20/10/2025
গ্রাজুয়েশন কম্প্লিট করার পর বুঝতে পারবেন, বাংলাদেশে পড়াশোনা করে আপনি মূলত স্ক্যামিংয়ের স্বীকার হয়েছেন। প্রত্যেকটা ভার্সিটি বিজনেস খুলে বসছে। ৪ বছরের একটা কোর্স শেষ করতে কতটাকা লাগে জানেন? ৮ লাখ? ১০? ১২? কখনও তারচেয়েও বেশি।
এই ইনভেস্টমেন্টের পরে 3.50/4 সিজি নিয়ে একজন CSE/EEE স্টুডেন্ট যদি বলে আমি শুধু বেসিক জানি। কোনো বিষয়েই এক্সপার্ট না। তাদেরকে যদি সেলস/মার্কেটিংয়ে জব করতে হয়; তাহলে হোয়াই CSE/EEE/Microbiology?
বাংলাদেশে BSc করা স্টুডেন্টদের জব ফিল্ড কোথায়? কয়টা রিসার্চ সেন্টার আছে? ভার্সিটিগুলো তাদেরকে কিভাবে গড়ে তুলছে? এত টাকার বিনিময়ে কি অপার্চুনিটি দিচ্ছে?
এর থেকে তো তাবিজ বিক্রেতারাই ভালো। যারা কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে একজন আন্ডারগ্রাজুয়েট স্টুডেন্টকে কোডিং, বেকএন্ড, ফ্রন্টএন্ড, সফটওয়ার/ওয়েবসাইট ডেভলপমেন্ট, মেশিন লার্নিং, ভিডিও ইডিটিং সহ নানা সেক্টরে এক্সপার্ট বানায়ে দিচ্ছে। দশ লাখ টাকা খরচা করে বেসিক শেখার দরকার পড়ছে না।
আপনার যদি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্যাশন কাজ না করে, আপনি যদি এক্সপার্ট হইতে না পারেন তাহলে বাংলাদেশে BSc করে আসলে কোনো লাভ নাই। যদি উন্নত দেশে গিয়ে রিসার্চ করতে পারেন। দ্যান ইউ ক্যান ডু ইট, আদারওয়াস সবার টার্গেট যদি বিচিএস থাকে, তাহলে বাংলা বা ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে অনার্স করেন এইটা বরং ঢের ভালো।