালীন বেবির (৬মাসের আগে পানিও খাওয়ানো যায় না একারণে) ডায়রিয়া হলে, মা স্যালাইন খেলেই বেবিরও চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।
নির্ভুলঃ মা খেলেই বাচ্চার চাহিদা পূরণ হয় না... বেবিকেও স্যালাইন খাওয়াতে হয়।

৮. ভুলঃ দাঁত তুললে চোখের আর ব্রেইনের ক্ষতি হয়।
নির্ভুলঃ দাঁত তোলার সাথে চোখের আর ব্রেইনের কোনো সম্পর্ক নেই। দাঁত, চোখ, মাথার নার্ভ সাপ্লাই সম্পূর্ণ আলাদা।

৯. ভুলঃ মাস্টারবেশন করলে চোখের জ্যোতি কমে যায়!
নির্ভুলঃ ভিটামিন এ জাতীয় খাবার না খেলে চোখের জ্যোতি কমে যায়।

১০. টক/ ডিম/ দুধ খেলে ঘা দেরীতে শুকায়।
নির্ভুলঃ টক/ ডিমের সাদা অংশ/ দুধ খেলে ঘা তাড়াতাড়ি শুকায়।

১১. ভুলঃ অস্বাভাবিক আচরন, ভাংচুর, পাগলামি মানেই জ্বিন ভুতে ধরা!!!
নির্ভুলঃ এটা বাইপোলার ডিসঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, হ্যালুসিনেশন।

১২. ভুলঃ তালু কাটা, এক চোখ, কপালে চোখ, বাঘের মত ডোরাকাটা দাগ নিয়ে জন্ম গ্রহন করা বাচ্চা কিয়ামতের আলামত, আল্লাহর গজব, বাঘের বাচ্চা।
নির্ভুলঃ মানুষের পেট থেকে বাঘের বাচ্চা হয় না আর কিয়ামতের আলামত বা গজব বাচ্চাদের উপর আসে না। এসব জিনগত রোগ বা জন্মগত রোগ।

১৩. ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম এসব খেলে বাচ্চা বড় হয়ে যায়। তাই গাইনী ডাক্তার সিজার করার জন্য এগুলা প্রেসক্রাইব করে....
নির্ভুলঃ প্রেগন্যান্ট মহিলা আয়রণ, ক্যালসিয়াম না খেলে গর্ভস্থ বেবির নিউরাল টিউব ডিফেক্ট হয়।

১৪. ভুলঃ প্রেগন্যান্সিতে সাদাস্রাব হলে ফ্লুইড কমে যায়।
নির্ভুলঃ White discharge এবং Amniotic fluid সম্পূর্ণ আলাদা দুটো ফ্লুইড.. একটার সাথে আর একটার কোনো সম্পর্ক নেই।

১৫. বাচ্চা না হওয়া মানেই বন্ধ্যা নারী।
নির্ভুলঃ বন্ধ্যা, নারী এবং পুরুষ উভয়ই হতে পারে।।

এ ধরণের আরো অনেক ধরণের গুজব বা কুসংস্কার আমাদের সমাজে প্রচলিত, যেগুলোর কোনো ভিত্তি বা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।

সৌজন্যেঃ ডাক্তার তানিয়া সুলতানা

বিঃ দ্রঃ আমাদের পোষ্টগুলো যদি আপনাদের ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

08/04/2025

ইহুদী ধর্মের জাতির পিতা এবং ইসলাম ধর্মের জাতির পিতা একজন ই, হযরত ইবরাহীম(আঃ)।
ইবরাহীম(আঃ) এর দুই পুত্র, ইসহাক(আঃ) আর ইসমাইল(আঃ)।

হয়রত ইসহাক(আঃ) এর পুত্র ছিলেন হযরত ইয়াকুব(আঃ), উনার আরেক নাম ইস/রা/ইল। এই ইয়াকুব(আঃ) এর বংশকে আল্লাহ্ তা'আলা বনি-ই/সরা/ইল নামে সম্বোধন করেছেন।

হযরত ইয়াকুব(আঃ) এর ১২সন্তানের মধ্যে ১জনের নাম ছিলো ইয়াহুদা। এই ইয়াহুদা এর বংশই পরবর্তীতে সবচেয়ে বেশি বিস্তার লাভ করে।
তাই, বনি-ই/সরা/ইল এর আরেক নাম ই/হু/দী।

ই/হু/দী ধর্ম আর বংশ দুটো আলাদা।
সব ইহুদী বংশের লোক ইহুদী ধর্মের হলেও সব ইহুদী ধর্মের লোক ই ইয়াহুদার বংশ নয়।
এই ইয়াহুদা ই কিন্তু তার আপন ভাই ইউসুফ(আঃ) কে কূপে ফেলে হত্যা করতে চেয়েছিল!

৪ হাজার বছর আগে ইসহাক(আঃ) এর মৃত্যুর পর ইয়াকুব(আঃ) আল্লাহ্‌'র নির্দেশে শামনগরী (সিরিয়া) থেকে কেনানে হিজরত করেন। এই কেনান ই বর্তমানের ফিলিস্তিন।

এরপর কেনানে (ফিলিস্তিন) দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে ইয়াহুদা তার সব ভাই এর সাথে মিশরে চলে যায় এবং মিশরে বসবাস শুরু করে।

মিশরের তখনকার রাজা ছিলেন ইউসুফ(আঃ), যিনি ইয়াকুব(আঃ) এর ১২সন্তানের মধ্যে ১১তম। সেই কারণে ইয়াহুদা ও তার বংশ মিশরে অনেক দাপটের সাথে থাকতে শুরু করে।

তারপর কালের পরিক্রমায় ক্ষমতা যায় ফারাও রাজাদের হাতে। ফেরাউন এসে বনি-ই/সরা/ইলদের এত অত্যাচার শুরু করে যে এরা সারাদিন 'ইয়া নাফসী' 'ইয়া নফসী' করতো।
তখন আল্লাহ্ তাদের কাছে পাঠালেন মূসা(আঃ) আর তাওরাত কিতাব। মুসা(আঃ) ফেরাউনকে নীলনদে ডুবানোর মাধ্যমে বনি-ই/সরা/ইল মুক্তি পায়।

তারপর মূসা(আঃ) সবাইকে নিয়ে কেনানে (ফিলিস্তিন) ফিরে যান। পরে তারা সেখানে গিয়ে আল্লাহ্‌'র অশেষ রহমত পাওয়া সত্ত্বেও মুসা(আঃ) এর ওফাতের পর আবার আল্লাহ্‌ কে ভুলে যায়, গরুপূজা সহ নানা রকম অনাচার শুরু করে।

তারপর তাদের মধ্যে ক্ষমতার লোভে নিজেদের একতা ভেঙ্গে যায়, ভিনদেশীরা তাদের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তাদের আবার গোলাম বানিয়ে অত্যাচার করতে থাকে।
এর ১০০বছর পরে দাউদ(আঃ) আর উনার ছেলে সুলাইমান(আঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা আবারও এই অত্যাচার থেকে তাদেরকে মুক্তি দেন।

কিন্তু সুলাইমান(আঃ) এর মৃত্যুর পর ই/হু/দীরা আবার শয়তানের পূজা শুরু করে। তাদের ভিতরে থাকা ধর্ম ব্যবসায়ীরা তাওরাত কিতাবের মধ্যে নিজেদের সুবিধামত সংযোজন-বিয়োজন করার মতন ধৃষ্টতা দেখায়।

06/04/2025

ঈমানের ওজন? স্মরণ করা যাক সেই দিনটি। মদীনা অবরোধকারী কাফির এবং ইহুদি গোত্রের ইসলামের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। নবী (সাঃ)-কে হত্যা করাসহ মুসলমানদের নাম-নিশানা দুনিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন করা ছিল আয়োজনের মূল লক্ষ্য।

প্রায় দশ হাজার কাফির সেনার মধ্য হতে দুর্ধর্ষ পাঁচ যুদ্বাঃ আমর ইবনে আবদে উদ,ইকরামাহ্ ইবনে আবী জাহল,হুবাইরা ইবনে ওহাব,নওফেল ইবনে আবদুল্লাহ এবং যিরার ইবনে খাত্তাব- গংদের মোকাবিলা করা যে অতীব জরুরি হয়ে পড়ে। প্রশ্ন হল এটা কুস্তি খেলা নয় যে হেরে গেলেও বেচে গেলাম। মোকাবিলা করতে হবে তরবারি হাতে তরবারির বিরুদ্ধে, যা অতীব ভয়ংকর।

মুসলিম সেনাবাহিনীতে প্রায় তিন হাজার সদস্য।সমস্যা হল মল্লযুদ্ধে প্রতিপক্ষের মুখোমুখি দাড়াতে কেউ রাজি হচ্ছিলেন না। এরই মাঝে নবীজির পাশে দাঁড়ানো প্রথম সারির একজন হাত উঁচু করে জানান দিলেন। মুসলিম শিবির জুড়ে আলোচনায় তখন “আলী ”!!

তিনি বিনয়ের সাথে প্রস্তাব করেন‘ইয়া রাসুলুল্লাহ আমি প্রস্তুত আমাকে অনুমতি দিন। কিন্তু নবীজি তাতে সাড়া দিলেন না। তিনি অপেক্ষায় আছেন অন্য সকলের মধ্য থেকে কেউ এগিয়ে আসে কিনা। আলী (রাঃ) আবারও আরজ করেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ আমি প্রস্তুত। নবী (সাঃ) এবারও নিরব রইলেন । এদিকে যুদ্ধক্ষেত্রে কাফিরদের হুঙ্কারধ্বনি ও আস্ফালন এবং অনিষ্টতা বেড়েই চলছে।

নিরুপায় নবী ( সাঃ) অবশেষে সম্মত হলেন এবং তিনি আলী (রাঃ)এর হাতে তরবারি তুলে দিলেন। তিনি (সাঃ) আল্লাহর দরবারে এই বলে মিনতি করেনঃ হে আল্লাহ আলীকে শত্রুর আঘাত থেকে রক্ষা করুন। হে আল্লাহ আমাকে একাকী করবেন না, আর আপনিই সর্বশ্রেষ্ঠ উত্তরাধিকারী।

প্রস্তুত আলী হায়দার। আমরঃ কে তুমি? বর্ম পরিহিত আলী (রাঃ) বললেন,‘আমি আলী ইবনে আবী তালিব। আমরঃ “আমি তোমার রক্ত ঝরাব না। তোমার পিতা ছিলেন আমার পুরনো বন্ধু। আমি তোমার চাচাত ভাই মুহাম্মদের ব্যাপারে ভেবে অবাক হচ্ছি যে সে কোন্ ভরসায় তোমাকে আমার সাথে লড়াই করার জন্য পাঠিয়েছে!! আমি তোমাকে না জীবিত না মৃত এমন অবস্থায় বর্শায় গেঁথে শূন্যে ঝুলিয়ে রাখতে পারি”।

জবাবে হযরত আলী (রাঃ) বললেনঃ তুমি আমার মৃত্যু নিয়ে চিন্তা করোনা। আমি উভয় অবস্থায় সৌভাগ্যবান। আমি নিহত হই বা তোমাকে হত্যা করি। সকল অবস্থায় জাহান্নাম তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমরঃ আলী এই ধরনের বণ্টন ন্যায়ভিত্তিক নয় যে জান্নাত এবং জাহান্নাম উভয় তোমার সম্পত্তি হবে-।

অতঃপর হযরত আলী (রাঃ) আমরকে যে কয়টি প্রস্তাব করেন আর তা ছিলো প্রথমতঃ আমর-কে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ। জবাবে আমরঃ “আলী! এটা বাদ দাও। কারণ তা সম্ভব নয়। দ্বিতীয় প্রস্তাবঃ যুদ্ধ থেকে ক্ষান্ত হও এবং মুহাম্মদ (সাঃ)-কে তাঁর নিজ অবস্থার ওপর ছেড়ে দাও এবং যুদ্ধক্ষেত্র ত্যাগ কর। আমরঃ এমন প্রস্তাব আমার জন্য লজ্জাজনক। আরবের কবিরা আমার ব্যাপারে ব্যঙ্গ করবে এবং তারা ভাববে, আমি ভয় পেয়ে এমন কাজ করেছি। তখন আলী (রাঃ) বলেনঃ “এখন যখন তোমার প্রতিপক্ষ যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে, তাহলে তুমিও তোমার ঘোড়া থেকে নেমে এসো”।

জবাবে আমরঃ আলী! আসলে এটি একটি তুচ্ছ প্রস্তাব মাত্র। আমি কখনোই ভাবিনি যে কোনো আরব আমার কাছে এমন প্রস্তাব করতে পারে! অতপর আমর তার ঘোড়া থেকে নেমেই উত্তেজিত হয়ে নিজের ঘোড়ার পা কেটে ফেলে। তাতে করে ঘোড়াটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সে উপস্থিত সবার মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি করে এবং এক পর্যায়ে উভয়ের মাঝে প্রচন্ড লড়াই বেধে যায়।

ফলাফলঃ আমর ইবনে আবদে উদ ও নওফেল ইবনে আবদুল্লাহ্ পরিখার নীচে আলী (রাঃ)-এর তরবারির আঘাতে নিহত হয় এবং বাকিরা দ্রুত পলায়ন করে। অতঃপর যুদ্ধক্ষেত্রের দৃশ্যপটে পরিবর্তন এবং মুসলিম শিবিরে স্বস্তি আসে। উচ্চস্বরে বিজয়ের ধ্বনি ধ্বনিত হয় আহাদুন আহাদ, আহাদুন আহাদ। অবশেষে আসে আল্লাহর সাহায্য,বালুময় তুফান এবং আল্লাহর বাহিনী।

খন্দকের যুদ্ধে রাসূল (সা:) যে দোয়া পড়ে আল্লাহর নিকট সাহায্য কামনা করেছিলেনঃ হে আল্লাহ! হে কিতাব নাজিলকারী! হে তড়িৎ হিসাব গ্রহণকারী! আপনি শত্রু বাহিনীকে পরাস্ত করুন। তাদের পরাস্ত করুন এবং তাদের প্রকম্পিত করে দিন। বুখারি ৬৩৯২

আয়াতঃ হে মুমিনগণ!তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহর নেয়ামতের কথা স্মরণ কর,যখন শত্রুবাহিনী তোমাদের নিকটবর্তী হয়েছিল,অতঃপর আমি তাদের বিরুদ্ধে (প্রচণ্ড) ঝঞ্ঝাবায়ু এবং এমন সৈন্যবাহিনী প্রেরণ করেছিলাম,যাদেরকে তোমরা দেখতে পাচ্ছিলে না। তোমরা যা কর, আল্লাহ তা দেখেন। (৩৩:৯)

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ "খন্দকের যুদ্ধে আলীর তরবারির আঘাতের মূল্য নিঃসন্দেহে কেয়ামত পর্যন্ত আমার উম্মতের সমুদয় কর্মের চাইতে অধিক মূল্যবান"। আল হাকিম সংকলিত আল মুস্তাদরাক, ৩০তম খণ্ড, পৃ. ৩০-৩২,তারীখে বাগদাদ ১৩:১৯, আল মানাকিব-খারেযমী ১০৭/১১২,(তারীখে বাগদাদ ১৩:১৯,আল্লামা ইযযুদ্দীন ঈজী প্রণীত ‘কিতাবে মুওয়াফেক’ ইস্তামবুলে মুদ্রিত-পৃঃ ৬১৭।, ফখরুদ্দীন রাজী প্রণীত নেহায়াতুল উকুল ফি দেরায়াতিল উসুল। পা-ুলিপি-পৃঃ ১১৪।, আল্লামা তাফতাযানী প্রণীত সারহুল সাকাসেদ ২য় খ-, পৃঃ ২৩০, আল্লামা কান্দুযী প্রণীত “ইয়ানাবিউল মুওয়াদ্দাত’ ৯৫ ও ১৩৭ পৃষ্ঠা। ইস্তামবুলে মুদ্রিত।, আল্লামা মওলভী আদ দেহলভী প্রণীত ‘তাজহীযুল যাহিশ-পা-ুলিপি পৃঃ ৪০৭।,আল্লামা বেহজাত আফিন্দী প্রণীত “তারিখে আলে মুহাম্মদ’পৃঃ ৫৭।

31/03/2025

ঢাকায় ভূমিকম্প হলে করণীয়: বিস্তারিত গাইডলাইন

ঢাকা শহর ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের মধ্যে পড়ে, এবং যেকোনো সময় বড় মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। তাই আগেভাগে প্রস্তুতি নেওয়া এবং ভূমিকম্প চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে কী করতে হবে তা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ভূমিকম্পের আগে প্রস্তুতি

ভূমিকম্পের ক্ষতি কমানোর জন্য আগে থেকে কিছু প্রস্তুতি নেওয়া উচিত:

১. বাসা ও অফিস নিরাপদ করা:

✅ ভারী আসবাবপত্র, বুকশেলফ, ফ্রিজ ও অন্যান্য বড় জিনিস ঠিকভাবে স্থির করে বাঁধুন।
✅ ফ্যান, লাইট, শোকেস বা অন্যান্য ঝুলন্ত বস্তু এমনভাবে লাগান যাতে সহজে পড়ে না যায়।
✅ গ্যাস লাইন, বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানির লাইন নিয়মিত পরীক্ষা করুন।
✅ জরুরি ওষুধ, শুকনো খাবার, পানির বোতল, টর্চলাইট, পাওয়ার ব্যাংক ও জরুরি কাগজপত্র একটি ব্যাগে রেখে দিন।

২. ভূমিকম্প মোকাবিলার প্রশিক্ষণ ও মহড়া:

✅ পরিবারের সবাইকে ভূমিকম্পের সময় করণীয় শেখান।
✅ “Drop, Cover, Hold” কৌশল অভ্যাস করুন:
• Drop: মাটিতে বসুন বা শুয়ে পড়ুন।
• Cover: মাথা ও ঘাড় হাত দিয়ে ঢেকে ফেলুন।
• Hold: শক্ত কিছু ধরে রাখুন যাতে কম্পনের সময় পড়ে না যান।
✅ জরুরি বের হওয়ার পথ ও নিরাপদ স্থান চিহ্নিত করুন।
✅ পরিবারের সবাইকে জরুরি নম্বর মুখস্থ করান এবং যোগাযোগের বিকল্প পদ্ধতি ঠিক করে রাখুন।

ভূমিকম্প চলাকালীন করণীয়

১. যদি ঘরের ভেতরে থাকেন:

✅ আতঙ্কিত না হয়ে দ্রুত নিরাপদ স্থানে যান।
✅ টেবিল, শক্ত খাট বা মজবুত ফ্রেমের নিচে আশ্রয় নিন।
✅ জানালা, আয়না, আলমারি, ফ্রিজ ও ভারী জিনিস থেকে দূরে থাকুন।
✅ দরজা দিয়ে দ্রুত বের হওয়ার চেষ্টা করবেন না, কারণ কম্পনের সময় দরজা আটকে যেতে পারে।
✅ রান্না করছিলেন? সঙ্গে সঙ্গে গ্যাস বন্ধ করে নিরাপদ স্থানে যান।

২. যদি খোলা জায়গায় থাকেন:

✅ ভবন, বৈদ্যুতিক খুঁটি, বিলবোর্ড, গ্লাস বা গাছের নিচে যাবেন না।
✅ মাঠ, পার্ক বা খোলা স্থানে চলে যান এবং বসে পড়ুন।
✅ গাড়িতে থাকলে, দ্রুত খোলা জায়গায় গাড়ি থামান এবং ভিতরে থাকুন।

৩. যদি উঁচু ভবনে থাকেন:

✅ লিফট ব্যবহার করবেন না।
✅ সিঁড়ির কাছে দাঁড়াবেন না, কারণ এটি ভেঙে পড়তে পারে।
✅ বিল্ডিংয়ের ভেতরেই শক্ত আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নিন।

ভূমিকম্পের পর করণীয়

১. নিজের ও অন্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন:

✅ ধ্বংসস্তূপের নিচে কেউ আটকা পড়েছে কিনা দেখুন ও প্রয়োজনে উদ্ধারকর্মীদের ডাকুন।
✅ অল্প আঘাত পেলে প্রাথমিক চিকিৎসা করুন এবং গুরুতর আঘাত পেলে হাসপাতালে যান।
✅ গ্যাস লাইন, বিদ্যুৎ সংযোগ, পানির লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা পরীক্ষা করুন।

২. ভবন পরিত্যাগ করুন যদি:

✅ ফাটল দেখা যায় বা ভবন হেলে পড়ে।
✅ বড় আকারের ধ্বংসাবশেষ বা ধুলোর আস্তরণ দেখা যায়।
✅ ভবন ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

৩. যোগাযোগ ও সাহায্যের জন্য:

✅ পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান এবং মোবাইলের ব্যাটারি সংরক্ষণ করুন।
✅ সরকারি সংস্থা বা উদ্ধারকর্মীদের কাছে খবর দিন।
✅ ভূমিকম্পের পর আফটারশক হতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন।

জরুরি নম্বর ও যোগাযোগ
• দমকল বাহিনী: ৯৯৯
• পুলিশ: ৯৯৯
• হাসপাতাল: স্থানীয় হাসপাতালের নম্বর সংরক্ষণ করুন।
• গ্যাস ও বিদ্যুৎ: গ্রাহক সেবার নম্বর সংরক্ষণ করুন।
• রেড ক্রস / সিভিল ডিফেন্স: তাদের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য সংগ্রহ করুন।

শেষ কথা

ভূমিকম্প কখন হবে তা আগে থেকে বোঝা সম্ভব নয়, কিন্তু সচেতনতা ও সঠিক প্রস্তুতি থাকলে ক্ষতি কমানো সম্ভব। নিজের পরিবার, সহকর্মী ও প্রতিবেশীদের ভূমিকম্প সম্পর্কে সচেতন করুন এবং প্রস্তুতি নিতে উৎসাহিত করুন।

সতর্ক থাকুন, নিরাপদ থাকুন!

-Collected

28/03/2025

আল্লাহর রহমতে ঈদ বয়ে আনুক কল্যান : ❤️

১। যারা বাসা লক করে অন্য শহরে যাবেন তারা যেন সামনের ও পিছন দিকের দরজা, জানালা একাধিক বার চেক করে নেন।

২। আয়াতুল কুরসি কয়েকবার পড়ে মূল্যবান সম্পদ ও মেইন গেটে ফু দিলে ভালো হবে। 👍

৩। যারা এলরেডি বেরিয়ে পড়েছেন তারা সময় করে নিরাপত্তার জন্য ২-৪ রাকাত নফল নামাজ পড়তে পারেন।

৪। প্রকৃত হকদার যেন জাকাত পায়।

৫। যাএাপথে ২-৪ ঘন্টা দেরি হতে পারে, গাড়ি চালককে যেন দ্রুত চালানোর জন্য তাগাদা না দেই।

৬। যাদের বমির সমস্যা আছে তাড়া যাএার পূর্বে Tab Travelit / Revert / Joytrip সেবন করে নিতে পারি।

৭। কিছু টাকা যেন অবশিষ্ট থাকে, ঈদের পরপরই বাসা ভাড়া দেয়ার জন্য।

ধন্যবাদ।

পেইজটিতে স্বাস্থ্য বিষয়ক কিছু পোস্ট দেয়া আছে, কাজে লাগতে পারে।
পেইজটি লাইক দিয়ে রাখতে পারেন। 👍

25/03/2025
আমি বললাম- ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা.)! কোন রাতটি লাইলাতুল কদর, এ কথা যদি আমি জানতে পারি তবে সে রাতে কি দোয়া করব? জবাবে নবীজি ...
24/03/2025

আমি বললাম- ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা.)! কোন রাতটি লাইলাতুল কদর, এ কথা যদি আমি জানতে পারি তবে সে রাতে কি দোয়া করব? জবাবে নবীজি বলেন, তুমি বলবে-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিমুন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি তো খুবই ক্ষমাশীল, ক্ষমা করাই তুমি ভালোবাস। সুতরাং ক্ষমা করে দাও আমাকে। (মেশকাত, হাদিস: ২০৯১; তিরমিজি, হাদিস: ৩৫১৩)

সবাই টাইমলাইনে রেখে দিন 🤲🏻🩶

Address

Dhaka
1217

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Cure Life posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Cure Life:

Share

Category