ইসলামিক জীবন

ইসলামিক জীবন Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from ইসলামিক জীবন, Media/News Company, Shah Ali Mazar, Mirpur 1, Dhaka.
(1)

রসূলূল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ”প্রচার করো, যদি একটিমাত্র আয়াতও হয়।” [সহীহ বুখারিঃ ৩৪৬১] মহান আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “তার কথার চেয়ে উত্তম কথা আর কোন ব্যক্তির হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নেক কাজ করে এবং বলে আমি মুসলমান।” [সুরা হা’মীম সিজদাহ ৪১:৩৩] ইসলামের সঠিক তথ্য সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়াই, জনপ্রিয় এই পেজটির মূল উদ্দেশ্য। আপনিও হন ইসলামের প্রচারক। মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে

দিন।

কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকে সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবে না। [সহীহ্ মুসলিম : ২৬৭৪]

"তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যাণের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ করো, অন্যায় কাজে নিষেধ করো এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখো" [সূরা আল ইমরান : ১১০]

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের মধ্যে একটা দল থাকা চাই, যারা মানুষকে কল্যাণের পথে ডাকবে এবং অন্যায় করতে নিষেধ করবে। মূলত তারাই সফল।’ [সুরা আল ইমরান : ১০৪]

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমার পালনকর্তার পথে মানুষকে ডাকো। ...’ [সুরা কাসাস: ৮৭]

অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছেঃ “তার কথার চেয়ে কার কথা আর উত্তম হতে পারে, যে আল্লাহর পথে দাওয়াত দেয়, সৎ কাজ করে এবং বলে—নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত।” [হামিম সাজদা: ৩৩]

রসূল সাঃ বলেনঃ "আল্লাহ ওই ব্যক্তির চেহারা উজ্জ্বল করে দেন, যে আমার কোনো হাদিস শুনেছে। অতঃপর অন্যের কাছে পৌঁছে দিয়েছে”। [আবু দাউদ]

আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রিয় ঐ আমল যা নিয়মিত করা হয় যদিও তা অল্প হয়। [সহীহ বুখারী ৪১, ৬০২০]

এসো হে মুসলিম- ইসলামের আলোর পথে জীবন গড়ি- ইসলামের বানী প্রচার করি।

সবাইকে পড়ার অনুরোধ করছি; ১৪ টি কুফরি বাক্য যা আমরা নিয়মিত বলে থাকি:১. আল্লাহও লাগে ইল্লাও লাগে।(নাউজুবিল্লাহ)২. তোর মু...
04/07/2025

সবাইকে পড়ার অনুরোধ করছি; ১৪ টি কুফরি বাক্য যা আমরা নিয়মিত বলে থাকি:

১. আল্লাহও লাগে ইল্লাও লাগে।
(নাউজুবিল্লাহ)

২. তোর মুখে ফুল চন্দন পড়ুক। (ফুল চন্দন হিন্দুদের পূজা করার সামগ্রী)।

৩. কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে (কেষ্ট হিন্দু দেবির নাম, তাকে পাবার জন্য কষ্ট করছেন?)

৪. মহাভারত কি অশুদ্ধ হয়ে গেলো?
(মহাভারত একটি উপন্যাস, যা সবসময় অশুদ্ধ)।

৫. মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত।
(এটি ইসলামের নামে কটুক্তি করা
নাউজুবিল্লাহ )।

৬. লক্ষী ছেলে, লক্ষী মেয়ে লক্ষী স্ত্রী বলা। (হিন্দুদের দেব-দেবির নাম লক্ষী তাই ইসলামে এটি হারাম)।

৭. কোন ওষুধকে জীবন রক্ষাকারী বলা। (জন্ম-মৃত্যু একমাত্র আল্লাহর হাতে)।

৮. দুনিয়াতে কাউকে শাহেনসা বলা।
(এর অর্থ রাজাদের রাজাধীকার)।

৯. নির্মল চরিত্র বোঝাতে ধোয়া তুলসি পাতা বলা (এটি অনইসলামিক পরিভাষা যা হারাম)।

১০. বিসমিল্লায় গলদ বলা
(এটি সরাসরি কুফরি)।

১১. মৃত্যুর সাথে পান্জালড়া বলা
(কুফরি বাক্য, তাই সাবধান)।

১২. মধ্যযুগ বর্বরতা বলা
(মধ্যযুগ ছিল ইসলামের স্বর্ণযুগ)।

১৩. মন ঠিক থাকলে পর্দা লাগে না
( ইসলাম ধংশকারি মতাবদ)।

১৪. নামাজ না পড়লেও ঈমান ঠিক আছে বলা। (ইসলাম থেকে বের করার মূলনীতি)।

তাই মুসলিম ভাই বোনেরা যখন কথা বলবেন খুব সাবধানে কথা বলবেন

আর এসব কথা ভুলেও মুখে আনবেন না হাতজোর করে বলছি।
আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সঠিক বুঝদান করুন।
হিদায়াতের উপরে অটল রাখুন

( আমীন আল্লাহুম্মা আমীন )

 # হে_যুবক_তুমি_যৌবনের_শক্তির_কারণে,খেলার জন্য এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামেচলে যাও।.. .তুমি মাঠে খেলায় ঘন্টার পর ঘন্টা সময়দ...
03/07/2025

# হে_যুবক_তুমি_যৌবনের_শক্তির_কারণে,
খেলার জন্য এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে
চলে যাও।.. .
তুমি মাঠে খেলায় ঘন্টার পর ঘন্টা সময়
দিতে পারো,

তুমি রাস্তার পাশে চার হোটেলে কেরাম
বোর্ডে সময় দিতে পারো আড্ডা দিতে
পারো,

তুমি টিভিতে-মোবাইলে গান-সিনেমা-
খেলা দেখার জন্য সময় দিতে পারো,
তুমি খেলা শুরু হবার আগে মাঠে চলে
যেতে পারো,

টিভিতে খেলা শুরু হবার আগে টিভি অন
করে বসে তাকতে পারো দাড়ীয়ে তাকতে
পারো,

কিন্তু আফসুস তুমি সব কিছুতে সময় দিতে
পারো, কিন্তু মসজীদে নামাযে আসতে
পারো না,

নামায পড়ার জন্য সময় দিতে পারো না।.. .
কেনো হে যুবক!
তুমি যে শক্তির কারণে এত কিছু করতেছো
মন যা চায় তা তুমি করতেছো একটু ভেবে
দেখো,

এই যৌবনের শক্তি চিরদিন থাকবে কি?
এখন সময় আছে যৌবনের শক্তি টাকে কাজে লাগাও,

তারাই সফল হয় যারা সময় কে সঠিক কাজে ব্যয় করে। আল্লাহ আমাদের বুঝ দান করুন।
# আমিন।

03/07/2025
প্রশ্নঃ বিয়ে ছাড়া প্রেম-ভালোবাস/রিলেশান/এফেয়ার করা কি হারাম? উত্তরঃ হ্যা, অবশ্যই এটা হারাম। ১. প্রেম ভালোবাসা হয় – একজন ...
30/06/2025

প্রশ্নঃ বিয়ে ছাড়া প্রেম-ভালোবাস/রিলেশান/এফেয়ার করা কি হারাম?

উত্তরঃ হ্যা, অবশ্যই এটা হারাম।

১. প্রেম ভালোবাসা হয় – একজন আরেকজনের সাথে সরাসরি/ফোনে/ফেইসবুকে কথা বলে, দেখাসাক্ষাৎ করে। ইসলাম এইধরণের দেখা সাক্ষাত ও কথা বলা, যেখানে কামনা-বাসনা মিশ্রিত থাকে সেটাকে “যিনা” সাব্যস্ত করে হারাম করে দিয়েছে।
যিনা কি?

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “কোন বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টি দেওয়া চোখের যিনা, অশ্লীল কথাবার্তা বলা জিহ্বার যিনা, অবৈধভাবে কাউকে স্পর্শ করা হাতের যিনা, ব্যাভিচারের উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের যিনা, খারাপ কথা শোনা কানের যিনা আর যিনার কল্পণা করা ও আকাংখা করা মনের যিনা। অতঃপর লজ্জাস্থান একে পূর্ণতা দেয় অথবা অসম্পূর্ণ রেখে দেয়”।

সহীহ আল-বুখারী, সহীহ আল-মুসলিম, সুনানে আবু দাউদ, সুনানে আন-নাসায়ী।

সমস্ত প্রকার যিনা হারামঃ

আল্লাহ তাআ’লা যিনাকে হারাম ঘোষণা করে বলেনঃ “তোমরা যিনার কাছেও যাবে না। কেননা তা অত্যন্ত নির্লজ্জ এবং খারাপ কাজ"। সূরা বনী ইসরাঈলঃ ৩২।

রসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ "কোন পুরুষ যখন একজন মহিলার সাথে নির্জনে মিলিত হয়, তখন তাদের তৃতীয় সঙ্গী হয় শয়তান।" তিরমিযী, মিশকাত।

২. বেগানা নারীকে স্পর্শ করা কতো বড়ো পাপ!!
"নিশ্চয়ই তোমাদের কারো মাথায় লোহার পেরেক ঠুকে দেয়া ঐ মহিলাকে স্পর্শ করা থেকে অনেক ভাল, যে তার জন্য হালাল নয়।" তাবারানী, ছহীহুল জামে হাদীস -৪৯২১।
___

বিবাহ পূর্ব প্রেম হারাম। “স্বাধীনভাবে লালসা পূরণ কিংবা গোপনে লুকিয়ে প্রেমলীলা করবে না” (সূরা আল মায়িদা: ৫)

এরপর সূরা নূর এর ৩০ নং আয়াতে পুরুষদের চোখ নীচু রাখতে এবং লজ্জা স্থান হিফাজত করতে বলা হয়েছে।

৩১ নং আয়াতে নারীদেরও একই কথা বলা হয়েছে, পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর নারীরা কাদের সাথে সাক্ষাত করতে পারবে তাদের একটা তালিকা দেওয়া হয়েছে।

সূরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতে পর্দা করার নির্দেশ আরো পরিস্কার ভাষায় বলা হয়েছে। যেখানে দৃষ্টি নীচু ও সংযত রাখা, লজ্জা স্থান হিফাজত করার কথা এবং পর্দা করার কথা বলা হয়েছে আর সূরা মায়িদাতে গোপন প্রেমলীলাকে নিষেধ করা হয়েছে সেখানে বিবাহ পূর্ব প্রেম বৈধ হতে পারে কি করে? এটা হারাম।

জিনা তথা অবৈধ শারীরীক সম্পর্ক হারাম। (সূরা ইসরা আয়াতঃ ৩২) (সূরা ফুরকানঃ ৬৮)জিনার নিকট যাওয়াই নিষেধ অর্থাৎ যে সকল জিনিস জিনার নিকটবর্তী করে দেয় তার কাছে যাওয়াই নিষেধ। বিবাহ পূর্ব প্রেম নর-নারীকে জিনার নিকটবর্তী করে দেয় আর জিনা মারাত্মক একটি কবিরা গুণাহ।

বিবাহপূর্ব প্রেম অনেক সময় বান্দাহকে শিরকের নিকটবর্তী করে দেয়। কারণ অনেক সময় তারা একে অপরকে এতটাই ভালবাসা শুরু করে দেয় যে প্রকার ভালবাসা পাওয়ার দাবীদার একমাত্র আল্লাহ। (সূরা বাকারাঃ১৬৫)
শয়তান তো চায়, মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মাঝে শুত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে তোমাদেরকে বিরত রাখতে। অতএব, তোমরা এখন ও কি নিবৃত্ত হবে? সূরা আল মায়েদাহ, আয়াত নং ৯০ থেকে ৯১।

আসলে ইসলাম এমন একটি ধর্ম যা মানুষকে গুনাহ থেকে বাঁচতে বিভিন্ন উপায় বলে দেয়।প্রেম করলে শয়তান অবশ্যই জিনা করতে প্রলুব্ধ করবে। ইসলামে বিয়ের আগে প্রেম করা হারাম।

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত।
30/06/2025

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত।

সবাই যিকির করার চেষ্টা করবেন : ইনশা'আল্লাহ্।
30/06/2025

সবাই যিকির করার চেষ্টা করবেন : ইনশা'আল্লাহ্।

⭕ ফরজ নামাজ আদায় করার পর গুরুত্বপূর্ণ কিছু সুন্নত আমলসমূহ নিম্নে উপস্থাপণ করা হলো। তাই ফজিলতপূর্ণ এই আমলগুলো আপনারা সকলে...
30/06/2025

⭕ ফরজ নামাজ আদায় করার পর গুরুত্বপূর্ণ কিছু সুন্নত আমলসমূহ নিম্নে উপস্থাপণ করা হলো। তাই ফজিলতপূর্ণ এই আমলগুলো আপনারা সকলেই নিয়মিত আমল করার চেষ্টা করবেন ইন শা আল্লাহ 💝✅

🔸 ১ বার “আল্ল-হু আকবার” পাঠ করা। [বুখারী- ৮৪২]

🔹 ৩ বার “আস্তাগফিরুল্ল-হ” পাঠ করা। [মুসলিম- ১৩৬২]

🔸 ১ বার “আল্ল-হুম্মা আংতাস সালাম, ওয়া মিনকাস্ সালাম, তাবারকতা ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইক্বরম”
পাঠ করা। [মুসনাদে আহমাদ- ২২৪৬১]

🔹 ১ বার “আয়াতুল কুরসী” পাঠ করা। [নাসাঈ- ৯৮৪৮]

🔸 “সুবহা-নাল্ল-হ” “আলহামদুলিল্লাহ” “আল্ল-হু আকবার” ৩৩+৩৩+৩৩ বার পাঠ করে, ১ বার “লা ইলাহা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা- শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া 'আলা কুল্লি শাইইন ক্বদীর” পাঠ করা। [সহীহ মুসলিম- ১৩৮০]

🔹 ফজর এবং মাগরিবের ফরজ নামাজের পর ৭ বার “আল্ল-হুম্মা আজিরনী মিনান্না-র” পাঠ করা। [সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ- ৯৮৫৯]

🔸 ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পর ৩ বার “আঊযুবিল্লাহিস সামি'য়্যিল 'আলীমি মিনাশ শাইত্ব-নির রজীম” পাঠ করে, “সূরা হাশরের” শেষ ৩ আয়াত পাঠ করা। [সুনানে তিরমিযি- ১৩৭২]

🔹 ফজর নামাজ আদায় করার পর ৩ বার পাঠ করা, “সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবিহামদিহী 'আদাদা খলক্বিহী, অরিদ্ব- নাফসিহী অযিনাতা 'আরশিহী, অমিদা-দা কালিমা-তিহ্”। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ২৭২৬]

🔸 ফজর নামাজ আদায় করার পর ৩ বার “আল্ল-হুম্ম ইন্নি আসআলুকা, 'ঈলমান না-ফি'য়ান, ওয়া রিজক্বন ত্বয়্যিবান, ওয়া 'আমালান মুতাক্বব্বালা” পাঠ করা। [ইবনে মাজাহ- ৯২৫]

🔹 প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর একাধিকবার পাঠ করা “আল্ল-হুম্মা আ'ইন্নি 'আলা জিকরিকা, ওয়া শুকরিকা, ওয়া হুসনি 'ইবাদাতিক। [আবু দাউদ- ১৫২২]

🔸 ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পরে ৩ বার “রদ্বীনা- বিল্লা-হি রব্বা-, ওয়াবিল ইসলামি দ্বীনা- ওয়াবি মুহাম্মাদিন রসূলা- [ﷺ]” পাঠ করা। [সুনানে আবু দাউদ- ৫০৭৪]

🔹 ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পর ১ বার “সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার” পাঠ করা। [মিশকাত- ২৩৩৫]

🔲 সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার- “আল্ল-হুম্মা আংতা রব্বী, লা- ইলাহা ইল্লা আংতা খলাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুক, ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্ব‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিং শার্রিমা ছনা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ লাকা বিযাম্বী, ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা- ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আংত্”।

⭕ জিনের আছর, বদনজর, কু-ফ-রী কালাম, জাদু টোনা এবং বিষধর প্রাণীর ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে রাসূল সল্লল্লহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পর নিম্নোক্ত দোয়াগুলো পাঠ করতেন।

🔸 সূরা “ইখলাস”, “ফালাক” এবং “নাস” ১ বার করে পাঠ করা। তবে ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পর প্রতিটি সূরা ৩ বার করে পাঠ করা। [আবু দাউদ- ১৫২৩]

🔹 ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পর ৩ বার পাঠ করা “আ'উযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্তা-ম্মা-তি, মিং- শাররি মা খলাক্ব”। [তিরমিযি- ৩৫৫৯]

🔸 ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পর ৩ বার পাঠ করা, “বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা- ইয়াদুররু মা'আসমিহী, শাইউং ফিল আরদ্বী ওয়ালা- ফিসসামা-ই, ওয়াহুওয়াস সামি'উল 'আলীম”। [তিরমিযি- ৩৩৩৫]

🔹 ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পর ৭ বার পাঠ করা “হাসবিয়াল্ল-হু লা- ইলা-হা ইল্লাহু, 'আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুয়া রব্বুল 'আরশীল 'আউযীম”। [আবু দাউদ- ৩২১]

⭕ [ ' ] এই চিহ্নটি দ্বারা আরবী হরফ “আইনের” উচ্চারণ উদ্দেশ্য। তাই এই চিহ্নের জায়গাগুলোতে গলার ভিতর থেকে “আইনের” উচ্চারণ করতে হবে। আর [ - ] এই চিহ্নটি দ্বারা ১ আলিফ টান দিয়ে পড়াকে বুঝানো হয়েছে।

🔲 মহান আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে নিয়মিত আমলগুলো করার তৌফিক দান করুন, আমিন। ✅

✅প্রশ্নঃ ইসলামে জন্মদিন পালন করা জায়েজ আছে কি না? যদি থাকে তাহলে কিভাবে পালন করতে হবে শরিয়ার দলিলসহ বিষয়টি জানালে উপকৃত ...
30/06/2025

✅প্রশ্নঃ ইসলামে জন্মদিন পালন করা জায়েজ আছে কি না? যদি থাকে তাহলে কিভাবে পালন করতে হবে শরিয়ার দলিলসহ বিষয়টি জানালে উপকৃত হব।

بسم الله الرحمن الرحيم

وعليك السلام و رحمة الله و بركاته

উত্তরঃ বর্তমানে জন্মদিন পালন বলতে বুঝায় মাসের যে তারিখটিতে কোন ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছে বছর ঘুরে সে তারিখটি আবার ফিরে আসলে সেটাই তার জন্মের দিন তথা জন্মদিন। সেদিনে আত্মীয়-সজন বন্ধু-বান্ধক নিয়ে আনন্দ উল্লাস করা হয়, আয়োজন করা হয় বিশেষ অনুষ্ঠান বা উৎসবের। এতে আমন্ত্রিত মেহমানদের আপ্যায়ন করা হয়ে থাকে। মেহমানরা তাকে জন্মদিনের শুভকামনা জানান এবং তার ভবিষ্যত জীবন যেন আরো সুন্দর ও বর্ণীল হয় এ দোয়া করেন ।সইেসাথে তারজন্য উপহার সামগ্রীও দিয়ে থাকেন। মোটকথা জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠান পালন ও আনন্দ-উৎসব উৎযাপন করাকে জন্মদিন বলে আখ্যায়িত করা হয়।
ইসলামে জন্মদিন বা জন্মদিন পালন বলতে কিছু নেই। বছরের যে দিনটিতে কেউ জন্ম গ্রহণ করেছে, সেই দিনকে তার জন্য বিশেষ কোন দিন মনে করা বা এই উপলক্ষ্যে আনন্দ-ফুর্তি করা অথবা কোন আমল করার বিষয়ে কুরআন-সুন্নায় কোন ভিত্তি পাওয়া যায়না। খাইরুল কুরূনেও (সাহাবী ও তাবেঈন রাযি. এর স্বর্ণযুগ) জন্মদিন পালনের কোন অস্তিত্ব ছিল না। যদি জন্মদিন বলতে ইসলামে কোন কিছু থাকত তাহলে হাদীস ও ইতিহাসের কিতাব গুলোতে সাহাবী ও তাবাঈন রাযি. এর জন্মদিন পালনের কোন না কোন ঘটনা থাকত। অথচ তাদের জন্মদিন পালনের কোন প্রমাণ কোন সূত্রেই পাওয়া যায়না।এমন কি জন্মদিনের বিশেষ কোন গুরুত্বই তাদের কাছে ছিল না।এর প্রমাণ মেলে তাদের জীবনির দিকে দৃষ্টিপাত করলে। সাহাবা ও তাবেঈন রাযি.এর জীবনির দিকে লক্ষ্য করলে স্পষ্ট হয় যে, তারা কোন সনে জন্মগ্রহণ করেছেন তা কারো কারোটা জানা গেলেও কোন মাসের কোন তারিখে জন্ম করেছেন তা জানা খুবই দুস্কর। এমনকি আমাদের প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রবিউল আওয়াল মাসের কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেছেন এটা নিশ্চিত ভাবে জানা না থাকায় সীরাতপ্রণেতাদের মধ্যে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। আমাদের মাঝে অতি প্রাসিদ্ধ বারই রবিউল আউয়া্লও সর্ব সম্মত মত নয়।

ইসলামে জন্মদিন পালন গুরুত্ববহন করলে কমপক্ষে সে সময় সাহাবিদের সন্তান সন্তুতি জন্মগ্রহণ করেছেন তাদের জন্মতারিখ সংরক্ষিত থাকত। তারা জন্মদিন ঘটা করে পালন করতেন। অথচ জন্মদিন পালন তো দূরের কথা তাদের জন্মতারিখই সংরক্ষণ করা হয়নি। এটা যতি পালনীয় বিষয় হতো বা গুরুত্ব বহন করত তাহলে অবশ্যই তারা তদাদের সন্তানদের জন্ম তারিখ সংরক্ষণ করতেন। এর মাধ্যমে এ কথা প্রমাণিত হয় জন্মদিন বলতে বর্তমানে যা বুঝায় ইসলামে এর কোন অস্তিত্বই ছিল না।

আসুন এবার দেখা যাক জন্মদিন পালনের বিষয়টি কিভাবে বা কাদের থেকে এসেছে। আমাদের দেশে যেভাবে কেক কেটে জন্মদিন পালন করা হচ্ছে।এর উৎপত্তি আমাদের দেশে না,পশ্চিমাদেশে।ধারণা কারা হয়,খৃস্টের জন্মের বহু পূর্ব থেকে জন্মদিন উৎসব হিসেবে পালন কারা হত।পেগান সংস্কৃতির লোকেরা অদৃশ্য আত্মাকে ভয় পেত-বিশেষভাবে জন্ম দিনে।তাদের প্রায় সকলেরই বিশ্বাস ছিল যে,এই অদৃশ্য আত্মারা আরো বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে যখন কোন ব্যক্তি তাদের দৈনন্দিন জীবনে কোন পরিবর্তন আসে।যেমন, বছর বয়স বাড়া ।তাই ছিল ধর্মীয় অনুষ্ঠান হিসেবে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে উৎযাপন,যারা হাঁসি-তামাশা করে সে ব্যক্তির চার পাশ ঘিরে রাখত যাতে খারাপ আত্না তার কোন ক্ষতি করতে না পারে। উপহারের পরিবর্তে,পরের বারের জন্মদিনটা যেন শুভ ও মঙ্গলময় হয় সকলে সেই কামনাই করতেন।

আর জন্মদিন সম্পর্কে যতটুকু জানা যায় এর সূচনা কনো মুসলিম থেকে হয়নি। বরং হয়েছে ফেরাউন থেকে। বাইবেলের বুক অব জেনেসিসে এসেছে, “ তৃতীয় দিনটা ছিল ফেরাউনের জন্ম দিন। ফেরাউন তার সব দাসদের জন্য ভোজের আযোজন করলেন। সেই সময়ে ফেরাউন রুটিওয়ালা ও দ্রাক্ষারস পরিবেশককে কারাগার থেকে মুক্তি দিলেন”। (আদি পুস্তক,৪০:২০)আনুমানিক খৃষ্টপূর্ব তিন হাজার পঞ্চাশ থেকে চার হাজার বছর পূর্বের এ ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।

ইহুদি ধর্মে জন্মদিন
ইহুদি ধর্মে মানুষকে উৎসাহিত করা হয়েছে বন্ধু-বান্ধব আত্মীয় সজনদের জমায়েত করে ধর্মীয়ভাবে আনন্দ উদযাপনের সাথে জন্মদিন পালনের জন্য। ইহুদিদের অনেক রাবায়ি(আলেম) মনে করেন কোন ব্যক্তির জন্য তার জন্মদিনটি তার জন্য দোয়া কবুলের একটি বিশেষ দিন। আধুনিক জন্মদিনে ধর্মনিরপেক্ষ অনেক বিষয় থাকলেও এটা ধর্মীয় আচারেরই সার নির্যাস।

হিন্দুধর্মে জন্মদিন
হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রীয় বিবরণ ও জ্যোতিষ গণনার ভিত্তিতে লোক বিশ্বাস অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল ৩২২৮ খ্রীষ্টপূর্বাব্দের ১৮ অথবা ২১ জুলাই। এ দিনটি জন্মাষ্টমী নামে পরিচিত। হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্টার অনুসারে, প্রতি বছর মধ্য-আগস্ট থেকে মধ্য-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে পড়ে। ভাদ্র ও মাঘ মাসের শুক্লা চতুর্থীকে গণেশ চতুর্থী বলা হয়। গণেশ চতুর্থী বা গণেশোৎসব যা হিন্দু দেবতা গণেশের বাৎসরিক পূজা-উৎসব। হিন্দু বিশ্বাসে এই দিনটি গণেশের জন্মদিন।
হিন্দু ধর্মে দ্বাদশ অথবা ত্রয়োদশ বছরে জন্মদিন পালিত হয় ‘পৈত পরিধান উৎসব’ হিসেবে। বয়স পূর্তিতে শিশু একটি বড় সূতার কুণ্ডলী কাঁধের একপার্শ্বে ঝুলিয়ে রেখে পরিধান করে। এছাড়াও,এ উৎসবটি উপনয়ণ নামে স্বীকৃত। হিন্দুদের বর্ণপ্রথায় উচ্চতর বর্ণ হিসেবে ব্রাহ্মণ পরিবারের সংস্কৃতিতে এ উৎসবটি মূলতঃ বালকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

বৌদ্ধধর্মে জন্মদিন
আমরা সবাই বুদ্ধ পূর্ণিমার কথা জানি। বুদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখী পূর্ণিমা হল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্রতম উৎসব। এই পুণ্যোৎসব বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয়। বৌদ্ধধর্ম মতে এই পবিত্র তিথিতে বুদ্ধজন্মগ্রহণ করেছিল,বোধি বা সিদ্ধিলাভ করেছিল এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিল। এই দিনে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা স্নান করে, শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকে। ভক্তরা প্রতিটি মন্দিরে বহু প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করে, ফুলের মালা দিয়ে মন্দিরগৃহ সুশোভিত করে বুদ্ধের আরাধনায় নিমগ্ন হয়। এছাড়া বুদ্ধরা এই দিনে বুদ্ধ পূজার পাশাপাশি পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণ, সমবেদ প্রার্থণাও করে থাকে।

খৃষ্টানধর্মে জন্মদিন
ক্রিস্টমাস খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। প্রতিবছর ২৫ ডিসেম্বর রোমান ক্যাথলিক ও প্রটেস্টান্ট চার্চের অনুসারীরা যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে এ উৎসব পালন করে। খ্রিস্টিয় ২০০ সাল থেকে এ উৎসব পালন শুরু হয়। ৩৫৪ সালে দিনটিকে যিশুর জন্মদিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং এ ঘোষণা ৪৪০ সালে পোপ স্বীকার করেন। মূলত পৌত্তলিক রোমানদের উৎসবের বিপরীতে ক্রিস্টমাস পালন শুরু হয়।মূলকথা বলতে গেলে জন্মদিনের ব্যাপক প্রচলন খৃষ্টানদের মাধ্যমেই ছড়িয়েছে।

এখন দেখা যাচ্ছে, জন্মদিন পালন শুধু বিধর্মীদের সংস্কৃতিই নয় বরং ধর্মীয়ভাবেও এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ইসলামে যেহেতু জন্মদিনের কোন ভিত্তি পাওয়া যায়নি পক্ষান্তরে এটা বিধর্মীদের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় আচার হওয়ায় এটি পালন করা সম্পূর্ণরূপে হারাম ও নাজায়েজ। হাদীস শরীফে এসেছে,

“عن ابن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ” من تشبه بقوم فهو منهم

হযরত ইবনে উমার রাযি. হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের অনুরূপ অবলম্বন করে,সে তাঁদেরই দলভুক্ত। (সুনানে আবূ দাঊদঃ ৪০৩১)

এখানে একটি বিষয় লক্ষণীয়,মানুষ অন্যের অনুকরণ করে থাকে তার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসা থেকে। জন্মদিন পালন যদি ইহুদি ও খৃষ্টানদের কৃষ্টিকালচারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কিংবা ভালোবাসা থেকে হয় তাহলে সেটা শুধু হারামের মাঝেই সীমাবদ্ধ ধাকবে না বরং কুফরি পর্যন্ত পৌঁছে দিবে। (ইমদাদুল আহকাম)
অন্যকোন পন্থায় জন্মদিন পালন

জন্মদিন পালনের মূল বিষয়টি যেহেতু বিধর্মীদের থেকে এসেছে তাই বলা যায় এর মূল জিনিসটিই ইসলামে প্রত্যাখ্যাত। তা যে কোন পদ্ধতিতেই হোক।আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

{اتَّبِعُوا مَا أُنْزِلَ إِلَيْكُمْ مِنْ رَبِّكُمْ وَلَا تَتَّبِعُوا مِنْ دُونِهِ أَوْلِيَاءَ قَلِيلًا مَا تَذَكَّرُونَ } [الأعراف : 3]

তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষথেকে যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তার অনুসরণ কর। তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য সাথিদের অনুসরণ করনা।তোমরা খুব অল্পই উপদেশ গ্রহণ কর। (সূরা আ’রাফঃ৩)

{ثُمَّ جَعَلْنَاكَ عَلَى شَرِيعَةٍ مِنَ الْأَمْرِ فَاتَّبِعْهَا وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَ الَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ } [الجاثية : 18]

এরপর আমি আপনাকে প্রতিষ্ঠিত করেছি দ্বীনের বিশেষ বিধানের উপরঃ সুতরাং আপনি এর অনুসরণ করুন, মূর্খদের খেয়াল-খুশির অনুসরণ করবেননা।(সূরা যাসিয়াঃ১৮)

এখন কেউ যদি বলে আমি জন্মদিন হিসেবে শুকরিয়া স্বরূপ কিছু আমল করবো তাহলে এই ব্যাপারে কথা হলো,ইসলামে যে বিষয়টি নেই তা ইসলামের অন্তর্ভুক্ত করা বিদআত। যা প্রত্যাখ্যাত। হাদীস শরীফে এসেছে –

قال رسول الله صلى الله عليه و سلم من أحدث في أمرنا هذا ما ليس فيه فهو رد

হযরত আয়েশা রাযি. হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কেউ আমাদের এ শরীয়তে সংগত নয় এমন কিছুর অনুপ্রবেশ ঘটালে তা প্রত্যাখ্যান করা হবে।(সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৫৫০, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৫৮৯)

كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول في خطبته يحمد الله ويثني عليه بما هو أهله ثم يقول من يهده الله فلا مضل له ومن يضلله فلا هادي له إن أصدق الحديث كتاب الله وأحسن الهدي هدي محمد وشر الأمور محدثاتها وكل محدثة بدعة وكل بدعة ضلالة وكل ضلالة في النار

হযরত যাবের ইব্ন আব্দুল্লাহ রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবার মাঝে বলতেন, যাকে আল্লাহ হেদায়াত দেন তাকে ভ্রষ্টকারী কেউ নেই।আর যাকে পথভ্রষ্টকরেন তার জন্য হেদায়াত কারী কেউ নাই। নিশ্চয়ই সবচেয়ে খাটি কথা হল আল্লাহর কিতাব ও সর্বোত্তম দিশারী হল মুহাম্মাদ সা এর সুন্নাত এবং সর্ব নিকৃষ্ট কর্মহল (দ্বীনের মাঝে) নতুন কিছু উদ্ভাবন করা। প্রত্যেক নতুন উদ্ভাবিত বিষয়ই বিদআত; প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা আর প্রত্যেক ভ্রষ্টতাই জাহান্নামী।(সুনানে নাসাঈঃ১৫৭৭)

কেউ আমল করার জন্য এক বছর অপেক্ষা করুক এটা ইসলাম কামনা করে না। নির্দিষ্ট কোন দিনের জন্য আমলকে বাচিয়ে রাখা ইসলামের কর্মপন্থার বিরোধী। বরং নিয়মিত আমল স্বল্প হলেও আল্লাহর কাছে অধিক পছন্দ। এ ব্যপারে হাদীসে শরীফে এসেছে

(عن عائشة قالت قال رسول الله صلى الله عليه و سلم أحب الأعمال إلى الله تعالى أدومها وإن قل ( صحيح مسلم

হযরত আয়েশা রাযি. হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তায়ালার নিকট পছন্দনীয় আমল হচ্ছে নিয়মিত আমল, চাই তা কম হোকনা কেন।(সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৬০৯৯, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৭৮৩)

কেউ যদি কারো জন্মের দিনটিকে তার বিশেষ দিন মনে করে তাহলে তা ইহুদি ও মুশরেকদের বিশ্বাসের সাথে মিলে যায়। কেননা তাদের কাছেও কারো জন্ম গ্রহনের দিনটি তার জন্য বিশেষ একটি দিন ।আর রাসূল সা. ইহুদী ও মুশরেকদের সাথে সাদৃশ্য পছন্দ করতেন না তাই কখনো তাদের বিপরিত আমল করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই কোন মুসলিমের জন্য উচিত হবেনা জন্মদিনের মত অহেতুক একটি কাজ করে ইহুদি ও মুশরেকদের সাদৃশ্য অবলম্বন করে তাদের দলভুক্ত হওয়া। আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে দ্বীনের উপর চলা সহজ করে দেন। আমীন।

প্রামাণ্য গ্রন্থাবলীঃ
১। সূরা আ’রাফ, আয়াত নং- ৩
২। সূরা যাসিয়া, আয়াত নং- ১৮
৩। সহীহ বুখারী, হাদীস নং -২৫৫০,
৪। সহীহ বুখারী, হাদীস নং -৬০৯৯
৫। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং -৪৫৮৯
৬। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৭৮৩
৭। সুনানে নাসাঈ, হাদীস নং -১৫৭৭
৮। সুনানে আবূ দাঊদ, হাদীস নং -৪০৩১
৯। আউনুল মা’বুদ ১১/৫১
১০। ইমদাদুল আহকাম-১/২৮৬
১১। মাউসূআতুল ফিকহিয়্যাহ ১২/৬
১২। আল হা-উয়ী লিল ফাতাওয়া-২০৫
والله اعلم بالصواب

উত্তর প্রদানে:
মাওলানা মুহাম্মাদ আরমান সাদিক
ইফতা বিভাগ
জামিয়াতুল আসআদ আল ইসলামিয়া

চাশতের নামাজকে হাদীসে ‘সালাতুদ্‌ দুহা’ বলা হয়েছে। ‘দুহা’ শব্দের অর্থ ‘প্রভাত সূর্যের ঔজ্জল্য’, যা সূর্য স্পষ্টভাবে প্রকা...
30/06/2025

চাশতের নামাজকে হাদীসে
‘সালাতুদ্‌ দুহা’ বলা হয়েছে।
‘দুহা’ শব্দের অর্থ ‘প্রভাত সূর্যের ঔজ্জল্য’,
যা সূর্য স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে শুরু হয়।

এই নামাজ প্রথম প্রহরের পর থেকে
দ্বিপ্রহরের পূর্বেই পড়া হয় বলে একে ‘সালাতুদ দুহা’ বা ‘চাশতের নামাজ’ বলা হয়।

নফল নামাজগুলোর মধ্যে
চাশতের নামাজ গুরুত্বপূর্ণ একটি।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এই নামাজ সব সময় পড়েছেন এবং সাহাবাদেরকে নিয়মিত পড়তে উপদেশও দিয়েছেন।

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে,
‘রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাকে
তিনটি বিষয়ে অসিয়ত করেছেন –
যা আমি মৃত্যু পর্যন্ত কখনো ছাড়বো না।
১. প্রতি মাসের তিন রোজা,
২. চাশতের নামাজ (সালাতুদ্‌ দুহা),
৩. এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিতর নামাজ আদায় করা।’
(বুখারী, হাদিস : ১১২৪; মুসলিম, হাদিস : ৭২১)

বুরাইদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেছেন,
মানুষের শরীরে ৩৬০টি জোড় রয়েছে।
অতএব, মানুষের কর্তব্য হলো
প্রত্যেক জোড়ের জন্য একটি করে সদকা করা।’

সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) বললেন,
‘ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! কার শক্তি আছে এই কাজ করার?’ তিনি (সাঃ) বললেন, ‘মসজিদে কোথাও কারো থুতু দেখলে তা ঢেকে দাও অথবা রাস্তায় কোনো ক্ষতিকারক কিছু দেখলে সরিয়ে দাও। তবে এমন কিছু না পেলে, চাশতের দুই রাকাত নামাজই এর জন্য যথেষ্ট।’ (আবু দাউদ, হাদীস : ৫২২২)

উপরোক্ত হাদীসটি মুলত চাশতের নামাজের অপরিসীম গুরুত্ব ও মাহাত্ম্যের কথাই তুলে ধরে। এর থেকে আরো বুঝা যায় যে, চাশতের নামাজ ৩৬০টি সাদাকার সমতুল্য।

চাশতের নামাজের রাকাত সংখ্যা:
চাশতের নামাজের সর্বনিম্ন ২ রাকাত পড়া যায়।
উপরে ৪, ৮, ১২ রাকাত পর্যন্ত হাদীসে পাওয়া যায়। মক্কা বিজয়ের দিন দুপুরের পূর্বে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আলী (রাঃ) এর বোন উম্মে হানী (রাঃ) এর গৃহে খুবই সংক্ষিপ্তভাবে ৮ রাকাত পড়েছিলেন।
সংক্ষিপ্তভাবে পড়লেও রুকু এবং
সিজদায় তিনি পূর্ণ ধীরস্থিরতা বজায় রেখেছিলেন এবং প্রতি দুই রাকাত অন্তর সালাম ফিরিয়ে ছিলেন।
(বুখারী, হাদীস : ২০৭)

হাদিস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আবু যর (রাঃ)-কে বলেছেন,
তুমি যদি চাশতের নামাজ দুই রাকাত পড়ো,
তাহলে তোমাকে গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।

আর যদি চার রাকাত পড়ো,
তাহলে তুমি নেককার মধ্যে গণ্য হবে।

আর যদি আট রাকাত পড়ো,
তবে সফলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।

আর যদি দশ রাকাত পড়ো তাহলে
কেয়ামত দিবসে তোমার কোনো গুনাহ থাকবে না।

আর যদি বারো রাকাত পড়ো,
তাহলে আল্লাহ তোমার জন্য
জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরি করবেন।’
(সুনানে কুবরা লিল-বাইহাকী, পৃষ্ঠা : ৩/৪৮)

চাশতের নামাযের নিয়ম:
চাশতের নামাজ অন্য যেকোনো দুই রাকাত বিশিষ্ট সুন্নত বা নফল নামাজ আদায়ের মতই।
কোনো নফল নামাজে যেমন দুই রাকাত পড়ে ডানে ও বামে সালাম ফিরিয়ে থাকেন, এখানেও তেমনই। হজরত ইবনে ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,
‘দিন ও রাতের নফল নামাজ দুই দুই রাকাত করে।’
(তিরমিযি, হাদিস : ৫৯৭; আবু দাউদ, হাদিস : ১২৯৫)

চাশতের নামাজের সময়:
চাশতের নামাজের সময়টা আমরা ধরে নিতে পারি সকাল ৯ : ০০ থেকে বেলা ১১ : ০০ পর্যন্ত।
সূর্যের তাপ যখন প্রখর হতে শুরু করে তখন এই নামাজ আদায় করা উত্তম।
কেননা, নবী কারীম (সাঃ) বলেছেন,
চাশতের নামাজ পড়া হবে যখন সূর্যের তাপ প্রখর হয়।’ (সহীহ্‌ মুসলিম, হাদীস : ৭৪৮)

বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন দিনের এক চতুর্থাংশ অর্থাৎ, দিনের চার ভাগের একভাগ পার হয় তখন এই নামাজ আদায় করা উত্তম। কাজেই, চাশতের নামাজ বা সালাতুদ্‌ দুহা আদায় করার উত্তম সময়টি হচ্ছে সূর্যোদয় এবং যোহর নামাযের মধ্যবর্তী সময়টা। (মাজমূ’ ফাতাওয়াহ্‌ লিল ইমাম আন-নাবাউয়ী, ৪/৩৬; আল-মাওসূ’য়াহ্‌ আল-ফিক্‌হিয়্যাহ্‌, ২৭/২২৪)

একবার হলেও দোয়াটা পড়ে যান।🥺🥺
30/06/2025

একবার হলেও দোয়াটা পড়ে যান।🥺🥺

Address

Shah Ali Mazar, Mirpur 1
Dhaka
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ইসলামিক জীবন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ইসলামিক জীবন:

Share

ইসলামিক জীবন

এসো হে মুসলিম- ইসলামের আলোর পথে জীবন গড়ি- ইসলামের বানী প্রচার করি।দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তির জন্য কাজ করি।