Tanjim Agro

Tanjim Agro I Love Animals

⛔এনথ্রাক্স বা তড়কা রোগ:- একটি ভয়ংকর জুনোটিক রোগ। যা গবাদিপশু ও মানুষের উভয়ের জন্য সমানভাবে বিপজ্জনক। বিশেষ করে গবাদিপশুর...
18/09/2025

⛔এনথ্রাক্স বা তড়কা রোগ:- একটি ভয়ংকর জুনোটিক রোগ। যা গবাদিপশু ও মানুষের উভয়ের জন্য সমানভাবে বিপজ্জনক। বিশেষ করে গবাদিপশুর জন্য মারাত্মক হুমকি এই তড়কা (Anthrax) রোগটি Bacillus anthracis নামক একটি গ্রাম পজেটিভ ব্যাকটেরিয়া দ্বারা হয়, বাংলাদেশেও গবাদিপশু ও মানুষে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।

⛳তড়কা/এনথ্রাক্স/Anthrax:-
★এটি মূলত Bacillus anthracis নামক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হয়।
★গরু, ছাগল, ভেড়া মহিষের মতো তৃণভোজী প্রাণীরা বেশি আক্রান্ত হয়।
★মানুষের মধ্যেও এই রোগ ছড়াতে পারে।

♦️লক্ষণ (গবাদিপশু):
★হঠাৎ মৃত্যু: প্রায় কোনো লক্ষণ ছাড়াই দ্রুত মারা যেতে পারে।
★ মুখ, নাক ও পায়ুপথ দিয়ে কালচে রক্ত বের হতে পারে (রক্ত জমাট বাঁধে না)।
★শরীরের বিভিন্ন অংশে ফোলাভাব দেখা যেতে পারে।
★শ্বাসকষ্ট হতে পারে।

⛔মানুষের ক্ষেত্রে লক্ষণ:❗
⛳ত্বকে ফোস্কা ও কালো দাগ।
⛳শ্বাসকষ্ট।
⛳ পেটে ব্যথা ও বমি।

✅প্রতিরোধ ও করণীয়:
★নিয়মিত টিকাদান: গবাদিপশুকে বছরে একবার তড়কার(Anthrax) টিকা দিন।
★মৃত পশুর সঠিক সৎকার: আক্রান্ত পশু মারা গেলে কোনো প্রকার কাটাকাটি না করে মাটি চাপা দিন অথবা পুড়িয়ে ফেলুন। কোনোভাবেই খোলা স্থানে ফেলবেন না।
★পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা: খামারের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
✅দ্রুত চিকিৎসা:
পশুর মধ্যে রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ভেটেরিনারি ডাক্তার বা প্রাণিচিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
✅মানুষের মধ্যে লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।🏃‍♂️🏃‍♀️

কচুরিপানা সমাচার:বাংলাদেশের মতো কৃষিপ্রধান দেশে গবাদিপশু পালন অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।...
16/09/2025

কচুরিপানা সমাচার:

বাংলাদেশের মতো কৃষিপ্রধান দেশে গবাদিপশু পালন অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে বন্যা বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট গো-খাদ্যের তীব্র সংকট এবং বাজারে খড় ও দানাদার খাদ্যের আকাশচুম্বী মূল্য প্রান্তিক খামারিদের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে । এই পরিস্থিতিতে, সহজলভ্য ও অপ্রচলিত খাদ্য উৎস যেমন কচুরিপানার (Eichhornia crassipes) ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি একটি জরুরি এবং তাৎক্ষণিক সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে । এই প্রতিবেদনটির মূল লক্ষ্য হলো কচুরিপানাকে গরুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহারের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি, সঠিক পদ্ধতি, এর পুষ্টিগত সীমাবদ্ধতা এবং সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো বিশদভাবে বিশ্লেষণ করা। প্রচলিত ভুল ধারণা দূর করে খামারিদের একটি নির্ভরযোগ্য, বিজ্ঞানভিত্তিক এবং ব্যবহারিক নির্দেশিকা প্রদান করাই এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য।

এটি স্পষ্ট যে, খামারিরা শখের বশে নয়, বরং তাদের জীবিকা ও পশুর টিকে থাকার তাগিদে এই বিকল্প খুঁজছেন। শুধু মাত্র তাদের জন্য আলোচনাঃ

১। সম্পূরক খাদ্য: কচুরিপানাকে প্রধান খাদ্য নয়, বরং খড়ের সম্পূরক হিসেবে ব্যবহার করা উচিত, কারণ এটি প্রোটিন ও খনিজের অভাব পূরণ করে এবং খড় আঁশ সরবরাহ করে ।

২। পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ: দৈনিক মোট খাদ্যের শুষ্ক পদার্থ (dry matter) ভিত্তিতে ১০-২০% এর বেশি কচুরিপানা ব্যবহারকে সর্বোত্তম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কোনো অবস্থাতেই ৩০% এর বেশি ব্যবহার করা উচিত নয় ।

৩। শুকিয়ে খাওয়ান: কাঁচা কচুরিপানা না খাইয়ে, রোদে শুকিয়ে এর জলীয় অংশ কমিয়ে খড়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো জরুরি ।

৪। উৎস নির্বাচন: কচুরিপানা শুধুমাত্র পরিষ্কার, দূষণমুক্ত জলাশয় থেকে সংগ্রহ করতে হবে। শিল্প বা শহুরে বর্জ্য মিশ্রিত জলাশয়ের কচুরিপানা কখনোই ব্যবহার করা যাবে না, কারণ এতে ভারী ধাতু এবং অন্যান্য বিষাক্ত উপাদান জমা হতে পারে ।

৫। স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ: গরুকে কচুরিপানা খাওয়ানোর পর তার স্বাস্থ্যের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখা প্রয়োজন। অতিরিক্ত পাতলা পায়খানা, পেট ফোলা বা অন্য কোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা গেলে অবিলম্বে কচুরিপানা খাওয়ানো বন্ধ করতে হবে এবং নিকটস্থ ভেটেরিনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ।

# # # #গরুর খাদ্যে কচুরিপানার সর্বোচ্চ পরিমাণ ও আদর্শ ব্যবহার পদ্ধতি*******

কচুরিপানা গরুর খাদ্যে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে এর পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণায় দেখা গেছে, গরুর মোট দৈনিক খাদ্যের শুষ্ক পদার্থ (dry matter) এর ৩০% এর বেশি কচুরিপানা থেকে দেওয়া উচিত নয় । এই সীমা অতিক্রম করলে হজমজনিত সমস্যা যেমন বদহজম এবং পেট ফোলা (Bloat) দেখা দিতে পারে । সর্বোত্তম ফলাফল পেতে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে ১০-২০% শুষ্ক পদার্থ প্রতিস্থাপনের সুপারিশ করা হয়, যা গরুর দৈহিক ওজন বৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে ।

সাধারণ খামারিদের কাছে "শুষ্ক পদার্থ" (Dry Matter) শব্দটি প্রযুক্তিগত ও দুর্বোধ্য মনে হতে পারে। এটিকে সহজভাবে বোঝার জন্য, এটি মনে রাখতে হবে যে কচুরিপানায় ৯০-৯৫% জল থাকে । এর মানে, ১০০ কেজি কাঁচা কচুরিপানা রোদে শুকিয়ে মাত্র ৫-১০ কেজি হবে। তাই, পরিমাণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই জলীয় অংশের হিসাবটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাঁচা অবস্থায় বেশি পরিমাণে দিলেও আসলে পুষ্টিগতভাবে তা অপ্রতুল হবে।

নতুন খাদ্য হিসেবে কচুরিপানা ধীরে ধীরে গরুকে অভ্যস্ত করতে হবে। হঠাৎ করে বেশি পরিমাণে দিলে পাতলা পায়খানা বা বদহজম হতে পারে। একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে, যেমন কয়েক দিনের মধ্যে, ধীরে ধীরে কচুরিপানার পরিমাণ বাড়ানো উচিত, যা পশুর হজমতন্ত্রকে নতুন খাদ্য গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করবে।

ব্যাক্তিগত মতামত কাচা না খাইয়ে শুকনো খাওয়ান ভালো খড়ের বিকল্প নয়, খরের সাথে সম্পূরক হিসেব খাওয়ানো যায়।
বিকল্প থাকলে না খাওয়ানোই ভালো।

গরুর বাছুরের নিউমোনিয়া একটি খুবই সাধারণ ও মারাত্মক রোগ। বিশেষ করে জন্মের প্রথম ৩ মাসে এ রোগ বেশি দেখা যায়। এটি থেকে বাছু...
14/09/2025

গরুর বাছুরের নিউমোনিয়া একটি খুবই সাধারণ ও মারাত্মক রোগ। বিশেষ করে জন্মের প্রথম ৩ মাসে এ রোগ বেশি দেখা যায়। এটি থেকে বাছুরকে রক্ষা করতে হলে কয়েকটি বিষয় খুব গুরুত্বের সাথে মানতে হবে:

🟢 প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা

1. কোলস্ট্রাম (প্রথম দুধ) খাওয়ানো
জন্মের প্রথম ২ ঘণ্টার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে কোলস্ট্রাম খাওয়াতে হবে।
এটি বাছুরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।

2. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
বাছুর রাখার ঘর শুকনো, পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।
ঠান্ডা বাতাস, ধুলো বা অ্যামোনিয়ার গন্ধ যেন না থাকে।

3. ঠান্ডা থেকে সুরক্ষা

শীতকালে বাছুরকে কম্বল/বস্তা দিয়ে ঢেকে রাখা যেত পারে।
সরাসরি ঠান্ডা হাওয়া যাতে না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

4. ঘরের বাতাস চলাচল
ঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা থাকতে হবে, কিন্তু বাতাস যেন সরাসরি বাছুরের শরীরে না লাগে।

5. সুষম খাবার ও পানি
বয়স অনুযায়ী দুধ, পানি ও শুষ্ক খাবার দিতে হবে।
অপুষ্টি হলে বাছুর দুর্বল হয় ও নিউমোনিয়ায় দ্রুত আক্রান্ত হয়।

6. ভ্যাকসিন
নিউমোনিয়ার জন্য নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন না থাকলেও, FMD, HS, BQ ইত্যাদি টিকা নিয়মিত দিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

7. আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ
বাছুর যেন ভেজা বা কাদামাটিতে না বসে।
শুকনো খড় বা বিছানা ব্যবহার করতে হবে।

🟠☠️ বাছুরে নিউমোনিয়ার লক্ষণ

💠নাক দিয়ে পানি পড়া

💠কাশি

💠শ্বাস নিতে কষ্ট

💠জ্বর

💠খাবারে অরুচি

👉 এসব লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ভেটেরিনারি চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। সাধারণত এন্টিবায়োটিক, জ্বর কমানোর ও শ্বাসকষ্ট কমানোর ওষুধ দেওয়া হয়।

একটি খামার শুধু মাত্র ইনভেস্টমেন্ট বা অর্থ উপার্জনের যায়গা নয়। এক একটি খামার এক একটি সপ্নের নাম। দিন রাত কষ্ট করে মাথার ...
12/09/2025

একটি খামার শুধু মাত্র ইনভেস্টমেন্ট বা অর্থ উপার্জনের যায়গা নয়।
এক একটি খামার এক একটি সপ্নের নাম। দিন রাত কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে,রাতের পর রাত ঘুম মাটি করে একটি খামার সফলতা পায়। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে অসংখ্য খামারিদের প্রচেষ্টায় এই সেক্টর টা দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ সকল কে সফলতা দান করুক।

11/09/2025

🇧🇩🌏 🐄 গরুর খামারের দৈনিক কাজের পরিকল্পনা..............…..…..….................................................

গরুর খামারকে সফলভাবে চালাতে হলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটা শৃঙ্খলাপূর্ণ কাজের রুটিন থাকা জরুরি। আমি আপনাকে ফজরের নামাজের পর থেকে মাগরিবের আগ পর্যন্ত একটা দিনব্যাপী কাজের সূচি কল্পনা করে দিচ্ছি।

🐄 গরুর খামারের দৈনিক কাজের পরিকল্পনা (ফজর থেকে মাগরিব পর্যন্ত)সাল ৫:০০ টা থেকে ৮:০০

🌅 ভোর (ফজরের নামাজের পর ৫:০০টা – ৮:০০টা)

৫:১৫ – ৫:৩০ → খামার পরিষ্কার (গোবর, প্রস্রাব, ময়লা সরানো)

৫:৩০ – ৬:৩০ → গরুকে সকালে পানি খাওয়ানো ও দুধ দোহন (যদি দুগ্ধ গাভী থাকে)

৬:৩০ – ৭:৩০ → সকালের খাবার দেওয়া (খড়, সবুজ ঘাস, সাইলেজ, কনসেন্ট্রেট ফিড)

৭:৩০ – ৮:০০ → খামারের স্বাস্থ্য পরীক্ষা (গরুর শরীর দেখা, খোঁড়ানো আছে কি না, জ্বর বা অসুস্থতা)

---

☀️ সকাল (৮:০০টা – ১১:৩০টা)

৮:০০ – ৯:৩০ → গরুকে মাঠে বা খোলা জায়গায় ঘোরানো/ব্যায়াম করানো

৯:৩০ – ১০:০০ → পানি খাওয়ানো

১০:০০ – ১১:৩০ → খামারের কাজ (খড় শুকানো, সাইলেজ তৈরি, খাবার প্রস্তুত, ঘাস কাটা)

---

🌤️ দুপুর (যোহরের নামাজ পর্যন্ত ১১:৩০টা – ১:৩০টা)

১১:৩০ – ১২:০০ → গরুর গোসল করানো (গরমকালে প্রতিদিন, শীতে সপ্তাহে ২-৩ দিন)

১২:০০ – ১২:৩০ → গোয়ালঘর আবার ঝাড়ু দেওয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা

১২:৩০ – ১:০০ → খাবার দেওয়া (ঘাস + কনসেন্ট্রেট + খনিজ মিশ্রণ)

১:০০ – ১:৩০ → পানি খাওয়ানো

---

😌 বিকেল (আসর পর্যন্ত ৩:০০টা – ৫:০০টা)

৩:০০ – ৪:০০ → গরুকে মাঠে/ছায়ায় বিশ্রাম দেওয়া, এ সময়ে আপনি খাদ্য প্রস্তুতি/খড়ের কাজ করতে পারেন

৪:০০ – ৪:৩০ → পানি খাওয়ানো

৪:৩০ – ৫:০০ → আসরের নামাজের পর গরুর ছোটখাটো স্বাস্থ্যপরীক্ষা

---

🌇 সন্ধ্যা (৫:০০টা – মাগরিবের আগে ৬:৩০টা)

৫:০০ – ৫:৪৫ → দুধ দোহন (যদি গাভী থাকে)

৫:৪৫ – ৬:১৫ → সন্ধ্যার খাবার (ঘাস, সাইলেজ, সামান্য কনসেন্ট্রেট)

৬:১৫ – ৬:৩০ → পানি খাওয়ানো, গোয়ালঘর পরিষ্কার, বাতি জ্বালানো

---

✨ অতিরিক্ত নিয়ম

1. প্রতিদিন গরুকে পর্যাপ্ত পরিষ্কার পানি দিতে হবে (৪-৫ বার)।

2. মিনারেল মিক্সচার ও লবণ সবসময় খাবারের সাথে রাখতে হবে।

3. সপ্তাহে অন্তত ১ দিন খামার ধোয়া এবং জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

4. সময় অনুযায়ী ভ্যাকসিন ও ওষুধ দেওয়া।

5. খাবারের সময় যেন কখনো দেরি না হয়।

---

👉 এই সূচি মেনে চললে, আপনি ফজরের নামাজের পর থেকে শুরু করে মাগরিবের আগেই খামারের সমস্ত কাজ সুন্দরভাবে শেষ করতে পারবেন।

৭ মাস বয়সী বাছুর গরু পালন কেন লাভজনক!!!৭ মাস বয়সী বাছুর গরু পালন বাংলাদেশের মতো দেশে বিশেষভাবে লাভজনক, কারণ এই বয়সের ...
08/09/2025

৭ মাস বয়সী বাছুর গরু পালন কেন লাভজনক!!!

৭ মাস বয়সী বাছুর গরু পালন বাংলাদেশের মতো দেশে বিশেষভাবে লাভজনক, কারণ এই বয়সের বাছুরগুলো দ্রুত বৃদ্ধি লাভ করে, খাদ্য খরচ তুলনামূলকভাবে কম এবং সঠিক যত্নে ৩-৬ মাসের মধ্যেই মোটাতাজাকরণ করে বাজারে বিক্রি করে ভালো মুনাফা করা যায়। এটি মূলত মাংস উৎপাদনের জন্য লাভজনক, কারণ বাছুরের প্রথম ৩-৬ মাসে বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি হয় এবং পুষ্টির অভাব হলে পরবর্তী উৎপাদন কমে যায়। নিচে বিস্তারিত কারণগুলো উল্লেখ করছি:

🎯১. দ্রুত বৃদ্ধি এবং ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা
- ৭ মাস বয়সী বাছুরের শরীরে দ্রুত বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। সঠিক খাদ্য (সবুজ ঘাস, খড়, দানাদার খাবার যেমন গমের ভুসি, খেসারি ডালের গুড়া) এবং যত্নে এরা ৩-৪ মাসে ১৫০-২০০ কেজি ওজন অর্জন করতে পারে। এতে মোটাতাজাকরণের সময় কম লাগে এবং খাদ্য খরচও কম হয়।
- উদাহরণস্বরূপ, ইউরিয়া মিশ্রিত খড় (প্রতি গরুতে ২০ গ্রাম পর্যন্ত, কিন্তু ১ বছরের নিচে সতর্কতার সাথে) এবং সরিষার খৈল মিশিয়ে খাওয়ালে বৃদ্ধির হার ২০-৩০% বাড়ে। এতে মাত্র ৪৫ দিনে অভুতপূর্ব ফল পাওয়া যায়।

✅২. কম খাদ্য খরচ এবং উচ্চ রিটার্ন
- এই বয়সের বাছুরের খাদ্যে খরচের ৬০-৭০% শুকনো খড় এবং স্থানীয় ঘাসে মেটানো যায়। দৈনিক খাদ্য: ওজনের ২-৩% খড় (পানিতে ভিজিয়ে), ৫-১০ ভাগ পানি এবং দানাদার খাবার (আমিষ ১৬% যুক্ত)। মোট খরচ প্রতি বাছুরে ৩ মাসে ১০-১৫ হাজার টাকা (খাদ্য + ওষুধ)।
- বাজার মূল্য: কেনার সময় ৭ মাসের বাছুর ৩০-৫০ হাজার টাকায় পাওয়া যায়, মোটাতাজাকরণ করে বিক্রি করলে ৮০-১২০ হাজার টাকা (ওজন ২৫০+ কেজি হলে)। লাভ: ২০-৪০ হাজার টাকা প্রতি বাছুরে, যা অল্প সময়ে মূলধন ফেরত দেয়। ঈদ বা উৎসবের আগে চাহিদা বাড়লে লাভ আরও বেশি।

🎯 ৩.কম ঝুঁকি এবং সহজ ব্যবস্থাপনা
- ৭ মাস বয়সে বাছুরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি গড়ে ওঠে, যদি জন্ম থেকে কলোস্ট্রাম (শালদুধ) এবং পরিমিত পুষ্টি দেওয়া হয়। নিয়মিত কৃমিনাশক (যেমন রিনটাল পাউডার, ৭.৫ মিলিগ্রাম/কেজি ওজন) এবং টিকা দিলে মৃত্যুর ঝুঁকি কম।
- ছোট স্কেলে শুরু করা যায়: ৫-১০টি বাছুর দিয়ে ১০ লক্ষ টাকার খামার চালানো সম্ভব, যা দুধাল গরুর চেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ। কালো বা গাঢ় লাল জাত (যেমন হলস্টেইন ক্রস) বেছে নিলে বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়।

✅৪. অতিরিক্ত সুবিধা
- গোবর থেকে জৈব সার তৈরি করে অতিরিক্ত আয় (প্রতি গরুতে ১০-১৫ কেজি গোবর/দিন)।
- বাংলাদেশে মাংসের চাহিদা বাড়ছে, বিশেষ করে শহুরে এলাকায়। সঠিক যত্নে (পরিষ্কার ঘর, আলো-বাতাস যুক্ত স্থান) এই পালন দারিদ্র্য হ্রাস করে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে।
- তুলনায়, নতুন জন্মের বাছুরের যত্ন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এবং দুধাল গরুর পালনে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ লাগে।

🗣️পরামর্শ: শুরু করার আগে স্থানীয় ভেটেরিনারির সাথে পরামর্শ করুন এবং খাদ্যের সুষমতা নিশ্চিত করুন। সঠিক পরিকল্পনায় এই পালন অল্প পুঁজিতে উচ্চ লাভের উৎস হতে পারে।

04/09/2025

🇧🇩🇧🇩🇧🇩
🌏তিন মাসের মোটা তাজা করার গরুর জন্য DCB (ডিসিবি) কখন দেওয়া হয় এবং এর উপকারীতা কী। চলুন বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করি।

১. DCB কখন দিতে হয়

DCB হলো ডিকোলব্যান (DCB) বা অনুরূপ মাল্টি ভিটামিন ও খনিজ ইনজেকশন, যা মূলত গরুর শক্তি বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ও হজম ক্ষমতা উন্নয়নের জন্য দেওয়া হয়।

তিন মাসের মোটা তাজা করার গরুর ক্ষেত্রে:

🌎1. প্রথম মাস:

খাবারের সঙ্গে অভ্যস্ত করার সময়

হজম ও শক্তি বৃদ্ধির জন্য

🌎2. মধ্যবর্তী মাস (২য় মাস):

বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করার জন্য

ওজন ও মাংস বৃদ্ধিতে সাহায্য

🌎3. শেষ মাস (৩য় মাস):

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

চামড়া, চুল ও ক্ষত দ্রুত সারানোর জন্য

❤️ডোজ ও পদ্ধতি:

সাধারণত ইনজেকশন আকারে সপ্তাহে ১–২ বার ডাক্তার নির্ধারিত ডোজ অনুযায়ী।

সঠিক ডোজ ও ফ্রিকোয়েন্সি অবশ্যই পশু ডাক্তার বা পুষ্টি বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নির্ধারণ করা উচিত।

🌎২. উপকারীতা (Benefits)

DCB-এর মূল সুবিধা তিন মাসের মোটা তাজা করার গরুর জন্য:

1. শক্তি বৃদ্ধি ও দ্রুত ওজন বৃদ্ধি:

প্রোটিন ও শক্তি শোষণ উন্নত করে

মাংস বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে

2. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা:

সংক্রমণ ও রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে

3. হজম ও পুষ্টি শোষণ:

খাবার থেকে ভিটামিন ও খনিজ শোষণ বাড়ায়

4. চামড়া ও চুলের স্বাস্থ্য:

ক্ষত দ্রুত সারায়

চামড়া, রোম ও খুর ভালো রাখে

5. সাধারণ সুস্থতা ও বৃদ্ধি:

দুর্বল গরুতে শক্তি ফিরিয়ে আনে

অতিরিক্ত মানসিক ও শারীরিক চাপ কমায়

✝️💡 সতর্কতা:

DCB ইনজেকশন অতিরিক্ত দেওয়া ঠিক নয়, কারণ হজম সমস্যা বা বিষক্রিয়া ঘটতে পারে।

অন্যান্য ভিটামিন ও খনিজের সাথে মিলিয়ে ডাক্তার নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবহার করুন।
🇧🇩🇧🇩🇧🇩
🌎চলুন তিন মাসের মোটা তাজা করার গরুর জন্য DCB সহ পূর্ণ শিডিউল বানাই। এতে প্রতিদিনের খাবার, ভিটামিন, খনিজ এবং DCB ইনজেকশন সব থাকবে।

🇧🇩🐄 তিন মাসের মোটা তাজা করার শিডিউল (DCB সহ)

🌏১ম মাস (দিন ১–৩০)

লক্ষ্য: হজম ঠিক রাখা, শক্তি বৃদ্ধি, চামড়া ও রোম স্বাস্থ্য

সময় খাবার/সাপ্লিমেন্ট পরিমাণ/পদ্ধতি

সকাল কাচা ঘাস ২–৩ কেজি
সকাল চাল/ডাল খুরা ১–১.৫ কেজি
সকাল DCB ইনজেকশন ডাক্তার নির্ধারিত ডোজ, সপ্তাহে ১ বার
সকাল Zinc (জিং) ডাক্তার নির্ধারিত ডোজ, ফিডে মিশিয়ে
দুপুর কাচা ঘাস ১–২ কেজি
বিকাল প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য (ভুট্টা, সয়াবিন খোসা) ১–২ কেজি
বিকাল মিনারেল ব্লক ১টি (প্রয়োজন মতো)
রাত কাচা ঘাস ২ কেজি
রাত পানি পর্যাপ্ত পরিষ্কার পানি

🌏২য় মাস (দিন ৩১–৬০)

লক্ষ্য: ওজন ও মাংস বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

সময় খাবার/সাপ্লিমেন্ট পরিমাণ/পদ্ধতি

সকাল কাচা ঘাস ২–৩ কেজি
সকাল চাল/গম খুরা ১–১.৫ কেজি
সকাল প্রোটিন (ডাল, সয়াবিন) ১–২ কেজি
সকাল DCB ইনজেকশন ডাক্তার নির্ধারিত ডোজ, সপ্তাহে ১–২ বার
সকাল Zinc ফিডে মিশিয়ে
দুপুর কাচা ঘাস ১–২ কেজি
বিকাল প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ১–২ কেজি
বিকাল ভিটামিন A, D, E ডাক্তার নির্ধারিত ডোজ
রাত কাচা ঘাস ২ কেজি
রাত পানি পর্যাপ্ত পরিষ্কার পানি

🌏৩য় মাস (দিন ৬১–৯০)

লক্ষ্য: শেষ ধাপ মোটা তাজা করা, চামড়া ও চুলের স্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ শক্ত করা

সময় খাবার/সাপ্লিমেন্ট পরিমাণ/পদ্ধতি

সকাল কাচা ঘাস ২–৩ কেজি
সকাল চাল/গম খুরা ১–১.৫ কেজি
সকাল প্রোটিন (ডাল, সয়াবিন খোসা) ১–২ কেজি
সকাল DCB ইনজেকশন ডাক্তার নির্ধারিত ডোজ, সপ্তাহে ১–২ বার
সকাল Zinc ফিডে মিশিয়ে
দুপুর কাচা ঘাস ১–২ কেজি
বিকাল প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ১–২ কেজি
বিকাল ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট দৈনিক নির্ধারিত ডোজ
রাত কাচা ঘাস ২ কেজি
রাত পানি পর্যাপ্ত পরিষ্কার পানি

❤️💡 টিপস:

1. DCB ও জিং এর ডোজ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী দিন।

2. পানি সর্বদা পরিষ্কার ও পর্যাপ্ত রাখুন।

3. তিন মাস শেষে ওজন ও স্বাস্থ্য যাচাই করুন, প্রয়োজনমতো শিডিউল সামঞ্জস্য করুন।

04/09/2025

🇧🇩🇧🇩🇧🇩
তিন মাসের মোটাতাজা করার গরুর জন্য জিং কখন এবং কীভাবে উপকারী হবে সেটা ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করি।

🌏🌎১. কবে দিতে হবে (Timing)

তিন মাসের গরু মোটা তাজা করার সময় জিং প্রধানত দেওয়া হয়:

1. প্রথম মাস:

গরু নতুন খাবারে অভ্যস্ত করার সময় হজম ও পুষ্টি শোষণ ভালো করার জন্য

ক্ষত বা ত্বকের সমস্যা থাকলে

2. মধ্যবর্তী মাস (২য় মাস):

বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে

হাড়, মাংস ও চামড়ার স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে

3. শেষ মাস (৩য় মাস):

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য

চুল, রোম ও ক্ষত দ্রুত সেরে যাওয়ার জন্য

✝️💡 সাধারণত প্রতি মাসে নিয়মিত ফিডে মিশিয়ে বা সাপ্লিমেন্ট হিসেবে দেওয়া হয়।

🌏🌎২. উপকারীতা (Benefits)

তিন মাসে মোটা তাজা করার গরুর জন্য জিং-এর মূল সুবিধা:

1. বৃদ্ধি ও ওজন বৃদ্ধি:

হাড় ও মাংসের স্বাস্থ্য ভালো রাখে

প্রোটিন শোষণ বাড়ায়

2. ত্বক ও চামড়ার স্বাস্থ্য:

ক্ষত দ্রুত সারায়

রোম, চুল ও খুর শক্তিশালী রাখে

3. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:

সংক্রমণ ও রোগ কমায়

হজম শক্তি উন্নত করে

4. প্রজনন ও হরমোন সমর্থন (যদি প্রজননযোগ্য গরু):

শুক্রাণু ও প্রজনন ক্ষমতা উন্নত করে

5. ভিটামিন ও খনিজ শোষণ উন্নত করে:

বিশেষ করে ভিটামিন A, D ও ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে

🌎🌎৩. দেওয়ার পদ্ধতি

ফিডে মেশানো: গরুর দৈনন্দিন খাবারের সঙ্গে

সাপ্লিমেন্ট: Zinc Sulphate বা Zinc premix, দৈনিক ডোজ ডাক্তার নির্ধারণ করবেন

⚠️ সতর্কতা: অতিরিক্ত জিং দেওয়া ঠিক নয়, কারণ হজম সমস্যা বা বিষক্রিয়া হতে পারে।
🇧🇩🇧🇩🇧🇩
🐄 তিন মাসের গরু মোটা তাজা করার পরিকল্পনা (জিং সহ)

🌏🌎১ম মাস

উদ্দেশ্য: হজম ও পুষ্টি শোষণ ঠিক করা, ক্ষত/ত্বক সুস্থ রাখা, বৃদ্ধি শুরু করা

উপাদান পরিমাণ/পদ্ধতি লক্ষ্য

জিং (Zinc) ফিডে মিশিয়ে বা ডোজ অনুযায়ী ডাক্তার নির্ধারণ হাড়, চামড়া, রোম স্বাস্থ্য
কাচা ঘাস/হায়ার ৪–৫ কেজি/দিন ভিটামিন ও ফাইবার
চাল/ভাতের খুরা (পাউডার) ২–৩ কেজি/দিন শক্তি, ক্যালরি বৃদ্ধি
ভিটামিন A, D, E সাপ্লিমেন্টে চামড়া ও চোখের স্বাস্থ্য
পানি পরিষ্কার ও পর্যাপ্ত হজম ভালো রাখা

🌏🌎২য় মাস

উদ্দেশ্য: মাংস ও ওজন বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো

উপাদান পরিমাণ/পদ্ধতি লক্ষ্য

জিং (Zinc) নিয়মিত ফিডে মিশিয়ে হাড় ও চামড়া শক্তিশালী করা
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য (ডাল, ভুট্টা, সয়াবিন খোসা) ২–৩ কেজি/দিন মাংস বৃদ্ধি
গম বা চালের খুরা ১–২ কেজি/দিন শক্তি যোগানো
মিনারেল ব্লক দৈনিক খনিজ শোষণ বাড়ানো
পানি পর্যাপ্ত হজম ঠিক রাখা

🌏🌎৩য় মাস

উদ্দেশ্য: শেষ ধাপ মোটা তাজা করা, রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি, চামড়া ও চুলের স্বাস্থ্য

উপাদান পরিমাণ/পদ্ধতি লক্ষ্য

জিং (Zinc) ফিডে নিয়মিত চুল ও রোম স্বাস্থ্য, ক্ষত দ্রুত সারানো
প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাদ্য ৪–৫ কেজি/দিন ওজন ও মাংস বৃদ্ধি
ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট দৈনিক রোগ প্রতিরোধ, হজম উন্নত করা
পরিষ্কার পানি পর্যাপ্ত হজম ও বৃদ্ধি নিশ্চিত করা

✝️💡 সতর্কতা ও টিপস:

1. অতিরিক্ত জিং দেওয়া যাবে না।

2. প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি ও পরিষ্কার খাবার নিশ্চিত করতে হবে।

3. তিন মাস শেষে গরুর ওজন ও স্বাস্থ্য যাচাই করুন।
🇧🇩🇧🇩🇧🇩
🌎🌎🐄 তিন মাসের গরু মোটা তাজা করার ডে-টু-ডে শিডিউল

🌎১ম মাস (দিন ১–৩০)

লক্ষ্য: হজম ঠিক রাখা, ক্ষত ও চামড়ার স্বাস্থ্য, বৃদ্ধি শুরু করা

সময় খাবার/সাপ্লিমেন্ট পরিমাণ

সকাল কাচা ঘাস ২–৩ কেজি
সকাল চালের খুরা/ডাল ১–১.৫ কেজি
সকাল জিং (Zinc premix বা Zinc Sulphate) ডাক্তার নির্ধারিত ডোজ
দুপুর কাচা ঘাস ১–২ কেজি
বিকাল প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য (ভুট্টা, সয়াবিন খোসা) ১–২ কেজি
বিকাল মিনারেল ব্লক ১টি (প্রয়োজন মতো)
রাত কাচা ঘাস ২ কেজি
রাত পানি পর্যাপ্ত পরিষ্কার পানি

🌎🌎২য় মাস (দিন ৩১–৬০)

লক্ষ্য: মাংস বৃদ্ধি, ওজন বাড়ানো, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি

সময় খাবার/সাপ্লিমেন্ট পরিমাণ

সকাল কাচা ঘাস ২–৩ কেজি
সকাল চাল/গমের খুরা ১–১.৫ কেজি
সকাল প্রোটিন (ডাল, সয়াবিন) ১ কেজি
সকাল জিং ডাক্তার নির্ধারিত ডোজ
দুপুর কাচা ঘাস ১–২ কেজি
বিকাল প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ১–২ কেজি
বিকাল ভিটামিন A, D, E দৈনিক নির্ধারিত ডোজ
রাত কাচা ঘাস ২ কেজি
রাত পানি পর্যাপ্ত

🌎🌎৩য় মাস (দিন ৬১–৯০)

লক্ষ্য: শেষ ধাপ মোটা তাজা, চামড়া ও চুলের স্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ শক্ত করা

সময় খাবার/সাপ্লিমেন্ট পরিমাণ

সকাল কাচা ঘাস ২–৩ কেজি
সকাল চাল/গম খুরা ১–১.৫ কেজি
সকাল প্রোটিন (ডাল, সয়াবিন খোসা) ১–২ কেজি
সকাল জিং ডাক্তার নির্ধারিত ডোজ
দুপুর কাচা ঘাস ১–২ কেজি
বিকাল প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ১–২ কেজি
বিকাল ভিটামিন ও মিনারেল সাপ্লিমেন্ট দৈনিক নির্ধারিত ডোজ
রাত কাচা ঘাস ২ কেজি
রাত পানি পর্যাপ্ত পরিষ্কার পানি

✝️💡 টিপস:

1. জিং ও অন্যান্য সাপ্লিমেন্ট ডোজ অনুযায়ী দিন।

2. পানি সর্বদা পরিষ্কার ও পর্যাপ্ত রাখুন।

3. তিন মাস শেষে ওজন ও স্বাস্থ্য যাচাই করুন, প্রয়োজন অনুযায়ী শিডিউল সামঞ্জস্য করুন।

🇧🇩🇧🇩এগুলো গরুর শরীরের ভেতরের কাজকে সাপোর্ট করে। নিচে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা দিচ্ছি—🟡1. Catophos (Vet)মূলত ফসফরাস ও ভিটামিন B1...
04/09/2025

🇧🇩🇧🇩এগুলো গরুর শরীরের ভেতরের কাজকে সাপোর্ট করে। নিচে সংক্ষেপে ব্যাখ্যা দিচ্ছি—

🟡1. Catophos (Vet)

মূলত ফসফরাস ও ভিটামিন B12 সমৃদ্ধ।

রক্ত সঞ্চালন, লিভারের কাজ, দুর্বলতা ও অ্যানিমিয়া কমাতে সহায়ক।

ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে।

👉 কাজে লাগে যদি গরু দুর্বল বা খেতে না চায়।

🟡2. Renasol AD3E

ভিটামিন A, D3, E এর ইনজেকশন।

হাড়ের শক্তি, চোখের দৃষ্টি, প্রজনন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

সরাসরি মোটা করে না, তবে সুস্থতা বাড়ায়।

🟡3. Aminovit Plus (Vet)

অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিনের সমন্বয়।

মেটাবলিজম, ক্ষুধা ও দেহের বৃদ্ধি সাপোর্ট করে।

খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে শরীর গঠনে সহায়তা করে।

🟡4. Hepavita

লিভার টনিক, ভিটামিন ও হেপাটো-প্রোটেকটিভ উপাদান থাকে।

ওষুধ, টক্সিন বা হজম সমস্যা থেকে লিভারকে সুরক্ষা দেয়।

খাওয়ার হজম ও রূপান্তর ক্ষমতা উন্নত করে।

---

✅ সংক্ষেপে

এগুলো সরাসরি মোটা তাজা করার ওষুধ নয়।

বরং শরীরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম ঠিক রাখে, ক্ষুধা বাড়ায়, হজমে সহায়তা করে, ফলে খাবারের পুষ্টি ভালোভাবে কাজে লাগে।

গরু মোটা হবে মূলত খাবারের গুণগত মান, পরিমাণ, নিয়মিত পরিচর্যা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করে।

এসব ইনজেকশন কেবল সহায়ক ভূমিকা রাখে।
🇧🇩🇧🇩🇧🇩
🌏🐄 গরু মোটা করার ৩ মাসের সাপ্লিমেন্ট শিডিউল

---🟡প্রথম মাস (অ্যাডজাস্টমেন্ট + ক্ষুধা বাড়ানো)

Catophos (Vet): সপ্তাহে ১ বার (১–২ বার পর্যন্ত দেওয়া যায়)

Aminovit Plus (Vet): সপ্তাহে ১ বার

Renasol AD3E: ১ বার (মাসের শুরুতে)

Hepavita: সপ্তাহে ১ বার

👉 কাজ: ক্ষুধা বাড়ানো, হজম ঠিক রাখা, শরীরের ভিতরের ঘাটতি পূরণ।

---🟡দ্বিতীয় মাস (ওজন বাড়ানোর মূল সময়)

Catophos (Vet): সপ্তাহে ১ বার

Aminovit Plus (Vet): সপ্তাহে ১ বার

Renasol AD3E: মাসে ১ বার

Hepavita: সপ্তাহে ১ বার

👉 কাজ: খাবার থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টি গ্রহণ, দ্রুত বৃদ্ধি।

---🟡তৃতীয় মাস (ফাইনাল বুস্ট + ইমিউনিটি বাড়ানো)

Catophos (Vet): প্রতি ১০ দিনে ১ বার

Aminovit Plus (Vet): সপ্তাহে ১ বার

Renasol AD3E: মাসে ১ বার

Hepavita: প্রতি ১০ দিনে ১ বার

👉 কাজ: শরীরের কন্ডিশন ফাইনাল টাচ দেওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো রাখা।

---

⚡ অতিরিক্ত টিপস

1. খাদ্য ব্যবস্থাপনা:

দিনে ৩–৪ বার খাওয়ানো, সবসময় পরিষ্কার পানি রাখা।

৭০% শুকনো ঘাস/ভুসি + ৩০% কনসেন্ট্রেট (ভুট্টা, চালের কুঁড়া, সয়াবিন খৈল ইত্যাদি)।

লবণ ও খনিজ মিশ্রণ (Mineral mixture) নিয়মিত দিতে হবে।

2. ভ্যাকসিন/ডিওয়ার্মিং:

গরু মোটা করার আগে কৃমির ওষুধ অবশ্যই দিতে হবে।

সময়মতো ভ্যাকসিন সম্পন্ন করা জরুরি।

3. অতিরিক্ত ইনজেকশন দেওয়া যাবে না – ভেটেরিনারি ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ডোজ পরিবর্তন করবেন না।

04/09/2025

Povidone-Iodine গরুর দুধ দোয়ানোর
আগে ও পরে দুধের বাট (Teat/থন) জীবাণুমুক্ত
করার জন্য বহুল ব্যবহৃত হয়।

---

🥛 ব্যবহারের সুবিধা:

1. জীবাণু নাশক – দুধের বাটে লেগে থাকা ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস, ভাইরাস মেরে ফেলে।

2. মাস্টাইটিস প্রতিরোধ – নিয়মিত ব্যবহার করলে দুধের গ্রন্থির সংক্রমণ (mastitis) অনেকটা কমে যায়।

3. ত্বকের জন্য নিরাপদ – ঠিকমতো মিশিয়ে ব্যবহার করলে গরুর ত্বক বা বাটের ক্ষতি করে না।

---

🧴 ব্যবহারের নিয়ম:

বাজারে বিশেষ Teat Dip বা Teat Spray Solution পাওয়া যায় (Povidone-Iodine 0.5%–1% সলিউশন হিসেবে ব্যবহার করতে হয়)।

যদি সাধারণ 10% Povidone-Iodine পাওয়া যায় 👉 সেটাকে পানি দিয়ে পাতলা করে (প্রায় ১:৯ অনুপাতে) বানাতে হবে।

দুধ দোয়ানোর আগে ও পরে বাট ভালোভাবে ডুবিয়ে (Teat Dip Cup) বা স্প্রে করে ব্যবহার করতে হবে।

পরে পরিষ্কার টিস্যু বা কাপড় দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিলে ভালো।

---

⚠️ সাবধানতা:

ঘন (১০%) দ্রবণ সরাসরি ব্যবহার করবেন না → ত্বক শুকিয়ে ফাটতে পারে।

প্রতিবার নতুন করে তৈরি দ্রবণ ব্যবহার করা ভালো।

শুধুমাত্র বাইরের ব্যবহার, দুধে যেন না মিশে যায়।

---

👉 সংক্ষেপে: হ্যাঁ, Povidone-Iodine দুধ দোয়ানোর পরে বাট জীবাণুমুক্ত করার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর সমাধানগুলোর একটি।

🇧🇩🇧🇩
একটি সহজ “Teat Dip সলিউশন রেসিপি”

একটি সহজ Teat Dip (বাট জীবাণুমুক্ত সলিউশন) রেসিপি, যা আপনি বাড়িতেই তৈরি করতে পারবেন।

---

🥛 Povidone-Iodine দিয়ে Teat Dip তৈরির নিয়ম

প্রয়োজনীয় উপকরণ:

Povidone-Iodine 10% সলিউশন → ১ অংশ

পরিষ্কার ঠান্ডা পানি (সিদ্ধ করে ঠান্ডা করা ভালো) → ৯ অংশ

👉 অর্থাৎ ১:৯ অনুপাতে মিশাতে হবে

---

উদাহরণ:

যদি ১০০ মিলি সলিউশন বানাতে চান:

১০ মিলি Povidone-Iodine (10%)

৯০ মিলি পরিষ্কার পানি

---

ব্যবহার পদ্ধতি:

1. দুধ দোহানোর আগে ও পরে প্রতিবার ব্যবহার করবেন।

2. একটি Teat Dip Cup বা ছোট স্প্রে বোতলে সলিউশন ভরে নিন।

3. প্রতিটি বাট ডুবিয়ে দিন বা স্প্রে করুন যাতে সম্পূর্ণ ভিজে যায়।

4. কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন (৩০–৬০ সেকেন্ড), তারপর পরিষ্কার কাপড়/টিস্যু দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিন।

---

⚠️ সাবধানতা:

প্রতিদিন নতুন করে সলিউশন বানাবেন (পুরনোটা রেখে দেবেন না)।

সরাসরি ১০% Povidone-Iodine ব্যবহার করবেন না (এটা খুব ঘন)।

বাটে ক্ষত থাকলে হালকা লাগলে সমস্যা নেই, তবে গভীর ক্ষত থাকলে পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

---

👉 এইভাবে বানানো Teat Dip ব্যবহার করলে মাস্টাইটিসের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে এবং দুধও পরিষ্কার ও নিরাপদ থাকবে।

🇧🇩🇧🇩🇧🇩

🥛 মাস্টাইটিস প্রতিরোধের রুটিন

১. গোয়ালঘর পরিচ্ছন্নতা

গোয়ালঘরের মেঝে শুকনা ও পরিষ্কার রাখুন।

ভেজা বা কাদা মাটিতে গরু যেন না বসে।

নিয়মিত ছাই, চুন বা জীবাণুনাশক (ফেনাইল/লাইম ওয়াটার) দিয়ে মেঝে ধুয়ে নিন।

পোকা-মাছি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

---

২. দুধ দোয়ানোর সময় সতর্কতা

দুধ দোয়ানোর আগে হাত ধুয়ে পরিষ্কার করুন।

গরুর বাট পরিষ্কার কাপড় বা টিস্যু দিয়ে মুছে নিন।

প্রতিবার দোহানোর পরে Povidone-Iodine / Chlorhexidine দিয়ে Teat Dip ব্যবহার করুন।

দুধ দোহানোর সময় ধীরে ধীরে করতে হবে, আঘাত দেয়া যাবে না।

---

৩. খাবার ও পুষ্টি

গরুকে সুষম খাবার দিন (ঘাস, খড়, ভুষি, খৈল, খনিজ, লবণ)।

পর্যাপ্ত ভিটামিন A, E ও সেলেনিয়াম থাকলে বাটের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।

প্রচুর পরিষ্কার পানি দিতে হবে।

---

৪. বিশেষ যত্ন

দুধ দোয়ানোর পরে গরুকে অন্তত ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে দিন → এতে বাটের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়, জীবাণু ঢুকতে পারে না।

গরুর বাটে যদি ক্ষত হয় → সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার করুন (স্যালাইন → Povidone-Iodine)।

যে গরুর মাস্টাইটিস হয়েছে, তার দুধ অন্য সুস্থ গরুর সাথে মেশাবেন না।

পুরনো কাপড় বা নোংরা তোয়ালে দিয়ে বাট মুছবেন না।

---

৫. নিয়মিত পরীক্ষা

স্ট্রিপ কাপ টেস্ট (প্রথম কয়েক ফোঁটা দুধ কালো প্লেটে ফেলে দেখা → দলা/রক্ত/পুঁজ আছে কি না) সপ্তাহে অন্তত একবার করুন।

মাস্টাইটিসের লক্ষণ (বাট ফুলে যাওয়া, গরম হওয়া, দুধে রক্ত বা পুঁজ আসা) দেখলেই পশু চিকিৎসকের কাছে যান।

---

✅ এই রুটিন মেনে চললে আপনার খামারে মাস্টাইটিসের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে এবং দুধের গুণমান ভালো থাকবে।
🇧🇩🇧🇩🇧🇩
✅ মাস্টাইটিস প্রতিরোধ চেকলিস্ট
(দৈনিক কাজের তালিকা)

🏠 গোয়ালঘর পরিচ্ছন্নতা

[ ] সকালে ও বিকেলে গোয়ালঘর পরিষ্কার করেছি

[ ] মেঝে শুকনা ও পরিষ্কার আছে

[ ] মশা-মাছি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে

[ ] ভেজা বিছানা (খড়/খড়ি) পরিবর্তন করেছি

---

🐄 দুধ দোহানোর আগে

[ ] হাত ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়েছি

[ ] গরুর বাট পরিষ্কার পানিতে মুছে নিয়েছি

[ ] প্রথম কয়েক ফোঁটা দুধ আলাদা করে স্ট্রিপ কাপ টেস্ট করেছি

---

🥛 দুধ দোহানোর সময়

[ ] প্রতিটি গরুর দুধ আলাদা পরিষ্কার পাত্রে নিয়েছি

[ ] ধীরে ধীরে দোহন করেছি (আঘাত করা হয়নি)

[ ] মাস্টাইটিস আক্রান্ত গরুর দুধ আলাদা রেখেছি

---

🧴 দুধ দোহানোর পরে

[ ] প্রতিটি বাট Povidone-Iodine/Chlorhexidine Dip করেছি

[ ] পরিষ্কার কাপড়/টিস্যু দিয়ে মুছে শুকিয়ে দিয়েছি

[ ] দুধ দোহানোর পরে গরুকে কমপক্ষে ৩০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রেখেছি

---

🍀 খাবার ও পানি

[ ] পরিষ্কার পানি দিয়েছি

[ ] সুষম খাবার (ঘাস + খড় + ভুষি + খৈল + খনিজ + লবণ) দিয়েছি

[ ] ভিটামিন-মিনারেল সাপ্লিমেন্ট ঠিকমতো দিয়েছি

---

🔎 বিশেষ নজর

[ ] বাটে ফোলা/গরম/ক্ষত আছে কিনা চেক করেছি

[ ] অস্বাভাবিক দুধ (রক্ত/পুঁজ/দলা) থাকলে নোট করেছি

[ ] অসুস্থ গরুর খোঁজ পশু চিকিৎসককে জানিয়েছি

---

👉 এই চেকলিস্ট প্রতিদিন ফলো করলে আপনার খামারে মাস্টাইটিস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

Address

Dhanmondi
Dhaka
1209

Telephone

+8801972603011

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tanjim Agro posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Tanjim Agro:

Share

Category