Arif Hasan

09/10/2024

বাজারে নিত্যপন্যের এতই দাম এতই দাম অসহনীয়।
শুধু ডিমের দাম টাই উল্লেখ করলাম যা গরীব দের প্রোটিনের যোগান দেয়।
১ ডজন ১৮০/-
এই অবস্থা আগে কখনও হয়েছে কিনা জানা নাই।সকল কিছুর দামই অসহনীয় পর্যায়ে বেড়েছে।
সরকারকে হুসিয়ারী দিয়ে বলতে চাই, জিনিসপত্রের দাম কমান।না হলে আপনাদের কপালে দুর্গতি আছে।

21/09/2024

৯ দফার ঘোষক এবং এর সেই ঘোষণাপত্রের চিন্তাধারা দুইটি আলাদা বিষয়। তবে যে বা যাদের মাথা থেকেই এই সিদ্ধান্ত আসুক না কেন তা জাতীয় জীবনে খুবই তাৎপর্যপূর্ন এবং দেশের সাধারণ জনগন সকলকেই শ্রদ্ধা এবং সম্মানের জায়গায় রেখেছে।এদের মধ্যে বিবাদ, বিভাজন, মতানৈক্য, বিশৃংখলা কাম্য নয়। সেই সাথে বলতে চাই কারোই অবদান এই আন্দোলনে কম নয়।আমরা সামান্য কাজ করেছি।কেউ জীবন দিয়ে দেখিয়েছে দেশে ও জাতীর স্বার্থে জীবন কিভাবে দিতে হয়, কেউ আহত হয়ে দেখিয়েছেন কিভাবে উদ্যমি হয়ে হাল না ছেড়ে দিতে, কেউ উৎসাহ দিয়েছেন, কেউ মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন, কেউ অন্যায় কে অন্যায় বলেছেন, কেউ বা পানি দিয়ে গেছেন।

কত নাম না জানা, ঘটনা না জানা, আরো কত শত মানুষ, কত শত মানুষের ঘটনা সে এক বিরাট ইতিহাস। কিন্তু সমন্বয়ক দের মাঝে গুটি কয়েক হাইলাইট হওয়া, কেউ ক্ষমতায় বসে পড়া, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইগনোর করা, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দের মাঝে দুই জন ক্ষমতায় বসে পড়া, বাকিদের কোন তোয়াক্কা না করেই এইসব করা কার বা কাদের পরামর্শ নিয়ে করা হয়েছে, বা হয়েছিলো তা মোটেই কাম্য নয়।উচিত ছিলো সমন্বয়কদের সবাই ক্ষমতা নিয়ে বসে পড়া।তার সংখ্যা ৩০০ হোক বা ৪০০ বা হাজার।সাথে সেনাবাহিনীসহ সশস্রবাহিনীর সদস্য দের সাথে নিয়ে সরকার গঠন করে ফেলা, ড. ইউনুস কে রাষ্ট্রপতি ঘোষনা করে ফেলা এবং সেই সরকার বিএনপি এবং জামাত সহ সকল রাজনৈতিক দলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ভবিষ্যতে কি করনীয় তা বাস্তবায়নে আগানোই ছিলো উত্তম সিদ্ধান্ত বলে আমার অভিমত।

এই সম্পূর্ন পরিকল্পনাটা নস্যাৎ করেছে আসিফ নজরুল এবং মাহফুজ গং।এদের অতি বুদ্ধি বৃত্তিক চিন্তা চেতনার বহিঃপ্রকাশ এদের জন্য কাল হয়েছে সেই সাথে দুই উপদেষ্টার ক্ষমতা গ্রহন এবং লোভ তাদেরকে বিপ্লবী চেতনার অপমৃত্যু ঘটাতে সহায়ক ভুমিকা পালন করেছে।তাদের দায় কোন ভাবেই এড়িয়ে যাবার নয়।দেশ ও জাতীর ক্রান্তিলগ্ন মুহুর্তে যদি বড় রকমরের বিপর্যয় ঘটে এর জন্য ক্ষমতায় থাকা গংদের দায় কোনভাবেই এড়িয়ে যাবার নয়।ফ্যাসিবাদী দল তো গংদের ফাসিতে ঝুলাতে প্রস্তুত অতি জ্ঞানী হয়ে কার্যকলাপ করলে দেশের জনগন কখন যেনো আপনাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায় আশা করি সেই দুর্দিন যাতে আপনাদের দেখতে না হয়।
আপনাদের ব্যার্থ হওয়া যাবে না।সর্বাত্মক সহায়তা করার ইচ্ছা না থাকা সত্বেও আপনাদের সাথে একাত্মতা পোষন করছে বহু রাজনৈতিক দল আপনাদের কার্যকলাপই আপনাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে বলে আমার মনে হচ্ছে।আপনাদের ধারা দেশ পরিচালনা সম্ভবপর নয় বলে আমার অভিমত।সরকার পূর্ববর্তী ভুল এবং আপনাদের এনজিও সরকার গঠন এবং গংদের হঠকারিতা আপনাদের জন্য বিপদ হয়ে দাড়ালো।
সর্বাত্মক সহায়তার জন্যই চুপ করে থাকা এবং আপনাদেরকে সময় দেওয়া ছাড়া আপাতত আর কোন কাজ আছে বলে মনে করছি না।

AF 220924 239

21/09/2024

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার সেগুলোর মধ্যে পাহাড়ের অধিবাসীদের একই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়া, তাদের মাঝে এক বিশৃংখলার কালো মেঘ যা নাগরিক মন-মগজ ও বিবেক কে গভীর চিন্তায় ফেলে দিলো।এই পাহাড়িদের সমতলের মানুষ দের প্রতি লেলিয়ে দেওয়া অধিকারের নামে, স্বজাতীয়তার নামে, বৈষম্যের নামে তা কখনোই কাম্য নয়।ন্যায্য,যুক্তিযক্ত, ইনসাফের সহিত সঠিকভাবে ঘটনা মুল্যায়ন করে অতি দ্রুত সমঝোতায় চলে আসা উচিত।এর পিছনে কার ইন্দিন, কার পৃষ্ঠপোষকতা আছে তা জাতীর জ্ঞানীগুণী পর্যায়ের লোকদের নতুন করে অবগতির কিছু আছে বলে মনে করছি না।

অন্যদিকে বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদের অভ্যন্তরে যেই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে গেলো তা জাতীর কাছে লজ্জার বলে মনে করি।ধর্মীয় দলাদলি সেই ধর্মের শুরুর দিক থেকে শুরু হয়ে তা শাখা,প্রশাখা হয়ে নানা ডালপালা গজিয়েছে।আর আমাদের নানান বিষয়ে এই অতি শিক্ষা, জ্ঞান এবং যুক্তি কোন ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে নি বরং ধর্মীয় লোকদের মাঝে বিবেদ আরো বাড়িয়েছে।আর ধর্মীয় মানুষ যখন স্বার্থ সিদ্ধ কাজের জন্য রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করে বা রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে ভুমিকা পালন করে, তখন সেই ব্যক্তি আমার মনে হয় অপরাজনৈতিক চর্চার কারনে আরো ভয়াবহ আকার ধারন করে।

দেশে ছোট ছোট নানান ধরনের বিশৃংখলা, গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে বিতর্কিত লোকদের পুনর্বাসন, রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ না নেওয়া, এবং আঞ্চলিক একটা অস্থিরতা বিরাজ করছে সব মিলিয়ে তা খুবই উদ্বেগের।তার উপর নিত্যদিনের জিনিসের দাম আবারো বাড়ছে, বিগত এক মাসে প্রচুর রেমিট্যান্স এসেছে, যতটুকু জানি উপদেষ্টাগন সৎ ও নিষ্ঠাবানলোক, সকল ক্ষেত্রে উনারা কাজ করছেন।দুর্নিতী করার সাহস নাকি কেউ পাচ্ছে না।কথা হলো দ্রব্য মুল্যের দাম কেন উর্ধ্বগতি হচ্ছে?

সব মিলিয়ে এই সরকারের প্রশংসা করার পাশাপাশি কিছু কথা বলা দরকার, এইরকম প্রশাসন নিয়ে বেশি দিন চললে আমার মনে পার্বত্য চট্টগ্রাম আমারা হারাতে বসবো, সেই সাথে দেশের অভ্যন্তরীণ একটা বিশৃংখলা তৈরি হবে।গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত, আর না হয় জাতীয় সরকার গঠন করা উচিত।এতে করে বহু রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমের সবার দায়বদ্ধতা বাড়বে, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মনে হয় এই সমস্যা থেকে উত্তরন সম্ভব হবে বলে মনে হয়।

যেহেতু অবস্থা এবং পরিবেশ সর্বাদাই পরিবর্তনশীল তাই সঠিক দিকনির্দেশনার জন্য আমাদের বর্তমান ঘটনা প্রবাহের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

AF 220924 212

19/09/2024

খাগড়াছড়িতে চোর সন্দেহে যুবক কে পিটিয়ে হত্যা!
ঢাবি তে চোর সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন লোককে পিটিয়ে হত্যা!
জাবি তে ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা!

এইভাবে মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলা কোন দেশের রাষ্ট্রীয় আইন?
সে হোক না অপরাধী বা নিরাপদ বা মানসিক ভারসাম্যহীন।তাও আবার দেশের শ্রেষ্ঠ্য বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের দ্বারা এই ধরনের অনৈতিক কাজ কখনোই মেনে নেওয়ার মতো না।একটি দেশের যে কোন অন্যায়, অত্যাচার এবং আপরাধের জন্য কোন মানুষকেই যেনো আর পিটিয়ে মারা না হয় এর ব্যবস্থা সরকার কে নিতে হবে।এই সরকার বিগত সরকারের মতো না, এই সরকার বিগত কোন সরকারের মতোনোই নয়।

দেশের যে কোন মানুষ অপরাধ করলে বা সন্দেহ হলে সে যেই হোক অন্তত তাকে পিটিয়ে হত্যা করা আর কাম্য নয়।এর জন্য এমন ব্যাবস্থা গ্রহন করা যাতে রাষ্ট্রের এই ধরনের আইনের জন্য দেশের জনগন নিজের হাতে আইন তুলে নিতে ভয় পাবে।আর সবকিছুই বিপ্লব পরিবর্তী সহিংসতা ভেবে এড়িয়ে গেলে চলবে না।এইটা মব হলেও কাম্য নয়।আইন শৃংখলার এই অবনতির জন্য মানুষ আপনাদের কে বসাই নি।রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই বিষয় গুলোতে মামলা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে এর বিচার করা উচিত।আবারো বলছি এইটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সরকার। দেশে আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে গেলে আমাদের আরো কঠোর হতে হবে।

AF 190424 500

17/09/2024

তো চাকরি না পাইলে, না যোগাড় করতে পারলে, মানুষ কই যাবে?
আপনি ও আপনারা এই চাকরির জন্য, রুটি রুজির জন্য, পরিবারের জন্যই আন্দোলন করেছিলেন।আপনি চাকরি পেয়ে গেলেন, আপনার সহপাঠী ভাইয়েরা, আন্দোলনের সহযোদ্ধা ভাইয়েরা, হাজারো আপনার অচেনা আন্দোলন কারী ভাইয়েরা কিন্তু চাকরি পায় নাই।
উচিত সবাইকে না পারলেও অন্তত ৩০০-৪০০ জন যারা আপনারা আন্দোলন করেছেন তারা যদি চাকরি করতে চায় চাকুরির সুযোগ দেওয়া।বরং আমি মনে করি ২-৩ লাখ সাবেক শিক্ষার্থীদের পারলে আরো বেশি সংখ্যক লোক এক যোগে চাকরিতে ঢুকিয়ে দেওয়া উচিত।এরা কিন্তু এখনও বেকার।এরা কার কাছে চাইবে?
যারা জনগনের খাদেম তাদের কাছেই তো আবদার অনুযোগ করবে নাকি!
দেশের মানুষ চাকরি করতে চায়, আবদার করে, অসহায় হয়েইতো করে। আর যারা ভিন্ন স্বার্থ সিদ্বীর জন্য করে সেটা ভিন্ন বিষয়।আমার মতে দেশের মানুষ না খেয়ে থাকলে হযরত উমার (রা:) এর মতো ঘরে ঘুরে ঘুরে দেখা উচিত কার ঘরে খাবার নাই!
বাদশাহ হারুনর রশীদের মতো ঘুরে ঘুরে দেখা উচিত কে অসহায়, দেশের জনগন কে কেমন আছে, কাকে কিভাবে সাহায্য করা যায়?

আর আমাদের দেশের যারা মন্ত্রী এমপি এমনকি জনপ্রতিনিধি সকল স্তরের মানুষদের উচিত জনগনের বাড়ি বাড়ি খুজ নেওয়া কে কেমন আছে?
কে কি খাচ্ছে?
কার চাকরি দরকার?
কার মেয়ের বিয়ে হয় না অর্থের অভাবে তাকে সাহায্য করা,
কার মেডিসিন কিনার টাকা যোগাড় হয় না,
কার সন্তানের টাকার অভাবে পড়াশোনাই বন্ধ হয়ে গেলো,
কার ঋনের টাকায় জর্জরিত হয়ে সে আত্মহত্যার কথা ভাবছে,
কে ব্যাবসা করতে চায় নতুন উদ্যোগী,
কে আবিষ্কার করতে চায়,
কে উচ্চশিক্ষা নিতে চায়,
কার একটু থাকার জায়গাও নেই,
কে বয়স্ক বৃদ্বাশ্রমে দিন কাটাচ্ছে,

এইরকম হাজারো বিষয় খুজ খবর নেওয়া।সবাই তো সৎ লোক না, সবাই সমাজ ও রাষ্ট্রে পরিবর্তন হোক চাইবে না।তাই একজন একজন করে সবাই শুরু করে দিতে হবে তাহলেই অন্তত কিছুটা করা সম্ভব হবে আশা করছি।
যারা চাকরির জন্য যায় চাকরি দিয়ে দিয়েন, আমরা দেশের জনগন।সকল মানুষের চাকুরির ব্যাবস্থা নিশ্চিত করা আপনাদের দায়িত্ব।চাকরি না দিতে পারলে বেকার ভাতা প্রদান করতে হবে উন্নত দেশ গুলোর মতো।
বিনা সুদে লোনের মাধ্যমে ছাত্রদের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করে দেন।যাতে চাকুরি করে পরিশোধ করতে পারে।
বয়স্কদের ভাতা প্রদান করার উদ্যোগ জোড়ালো ভাবে নেওয়া উচিত।
যাদের থাকার জায়গা নাই তাদেরকে কোন কলোনির মতো করে থাকার জায়গা করে দেন।
শ্রমিক দের চিকিৎসা ফ্রি করে দেন। নিম্নশ্রেনীর শ্রমিক দের সন্তানদের শিক্ষার খরচ মওকুফ করে দেন, না হলে কিছুটা বৃত্তি প্রদান করেন।
সব যে জলদি করতে হবে, আপনাকেই করতে হবে এমন না।আমার এই চাওয়া গুলো সকল সরকার প্রধানের কাছেই।
আরো বিশাল চাওয়া আছে তা প্রকাশ করা সময় সাপেক্ষ।
তবে এই গুলো বাস্তবায়ন সময়ের ব্যাপার।আশা করি একদিন সফল হবে।

AF 190924 232

16/09/2024

আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সাইয়িদিনা মাওলানা মোহাম্মাদিল ফাতিহি, লিমা উগলিকা ওয়াল খ্বাতিমি, লিমা সাবাকা নাছিরুল হাক্ক্ব বিল হাক্কি, ওয়াল হাদ্বী ইলা সিরাত্বিকাল মুস্তাকিম, ওয়ালা আলিহি হাক্কা ক্বাদরিহী ওয়া মিক্বদারিহিল আজীম।

15/09/2024

এরশাদের আমলে সাহাবুদ্দীন আহমদ ছিলেন প্রধান বিচারপতি। এরশাদের পতনের পর সবগুলো রাজনৈতিক দল সাহাবুদ্দীনকে অনুরোধ করেছিল রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার জন্য এবং একটা সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করে বিজয়ী দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য। রাষ্ট্রপতি হতে সাহাবুদ্দীন প্রথমে রাজিই হননি। সব দলের মুহুর্মুহু অনুরোধে তিনি রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু শর্ত দিয়েছিলেন যে, প্রধান বিচারপতি হিশেবে তার যতটুকু মেয়াদ বাকি থাকবে, রাষ্ট্রপতির পদ থেকে বিদায়ের পর প্রধান বিচারপতির পদে ফিরে গিয়ে ঐটুকু মেয়াদ পূরণ করার সুযোগ তাকে দিতে হবে। কিন্তু প্রধান বিচারপতির পদ থেকে একবার বিদায় হয়ে আবার ফিরে আসার সু্যোগ বাংলাদেশের সংবিধানে নেই। সাহাবুদ্দীন আহমদের জন্য শেষ পর্যন্ত সংবিধান সংশোধন করতে হয়েছিল এবং রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করে তিনি প্রধান বিচারপতির পদে ফিরে গিয়েছিলেন।

২০১৩ সালে শাহবাগে গড়ে ওঠা গণজাগরণ মঞ্চের মূল দাবি ছিল ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ যে আপিল করতে পারে না, সেই আইন পরিবর্তন করা। সরকার আইন পরিবর্তন করেছিল। গণজাগরণ মঞ্চের উচিত ছিল তখনই, মানে আইন পরিবর্তনের দাবি পূরণ হওয়ার সাথে-সাথে, শাহবাগ থেকে বিদায় হওয়া। কিন্তু মঞ্চের মুখপাত্ররা ততদিনে মজা পেয়ে গিয়েছিলেন। হঠাৎ করে পাদপ্রদীপের আলোয় এসে তারা আর সাধারণ জীবনে ফিরে যাননি। মুখপাত্র ইমরান হোসেন সরকার ডাক্তারি পেশা ত্যাগ করে পেশাদার মুখপাত্র হয়ে গিয়েছিলেন, সাময়িক জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, ২০১৮-এর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিশেবে নির্বাচন করে যথারীতি জামানত হারিয়েছিলেন। তিনি ধরে নিয়েছিলেন শাহবাগে যত লোক আন্দোলনে গিয়েছিল, সবাই তার কর্মী। মুখপাত্র আর তার সহচরদের অতি-লোভের কারণে গণজাগরণ মঞ্চ এখন হাসির পাত্র। মুখপাত্র গং বুঝতে পারেনি কখন কোথায় থামতে হয়। থামতে না-শেখার কারণে কালের গর্ভ থেকে তারা হারিয়ে গেছেন।

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের সমন্বয়কদেরও এখন থামার সময় হয়েছে। ৫ আগস্ট পর্যন্ত তাদের ভূমিকা জাতি শ্রদ্ধার সাথে মনে রাখবে। তাদের মধ্য থেকে দুজনকে মন্ত্রিত্বও দেওয়া হয়েছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী এক-দেড় মাসে তাদের বিরুদ্ধে ত্রাণের অর্থ আত্মসাতের সুস্পষ্ট অভিযোগ উঠেছে, নারীকেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে, উঠেছে আইনবহির্ভূত আরো নানান কর্মকাণ্ডের শক্তিশালী অভিযোগ। আওয়ামি লিগ ও বিএনপির স্বৈরাচারী মন্ত্রী-সাংসদরা যা যা করে গেছেন, সমন্বয়করা হুবহু তা-ই করে চলছেন বা করার চেষ্টা করছেন। তারা যে-জেলায়ই যাচ্ছেন, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ধাওয়া খেয়ে ফিরছেন, নিজেদের নিরাপত্তার জন্য এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে ব্যবহার করছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে। অল্প কয়েকজনকে বাদ দিলে দেড় শতাধিক সমন্বয়কের সবাই শিক্ষার্থী। এখন তাদের কাজ হলো সচিবালয়ে ভিড় না-করে নিজ-নিজ শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়া এবং তারকা হওয়ার চেষ্টা বা আন্দোলনকে ব্যবহার করে পয়সা রোজগারের চেষ্টা না-করে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া। সাহাবুদ্দীন আহমদ রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করে স্বপদে ফিরে গিয়েছিলেন। সমন্বয়করা সাহাবুদ্দীন আহমদের চেয়ে বড় কেউ না। তাদেরকে দ্রুত শ্রেণিকক্ষে ফিরে যেতে হবে। নইলে ইমরান হোসেনের মতো অপ্রাসঙ্গিক ও অপাঙ্‌ক্তেয় হয়ে যেতে হবে। ইমরান অন্তত অস্ট্রেলিয়ায় থিতু হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু সমন্বয়কদের অধিকাংশের ভাগ্যেই জীবনে একবারও উড়োজাহাজে চড়ার সুযোগ আসবে না। বাগে পেলে আওয়ামি লিগ এই সমন্বয়কদেরকে নিশ্চিহ্ন করে তো ফেলবেই, আর মাস কয়েক পর বিএনপি-জামায়াতও সমন্বয়ক-নিধন শুরু করে দেবে। আমির-এ-জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বা ভারপ্রাপ্ত আমির-এ-জাতীয়তাবাদ তারেক রহমানকে এখন যতটা মিষ্টিমধুর রূপে দেখা যাচ্ছে, মাস কয়েক পরই তাদের ভিন্নরূপ দেখা যাবে। তখন সমন্বয়কদের পশ্চাৎপ্রদেশের এক বর্গইঞ্চি চামড়াও অক্ষত থাকবে না। টিএসসি থেকে ছাত্ররা এসে তখন সেই ক্ষতবিক্ষত চামড়া মেরামত করে দিয়ে যাবে না। কেননা, সব ছাত্র সমন্বয়কদের কর্মী না, ততদিনে সবার মোহভঙ্গও হয়ে যাবে।

সমন্বয়কদের উচিত হবে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই ব্যারাকে ফিরে যাওয়া। জুলাইয়ের সমন্বয়করা এই মুহূর্তে অপ্রাসঙ্গিক, নিষ্প্রয়োজন এবং ক্ষেত্রবিশেষে উৎপাত।

-আখতারুজ্জামান আজাদ

15/09/2024

15/09/2024

সাবধান করে দিলাম!!!
মাস না যেতেই স্লোগান পরিবর্তনের পায়তারা কেনো?
এত হিনমন্যতা কেনো?
চালাকি কম করা উচিত, অচিরেই চালাকির ধরন,রকম উন্মোচন করে রাজপথে সংগ্রাম চলছে, চলবে।

14/09/2024

১. উদ্দেশ্য ও কাঠামো নির্ধারণ
প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠনের আগে প্রধান উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে হবে। এটি একটি সামরিক বাহিনী, বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী, দুর্যোগ প্রতিরোধ বাহিনী বা বিশেষ পরিস্থিতিতে কাজ করার বাহিনী হতে পারে।

প্রতিরক্ষা বাহিনীর ধরন নির্বাচন: বাহিনী সামরিক, আধা-সামরিক, বা বেসামরিক কাজের জন্য হবে তা নির্ধারণ করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, সামরিক বাহিনী দেশের সুরক্ষা এবং প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করবে, যখন বেসামরিক বাহিনী দুর্যোগ মোকাবিলা, জননিরাপত্তা, বা বিশেষ অভিযান করতে পারে।
২. নিয়োগ প্রক্রিয়া
প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে দক্ষ এবং যোগ্য ব্যক্তিদের নির্বাচন করে প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নিয়োগ দিতে হবে।

যোগ্যতা নির্ধারণ: বাহিনীর প্রয়োজন অনুযায়ী শারীরিক, মানসিক এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করতে হবে।
নিয়োগ প্রক্রিয়া: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, আবেদনপত্র সংগ্রহ, শারীরিক এবং মানসিক পরীক্ষা, এবং ইন্টারভিউর মাধ্যমে সদস্য নির্বাচন।
৩. প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম
নিয়োগপ্রাপ্ত প্রাপ্তবয়স্কদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রশিক্ষণ নিচের ধাপগুলোতে বিভক্ত হতে পারে:

মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ: শৃঙ্খলা, কৌশল, অস্ত্রের ব্যবহার, এবং পরিস্থিতি নিরীক্ষণ ও মোকাবিলা করার শিক্ষা।
শারীরিক ফিটনেস: প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের শারীরিকভাবে সক্ষম করতে নিয়মিত শারীরিক প্রশিক্ষণ, যেমন দৌড়, জিম এবং মার্শাল আর্ট।
নেতৃত্ব ও দলীয় কাজ: কীভাবে কার্যকরভাবে দল পরিচালনা করতে হবে এবং নেতৃত্ব দিতে হবে তা শেখানো।
বিশেষ প্রশিক্ষণ: বাহিনীর ধরন অনুযায়ী বিশেষ প্রশিক্ষণ যেমন স্নাইপার প্রশিক্ষণ, ট্যাকটিকাল অপারেশন, অথবা উদ্ধার অভিযান শেখানো।
৪. অস্ত্র ও সরঞ্জাম ব্যবস্থাপনা
প্রতিরক্ষা বাহিনীর কার্যকরীতা বৃদ্ধির জন্য যথাযথ অস্ত্র ও সরঞ্জাম দরকার।

অস্ত্র প্রশিক্ষণ: যারা সামরিক বা আধা-সামরিক বাহিনীতে যোগ দিচ্ছে তাদের জন্য অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক।
অস্ত্র ও সরঞ্জামের ব্যবস্থাপনা: বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় অস্ত্র, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, রেডিও, নেভিগেশন সিস্টেম, এবং যানবাহন সরবরাহ করতে হবে।
৫. সামাজিক ও মানসিক প্রশিক্ষণ
প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের শারীরিকভাবে সক্ষম হওয়ার পাশাপাশি মানসিকভাবে দৃঢ় হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মানসিক প্রশিক্ষণ: চাপের মধ্যে কিভাবে নিজেকে সংযত রাখতে হবে, মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকা, এবং বিপর্যয়পূর্ণ পরিস্থিতিতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা।
নৈতিক দায়িত্ব: বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে সৎ, দায়িত্বশীল এবং সতর্ক নাগরিক হিসেবে মানসিকতা গড়ে তোলা।
৬. কমান্ড এবং নেতৃত্ব গঠন
বাহিনীর কার্যকরী নেতৃত্ব এবং কমান্ড স্ট্রাকচার তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ।

অফিসার নির্বাচন ও প্রশিক্ষণ: অফিসারদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া, যারা পুরো বাহিনীকে পরিচালনা করবে এবং বিভিন্ন অভিযানের নেতৃত্ব দেবে।
হায়ারার্কি গঠন: বাহিনীর বিভিন্ন স্তরের সদস্যদের কাজ ও দায়িত্ব নির্ধারণ করা। প্রতিটি স্তরে সঠিক নির্দেশনা ও সংহতির জন্য নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
৭. নিয়মিত মহড়া ও পর্যালোচনা
বাহিনীর দক্ষতা বজায় রাখতে নিয়মিত মহড়া এবং কৌশলগত প্রশিক্ষণ জরুরি।

মহড়া পরিচালনা: নিয়মিত যুদ্ধ-মহড়া, দুর্যোগ মহড়া, এবং সংকট মোকাবিলা মহড়া চালানো।
প্রতিনিয়ত পর্যালোচনা: বাহিনীর কার্যক্রম ও দক্ষতার পর্যালোচনা করা, নতুন সদস্যদের নিয়ে আসা, এবং পুরনো সদস্যদের দক্ষতা উন্নত করা।
৮. লজিস্টিক ও আর্থিক সহায়তা
বাহিনীর কার্যক্রম চালাতে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও লজিস্টিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।

সরঞ্জাম ও সরবরাহ: সদস্যদের খাবার, পোশাক, আশ্রয়, যানবাহন এবং অন্যান্য লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে হবে।
বাজেট ও ফান্ডিং: বাহিনীর সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য সরকারের তরফ থেকে বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করা বা প্রাইভেট সেক্টরের সাথে কাজ করা।
৯. আইনগত ও নৈতিক বিষয়
প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠনের সময় সরকারী আইন, নিয়ম-কানুন মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সরকারি অনুমোদন: বাহিনী গঠনের জন্য সরকারী অনুমোদন ও সহযোগিতা প্রয়োজন। কোনো প্রকার আইনবিরুদ্ধ কাজ বাহিনীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
নৈতিক নির্দেশনা: বাহিনী যেন নৈতিকতার সাথে কাজ করে, এ জন্য বিশেষ নৈতিক দিকনির্দেশনা তৈরি করা জরুরি।
১০. মোটিভেশন ও মনোবল বৃদ্ধি
প্রতিরক্ষা বাহিনীকে দীর্ঘমেয়াদে কার্যকর রাখতে তাদের মোটিভেট করা গুরুত্বপূর্ণ।

পুরস্কার ও স্বীকৃতি: ভালো কাজের জন্য সদস্যদের পুরস্কৃত করা এবং তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো।
মোটিভেশনাল সেশন: বাহিনীর সদস্যদের মনোবল বাড়াতে নিয়মিত মোটিভেশনাল সেশন আয়োজন করা।
উপসংহার:
প্রাপ্তবয়স্কদের দিয়ে প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠন একটি সুসংগঠিত এবং ধাপে ধাপে পরিচালিত প্রক্রিয়া। এটি সফল করার জন্য উদ্দেশ্য নির্ধারণ, প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম সরবরাহ, নেতৃত্ব ও কমান্ড গঠন, এবং আইনি ও আর্থিক সমর্থন অত্যন্ত জরুরি।
১১. সংগঠন এবং পরিকল্পনা
বাহিনীর কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনা করতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং একটি কার্যকরী সাংগঠনিক কাঠামো অপরিহার্য।

স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং: বাহিনীর লক্ষ্য অর্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে বিভিন্ন অপারেশনাল মাইলস্টোন এবং সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জের উপর ভিত্তি করে সমাধান।
সংগঠনগত কাঠামো: বাহিনীর মধ্যে কমান্ড চেইন স্পষ্ট করতে হবে যাতে প্রত্যেক সদস্য তাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সম্পর্কে অবগত থাকে এবং যে কোনো সময় দ্রুত নির্দেশনা পেতে সক্ষম হয়।
১২. সমন্বয় এবং সহযোগিতা
প্রতিরক্ষা বাহিনীকে অন্য সরকারি, বেসরকারি সংস্থা এবং স্থানীয় কমিউনিটির সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।

সরকারি সংস্থার সাথে সংযোগ: বাহিনী সরকারের প্রতিরক্ষা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংযুক্ত থাকবে যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সমন্বয় করা যায়।
স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করা: স্থানীয় কমিউনিটির সদস্যদের বাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতন করতে হবে এবং প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
১৩. ইন্টেলিজেন্স এবং মনিটরিং
যেকোনো প্রতিরক্ষা বাহিনীর কার্যকরতা অনেকাংশেই ইন্টেলিজেন্স বা গোয়েন্দা তথ্যের উপর নির্ভরশীল।

ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহ: সম্ভাব্য হুমকি এবং বিপদের বিষয়ে আগাম তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এটি সাইবার সিকিউরিটি, নজরদারি বা বিশেষ গোয়েন্দা ইউনিটের মাধ্যমে করা যায়।
মনিটরিং ব্যবস্থা: বাহিনীর সদস্যদের কাজ এবং বাহিনীর বাহিরের পরিস্থিতি মনিটরিং করার জন্য সিসিটিভি, ড্রোন, রাডার সিস্টেম বা অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে।
১৪. বাহিনীর দায়িত্ব ও নিয়মাবলী
প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের জন্য দায়িত্ব এবং নিয়মাবলী সুনির্দিষ্ট করতে হবে। এর মাধ্যমে বাহিনীর শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা যাবে এবং সদস্যদের কর্মদক্ষতা বাড়বে।

নৈতিক নির্দেশনা: বাহিনীর সদস্যদের জন্য সুনির্দিষ্ট নৈতিক দিকনির্দেশনা তৈরি করতে হবে, যাতে তারা আদর্শিকভাবে শৃঙ্খলাপূর্ণ আচরণ করতে পারেন।
আচরণবিধি: বাহিনীর মধ্যে কী ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য এবং কী ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয় তা স্পষ্ট করতে হবে।
১৫. উন্নত প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ পরিবর্ধন
প্রতিরক্ষা বাহিনী গঠনের পরও সময়ে সময়ে প্রশিক্ষণ পরিবর্ধন ও উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।

নতুন কৌশল এবং প্রযুক্তি শিখানো: যুদ্ধের কৌশল বা প্রতিরক্ষার পদ্ধতি নিয়মিত পরিবর্তন হতে পারে, তাই সদস্যদেরকে আপডেটেড কৌশল শেখাতে হবে।
অভিজ্ঞতা বিনিময়: অভিজ্ঞ সদস্যদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাধ্যমে নতুন সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।
১৬. জনসম্পৃক্ততা এবং সচেতনতা তৈরি
বাহিনীর প্রতি জনসমর্থন তৈরি করতে জনসম্পৃক্ততা অত্যন্ত জরুরি।

সচেতনতা প্রোগ্রাম: বাহিনীর কার্যক্রম এবং তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণা চালাতে হবে।
সহযোগিতামূলক কর্মসূচি: কমিউনিটির সঙ্গে একত্রে সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি চালানো, যেমন দুর্যোগ পরবর্তী সাহায্য প্রদান বা কমিউনিটি নিরাপত্তা সেবা প্রদান।
১৭. বাহিনীর পরিবর্ধন এবং ক্রমাগত উন্নয়ন
প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রসারিত এবং উন্নত করতে হবে।

নতুন সদস্য নিয়োগ: বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য নতুন নিয়োগের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন হতে পারে।
কার্যকারিতা উন্নয়ন: বাহিনীর প্রতিটি ইউনিটের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে তাদের উপর ভিত্তি করে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে।
১৮. মর্যাদা ও মনোবল সংরক্ষণ
প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের আত্মসম্মান এবং মর্যাদা রক্ষায় বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।

পুরস্কার এবং স্বীকৃতি প্রদান: সফল অভিযানের পর বাহিনীর সদস্যদের পুরস্কৃত করা এবং জনসমক্ষে স্বীকৃতি দেওয়া।
মোটিভেশনাল কার্যক্রম: নিয়মিত মোটিভেশনাল ওয়ার্কশপ এবং মনোবল বৃদ্ধির ব্যবস্থা করতে হবে।
১৯. বিপর্যয় মোকাবিলা পরিকল্পনা
প্রতিরক্ষা বাহিনীর দক্ষতা বাড়ানোর জন্য একটি কার্যকর বিপর্যয় মোকাবিলা পরিকল্পনা থাকতে হবে।

অ্যাডভান্সড প্ল্যানিং: যে কোনো ধরনের হুমকি বা বিপর্যয়ের জন্য অগ্রিম পরিকল্পনা তৈরি করা।
রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট: বিপর্যয়ের সময় কীভাবে কার্যকরভাবে রিসোর্স ব্যবহার করা যাবে, তা শেখানো।

Collected

10/09/2024

আপনি যখন নিরবচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যাবেন হয়তো বা আপনার ভুল হতে পারে, আপনি শুধরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন এটাইতো স্বাভাবিক বিষয় হওয়ার কথা।কিন্তু যদি আপনি বিষয়টি কে এড়িয়ে যান, অন্যভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন, বা বিষয় টিকে এড়িয়ে গিয়ে ভুল বুঝানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকেন তখন বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ এমনকি কোন কোন ব্যক্তি পর্যায়ে তা ক্ষোভের কারন হিসেবে পরিনত হতে পারে।

এই সহজ, সরল বিষয়টি যারা সরকার পর্যায়ের বা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারী আছেন তাদের মনে রেখে চলা উচিত বলে মনে করি।এখন কথা হলো আমরা নিজেদের শুধরিয়ে নিতে চাচ্ছি কিনা, পারছি কিনা, পারবো কিনা সেটা আমাদের ভেবে দেখা উচিত।নিজেদের কৃত কর্মের ফল হিসেবে কিছু কিছু ঘটনা, কাজ বা কর্ম আমাদের সম্পাদন করা হয়েছিলো, সেই কাজের মাশুল স্বরুপ হয়তো আমাদের অনেকেই আটকিয়ে আছেন।হয়তো পরিবর্তন হতে চাচ্ছেন কিন্ত পরিবেশ পরিস্থিতির কারনে পেরে উঠতে পারছেন না, আপনাদের উচিত নিজেদের কত শত ভালো কাজগুলোর মধ্য দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া আপনি পরিবর্তন চাচ্ছেন, কাজ করছেন, করবেন।

আপনারা হয়তো কোন এক ভয়ের কারনে, বা কোন এক অদৃশ্য বাধার কারনে বরাবরই ভুল পথে হাটছেন বা আপনাদেরকে যথাযথ তথ্য, উপাত্ত, না দিয়ে আপনাদেরকে ভুলভাবে হাটানো হচ্ছে, খেয়াল রাখা উচিত, হিসেব কষা উচিত আপনাদেরকেই। দিন শেষে সব কিছুর দায় এবং দায়িত্ব আপনাদের উপরেই বর্তায়।এ দেশ ও জাতীর মানুষ অধিকাংশই সহজ ও সরল।গ্রাম বাংলার মানুষ এত কুটীলতা জটিলতা লালন করে না, ধারন ও করে না।এক বুক ভরা উদার মায়া, ভালোবাসায় যে বাংলাদেশীরা মানুষকে বুকে আগলিয়ে নিতে পারে সে দেশ ও দেশের মানুষের উদারতার সুযোগ আপনারা নিবেন না, কাউকে নিতে দিবেনও না।

দেশ ও জাতীর ক্রান্তিলগ্নে দেশের আপামর সাধারণ জনগন থেকে শুরু করে,জ্ঞানী, সুশীল, সুশিক্ষিত, কর্মজীবী, পেশাজীবি মানুষ, এমনকি ছাত্র-জনতাসহ সকল শ্রেনীর মানুষকে এক করার দায়িত্ব আপনাদের।রাজনীতিবিদেরা সকল মতাদর্শ কে পাশে রেখে দেশ রক্ষায়, দেশ গঠনে, এক হওয়ার উদ্বাত্ত আহবান নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলতে চাই, এ দেশ ও দেশের মাটি না থাকলে আপনার এবং আপনাদের মতাদর্শ প্রচার এবং প্রসার করবেন কোথায়?
আপনার মত ও পথের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রের বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার যে আশা আপনাদের মধ্যে লালন করেন, যদি সেই দেশ ও দেশের মানুষই না থাকে তবে কি করবেন ভেবে দেখার অনুরোধ রইলো!

এদেশের সামরিক বাহিনীর সকল সদস্যগন আপনারা এ দেশের মানুষের রাহবারের দায়িত্ব পালন করছেন।অপশক্তির আক্রমণ থেকে বাচাতে আপনাদেরকেই মাঠে নেমে আসতে হবে যে শপথ আপনারা আপনাদের কর্মজীবনের শুরুতেই দেশ রক্ষায় করে এসেছেন।পরম দেশ প্রেম এ যে আত্মপ্রেমেরই বহিঃপ্রকাশ সেই কথারই প্রতিফলন ঘটাতে হবে দেশ রক্ষার কাজে।আপনারা আপনাদের দায়িত্ব পালন করুন নিষ্ঠার সাথে, সততার সাথে যাতে সকল অপশক্তি কোন কুটকৌশল মঞ্চায়িত করতে না পারে।

আর ওহে চক্রান্তকারীরা, অনেক হয়েছে এইবার দেশ কে ছেড়ে দাও, এ দেশ বহু বহু বছরের অবর্ননীয় শোষন-নিপীড়নে জর্জরিত।একে একটু ছেড়ে দাও।

অনিন্দ্য সুন্দর এই দেশে,
ওহে ব্যঘ্র,
কত লুকিয়ে রবি শিকারীর ব্যাশে!
ছেড়ে যা তুই, মুক্ত করে দে,
জর্জরিত-নিপীড়িত শত সহস্র-
দেশপ্রেমিকের বুক কাদে।

AFH 11092024 140 11