দাঁড়িকমা প্রকাশনী

দাঁড়িকমা প্রকাশনী Knowledge Sharing

Helpline: 01858 379429
If you're writer: 01840 675427
Manuscript : [email protected]
Collection Books : [email protected]

Darikoma is a Bangladeshi publication dedicated to spreading knowledge through the written word. It aims to transform the nation's reading culture, shifting from a focus on money to personal growth. Darikoma curates exceptional books, empowering individuals for personal and professional development. The company envisions a peaceful, enlightened society where minds are peaceful, hearts are enlightened, and hands are skilled.

 #লেখকের_প্রথম_বই  িজনতামান্না ঊর্মি এর আত্মজীবনী গ্রন্থ 'My Dear Golden Hour'। প্রচ্ছদের কাজ সম্পন্ন। শীঘ্রই বইটি দাঁড়ি...
22/09/2025

#লেখকের_প্রথম_বই িজন
তামান্না ঊর্মি এর আত্মজীবনী গ্রন্থ 'My Dear Golden Hour'। প্রচ্ছদের কাজ সম্পন্ন। শীঘ্রই বইটি দাঁড়িকমা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হচ্ছে।

🔊 বইমেলায় দাঁড়িকমা প্রকাশনী থেকে বই প্রকাশের জন্য পাণ্ডুলিপি মেইল করুন: [email protected]

 #লেখকের_প্রথম_বই  িজনআব্দুল্লাহ-আল-জাবির এর গবেষণা শেখা বিষয়ক বই 'গবেষণা ১০১: সহজ ভাষায় গবেষণা'। প্রচ্ছদের কাজ সম্পন্ন।...
22/09/2025

#লেখকের_প্রথম_বই িজন
আব্দুল্লাহ-আল-জাবির এর গবেষণা শেখা বিষয়ক বই 'গবেষণা ১০১: সহজ ভাষায় গবেষণা'। প্রচ্ছদের কাজ সম্পন্ন। শীঘ্রই বইটি দাঁড়িকমা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হচ্ছে।

🔊 বইমেলায় দাঁড়িকমা প্রকাশনী থেকে বই প্রকাশের জন্য পাণ্ডুলিপি মেইল করুন: [email protected]

'শীলা বুঝে গেছে, পৃথিবীতে খারাপ বাবাও আছে। যেমন, তার বাবা।'নাম শীলা। শুরুতে ছিল শীলা আহমেদ। স্বামী এসে স্ত্রীর নামের শেষ...
22/09/2025

'শীলা বুঝে গেছে, পৃথিবীতে খারাপ বাবাও আছে। যেমন, তার বাবা।'

নাম শীলা। শুরুতে ছিল শীলা আহমেদ। স্বামী এসে স্ত্রীর নামের শেষে ঘাপটি মেরে বসে থাকা বাবাকে ধাক্কা দিয়ে দূরে ফেলে দেয়। এখন শীলার নামের অবস্থা কী জানি না। এই মেয়েটিও বড় বোনের মতো মেধাবী। ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে অনার্স ও এমএতে ইকোনমিকসে প্রথম শ্রেণী পেয়েছে।

এখন তার গল্প। তখন শীলার বয়স ১২ কিংবা ১৩।

সবাইকে নিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসে গিয়েছি। হোটেলে ওঠার সামর্থ্য নেই। বন্ধু ফজলুল আলমের বাসায় উঠেছি (ফজলুল আলম হচ্ছে আগুনের পরশমণির শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বদিউল আলমের ছোট ভাই।)

আমি ক্যাম্পিং পছন্দ করি, ফজলু জানে। সে বনে ক্যাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করল। আমরা জঙ্গলে এক রাত কাটাতে গেলাম। প্রচণ্ড শীত পড়েছে। তাঁবুর ভেতর জড়সড় হয়ে শুয়ে আছি। একসময় ঘুমিয়ে পড়লাম। গভীর রাতে ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দে ঘুম ভাঙল। দেখি, শীলা বসে আছে। ফুঁপিয়ে কাঁদছে। আমি বললাম, মা, কী হয়েছে? আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।
আমি বুঝলাম, এই মেয়ে কঠিন ক্লস্ট্রোফোবিয়া। আসলেই সে নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে না। আমি বললাম, পরম কাপড় পরো। তাঁবুর বাইরে বসে থাকব।
সে বলল, একা একা থাকতে পারব না। ভয় লাগে। কিছুক্ষণ একা থাকতে গিয়েছিলাম।
আমি বললাম, আমি সারা রাত তোমার পাশে থাকব।
তাই করলাম। মেয়ে একপর্যায়ে আমার কাঁধে মাথা রেখে নিশ্চিন্ত মনে ঘুমাল। সকাল হলো। মেয়ের ঘুম ভাঙল। সে বলল, বাবা, তুমি একজন ভালো মানুষ।
আমি বললাম, মা। পৃথিবীতে অসংখ্য খারাপ মানুষ আছে, একজনও খারাপ বাবা নেই।

এখন মনে হয় শীলা বুঝে গেছে- পৃথিবীতে খারাপ বাবাও আছে। যেমন, তার বাবা।

বই: নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ
লেখক: হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

#হুমায়ূনআহমেদ #মিসিরআলী #হিমু #বাংলাসাহিত্য

'মা, এক শিশি গায়ের গন্ধ দিয়ে দাও'তৃতীয় কন্যার নাম বিপাশা। অন্য সব ভাইবোনের মতোই মেধাবী (বাবার জিন কি পেয়েছে? হা হা হা। আ...
22/09/2025

'মা, এক শিশি গায়ের গন্ধ দিয়ে দাও'

তৃতীয় কন্যার নাম বিপাশা। অন্য সব ভাইবোনের মতোই মেধাবী (বাবার জিন কি পেয়েছে? হা হা হা। আমাকে পছন্দ না হলেও আমার জিন কিন্তু মেয়েকে আজীবন বহন করতে হবে।)

এই মেয়ে ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে ইকোনমিকসে অনার্স এবং এমএতে প্রথম শ্রেণী পেয়ে আমেরিকায় কী যেন পড়ছে। আমি জানি না।

আমার ধারণা, এই মেয়েটি অসম্ভব রূপবর্তী বলেই খানিকটা বোকা। তার বালিকা বয়সে আমি যখন বাইরে কোথাও যেতাম, সে আমার সঙ্গে একটি হোমিওপ্যাথিক ওষুধের শিশি দিয়ে দিত। এই শিশিতে নাকি তার গায়ের গন্ধ সে ঘষে ঘষে ঢুকিয়েছে। তার গায়ের গন্ধ ছাড়া আমি ঘুমুতে পারি না বলেই এই ব্যবস্থা।

যেদিন আমি আমেরিকা রওনা হব, সেদিনই সে আমেরিকা থেকে তিন মাসের জন্য দেশে এসেছে। আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। একবার ভাবলাম, বলি-মা, অনেক দিনের জন্য বাইরে যাচ্ছি। ফিরব কি না, তা-ও জানি না। এক শিশি গায়ের গন্ধ দিয়ে দাও। বলা হলো না।

আমার তিন কন্যাই দূরদ্বীপবাসিনী। ওরা এখন আমাকে চেনে না, হয়তো আমিও তাদের চিনি না। কী আর করা? কে সারা সারা।

পাদটীকা:
ফ্রম এভরি ডেপ্ অব গুড অ্যান্ড ইল দ্য মিস্ট্রি হুইচ বাইন্ডস মি স্টিল। ফ্রম দ্য টরেন্ট অর দ্য ফাউন্টেন, ফ্রম দ্য রেড ক্লিফ অব দ্য মাউন্টেন মাই হার্ট টু জয় অ্যাট দ্য সেইম টোন অ্যান্ড অল আই লাড্ডু, আই লাড্ডু অ্যালোন। (এডগার অ্যালান পো)

বই: নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ
লেখক: হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

#হুমায়ূনআহমেদ #মিসিরআলী #হিমু #বাংলাসাহিত্য

লেখার দক্ষতা উন্নত করার ৫ টিপস!লেখালেখি একটি দক্ষতা। এই সৃজনশীল কাজটি সবার মাঝে নেই। লেখালেখিতে দক্ষতা অর্জন করতে চাইলে ...
21/09/2025

লেখার দক্ষতা উন্নত করার ৫ টিপস!

লেখালেখি একটি দক্ষতা। এই সৃজনশীল কাজটি সবার মাঝে নেই। লেখালেখিতে দক্ষতা অর্জন করতে চাইলে মনোযোগের স্তর এবং লেখার শৈলী উন্নত করতে হবে। নিজের মাঝে কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে আপনার লেখার কার্যকারিতা বাড়বে। আপনি একজন ভাল লেখক হতে পারবেন।

১) প্রচুর পড়ুন:
লেখার দক্ষতা উন্নত করার অন্যতম কার্যকর উপায় হচ্ছে ‘পড়া’। বিভিন্ন লেখকদের লেখা পড়ুন। তাদের কৌশলগুলো জানার চেষ্টা করুন। তাদের বাক্য কাঠামো এবং তারা কীভাবে ধারণাগুলো প্রকাশ করে সেদিকে মনোযোগ দিন। যত বেশি পড়বেন আপনার লেখার শৈলী তত উন্নত হবে। আপনার শব্দভাণ্ডার প্রসারিত করবে।

২) নিয়মিত লিখুন:
নিয়মিত লেখালেখি করুন। এটি আপনার দক্ষতা উন্নত করার মূল চাবিকাঠি। লেখার জন্য কিছুটা সময় বেছে নিন। আপনি জার্নাল, ব্লগ না সৃজনশীল কিছু লিখতে পারেন। নিয়মিত অনুশীলন করলে আপনার লেখার ধরণ উন্নত হবে। আপনি আপনার ধারণাগুলো বিকাশ করতে পারবেন।

৩) প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করুন:
অন্যদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করুন। এটি লেখায় মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি সরবরাহ করতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির গ্রুপগুলোতে যোগ দিন। এখানে বিশ্বস্ত বন্ধু, সহকর্মী বা পরামর্শদাতাদের সন্ধান করুন। এরা আপনার কাজ পর্যালোচনা করতে পারবে। গঠনমূলক সমালোচনা দিতে পারে। তাদের পরামর্শগুলো গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করুন।

৪) সম্পাদনা ও সংশোধন:
লেখা একটি প্রক্রিয়া। তাই প্রথমবার লিখলে তা ভাল নাও হতে পারে। এ জন্য বার বার লিখুন। এটি আপনাকে সম্পাদনা এবং সংশোধন করতে সাহায্য করবে। স্পষ্টতা, সামঞ্জস্য, ব্যাকরণ এবং শৈলীর জন্য নিজের কাজ পর্যালোচনা করুন। আগের লেখাটির সাথে, সর্বশেষ লেখাটি তুলনা করুন। তাহলে নিজেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।

৫) বিভিন্ন স্টাইলে লিখুন:
আপনি যেভাবে লিখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সেটি থেকে বেড়িয়ে আসুন। লেখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন শৈলী এবং ধরণগুলো জানার চেষ্টা করুন। কবিতা, ছোট গল্প বা প্রবন্ধ লিখে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করুন। বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি বা শৈলীতে লেখার চেষ্টা করুন। নিজেকে প্রকাশ করার নতুন উপায় আবিষ্কার করবেন।

সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া

🔊 দাঁড়িকমা প্রকাশনী থেকে বই প্রকাশের জন্য পাণ্ডুলিপি মেইল করুন: [email protected]

#লেখালেখি

রকিব হাসান জানালেন লেখক হওয়ার উপায়!পত্রিকা থেকে আমাকে অনুরোধ জানানো হলো, কীভাবে লেখক হওয়া যায় তার ওপর অন্তত ১০টি টিপস লি...
21/09/2025

রকিব হাসান জানালেন লেখক হওয়ার উপায়!

পত্রিকা থেকে আমাকে অনুরোধ জানানো হলো, কীভাবে লেখক হওয়া যায় তার ওপর অন্তত ১০টি টিপস লিখে দিন। অনেক মাথা খাটালাম, অনেক চেষ্টা করলাম, কিন্তু কিছুই বেরোল না মাথা থেকে। বুঝতে পারলাম, চেষ্টা করে করে লেখা হয়তো যায়, তবে সেটা কতটুকু মানসম্পন্ন হবে, সেটা অন্য প্রশ্ন। কিছু কিছু ভাগ্যবান মানুষ গল্প বলার গুণটা জন্ম থেকেই পেয়ে যায়। লিখতে যারা পারে, তারা এমনিই পারে, শিখতে হয় না; যারা পারে না, তারা পারে না। টিপস দিয়ে বা অন্য কিছু করে কাউকে লেখা শেখানোর ফর্মুলাটা আমার অন্তত জানা নেই। তবু লিখতে যখন বলা হয়েছে, কী আর করা। ভাবলাম, ১০টি টিপস না লিখে ১০ লাইনে কিছু লিখে দিই।

ছোটবেলা থেকে বই পড়ার নেশা আমার। গল্পের বই। প্রচুর পড়তাম। যা পেতাম তা-ই পড়তাম। তারপর একদিন আমার পছন্দের একজন লেখকের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আস্ত একটা অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস লিখে ফেললাম। বইটা ছাপা হয়নি। কারণ পাণ্ডুলিপিটাই হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল। তাতে আমার আফসোস নেই। কারণ ওই বই কোনো প্রকাশক ছাপতেন বলে এখন অন্তত আমার মনে হয় না। তারপর, ২৭ বছর বয়সে বিদেশি গল্পের ছায়া অবলম্বনে একটা বই লিখে ফেললাম। ভয়ে ভয়ে প্রকাশকের হাতে দিলাম। প্রকাশক পড়ে প্রশংসা করলেন। ভুলভাল ঠিক করে বইটা ছেপে ফেললেন। প্রবল উৎসাহে পরপর আরও তিনটা বইয়ের অনুবাদ করে ফেললাম। সেগুলোও ছাপা হলো। পাঠকমহলে প্রশংসিত হলো। এরপর একের পর এক বই লিখতে লাগলাম। প্রকাশিত হলো। জনপ্রিয়তা পেল।

কেউ আমাকে লেখা শেখায়নি, কেউ আমাকে বলে দেয়নি কীভাবে লিখতে হবে। লেখক হতে হয় নিজের মেধা আর পরিশ্রমের জোরে। এ প্রসঙ্গে একটা টিপস দিতে পারি, লেখক হতে হলে পড়তে হবে। পড়তে হবে। প্রচুর পড়তে হবে। এর আর বিকল্প নেই। পড়তে পড়তে লেখা শিখে ফেলা যায়।

🔊 দাঁড়িকমা প্রকাশনী থেকে বই প্রকাশের জন্য পাণ্ডুলিপি মেইল করুন: [email protected]

#লেখালেখি

কিংবদন্তিদের নিয়ে যেসব চমৎকার তথ্য লিখেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ!এই গ্রহের সবচেয়ে মেধাবী মানুষ আইনস্টাইন। তাঁর মস্তিষ্ক গবেষণা...
21/09/2025

কিংবদন্তিদের নিয়ে যেসব চমৎকার তথ্য লিখেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ!

এই গ্রহের সবচেয়ে মেধাবী মানুষ আইনস্টাইন। তাঁর মস্তিষ্ক গবেষণার জন্যে সংরক্ষিত।

পাঠকরা শুনলে মজা পাবেন যে, লেখকদের একজনের মস্তিষ্কও কিন্তু গবেষণার জন্যে সংরক্ষিত আছে। লেখকের নাম ম্যাক্সিম গোর্কি। এই লেখকের ব্রেইন সংরক্ষিত আছে মস্কোর ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজির একটি জারে। মস্তিষ্কের ওজন ১৪২০ গ্রাম। মস্তিষ্কের 'জিনিয়াস' বিষয়টি পরীক্ষা করে ধরার চেষ্টা করা হলো। কিছু পাওয়া গেল না।

আইনস্টাইনের ব্রেইন পরীক্ষা করেও কিছু পাওয়া যায়নি। একজন সাধারণ আমজনতার ব্রেইনের চেয়ে ম্যাক্সিম গোর্কি বা আইনস্টাইনের ব্রেইন আলাদা কিছু না।

আমরা কি এখন 'থাক বাঁচলাম' বলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি? না, পারি না। আমজনতা থেকে কিছু মানুষ সবসময়ই আলাদা হয়ে যাবে। আলাদা তারা কীভাবে হয়, কেন হয়, এই তথ্য কারোরই জানা নেই। আমি সবসময় আলাদা মানুষ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। যদি কোনো রহস্য পাওয়া যায় কেন তারা আলাদা।
কীভাবে?
যারা সুপার জিনিয়াস পরিচিতি পেয়ে যান তাদের ধারে-কাছে যাওয়া কঠিন ব্যাপার। পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং এমন একজন। আমি এই মহান পদার্থবিদের সঙ্গে কথা বলতে খুবই আগ্রহী শুনে আমার বন্ধু বলল, কোনো সমস্যা নেই। আমি ব্যবস্থা করছি। তোমাকে আমার সঙ্গে লন্ডনে যেতে হবে। লন্ডনে আমার যে রেস্টুরেন্ট আছে সেখানে স্টিফেন হকিং বাংলা ফুড খেতে আসেন। আমাকে চেনেন এবং খুবই পছন্দ করেন।
আমি বললাম, চুপ থাক ব্যাটা।
সে আহত গলায় বলল, আমি ছবি দেখাচ্ছি। বলেই দুনিয়ার ছবি বের করল। স্টিফেন হকিং বাংলা খাবার খাচ্ছেন।
আমার বন্ধুর হাত ধরে আছেন—এইসব।

স্টিফেন হকিংয়ের সঙ্গে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা শেষ, কারণ আমার বন্ধু মারা গেছেন। আমার বন্ধুর নাম মাহবুব মোল্লা।

সব মানুষের মতো আমার কিছু অস্বাভাবিকতা আছে। হঠাৎ হঠাৎ কিছু মানুষের সঙ্গে দেখা করার প্রবল বাসনা তৈরি হয়। এই বাসনা যাদের জন্যে তৈরি হয় তারা সবাই মৃত। যেমন, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রামকৃষ্ণ, সতীনাথ ভাদুরি।

গত কিছুদিন ধরে স্টিভ জবস নামের কিংবদন্তি মানুষটির সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছা করছে। অঢ়ঢ়ষব গুরু, কর্মবীর এবং অতি মেধাবী একজন মানুষ মারা গেছেন ক্যান্সারে। তাঁর অর্থের অভাব ছিল না, আমেরিকায়ও চিকিৎসার অভাব ছিল না।

স্টিভ জবসের জীবনীগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে তিনি তার সন্তানদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, কাজ নিয়ে এত ব্যস্ত ছিলাম, তাদের দিকে ফিরে তাকানো হয়নি।

তিনি বলছেন, এক অর্থে ক্যান্সার আমার জন্যে শুভ হয়ে এসেছে। আমি বুঝতে পেরেছি, আমার সময় শেষ। আমি আমার সর্ব মেধা ব্যয় করেছি হাতের কাজ গুটিয়ে আনতে।

মৃত্যুর আগে আগে স্টিভ জবস লিখলেন, "I like to think that something survives after you die. It is strange to think that you accumulate all this experience and may be a little wisdom, and it just goes away. So I really want to believe that something survives."

আমি আমার ডাক্তার স্টিফেন আর ভিচকে বললাম, তোমরা থাকতে, স্লোয়ান-কেটারিং থাকতে, স্টিভ জবস কেন মারা গেলেন?

ডাক্তার ভিচ বললেন, স্টিভ জবস স্লোয়ান-কেটারিংয়ে চিকিৎসা নেননি। দুর্দান্ত মুডি মানুষ হিসেবে শুরুতেও চিকিৎসা নেননি। অপারেশনে রাজি হননি। যখন রাজি হলেন তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। অনকলজিস্টরা অ্যাগ্রেসিভ ট্রিটমেন্টে গেছেন। তার পুরো লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়েছে। অ্যাগ্রেসিভ ট্রিটমেন্ট সবসময় শুভ ফল আনে না।

ক্যান্সার বিষয়ে আমি এখন অনেক কিছু জানছি। লাং ক্যান্সারকে এখানে ভয়াবহ বলা হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, স্ট্যাটিসটিক্স বলছে, ৬০% লাং ক্যান্সারের রোগী কখনোই সিগারেট খায়নি। তবে বাকি ৪০% ভাগের সবাই ধূমপায়ী।
ক্যান্সারে মৃত ৯৯% রোগী হলো মহিলা, ১% পুরুষ।

মহিলাদের প্রায় সবাই মারা যায় ব্রেস্ট ক্যান্সারে। আমাদের দেশের মেয়েদের এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। অনেককে দেখা যায় 'স্তন' শব্দটি যুক্ত থাকার কারণে লজ্জা বোধ করেন। রোগের কাছে লজ্জার কিছু নেই। রোগ লুকানোতেই লজ্জা।

পাদটীকা:
শারীরিক ক্যান্সারের মতো মানসিক ক্যান্সারও কিন্তু আছে। রাজনীতিবিদরা দ্রুত এই রোগে আক্রান্ত হন। তখন তারা ডিলিউশনের সমুদ্রে ডুবে যান, ভাবতে থাকেন বাংলাদেশটা শুধুই তাদের ভোগের জন্যে। ক্ষমতা চলে গেলে ডিলিউশন কেটে যায়। ক্যান্সার কিন্তু সারে না। ক্যান্সার অপেক্ষা করে পরবর্তী ডিলিউশনের জন্যে।

বই: নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ
লেখক: হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

#হুমায়ূনআহমেদ #মিসিরআলী #হিমু #বাংলাসাহিত্য

লেখালেখি নিয়ে লি চাইল্ডের ৬ পরামর্! ব্রিটিশ লেখক জেমস ডোভার গ্রান্ট লেখালেখি করেন লি চাইল্ড নামে। জ্যাক রিচার তাঁর বিখ্য...
20/09/2025

লেখালেখি নিয়ে লি চাইল্ডের ৬ পরামর্!

ব্রিটিশ লেখক জেমস ডোভার গ্রান্ট লেখালেখি করেন লি চাইল্ড নামে। জ্যাক রিচার তাঁর বিখ্যাত সৃষ্টি। চলচ্চিত্র থেকে শুরু করে ওয়েব সিরিজও তৈরি হয়েছে এই উপন্যাস সিরিজের কাহিনি অবলম্বনে। যাঁরা লেখক হতে চান, তাঁদের জন্য ৬টি পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

১. প্রতিদিনের শব্দসংখ্যার একটা লক্ষ্য ঠিক করুন:
আমি প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ শব্দ লেখার চেষ্টা করি। আমার জন্য এটাই আরামপ্রদ। অনেকের তুলনায় এটা খুব কম। খুব চেষ্টা করলে দুই হাজার শব্দ লিখতে পারি। সময়সীমার (ডেডলাইন) কাছাকাছি পৌঁছে দেখা যায় অনেক সময় নষ্ট করে ফেলেছি। তাই সাধারণত আমি একটু তাড়াহুড়ার মধ্যে থাকি।

২. লেখক হওয়ার একমাত্র যোগ্যতা হলো পাঠক হওয়া:
আপনাকে হাজারো বই পড়তে হবে। তারপর নিজের মতো করে সেই ছন্দটা জাগাতে হবে। কী দিয়ে আপনি পাঠককে আঁকড়ে ধরবেন, কেমন গতিতে এগোবেন, এসবই আপনার নিজস্বতা। আমার ক্ষেত্রে আমি কোনোমতে শুরুটা করি, গল্প ভাবতে থাকি আর শেষে পৌঁছে যাই।

৩. চরিত্রই রাজা:
সবকিছুই নির্ভর করে চরিত্রের ওপর। পটভূমিটাও যদি কাজে লেগে যায়, সেটা বাড়তি পাওয়া। কিন্তু দিন শেষে মানুষ চরিত্রটাই মনে রাখে। আমার কাছে এর একটা ভালো উদাহরণ হলো লোন রেঞ্জার। লোন রেঞ্জারকে মোটামুটি সবাই চেনে। কিন্তু ওর গল্পটা কেউ বলতে পারবে না।

৪. চরিত্রের প্রেমে পড়ে যেয়ো না:
একটা পর্যায়ে গিয়ে লেখকেরা আত্মরক্ষামূলক হয়ে যান। চরিত্রের মধ্যে খারাপ কোনো দিক ঢোকাতে কিংবা একটা মন্দ চরিত্র দাঁড় করাতে কোথায় যেন একটা বাধা অনুভূত হয়। শুরুতে যখন রিচার লেখা শুরু করি, আমি তার সঙ্গে অন্যদের একটু দূরত্ব রাখতে চেষ্টা করেছি। পাঠক রিচারকে যতটা পছন্দ করে, আমি ততটা করি না। ফলে চরিত্রের ওপর ন্যায়বিচার করা হয়। এর মাধ্যমে সে একটা কার্টুন চরিত্রের বদলে একজন সত্যিকার মানুষ হয়ে ওঠে।

৫. শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ:
যদি আপনি বইটা প্রকাশনার জন্য কোথাও জমা দেন, নিশ্চয়ই সেটা কেউ না কেউ পড়বে। অতএব প্রথম বাক্য, প্রথম অনুচ্ছেদ কিংবা প্রথম পৃষ্ঠাতেই তাঁকে আঁকড়ে ধরতে হবে। প্রথম কাজটা করতে পারলে আপনি মোটামুটি নিরাপদ থাকবেন। প্রকাশকেরা এমন একটা বই–ই চান, যেটা কেউ হাতে নেবে, পড়া শুরু করবে, আর আটকে যাবে।

৬. পরামর্শ কানে নেবেন না:
আপনার বই, আপনার পণ্য। অতএব আমার সোজাসাপ্টা কথা হলো, কারও পরামর্শ বা উপদেশ শুনতে যাবেন না। বইয়ের একটা নিজস্ব, প্রাণবন্ত উপস্থাপন থাকবে। কে কী বলল বা বলবে, সেসব মাথায় রাখতে গেলে আপনি সেই মাধুর্য হারাবেন।

সূত্র: বিবিসি

🔊 দাঁড়িকমা প্রকাশনী থেকে বই প্রকাশের জন্য পাণ্ডুলিপি মেইল করুন: [email protected]

#লেখালেখি

নি*ষি*দ্ধ গাছ ও ফল নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ এর স্মৃতি ও মন্তব্য!ধ্রুব এষের সঙ্গে আমার সখ্য দীর্ঘদিনের। তার চুল-দাড়ি, হাঁটার ভঙ...
20/09/2025

নি*ষি*দ্ধ গাছ ও ফল নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ এর স্মৃতি ও মন্তব্য!

ধ্রুব এষের সঙ্গে আমার সখ্য দীর্ঘদিনের। তার চুল-দাড়ি, হাঁটার ভঙ্গি, পোশাক এবং জীবনচর্যা সবই আলাভোলা। তার সম্পর্কে প্রচলিত গল্প হচ্ছে, নিজের বিছানা কারো সঙ্গে 'শেয়ার' করা সম্ভব নয় বলে সে চিরকুমার থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আত্মীয়, বন্ধুদের চাপে শেষটায় শর্ত সাপেক্ষে বিয়েতে রাজি হয়। শর্ত হচ্ছে তার স্ত্রী সারা দিন তার সঙ্গে থাকতে পারবে, কিন্তু সূর্য ডোবার পর পর বেচারিকে তার মায়ের বাড়িতে চলে যেতে হবে। ধ্রুব বিয়ে করেছে। শোনা যায়, তার স্ত্রী শর্ত মেনে নিয়েছে এবং এই দম্পতি সুখেই আছে।

যা-ই হোক, ধ্রুবের কাছ থেকে শোনা একটি লোকগল্প দিয়ে রচনা শুরু করা যাক।

মহাদেব স্বর্গে নন্দিভূঙ্গিদের নিয়ে আছেন। মহাদেবের মনে সুখ নেই, কারণ কোনো নেশা করেই আনন্দ পাচ্ছেন না। তিনি পৃথিবীতে নেমে এলেন নেশার বস্তুর সন্ধানে। দেখা করলেন লোকমান হেকিমের সঙ্গে, যদি লোকমান হেকিম কিছু করতে পারেন। ইনিই একমাত্র মানুষ, যাঁর সঙ্গে গাছপালারা কথা বলে। মহাদেব এবং লোকমান হেকিম বনেজঙ্গলে ঘুরছেন, হঠাৎ একটা গাছ কথা বলে উঠল। গাছ বলল, লোকমান হেকিম, আমি গাঁজাগাছ। আমাকে মহাদেবের হাতে দিন। মহাদেবের নেশার বাসনা তৃপ্ত হবে। মহাদেব গাঁজাগাছ নিয়ে স্বর্গে চলে গেলেন। গাঁজাগাছই একমাত্র গাছ, যা পৃথিবী থেকে স্বর্গে গেল।

এই গাঁজাগাছ আমি প্রথম দেখি বৃক্ষমেলায় বন বিভাগের স্টলে। নুহাশ পল্লীর ঔষধি বাগানে এই গাছ নেই। আমি কিনতে গেলাম। আমাকে জানানো হলো, এই গাছ নিষিদ্ধ। আনা হয়েছে শুধু প্রদর্শনীর জন্য। অনেক দেনদরবার করেও কোনো লাভ হলো না।

আমি গাঁজাগাছ খুঁজে বেড়াচ্ছি এই খবর ছড়িয়ে পড়ল। কেউ কেউ তাদের দলে ভিড়েছি বলে বিমল আনন্দ পেলেন, আবার কেউ কেউ আমার দিকে বক্রচোখে তাকাতে লাগলেন। 'Thou too brutus' টাইপ চাউনি।

জনৈক অভিনেতা (নাম বলা যাচ্ছে না, ধরা যাক তার নাম পরাধীন) আমাকে ক্ষুব্ধ গলায় বললেন, হুমায়ূন ভাই, আপনি গাঁজাগাছ খুঁজে পাচ্ছেন না এটা কেমন কথা! আমাকে বলবেন না? আমি তো পাঁজার চাষ করছি।

আমি বিস্মিত গলায় বললাম, কোথায় চাষ করছ?
আমার ফ্ল্যাটবাড়ির ছাদে। আমার অনেক টব আছে। ফ্রেশ জিনিস পাই। ফ্রেশ জিনিসের মজাই আলাদা।
আমি বললাম, তুমি গাঁজার চাষ করছ, তোমার স্ত্রী জানে?
না। তাকে বলেছি, এগুলো পাহাড়ি ফুলের গাছ। টবে পানি আমার স্ত্রী দেয়।

পরাধীনের সৌজন্যে দুটি গাঁজাগাছের টব চলে এল। যে দিন গাছ লাগানো হলো এর পরদিনই চুরি হয়ে গেল। বুঝলাম, যে নিয়েছে তার প্রয়োজন আমার চেয়েও বেশি।

গাঁজার চাষ বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। গাঁজা খাওয়ার ব্যাপারেও নিশ্চয়ই নিষেধাজ্ঞা আছে। বাংলাদেশ পুলিশ হ্যান্ডবুকে (গাজী শামসুর রহমান) প্রকাশ্যে সিগারেট খেলে ১০০ টাকা শাস্তির কথা বলা হয়েছে। গাঁজা বিষয়ে কিছু পেলাম না। প্রকাশ্যে থুথু ফেললেও ১০০ টাকা জরিমানা। রমজান মাসে মুসল্লিদের থুথু ফেলায় কি আইন শিথিল হবে?

গাঁজা খাওয়ার ব্যাপারে আমাদের সরকার মনে হয় নমনীয়। মাজার মানেই গোল হয়ে গাঁজা খাওয়া। লালনের গান শুনতে কুষ্টিয়ায় লালন শাহর মাজারে গিয়েছিলাম। গাঁজার উৎকট গন্ধে প্রাণ বেরিয়ে আসার উপক্রম হলো। এর মধ্যে একজন এসে পরম বিনয়ের সঙ্গে আমার হাতে দিয়ে বলল, 'স্যার, খেয়ে দেখেন। আসল জিনিস। ভেজাল নাই। সিগারেটের তামাক ফেলে গাঁজা ভরে এই আসল জিনিস বানানো হয়েছে।

গাঁজাগাছ সম্পর্কে কিছু তথ্য। আমার লেখা বৃক্ষকথা নামের বইয়ে বিস্তারিত আছে। এই বইটি অন্যপ্রকাশ থেকে বের হয়েছে। প্রথম দিনের বিক্রি দেখে অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহার অবাক। দ্বিতীয় দিনে অদ্ভুত কাণ্ড। যারা বই কিনেছে, তারা সবাই বই ফেরত দিয়ে টাকা নিয়ে গেছে। তারা হুমায়ূন আহমেদের কাছে গল্প চায়। বৃক্ষবিষয়ক জ্ঞান চায় না। হা হা হা।
গাঁজাগাছের বোটানিক্যাল নাম Canabis Sativa Linn গোত্র হলো Urticacea.

গাঁজাগাছের স্ত্রী-পুরুষ আছে। দুটিতেই ফুল হয়। তবে পুরুষ-গাছের মাদক ক্ষমতা নেই।

স্ত্রী-গাছের পুষ্পমঞ্জুরি শুকিয়ে গাঁজা তৈরি হয়। এই গাছের কাণ্ড থেকে যে আঠালো রস বের হয় তা শুকালে হয় চরস। চরস নাকি দুর্গন্ধময় নোংরা কাঁথা গায়ে জড়িয়ে খেতে হয়।

স্ত্রী-গাঁজাগাছের পাতাকে বলে ভাং। এই পাতা দুধে জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় ভাঙের শরবত, অন্য নাম সিদ্ধির শরবত। এই শরবত ভয়ংকর এক হেলুসিনেটিং ড্রাগ।

আমার বন্ধু আর্কিটেক্ট করিম ভাঙের শরবত খেয়ে কলকাতার এক হোটেলে চব্বিশ ঘণ্টা প্রায় অচেতন হয়ে পড়ে ছিল। তার কাছে মনে হচ্ছিল, তার দুটি হাত ক্রমাগত লম্বা হচ্ছে। হোটেলের জানালা দিয়ে সেই হাত বের হয়ে আকাশের দিকে চলে যাচ্ছে।

গাঁজাগাছের ফুল, ফল, পাতা এবং গা থেকে বের হওয়া নির্যাসে আছে সত্তরের বেশি ক্যানাবিনয়েডস। এগুলোর মধ্যে প্রধান হলো ক্যানাবিনল, ক্যানাবিডিওল, ক্যানাবিডিন। নাইট্রোজেনঘটিত যৌগ (Alkaloids)ও প্রচুর আছে।
এসব জটিল যৌগের কারণেই মাদকতা এবং দৃষ্টিবিভ্রম।

যে বস্তু শিব নন্দি ভূঙ্গিকে নিয়ে হজম করবেন আমরা তা কিভাবে হজম করব! কাজেই 'শত হস্তেন দূরেৎ' (শত হস্ত দূরে)।

মানুষ কর্তৃক নিষিদ্ধ গাছের কথা জানা গেল। আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ গাছের বিষয়টা কী?

এই নিষিদ্ধ গাছের ফলের নাম 'গন্ধম'। বিবি হাওয়ার প্ররোচনায় আদম এই নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল খেয়েছিলেন।

সমস্যা হলো গন্ধম আরবি শব্দ নয়। ফারসি শব্দ। পবিত্র কোরআন শরিফে কোথাও এই ফলের নাম নেওয়া হয়নি। হাদিসেও নাম নেই। তাহলে আমাদের কাছে এই গন্ধম কোথেকে এল? বাউলরা গান পর্যন্ত লিখলেন, 'একটি গন্ধমের লাগিয়া...।'

যিশুখ্রিস্টের জন্মের চার শ বছর আগে নিষিদ্ধ বৃক্ষ সম্পর্কে লিখলেন ইনক। তার বইয়ে (The sedipigraphic book of inok) বলা হয়েছে, এই গাছ দেখতে অবিকল তেঁতুলগাছের মতো। ফল আঙুরের মতো, তবে সুগন্ধযুক্ত।

গ্রিক মিথ বলছে, নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল হলো বেদানা।

রাবি নেসেমিয়া বলছেন, নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল হলো ডুমুর।

ধর্মগ্রন্থ তালমুদ বলছে নিষিদ্ধ ফল আঙুর।

প্রাচীন চিত্রকলায় আদম, ইভ এবং সর্পের সঙ্গে যে ফলটি দেখা যায় এর নাম আপেল।

এখন তাহলে মীমাংসাটা কী?

পাদটীকা:
বিষাক্ত ফলের তালিকায় আছে আপেল! আপেলের বিচিতে থাকে বিষ। বিষের নাম সায়ানোজেনিক গ্লাইকোসাইড। একটা বিচি খেলে তেমন কিছু হয় না। একের অধিক খেলে...।

বই: রঙপেন্সিল
লেখক: হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশকাল: নভেম্বর, ২০২১

#হুমায়ূনআহমেদ #মিসিরআলী #হিমু #বাংলাসাহিত্য

লেখালেখির জন্য শীর্ষ ১০ লেখকের টিপস!লেখক হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় খাতা কলম নিয়ে চা-কফি গলায় ঢেলে একটার পর একটা সিগারেট-গাঁজা ফুঁ...
19/09/2025

লেখালেখির জন্য শীর্ষ ১০ লেখকের টিপস!

লেখক হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় খাতা কলম নিয়ে চা-কফি গলায় ঢেলে একটার পর একটা সিগারেট-গাঁজা ফুঁকে যুতসই একটা শব্দ লিখতে না পেরে বসে বসে মাথার চুল ছেঁড়েন, এমন লোকের সংখ্যাও নেহায়েৎ কম নয়।

পৃথিবীর অনেক দেশে রয়েছে কবিতা লেখার কোর্স। এমনকি বিশ্বের অনেক বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়েও নানা ধরনের কোর্স চালু আছে সাহিত্যিক হওয়ার জন্য। খোদ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় পর্যন্ত অমন একখান কোর্স করেছিলেন।

টিপসগুলো বলা নিয়ে আর গড়িমসি না করে বরং বলেই ফেলি। তবে এ সব টিপস বানানো কোনো গল্প নয়, স্বয়ং বিখ্যাত সব লেখক এ সব অনুসরণ করেছেন। তারা ফল পেয়েছন, আপনি পাবেন না এমনতো কোনো কোথাও বলা হয়নি বা লেখা হয়নি। তো আর দেরি না করে, দেখে নেই বিখ্যাত সব লেখকদের লেখনীর পেছনের অদ্ভুত কাণ্ড-কীর্তি।

১. লিও টলস্টয়: আপনার জন্য দিনের সেরা সময়টি বেছে নিন
বিশ্ব বিখ্যাত রুশ লেখক লিও টলস্টয়ের মতে, ‌আমি সব সময় সকালে লিখি। পরে আমি জেনে খুশি হয়েছি যে, রুশোও ঠিক একই কাজ করে। সকালে সাধারণত যে কারও মন মেজাজই ঝরঝরে থাকে। সবচেয়ে ফলপ্রসূ ভাবনাটা বেশিরভাগ সময় সকালেই আসে।

২. ক্যাথরিন ম্যান্সফিল্ড: অর্থহীন হলেও লিখুন
নিউ জিল্যান্ডে বড় হওয়া ইংরেজি ভাষার ছোট গল্প লেখিকা ক্যাথরিন ম্যান্সফিল্ডের মতে, অতীতে তাকিয়ে আমি ভাবি, আমি সবসময় লিখছি। যদিও অর্থহীন কথাবার্তা, কিন্তু কিছু না লেখার থেকে অর্থহীন কথাবার্তা লেখাও অনেক ভালো।

৩. উইলিয়াম ফকনার: লিখতে হলে পড়তে হবে
নোবেল ও পুলিৎজার পুরস্কারে ভূষিত আমেরিকান লেখক উইলিয়াম ফকনার কি বলেছেন, নিজেই তা পড়ুন:
পড়ুন, পড়ুন, এবং সবকিছু পড়ুন-বাজে, ধ্রুপদী, ভালো, মন্দ, এবং কীভাবে লেখা হয়েছে তা দেখুন। ঠিক একজন ছুতোরের মতো; যে শিক্ষানবিশের কাজ করে, এবং গুরুর কাজকে অধ্যয়ন করে। পড়ুন! তবেই আপনি অনুধাবন করবেন। তারপর লিখুন। লেখা ভালো হলে আপনি নিজেই বুঝবেন। আর না হলে, জানালা দিয়ে ফেলে দিন।

৪. হিলারি ম্যানটেল: একটু–আধটু আত্মতুষ্টি লেখায় বেশ কাজে দেয়
ম্যান বুকার পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ লেখিকা হিলারি ম্যানটেলের মতে, লেখকের জন্য সবচেয়ে উপকারী স্বভাব হচ্ছে আত্মপ্রত্যয় তথা আত্মতুষ্টি লালন করা-যদি সামাল দিতে পারেন। আপনি নিজেকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চান, এবং সেজন্য আপনার কাজ সম্পর্কে আপনারই আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে; এমনকি যখন কেউই আপনার সাথে একমত হবে না তখনও।

৫. আর্নেস্ট হেমিংওয়ে: লেখা ভালো হতে থাকলে বিরতি দিন
হেমিংওয়ের পরামর্শ শুনতে একটু অদ্ভুত ঠেকতে পারে, কিন্তু কি আর করবেন; অমন একজন লেখকের কথা তো আর ফেলে তো দিতে পারবেন না।
গল্পটা ভালো মতো এগোতে থাকলে থামুন, এবং এ নিয়ে পরের দিন লেখা শুরুর আগে ভাববেন না। এতে আপনার অবচেতন মন সব সময় লেখাটি নিয়ে ভাববে। কিন্তু আপনি যদি সচেতনভাবে লেখাটি নিয়ে ভাবেন, অথবা দুঃশ্চিন্তা করেন; তবে ওটা মরে যাবে, এবং লেখার আগেই আপনার মাথা ক্লান্ত হয়ে পড়বে।

৬. মিরান্ডা জুলাই: খসড়া নিয়ে ভাববেন না
বেশ কয়েকজন সাহিত্যিকের পর এবার একজন চিত্রনাট্যকার ও চলচ্চিত্র পরিচালককে ধরা যাক।
আমেরিকার লেখিকা মিরান্ডা জুলাইয়ের মতে, প্রথম উপন্যাস লিখার সময় নিজেকে সবচেয়ে বাজে লেখক মনে হত। তখন মনে হয়নি, আমি প্রথম খসড়া লিখছি। কিন্তু প্রথম খসড়া লেখার পর বাকি সবকিছু তুলনামূলকভাবে সহজ।

৭. জাডি স্মিথ: অফলাইন থাকুন
ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক ও ছোট গল্প লেখিকা জাডি স্মিথের মতে, ইন্টারনেট সংযোগ নেই, এমন কম্পিউটারে বসে আপনাকে লিখতে হবে।

৮. জন স্টেইনব্যাক: দিনে এক পাতার বেশি নয়
যে গল্প আপনি কখনও শেষ করবেন না, তা বাদ দিন। বরং চারশত পাতা নিন এবং প্রতিদিন একপাতা করে লিখুন।
লেখক হওয়ার পরামর্শ দিতে গিয়ে এমনটিই বললেন নোবেল ও পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান সাহিত্যিক জন স্টেইনব্যাকের।

৯. এফ স্কট ফিটজেরাল্ড: পান করারসময় লিখবেন না
বিশ্ব শতকের একজন সেরা আমেরিকান লেখক এফ স্কট ফিটজেরাল্ড, যার লেখনিতে জ্যাজ সংগীতের শুরুর দিককার আমেজ পাওয়া যায়। তার মতে লিখতে হলে:
‍এটা খুবই পরিস্কার বিষয় যে, বড় কিছু মদ পানরত অবস্থায় লেখা যাবে না। ছোট গল্প লেখা গেলেও উপন্যাসের জন্য আপনাকে নিরন্তর মাথা খাটাতে হবে এবং এ জন্য অবশ্যই ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

১০. মুরিয়েল স্পার্ক: বিড়াল পুষতে হবে
হেমিংওয়ের পরামর্শ যদি অদ্ভুত লেগে থাকে তবে মুরিয়েল স্পার্কের কথায় আপনি নিশ্চতভাবে ভিরমি খাবেন, কিংবা কিঞ্চিত ভয়ও লাগতে পারে। স্কটিশ ঔপন্যাসিক, ছোট গল্প লেখক, কবি ও প্রাবন্ধিক মুরিয়েলের মতে লেখক হতে হলে নাকি বিড়াল পুষতে হবে। আর তাতেই নাকি কলম দিয়ে ঝরঝর করে লেখা বেরোতে থাকবে।
লিখতে হলে বিড়াল পুষতে হবে। একটি ঘরে বিড়ালের সাথে একা…… বিড়ালটি লেখার টেবিলে উঠে টেবিলে রাখা বাতির নিচে বসবে। বাতির আলো বিড়ালকে বেশ তুষ্ট করে। বিড়াল তখন প্রশান্ত হবে; এ প্রশান্তি দেবে অনুধাবন সক্ষমতা। বিড়ালের এ প্রশান্তি আপনাকে ধীরে ধীরে আবেশিত করবে; আপনি ফিরে পাবেন আত্ননিয়ন্ত্রণ। আপনাকে শুধু সব সময় বিড়ালটির দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। মনোযোগের ওপর বিড়ালের প্রভাব চমকপ্রদ, এবং রহস্যময়।

🔊 দাঁড়িকমা প্রকাশনী থেকে বই প্রকাশের জন্য পাণ্ডুলিপি মেইল করুন: [email protected]

#লেখালেখি

ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাসের সমালোচনায় কী লিখেছিলেন হুমায়ূন?পবিত্র কোরআন শরিফের একটি আয়াতে আল্লাহপাক বলছেন, 'এবং বেহেশতে ...
19/09/2025

ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাসের সমালোচনায় কী লিখেছিলেন হুমায়ূন?

পবিত্র কোরআন শরিফের একটি আয়াতে আল্লাহপাক বলছেন, 'এবং বেহেশতে তোমরা প্রবেশ করবে ঈর্ষামুক্ত অবস্থায়।'

এর সরল অর্থ—শুধু বেহেশতেই মানুষ ঈর্ষামুক্ত, ধুলা-কাদার পৃথিবীতে নয়। বিস্ময়কর হলেও সত্যি, ঈর্ষা এক অর্থে আমাদের চালিকাশক্তি। মানবসভ্যতার বিকাশের জন্য ঈর্ষার প্রয়োজন আছে। বেহেশতে যেহেতু সভ্যতা বিকাশের কিছু নেই, ঈর্ষারও প্রয়োজন নেই।

আমি নিজেকে ঈর্ষামুক্ত একজন মানুষ ভাবতে পছন্দ করি, যদিও জানি, এই মানবিক দুর্বলতামুক্ত হওয়া মহাপুরুষদের পক্ষেও সম্ভব নয়। একজন মহাপুরুষও ঈর্ষা করবেন আরেকজন মহাপুরুষকে। এটাই নিপাতনে সিদ্ধ।

যা-ই হোক, এক শ্রাবণ মাসের মেঘলা দুপুরে কলকাতার দেশ পত্রিকা খুলে হিংসা নামের সর্পের ছোবল অনুভব করলাম। পত্রিকায় একটি উপন্যাসের সমালোচনা ছাপা হয়েছে। সমালোচক বলছেন, এই উপন্যাসের লেখক বিভূতিভূষণ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরসূরি। উপন্যাসটির নাম 'নূরজাহান'। লেখকের নাম

ইমদাদুল হক মিলন। দেশ পত্রিকায় এমন নির্ভেজাল প্রশংসা আমি আর কোনো লেখার হতে দেখিনি।

নূরজাহানের গল্প শেষ করতে মিলন প্রায় তেরো শ পৃষ্ঠা লিখেছেন। বাংলাদেশে এটিই মনে হয় সর্ববৃহৎ উপন্যাস। লেখক হিসেবে জানি একটি গল্পকে তেরো শ পৃষ্ঠা পর্যন্ত টানার অর্থ দীর্ঘ দিবস, দীর্ঘ রজনীর পরিশ্রম, রাত্রি জাগরণ, ক্লান্তি ও হতাশা। হতাশার ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করি, যেকোনো রচনাতেই লেখকের নানান হতাশা থাকে। গল্পটা যেমন দাঁড় করানো দরকার সে রকম করা গেল না। বিশেষ কোনো চরিত্র আরো স্পষ্ট হওয়া উচিত, তা হলো না, এইসব।

হতাশার সঙ্গে আসে আনন্দ। গল্প শেষ করার আনন্দ। নিজের কথা বলি, মিসির আলি বিষয়ক মাত্র চল্লিশ পৃষ্ঠার একটি বড় গল্প (বৃহল্পলা) শেষ করে আমি গল্প শেষ হওয়ার আনন্দে অভিভূত হয়েছিলাম। নূরজাহান শেষ করে মিলনের আনন্দ নিশ্চয়ই আমার চেয়ে চৌত্রিশ গুণ

বেশি হয়েছে। নূরজাহান বৃহন্নলার চেয়ে চৌত্রিশ গুণ বড়। সব লেখকই চান তাঁর নিজের আনন্দের ছায়া পাঠকের মধ্যে পড়ুক। লেখক যেন বুঝতে পারেন তাঁর কষ্ট জলে ভেসে চলে যায়নি।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও বাংলাদেশে মিলনের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা কেন জানি ঘটছে না। উদাহরণ দিয়ে স্পষ্ট করি। এখন দৈনিক পত্রিকাগুলোর ফ্যাশন হলো সাহিত্য বিচারকের ভূমিকায় অভিনয় করা। এরা বর্ষসেরা উপন্যাস, মননশীল লেখার তালিকা তৈরি করে এবং পাঠকদের ভাবতে বাধ্য করে, এসব রচনাই শ্রেষ্ঠ, বাকি সব আবর্জনা।

কালের কণ্ঠ দশটি সেরা উপন্যাসের তালিকা তৈরি করল, মিলনের নূরজাহান সে তালিকায় নেই। আমি ভাবলাম, মিলন এই পত্রিকায় কাজ করে বলেই হয়তো তার নাম নেই। লোকে না ভেবে বসে তারা নেপোটিজম করছে।

প্রথম আলোর সেরা দশেও মিলন নেই। এতে মিলনের মন খারাপ হয়েছে কি না জানি না, আমি বিরক্ত হয়েছি। মিলনকে ডেকে বলেছি, দৈনিক পত্রিকার সেরা দশের পুরো আয়োজনই ভুয়া। এই সেরা কারা নির্বাচন করেন? তাঁরা কি বছরে প্রকাশিত সব লেখা পড়েন?

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র একসময় বই নামে পাক্ষিক পত্রিকা প্রকাশ করত (হয়তো এখনো করে), সেখানে প্রকাশিত বইগুলোর পরিচিতি ছাপা হতো। দায়িত্বে ছিলেন এক বিদগ্ধ সমালোচক। একদিন অবাক হয়ে দেখি, আমার গল্পগ্রন্থ 'আনন্দ বেদনার কাব্য' নিয়ে লেখা হয়েছে_হুমায়ূন আহমেদের কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলো সুন্দর। কিছু কবিতায় ছন্দের ত্রুটি দেখা গেলেও রূপক নির্মাণে কবির দক্ষতা আছে।

আমি মিলনের নূরজাহান প্রখম খণ্ড অনেক আগেই পড়েছিলাম। কালের কণ্ঠ ও প্রথম আলোর ভূমিকায় ব্যথিত হয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় খণ্ড পড়ে শেষ করলাম। অবশ্যই এই গ্রন্থ বাংলা সাহিত্যের একটি উল্লেখযোগ্য রচনা। আমি হলে বইটি তিন শ পৃষ্ঠাতে সীমাবদ্ধ রাখতাম। নূরজাহানের প্রধান ত্রুটি, এর লেখক 'কড়ি দিয়ে কিনলামের' বিমল মিত্র হতে চেয়েছেন। যেন সবাই বলে, এই দেশের সবচেয়ে বড় উপন্যাস ইমদাদুল হক মিলন লিখেছেন। বৃহৎ উপন্যাস রচিত হবে এটি কোনো লেখার চালিকাশক্তি হতে পারে না।

কবি ড ই ণবধঃং তাঁর ছেলেকে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন, লেখকদের জন্য আলাদা নরক যদি থাকে, সেখানে থাকবে তাঁদের শ্রেষ্ঠ লেখাগুলো। যেসব ভুল এই লেখাগুলোতে করা হয়েছে, তা লাল

কালিতে চিহ্নিত থাকবে। বাহুল্য দাগানো থাকবে। যা বাদ পড়েছে তাও উল্লেখ করা হবে। লেখক তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনাগুলোর ত্রুটি দেখে নরকযন্ত্রণায় অনন্তকাল দগ্ধ হবেন।

কবি ণবধঃং-এর কথা ধরে বলি, বিভূতিভূষণের নরকে থাকবে পথের পাঁচালি, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নরকে থাকবে পুতুল নাচের ইতিকথা এবং ইমদাদুল হক মিলনের নরকে নূরজাহান। এই অর্জনই বা কম কী! ইমদাদুল হক মিলনকে অভিনন্দন!

পাদটীকা-১:
অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ আমাকে এবং মিলনকে একটি বই উৎসর্গ করেছিলেন। বইটির নাম 'সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে। ঔপন্যাসিক হিসেবে আমরা দুজনই নষ্ট এমন সূক্ষ্ম ইঙ্গিত। আমি বিষয়টায় মজা পেয়ে হাসলাম। মিলন প্রতিশোধের বাসনায় হুমায়ুন আজাদকে একটি বই উৎসর্গ করল। বইটির নাম 'বনমানুষ'।

অধ্যাপক আজাদ এ ঘটনায় যথেষ্টই বিরক্ত হয়েছিলেন।

পাদটীকা-২:
ইমদাদুল হক মিলনের মতো ধৈর্য আমার নেই। কাজেই তেরো শ পৃষ্ঠার রং পেন্সিল লিখতে পারছি না। এই পর্বেই ইতি টানছি। পাঠকদের সঙ্গে আবারও কোনো এক প্রসঙ্গে দেখা হবে। বিদায়।

বই: রঙপেন্সিল
লেখক: হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশকাল: নভেম্বর, ২০২১

#হুমায়ূনআহমেদ #মিসিরআলী #হিমু #বাংলাসাহিত্য

 #লেখকের_প্রথম_বই  িজনকাজী বোরহান এর সামাজিক উপন্যাস 'তারুণ্যের অস্তাচল’। প্রচ্ছদের কাজ সম্পন্ন। শীঘ্রই বইটি দাঁড়িকমা প্...
19/09/2025

#লেখকের_প্রথম_বই িজন
কাজী বোরহান এর সামাজিক উপন্যাস 'তারুণ্যের অস্তাচল’। প্রচ্ছদের কাজ সম্পন্ন। শীঘ্রই বইটি দাঁড়িকমা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হচ্ছে।

🔊 দাঁড়িকমা প্রকাশনী থেকে বই প্রকাশের জন্য পাণ্ডুলিপি মেইল করুন: [email protected]

Address

38/4, 3rd Floor, Bangla Bazar
Dhaka
1100

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when দাঁড়িকমা প্রকাশনী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to দাঁড়িকমা প্রকাশনী:

Share

Category

দাঁড়িকমা প্রকাশনী

দাঁড়িকমা, সৃজনশীল বই প্রকাশে অনন্য প্রকাশনা সংস্থা। প্রকাশনার অর্ধযুগ পেরিয়ে চার শতাধিক লেখকের ছয় শতাধিক বই প্রকাশ করেছে। ঢাকা বইমেলাসহ দেশের সবকটি বইমেলাতে দাঁড়িকমার সরব উপস্থিতি থাকে। তরুণ লেখকদের বই প্রকাশ ও শক্তিশালী বিপণন ব্যবস্থায় দাঁড়িকমার বই পৌঁছে যাচ্ছে ছাপান্ন হাজর বর্গমাইলের প্রতিটি ইঞ্চিতে।

০১৮৪০-৬৭৫৪২৭

E-mail : [email protected]

www.darikoma.net