22/09/2025
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৫৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের বরণে কূলায় আগুন পূজা, উলুধ্বনি, তিলক পরানো এবং ঢাকে পূজার বাদ্য বাজানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
গভর্নমেন্ট অ্যান্ড পলিটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থী আনজুম শাহরিয়ার তার ফেসবুক পোস্টে লিখেন—
“জাবির নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৫৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের কূলায় আগুন পূজা, উলুধ্বনি আর তিলক পরিয়ে, ঢাকে পূজার বাদ্য বাজিয়ে বরণ করা হচ্ছে দেখলাম। কূলায় আগুন, তিলক, পূজার ঢাক কিংবা উলুধ্বনি—এসব সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় প্রতীকের সাথে ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু একটা বিভাগ তার সমস্ত শিক্ষার্থীর ওপর নির্দিষ্ট ধর্মীয় সংস্কৃতি ইম্পোস করা নিঃসন্দেহে সাম্প্রদায়িক আচরণ।”
তিনি আরও লেখেন,
“যদি সব নবীনদের মাথায় টুপি ও হিজাব পরিয়ে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনির মাধ্যমে বরণ করা হতো, তাহলে সেটাকে যেমন সাম্প্রদায়িক বৈশিষ্ট্য বহনকারী আচরণ হিসেবে ধরা হতো, সেটার সাথে আগুনের ডালি, উলুধ্বনি, পূজার ঢাক ও তিলক দিয়েও বরণ করার মধ্যে বৈশিষ্ট্যগত কোনো পার্থক্য নেই।
একটা একাডেমিক বিভাগ কোনোভাবেই এমন সাম্প্রদায়িক আচরণে লিপ্ত হতে পারে না। এই ধরনের কাজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন ছাড়া আর কিছু আনেনা।
আর যদি এইরকম কর্মকান্ড আগে থেকে চলে আসে, তবে তার অর্থ দাঁড়ায় নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ দীর্ঘদিন ধরেই সাম্প্রদায়িকতার দায় বহন করছে। চিন্তার বিষয় হলো এই বিভাগের একটি ল্যাব ভারতীয় হাইকমিশনের অর্থায়নে নির্মিত। তাহলে কি ভারতীয় অর্থায়নের প্রভাবেই এই ধর্মীয় সংস্কৃতি চর্চা এখানে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে?”
পোস্টের শেষ অংশে তিনি নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের এই কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে লেখেন—
“নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের এই সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং আশা করছি ভবিষ্যতে বিভাগ কর্তৃপক্ষ এরকম আচরণ থেকে বেরিয়ে আসবে।