Hello with IR

Hello with IR আমার দুঃখ আমারই থাক,
দুঃখ জানলে আমাকে জেনে যাবে!
(1)

30/07/2025
30/07/2025

আপনাকে একটা কথা বলি। আমার মনে হয়না, এইটা কেউ আপনাকে আগে কেউ বলেছে।

Pleasure ভুলে গেলে আপনি জান্নাতকে ভুলে যাবেন।

কিভাবে?

দেখেন, জান্নাত হলো full of pleasure।

এখানে কি নাই? সব ই আছে।

আপনি যখন pleasure কে রেসপেক্ট করবেন, আপনি যখন pleasure এর গুরত্ব বুঝবেন, তখন আপনি জান্নাতের গুরত্ব বুঝবেন, জান্নাতকে আরোও বেশি করে চাইবেন।

গত পোস্টে এই কথার একটা রেশ আছে। পড়ে দেখতে পারেন। আপনি দেশ বিদেশ ঘুরবেন, আল্লাহর দুনিয়াকে দেখবেন, তখন ইচ্ছা করবে এই দুনিয়া দেখার pleasure পার্মানেন্ট হোক। আপনি কনস্ট্যান্টলি নিজেকে রিমাইন্ড করাতে পারবেন যে আমি জান্নাতে গেলে এর থেকে বেশি বেশি সুখ পাবো।

আপনি জান্নাতে যাওয়ার জন্য মোটিভেটেড ফিল করবেন। আর ভালো কাজ করার জন্য মোটিভেটেড ফিল করবেন।

কিন্তু আপনি যখন pleasure কেই ভুলে যাবেন, তখন আস্তে আস্তে আপনি জান্নাতকে ভুলে যাওয়া শুরু করবেন। আস্তে আস্তে আপনি pleasure ভুলে যাওয়া শুরু করবেন। তখন জাস্ট ছেলেপেলে নাতি নুতির জন্য বাংলা সিনেমার মত sacrificial mindset চলে আসবে।

তখন মনে হবে 'ধুর, দুইদিন পর তো মরেই যাবো। পোলা মাইয়ারে সেটেল কইরা দিয়া যাই। এর জন্য যা দুর্নীতি করার করি। যা গোপন করা লাগে করি।'

দেখবেন ইসলামী চেতনাওয়ালা গ্রুপগুলোতেও এসব আছে। দেখলাম জামাতের আমির UN এর পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন।। অথচ ওনার উচিত ছিলো UN কে Condemn করে বক্তব্য দেয়া। উচিত ছিলো তাওহিদের মুল ভিত্তি নিয়ে আলোচনা করা।

উনি সহ বহু বহু আলেম এই দেশের রয়েছে, যারা জান্নাতকে আকাংখা করেনা।

এর কারন একটাই। তারা pleasure কে ভুলে গেছে।

এমনকি বুইড়া হয়ে যাওয়ার কারনে তারা হুরের স্বপ্ন ও আর দেখেনা।

হরমোনাল ব্যালেন্স ই ঠিক নাই, সেক্স ড্রাইভ আসবে কই থেকে? আর সেক্স ড্রাইভ নাই মানে কোনও নারীর টান নাই। নারীর টান নাই মানে হুরের টান নাই। হুরের টান নাই, মানে জান্নাতের টান নাই। আর জান্নাতের টান নাই, মানে দুনিয়াতে আল্লাহকে সর্বচ্চ পর্যায়ের রাজী খুশি করার আকাংখা নাই, যা শুধুমাত্র বিশুদ্ধ তাওহিদের উপর থাকা, আর তা প্রচার করার মাধ্যমেই সম্ভব ছিলো।

আর ওদিকে Testosterone Optimized পুরুষেরা চায় হুরদের। তারা এর জন্য শহীদ হতে চায়। আল্লাহ এমনি এমনি ই তাদেরকে হুরের লোভ দেখান নাই।

তবে শুধু হুর না, জান্নাতের আরোও pleasure আছে। সবগুলোকে প্যাকেজ আকাড়ে ভুলে যাওয়ার একটা প্রধান কারন হলো এই pleasure গুলো নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা নাই। তা আকাংখা ও নাই।

Pleasure কে চান। তাহলে জান্নাতকে চাইতে পারবেন। আর জান্নাত চাইলে ইনসাফ ও প্রতিষ্ঠা করতে ইচ্ছা করবে।

30/07/2025

Remember someone with whom you used to chat daily?
Non-stop, day and night? Used to share every secret?
Ekta second o kotha na bole thaka possible chilo na. But now they're total strangers. Blocklist a thake, Keu keu abar friendlist a, kintu kokhono kotha bola hoyna. They just stay there as a memory.
People come and go. That's the beauty of life. Don't expect someone to stay forever. Nothing is permanent; every single thing has an expiration date. So don't stress it; learn to let things go. Don't change yourself for others' comfort. Be the one you were meant to be. The best is yet to come.🤍

29/07/2025

আমরা ৫ তলায় থাকি। উপরে ছাদ।
প্রতিদিন রাত ২ টার পর উপরে মানুষের হাটাহাটির শব্দ, লাফানোর শব্দ, শিল-পাটার শব্দ, এমনকি হঠাৎ হঠাৎ দৌড়েরও শব্দ আসে।আর শব্দগুলা প্রতিদিন নির্দিষ্ট টাইমেই হয় এবং একই টাইমে থেমে যায়। ১ মিনিট হাটাহাটির শব্দ হলে আবার পরের ২ মিনিট লাফালাফির শব্দ, এরকমভাবে হয়।

আমার ভাই গতরাতে ছাদে গিয়েছিলো দেখার জন্য। সে দরজা খুলেই গিয়েছিলো আর আমরা বাসার সকলে ঘুমিয়েছিলাম। সে ছাদে গিয়ে কিছু পায়নি, কিন্তু বাসায় ঢুকার সময় এসে দেখলো দরজা ভিতর থেকে লাগানো। আমরা কেউই দরজা লাগায়নি।
ফজরের আজানের পর কলিং বেলের শব্দে দরজা খুলি। সে গরম হয়ে বলল ২/৩ ঘন্টা যাবত বেল দিতেছে, দরজা নক করেই যাচ্ছে। কিন্তু আমরা কেউ শুনি নাই।
এখন দেখলাম তার ১০৫° জ্বর।
কারো কি এমন হয়েছে? এখন করণীয় কি?
©

টঙ্গীতে ম্যানহোলের ড্রেন থেকে উদ্ধার করা মহিলাটার লাশ দাফন করা হয়েছে ১ ঘন্টা আগে। এতবেশী সময় ধরে পানিতে থাকায় লাশটা পচে ...
29/07/2025

টঙ্গীতে ম্যানহোলের ড্রেন থেকে উদ্ধার করা মহিলাটার লাশ দাফন করা হয়েছে ১ ঘন্টা আগে।

এতবেশী সময় ধরে পানিতে থাকায় লাশটা পচে গিয়েছিল। মহিলার পুরো শরীর ফুলে গিয়েছিল। পেট ফাঁপা হয়ে বিশাল সাইজের আকার ধারণ করেছিল।

ঠোঁট, গাল, কপাল ফুলে ছোপ ছোপ রক্ত জমাট বেঁধে ছিল। যে ব্যাগে ভরে লাশ আনা হয়েছিল সে ব্যাগ থেকেও চুপসে চুপসে রক্ত পড়ছিল।

লাশের নাক ছিল না, মাছ কিংবা পোকামাকড় হয়তো খেয়ে ফেলেছিল। লাশ থেকে উদ্ভট গন্ধ হচ্ছিল তাই গোসল করানোর সময় আতরের সাথে স্প্রেও করা হচ্ছিল যাতে গন্ধ কম হয়।

লাশটারই এ অবস্থা না জানি মহিলাটা কতটা কষ্ট পেয়ে মারা গিয়েছিল!

লাশের এ বীভৎস অবস্থা দেখে অনেকেই সামনে থেকে লাশটা দেখার সাহস পায়নি। এমনকি তার জমজ বাচ্চা দুটোকেও লাশের কাছে যেতে দেয়া হয়নি ওরা ভয় পাবে বলে।

বাচ্চাগুলো মায়ের লাশের কাছে যেতে না পেরে মা মা বলে সারাক্ষণ কাঁদছিল শুধু।

বাচ্চাগুলোর ব্যাপারে এখন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে ওরা কার কাছে থাকবে।

মহিলাটার ডিভোর্স হয়েছিল অনেকদিন আগেই। এতদিন বাচ্চাদেরকে নিয়ে আলাদা বাসায় থাকতেন তিনি।

হাসবেন্ড না থাকায় নিজেই কোম্পানিতে ছোটখাটো একটা জব নিয়েছিলেন। প্রচন্ড কষ্ট করে বড় করছিলেন বাচ্চাগুলোকে।

বাচ্চা দুটো সাধারণত এত রাত জাগে না। তারা ৮ টা বা ৯ টার দিকে মায়ের হাতে খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়তো। মা'ই আদর করে খাইয়ে দিতো, ঘুম পাড়িয়ে দিতো।

কিন্তু আজকে মা' নেই, আদর করে ঘুম পাড়িয়ে দেয়ারও কেউ নেই।

বাসার এক রুমে এখন পরিবারের লোকজন ব্যস্ত আছে মহিলার সম্পত্তি কে নিবে, ব্যবহৃত স্বর্ণগুলো কে নিবে সেসব নিয়ে। আর অন্য পাশে বসে বাচ্চা দুটো হাউমাউ করে কাঁদতেছে শুধু।

ওদের চোখে ঘুম নেই, যেন একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ওরা।

পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারলাম- সিটি কর্পোরেশন বা সরকারের দায়িত্বরত কেউ এখনো যোগাযোগ করেনি।

সিটি কর্পোরেশন গাফিলতির কারণে যেহেতু ম্যানহোলে পড়েছে তাই তাদের উচিত ছিল ক্ষমা চাওয়া এবং এই অনাথ বাচ্চা দুটোর পাশে দাঁড়ানো।

কিন্তু তারা তেমন কিছুই করেনি, লাশ ফেরত দিয়ে দায়মুক্ত হয়ে আরামসে ঘুমাচ্ছে। তাদের আর সমস্যা কি? তাদের কাছের কেউ তো আর মারা যায়নি!

ঢাকা শহরের কোন এক আলিসান বাসায় সিটি কর্পোরেশনের লোকেরা এখন আরাম করে ঘুমাচ্ছে আর অন্যদিকে রুমের এককোনায় বসে বাচ্চা দুটো মায়ের অভাবে হাউমাউ করে কাঁদতেছে!

( সিটি কর্পোরেশনের অবহেলার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণের মামলা করার আলোচনা করতেছি। এখন বাচ্চা দুটোর জন্যে আইনি সহায়তা প্রয়োজন তাই শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন সর্বত্র)

~ Ibrahim Khalil Shawon

-No Wife issue!✅-No drugs Issue!✅-No Political Issue!✅-No unnecessary aggression!✅-Zero controversy in 10year's long car...
29/07/2025

-No Wife issue!✅
-No drugs Issue!✅
-No Political Issue!✅
-No unnecessary aggression!✅
-Zero controversy in 10year's long career!✅

Mustafizur Rahman One of the most Humble player in Cricket World!🇧🇩

29/07/2025

যাদের নামায পরতে ইচ্ছা করে না তারা সবসময় এই দোয়াটা পরবেন "আল্লাহুম্মা আ ইন্নি আলা জিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা ! "নামাযে মনোযোগী হতে সাহায্য করে !

ফার্মগেটের এই জায়গাটায় এর আগেও আরও অনেক বার এমন একসিডেন্ট হয়েছে! আজকে এইমাত্র আবার ঘটল.....
29/07/2025

ফার্মগেটের এই জায়গাটায় এর আগেও আরও অনেক বার এমন একসিডেন্ট হয়েছে! আজকে এইমাত্র আবার ঘটল.....

আজকে টঙ্গীতে অফিস থেকে ফেরার সময় একজন মহিলা ম্যানহোলের ড্রেনে পড়ে গিয়েছে। অনেকদিন যাবতই ম্যানহোলের ওই ঢাকনাটা খোলা ছিল, ...
28/07/2025

আজকে টঙ্গীতে অফিস থেকে ফেরার সময় একজন মহিলা ম্যানহোলের ড্রেনে পড়ে গিয়েছে। অনেকদিন যাবতই ম্যানহোলের ওই ঢাকনাটা খোলা ছিল, সিটি কর্পোরেশনের লোকেরা গাফিলতি করে ঠিক করেনি।

আজকে হাঁটু সমান বৃষ্টির পানিতে ঢাকনা আছে কি নাই সেটা দেখার কোন উপায় ছিল না। মহিলাটাও প্রতিদিনকার মতই অফিস থেকে বাসায় ফিরছিল,

কিন্তু ঢাকনা না থাকায় মুহুর্তেই যেন নিচে তলিয়ে গেল ম্যানহোলে। একজন লোক দৌড়ে এসে উনাকে ধরতে চেয়েছিল কিন্তু বাঁচাতে পারেনি।

এরপর ফায়ার সার্ভিস এসেছে, সিটি কর্পোরেশনের লোকজন এসেছে কিন্তু মহিলার লাশটা পর্যন্ত খুঁজে পায়নি।

স্থানীয় লোকজন বলছে- ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা একটু খোঁজাখুজির পর না পেয়ে বসে বসে তামাশা দেখছিল।

ফায়ার সার্ভিস দোষারোপ করছিল সিটি কর্পোরেশনকে আর সিটি কর্পোরেশন দোষারোপ করছিল ফায়ার সার্ভিসকে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছিল না।

এরপর ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা বসে বসে অপেক্ষা করছিল কখন ৫ টা বাজে। কারণ ৫ টায় ওদের ডিউটি শেষ হয়, সেই অযুহাত দিয়ে পরে তারা চলে গিয়েছে।

কিন্তু মহিলার লাশটা আর উদ্ধার হলো না। অলরেডি ২৪ ঘন্টা হয়ে গিয়েছে। মহিলাটার ২ টা জমজ বাচ্চা আছে। ওদের নানা নানুও কেউ নেই, একদম একা।

বাচ্চাগুলো বিকেলের দিকে মায়ের জন্যে অপেক্ষা করছিল, কিন্তু যখন পাড়াপ্রতিবেশীরা জানিয়েছে তাদের মা ড্রেনে পড়ে মারা গিয়েছে তখন থেকে তারা মায়ের লাশের জন্যে অপেক্ষা করছে।

কিন্তু সেই লাশও এখনো বাড়িতে এলো না।

এদেশের বিমানে সমস্যা, রাস্তায় সমস্যা, আরও কতকিছুতে সমস্যা।

একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে। সেই পানিতে কারেন্টের ক্যাবল পড়ে শক খেয়ে মানুষ মরে, ড্রেনে পড়ে মানুষ মরে কিন্তু ঠিকঠাক আর হয়না।

ফায়রা সার্ভিসের লোকেরা যাওয়ার সময় গড়িমসি করে বলে গিয়েছে - আজকে তো লাশ পাইনি, কাল দেখি সময় হলে একবার আসব।

এমন একটা ভাব যেন বাচ্চাদের সাধারণ কোন খেলনা হারিয়ে গেছে, মন চাইলে খুঁজে দিবে, নয়তো না।

অথচ আজকে উপদেষ্টাদের কোন আত্মীয় ড্রেনে পড়ে গেলে এর পরদিনই রাস্তা সংস্কার করা হতো, ফায়ার সার্ভিসের পুরো টিম দিয়ে সারারাত লাশ খোঁজা হতো।

কিন্তু এই মহিলার বেলায় হচ্ছে না, কারণ তিনি তো আর উপদেষ্টা নন, নিতান্তই সাধারণ একজন।

একটু আগে এই মহিলার বোনের মেয়ে আমাকে নক করে করুণভাবে বলছিল- একটু দেখেন না ভাইয়া কিছু করা যায় কি-না, আমরা শুধু লাশটা চাই আর কিচ্ছু না।

বেশি দেরি হলে পানির স্রোতে লাশটা দূরে কোথাও চলে যাবে, আর হয়তো পাওয়া যাবে না।

মহিলার মাত্র ৮ বছরের দুইটা জমজ বাচ্চা এত রাতেও জেগে আছে। মা মা বলে বারবার হাউমাউ করে কাঁদতেছে । অথচ আজকে মা বাসায় ফিরলে এতক্ষণে খেয়ে ঘুমানোর কথা ছিল ওদের।

কিন্তু দু চোখে ঘুম নেই বাচ্চাগুলোর। জীবিত মা'য়ের আশা করছে না, ওরা কেঁদে কেঁদে মায়ের লাশটা চাচ্ছে শুধু।

বৃষ্টির দিনে আমরা হয়তো আরাম করে ঘুমোচ্ছি কিংবা মুভি দেখছি কিন্তু এই বাচ্চা দুটো অপেক্ষা করছে মায়ের লাশের জন্যে!

তাই একটু আওয়াজ তুলুন, শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন। মাসুম বাচ্চাগুলোকে তার মায়ের লাশটা পেতে অন্তত সাহায্য করুন।

সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস আর দায়িত্বরত উপদেষ্টারা আপনারা এবার একটু ঘুম থেকে উঠুন, চোখটা খুলে একটাবার দেখুন ছবির এই জমজ বাচ্চা দুটো মায়ের লাশের জন্যে কতটা হাউমাউ করে কাঁদতেছে

27/07/2025

মকবুল মিয়া ভাতের প্লেট নিয়ে অপেক্ষায় আছেন কখন তরকারি আসবে। পাশেই তার ছেলের লাশ। লাশে পঁচন ধরেছে। মাছি এসে ভন ভন করছে লাশের উপর! মকবুল মিয়া একবার হুস করে মাছি সরিয়ে আবার মনোযোগ দিলেন ভাতের প্লেটে।

মকবুল মিয়ার স্ত্রী চুলার থেকে তরকারি নিয়ে এসে স্বামীর প্লেটে দিতে দিতে বললেন, দাফনের জায়গা পান নাই?

মকবুল মিয়া বললেন, না! আগের কত লাশই ঠিক মতন মিশে নাই মাটির সাথে! এখন উপায় শুধু মাটি খুইঁড়া পুরান লাশের সাথে চাপা দেওয়ার। আবুল ভাইয়ের মেয়ের লাশ নিয়াও অপেক্ষায় আছে। কবরের জায়গা নাই!

মকবুল মিয়ার স্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন, কিভাবে মরলো? কোনজন?

মকবুল মিয়া বললেন, মেঝোজন। রেইপ করছে। পরে মাইরা ফেলছে। বড়ো মেয়েটারওতো একই কেস ছিলো।

মকবুল মিয়ার স্ত্রী বললেন, ওহ! তো দেখেন ভাত খায়া। হাসানের লাশেতো পঁচন ধরছে!

মকবুল মিয়া ভাত খেতে খেতে বললেন, দেখি কি করা যায়।

মকবুল মিয়া এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে ছেলেকে মাটি দেওয়ার জায়গা খুঁজছে। ছেলে গতকাল সন্ধ্যা বের হয়েছিলো কোচিংয়ে যেতে। ছিনতাইকারী ধরে সব নিতে গেলে বাধা দিলো ছেলেটা, ওমনেই বুক বরাবর দাঁয়ের কোঁপ বসিয়ে দেয় ছিনতাইকারীদের একজন।

এলাকার আবুল সাহেবও মেয়ের লাশ নিয়ে যোগ দিলেন মকবুল মিয়ার সাথে। মকবুল মিয়া বললেন, টিভিতে বারবার খবর হয় ছিনতাইকারী ধরলে যা আছে দিয়ে দিতে। তবুও ছেলেটা কথা শুনলো না! আবুল সাহেবও বললেন, তাইতো! কত করে মেয়েগুলাকে শিখাইছি, মাগো, রেইপ করতে আইলে চুপ থাকবি! বাধা দিবি না! এখন ভালো হইলো? ওরা মরে যন্ত্রণা আমাগো! এখন জায়গায় জায়গায় ঘুরো লাশ দাফন করতে! মাটিতে কোঁপ দিলে কারো না কারো লাশে লাগে! একসাথে মাটি চাপা দেওয়া ছাড়া উপায় নাই মকবুল ভাই! লাশের জায়গা না মিললে কি করার আছে? চলেন একসাথে কবর দিয়া দেই!

মকবুল মিয়া, আবুল সাহেব তাদের সন্তানদের কবর দিয়ে বাড়ি ফেরেন। গোসল করে ঘুম দেন! রাতে মাইকের শব্দে মকবুল মিয়ার ঘুম ভাঙ্গে, এলাকার ইউসুফ মিয়া মারা গেছেন! কবরের জায়গা খোঁজা হচ্ছে দাফন করতে! কারো খোঁজে জায়গা থাকলে জানাতে!

মকবুল মিয়ার স্ত্রী এসে বললেন, ওই পোলাপান চাঁদা চাইতে গেছিলো নাকি। দেয় নাই। এখন কবর দিবো কই কে জানে!

মকবুল মিয়া ওহ বলে আবার পাশ ফিরে ঘুমানোর চেষ্টা করেন। পাশেই মকবুল মিয়ার স্ত্রী বললেন, সরকার থেকে কিছু করা উচিত। লাশ দাফন করার জায়গা নিয়ে এত কষ্ট করা লাগে! এত এত লাশ, জায়গা পাইবোই কই?

মকবুল মিয়া বললেন, সরকার কি করবো? সরকারতো রোজ টিভিতে বলেই দেয়, কাউকে কোনোকিছু করতে বাধা দিতে না! বাধা দিয়া মরলে সরকারের দোষ? সরকারের আর কোনো কাজ নাই? কত বড়ো বড়ো প্রজেক্ট নিয়া সরকার ব্যস্ত। তবে ধৈর্য ধরো, শুনছি সরকার বিদেশ থেকে যন্ত্র আনবে। মাটি খোঁড়ার যন্ত্র! বিশাল গর্ত হবে! এক গর্তে শখানেক লাশতো জায়গা হবেই! লাশ নিয়া আর চিন্তা নাই। ঘুমাও। নিশ্চিন্তে ঘুম দাও। সরকার আছে!

মকবুল মিয়া ও তাদের এলাকাবাসী লাশের চিন্তা বাদ দিয়ে নিশ্চিন্ত মনে ঘুম দিলেও ওইদিকে অষ্ট্রেলিয়ার সরকার প্রধান ও মন্ত্রীসভার কারো চোখে ঘুম নাই! তাদের দেশের রাস্তায় ছোটো এক গর্তে পড়ে এক কুকুরের পা ভেঙ্গেছে! প্রধানমন্ত্রী জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী রাস্তায় গর্ত হওয়ায় পদত্যাগ করেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোজ কুকুরের চিকিৎসার খোঁজ নিচ্ছেন! জনগণ কুকুরের পা ভাঙার জবাব চাচ্ছে!

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hello with IR posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share