20/05/2025
একটি বিশ্ববিদ্যালয়, এতগুলো শিক্ষার্থীর সাথে কিভাবে বার বার প্রতারণা করছে?
গত ১২ মে দি মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীরা ১০ দফা দাবিতে ভিসি স্যারসহ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে ৯টি দাবি মেনে নেওয়া হয় এবং ১ নম্বর দাবির সিদ্ধান্ত ১৫ মে জানানো হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। ছাত্ররা লিখিত আশ্বাস চাইলে কর্তৃপক্ষ তা না দিয়ে অফিসে চলে যান। শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
পরে বিকেলে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের “আওয়ামী লীগ ও সন্ত্রাসী” বলে আখ্যায়িত করা হয়, যা মিথ্যা ও মানহানিকর। শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ জানালে ৮ জন প্রতিনিধি প্রশাসনের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসেন। সেখানে লিখিত চুক্তির আশ্বাস দিয়ে তাদের এক ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করানো হয়, কিন্তু শেষে কর্তৃপক্ষ জানায় তারা লিখিত দিতে পারবে না এবং ১৫ মে আবার বৈঠকের আশ্বাস দেয়।
১৫ মে ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায় প্রশাসনিক ভবন এবং ক্যাম্পাস শিকল সহ তালাবদ্ধ। শিক্ষার্থীরা যোগাযোগ করলে এমবিএর দুই সিনিয়র বলেন ভিসি স্যারের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। ভিসি স্যার তখন ১৯ মে হায়ার অথরিটির সঙ্গে বসার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ১৯ মে সেই প্রতিশ্রুতিও পূরণ হয়নি।
পরবর্তীতে ছাত্র প্রতিনিধি ভিসি স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আবারও “খুব শীঘ্রই” আশ্বাস দেন। তখন ছাত্ররা ভিসি স্যার কে প্রশ্ন করেন স্যার শীঘ্রই বলতে কতদিন ৫ দিন ৭ দিন ১০ দিন ১৫ দিন নাকি অনন্তকাল। কিন্তু ভিসি স্যার নির্দিষ্ট সময় না বলে ফোন কেটে দেন। শিক্ষার্থীরা মনে করেন বারবার প্রতারণা ও অমানবিক আচরণের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে। এটার জবাবদিহিতা কর্তৃপক্ষকে করতেই হবে।